Wednesday, February 29, 2012

বেকড ফিশ উইথ ক্রিমি ম্যাংগো সস


উপকরণ: ৫০০ গ্রাম স্ন্যাপার বা ভেটকি মাছের ফিলে, ৫ গ্রাম লবণ, ৫ গ্রাম মরিচের গুঁড়া, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, আম চটকে নেওয়া আধা কাপ।
ম্যাংগো সস: তিন টেবিল চামচ ক্রিম ও এক কাপ আম চটকানো একসঙ্গে মিলিয়ে ম্যাংগো সস তৈরি করুন।

প্রণালি: লেবুর রস, মরিচ, লবণ ও আম চটকানো দিয়ে মাছ মেখে রাখুন কিছুক্ষণ। ১৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওভেন প্রিহিট করুন। ২০ মিনিট ধরে মাছ বেক করুন। প্লেটে মাছ রেখে ওপরে ম্যাংগো সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

Tuesday, February 28, 2012

হলিডে ফিশ কেক


উপকরণ : বড় মাছের কিমা ১ কাপ, চিংড়ির কিমা ১ কাপ, ডিম ২টি, পনির কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, টমেটো টুকরা ২ টেবিল চামচ, পালং শাক কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, স্বাদ লবণ আধা চা চামচ, সয়াসস ২ চা চামচ, ফিশসস ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. পালং শাক কুচি করে ভাপ দিন।
২. কিমা ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিন।
৩. কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে মাছের কিমা ভাজুন।
৪. এবার মাখানো উপকরণের সঙ্গে কিমা ঠাণ্ডা করে মিশিয়ে নিন।
৫. ওভেন প্রুফ বাটিতে তেল মেখে মিশ্রণটি ঢালুন।
৬. প্রি-হিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি তাপে ৪০ মিনিট বেক করুন।

Monday, February 27, 2012

স্পঞ্জ কারি


উপকরণ : বড় মাছের টুকরা ৫০০ গ্রাম, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ডিম ২টি, হলুদ বাটা ১ চা চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা আধা টেবিল চামচ, টমেটো পেস্ট আধা কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচামরিচ ৬টি, তেল পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছের কাটা বের করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে মাছ থেঁতলে নিন।
২. লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে মাছ ম্যারিনেট করুন ৩০ মিনিট।
৩. কড়াইতে তেল গরম করে মাছের টুকরা ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ডুবোতেলে ভাজুন।
৪. কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ তেলে পেঁয়াজ কুচি ভেজে সব বাটা মসলা সামান্য পানি দিয়ে কষান।
৬. মসলা কষানো হলে টমেটো পেস্ট ও লবণ দিন। ২ মিনিট ভুনে ১ কাপ গরম পানি দিন।
৭. ঝোল ফুটলে জিরার গুঁড়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢাকুন। মসলা মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলুন।

গুড়ের পিঠাপুলি



উপকরণ : সুজি ১ কাপ, ঘনদুধ ১ কাপ, নারিকেল কোরা ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ চা চামচ,
কাজু বাদাম ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, দুধ ২ কাপ, খেজুর গুড় পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. গরম দুধে সুজি ভিজিয়ে রাখুন। প্যানে ঘি গরম হলে দুধ-সুজি ভালোমতো মেখে গরম থাকতে থাকতে লেচি কেটে ছোট খোল তৈরি করুন।
২. ঘন দুধ ও নারিকেল কোরা বেটে মিশিয়ে খোলে ভরে মুখ মুড়ে দিন।
৩. গুড় দিয়ে ঘন রস তৈরি করে তার মধ্যে মোহনমতি ডোবান। বাদাম ও কিশমিশ সাজিয়ে পরিবেশন করুন।


মালপোয়ার ক্ষীর

উপকরণ : ময়দা আধা কাপ, ছানা ১ কাপ, মাওয়া ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, চিনাবাদাম ১ টেবিল চামচ, খেজুর গুড়া ১ কাপ, পেস্তা ১ চা চামচ, দুধ ১ লিটার, এলাচ গুঁড়া আধা কাপ, তেল পরিমাণমতো

যেভাবে তৈরি করবেন
১. এক কাপ পানিতে গুড় মিশিয়ে অল্প আঁচে দিন।
২. ময়দার সঙ্গে ছানা অল্প পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নরম ডো বানিয়ে নিন।
৩. এবার ডো থেকে কয়েকটা লেচি বানিয়ে তেলে বাদামি করে ভেজে মালপোয়া গড়ে নিন।
৪. গুড়ের রসে ডুবিয়ে পেস্তা ও ঘন দুধ ওপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।


ত্রিরত্ন

উপকরণ : গাজর কুচি ১ কাপ, চাল কুমড়া কুচি ১ কাপ, বিট কুচি ১ কাপ, ঘন দুধ ৩ কাপ, মাওয়া ১ কাপ, খেজুর গুড় ২ কাপ, পেস্তা ১ টে. চামচ, ছোট এলাচ গুঁড়া ১ চা চামচ, কিশমিশ ১ টে. চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. গাজর, চাল কুমড়া, বিট খোসা ফেলে ধুয়ে আলাদা আলাদা কুচি করে সিদ্ধ করে নিন।
২. ঘি গরম করে প্রতিটি আলাদা করে এলাচ গুঁড়া মাওয়া দিয়ে পাক করুন।
৩. এরপর ঘন দুধ ও গুড় মিলিয়ে ওপরে ঢেলে তার ওপরে পেস্তা, কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।


সাগু ও সুজির পায়েস

উপকরণ : সাগু আধা কাপ, সুজি আধা কাপ, ডিম ৪টি, কমলা ২টি, নতুন গুড় ১ কাপ, জাফরান ১ চিমটি, ঘন দুধ ১ লিটার, কিশমিশ ১ চা চামচ, ঘি আধা কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. সাগু ধুয়ে দুধে ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। সুজি হালকা করে ঘিয়ে ভেজে নিন।
২. ডিম-চিনি মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। ঘন দুধের মধ্যে সাগু ও সুজিতে একটু চিনি দিয়ে নেড়ে ঘি গরম হলে ফেটানো ডিম ঘন ঘন নেড়ে ঝুরঝুরে করুন।
৩. এরপর সাগু ও সুজির মিশ্রণ ঘন হলে জাফরান, কমলার টুকরা ও কিশমিশ ওপরে দিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।


