Wednesday, December 26, 2012

সবজির কাঠি কাবাব


উপকরণ: ফ্রেঞ্চ বিন কুচি করা ২০টি, পেঁয়াজ দুটি, বাঁধাকপি ঝুরি সিকি কাপ, গাজর ঝুরি করা চারটি, মটরশুঁটি সেদ্ধ এক কাপের একটু কম, সিদ্ধ করা চটকানো আলু তিনটি, সুইট কর্ন সিদ্ধ দেড় কাপ, লবণ স্বাদমতো, বেসন সাড়ে তিন টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি পাঁচটি, শাহি জিরা এক চা-চামচ, আদা-রসুন বাটা দুই টেবিল-চামচ, তেল দুই টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, চাট মসলা দুই চা-চামচ, কাজুবাদাম গুঁড়া দুই টেবিল-চামচ, সাসলিকের কাঠি ১৫-১৬টি। 

প্রণালি: সাসলিকের কাঠি বেশ কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে গাজর, বাঁধাকপি, ফ্রেঞ্চ বিন ও মটরশুঁটি চার-পাঁচ মিনিট ভেজে নিন। এগুলো অন্য পাত্রে উঠিয়ে রাখুন। একই ফ্রাইপ্যানে বেসন ও শাহি জিরা টেলে নিয়ে তাতে ভাজা সবজি দিয়ে দিন। এতে আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দুই-এক মিনিট নাড়ুন। বাটিতে চটকানো আলুর সঙ্গে সুইট কর্ন, সবজি মিশ্রণ, লবণ, চাট মসলা ও কাজুবাদাম গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন। এটি ১৫-১৬ ভাগ করুন। সাসলিক কাঠিতে এক একটি গোলা নিয়ে চেপে চেপে কাবাবের আকৃতি করুন। গ্রিলে তেল ব্রাশ করে চারটি করে কাঠি কাবাব নিয়ে গ্রিল করুন। চারপাশ একটু পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে পরিবেশন।

বেকড সবজি

সসের উপকরণ: মাখন ১০০ গ্রাম, ময়দা ১৫০ গ্রাম, লবণ স্বাদমতো, এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে তিন কাপ করে নেওয়া, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধ চা-চামচ, ক্রিম দুই টেবিল-চামচ, কাজুবাদাম গুঁড়া দুই টেবিল-চামচ।
প্রণালি: পাত্রে মাখন ও ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিন। ময়দা যেন বাদামি রং হয়ে না যায়। এবার দুধ ও লবণ মেশান। চুলার আঁচ কমিয়ে কাজুবাদাম, গোলমরিচ গুঁড়া ও ক্রিম দিয়ে নাড়ুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।

সবজির উপকরণ: ফুলকপি একটি, বিট একটি, বাঁধাকপি একটি, গাজর গোল করে কাটা দেড় কাপ, সয়াবিন তেল সিকি কাপ, আদা বাটা এক চা-চামচ, রসুন বাটা এক চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া এক কাপ।

প্রণালি: সবজি ধুয়ে টুকরা করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার সবজিগুলো ভাজতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর সবজি থেকে অল্প পানি ছাড়বে। এবার একটু নেড়ে গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে নামিয়ে বেকিং ট্রেতে ঢালুন। ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ওভেন প্রিহিট করুন। বেকিং ট্রেতে সবজির ওপর হোয়াইট সস প্রলেপ দিয়ে তার ওপর টোস্ট গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। ওভেনে ৩০-৪০ মিনিট বেক করুন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন।

Tuesday, December 25, 2012

ঝাল-মিষ্টি সবজি


উপকরণ: বাঁধাকপি অথবা চায়নিজ কপি একটির সিকি ভাগ, সবুজ ক্যাপসিকাম একটি, লাল ক্যাপসিকাম অর্ধেকটি, হলুদ ক্যাপসিকাম অর্ধেকটি, সুইট কর্ন সিকি কাপ, ফ্রেঞ্চ বিন ছয়টি, পেঁয়াজ দুটি, রসুন ১৪ কোয়া কুচি করে নেওয়া, শুকনা মরিচ দুটি, বাটন মাশরুম ছয়টি, কর্নফ্লাওয়ার আড়াই টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ বাটা দেড় চা-চামচ, টমেটো সস দুই টেবিল-চামচ, স্বাদলবণ আধ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি তিন টেবিল-চামচ, সবজির স্টক দুই কাপ, সয়াবিন তেল চার টেবিল-চামচ, সিরকা এক টেবিল-চামচ, তিলের তেল এক টেবিল-চামচ, সয়া সস এক টেবিল-চামচ।

প্রণালি: সবজিগুলো পছন্দমতো কেটে নিন। পেঁয়াজের কোষ খুলে রাখুন। এক কাপ পানিতে কর্নফ্লাওয়ার গুলে নিন। এক কাপ সবজি স্টকে টমেটো সস, শুকনা মরিচ বাটা, স্বাদলবণ, চিনি ও লবণ গুলে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। তারপর মাশরুম ও ফ্রেঞ্চ বিন দিয়ে নাড়ুন। এবার কপি দিন। একটু নেড়ে তাতে সুইট কর্ন, গোলানো স্টক ও বাকি স্টক দিয়ে নাড়ুন। এরপর সয়াসস ও কর্নফ্লাওয়ার দিন। চার-পাঁচ মিনিট পর ক্যাপসিকাম দিয়ে আরও তিন মিনিট নাড়াচাড়া করুন। ঘন হয়ে এলে সিরকা ও তিলের তেল দিয়ে নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন।

পনির-সবজি


উপকরণ: ব্রকলি একটি, টমেটো দুটি, ফ্রেঞ্চ বিন পাঁচ-ছয়টি, সবুজ, লাল ও হলুদ ক্যাপসিকাম অর্ধেকটি করে, গাজর দুটি, পেঁয়াজ চারটি গোল করে কাটা, লবণ স্বাদমতো, মজারেলা পনির প্রয়োজনমতো, সয়াসস দেড় চা-চামচ, গোলমরিচ ফাঁকি আধ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ চেরা চারটি, সিজনিং সস এক টেবিল-চামচ, বেগুনি বাঁধাকপি ঝুরি আধ কাপ, বাটন মাশরুম ছয়টি, বেবি কর্ন পাঁচ-ছয়টি, বাঁধাকপি ঝুরি সিকি কাপ, লেবুর রস এক টেবিল-চামচ, সয়াবিন তেল দুই টেবিল-চামচ।

প্রণালি: সব সবজি ধুয়ে এক ইঞ্চি লম্বা করে কেটে রাখুন। টমেটো ও ক্যাপসিকামের শাঁস ফেলে কেটে নিন। বাঁধাকপি, গাজর ও ফ্রেঞ্চ বিন একটু ভাপিয়ে নিয়ে ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিন। তাতে টমেটো ও লবণ দিয়ে নাড়ুন। দুই-এক মিনিট পর গাজর, মাশরুম ও বেবি কর্ন দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন। এবার একে একে ফ্রেঞ্চ বিন, দুই রকম বাঁধাকপি, অর্ধেক পরিমাণ ক্যাপসিকাম দিয়ে দুই-তিন মিনিট কড়া আঁচে নাড়ুন। এবার সয়াসস, বাকি ক্যাপসিকাম, গোলমরিচ গুঁড়া, স্বাদলবণ, কাটা মরিচ ও পনির দিয়ে নাড়ুন। সিজনিং সস ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলা থেকে নামান। দশ মিনিট পর পরিবেশন।

Friday, December 7, 2012

শীতেই তো বারবিকিউ









শীত পড়েছে। বাড়ির ছাদে বারবিকিউ তো হবেই। আবার বেড়াতে গিয়েও চুলা ধরিয়ে দিব্যি বানিয়ে ফেলতে পারেন ঝলসানো নানা খাবার।
ফাতিমা আজিজ দিয়েছেন তারই রেসিপি।

গ্রিলড চিংড়ি
উপকরণ: মাথা ও খোসা ছাড়ানো বড় চিংড়ি মাছ ১৫০ গ্রাম বা ১২টি, রসুনবাটা সিকি চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ চা-চামচ, লবণ সামান্য, কাঁচা মরিচবাটা আধা চা-চামচ, মাল্টা বা কমলার রস ২ টেবিল-চামচ, মাল্টা বা কমলার খোসা মিহি কুচি আধা চা-চামচ, লেবুর খোসা মিহি কুচি আধা চা-চামচ, লেবু ও কমলা বা মাল্টার খোসা লম্বা ঝুরি করে পরিমাণমতো (সাজানোর জন্য), মাখন ১ টেবিল-চামচ, শাসলিক কাঠি ভেজানো প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: মাখন, লবঙ্গের গুঁড়া, কমলা বা মাল্টার খোসা ও লেবুর খোসা ঝুরি বাদে অন্য সব উপকরণ একটি বাটিতে নিয়ে চিংড়িগুলো মেখে ঘণ্টা খানেক ফ্রিজে রাখুন। এবারে একেকটি কাঠিতে তিনটি করে চিংড়ি মাছ গাঁথুন। একটি গ্রিল ট্রেতে আধা টেবিল-চামচ মাখন ব্রাশ করে এর ওপর কাঠিগুলো সাজিয়ে ওপর থেকে বাকি মাখন ব্রাশ করে দিন। প্রি-হিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিলাস তাপে ১৫ থেকে ২০ মিনিট গ্রিল করুন। মাঝে একবার কাঠি ঘুরিয়ে দিয়ে সামান্য মাখন ব্রাশ করে দিন। যেকোনো চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

