Monday, April 30, 2012

রসকদম


উপকরণ: ছানা ৩০০ গ্রাম, চিনির দানা ১ কাপ, ছোট চমচম পরিমাণমতো, চিনি ১ কাপ, গোলাপজল ১ চা চামচ, মাওয়া ২০০ গ্রাম।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ছানা ভালো করে পেস্ট করে নিন।
২. এরপর ছানা, চিনি, মাওয়া ও গোলাপজল দিয়ে কড়াইয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো ভাব হলে নামিয়ে ফেলুন।
৩. ঠাণ্ডা হলে ভেতরে ছোট চমচম পুর হিসেবে ভরে চিনির দানায় গড়িয়ে নিন, যেন চিনির দানায় সবটা ঢেকে থাকে।
৪. ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।

Sunday, April 29, 2012

চকোলেট সন্দেশ


উপকরণ : ছানা ২ কাপ, চকোলেট পাউডার পরিমাণমতো, ঘি ৩ টেবিল চামচ, চিনি গুঁড়ো ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, এলাচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ছানা, চিনি গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো, গুঁড়ো দুধ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন।
২. কড়াইয়ে মিশ্রণ দিয়ে তিন মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন, যেন পানি না থাকে।
৩. কড়াই থেকে নামিয়ে ঘি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি দুই ভাগে ভাগ করুন। এক ভাগে চকোলেট পাউডার, অন্য ভাগ সাদা রাখুন।
৪. ইচ্ছামতো আকারের ছাঁচে দিয়ে তৈরি করুন।

ছানার কাটলেট


উপকরণ: ছানা দেড় কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, ডিম (সাদা অংশ) ১টি।

ছানা তৈরি: দুধ ৮ কাপ, সিকি কাপ লেবুর রস নিন। দুধ ফুটে উঠলে লেবুর রস দিয়ে দিন, দুধ ফেটে গেলে পানি ঝরিয়ে ছানা তৈরি করে নিন।

প্রণালি: ছানার সঙ্গে সব উপকরণ ভালোভাবে মাখিয়ে কাটলেট তৈরি করে ভেজে নিন।

Saturday, April 28, 2012

ব্রেড চিকেন রোল


উপকরণ: পাউরুটি ৮ টুকরো, তরল দুধ দেড় কাপ, মুরগির মাংস আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, গরম মসলা আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১ টেবিল চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চামচ, লবণ স্বাদমতো, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেল আধা কাপ।

প্রণালি: তেল গরম করে সব উপকরণ দিয়ে ভেজে পুর তৈরি করে নিন। পাউরুটি দুধে ভিজিয়ে চেপে চেপে বাড়তি দুধ ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার ভেতরে পুর ঢুকিয়ে রোল বানিয়ে নিন। এরপর তেলে ভাজুন।

Friday, April 27, 2012

প্রণ বল


উপকরণ: ছোট চিংড়ি ১ কাপ, পাউরুটি ৩ কাপ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস ১ চা-চামচ, ডিম ১টি, স্বাদ লবণ সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: পাউরুটির চারপাশ কেটে ছোট টুকরো করে নিন। চিংড়িতে বাকি সব উপকরণ মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এবার পাউরুটিতে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন।

Thursday, April 26, 2012

পাকা কলার কাস্টার্ড


উপকরণ: কাস্টার্ড সস, ডিমের কুসুম ২টি, চিনি আধা কাপ, কাস্টার্ড পাউডার ২ টেবিল চামচ, দুধ (মৃদু গরম) আধা লিটার। পাকা (সাগর) কলা ২টি, ইচ্ছা হলে কেক, রসগোল্লা ইত্যাদি মিশিয়ে পরিবেশন করা যায়।

প্রণালি: ডিমের কুসুম ও চিনি একসঙ্গে মেশাতে হবে। সিকি কাপ দুধে কাস্টার্ড পাউডার গুলিয়ে নিয়ে কুসুমসহ মিশিয়ে দুধ মৃদু আঁচে চুলায় বসিয়ে নাড়তে হবে। কাস্টার্ড সস ফুটে ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। পাকা কলা টুকরা করে ঠান্ডা কাস্টার্ড সস দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