লুচির বাহারি ক্ষীর

উপকরণ : ময়দা ১ কাপ, ঘি ১ টে চামচ, গুড় পরিমাণমতো, দুধ ২ লিটার, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কিশমিশ ৮টি, পেস্তা ১ চা চামচ, জাফরান অল্প, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা ঘি দিয়ে ময়ান করুন ।
২. এরপর ছোট একটু মোটা করে লুচি বানিয়ে সেঁকে নিন।
৩. দুধ ঘন করে নিন। দুধে একটু চিনি দিয়ে তারপর গুড় মেশান।
৪. দুধ ঘন হলে ঠাণ্ডা করে লুচিগুলোর ওপর ঢেলে দিন। ঘন দুধ, পেস্তা, কিশমিশ দিয়ে পরিবেশ করুন।


নারিকেলের রসবড়া

উপকরণ : নারিকেলের দুধ ২ কাপ, ময়দা আড়াই কাপ, খেজুর গুড় ১ কাপ, এলাচ গুঁড়া ৩টি, পেস্তাবাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, তেল পরিমাণমতো, ঘি ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. গরম পানি দিয়ে নারিকেল কোরা ভালোভাবে মেখে দুধ বানান।
২. দুধ ফুটিয়ে ঘন করে ময়দা দিয়ে নেড়ে মাখুন। এরপর ঘি দিয়ে মাখুন, যেন গোল করে আকার দেওয়ার সময় ফেটে না যায়।
৩. নিজের পছন্দমতো আকারে গড়ে ডুবোতেলে বাদামি করে ভাজুন।
৪. গুড় দিয়ে সিরা বানান। পিঠাগুলো গুড়ের সিরায় দিন। এরপর এলাচ গুঁড়া, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

পমফ্রেট মাসালা


উপকরণ : রূপচাঁদা মাছ ২টি ৫০০ গ্রাম, ঘন নারিকেল দুধ আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ২ চা চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, তেঁতুলের ক্বাথ ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১.৪ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছ কেটে ধুয়ে লবণ, লেবুর রস, সামান্য হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে ম্যারিনেট করুন ৩০ মিনিট।
২. ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে মাছ কড়া করে ভেজে রাখুন।
৩. এরপর পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ নরম হলে টমেটো কুচি দিয়ে ভেজে একে একে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা, তেঁতুল গোলা দিন। নেড়ে লবণ ও চিনি দিন। ভালো করে কষিয়ে মাছ দিন।
৪. মাছ মসলা মাখা হলে নারিকেল দুধ দিয়ে নেড়ে ফুটলে নামিয়ে ফেলুন।

Sunday, February 26, 2012

চ্যাপা শুঁটকির বাগার ভর্তা


উপকরণ: চ্যাপা শুঁটকি ১০টি, দেশি পেঁয়াজ ১০টি, দেশি রসুন ২টি, শুকনা মরিচ ১২টি, সয়াবিন তেল সিকি কাপ, লবণ আধা চা-চামচ।

প্রণালি: শুঁটকি ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে মাথা ও আঁশ ছাড়িয়ে পেট পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। শুঁটকির পানি নিংড়ে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পাটায় মসৃণ করে বাটতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে বাটা উপকরণগুলো অল্প আঁচে পাঁচ মিনিট নেড়েচেড়ে ভাজতে হবে। তেল ওপরে এলে ভর্তা চুলা থেকে নামিয়ে বাটিতে পরিচ্ছন্নভাবে পরিবেশন করুন।

Saturday, February 25, 2012

সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ফিশ


উপকরণ : ভেটকি মাছ ৫০০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম ১টি, সয়াবিন তেল ১ কাপ, মল্ট ভিনেগার ১ টেবিল চামচ, সয়াসস আধা টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ কাপ, গাজর ছোট ১টি, শসা টুকরা করে কাটা আধা কাপ, আনারস টুকরা করে কাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ ভাজ খোলা ১ কাপ, আদা কুচি ১ চা চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, পানি আধা কাপ, ক্যাপসিকাম ১ কাপের চার ভাগের এক ভাগ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ভেটকি মাছ ১ ইঞ্চি পরিমাণে কেটে কাঁটা বের করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. মাছে গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ ও স্বাদলবণ মেখে ম্যারিনেট করুন ৩০ মিনিট।
৩. গাজর, আনারস, শসা, ক্যাপসিকাম সিদ্ধ করে ছোট টুকরো করে কাটুন।
৪. ডিম ফেটিয়ে ময়দা ও ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মাছের সঙ্গে মাখুন।
৫. মাছ ভাজুন। ওপরটা মচমচে আর ভেতর নরম থাকবে।
৬. এবার ক্যাপসিকাম, গাজর, আনারস, শসা ও পেঁয়াজ তেলে ২ মিনিট ভেজে তুলুন।
৭. টমেটো সস, সয়াসস, ভিনেগার, চিনি, পানি ও কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে মিশান।
৮. কড়াইয়ে ৩ টেবিল চামচ তেল দিয়ে আদা ও রসুন কুচি দিন। ভাজা হলে সসের মিশ্রণ ঢালুন।
৯. সস ঘন হলে ভাজা মাছ ও সবজি দিন।
১০. এরপর নামিয়ে পরিবেশন করুন।

Friday, February 24, 2012

সাদা তিলের ভর্তা


উপকরণ: সাদা তিল আধা কাপ, নারকেল কোরানো সিকি কাপ, পেঁয়াজ দেশি ৮টি, দেশি রসুন ৪টি, শুকনা মরিচ ১২টি, তেল ১ টেবিল-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ।

প্রণালি: তিল ঝেড়ে-বেছে পাতলা কাপড়ে ছেনে ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে। শুকনো খোলায় অল্প আঁচে তিল টেলে নিতে হবে, যেন পুড়ে কালো না হয়ে যায়। তিল মচমচে হয়ে সুঘ্রাণ বের হলে নামিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। প্যানে তেল গরম করে শুকনা মরিচ ভেজে তুলে রেখে সেই তেলে পেঁয়াজ, রসুন, লবণ ও কোরানো নারকেল দিয়ে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন সেদ্ধ হলে নামিয়ে ফেলতে হবে। পাটায় প্রথমে ভাজা মরিচ বেটে এর সঙ্গে ভাজা তিল বেটে নিতে হবে। বাটা মরিচ ও তিলের সঙ্গে ভাজা বাকি উপকরণগুলো মসৃণ করে বেটে নিয়ে পরিচ্ছন্ন বাটিতে পরিবেশন করতে হবে। একইভাবে তিসির ভর্তাও করা যায়। ঝাল ও লবণ স্বাদ অনুযায়ী দিতে পারেন।