গ্রিল সবজি
উপকরণ: পনির অথবা টফু (২ ইঞ্চি কিউব করে কাটা) ৫০০ গ্রাম, ধনেপাতা কুচি ১ মুঠি, পুদিনাপাতা কুচি ১ মুঠি, কাঁচা মরিচ কুচি ৪টি, রসুন ১০ কোয়া, আদা কুচি সামান্য, লেবুর রস ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২টি, ডালিমের দানা ২ টেবিল-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, পানি ঝরানো টক দই ১ কাপ, ভাজা বেসন ৪ টেবিল-চামচ, শুকনো মেথি শাকের পাউডার (কসৌরি মেথি) ২ টেবিল-চামচ, তাবাস্কো পেপার সস ১ টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, চাট মসলা দেড় চা-চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া ২ চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ২ চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ ৬টি (চার টুকরা করে কাটা), নানা রঙের ক্যাপসিকাম ১টি করে, শাসলিক কাঠি প্রয়োজনমতো (পানিতে ভেজানো)।
প্রণালি: কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা কুচি, আদা-রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস, লবণ, টক দই, ডালিমের দানা একত্রে ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পনির অথবা টফুর টুকরোগুলো শুকনো মেথি শাকের গুঁড়া, চাট মসলা, জিরা পাউডার, গরম মসলার গুঁড়া, ভাজা বেসন এবং তৈরি করা মসলার পেস্ট দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে এক টেবিল-চামচ সরিষার তেল দিয়ে মেখে নিন। এটি ডিপ ফ্রিজে দুই ঘণ্টা রেখে দিন। মাঝে দু-একবার নেড়ে দিন। শাসলিকের কাঠি নিয়ে প্রথমে সবুজ ক্যাপসিকাম, তারপর লাল ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, পনির বা টফুর টুকরো গেঁথে নিন। আবারও এভাবে গাঁথুন। গ্রিল প্যানে বাকি তেল গরম করে কড়া জ্বালে চারটি করে কাঠি বিছিয়ে গ্রিল করুন দু-তিন মিনিট। একটু পোড়া পোড়া হতে পারে।

গ্রিল চিকেন কাটলেট
উপকরণ : হাড়ছাড়া মুরগির মাংস ৫০০ গ্রাম বা ৪ থেকে ৫টি, লেবুর রস অথবা সিরকা ১ টেবিল-চামচ, সিজেনিং সস ১ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, আদা-রসুনের রস ১ টেবিল-চামচ, ডিমের সাদা অংশ ১টি, গোলমরিচ গুঁড়া সিকি চামচ, কাঁচা মরিচবাটা আধা টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ, তেল ২ টেবিল-চামচ, টক দই ৩ টেবিল-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া আধা টেবিল-চামচ।
প্রণালি: মাংসগুলো ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে এর ওপর ছুরি দিয়ে বরফির মতো করে আঁক দিন। বাটিতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার ও সিকি চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে ফেটে ব্যাটার বানিয়ে নিন। ট্রেতে তেল বাদে বাকি সব উপকরণ একত্রে নিয়ে মাংসে মেখে দুই থেকে তিন ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এরপর মাংসগুলো ব্যাটারে চুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। গ্রিল প্যানে তেল গরম করে মুরগির টুকরোগুলোকে উল্টে-পাল্টে গ্রিল করুন। সামান্য তেল মাংসে ব্রাশ করে উল্টে দিয়ে আরও ২০ মিনিট গ্রিল করুন। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, সালাদ অথবা মিক্সড সবজির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

বারবিকিউ চিকেন উইথ ক্যাপসিকাম
উপকরণ: হাড়ছাড়া মোরগের বুকের মাংস (কিউব করে কাটা) ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি, লবণ ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, সরিষা ভেজে গুঁড়া করা দেড় চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদাবাটা দেড় চা-চামচ, রসুনবাটা দেড় চা-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া দেড় চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, অয়েস্টার সস আড়াই টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, সরিষার তেল আধা কাপ, গরম মসলা ভেজে ফাঁকি করা দেড় চা-চামচ, জায়ফল ভেজে গুঁড়া করা সিকি চামচ, জয়ত্রী ভেজে গুঁড়া করা আধা চা-চামচ, লবঙ্গ ভেজে গুঁড়া করা সিকি চামচ, লাল, হলুদ ও সবুজ ক্যাপসিকাম পরিমাণমতো (কিউব করে কেটে নেওয়া), পেঁয়াজ (৪ টুকরো করে কাটা) পরিমাণমতো, বারবিকিউ সস (যেকোনো শপিং মলে পাওয়া যাবে) পরিমাণমতো।
এ ছাড়া লাগবে কয়লা, বারবিকিউ করার জন্য শিক ও চুলা। চুলায় প্রথমে কয়লাগুলো বিছিয়ে সামান্য কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে নিতে হবে।
প্রণালি: ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ ও বারবিকিউ সস বাদে অন্য সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে ছয় ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। দুই ঘণ্টা বাইরে রেখে বাকি চার ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। শিকগুলো ধুয়ে তাতে তেল ব্রাশ করে প্রথমে তিন টুকরা করে মাংস, ক্যাপসিকাম, এক টুকরো পেঁয়াজ গাঁথুন। একইভাবে আরেকবার গাঁথুন। এভাবে চারটি শিক তৈরি করে চুলা জ্বালানোর পর ২০ মিনিট সময় দিন। টেবিল ফ্যান বা হাত পাখা দিয়ে বাতাস দিতে থাকুন, যেন কয়লার আগুন নিভে না যায়। ২০ মিনিট পর শিকগুলো চুলায় বসান। শিকগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেবেন ও বারবিকিউ সস দিয়ে ব্রাশ করে দিন মাঝেমধ্যে। যখন মুরগির টুকরোগুলো একটু পোড়া পোড়া হবে, তখন শিকগুলো চুলা থেকে বের করে বা উঠিয়ে পাঁচ মিনিট পর শিক থেকে সাবধানে বের করে ডিশে সাজিয়ে নিন অথবা পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

বেড়াতে গেলে সব উপকরণ হয়তো জোগাড় করা যাবে না। শুধু কাবাব মসলা, লবণ ও মরিচের গুঁড়া দিয়েও বারবিকিউয়ের উপকরণ মেরিনেট করতে পারেন। আর ঝলসানোর সময় অল্প করে বারবিকিউ সস ব্রাশ করে দেবেন।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা (তারিখ: ০৪-১২-২০১২)

Saturday, December 1, 2012

স্পাইসি প্রন-ভেজিটেবল উইথ প্যানকেক


উপকরণ: ধনেপাতা ১ আঁটি, লাল পেঁয়াজ ২টি, জলপাই তেল ২ টেবিল-চামচ, কুচি করা রসুন ২টি, জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ফুলকপি ছোট ১টি, সবুজ ক্যাপসিকাম ১টি, লাল ক্যাপসিকাম ১টি, বেবিকর্ন ২টি, শসা ২টি, খোসা ছাড়ানো চিংড়ি ১২টি, পেঁয়াজপাতা সাজানোর জন্য।

প্রণালি: পেঁয়াজ ছোট টুকরা করে নিতে হবে। বড় সসপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ দিয়ে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। রসুন ও অন্য সব মসলা দিতে হবে। ক্যাপসিকামগুলো ছোট টুকরা করে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ভালো করে রান্না করতে হবে। পেঁয়াজপাতা কুচি দিতে হবে। এর সঙ্গে ফুলকপি কুচি করে দিতে হবে। টমেটো কুচি করে নিয়ে ৩ থেকে ৪ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। এবার লবণ এবং গোলমরিচ এবং শেষে ধনেপাতা দিয়ে নামাতে হবে।
চিংড়ি রান্নার জন্য: একটি পাত্রে তেল নিয়ে বেশি জ্বালে চিংড়িগুলো ভেজে নিতে হবে। তারপর সবজির সঙ্গে সব চিংড়ি দিয়ে নেড়েচেড়ে পরিবেশন।

প্যানকেকের জন্য 
উপকরণ: ডিম ২টি, ময়দা ২ কাপ, দুধ ১ কাপ, পানি পরিমাণমতো, লবণ এবং কালো গোলমরিচ পরিমাণমতো, তেল ৬ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা কুচি ৩ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: একটি পাত্রে ডিম দিতে হবে। সঙ্গে ময়দা, দুধ, লবণ ও কালো গোল মরিচ দিয়ে ১ চা-চামচ তেল দিয়ে মাখাতে হবে। সব উপকরণ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর ধনেপাতা দিতে হবে। রান্না করার আগে আধঘণ্টা রেখে দিতে হবে। ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। সিকি কাপ মাখন দিতে হবে, প্যানটা ভালো করে ঘুরিয়ে মাখন ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে মাখন চারপাশে লাগে। এতে প্যানকেক মিশ্রণ দিয়ে কেক বানিয়ে নিতে হবে। হয়ে গেলে সবজি-চিংড়িকারি প্যানকেকের ভেতর ভরতে হবে। তারপর পেঁয়াজপাতা দিয়ে মুড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন।

Friday, November 30, 2012

প্রন আদাবো


উপকরণ: বড় চিংড়ি আধা কেজি, রসুন কুচি ২ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা সিরকা ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, গারলিক সস ১ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা ১ গোছা, মাখন ৫০ গ্রাম।

প্রণালি: চিংড়ির লেজ ও মাথা রেখে খোসা ছাড়িয়ে পিঠের দিক অল্প চিরে শিরা বের করে নিতে হবে এবং মাথার ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে। সিরকা, গোলমরিচ, লবণ, চিনি ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে তাতে চিংড়ি দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে আরও ৫-৭ মিনিট পর চিংড়ি পানি থেকে তুলে রাখতে হবে।
সসের জন্য: প্যানে ১ টেবিল-চামচ মাখন গলিয়ে ময়দা মৃদু আঁচে বাদামি রং করে ভেজে অল্প অল্প করে চিংড়িসেদ্ধ পানি মেশাতে হবে। ফ্রাইপ্যানে বাকি মাখন গলিয়ে রসুন ভেজে তাতে চিংড়ি দিয়ে আরও ২ মিনিট বেশি আঁচে ভেজে সয়াসস দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। ভাজা চিংড়ির সঙ্গে রান্না করা চিংড়ির সস, গারলিক সস ও টমেটো সস মিশিয়ে ওপরে সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ও পার্সলে কুচি ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

হট প্রন কারি উইথ স্টিমড রাইস


উপকরণ: ছোট পাকা টমেটো আধা কেজি, বড় চিংড়ি আধা কেজি, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, রসুন ১ কোয়া, ছোট মরিচ ৩-৪টি, জলপাই তেল ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা বা পার্সলেপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কালো গোলমরিচ ১ চা-চামচ, চিনি প্রয়োজনমতো, সাদা ভিনেগার ১ টেবিল-চামচ, মাখন ৪ চা-চামচ, যেকোনো সুগন্ধি চাল ২৫০ গ্রাম।

