এই আচার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তিন থেকে ছয় মাস এবং ফ্রিজে রেখে এক বছর খেতে পারবেন। ডায়াবেটিস রোগী বা যাদের চিনি খাওয়া বারণ, তাদেরও খেতে মানা নেই।
ভালোবাসেন ঝাল খেতে? তাহলে এখনই সময় কাঁচা মরিচের আচার তৈরি করে নেওয়ার। এই আচার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তিন থেকে ছয় মাস এবং ফ্রিজে রেখে এক বছর খেতে পারবেন। ডায়াবেটিস রোগী বা যাদের চিনি খাওয়া বারণ, তাদেরও খেতে মানা নেই। কাঁচা মরিচের স্বাদের সঙ্গে আরও আছে রসুন, তেঁতুলের মতো ভেষজ গুণে ভরপুর উপাদান।
যা লাগবে
পরিপক্ক কাঁচা পাকা মরিচ ৫০০ গ্রাম
দেশী রসুন ১০০ গ্রাম
তেঁতুল ১০০ গ্রাম
পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ
চিনি দুই থেকে তিন টেবিল চামচ
ভিনেগার এক কাপ
মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ
হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
রসুন বাটা এক টেবিল চামচ
সরিষা বাটা এক টেবিল চামচ
খাঁটি সরিষার তেল ২৫০ মিলি লিটার
লবণ পরিমাণ মতো।
প্রণালি
-কড়াইয়ে তেল গরম করে ছিলে রাখা দেশি রসুনের কোয়া দিয়ে দুই মিনিট ভাজুন।
-তারপর একে একে রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, সরিষা বাটা, লবণ এবং আধা কাপ ভিনেগার দিয়ে মাঝারি আঁচে কষান।
-তারপর তেঁতুলের ক্বাথ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
-যখন বুঝবেন আচারে পানি শুকিয়ে এসেছে, তখন পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে রাখা মরিচগুলো দিয়ে দিন। এখন চুলার আঁচ মিডিয়াম লো করে একটু পরপর নাড়ুন ।
-১৫ থেকে ২০ মিনিট পর মরিচের রঙ হালকা সবুজ হয়ে এলে তেলে ভেজে রাখা পাঁচফোড়নের গুঁড়া এবং বাকি আধা কাপ ভিনেগার দিয়ে আরও দুই মিনিট জ্বাল করে চুলা নিভিয়ে দিন ।
-আচার নামানোর আগে যদি মনে হয় চিনি বা লবণ কম হয়েছে, তাহলে দিয়ে নিতে পারেন।
-আচার ঠান্ডা করে কাঁচের বয়ামে ভরে দুই থেকে তিনদিন রোদে দিন। খেয়াল রাখবেন আচার যেন তেলের নিচে থাকে।
-রোদে দেওয়া এই আচার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তিন থেকে ছয় মাস এবং ফ্রিজে এক বছর রেখে খেতে পারবেন । মাঝেমধ্যে রোদে দিলে আচারের স্বাদ বাড়বে।
-যাদের চিনি খাওয়া বারণ, তারা চিনি বাদ দিতে পারেন ।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০১ এপ্রিল ২০১৮