Thursday, February 23, 2012

কোরাল ফ্রাই উইথ গার্লিক বাটার সস


উপকরণ : কোরাল মাছের পেটির টুকরা ৫০০ গ্রাম, তেল ভাজার জন্য ৫০০ মিলিলিটার, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, মাখন ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২৫০ গ্রাম।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. পেটির টুকরা কিউব করে কেটে ভেতর থেকে টেনে কাঁটা বের করে ফেলুন। এবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. মাছগুলো লবণ লেবুর রস ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মেখে ম্যারিনেট করুন দুই-তিন ঘণ্টা।
৩. ম্যারিনেশনের পর মাছগুলো ময়দায় গড়িয়ে ডুবোতেলে বাদামি করে ভাজুন।
৪. কড়াইয়ে মাখন দিন। মাখন গললে রসুন কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে পরিবেশন ডিশে রাখা মাছের ওপর ঢেলে দিন।
৫. গরম গরম পরিবেশন করুন গরম ভাত, রুটি বা পোলাওয়ের সঙ্গে। আবার স্ন্যাকস হিসেবেও সার্ভ করতে পারেন ম্যাশড পটেটো, সালাদ বা আলু ভাজার সঙ্গে।

Wednesday, February 22, 2012

লাউয়ের বিচি ও টাকি মাছের ভর্তা


উপকরণ: লাউয়ের বিচি ১ কাপ, টাকি মাছ মাঝারি ১টি, কাঁচা মরিচ ৪টি, পেঁয়াজ, দেশি ৪টি, দেশি রসুন ১টি, ধনেপাতা ২টি গাছ, লবণ আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ, সয়াবিন তেল ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: লাউয়ের বিচি ধুয়ে আধা কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। টাকি মাছের মাথা বাদ দিয়ে বাকি অংশ আঁশ ফেলে পেট পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। গরম তেলে মাছ মাঝারিভাবে ভাজতে হবে। মাছ ভাজা অবশিষ্ট তেলে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ও লবণ দিয়ে টেলে নিন। চুলা থেকে নামানোর আগে সেদ্ধ লাউয়ের বিচি ও কাঁটা ছাড়ানো মাছ মিশিয়ে একটু ভেজে নামিয়ে নিন। ভাজা উপকরণগুলো একত্রে পাটায় মসৃণ করে বেটে ভর্তা পরিবেশন করুন।

Tuesday, February 21, 2012

কয়েকটি লাইন__


কয়েকটি লাইন__
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি |
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভুলবোনা |
মোরা একটি ফুল কে বাচাঁবো বলে যুদ্ধ করি,মোরা একটি ফুলকে বাচাঁবো বলে অস্র ধরি |
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি |
সবাইকে পবিত্র মাত্ ভাষার শুভেচ্ছা

Sunday, February 19, 2012

নুডলস স্যুপ


উপকরণ: চিকেন নুডলস স্যুপ ২ প্যাকেট, মুরগির মাংসের কিউব পরিমাণমতো, টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ, পানি ৮ কাপ, বাঁধাকপির কুচি আধা কাপ, চায়নিজ ক্যাবেজ আধা কাপ, গাজরকুচি সিকি কাপ, ফুলকপির কুচি ১ কাপ, মুরগির মাংসের কুচি আধা কাপ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ২ চা-চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ২ টেবিল চামচ, সস ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: প্যাকেটের স্যুপ পানিতে গুলিয়ে চুলায় দিতে হবে। আলাদা পাত্রে তেল গরম করে মুরগির মাংস ও সব সবজি পর্যায়ক্রমে দিয়ে ভেজে নিন। এতে ফিশ সস দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ফুটন্ত স্যুপে ঢেলে দিতে হবে। কিছুক্ষণ চুলায় রেখে বাকি উপকরণ দিয়ে নামাতে হবে।

Saturday, February 18, 2012

হল্যান্ডেইজ স্যুপ


উপকরণ: মুরগির স্টক ৮ কাপ, ডিম ২টি, ঘন দুধ ১ কাপ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, মাখন ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গাজরকুচি আধা কাপ, স্বাদলবণ আধা চা-চামচ, ক্ষীরা আধা কাপ, মটরশুঁটি সিকি কাপ, চায়নিজ ক্যাবেজ আধা কাপ।

প্রণালি: গাজর ও মটরশুঁটি লবণ পানিতে আধা সেদ্ধ করে রাখতে হবে। প্যানে মাখন গলিয়ে ময়দা দিয়ে ঘিয়ে রং করে ভেজে সামান্য লবণ ও এক চা-চামচ চিনি দিয়ে তাতে আধা কাপ দুধ অল্প অল্প করে মিলিয়ে নিন। অন্য পাত্রে কিছুটা ক্রিম উঠিয়ে রেখে বাকি ক্রিমের সঙ্গে স্টক মিলিয়ে ফোটাতে হবে। পর্যায়ক্রমে এতে সব সবজি দিতে হবে। চিনি, লবণ, গোলমরিচ দিতে হবে। ডিম ফেটিয়ে দুধের মিশ্রণের সঙ্গে মিলিয়ে আস্তে আস্তে গরম স্যুপের ওপর ঢালতে হবে আর নাড়তে হবে। গরম স্যুপ সার্ভিং ডিশে ঢেলে ওপরে ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

Friday, February 17, 2012

হাড়-মাংসের স্যুপ


উপকরণ: গরু বা খাসির হাড় ২ কেজি, মাংস আধা কেজি, ডিম ২টি, গাজর ১টি, পেঁয়াজ ৪টি, আদাকুচি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ৩টি, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবঙ্গ ৫-৬টি, সিরকা সিকি কাপ, পানি ৬ লিটার, স্বাদলবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পুদিনাপাতার কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতার কুচি সিকি কাপ।

প্রণালি: গরু বা খাসির হাড় ৬ লিটার পানি দিয়ে চুলায় দিতে হবে। তাওয়া খুব গরম করে তাওয়ার ওপর গোল করে কাটা পেঁয়াজ বিছিয়ে দিন। এক পিঠ খুব ভালোভাবে পুড়ে কালো হলে উলটে দিয়ে দুই পিঠ সমান করে পোড়াতে হবে। পোড়ানো পেঁয়াজ হাত দিয়ে কচলে মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে নিন। এতে ডিম, গাজর, আদাকুচি, তেজপাতা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে হাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে অল্প জ্বালে ৪-৫ ঘণ্টা ফোটাতে হবে। চুলা থেকে হাঁড়ি নামিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলগা রেখে ওপরের স্তর সরিয়ে ছেঁকে নিন। এই তরলে সিরকা, চিনি, স্বাদলবণ দিন। এরপর আবার চুলায় দিয়ে একবার ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে গরম ক্লিয়ার স্যুপ বাটিতে ঢেলে ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