প্রণালি: পাত্রে তেল গরম করে তাতে রসুন ও মরিচ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তাতে চিংড়ি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ গোলাপি রং করে ভেজে নিতে হবে। সাদা ভিনেগার দিয়ে ১ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। টমেটো ও মরিচ গুড়াঁ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে লবণ ও কালো গোল গোল মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রাখতে হবে। সুগন্ধি চালের ভাত ফুটিয়ে নিতে হবে এবং রান্না শেষে গরম ভাতের ওপর মাখন ছিটিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ দমে রাখতে হবে। গরম ভাত পরিবেশন পাত্রে নিয়ে তার ওপর চিংড়ি কারি ঢেলে এরপর ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন।

বাটারফ্লাই-কিং প্রনস


উপকরণ: চিংড়ি ১৬টি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল-চামচ, বড় পেঁয়াজ কুচি ১টি, রসুন কুচি ১টি, হাড়ছাড়া মুরগির মাংস ছোট এক টুকরা, টমেটোর রস ২ কাপ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, ভিনেগার ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২-৩ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি:  তেল গরম করে, তার সঙ্গে পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে দু-তিন মিনিট নাড়াচাড়া করতে হবে। টমেটোর রস, মুরগির মাংস, চিনি, ভিনেগার, সামান্য লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে ১০-১২ মিনিট জ্বাল দিতে হবে ঘন হওয়া পর্যন্ত। এখন চিংড়িগুলো দিয়ে ১০ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। ধনেপাতা মেশাতে হবে। একটা পাত্রে ঢেলে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন।

Sunday, November 25, 2012

ছানার পুলি

উপকরণ: ছানা ২৫০ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন, ময়দা ৬-৭ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল, সাড়ে তিন কাপ চিনি ও সাড়ে তিন কাপ পানি মিলিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা বানিয়ে নিতে হবে।

প্রণালি: ছানা, কনডেন্সড মিল্ক, ময়দা, বেকিং পাউডার এবং বড় ১ টেবিল চামচ ঘি মিলিয়ে খুব করে মেখে মোলায়েম ডো বানাতে হবে। ডো দিয়ে ছোট ছোট পুলি বানিয়ে হালকা গরম তেলে (অল্প আঁচে) সোনালি করে ভেজে সিরায় দিতে হবে। মাওয়া বা গোলাপ পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।

Saturday, November 24, 2012

আনন্দ ভোগ


উপকরণ: সুজি ২৫০ গ্রাম, চিনি ২৫০ গ্রাম, মাওয়া ৪০০ গ্রাম গ্রেট করা, জাফরান পৌনে এক টেবিল চামচ, ছোট এলাচি দানা (১০টা এলাচির) গুঁড়া করা, গোলাপজল ২ চা-চামচ, ঘি ৯ টেবিল চামচ, দুধ ১ টেবিল চামচ, সাজানোর জন্য সিলভার ফয়েল।

প্রণালি: ৪ টেবিল চামচ উষ্ণ গরম পানি ও ১ টেবিল চামচ ঘিয়ে সুজি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে পানি বেশি দেওয়া যাবে, যাতে সুজি ভালোভাবে ভিজে যায়। প্যানে বাকি ঘিয়ে ভেজানো সুজি অল্প আঁচে হালকা বাদামি করে ভেজে নামাতে হবে। সুজির সঙ্গে মাওয়া মিলিয়ে নিতে হবে। প্যান আবার চুলায় বসিয়ে ভুনতে হবে। সুজি ও মাওয়া পুরোটা মিশে গেলে নামিয়ে বড় পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা করে নিতে হবে। অন্য প্যানে ১ কাপ পানি ও চিনি মিশিয়ে ঘন সিরা বানাতে হবে। ঘন সিরায় গোলাপজল ও জাফরান ভালোভাবে মিলিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে সুজি ও মাওয়ার মিশ্রণ ঢেলে এলাচির গুঁড়া মিলিয়ে নিতে হবে। উঁচু চারকোনা ডিশে ঢেলে সেট করে ঠান্ডা হলে সিলভার ফয়েল বা তাক দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ছোট ছোট চৌকো করে কেটে পরিবেশন।

ক্যারামেল ফিরনি

উপকরণ: দুধ ২ লিটার, পানি ২ কাপ, পোলাওয়ের চাল ২ মুঠো (২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে আধা ভাঙা করে নিতে হবে), কনডেন্সড মিল্ক ১টা, ১ কাপ চিনির ক্যারামেল, জাফরান ১ চিমটি, সাজানোর জন্য মাওয়া, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম।

প্রণালি: সাদা ফিরনির জন্য—১ লিটার দুধের সঙ্গে ১ কাপ পানি মিলিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা দুধে আধা ভাঙা চাল (১ মুঠো) মিলিয়ে চুলায় দিতে হবে। ফুটে উঠলে নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে জাফরান ও অল্প অল্প কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে নাড়তে হবে (মিষ্টি দেখে নিতে হবে)। ঘন হয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে।
ক্যারামেল ফিরনি—বাকি দুধের সঙ্গে পানি মিলিয়ে ঠান্ডা দুধে আধা ভাঙা চাল মিলিয়ে চুলায় বসাতে হবে। ফুটে উঠলে নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে যখন চাল সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন অল্প অল্প করে ক্যারামেল মেলাতে হবে। মিষ্টি কম-বেশি হলে ঠিক করে নিতে হবে। ঘন হয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে।
সার্ভিং ডিশে এক স্তর সাদা ফিরনি, এক স্তর ক্যারামেল ফিরনি—এভাবে সাজিয়ে মাওয়া, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।
ক্যারামেল বানাতে—শুকনো প্যানে চিনি অল্প আঁচে গলিয়ে নিতে হবে, পরে আধা কাপ দুধ মিলিয়ে নিতে হবে।

Wednesday, November 21, 2012

হাঁড়িবন্ধ


উপকরণ: গরুর চর্বিসহ মাংস ৫ কেজি, পেঁয়াজ মোটা কুচি ৬ কাপ, আদা মিহি কুচি ১ কাপ, রসুনের কোয়া ১ কাপ, শুকনা মরিচ ফালি আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, টকদই ২ কাপ, মিষ্টিদই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৪ কাপ, তেজপাতা ৬টি, দারচিনি ১০ টুকরা, ছোট এলাচ ১০টি, লবঙ্গ ১২টি, বড় এলাচ ৪টি, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি।

প্রণালি: চর্বিসহ মাংস বড় টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বড় হাঁড়িতে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। হাঁড়ি ভরে পানি দিন। ময়দা পানি দিয়ে মথে হাঁড়ির চারপাশে লাগিয়ে ঢাকনা দিয়ে এমনভাবে ঢেকে দিন যেন বাষ্প বের হতে না পারে।
এবার হাঁড়ি চুলায় দিয়ে মাঝারি জ্বালে রান্না করুন। ভালো করে ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। প্রতিদিন দুবার করে ফোটান। এভাবে ঝোল শুকিয়ে তেলের ওপর এলে আধা কাপ বেরেস্তা ও ১ চা-চামচ গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নামান।
মজাদার হাঁড়িবন্ধ পোলাও, ভুনা খিচুড়ি, পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

আনাজ-মাংসের কাবাব


উপকরণ: মাংসের সেদ্ধ কিমা ১ কেজি, কাঁচা কলা ৪টি, আদাবাটা আধা টেবিল-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, ডিম ফেটানো একটি।

প্রণালি: কলা সেদ্ধ করে খোসাসহ বেটে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে চুলায় দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। ঠান্ডা হলে একসঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে গোল গোল চ্যাপ্টা কাবাব করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন।

Tuesday, November 20, 2012

নারকেলের দুধে কাটা মসলার মাংস


উপকরণ: গরু বা খাসির মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ, আদা মিহি কুচি ৩ টেবিল-চামচ, আস্ত রসুন ৮-১০টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, আধা ভাঙা গোলমরিচ ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৮-১০টি, সরিষার তেল ১ কাপ, তেজপাতা ৪টি, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৮টি, টকদই আধকাপ, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, চিনি ১ চামচ বা স্বাদমতো, নারকেলের দুধ ৬ কাপ।

প্রণালি: মাংস টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ, নারকেলের দুধ বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর নারকেলের দুধ দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে এলে বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্প জ্বালে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।

চুইঝালে মাংস ভুনা


উপকরণ: গরুর মাংস ২ কেজি, চুইঝাল মাঝারি টুকরা করে কাটা ২ কাপ, আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, টকদই আধা কাপ, তেজপাতা ৪টি, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, সরিষার তেল ১ কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি: মাংস ধুয়ে লবণ ও টকদই দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখুন। তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে তাতে সব মসলা কষিয়ে মাংস ও চুইঝাল দিয়ে কয়েকবার কষান। পরে পানি দিন। মাংসের ঝোল শুকিয়ে তেলের ওপর এলে গরম মসলার গুঁড়া, জিরা ভাজা গুঁড়া দিয়ে নামান।

Wednesday, November 14, 2012

সবজি-কিমা কাবাব



উপকরণ: সেদ্ধ করা গরুর মাংসের কিমা ৫০০ গ্রাম, সেদ্ধ সবজি (পছন্দমতো) ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, শুকনো মরিচ ২-৩টি, জিরা আধা চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, আদাকুচি ১ চা-চামচ, গোলমরিচ ১০-১২টি, এলাচ ২-৩টি, রসুনকুচি ১ চা-চামচ, জায়ফলের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, ডিম ১টি, পাউরুটির গুঁড়া প্রয়োজনমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, দুধ ১ কাপ, পাউরুটি ৩ টুকরা, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য, মাখন ১ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: ফ্রাইপ্যানে ২ টেবিল-চামচ তেল দিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, জিরা, দারচিনি, এলাচি, রসুন, আদা ও গোলমরিচ দিয়ে হালকা ভেজে তুলুন। ঠান্ডা হলে ভাজা মসলার সঙ্গে কিমা বেটে নিন। কিমার মধ্যে বেকিং পাউডার, বেরেস্তা, জায়ফল গুঁড়া, ডিম, দুধে ভেজানো পাউরুটি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনমতো পাউরুটির গুঁড়াও দিন। এবার এই মিশ্রণ থেকে বল তৈরি করে ডুবোতেলে ভেজে তুলুন। ফ্রাইপ্যানে মাখন দিয়ে তাতে আস্ত সবজিগুলো দিয়ে লবণ ও টমেটো সস দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। এবার বলগুলো কাঠিতে গেঁথে সবজি দিয়ে পরিবেশন করুন।

