সুস্বাদু ডিম ও মুরগীর কারি। ব্যস্ত নগর জীবনের কোলাহলে গ্যাস-পানির সমস্যা তো আছেই। একই সঙ্গে আছে সময়ের ভীষণ অভাব। গৃহিণী ছাড়া কারোরই আজকাল তিন বেলা গরম গরম রান্না করে খাওয়ার সময় হয় না। যারা ব্যাচেলর কিংবা চাকরিজীবী, তাদের পক্ষে কাজটি আরও অসম্ভব। প্রায়ই দেখা যায় সপ্তাহে একদিন রান্না করে রেখে সেটা বাকি সপ্তাহ খাওয়া হচ্ছে।
আপনারও কি একই অবস্থা?
তাহলে আজ জেনে নিন এমন একটি রেসিপি, যাতে খাবারটি রান্না করবেন একবার। কিন্তু তাতেই পাবেন দুটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের তরকারি। সপ্তাহে ২/৩ দিন অনায়াসে চালিয়ে দিতে পারবেন! এত সহজ রেসিপি যে খুব সহজেই রান্না করা সম্ভব। মুরগী বা ডিমের পরিমাণ বেশি হলে মশলাটা একটু বাড়িয়ে দিলেই হবে কেবল। জানিয়ে দিচ্ছি মুরগী ও ডিম দিয়ে একটি সুস্বাদু টু-ইন-ওয়ান কারির রেসিপি।
যা লাগবে
দেশি মুরগী ১ টি বড়
ডিম ৪ টি (সেদ্ধ করে হালকা ভেজে নেয়া)
আলু বড় করে কাটা ৫/৬ টুকরো
পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ
পেঁয়াজ বাটা ১/৪ কাপ
আদা ও রসুন ১ টেবিল চামচ করে
লবণ ও কাঁচা মরিচ স্বাদমত
হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়ো আধা চা চামচ
জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ
তেল প্রয়োজনমত
আস্ত এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ , তেজপাতা ইত্যাদি ২/১ পিস করে
গরম মশলা গুঁড়ো এক চিমটি
প্রণালি
-কড়াইতে তেল গরম করে আস্ত গরম মশলাগুলো দিয়ে দিন।
-এরপর একে একে সমস্ত বাটা ও গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিন, কেবল জিরা ও গরম মশলা গুঁড়ো দেবেন না।
-মশলার মাঝে সামান্য পানি দিয়ে খুব ভালো করে কষান। আঁচ মাঝারি রাখুন।
-মশলায় তেল ভেসে উঠলে মুরগী ও আলু দিয়ে দিন। তারপর ঢাকনা নিয়ে কষান ৫/৬ মিনিট।
-মুরগী পানি ছাড়বে, তারপর পানিতে শুকিয়ে আবার তেলের ওপরে উঠবে। এমন হলে মুরগীতে পানি দিয়ে দিন ২/৩ কাপ বা আপনার আন্দাজ মতো। ঝোল চাইলে বেশি পানি দেবেন, ভুনা চাইলে কম।
- এবার রান্না হতে দিন। আঁচ মাঝারি থাকুক, রান্না হয়ে আলু প্রায় সেদ্ধ হয়ে এলে ডিমগুলো দিয়ে দিন। জিরা গুঁড়ো ছিটিয়ে রান্না হতে দিন।
-এবার আরেকটি কড়াইতে তেল নিন। তাতে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে দিন। লাল লাল করে বেরেশ্তা ভাজুন। তারপর তেল সহ পেঁয়াজ মরিচ তরকারির মাঝে ঢেলে দিয়ে বাগাড় দিন।
-ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই বাগাড় দেওয়াটা জরুরি। কারণ এতে ফ্রিজে বেশ কয়েকদিন থাকলেও তরকারি খেতে মজা লাগে।
ব্যস, তৈরি আপনার দুই স্বাদের তরকারি একবারের রান্নায়। মুরগী ও ডিম আলাদা করে দুটি বাটিতে রেখে দিন। মুরগীর সাথে রান্না করায় ডিমের স্বাদও এতে বহুগুণে বেড়ে যায়। যারা বলেন ডিমের ঝোল রাঁধলে মজা হয় না, তারা এই পদ্ধতিতে রান্না করতে পারেন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১১ মার্চ ২০১৮