Thursday, February 16, 2012

টমেটো ক্রিম স্যুপ


উপকরণ: টমেটো আধা কেজি, হোয়াইট সস পাতলা ২ কাপ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা-চামচ বা পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, স্বাদলবণ আধা চা-চামচ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, ফিশ সস ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২টি, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি: টমেটো ধুয়ে টুকরা করে আদা, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ দিয়ে ২ কাপ পানি দিয়ে অল্প সেদ্ধ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। আরও ২ কাপ পানি মিশিয়ে ছেঁকে অল্প অল্প করে হোয়াইট সস মিলিয়ে লবণ, চিনি, স্বাদলবণ, ফিশ সস, গোলমরিচ দিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে ডিম ফেটিয়ে আস্তে আস্তে গরম স্যুপের ওপর ঢালতে হবে আর নাড়তে হবে। গরম স্যুপ সার্ভিং ডিশে ঢেলে ওপরে ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

Wednesday, February 15, 2012

গরম গরম বড়া


শজনে ফুলের বড়া
উপকরণ: শজনে ফুল ১ কাপ, বেসন ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ করে, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, হলুদের গুঁড়া সামান্য পরিমাণ, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, লবণ পরিমাণমতো, পানি একটুখানি, তেল, ডিম ১টি।

প্রণালী: তেল ছাড়া পরিমাণমতো পানি দিয়ে উপরের সব উপকরণগুলো একসঙ্গে মেখে পছন্দমতো আকারে তৈরি করে ডুবে তেলে ভেজে নিন। টমেটো সসের সঙ্গে জলখাবার হিসেবেও পরিবেশন করা যায়। আর ভাতের সঙ্গে পরিবেশনের সুযোগ তো আছেই।

পালং
উপকরণ : পালংশাক ২ কাপ, মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, বেসন ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টির অর্ধেক।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. পালংশাক ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিন।
২. তেল ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মেশান।
৩. পাঁচ মিনিট পর ডুবো তেলে ভাজুন।
৪। সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আলু
উপকরণ : আলু ২৫০ গ্রাম, পাউরুটি ৪ পিস, ডিম ১টি, কালিজিরা ১ চা চামচ, তেল ভাজার জন্য, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. আলু সিদ্ধ করে চটকে নিন।
২. পাউরুটি পানিতে ভিজিয়ে চিপে আলুর সঙ্গে মেশান।
৩. সব উপকরণ মিশিয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজুন।
৪। সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চিংড়ি
উপকরণ : ছোট চিংড়ি ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট ১ চামচের চার ভাগের এক ভাগ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চামচ, লবণ স্বাদমতো, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, ডিম ১টির অর্ধেক, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য, চিনি আধা চা চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. চিংড়ির মাথা ফেলে ভালো করে ধুয়ে সয়া সস ও লবণ দিয়ে ১০ মিনিট মাখিয়ে রাখুন।
২. সব উপকরণ মিশিয়ে বড়া বানান।
৩। গরম তেলে ভেজে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

মাংস
উপকরণ : গরুর মাংসের কিমা ১ কাপ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, জায়ফল ও জয়ত্রি গুঁড়া এক চিমটি, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য, ডিম ১টির অর্ধেক।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে রাখুন ২০ মিনিট।
২.্ এরপর গোল গোল বড়া বানান।
৩. ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজুন।

Tuesday, February 14, 2012

চকলেট ম্যুজ


ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ রেসিপি

উপকরণ: কুচি করে কাটা চকলেট ১ কাপ, আধা কাপ পানি, মাখন ২ টেবিল চামচ, ডিমের কুসুম ৩টি, চিনি ২ টেবিল চামচ, হুইপড ক্রিম ১ প্যাকেট।

প্রণালি: মাইক্রোওয়েভ ওভেনে চকলেট ও মাখন সিকি কাপ পানি দিয়ে গলিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা করুন। একটি ছোট ভারী সসপ্যানে ডিমের কুসুম, চিনি বাকিটুকু পানি দিয়ে ফেটিয়ে নিন। হালকা আঁচে ১-২ মিনিট বসিয়ে চামচ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ থেকে নামিয়ে গলানো চকলেটে মেশান। বরফে সসপ্যান বসিয়ে ৫-১০ মিনিট নেড়ে ঠান্ডা করুন। এর সঙ্গে হুইপড ক্রিম মিলিয়ে নিয়ে রেফ্রিজারেটরে ৪ ঘণ্টা অথবা সারা রাত ধরে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

Happy Valentines day!


বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ! সখী ভালোবাসা কারে কয়-বহু বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই ভালোবাসার অর্থ খুঁজেছিলেন। কারণ, ভালোবাসার অর্থ যে গভীর দ্যোতনাময়। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটি শুধুই ভালোবাসার। হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মেলবন্ধনের দিন। প্রিয় মানুষটিকে আরো বেশি কাছে পাওয়ার, আরো বেশি ভালোবাসার জানার ও বোঝার দিন। প্রেমিক-প্রেমিকারা মন খুলে বলবে তাদের হৃদয়ের কথা। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে'। প্রেমপিয়াসী হূদয়ের কাছে বিশেষ গুরুত্ব আছে এ দিনটির। বছরের এ দিনকে সারা বিশ্বের তরুণ-তরুণীরা বেছে নিয়েছে হূদয়ের ব্যাকুল কথার কলি ফোটাতে।

তরুণ-তরুণী শুধু নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশ করার আনুষ্ঠানিক দিন আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি। শুধুমাত্র একটি দিন ভালোবাসার জন্য কেন এ প্রশ্নের জবাবে কবি মোহাম্মদ রফিকের ছোট জবাব 'ভালোবাসা একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়। সারা বছর, সারা দিন ভালোবাসার। তবে আজকের এ দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছে মানুষ।'

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস পালনের রীতি খুব বেশি দিনের নয়। মূলত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিবসটি ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। বসন্তের প্রথম দিন গেল গতকাল, আজ ভালোবাসার দিন। দুটি দিনই তাদের মধ্যে আনন্দের, উৎসবের। শুধু তারুণ্যই নয়, প্রৌঢ় থেকে শুরু করে শিশু, কিশোর, মধ্যবয়সীদের মধ্যে ছড়িড়ে পড়ে এর আবহ।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের রীতিটা মূলত ইউরোপীয় ঘরানার। আমাদের দেশে বিগত প্রায় দেড় দশক আগে এ দিবস পালনের সূচনা হয়। তবে বাঙালি সংস্কৃতিতে বসন্ত উৎসব সেই অনাদিকাল থেকেই যাপিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মাচারীরা দোলযাত্রা, বাসন্তী পূজা, হোলি উৎসবে প্রণয়কে মুখ্য করে রেখেছিল, তরুণ-তরুণীর ভালোবাসাকে আপন করেছিল। আর এখন ভ্যালেন্টাইন ডে এ দেশের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে রূপ পায় এক বিরাট উৎসবে।