মাংসের পিঠা

  

উপকরণ: মাংসের কিমা ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, ধনেপাতা ১ টেবিল-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, তেল ভাজার জন্য, লবণ স্বাদমতো, আতপ চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম।

প্রণালি: সসপ্যানে লবণ ও পানি জ্বাল দিয়ে তাতে বলক উঠলে চালের গুঁড়া দিন। মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে তিন-চার মিনিট দমে রাখুন। ভালোভাবে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা গরম অবস্থায় মাখিয়ে নিন। ছোট ছোট লেচি কেটে রুটি আকারে বেলে নিন।
ফ্রাইপ্যানে ৪ টেবিল-চামচ তেল দিয়ে তাতে কিমা, পেঁয়াজ, আদাবাটা, রসুনবাটা, গরম মসলা, ধনেপাতা, লবণ দিয়ে একটি পুর তৈরি করে ঠান্ডা করে নিন। রুটির টুকরোর ভিতর পুর দিয়ে পছন্দমতো আকার গড়ে ডুবোতেলে ভেজে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

Tuesday, November 13, 2012

বিফ মোমো



উপকরণ (১): মাংসের কিমা ১ কাপ, আদার রস ১ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা ১ টেবিল-চামচ। এসব উপকরণ দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করে পুর তৈরি করতে হবে।

উপকরণ (২):
ময়দা ৩০০ গ্রাম, লবণ সামান্য, পানি প্রয়োজনমতো। ময়দা মেখে ডো বানিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ২০ মিনিট।

প্রণালি:
ময়দার খামির দিয়ে ছোট লেচি কেটে পাতলা করে বেলে নিন। এতে কিমার পুর ভরে মোমোর আকারে গড়ে নিন। ভাপে অথবা প্রেসার-কুকারে সেদ্ধ করে নিন। সসের সঙ্গে গরম গরম মোমো পরিবেশন করুন।

পোহে

  

উপকরণ: চিঁড়া ১ কাপ, মাংসের কিমা ১ কাপ (সেদ্ধ করা), আলু ১টি, টমেটো ১টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, নারকেল কোরানো ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা বা কারিপাতা ৮-১০টি, তেল বা ঘি প্রয়োজনমতো, হলুদ সামান্য, লবণ স্বাদমতো, ডিম ১টি, কাঁচা মরিচকুচি ৩টি।

প্রণালি: চিঁড়া ভালো করে ধুয়ে নিন। আলু ও টমেটো ছোট ছোট টুকরা করে নিন। কড়াইয়ে তেল বা ঘি দিয়ে তাতে কারিপাতা বা ধনেপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। তারপর আলু, মাংসের কিমা ও টমেটো দিয়ে কষান। কষা হয়ে গেলে ধুয়ে রাখা চিঁড়া ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে নাড়াচাড়া করুন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে আদাকুচি, ধনেপাতাকুচি, কাঁচা মরিচকুচি ও নারকেল কোরানো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

Friday, November 9, 2012

পট রোস্ট



উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংসের চাকা ১ কেজি, গোলমরিচ ২০-২৫টা, লবণ পরিমাণমতো, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল-চামচ, ছোট আলু ৮-১০টা, মাখন ৩ টেবিল-চামচ, ক্যাপসিকাম স্বাদমতো।
প্রণালি: প্রথমে মাংসের চাকাটাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ধুয়ে মুছে নিতে হবে, যাতে কোনো পানি না থাকে। এরপর ময়দার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে নিয়ে তার মধ্যে মাংসের টুকরা আলতোভাবে গড়িয়ে নিতে হবে। বড় পাতিলে কম আঁচে মাখন গলিয়ে নিয়ে তাতে ময়দা মাখানো মাংস হালকা বাদামি করে ভাজতে হবে। এরপর পাতিলে প্রচুর পানি দিয়ে মাংস কম আঁচে সেদ্ধ করতে হবে। সাত-আট ঘণ্টা সেদ্ধ করে পানি কমে গেলে আবার একটু একটু করে পানি দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং পানি মাখা মাখা হলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর ফ্রাই প্যানে মাখন গলিয়ে তাতে ছোট সেদ্ধ আলু এবং ক্যাপসিকাম গোটা গোটা করে কেটে হালকা ভাজতে হবে। এরপর মাংসে যতটুকু পানি ছিল, তা আলাদা করে নিয়ে তাতে একটু কর্ন ফ্লাওয়ার এবং গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ঘন করতে হবে। এরপর একটা বড় কাচের ডিশের মাঝখানে মাংসের টুকরাটা রেখে তার চারধারে সবজিগুলো বিছিয়ে দিতে হবে। তার ওপর বানানো ঘন ঝোল ঢেলে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

Thursday, November 8, 2012

খাসির স্টেক



উপকরণ: হাড়সহ খাসির মাংস ৮ টুকরা (বড় করে কাটা), জলপাই তেল ১ টেবিল-চামচ, ময়দা প্রয়োজনমতো, মাশরুম ১ ক্যান, সেদ্ধ সিমের বিচি প্রয়োজনমতো, রসুন (মাঝারি কোয়া) ১০-১২টা, মাখন ১ টেবিল-চামচ, কমলার রস আধা কাপ, কমলাকুচি আধা কাপ, লবণ, গোলমরিচ।

প্রণালি:
মাংস পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। ময়দায় লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে তাতে মাংসগুলো একটু গড়িয়ে নিতে হবে। মোটা তলার ফ্রাইপ্যানে জলপাই তেল গরম করতে হবে। তাতে মাংস দিয়ে দুই পিঠ বাদামি করে ভাজতে হবে। এরপর কড়াইয়ে মাখন দিয়ে তাতে মাশরুম ও সেদ্ধ সিমের বিচি অল্প লবণ দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। এগুলো উঠিয়ে ওই তেলে রসুন কোয়া, কমলাকুচি এবং বেশি করে পানি দিয়ে তার মধ্যে ভাজা খাসির মাংস দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কম আঁচে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি শুকিয়ে ফেলে তাতে কমলার রস দিয়ে আরেকটু জ্বাল দিতে হবে। এরপর একটি বড় প্লেটে মাংস, সিমের বিচি মাশরুম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন চারজনের জন্য।

Wednesday, October 31, 2012

বাঙালির পাতে ইতালিয়ান খাবার





মিটবল মনস্টার
মিটবল তৈরি: উপকরণ: গরুর মাংসের কিমা ৫০০ গ্রাম, মাঝারি টমেটো ২টি, মাঝারি গাজর ১টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন ছেঁচা ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ চা-চামচ, ধনেপাতা বা পার্সলে পাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ, তুলসীপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, কালো গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, জলপাই তেল ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: টমেটো খোসা ও বিচি ফেলে কুচি করে নিন। গাজর মিহি কুচি করুন। জলপাই তেল গরম করে তাতে রসুন ও পেঁয়াজ ভেজে টমেটো, গাজর ও মাংসের কিমা দিয়ে ভুনতে থাকুন। লবণ দিন। পর্যায়ক্রমে বাকি সব উপকরণ দিন। পানি শুকিয়ে এলে এই মিশ্রণ লেবুর রস দিয়ে মেখে নিন। এটি চপারে চপ করে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মাখিয়ে গোল কোপ্তার আকার করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন।
উপকরণ: লম্বা রুটি ৪ টুকরা, কুচি করা পারমিজান পনির ১ কাপ, টমেটো সস আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, পার্সলে বা ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, তুলসীপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, টমেটো কুচি আধা কাপ।
প্রণালি: রুটি মাঝখানে চিরে টমেটো সস, মিটবল ও বাকি উপকরণ পর্যায়ক্রমে দিয়ে প্রিহিটেড ওভেনে দুই মিনিট রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।

লাজানে
উপকরণ: লাজানে শিট ঘরে তৈরি করতে চাইলে—ময়দা ২ কাপ, মাখন ১ টেবিল-চামচ, ডিম ১টি, লবণ আধা চামচ, পানি পরিমাণমতো।
পানি ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে পানি দিয়ে মথে বড় পাতলা রুটি বেলে আট ইঞ্চি লম্বা ও তিন ইঞ্চি চওড়া করে কেটে নিতে হবে।
ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চা-চামচ লবণ ও ১ টেবিল-চামচ জলপাই তেল দিয়ে, লাজানে শিট দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া লাজানে শিট বিভিন্ন সুপার শপে কিনতে পাওয়া যায়।

পুরের জন্য: বাটন মাশরুম কুচি আধা কাপ, পুরভরা জলপাই সিকি কাপ, কালো জলপাই সিকি কাপ, টমেটো কুচি ১ কাপ, পার্সলে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, বেসিল গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, ইতালিয়ান সিজনিং ১ টেবিল-চামচ, রোজমেরি ১ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ঘন টমেটো পিউরি ২ কাপ, হোয়াইট সস ২ কাপ, মাংসের রান্না কিমা পছন্দমতো ভুনা করা ১ কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, সুইট চিলি সস আধা কাপ, পারমিজান পনির ১ কাপ, মজারেলা পনির ১ কাপ, রিকোটা পনির পৌনে ১ কাপ, পার্সলে পাতা ৪ টেবিল-চামচ, মাখন ৩ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: একটি ৮ ইঞ্চি লম্বা ও ৭ ইঞ্চি চওড়া ক্যাসারোল ডিশের চারপাশে ও নিচে পুরু করে মাখন লাগিয়ে নিন। এতে কিছু লাজানে শিট বিছিয়ে হোয়াইট সস ও টমেটো পিউরি দিন। তাতে মাশরুম, মাংসের কিমা ও অন্য সব উপকরণ অর্ধেক দিয়ে আবার লাজানে শিট বিছিয়ে নিন। এর ওপর আগের নিয়মে বাকি সব উপকরণ পর্যায়ক্রমে দিয়ে প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ২০-২৫ মিনিট বেক করুন। পনির গলে গিয়ে ওপরে সোনালি রং এলে গরম লাজানে পরিবেশন করতে হবে।