Wednesday, April 25, 2012

কাঁচাকলার কাটলেট


উপকরণ: সেদ্ধ কাঁচাকলা (বেটে নেওয়া) ১ কাপ, মুরগির মিহি কিমা আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজের মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের মিহি কুচি আধা চা-চামচ, ধনেপাতার কুচি ১ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ফেটানো ডিম ১টি, টোস্টের গুঁড়া ১ কাপ, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি: ডিম, টোস্টের গুঁড়া ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ তৈরি করে কাটলেট আকারে গড়ে নিতে হবে। তারপর ডিমের গোলায় ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়া মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

Tuesday, April 24, 2012

সবজিপুরি


উপকরণ: ময়দা ৩ কাপ, বরবটি, আলু, গাজর দেড় কাপ (পছন্দের যেকোনো সবজি ব্যবহার করতে পারেন), টমেটো আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, মরিচ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়া আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, তেল পরিমাণমতো, ধনে পাতা ১ চা-চামচ, কালো জিরা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: ময়দায় সামান্য তেল ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে আন্দাজমতো পানি দিয়ে ময়ান করে নিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ সামান্য ভেজে সবজি, আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিন। সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে টমেটো দিয়ে দিন। কাঁচা মরিচ ও ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার রুটি বেলে দুই পাশে ভাঁজ করে পুর ঢুকিয়ে অপর প্রান্ত থেকে দুটি ভাঁজ দিয়ে চারকোনা একসঙ্গে করে, গোল করে ছোট রুটি বেলে ডুবো তেলে ভাজতে হবে।

থোড় ছেঁচকি


উপকরণ: কচি থোড় ২ কাপ, আস্ত সরষে আধা চা-চামচ, শুকনো মরিচ ২-৩টি চিনি ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, নারকেলবাটা ১ টেবিল চামচ, তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: কচি দেখে থোড় পাতলা ও চাকচাক করে কেটে নিতে হবে। কাটার সময় একধরনের আঁশ ওঠে। সেগুলো ফেলে দিয়ে চাকগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। তারপর পানি ঝরাতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে সরষে ও শুকনো মরিচের ফোড়ন দিতে হবে। থোড়গুলো দিয়ে তাতে লবণ ও চিনি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিতে হবে। থোড় সেদ্ধ হয়ে এলে নারকেলবাটা দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায় মজাদার থোড় ছেঁচকি।

Monday, April 23, 2012

মোচা-চিংড়ির পাতুরি


উপকরণ: কলার মোচা (সেদ্ধ করা) ২ কাপ, চিংড়ি মাছ ১ কাপ, নারকেলবাটা ২ টেবিল চামচ, সরষেবাটা (দুটি কাঁচামরিচসহ) ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের ফালি ২-৩টি, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, সরষের তেল ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, কলাপাতা ও সুতা পরিমাণমতো।

প্রণালি: কলাপাতা ও সুতা ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে যত্ন করে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিন। কলাপাতার মধ্যে মাখানো মোচা রেখে সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে ফ্রাইপ্যানে সরষের তেল দিয়ে পাতুরিগুলো এপিঠ-ওপিঠ করে ভাজতে হবে। গরম গরম ভাতের সঙ্গে মোচা-চিংড়ির পাতুরি পরিবেশন করা যায়।

Friday, April 20, 2012

কাঁচা আমের টক-ঝাল-মিষ্টি





কাঁচা আম উঠেছে বাজারে। এই গরমে টক টক আমের স্বাদে পাবেন তৃপ্তি। শরবত, ভর্তা বা চাটনি—দেখে নিন নাসরিন আলমের রেসিপিগুলো।

আমের অম্বল
উপকরণ: আম কুচানো ২ কাপ, পানি ১২ কাপ, হলুদগুঁড়া সিকি চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গুড় বা চিনি ২ টেবিল-চামচ বা স্বাদমতো, লবণ ১ চা-চামচ।
বাগাড়ের জন্য: তেল ১ টেবিল-চামচ, পাঁচফোড়ন টেলে গুঁড়া করা ১ চা-চামচ, রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: আম, পানি, লবণ ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ৬ কাপ আন্দাজ হয়ে এলে গুঁড় বা চিনি ও মরিচগুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে নিতে হবে। অন্য প্যানে তেল গরম করে রসুন দিয়ে নাড়তে হবে। রসুনে রং ধরলে ফোড়নগুঁড়া দিয়ে নেড়ে সেদ্ধ আমে ঢেলে দিতে হবে। অম্বল গরমের দুপুরে খাওয়ার পর খেতে অনেক ভালো লাগে।