স্মৃতির পাতায় ভালোবাসার দিবস : ভালোবাসার গল্পটি শুরু হয়েছিল সেই ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে। রোমের চিকিৎসক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিল নগর জেলারের দুহিতা। পরে দুজনের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া হয়। সেই থেকে জন্ম নিয়েছিল তাদের ভালবাসার অমরগাথা। ভালবাসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয় ফেব্রুয়ারির এই ১৪ তারিখে। তারপর এই ভালোবাসার স্বীকৃতি পেতে দুই শতাব্দী নীরবে-নিভৃতে পালন করতে হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে।

৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। গ্রিক ও রোমান উপকথার মতই ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি নিয়ে আরো গল্প-কাহিনী ছড়িয়ে আছে ভুবনজুড়ে। কে এই ভ্যালেন্টাইন তাও রহস্যাবৃত।
ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে আমরা তিনজন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন বা ভ্যালেন্টিনাসের সন্ধান পাই। তারা সবাই ১৪ ফেব্রুয়ারিতে আত্মদান করেন।

দেশে দেশে ভালোবাসা দিবস: উনিশ শতকেই উত্তর আমেরিকায় ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হয় ব্রিটিশ অভিবাসীদের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে ভ্যালেন্টাইন কার্ড বিনিময় শুরু হয় ১৮৪৭ সালে ম্যাসাসুয়েটসের অরকেস্টারে। ইতিহাসবিদদের ভাষায়, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এই উৎসবের সূত্রপাত।

চীনে ভালোবাসা প্রকাশের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের আগে তারা বছরের দুই দিন পালন করতো ভালোবাসা দিবস। এখন তো চীনে ব্যাপক হারে দিবসটি পালিত হয়। পশ্চিমা ধাঁচে ১৪ ফেব্রুয়ারিই তারা ভালোবাসা দিবস পালন করে।

ইউরোপের সব দেশেই মহাসমারোহে তরুণ-তরুণীরা এ দিবস পালন করে। মার্কিনিদের মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের হার বেশি। জরিপে দেখা গেছে, চার মার্কিনির মধ্যে তিনজনই দিবসটি পালন করে। আমেরিকায় এ দিনে ১৬ কোটি কার্ড, ১৩ কোটি গোলাপ বিনিময় হয়।
ভারতেও ভালোবাসা দিবস পালিত হয় উৎসবের আমেজে। তবে আমাদের দেশের মতো ভারতেও তরুণ-তরুণীরা এ দিবস পালন করে বেশি।

তথ্য সুত্র: মনের উঠোনে

Friday, February 10, 2012

হোয়াইট চকলেট ফাজ


ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ রেসিপি

উপকরণ: সাদা চকলেট গুঁড়া ২ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, মাখন সিকি কাপ, কেটে নেওয়া হরেক রকম বাদাম সিকি কাপ, পছন্দসই সুগন্ধি।

প্রণালি: ৮ বাই ৮ ইঞ্চি কেক প্যান ননস্টিক বেকিং পেপারে মুড়ে গ্রিজ করে নিন। মাঝারি সাইজের মাইক্রোওয়েভ বাটিতে বাদাম ও সুগন্ধি বাদে বাকি সব উপাদান ৩০ সেকেন্ডের জন্য মাইক্রোওয়েভের হাই পাওয়ারে গরম করে বের করে নিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। ২-৩ বার এভাবে করে মিশ্রণটি পুরোপুরি গলিয়ে নিন। এবার বাদাম ও সুগন্ধি মিশিয়ে দ্রুত তৈরি করে কেক প্যানে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পছন্দসই আকারে কেটে পরিবেশন করুন।

Thursday, February 9, 2012

লেবানিজ সেমোলিনা কেক


ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ রেসিপি

উপকরণ: কেকের জন্য: সুজি ২ কাপ, দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, নারকেল দেড় কাপ, গোলাপজল সিকি কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, বেকিং পাউডার ২ চা-চামচ, খাবারের লাল রং ১-২ চা-চামচ, মাখন ১ কাপ (গলানো) সিরাপের জন্য: পরিমাণমতো চিনি, পানি আধা কাপ, ১-২ চা-চামচ করে গোলাপ ও স্ট্রবেরি এসেন্স, ১টি লেবুর রস।

প্রণালি: ৯ বাই ৯ ইঞ্চি বেকিং ডিশে তেল মাখিয়ে নিন। একটি বাটিতে কেকের সব উপাদান মিশিয়ে নিন। বেকিং ডিশে ঢেলে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। আরেকটি ছোট সসপ্যানে সিরাপের সব উপাদান মেশান; ঘন হওয়া পর্যন্ত হালকা আঁচে নাড়ুন। চুলা থেকে নামিয়ে এমনভাবে রাখুন, যাতে গরম থাকে। ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ওভেন গরম করুন। ৩০-৩৫ মিনিট কেকের ডিশটি বেক করুন। তারপর ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত ঠান্ডা হতে দিন। তারপর সিরাপের পুরো মিশ্রণটি ঢেলে দিন। সিরাপ শুষে নেওয়ার জন্য কেকটি ২ ঘণ্টা অথবা সারা রাত রেখে দিন। পছন্দসই আকারে কেটে পরিবেশন করুন।

Wednesday, February 8, 2012

সুইটহার্ট কুকিজ


ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ রেসিপি

উপকরণ: মাখন ১ কাপ, বাদামি চিনি পৌনে এক কাপ, সাদা চিনি পৌনে এক কাপ কাপ, ডিম ২টি, ভ্যানিলা ২ চা-চামচ, পানি এক চা-চামচের একটু কম, দুধ ২ চা-চামচ, বেকিং সোডা ১ চা-চামচ, লবণ ১ চামচ, ময়দা ২ কাপ, চকলেট চিপস বা চার কোনা করে কাটা চকলেট পরিমাণমতো, খাবারের লাল রং সামান্য, হূদয় আকারের কুকি কাটার।

প্রণালি: মাখন ও চিনি ফুলে-ফেঁপে ওঠা পর্যন্ত মসৃণ করে মেশান। তার সঙ্গে আধা ফোঁটা লাল রং, ডিম, পানি, দুধ ও ভ্যানিলা ভালোভাবে মিলিয়ে নিন। আলাদা বাটিতে ময়দা, লবণ ও বেকিং সোডা মাখিয়ে নিন। মাখনের মিশ্রণে ঢেলে ধীরে ধীরে নেড়ে পুরোপুরি মিশিয়ে নিন, এর সঙ্গে চকলেট যোগ করুন। মিশ্রণটি গোল করে ৪-৬ ঘণ্টা পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এর মধ্যে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ওভেন গরম করুন। কুকিজের জন্য রাখা ময়দার তালটি ফ্রিজ থেকে বের করে শুকনো ময়দায় গড়িয়ে সিকি ইঞ্চি পুরু রোল করে হূদয় আকারে কেটে নিন। বেকিং শিট অয়েল পেপারে মুড়িয়ে নিন অথব তেল মেখে গ্রিজ করে নিতে হবে। তারপর কুকিজগুলো ওভেনের মধ্য তাকে ১০-১২ মিনিট পর্যন্ত বেক করতে হবে। ১০ মিনিট বেকিং শিটে রেখে ঠান্ডা করে বের করে নিতে হবে।