গ্রিল পিৎজা
রুটির জন্য
উপকরণ: ময়দা আড়াই কাপ, ইস্ট দেড় চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল-চামচ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, জলপাই তেল ১ টেবিল-চামচ, গরম পানি মাখানোর জন্য পরিমাণমতো।

প্রণালি: বাটিতে তেল ও পানি ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে পরে পানি দিয়ে মথে আবার তেল দিয়ে অল্প মথে নিন। এটি এক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। খামির ইচ্ছামতো ভাগ করে মোটা রুটি বেলে ব্রেকিং ট্রেতে তেল লাগিয়ে রুটি কিছুক্ষণ রেখে দিন। ফুলে উঠলে গ্রিলারে ১০ মিনিট গ্রিল করুন।

টপিংয়ের জন্য
উপকরণ: মুরগির মাংসের পাতলা টুকরা দেড় কাপ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, লবণ সামান্য, জলপাই তেল ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় অল্প কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।

পিৎজার জন্য
উপকরণ: মজারেলা পনির ১ কাপ, পারমিজান পনির ১ কাপ, টমেটো সস ১ কাপ, কালো জলপাই আধা কাপ, পুরভরা সবুজ জলপাই আধা কাপ, বাটন মাশরুম কুচি আধা কাপ, পার্সলে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, ইতালিয়ান সিজনিং ১ টেবিল-চামচ, বেসিল ৪ টেবিল-চামচ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি ১ কাপ, অরিগেনো ১ টেবিল-চামচ, রোজমেরি ১ টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ গোল করে কাটা ১ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: রুটির ওপর টপিং দিন। তারপর পিৎজার সব উপকরণ সাজিয়ে গ্রিলারে কিছুক্ষণ গ্রিল করে পরিবেশন করতে হবে।

ফ্লোরেন্টাইন পিৎজা
পিৎজা ডো তৈরি
উপকরণ: ময়দা আড়াই কাপ, ইস্ট ১ চা-চামচ, খাওয়ার সোডা আধা চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, তেল ৩ টেবিল-চামচ, গরম পানি মাখানোর জন্য।

প্রণালি: সব উপরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে মথে ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। পছন্দমতো ভাগ করে মোটা রুটি বেলে প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১০ মিনিট বেক করে ওভেন থেকে বের করে নিন।

পিৎজা সস তৈরি
উপকরণ: টমেটো ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি পৌনে এক কাপ, রসুন ছেঁচা ৩ টেবিল-চামচ, জলপাই তেল ৩ টেবিল-চামচ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বেসিল শুকনা গুঁড়া ১ চা-চামচ, অরিগেনো ১ চা-চামচ, সিরকা ৪ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: টমেটো পাতলা আবরণ ছাড়িয়ে কুচি করে নিতে হবে। তেল গরম করে তাতে রসুন-পেঁয়াজ ভাজতে হবে। নরম হলে মরিচ, লবণ, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে টমেটো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে বাকি উপকরণ দিয়ে নামাতে হবে।

পিৎজা তৈরি
উপকরণ: পিৎজা সস ১ কাপ, পিৎজা ডো প্রয়োজনমতো, টমেটো কুচি আধা কাপ, মাশরুম আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল-চামচ, জলপাই তেল ২ টেবিল-চামচ, ইতালিয়ান সিজনিং ১ চা-চামচ, অরিগেনো ১ চা-চামচ, পার্সলে গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া সামান্য, ক্যাপসিকাম কুচি সিকি কাপ, ডিম ১টি, কালো জলপাই ৫-৬টি, সবুজ জলপাই ৫-৬টি, ঢাকাই পনির ও মজারেলা পনির স্বাদমতো।

প্রণালি: বেক করা ডোর ওপর ঢাকাই পনির, পিৎজা সস ও মজারেলা পনির দিন। ডিম ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে ওভেনে ১০-১২ মিনিট বেক করে ওভেন থেকে নামিয়ে নিন। এবার পিৎজার ওপর পোচ করা ডিম দিয়ে মরিচ গুঁড়া, গোলমরিচ, অরিগেনো, পনির দিয়ে এক মিনিট বেক করে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Tuesday, October 30, 2012

ঈদে ঢাকাই রান্না








গরুর মাংসের গ্লাসি
উপকরণ: গরুর মাংস দেড় কেজি বড় টুকরা করে কেটে নিতে হবে। পেঁয়াজবাটা আধাকাপ, আদাবাটা দুই টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, ধনেবাটা ১ চা-চামচ, পোস্তবাটা ১ টেবিল-চামচ, দুধ ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ১০টি, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, টকদই ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ১ কাপ, মাওয়া ২ টেবিল-চামচ, এলাচি ৪টা, দারচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টা, মিষ্টি দই ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, জয়ত্রী-জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরম মসলাগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলাপজল ১ চা-চামচ।

প্রণালি: পেঁয়াজবাটা, আদা, রসুনবাটা, ধনেবাটা, জয়ত্রী-জয়ফল, সাদা গোল মরিচগুঁড়া, সিকি কাপ টকদই ও ঘি একটি পাত্রে ভালোমতো মাখিয়ে নিয়ে এভাবেই চুলায় এক ঘণ্টা রাখুন। এবার এর ওপর লবণ, দারচিনি, এলাচি, তেজপাতা দিন। অন্য একটি পাত্রে এক কাপ ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে মসলা মাখানো মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। দেখে নিন, মাংস সেদ্ধ হলো কি না। এবার কাঁচা মরিচ ও গরম মসলা মাংসের ওপর ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেল গরুর মাংসের গ্লাসি। এবার গরম গরম পরিবেশন।

নানরুটি
উপকরণ: ময়দা দুই কাপ, ইস্ট ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, ঘি ১ চা-চামচ, গুঁড়া দুধ ১ টেবিল-চামচ, পানি পরিমাণমতো, ডিম ১টা, পাকা কলা ১টা, লেবুর রস ১ চা-চামচ, চিনি আধা চামচ, খাওয়ার সোডা পরিমাণমতো।

প্রণালি: বাটিতে কলা, লেবুর রস, চিনি মিশিয়ে ভালোমতো চটকে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে ময়দা, ইস্ট, চিনি, লবণ, গুঁড়া দুধ ও পানি দিয়ে মাখান। তারপর সব উপকরণ আবার একসঙ্গে মেখে সামান্য পরিমাণ গরম পানি দিয়ে মথে একটি পাত্রে ঢেকে রেখে দিন। হয়ে গেল নানরুটির খামির। এবার ইচ্ছেমতো খামির গোলা করে সেই গোলা পরোটার মতো করে বেলে নিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত একটি পাত্রে ঢেকে রেখে দিন। তারপর রুটির মতো করে ভাজুন। ভাজা শেষ হলে ওপরে ঘি মেখে পরিবেশন।

বোরহানি
উপকরণ: টকদই ১ কেজি, পানি আধা কাপ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া চা-চামচের অর্ধেক, গোলমরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা জিরাবাটা আধা চা-চামচ, পুদিনাবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ২ চা-চামচ, চিনি তিন টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিট লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে সামান্য পরিমাণ পানিতে গুলিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। অথবা একটি পাত্রে নিয়ে ডাল ঘুটনি দিয়ে ভালোমতো ঘুটে ফ্রিজে রেখে দিন। খাবার আগে খুব ভালো করে চালনিতে ছেঁকে পরিবেশন করুন।

গরুর মাংসের কোরমা
উপকরণ: চর্বিসহ দেড় কেজি গরুর মাংস। আধা কাপ পেঁয়াজকুচি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, আধা চা-চামচ রসুনবাটা, লবণ পরিমাণমতো, ২টা দারচিনি ও এলাচি, তেজপাতা ২টা, সামান্য পরিমাণে তেল, সামান্য পরিমাণে পানি।

প্রণালি: একটি পাত্রে মাংস, আদা, রসুন, পেঁয়াজকুচি, তেজপাতা, পরিমাণমতো লবণ ও তেল দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। এবার সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে চুলায় রেখে দিন ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না মাংস গলে সেদ্ধ হবে এবং তেল ভাসা ভাসা হবে।

দইকারি
উপকরণ: গরুর মাংস আধা কেজি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আধা কাপ তেল, দারচিনি-এলাচি আস্ত ৪টা, জয়ত্রী-জায়ফলবাটা আধা চা-চামচ, চিনি অল্প পরিমাণে ও ১টা তেজপাতা।

প্রণালি: প্রথমে মাংস একটি পাত্রে ভালোমতো ধুয়ে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে তেল, পেঁয়াজ, আদা-রসুনবাটা, জিরাবাটা, ধনেগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, লবণ পরিমাণমতো, দারচিনি-এলাচি, জায়ফল-জয়ত্রী ও তেজপাতা দিয়ে মাখিয়ে এর ওপর মাংস ঢেলে চুলায় বসিয়ে দিন। এবার এর ওপর সামান্য পরিমাণে পানি দিন। মাংস যখন নরম হবে এবং তেল উঠবে, তখন এর ওপর দই ও চিনি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ অল্প আঁচে চুলায় রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর মাংস মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেল দইকারি। এবার গরম গরম পরিবেশন।

দইটিকা
উপকরণ: গরুর মাংসের কিমা দুই কাপ, টক দই এক কাপ, পেঁয়াজ ২টি, রসুনের কোয়া ৪টি, কাঁচা মরিচ ৩টি, এলাচি ২টি, পাউরুটি ২-৩ টুকরা, ঘি এক টেবিল-চামচ, কাবাবের মসলা ১ চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আদাবাটা ১ চা-চামচ, ডিম ১টা, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: একটি পাত্রে কিমা, পেঁয়াজকুচি, মিহি রসুনকুচি, মিহি কাঁচা মরিচকুচি, পাউরুটি, ঘি, কাবাবের মসলা, মরিচগুঁড়া, লবণ, আদাবাটা, টমেটো সস, সামান্য পরিমাণ ডিমের কুসুম দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে টিকিয়া বানান। সব টিকিয়া ডিমের সাদা অংশ দিয়ে মেখে গরম তেলে বাদামি করে ভাজুন। এবার অন্য একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে সামান্য পরিমাণ আদাবাটা, রসুনবাটা ও পেঁয়াজ ঢেলে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানো হলে দই, লবণ, সামান্য পরিমাণ গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে তার ওপর টিকিয়া একটা একটা করে ছেড়ে দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। এবার রান্না করা টিকিয়া একটি পাত্রে নিয়ে তার ওপর দই ও পেঁয়াজ ভাজা ছড়িয়ে দিলেই হয়ে যাবে দইটিকা। এবার গরম গরম পরিবেশন।

