Sunday, August 14, 2011

মজাদার ফল ভাতের সালাদ




উপকরণঃ
আপেল ২টি, বড় সাগর কলা ২টি, পাকা পেয়ারা ২টি, পাকা আম ২টি, আনারস টুকরা অর্ধেকটি, সবুজ আঙুর আধা কাপ, লাল আঙুর আধা কাপ, মাল্টা ২টি, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, সালাদ ড্রেসিং ২ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ বা পরিমাণমতো। সব ফল টুকরা করে কাটতে হবে। ইচ্ছামতো ফল ব্যবহার করা যায়।

কিভাবে রান্না করবেনঃ
গোলমরিচ গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি, সালাদ ড্রেসিং ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সব ফলের টুকরা দিয়ে মাখিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা ককটেল পরিবেশন করতে হবে।

ইফতারির জন্য ফ্রুট ককটেল


উপকরণঃ
আপেল ২টি, বড় সাগর কলা ২টি, পাকা পেয়ারা ২টি, পাকা আম ২টি, আনারস টুকরা অর্ধেকটি, সবুজ আঙুর আধা কাপ, লাল আঙুর আধা কাপ, মাল্টা ২টি, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, সালাদ ড্রেসিং ২ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ বা পরিমাণমতো। সব ফল টুকরা করে কাটতে হবে। ইচ্ছামতো ফল ব্যবহার করা যায়।

কিভাবে রান্না করবেনঃ
গোলমরিচ গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি, সালাদ ড্রেসিং ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সব ফলের টুকরা দিয়ে মাখিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা ককটেল পরিবেশন করতে হবে।

Saturday, August 13, 2011

চিকেন ভেজিটেবল রোল


উপকরণঃ
চিকেন কিমা ১ কাপ, গাজরকুচি ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা টেবিল-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য যতটুকু লাগে। প্যান কেক তৈরি করতে লাগবে ময়দা ১ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ১ কাপ, ডিম ১টি, লবণ পরিমাণমতো এবং প্রয়োজনমতো পানি। গ. ভাজার জন্য টোস্টের গুঁড়া ১ কাপ, ফেটানো ডিম ১টি, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালিঃ
প্রথম উপকরণগুলো দিয়ে একটি পুর তৈরি করে নিতে হবে। বাকি প্যান কেক এর উপকরণ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল দিয়ে এক হাতা করে গোলা ছড়িয়ে দিতে হবে। মাঝখানে পুর দিয়ে রোল তৈরি করতে হবে। গ. উপকরণ দিয়ে ফেটানো ডিম দিয়ে টোস্টের গুঁড়া মেখে ডুবো তেলে বাদামি রং করে ভেজে পরিবেশন করুন।

মুগ ডালের নকশি পিঠা


উপকরণঃ
ব্লেন্ড করা মুগ ডাল আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, দুধ ১ কাপ, পানি আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ঘি ১ টেবিল-চামচ, তেল ২ কাপ।
সিরার জন্য—১ কাপ চিনি, ১ কাপ পানি, দারচিনি ২-৩ টুকরা, এলাচ গুঁড়া অল্প, ময়লা কাটার জন্য ২ টেবিল-চামচ পাতলা দুধ, গোলাপ পানি ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালিঃ
ডালে দুধ ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ঘুটে নিতে হবে। এবার এলাচ গুঁড়া দিয়ে ঘুটতে হবে। ফুটে এলে চালের গুঁড়া দিয়ে দুই-তিন মিনিট ঢেকে রেখে চুলার আঁচ কমিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। ঠান্ডা হলে হাতে ঘি নিয়ে খামির নরম করে ছেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে পানি দিয়েও ছানা যাবে। তারপর যেকোনো ছাঁচে বা হাত দিয়ে নকশি করে পিঠা বানাতে হবে। চিনি ও পানি চুলায় দিয়ে ফুটে উঠলে একটু একটু দুধ দিয়ে চিনির ময়লা কেটে সিরা পরিষ্কার করতে হবে। এলাচ ও দারচিনি দিয়ে ঘন করে রাখতে হবে। এখন পিঠা ভেজে গরম গরম সিরায় দিয়ে ওপরে গোলাপজল ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে মুগডালের নকশি পিঠা।


লাল পুয়াপিঠা


উপকরণঃ
আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, মিহি করে বাটা নারকেল আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, খেজুরের গুঁড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি পরিমাণমতো, ডিম ২টি, এক চিমটি লবণ।

প্রস্তুত প্রণালিঃ
তেল ছাড়া সবকিছু মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার তেল গরম হলে গোল চামচে গোলা নিয়ে একটা একটা করে ভেজে তুলতে হবে। এই পিঠা গুড়ের বদলে চিনি দিয়েও করা যায়। চিনি দিয়ে পিঠা বানালে পিঠা দেখতে সাদা হবে।