Tuesday, February 7, 2012

শিং মাছের ঝোল


উপকরণ: ছোট আকারের শিং মাছ হলে আধা কেজি, নতুন কচি পেঁয়াজ পরিমাণমতো, পেঁয়াজপাতা পরিমাণমতো, দেশি পেঁয়াজ কুচি পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, গুঁড়া হলুদ ও গুঁড়া মরিচ পরিমাণমতো এবং ধনেপাতা কুচি।

প্রণালি: ছোট মাছ হলে পুরোটাই। আর আকার বড় হলে টুকরো করে নেওয়া যেতে পারে। এরপর আস্ত নতুন পেঁয়াজ, মোটা কুচি করে কাটা দেশি পেঁয়াজ, হলুদ গুঁড়া ও মরিচ গুঁড়া দিয়ে মেশাতে হবে। প্রথমে সামান্য পরিমাণে লবণ দিন তাতে। তেলের মধ্যে এই মিশ্রণসহ মাছ দিয়ে দিন। এরপর সামান্য পরিমাণে পানি দিতে হবে। পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যে সুন্দর একটা ঘ্রাণ পাবেন। এখন লবণ ঠিক আছে কি না, দেখে নিন। কম হলে আরেকটু দিতে পারেন। খুব বেশি ঝোল হবে না, সামান্য মাখা মাখা হয়ে এলে ধনেপাতা ও পেঁয়াজপাতার কুচি দিয়ে নিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

রিচ চকোলেট কেক (ব্রাউনি স্টাইল)






এটি একটি খুব সহজ অথচ অত্যন্ত সুস্বাদু চকোলেট কেক রেসিপি, যাদের মাইক্রোওয়েভ আছে বাসায় মাত্র ৫ মিনিটে বানিয়ে ফেলতে পারেন কেকটি অল্প কিছু উপকরণ দিয়েই। আর যাদের মাইক্রোওয়েভ নেই বাসায় , চিন্তার কারন নেই...নরমাল গ্যাস অথবা ইলেক্ট্রিক আভেনেও বানানো যাবে এটি।

উপকরনঃ

ময়দা - ৩/৪ কাপ
মাখন (ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন আগেই) - ১/২ কাপ (অথবা, ৩/৪ কাপ সয়াবিন তেল)
কোকো পাউডার - ১/২ কাপ
চিনি - ১ কাপ
গুড়ো দুধ - ১/২ কাপ
ডিম - ২ টি (ফেটিয়ে রাখুন)
বেকিং পাউডার - ১/২ চা চামচ
লবন - ১ চিমটি
ভ্যানিলা এসেন্স - ১ চা চামচ
পানি - ১/২ কাপ (একটু বেশি বা কম লাগতে পারে)

(এছাড়া, ১/২ কাপ ডার্ক অথবা মিল্ক চকোলেট কুচি বা চকোলেট চিপস এবং ১/২ কাপ কাজু বাদাম, কিশমিশ , মোরব্বা কুচি মেশাতে পারেন আরো রিচ টেস্টের জন্য।)

যেভাবে বানাবেনঃ

১। যে পাত্রে কেক বানাবেন সেটি তৈরী করে নিন আগে। মাইক্রোওয়েভ সেফ কেকটিনে কিছুটা মাখন মাখিয়ে রেখে দিন এক পাশে।

২। এবার একটি পাত্রে ফেটানো ডিম, মাখন , চিনি একসাথে মেশান। এবার এতে অন্যান্য উপকরন দিয়ে মেশান। ভ্যানিলা এসেন্স দিন। প্রথমে ১/২ কাপ পানি দিয়ে মেশান, বেশি ঘন মনে হলে আরো ১ বা ২ চা চামচ পানি দিন। বেশি পানি দিয়ে পাতলা করে ফেলবেন না, খুব ঘন কেকের মিশ্রন হবে , তবে সবকিছু সুন্দরভাবে মেশাতে হবে।

৩। যদি আপনি চকোলেট চিপস বা চকোলেট কুচি দিতে চান তাহলে আগেই সেটা ১ চা চামচ বাটার দিয়ে মাইক্রোতে গলিয়ে রাখবেন। হাই পাওয়ারে ১০ সেকেণ্ড দিলেই গলে যাবে। চুলার ওপর গরম পানির হাড়িতে চকোলেটের বাটি বসিয়েও গলাতে পারেন। এই গলানো চকোলেট এবার কেকের মিশ্রনে হাল্কা ভাবে মেশান। কাজু, কিশমিশ , মোরব্বা দিলে, সেটাও এখন হাল্কা ভাবে মিশিয়ে দিন।

৪। তৈরী করে রাখা কেকের পাত্রে এবার এই মিশ্রন ঢেলে দিন। কেকের পাত্র সবসময় পুরো ভরবেন না, কিছুটা খালি রাখবেন যাতে কেক বেক হবার সময় ফুলে উঠলেও পাত্রের বাইরে পড়ে না যায়। এবার, মাইক্রোওয়েভে হাই পাওয়ারে ৫ মিনিট বেক করুন।

৫। ৫ মিনিট পর কেক বের করে টুথপিক কিংবা শুকনো কোন ছুরি ঢুকিয়ে দেখুন কেকের মধ্যে। শুকনো হয়ে বেরিয়ে আসলে কেক তৈরি। সামান্য একটু ভেজা ভাব থাকবে, চিন্তার কিছু নেই, বন্ধ আভেনে রেখে দিন আরো ১০/১৫ মিনিট, কেক একটু ঠান্ডা হলেই ভালোভাবে সেট হয়ে যাবে। (মাইক্রোওয়েভে ককখনো রেসিপিতে যে সময় দেয়া থাকে তার চাইতে বেশি সময় বেক করবেন না, কেক শক্ত হয়ে যাবার ভয় থাকে।)

৬। একটু ঠান্ডা হলে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার রিচ চকোলেট কেক।

টিপসঃ
নরমাল আভেনে বেক করতে হলে ১০ মিনিট প্রিহিট করে নিন আভেন ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। এরপর মিশ্রন তৈরী হয়ে গেলে ২৫-৩০ মিনিট বেক করুন একই তাপমাত্রায়।