মিষ্টি দইয়ে মাংসের সালাদ
উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংস সেদ্ধ এক কাপ, ক্যাপসিকাম তিন রঙের তিনটি, কাঁচা মরিচকুচি ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, শসা ১টা, গাজর ১টা, পেঁয়াজ ১টি বড়, মিষ্টি দই পরিমাণমতো ও গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ।
প্রণালি: প্রথমে মাংস সেদ্ধ করে লম্বা করে কেটে নিন বা ছিঁড়ে নিন। এবার ক্যাপসিকাম, শসা, পেঁয়াজ, গাজর লম্বা করে কেটে সব একসঙ্গে মেশাতে হবে। এবার কাঁচা মরিচকুচি, লবণ, গোলমরিচ ও মিষ্টি দই দিয়ে পরিবেশন করুন।

Monday, September 24, 2012

ফিশ কেক





উপকরণ: ইলিশ মাছ (১ কেজি) ১টি, ময়দা আধা কাপ, বিস্কুটের (টেস্টি) গুঁড়া সিকি কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, সিরকা ১ টেবিল-চামচ, ফিস সস ১ টেবিল-চামচ, ওয়ারচেস্টার সয়ার সস আধা চা-চামচ, ম্যাগি সস আধা চা-চামচ, তাবাস্ক পেপার সস আধা চা-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, তেল আধা টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ ও পুদিনাপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ।
 
প্রস্তুত প্রণালি: ইলিশ মাছ আঁশ ছেড়ে, মাথা কেটে ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে দুই কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নিপুণভাবে কাঁটা বেছে নিন। সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে নিন। বেকিং ট্রেতে তেল মেখে সামান্য ময়দা গড়িয়ে নিন। মিশ্রিত উপকরণ বেকিং ট্রেতে সমানভাবে বিছিয়ে দিন। ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে প্রি-হিট ওভেনে ৫০ থেকে ৬০ মিনিট বেক করে নামিয়ে নিন।

Sunday, September 23, 2012

ইলিশ মাছের ভর্তা



উপকরণ: ইলিশ মাছের ঘাড়ের টুকরা ২টি। পাঁচ ইঞ্চি লেজের টুকরা ১টি। দেশি পেঁয়াজ ৫টি, রসুন ১টি, শুকনো মরিচ ৪টি, কাঁচা মরিচ ২টি, রাই-সরিষা ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ (স্বাদ অনুযায়ী) ও তেল ২ টেবিল-চামচ।
 
প্রস্তুত প্রণালি: ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে শুকনো মরিচ ভালোভাবে ভেজে তেল ছেঁকে শুকনো পাত্রে তুলে রাখুন। ঘাড়ের মাছ অল্প আঁচে মচমচে করে ভেজে নিন যেন কাঁটাগুলোও মচমচে ভাজা হয়। লেজের মাছ মাঝারিভাবে ভেজে কাঁটা বেছে নিন। ফ্রাইপ্যানের বাকি তেলে অন্যান্য উপকরণ ভেজে নিন। এগুলো বাদামি রং ধারণ করার আগেই নামিয়ে ফেলুন। পাটায় প্রথমে ভাজা মরিচ পিষে নিন। বাটা মরিচের সঙ্গে সব উপকরণ মসৃণ করে বেটে নিন। কাঁটাও যেন মসৃণ করে বাটা হয়।

Saturday, September 22, 2012

ইলিশের ডিমের কেক


উপকরণ: ইলিশ মাছের ডিম বড় ৪ টুকরো, ময়দা ১ কাপ, মুরগির ডিম ২টি, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, দুধ সিকি কাপ, চিনি ২ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ (স্বাদ অনুযায়ী), তেল বা মাখন আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল-চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ ও লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি: তেল বা মাখন, চিনি, সিকি চা-চামচ লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে ফেটে নিন। মাখন ও চিনির সঙ্গে একেকটি করে মোট ২টি মুরগির ডিম ফেটে নিন। অল্প অল্প দুধ দিয়ে ফেটুন ও ময়দা আলতোভাবে মিশিয়ে নিন। বেকিং কেকের পাত্রে সামান্য মাখন মেখে ময়দা ছড়িয়ে চারধারে বিছিয়ে দিন। তৈরি মিশ্রণ এই পাত্রে ঢেলে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। এক চিমটি লবণ মাছের ডিমে মেখে কেকের মিশ্রণের ওপর পাশাপাশি বিছিয়ে দিন। লেবুর রস, পেঁয়াজ, মরিচ ও পুদিনাপাতা এক চিমটি লবণ দিয়ে মেখে নিন। ডিমের পাশে খালি জায়গা পেঁয়াজ ও মরিচের মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে দিন। ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে প্রি-হিট ওভেনে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট কেক বেক করুন।

Saturday, August 25, 2012

বাগদাদি খাসির ভুনা

 
উপকরণ: লবণ ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, কেওড়া এসেন্স ২-৩ ফোঁটা। খাসির মাংস (ছোট ছোট টুকরো করা) ৫০০ গ্রাম, ঘি সিকি কাপ, পেঁয়াজ মিহি টুকরা আধা কাপ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, দারচিনি বাটা আধা চা-চামচ, এলাচি ৫টি, জিরা টেলে ফাঁকি করা ১ চা-চামচ, ধনেপাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই ১ কাপ, ২ টেবিল চামচ দুধে সিকি চামচ জাফরান ভেজানো। ঘি বা সামান্য মাখন দিয়ে ভাজা কাজু বাদাম ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ডিম সেদ্ধ ২টি। একেকটি লম্বালম্বি করে ৪ টুকরা করা।
পোস্তদানা ১ চা-চামচ, বুটের ডাল ১ চা-চামচ, শুকনা নারিকেল কোরা ২ টেবিল চামচ, পনির ঝুরি ২ টেবিল চামচ, আলুবোখারা ১টি। পোস্তদানা ও বুটের ডাল একত্রে ফাঁকি করে আলাদা রাখুন, আলুবোখারার বিচি ফেলে টেলে নিন। শুকনো নারিকেল ও পনির তাওয়ায় দিয়েই নামিয়ে ফেলতে হবে। এগুলো একত্রে অল্প পানির ছিটা দিয়ে বেটে নিন।
প্রণালি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। বাটিতে টক দইয়ের সঙ্গে আদা, রসুন, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ বাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এটি মাংসে মিশিয়ে মেরিনেট করে রাখুন তিন ঘণ্টা। মাঝারি ফ্রাইপ্যানে ঘি গরম করে অল্প আঁচে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে রান্না করুন। একটু কষানো হলে মাংসের বাটিতে সিকিকাপ পানি দিয়ে তা দিয়ে ঢেকে দিন। পানি টেনে গেলে আরও দেড় থেকে দুই কাপ গরম পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচেই মাংস সেদ্ধ হতে দিন। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে বাটা গরম মসলা ও জিরার ফাঁকি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এবারে অন্যান্য টালা, বাটা মসলা ও ফাঁকি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু হলে দুধে ভেজানো জাফরান দিয়ে ৫-৬ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর ঢাকনা খুলে কেওড়ার এসেন্স ও ১ টেবিল চামচ ঘি বা মাখনে ভাজা কাজু বাদাম দিয়ে নেড়ে ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। ঢাকনা খুলে ওপর থেকে লেবুর রস ছিটিয়ে চুলা বন্ধ করে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট দমে রাখুন। সার্ভিং ডিশে বেড়ে ওপর থেকে বাকি কাজু বাদাম ও ডিম দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Friday, August 24, 2012

মেথি ভুনা


উপকরণ: গরুর বুকের মাংস ১ কেজি, দেশি পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদের গুঁড়া দেড় চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া ২ চা-চামচ, জিরা ও গোলমরিচ দেড় চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচি ৪টি, লবণ দেড় থেকে ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, তেল আধা কাপের একটু বেশি, মেথি সিকি চামচ, পেঁয়াজ মিহি টুকরা ১ কাপ।

প্রণালি: মাংস টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। মেথি, আধা কাপ তেল এবং পেঁয়াজের টুকরা বাদে অন্য সব উপকরণ একত্রে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে মেখে হাত ধোয়া পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন।
১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে ৩ থেকে ৪ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট পর আঁচ কমিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। পানি প্রায় শুকিয়ে মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে পাশের চুলায় ফ্রাইপ্যানে আধা কাপ তেলে মেথির ফোড়ন দিন। তারপর এতে পেঁয়াজ সোনালি রং করে ভেজে মাংস তরকারি বাগার দিন। তেল ও বেরেস্তার সঙ্গে মাংস যেন ভালো করে মিশে, সেটা খেয়াল রাখবেন। আধা কাপ গরম পানি দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে রান্না করুন। মাংসের গায়ে মসলা লেগে ভুনা ভুনা হয়ে তেলের ওপরে উঠলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

খাসির শাহি কোরমা


উপকরণ: খাসির মাংস ১ কেজি, দেশি পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, দারচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টি, এলাচি ৪টি, কেওড়া ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, দেশি পেঁয়াজ মিহি কুচি ১ কাপ, লবণ ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ৪ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, কাঁচা ও পাকা মরিচ ১২টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ঘি বা তেল আধা কাপের একটু বেশি, কাজু বাদাম ও কিশমিশ (একত্রে দুধ দিয়ে বাটা) ২ টেবিল চামচ, দুধে ভেজানো জাফরান সামান্য, ক্রিম ২ টেবিল চামচ, ফুটানো গরম পানি সাড়ে তিন কাপ।