খেজুর রসে ভাপাপিঠা


নতুন চাল, খেজুর রসের গন্ধে ম-ম গ্রামগুলো। শহরে বসে অবশ্য সেটা তেমন টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবু শীতে পিঠাপুলির স্বাদ তো চাই-ই। দেখুন জিনাত নাজিয়ার দেওয়া রান্নাগুলো।


উপকরণঃ
ঘন খেজুরের রস আধা কাপ, পাতলা খেজুরের রস ২ কাপ, মিহি কুরানো নারকেল ১ কাপ, সেদ্ধ চালের গুঁড়া ২ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া আধা কাপ, পানি ১ কেজি, পাতলা পরিষ্কার কাপড় ২ টুকরা, ভাপাপিঠার হাঁড়ি ও বাটি ১টি করে, লবণ এক চিমটি।

প্রস্তুত প্রণালিঃ
সেদ্ধ ও আতপ চালের গুঁড়া, লবণ ও ঘন রস আস্তে আস্তে দিয়ে মাখাতে হবে, যাতে পুরো মিশ্রণ ঝরঝরে থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে চাকা না হয়ে যায়। তারপর একটা মোটা চালনিতে মিশ্রণটুকু চেলে নিতে হবে। এই মিশ্রণে হালকা হাতে নারকেল মেশাতে হবে। হাঁড়িতে পানি ফুটে উঠলে বাটিতে হালকা হাতে চেপে পিঠা বসাতে হবে। এবার বাটি কাপড়ে মুড়িয়ে ভাপে বসিয়ে চটজলদি কাপড় একটু ফাঁক করে বাটি উঠিয়ে দিয়ে আর একটি পিঠা তৈরি করতে হবে। বাটি ওঠাতে দেরি করলে পিঠা বাটিতে আটকে যাবে। সব পিঠা বানানো হলে ঠান্ডা করে ওপরে ঠান্ডা পাতলা রসে ভিজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার শীতের রসে ভেজানো লাল ভাপাপিঠা।


দুধে ভেজানো হাতকুলি


উপকরণঃ
ঘন দুধ ৫০০ গ্রাম, রান্না করা নারকেলের পুর ১ কাপ, খেজুরের গুড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে বানানো সেদ্ধ খামির ১ কাপ, কাজু অথবা পেস্তাবাদাম, কিশমিশ ও গোলাপজল পরিমাণমতো, মাওয়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য।

প্রস্তুত প্রণালিঃ
হাতে ছোট ছোট পুরির আকারে খামির নিয়ে একটু গর্ত করে তাতে পুর ভরে ভালোভাবে আটকে মুড়ি ভেঙে দিতে হবে। পিঠার মুখ ভালো করে না আটকালে দুধে ভেজালে ভেঙে যেতে পারে। এভাবে সব পিঠা বানানো হলে চুলায় গুড়-পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। আস্তে আস্তে ঘন দুধ দিয়ে আরও দু-তিন মিনিট রেখে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পিঠা ছড়িয়ে দিতে হবে। পিঠা হয়ে গেলে ভেসে উঠবে। সব পিঠা ভেসে উঠলে চুলা বন্ধ করে মাওয়া ও গোলাপজল দিয়ে মাখাতে হবে। এবার পরিবেশন ডিশে ঢেলে ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।


নারকেলের তিল পুলি


উপকরণঃ
পুরের জন্য—কুরানো নারকেল ২ কাপ, ভাজা তিলের গুঁড়া আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, এক চিমটি এলাচ গুঁড়া, দারচিনি ২-৩টা।
খামিরের জন্য—আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি দেড় কাপ, লবণ স্বাদমতো, ভাজার জন্য তেল দুই কাপ।

প্রস্তুত প্রণালিঃ
কুরানো নারকেলে গুড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করতে হবে। একটু শক্ত হয়ে এলে এলাচ, তিল ও চালের গুঁড়া ছড়িয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে। তেল উঠে পুর যখন পাকানোর মতো শক্ত হবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে লম্বাভাবে সব পুর বানিয়ে রাখতে হবে। এবার চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালোভাবে চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে হবে, যাতে খামিরে কোনো চাকা না থাকে। একটু ঠান্ডা হলে পানি ছিটিয়ে ভালো করে ছেনে রুটি বানাতে হবে। রুটির এক কিনারে পুর রেখে বাঁকানো চাঁদের মতো উল্টে পিঠে আটকে দিতে হবে। এবার টিনের পাত অথবা পুলিপিঠা কাটার চাকতি দিয়ে কেটে নিতে হবে। কিনারে মুড়ি ভেঙে ও নকশা করা যায়। গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে। এই পিঠা এয়ারটাইট পাত্রে দুই-তিন দিন রেখে খাওয়া যায়।