রান্নায় সহযোগী কিছু টিপস


গৃহিণীর অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে সাধারণ অনেক বিষয় ভুলে যান। ফলে রান্না বা কোনো সুস্বাদু খাবারের স্বাদ বদলে যায়। তার জন্য দেয়া হলো রান্নায় সহযোগী কিছু টিপস।

- খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দেখবেন রঙটাও সুন্দর হয়েছে আবার সুন্দর ঘ্রাণ বের হচ্ছে। দুধ ফাটার ভয়ও থাকবে না।

- চিনাবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করে থাকেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।

- ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুল ব্যবহার করবেন। খাবারের সময় কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন, তাহলে গলায় আর চুলকানোর কোনো ভয় থাকবে না।

- সেমাই রান্নার আগে দেখে নিন। হালকা ভাজা হলে তেলে বা ঘিতে আবার ভেজে নিন। তাহলে রান্নার সময় সহজে গলে যাবে না।

- কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম থাকে তাহলে ভয় পাবেন না। কর্ণফ্লাওয়ার ব্যবহার করবেন। দেখবেন ডিমের ঘাটতি পূরণ হয়ে গেছে।

- রান্নাতে খাদ্যমান ঠিক রাখতে যতটুকু সম্ভব তরকারি বড় বড় টুকরা করে কেটে নিন।

- রান্না করতে গিয়ে তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দেবেন, তাতে কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমে আসবে।

- খাবারের মেন্যুতে ভিন্নতা আনতে বড় জাতের কাচকি মাছ কড়া করে ভেজে দিন, সাথে কিছু বেরেস্তা দিন। পোলাওয়ের সাথে ভাজা কাচকি মাছ আপনার রসনাতে ভিন্ন স্বাদ আনবে।

- কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন, তাহলে ডালের রঙ আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে।

তাড়াতাড়ি রান্না করতে কিছু টিপস্


কর্মব্যস্ত জীবনে সবসময় সাজিয়ে-গুছিয়ে সময় নিয়ে রান্না করা সম্ভব হয়না। ঝটপট রান্নার কাজটা সেরে যেতে হয় অন্য কাজে। তাই বলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। চলুন তাড়াতাড়ি রান্না করার কিছু টিপস জেনে নিই।

- মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোলে অনেক সময় লবণ বেশি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ঐ তরকারীতে কয়েকটি সেদ্ধ আলু ভেঙ্গে দিন। লবণ কমে যাবে।

- মুরগির মাংস বা কলিজা রান্না করার সময় ১ টেবিল চামচ সিরকা দিন। এতে গন্ধও থাকবে না, তাড়াতাড়ি সেদ্ধও হবে।

- মাছ ভাজার সময় তেল ছিটলে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন। তেল আর ছিটবেনা।

- পেঁয়াজ বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন। তাড়াতাড়ি লালচে হবে।

- কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিংবোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।

- আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।

- অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করতে পাতলা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দুটো সেদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্যুপ ঘন হবে।

- ডাল তাড়াতাড়ি রান্না হতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।

- মশলাপাতি তাড়াতাড়ি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।

- পরদিন কী রান্না করবেন তা আগের রাতেই ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি নিন। তাহলে অল্প সময়ে রান্না হবে।

দুধে খেজুর গুড় মেশাতে গিয়ে



দুধে খেজুর গুড় মেশাতে গিয়ে অনেক সময় দুধ ফেটে যায়। তাই গুড় মেশানোর আগে অল্প চিনি দিয়ে জ্বাল করে নিয়ে গুড় মেশাতে হবে বা চুলা থেকে নামিয়ে গুড় মেশাতে হবে।

ছিটরুটি

উপকরণ: নতুন চালের গুঁড়া ২ কাপ, গরম পানি ৩ কাপ বা পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে পাতলা গোলা করতে হবে। গোলা কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। ফ্রাইপ্যান অথবা মোটা তাওয়ায় সামান্য তেল লাগিয়ে ছিটিয়ে ছিটিয়ে গোলা দিতে হবে। রুটি ফ্রাইপ্যানের গা ছেড়ে এলে ভাঁজ করে পরিবেশন করতে হবে। ছিটরুটি পাখি অথবা হাঁসের ভুনা মাংস দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

Monday, February 6, 2012

হানি রোস্টেড ডাক


উপকরণ: হাঁস ২ কেজি ওজনের ১টি, মধু সিকি কাপ, সয়াসস ২ টেবিল-চামচ, উস্টারসস ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস সিকি কাপ, সাদা সিরকা ২ টেবিল-চামচ, লাল সিরকা ২ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ টালা গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদা মিহি কুচি ২ টেবিল-চামচ, রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি সিকি কাপ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল-চামচ, রোজমেরি আধা চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, পানি ২ কাপ, লবণ সামান্য স্বাদ বুঝে।

প্রণালি: হাঁসের চামড়া না ছাড়িয়ে মাথা ও গলা কেটে রেখে হাঁসের ভেতরের কলিজা ইত্যাদি সব বাদ দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
ওপরের সব উপকরণ ও হাঁসটিকে প্লাস্টিকের ব্যাগে অথবা পলিব্যাগে নিয়ে হাঁসের গায়ে, ভেতরে-বাইরে ভালো করে মিশিয়ে মাঝেমধ্যে ঝাঁকাতে হবে। এভাবে তিন-চার ঘণ্টা রাখতে হবে।

বড় হাঁড়িতে সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। ভালোভাবে ফুটে উঠলে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর হাঁস উল্টিয়ে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
বেকিং ট্রেতে হাঁস রেখে প্রিহিটেড ওভেনে ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপে ২০-২৫ মিনিট রাখতে হবে। হানি রোস্টেড ডাক নানরুটি ও পরোটা দিয়ে সেদ্ধ সবজি বা সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

Sunday, February 5, 2012

কড়াই মাংস

উপকরণ: হাঁস দেড় কেজি ১টি, মটরশুঁটি ১ কাপ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা সিকি কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রীবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, তেল পৌনে এক কাপ, গরুর কাঁচা দুধ আধা কাপ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, টমেটো সস ৩ টেবিল-চামচ (জিরা আধা চা-
চামচ+যোয়ান আধা চা-চামচ একসঙ্গে টেলে গুঁড়া করা), ঘি ২ টেবিল-চামচ, আদাকুচি ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে চামড়াসহ ছোট ছোট টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে দুধ ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে।

আধা কাপ তেল গরম করে সব বাটা মসলা কষিয়ে মাংস দিয়ে আবার কষাতে হবে। দই, লবণ, টমেটো সস, তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ, জায়ফল, জয়ত্রী দিয়ে ভালো করে কষিয়ে গরম পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে গেলে নামাতে হবে।
লোহার কড়াই ৩০-৪০ মিনিট আগে চুলায় গরম করে রাখতে হবে। এতে বাকি তেল, ঘি, আদাকুচি, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বেশি জ্বালে কিছুক্ষণ ভেজে মাংস দিয়ে ভুনতে হবে। মটরশুঁটি, গরম মসলার গুঁড়া, মরিচ টালা গুঁড়া, জিরা, জৈন গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।