কাঁচা আমের ভর্তা
উপকরণ: কাঁচা আম কুচি ২ কাপ, সরিষাবাটা ২ টেবিল-চামচ, ২টা কাঁচা মরিচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, লেবুপাতার কুচি
২-৩টা।
প্রণালি: সব দিয়ে আম মেখে নিন। ভাতের সঙ্গে তো চলবেই। খালি মুখেও খেতেও পারবেন।

আমের ঠান্ডাই
উপকরণ: সেদ্ধ আমের টুকরা ১ কাপ, চিনি স্বাদমতো, লবণ স্বাদমতো, ভাজা জিরাগুঁড়া স্বাদমতো, শুকনা মরিচ টেলে গুঁড়া স্বাদমতো, সাজানোর জন্য (গ্লাস), লেবুর রস,
বিট লবণ।

প্রণালি: লেবুর রসে গ্লাস উল্টো করে একটু ডুবিয়ে তারপর বিট লবণে ডুবিয়ে নিতে হবে। এতে গ্লাসের গায়ে লেবু, লবনের একটা প্রলেপ পড়বে। চুমুক দিলে মজার স্বাদ পাবেন।
ব্লেন্ডারে সেদ্ধ আম, লবণ, চিনি, জিরাগুঁড়া, শুকনা মরিচগুঁড়া, পানিসহ খুব করে ব্লেন্ড করে পাতলা কাপড়ে ছেঁকে খুব ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন।

আমের চাটনি
উপকরণ: কাঁচা আম সেদ্ধ ২ কাপ (কুচি), নারকেল কুরানো ১ কাপ, গুড় ২ টেবিল-চামচ বা চিনি, কাঁচা মরিচ ৪টা, সরিষা (আস্ত) ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ২-৩টা, রসুনকুচি ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: আমের কুচি লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ১ ঘণ্টা পর খুব ভালোভাবে ধুয়ে অল্প পানিতে সেদ্ধ করে নিতে হবে। আম সেদ্ধ হয়ে এলে লবণ ও গুড় দিতে হবে। নারকেল, সামান্য লবণ, কাঁচা মরিচ, সরিষা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে নারকেলের পানি দিয়ে। সেদ্ধ আমে নারকেলের বাটা মিলিয়ে নিতে হবে। সার্ভিং ডিশে ঢেলে নিতে হবে।
অন্য প্যানে তেল গরম করে সরিষা, রসুন ও শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে আমের ওপর দিয়ে পরিবেশন। খাওয়ার আগে মিশিয়ে নিতে হবে।

আগুন ছাড়া রান্না!




শুধু কী চুলার আগুনেই রান্না হবে? মোটেও না, মাঝেমধ্যে স্বাদবদলের জন্য ওভেনেও করতে পারেন নানা পদ। দেখে নিন সাইদা বেগমের দেওয়া বেকড খাবারের রেসিপিগুলো

গরুর কিমা আর ম্যাশড পটেটো
উপকরণ: আলু ১ কেজি, গরুর মাংস (কিমা) ১ কেজি, পনিরের ঝুরি ১ কাপ, মাখন ৩ টেবিল চামচ, ময়দা ৩ টেবিল চামচ, দুধ ২ কাপ, গোলমরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি ফ্লেক্স ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ চা-চামচ, ম্যাগিসস ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি: আলু ধুয়ে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে চুলায় শুকিয়ে নিন। সেদ্ধ আলুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে মসৃণ করে ছেনে নিন। কিমা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে লবণ, ও সস ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ১ টেবিল চামচ তেলে ভেজে নিন। অল্প আঁচে মাখন ও ময়দা ২ মিনিট ভেজে নিন। দুধ মিলিয়ে ৮ মিনিট পর্যন্ত নেড়েচেড়ে জ্বাল দিয়ে হোয়াইট সস তৈরি করুন। নামানোর আগে গোলমরিচের গুঁড়া দিন ও লবণ দিন। ওভেন প্যানে মাখন মেখে ১ ইঞ্চি পুরু আলু বিছান। তার ওপরে আধা ইঞ্চি কিমা বিছান। কিমার ওপর আধা ইঞ্চি হোয়াইট সস বিছান। একইভাবে দ্বিতীয় স্তর সাজিয়ে ওপরে পনির ঝুরি দিন। পনিরে চিলি ফ্লেক্স বিছিয়ে দিন। ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রি-হিট ওভেন ৩০-৪০ মিনিট বেক করুন। ওপরে বাদামি রং ধারণ করলে নামিয়ে নিন। পরে পরিবেশন করুন।

বেকড পাস্তা
উপকরণ: পাস্তা সেদ্ধ ২ কাপ, একটি মুরগির বুকের মাংস, মাখন ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, চিলি ফ্লেক্স আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ১ টেবিল চামচ, দুধ ২ কাপ, পনির ঝুরি ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালি: মুরগির বুকের অংশ ছোট করে টুকরো করে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। দুধে আধা চামচ লবণ দিয়ে মুরগি সেদ্ধ করে ছেঁকে নিন। প্যানে মাখন দিয়ে অল্প আঁচে ময়দা ২ মিনিট ভেজে মাংস ছাঁকা দুধ দিয়ে ১০ মিনিট পর্যন্ত নেড়েচেড়ে হোয়াইট সস তৈরি করুন। গোলমরিচ মিশিয়ে নামিয়ে নিন। হোয়াইট সস, মুরগির মাংস ও সেদ্ধ পাস্তা একত্রে মিলিয়ে নিন। বেকিং ট্রেতে মাখন মেখে অর্ধেক পাস্তা বিছিয়ে দিন। ওপরে পনির বিছিয়ে দিন। বাকি পাস্তা দিয়ে একইভাবে আরেকটি স্তর দিন। ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিটে ৩০-৪০ মিনিট বেক করুন। ওপরে সোনালি রং ধারণ করলে নামিয়ে নিন। পরে পরিবেশন করুন।

হান্ডি কাবাব
উপকরণ: মুরগি ১টি, ডিম ১টি, পাউরুটি বড় ১ পিস, ঘন দুধ ২ টেবিল চামচ, লবণ সিকি চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, চিলি ফ্লেক্স আধা চা-চামচ, সয়াসস ঘন আধা চা-চামচ, ওয়েচেস্টার শায়ার সস আধা চা-চামচ, ম্যাগি সস আধা চা-চামচ, মাখন ২ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি: হাড় থেকে মুরগির মাংস ছাড়িয়ে নিন। মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। মেশিনে বা পাটায় মসৃণ করে বেটে নিন। ডিম ভেঙে দুধের সঙ্গে ফেটে নিন। ডিমের সঙ্গে রুটি গুঁড়া করে ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। বাকি উপকরণগুলো দিয়ে রুটি ভালোভাবে চটকে নিন। এবার বাটা মুরগির সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। রুটির প্যানের মধ্যে মাখন মাখানো কাগজ কেটে বিছিয়ে নিন। এবার একত্রে মেলানো উপকরণগুলো প্যানের মধ্যে সমান করে বিছিয়ে দিন। ওপরে একটু মাখনের প্রলেপ দিন। ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিটে ৪০-৫৫ মিনিট বেক করুন। ওপরে সোনালি রং ধারণ করলে নামিয়ে নিন। পরে পরিবেশন করুন।

Saturday, April 14, 2012

সর্ষে ইলিশ ভাজা


উপকরন: ইলিশি মাছ ৮/১০ টুকরো, সর্ষে ২ চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৭/৮টি (ঝাল বেশী খেলে আরো নিতে পারেন), পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন ৩/৪ কোয়া, হলুদ ১ চা-চামচ, তেল, লবন পরিমান মত, লেবুর রস আধ কাপ ।


প্রনালি: সর্ষের সাথে লবন, কাঁচামরিচ, ও রসুন দিয়ে মিহি করে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তাতে মসলা ও সর্ষে বাটা দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিন মিনিট ১৫। ফ্রাই প্যানে অল্প পরিমান তেল গরম করুন। মাখা মাছ মসলা সহ তেলের উপর সাজিয়ে দিন। মসলা সবটুকু মাছের উপর দিয়ে দিন। অল্প আঁচে রাখুন। একদিক ভাজা হয়ে গেলে সাবধানে উলটে দিন। বাদামী করে ভেজে তুলুন। লেবুর রস মিশিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।


Friday, April 13, 2012

তেতোয় চৈত্রসংক্রান্তি





চৈত্রসংক্রান্তি অর্থাৎ বাংলা বছরের শেষ দিনে তেতো খাবারের চল আছে। ভাত, ডাল আর তেতো নানা পদে হয়ে যাক এদিনের রসনাবিলাস। এমন কয়েক পদ রান্না দিয়েছেন নাজমা হুদা।

নিমপাতার সুক্তো
উপকরণ: বেগুন আধা কাপ, আলু আধা কাপ, শজিনা আধা কাপ, মিষ্টি কুমড়া আধা কাপ, কুমড়ো বড়ি ৫-৬টি, নিমপাতা ৫-৬টি, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, হলুদ সামান্য, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: কড়াইতে তেল দিয়ে কুমড়ো বড়ি হালকা লাল করে ভেজে তুলতে হবে। এবার তেলে পেঁয়াজ দিয়ে মসলা কষাতে হবে। পরে সবজি দিয়ে কষাতে হবে। বড়ি দিয়ে পানি দিতে হবে। সেদ্ধ হলে নামিয়ে অন্য একটি পাত্রে তেলে নিমপাতা ফোড়ন দিয়ে তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিন। সবজি দিয়ে একটু চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

থানকুনিপাতার ভর্তা
উপকরণ: থানকুনিপাতা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ২টি, রসুনের কোয়া ২টি, লবণ স্বাদমতো, তিল ২ টেবিল-চামচ, কালিজিরা ১ চা-চামচ।

প্রণালি: সব একসঙ্গে বেটে ভর্তা তৈরি করতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন (সব পাতা ধুয়ে পানি মুছে নিতে হবে)।

পাটশাকের পিঠালি ভাজা
উপকরণ: পাটশাক ১ আঁটি, চালের গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজকুচি ৩টি, মরিচকুচি ২টি, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া সামান্য।

প্রণালি: পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, লবণ ও লেবুর রস একসঙ্গে মেখে পুর তৈরি করে নিতে হবে। চালের গুঁড়ার সঙ্গে লবণ ও মরিচগুঁড়া দিয়ে গোলা তৈরি করে নিতে হবে। এবার পাটশাক চারটি নিয়ে বিপরীত দিকে (ডাঁটাগুলো বের হয়ে থাকবে) ভেতরে পুর ভরে এক প্যাঁচ দিয়ে গিঁট দিতে হবে। সব করা হয়ে গেলে চালের গুঁড়ার গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

পুরভরা করলা
উপকরণ: করলা ২৫০ গ্রাম (বড়), টমেটোর কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, আমচুর গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল-চামচ, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো।

প্রণালি: করলার গা চেঁছে সমান করে নিতে হবে। এবার পেটের একদিক চিরে সব বিচি বের করে নিতে হবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে মেখে করলার পেটে ভরে সুতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে করলা ভেজে তুলতে হবে। সুতা খুলে ওপরে সস দিয়ে পরিবেশন।

নববর্ষে মিষ্টিমুখ





উপলক্ষটা আনন্দের, মিষ্টিমুখ তো হবেই। তবে সেটা বাড়িতে তৈরি হলে তো মজাটাই অন্য রকম। এখনই বানিয়ে রেখে দিতে পারেন কয়েক রকমের লাড্ডু। দেখুন ফাতিমা আজিজের দেওয়া রেসিপিগুলো

নারকেলের শাহি লাড্ডু

উপকরণ: নারকেল কোরানো ২ কাপ অর্থাৎ বড় একটি নারকেল, ঘি ২ টেবিল-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, কাজুবাদাম ২ টেবিল-চামচ (টেলে আধা ভাঙা), কিশমিশ ২ টেবিল-চামচ, আখরোট ২ টেবিল-চামচ (টেলে আধা ভাঙা), মাওয়া আধা কাপ, টেলে নেওয়া এলাচগুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি: কুরানো নারকেল ফ্রাইপ্যানে ঘি গরম করে অল্প আঁচে ভেজে নিন কিছুক্ষণ।
তারপর চুলার আঁচ মাঝারি করে এতে চিনি ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে নাড়তে হবে। যখন আঠালো হয়ে আসবে, তখন আখরোট, কাজুবাদাম ও কিশমিশ দিয়ে নাড়তে হবে।