প্রণালি: কাটা মাংস সব বাটা ও গোটা গরম মসলা, তেজপাতা, টক দই ও ১ টেবিল চামচ তেল বা ঘি দিয়ে মেখে অল্প আঁচে ঢেকে চুলায় বসিয়ে দিন। আধা ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে লবণ ও সাড়ে তিন কাপ ফুটানো গরম পানি দিন। সেদ্ধ হয়ে এলে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন। ঢাকনা খুলে কাজু বাদাম ও কিশমিশ বাটা, কেওড়া, ৬টি কাঁচা মরিচ ও ২টি পাকা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। একটু পর অন্য একটি ফ্রাইপ্যানে তেল বা ঘি গরম করে পেঁয়াজ সোনালি রং করে ভেজে মাংস বাগার দিয়ে নেড়ে চিনি, ক্রিম ও দুধেভেজানো জাফরান দিয়ে হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট মৃদু আঁচে রান্নার পর একটু লেবুর রস ছিটিয়ে দিয়ে নেড়ে দিন। এবার বাকি মরিচ ও এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নাড়ুন এবং ঢেকে দিন। মাংস মজে তেলের ওপরে উঠলে চুলা বন্ধ করে ১০-১৫ মিনিট দমে রাখুন।

Thursday, August 23, 2012

ছ্যাঁচা কিমা






উপকরণ: গরুর পেছনের রানের হাড় ছাড়া মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ গোল পাতলা করে কাটা ২ কাপ, তেল ১ কাপ বা আধা কাপ, সিরকা দেড় টেবিল চামচ, ১ টেবিল চামচ গোটা জিরার সঙ্গে আধা চা-চামচ গোটা গোলমরিচের বাটা। দারচিনি ৪-৫ টুকরা, ছোট এলাচি ৬টি, লবঙ্গ ২টি একত্রে পাটায় বাটা। জায়ফল বাটা সিকি চামচ, জয়ত্রী বাটা ১ চিমটি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম পানি ৫ কাপ, লবণ ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী।

প্রণালি: গরুর মাংস চর্বি ছাড়িয়ে ছোট ছোট পাতলা টুকরা করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। মাংসগুলো পাটায় থেঁতো করে ছেঁচে নিন। কড়াইয়ে আধা কাপ তেল গরম করে মৃদু আঁচে ১ কাপ পেঁয়াজ সোনালি করে ভেজে নিন। তাতে পাটায় থেঁতো করা মাংসগুলো দিয়ে ভেজে নিন। আঁচ মাঝারি রাখবেন। সিরকা ও লবণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ মাংসটা ভেজে ঢেকে দিন। মাংস ভাজা ভাজা হলে বাকি তেল এবং পেঁয়াজ বাদে অন্য সব মসলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে বাকি ৪ কাপ গরম পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। মাংস পানি টেনে নিলে চুলার আঁচ কিছুটা কমিয়ে দিন। ফ্রাইপ্যানে বাকি আধা কাপ তেল গরম করে অবশিষ্ট পেঁয়াজ অল্প আঁচে সোনালি করে ভেজে তেলসহ বেরেস্তা মাংসে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাড়ুন এবাং ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে আরও একবার ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিন। মাংস থেকে তেল ছাড়া শুরু করলে চুলা বন্ধ করে ১০ মিনিট দমে রাখুন। বেরেস্তা মাংসে মেশানোর আগে কিছু বেরেস্তা উঠিয়ে রাখুন। এবারে পরিবেশনের পাত্রে বেড়ে ওপর থেকে বেরেস্তা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। পোলাও, পরোটা বা ভাত—যেকোনো কিছুর সঙ্গে খেতে ভালো লাগবে।

বিফ সাসলিক






উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুরপেছনের রানের মাংস ১ কেজি, লবণ ২ থেকে আড়াই চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, সরিষাগুঁড়া ১ চা-চামচের একটু বেশি, গোলমরিচের ফাঁকি আধা চা-চামচ, আদা বাটা দেড় চা-চামচ, রসুন বাটা দেড় চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া দেড় চা-চামচ, দই আধা কাপ, অয়েস্টার সস আড়াই টেবিল চামচ, সরিষার তেল আধা কাপ, টমেটো বাটা আধা কাপ, পেঁপে বাটা ২ টেবিল চামচ, গরমমশলা টেলে ফাঁকি করা দেড় চা-চামচ, জায়ফল টেলে ফাঁকি করা সিকি চামচ, জয়ত্রী টেলে ফাঁকি করা আধা চা-চামচ, লবঙ্গ টেলে গুঁড়া করা সিকি চা-চামচ, টমেটো, পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম পরিমাণ মতো, লম্বা বা মাঝারি কাঠি পরিমাণ অনুযায়ী (২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন)।

প্রণালি: মাংস ছোট ছোট টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পাটায় হালকা ছেঁচে নিন। বাটিতে আধা কাপ তেলের সঙ্গে টমেটো, পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম ছাড়া অন্য সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে ১২ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। দুই ঘণ্টা বাইরে মেরিনেটের পর ১০ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। ক্যাপসিকাম ও টমেটো ধুয়ে বিচি ফেলে চৌকো করে কেটে নিন। পেঁয়াজ ছিলে ধুয়ে লম্বায় চার ভাগ করুন। এবারে একেকটি করে কাঠি নিয়ে প্রথমে মাংসের একটি টুকরো, তারপর টমেটো, পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম গেঁথে এভাবে পরপর আরও একবার গেঁথে শেষে আরও একটি মাংসের টুকরো গাঁথুন। ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে ১ টেবিল চামচ করে সরষের তেল দিয়ে চারটি করে কাঠি একবারে দিয়ে মৃদু আঁচে রাখুন। ঢেকে দেবেন। মাঝেমধ্যে ঢাকনা খুলে কাঠি ঘুরিয়েদেবেন। মাংস টমেটো, পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম থেকে পানি ছাড়বে। সেদ্ধ হয়ে পানি টেনে হালকা লাল হলে নামিয়ে একটি ট্রেতে রাখুন। সব কটি ভাজা হয়ে গেলে আগুনে ঝলসে নিন। একটু পোড়া পোড়া হলে খেতে ভালো লাগবে। একটি প্লেটে সাজিয়ে সালাদ বা সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Tuesday, August 14, 2012

চকলেট পুডিং


উপকরণ: দুই-তিন কাপ চিনি, কোকা কাপ এক কাপের একটু কম, লবণ সিকি চা-চামচ, কর্নস্টার্চ সিকি কাপ, দুধ আড়াই কাপ, ডিমের কুসুম চারটি, মাখন দুই টেবিল-চামচ, চকলেট চার আউন্স কুচি করা।

প্রণালি: মাঝারি আকারের সসপ্যানে চিনি, কোকা পাউডার, কর্নস্টার্চ ও লবণ নেড়ে নিন। এরপর অল্প অল্প করে দুধ আর ডিমের কুসুম মেলান। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। এরপর মাঝারি আঁচে আট মিনিট জ্বাল দিন। আঁচ একদম কমিয়ে এক মিনিট নাড়ুন। আঁচ বন্ধ করে মাখন ও চকলেট মেশান; নাড়ুন। এই পুডিংয়ের ওপর প্লাস্টিকের পাতলা আবরণ দিয়ে মোড়ান। ঘণ্টা তিনেক ঠান্ডা করুন। সার্ভিং কাপে ঢেলে ওপরে অল্প চকলেট কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

Monday, August 13, 2012

সেমাই ডিলাইট


উপকরণ: দুধ দেড় লিটার, সেমাই দুই কাপ, ঘি পৌনে এক কাপ, চিনি এক কাপ, ডিম তিনটি, কর্নফ্লাওয়ার এক টেবিল-চামচ, দারুচিনি দুই-তিন টুকরা, এলাচ চারটি, কিশমিশ ও বাদাম প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: সেমাই ঘিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। দুধ জ্বাল দিয়ে চিনি ও ঘি দিয়ে একটু ঘন করতে হবে। এরপর দুধ একটু ঠান্ডা করে ডিম ভালোভাবে বিট করে দুধের সঙ্গে মেলাতে হবে।
ডিম মেশানো দুধ কম আঁচে জ্বালে রেখে কমিয়ে ফেলতে হবে। এই ঘন দুধ থেকে এক কাপ পরিমাণ আলাদা সরিয়ে রাখতে হবে ক্রিম বানানোর জন্য। এরপর বাকি দুধে ভাজা সেমাই মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে। একটা বাটিতে সেমাই ঢেলে তার ওপর বাদাম ও কিশমিশ বিছিয়ে দিতে হবে। আলাদা করা দুধে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে ক্রিম বানাতে হবে। সেমাইয়ের ওপর ক্রিম ঢেলে পরিবেশন করুন।

Sunday, August 12, 2012

ব্যানানা ম্যাশ


উপকরণ: পাকা কলা তিনটি, টকদই দুই কাপ, আমের ক্বাথ দুই টেবিল-চামচ, চিনি আধা কাপ, লবণ আধা কাপ, আদার রস এক চা-চামচ।

প্রণালি: কলা চটকে নিন। কিছু টুকরা করে রেখে দিন। কলা, আম, দই, চিনি, লবণ একটি বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। চিনি আর মাখন গলিয়ে ক্যারামেল তৈরি করুন। এতে কলার টুকরাগুলো দিয়ে জ্বাল দিন। টুকরাগুলো সোনালি হয়ে যাবে। এটি ঠান্ডা করুন।
এবার দই, কলার মিশ্রণে ক্যারামেল করা কলার টুকরা ঢেলে পরিবেশন করুন।

Saturday, August 11, 2012

তিরামিসু


উপকরণ: মারি বিস্কুট ১০টি, কফি পাউডার এক টেবিল-চামচ, হুইপড ক্রিম এক ক্যান, ঘন দুধ আধা কাপ, চিনি এক টেবিল-চামচ, চকলেট কেক দুই টুকরা, চকলেট বিস্কুট পাঁচ-ছয়টি, চকলেট ওয়েফার চার-পাঁচটি।

প্রণালি: দুধ, চিনি দিয়ে ক্রিম নেড়ে নিন। তাতে কফির গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। সার্ভিং ডিশে এই ক্রিম এক টেবিল-চামচ দিয়ে তার ওপর মারি বিস্কুট দিন। এর ওপর আবার ক্রিমের স্তর দিন। এবার চকলেট কেক দিন। তার ওপর আবার ক্রিম। এভাবে কয়েক ধাপে সাজান। ফ্রিজে সারা রাত রেখে ঠান্ডা করুন। চকলেট ওয়েফার আর বিস্কুট দিয়ে পরিবেশন করুন।