মসলাদার কড়াই মাংস নোনতা ভাপা পিঠা, ছিটরুটি, নানরুটি, পরোটা ও ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

Saturday, February 4, 2012

হাঁসের চাপলি কাবাব


উপকরণ: হাঁসের মাংস ছোট করে কাটা দেড় কাপ, হাঁসের ডিম সেদ্ধ ২টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া সিকি চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, লেবুর খোসা কুচি আধা চা-চামচ, ডার্ক সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, টোস্টের গুঁড়া ১ কাপ, হাঁসের ডিম ১টি, ঘি ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: হাঁসের মাংসের কিমা সয়াসস মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। সেদ্ধ ডিম কুচি করে নিতে হবে। এবার মাংসের কিমার সঙ্গে সব উপকরণ মাখিয়ে গোলাকার চ্যাপ্টা কাবাব তৈরি করে ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে ডুবোতেলে ভেজে সস অথবা চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

Friday, February 3, 2012

রেশমি কাবাব


[মাইক্রোওভেনে প্রস্তুত সময় ১০ মিনিট]

উপকরণ : মুরগির কিমা ২৫০ গ্রাম, লেবুর রস ১ চা চামচ, টক দই ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া ২ চা চামচ, গরম মসলা পাউডার ২ চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, চিজ ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, চাট মসলা ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মুরগির কিমার সঙ্গে সামান্য আদা, রসুন, বাটা ও লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
২. এরপর কিমার সঙ্গে টক দই, লবণ, কাঁচামরিচ, আদা, রসুন, জিরা, গরম মসলা পাউডার, গোল মরিচ গুঁড়া, চিজ, চাট মসলা সব দিয়ে ডিম দিতে হবে মিশ্রণ যেন খুব নরম না হয়।
৩. এরপর ঈড়সনরহধঃরড়হ-২ তে একটি প্লেটে সয়াবিন তেল ১ মিনিট গরম করে কাবাবগুলো গোল করে দিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন, কিছুক্ষণ পর একবার উল্টিয়ে দিন।

শাহি টুকরা


[মাইক্রোওভেনে প্রস্তুত সময় ২১ মিনিট]

উপকরণ : পাউরুটি ৮ পিচ, ঘি পরিমাণমতো, দুধ ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক আধা কাপ, পেস্তা বাদাম ৩ টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. পাউরুটির পিসগুলোকে তিনকোনা করে কেটে ঘি ব্রাশ করে নিন।
২. এরপর গ্রিল র‌্যাকে পাউরুটি পিসগুলো দিয়ে গ্রিল মোড সেট করে ৮-১০ মিনিট রেখে লালচে করে নিন।
৩. পানি ও চিনি নিয়ে মাইক্রোতে সর্বোচ্চ ৬ মিনিট দিয়ে সিরা করে নিন।
৪. মাইক্রোর সর্বোচ্চ তাপে কর্নফ্লাওয়ার, দুধ, কনডেন্স মিল্ক দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন।
৫. এরপর পাউরুটির পিসগুলো সিরায় ডুবিয়ে ঘন দুধের মধ্যে দিন। এরপর ওপরে পেস্তা বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন।

Thursday, February 2, 2012

হাঁসের মালাইকারি


উপকরণ: হাঁস ২টি, নারকেলের দুধ ৬ কাপ, টক দই ১ কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, গরুর কাঁচা দুধ ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, আদাবাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, বাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, পোস্তদানাবাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ৮ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ৪টি, ঘি আধা কাপ, তেল পৌনে এক কাপ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, বেরেস্তা আধা কাপ।

প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে চামড়াসহ টুকরাগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে দুধ, হলুদ মাখিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল ও ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাদামি রঙে ভেজে সব বাটা মসলা দিয়ে কষিয়ে মাংস দিয়ে কষাতে হবে। লবণ, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, তেজপাতা, মরিচ, গোলমরিচ, দই দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ৫ কাপ নারকেলের দুধ ও ২ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে গেলে এক কাপ নারকেলের দুধ, বেরেস্তা, গরম মসলার গুঁড়া, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া, কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে তেলের ওপর এলে মালাই দিয়ে নামাতে হবে। হাঁসের মাংসের মালাইকারি ছিটরুটি, নানরুটি, পরোটা, ভাত অথবা ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

Wednesday, February 1, 2012

ছানা মটরশুঁটি


উপকরণ:
ছানা ১ কাপ, আধা সেদ্ধ মটরশুঁটি ১ কাপ, সবুজ ক্যাপসিকাম কুচি আধা কাপ, কালিজিরা ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ৩ টেবিল চামচ, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ কুচি অল্প, গোলমরিচের গুঁড়া ও চিনি স্বাদমতো।


প্রণালি: তেল গরম করে কালিজিরা ফোড়ন দিয়ে ছানা দিতে হবে। এক মিনিট ভেজে একটু লাল হলে মটরশুঁটি ও ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে আরও তিন-চার মিনিট রান্না করতে হবে। এরপর চিনি, ধনেপাতা গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে হালকা আঁচে এক মিনিট রেখে নামাতে হবে।

[ ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন ]

মিক্সড ভেজিটেবল


[মাইক্রোওভেনে প্রস্তুত সময় ১৫ মিনিট]

উপকরণ : আলু, বেগুন, গাজর (সব মিলিয়ে) ১ কাপ, ফুলকপি, সিম, মটরশুঁটি (সব মিলিয়ে) ১ কাপ, ঘি ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, কাঁচামরিচ ফালি ২টি, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ,

যেভাবে তৈরি করবেন
১. সব সবজি এক সাইজ করে কেটে নিন।
২. এরপর একটি ওভেন প্রুভ পাত্রে সবজিগুলো দিয়ে মাইক্রোর সর্বোচ্চ তাপে ৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩. ওভেন প্রুভ পাত্রে সয়াবিন তেল দিয়ে মাইক্রোর তাপে ১ মিনিট গরম করুন। ওই পাত্রে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ২ মিনিট রাখুন।
৪. পেঁয়াজ কুচির সঙ্গে লবণ, রসুন বাটা, আদা বাটা দিয়ে ২ মিনিট কষান।
৫. এরপর সব সবজি দিয়ে মাইক্রোর সর্বোচ্চ ৫ মিনিট রান্না করুন।
৬. চিনি, ঘি, টমোটো সস, কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে ১ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন।