এখন আর সেই নানি-দাদিদের আমল নেই যে, নিজের হাতে তৈরি খাঁটি ঘি, মাখন খাওয়াবেন। শুধু ঘি, মাখন কেন আজকাল প্রায় সব খাবারেই ভেজাল মেশানো থাকে। ব্যবসায় অধিক লাভের আশায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ভেজালের কারবার। চাল-ডালে কাঁকর, ফলে রাসায়নিক পদার্থ, দুধে সাবান, পানি ইত্যাদি নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে বিভিন্নভাবে ভেজালের ব্যবহার এখন রোজকার ব্যাপার।
আর দাম দিয়ে কিনে খেতে হচ্ছে ভেজাল মেশানো বিষাক্ত খাবার-দাবার। ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ। আসুন ঘি বা মাখনে ভেজাল মেশানো আছে কি না, তা জানার কিছু পদ্ধতি শিখে নিই।
ঘি বা মাখনে ভেজাল চেনার উপায়:
বিশুদ্ধ ঘি বা মাখনে ভেজাল হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ডালডা। এক চামচ ঘি বা মাখন গলিয়ে একটি স্বচ্ছ কাঁচের বয়াম বা বোতলে রাখুন। এতে একই পরিমাণ মিউরিঅ্যাটিক অ্যাসিড ও সামান্য চিনি মেশান। এরপর এর মুখ বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাঁকান। কিছুক্ষণ ঝাঁকানোর পর পাত্রটি স্থির অবস্থায় রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর এর নিচে যদি লাল রঙের আস্তরণ পড়ে, তাহলে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে।
যদি ঘি নিয়ে আপনার সন্দেহ থাকে তাহলে পুরোটা ঘি একটি পাত্রে ঢেলে চুলায় জ্বাল দিন। প্রথমে চুলার আঁচ কমিয়ে জ্বাল দিন। তারপর আঁচ বাড়িয়ে দিন। মিনিট দুয়েক জ্বাল দিন। তারপর হালকা ঠান্ডা করে কাঁচের জারে রাখুন। ঠান্ডা হলে যদি দেখেন পাত্রের নিচের দিকে সাদা জমাট বেঁধে থাকে এবং উপর দিকে তেল উঠে থাকে তার মানে বুঝতে হবে এটা ভেজাল।
আর যদি জ্বাল দেয়ার পর কিছু আলাদা না হয়ে সবটাই মিশে থাকে তাহলে এটা খাঁটি।
সূত্রঃ পরিবর্তন