Friday, August 10, 2012

পছন্দের পোলাও


শুধু চালের পোলাও হোক বা মাংস দিয়ে বিরিয়ানি, ঈদের দিনে এমন খাবার তো চাই-ই। এ রকম কয়েক পদ রান্নার প্রণালি দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস

দম বিরিয়ানি
উপকরণ: খাসির মাংস দুই কেজি, পোলাও বা বাসমতী চাল এক কেজি, আদা বাটা তিন টেবিল-চামচ, রসুন বাটা দেড় টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বাটা চার টেবিল-চামচ, শাহি জিরা বাটা এক টেবিল-চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা-চামচ, পোস্তদানা বাটা এক টেবিল-চামচ, পেস্তা-আমন্ড-কাজুবাদাম বাটা এক টেবিল-চামচ, টকদই এক কাপ, মিষ্টিদই আধা কাপ, দারুচিনি ছয় টুকরা, ছোট এলাচ ছয় টুকরা, বড় এলাচ চারটি, লবঙ্গ আটটি, স্টার অ্যানিস দুটি, তেজপাতা চারটি, কেওড়া দুই টেবিল-চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, বেরেস্তা আধা কাপ, কিশমিশ এক টেবিল-চামচ, আলুবোখারা আটটি, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া এক চা-চামচ, মাওয়া সিকি কাপ, আলু ৫০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, সরিষার তেল সোয়া কাপ, ঘি সিকি কাপ, ঘন দুধ এক কাপ, গরম পানি ছয় কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: মাংস মাঝারি টুকরা করে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর আবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সব বাটা মসলা ও মরিচ গুঁড়া এক কাপ পানিতে গুলিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। সব বাটা মসলার রস, বাদাম বাটা, পোস্তদানা বাটা, টক-মিষ্টিদই, লবণ ও আস্ত গরম মসলা দিয়ে মাংস মাখিয়ে তিন-চার ঘণ্টা রাখতে হবে। আলুতে লবণ মাখিয়ে ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে। চাল ধুয়ে ২০-২৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। কেওড়ার জলে জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে। যে হাঁড়িতে বিরিয়ানি রান্না করতে হবে, সেই হাঁড়িতে মাংস বিছিয়ে মাংসের ওপর আলুবোখারা ও ভাজা আলু বিছিয়ে তার ওপর চাল দিয়ে কাঁচা মরিচ, গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ, কিশমিশ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু কুচি, কেওড়ায় ভেজানো জাফরান, সরিষার তেল, মাওয়া, দুধ, বেরেস্তা ও গরম পানি দিতে হবে। ময়দা মাখিয়ে আধা ইঞ্চি পুরু রুটি বেলে বিরিয়ানির হাঁড়ির ওপর রুটি এমনভাবে এঁটে দিতে হবে, যাতে হাঁড়ির ভেতরের কোনো বাতাস বাইরে বের হতে না পারে এবং রুটির ওপর ঢাকনা এমনভাবে দিতে হবে, যাতে রুটির সঙ্গে ঢাকনা লেগে না যায়। এরপর মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট, কম আঁচে ২০ মিনিট ও ঢিমে আঁচে ২৫ মিনিট দমে রাখতে হবে। পরিবেশনের আগে ঢাকনা খুলে সিল করা রুটি ছুরির আগা দিয়ে উঠিয়ে নিতে হবে। ধোঁয়া ওঠা গরম গরম দম বিরিয়ানি কাবাব, বোরহানি ও সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

সিন্ধি বিরিয়ানি
উপকরণ: পোলাওর চাল বা বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, ঘি আধা কাপ, তেল আধা কাপ, মুরগির স্টক তিন কাপ, মুরগির মাংস (মাঝারি আকারের টুকরা) এক কেজি, আনারসের রস (হালকা হলুদ রং দিয়ে জ্বাল দেওয়া) এক কাপ, আদা বাটা দুই টেবিল-চামচ, রসুন বাটা এক টেবিল-চামচ, বেরেস্তা পৌনে এক কাপ, পেঁয়াজ বাটা দুই টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ সাত-আটটি, তেজপাতা তিন-চারটি, দারুচিনি ছয়-সাত টুকরা, এলাচ চারটি, স্টার অ্যানিস দুটি, লবঙ্গ ছয়-সাতটি, লবণ স্বাদমতো, পেস্তা বাদাম, কিশমিশ, কাজু আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া এক চা-চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, মালাই আধা কাপ, মাওয়া গুঁড়া আধা কাপ, টকদই আধা কাপ ও টমেটোর সস তিন টেবিল-চামচ।

প্রণালি: চাল আধা সিদ্ধ করে মাড় ঝরাতে হবে। আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া, বাদাম বাটা, লবণ, অর্ধেকটা গরম মসলা ও তেজপাতা দিয়ে মাংস মাখিয়ে দুই ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে তাতে মসলা থেকে মাংস উঠিয়ে ওই মসলা দিয়ে কষাতে হবে। তারপর দই ও মাংস দিয়ে কষাতে হবে ও এক কাপ গরম পানি দিতে হবে। ঝোল কমে এলে টমেটোর সস দিয়ে ভুনা ভুনা করে লবণ চেখে নামাতে হবে। ঘি গরম করে পেস্তা বাদাম, কিশমিশ, কাজু ভেজে ওঠাতে হবে এবং ওই ঘি দিয়ে আধা সিদ্ধ চাল মেখে রাখতে হবে। হাঁড়িতে প্রথমে কিছু চাল, কিছু বেরেস্তা, কিছু মাওয়া আবার কিছু চাল, রান্না মাংস, কিছু কাজু, পেস্তা, বাদাম, কিশমিশ, মাওয়া, চাল, মাংস এভাবে দিতে হবে। এরপর আনারসের রস, কেওড়া, মালাই, কাজুবাদাম, কিশমিশ দিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট দমে রাখতে হবে।

মুগডালের বিরিয়ানি
উপকরণ: গরুর মাংস দুই কেজি, পোলাওর চাল এক কেজি, মুগডাল আধা কেজি, ঘি এক কাপ, পেঁয়াজ বাটা দুই টেবিল-চামচ, আদা বাটা দুই টেবিল-চামচ, রসুন বাটা এক টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, দারুচিনি সাত-আট টুকরা, এলাচ ছয়-সাতটি, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা টেবিল-চামচ, তেজপাতা চার-পাঁচটি ও টকদই পৌনে এক কাপ।

প্রণালি: মাংস টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তাতে টকদই মাখিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রাখতে হবে। তেল গরম করে কিছু দারুচিনি ও এলাচের ফোড়ন দিয়ে তাতে আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি ভাজতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে পেঁয়াজ বাটা ও অর্ধেকটা আদা ও রসুন বাটা দিয়ে মাংস কষাতে হবে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস সিদ্ধ করতে হবে। ঝোল শুকিয়ে এলে গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে চুলা থেকে নামাতে হবে। মুগডাল ভেজে, ধুয়ে, গরম পানি দিয়ে এমনভাবে সিদ্ধ করতে হবে, যাতে ডাল গলে না যায়। চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। ঘি গরম করে বাকি পেঁয়াজ কুচি বাদামি রং করে ভেজে তাতে অবশিষ্ট বাটা মসলা ও গরম মসলা দিয়ে কষিয়ে চাল ভাজতে হবে। চাল ভাজা হলে গরম পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে লবণ ও ডাল দিতে হবে। পানি কমে এলে চিনি দিতে হবে।
পোলাওর পানি শুকিয়ে গেলে হাঁড়ি থেকে কিছুটা পোলাও উঠিয়ে কিছু মাংস ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আবার পোলাও দিয়ে ওপরে মাংস ও কাঁচা মরিচ ছিটিয়ে এভাবে তিন স্তরে সাজিয়ে দমে দিতে হবে। মুগডালের বিরিয়ানি কাবাব ও সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

কাশ্মীরি পোলাও
উপকরণ: পোলাওর চাল এক কেজি, ঘি এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাজুবাদাম আধা কাপ, গাজর (ছোট ছোট কিউব করে কাটা) আধা কাপ, পেস্তা আধা কাপ, দারুচিনি চার টুকরা, এলাচ ছয়টি, কিশমিশ সিকি কাপ, কাঠবাদাম আধা কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ, গোলাপজল এক টেবিল-চামচ, লেবুর রস দুই টেবিল-চামচ, চিনি দুই চা-চামচ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু বাটা দুই টেবিল-চামচ, ঘন দুধ এক কাপ, মালাই এক কাপ, গরম পানি ছয় কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: দুধ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু বাদাম বাটা, জাফরান, গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে ২০-২৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। পেস্তা, আমন্ড, কাজু, কিশমিশ ঘিয়ে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। গরম ঘিয়ে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে উঠিয়ে রাখতে হবে। চাল ঘিয়ে ভেজে তাতে দারুচিনি, এলাচ ও গাজর দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে লবণ ও লেবুর রস দিতে হবে। এরপর চালের পানি কমে গেলে দুধ বাদাম বাটা ইত্যাদির মিশ্রণ দিয়ে দমে রাখতে হবে। ২০-২৫ মিনিট পর মালাই ও কিছুটা কিশমিশ, কাজু, পেস্তা, আমন্ড ভাজা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে। কাশ্মীরি পোলাও পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে বাকি কিশমিশ, কাজু, পেস্তা ও আমন্ড ভাজা ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

Thursday, August 9, 2012

ফিশ টিক্কা



উপকরণ: ম্যাগি স্বাদ-এ-ম্যাজিক ১ প্যাকেট, ভেটকি মাছ ১ কাপ, বেসন ২ টেবিল চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ভেটকি মাছ ফিলে করে ২ ইঞ্চি আকারে কিউব করে নিন।
২. সব উপকরণ মিশিয়ে নিন।
৩. ম্যাগি স্বাদ-এ-ম্যাজিক মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ছয়-সাত মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।
৪. এরপর মাছ গ্রিল করুন বা ফ্রাই প্যানে ভেজে পরিবেশন করুন।