এবারে নারকেলের সঙ্গে মাওয়া দিয়ে ভালো করে মেশাতে ও নাড়তে হবে।
একেবারে মাখা মাখা হয়ে এলে এলাচগুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন।
কিছুটা ঠান্ডা হলে দুই হাতের তালুতে পানি মেখে নারকেল একটু একটু করে নিয়ে গোল করে লাড্ডু তৈরি করুন।
নারকেলের লাড্ডুটা বেশি দিন সংরক্ষণ করা যাবে না, তবে বায়ুরোধী বক্সে তিন-চার দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে খাওয়া যাবে। এই লাড্ডু বৈশাখের বিকেলে খেলে দারুণ ভালো লাগবে।

বেসনের লাড্ডু

উপকরণ: বুটের ডাল থেকে ভাঙিয়ে নেওয়া বেসন-২ কাপ, কাজুবাদাম টেলে নিয়ে হালকা ভেঙে নিতে হবে ৭টি, ঘি আধা কাপ, পাটায় পিষে চিনিগুঁড়া করে নিতে হবে ১ কাপ, এলাচ টেলে গুঁড়া করা আধা চা-চামচ, রুপালি তবক সাজানোর জন্য।

প্রণালি: ২ কাপ বেসন চালুনি দিয়ে চেলে আলাদা করে রাখুন। কড়াইয়ে ঘি গরম করে চুলার জ্বাল কমিয়ে বেসন ভালো করে ভাজতে হবে। ভাজতে ভাজতে যখন সুন্দর ঘ্রাণ ছড়াবে, তখন কাজুবাদাম ও এলাচগুঁড়া দিয়ে নেড়ে বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে সামান্য ঠান্ডা করে নিন। বেসন ভাজার জন্য আনুমানিক ৩০ মিনিট লাগবে। তবে যেন পুড়ে না যায়, তাই অনবরত নাড়তে হবে। ভাজা বেসনে চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

সবশেষে হাতের তালুতে বেসনের মিশ্রণ নিয়ে লাড্ডুর আকারে তৈরি করুন। ওপরে রুপার তবক ছড়িয়ে পরিবেশন।
এই লাড্ডু আগে বানিয়ে বায়ুরোধী বক্সে রেখে দিন। পরিবেশনের আগে তা পরিবেশন পাত্রে বরে করে সাজিয়ে রাখুন।
বেসনের লাড্ডু দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বায়ুরোধী বাক্সে ফ্রিজে রেখে দিলে ভালো থাকবে। ফ্রিজ থেকে বের করে মাইক্রো ওয়েভে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড গরম করে পরে খাবেন।

মুগডালের লাড্ডু

উপকরণ: মুগডাল ৫০০ গ্রাম, মাখন ২০০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ (পাটায় পিষে গুঁড়া করা)। গুঁড়া দুধ (যদি প্রয়োজন হয়) আধা কাপ।

প্রণালি: মুগডাল ঝেড়ে-বেছে, ধুয়ে ৭-৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর আবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
চুলায় আঁচ কমিয়ে কড়াই বা ফ্রাইপ্যানে মুগডাল ভেজে নিন। বেশ ভালোভাবে ভাজা হলে ঠান্ডা করে পাটায় মিহি গুঁড়া করে নিন। একবার চেলে নিয়ে চালুনিতে যে অবশিষ্টাংশ থাকবে, তা আবারও মিহি করে পিষে নিন।
কড়াই বা ফ্রাইপ্যানে মাখন গরম করে ডালের গুঁড়া ভালো করে ভেজে নিন। লালচে হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে গুঁড়া করা চিনি মিশিয়ে নাড়তে হবে। তারপর যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে হাতের তালুতে একটু একটু করে নিয়ে লাড্ডুর আকারে তৈরি করে পরিবেশন পাত্রে রাখুন। ইচ্ছে হলে একটু মাওয়া ছিটিয়ে দিতে পারেন।

মুগডালের লাড্ডুও বেসনের লাড্ডুর মতো একইভাবে রেফ্রিজারেটরে রেখে ১০-১২ দিন সংরক্ষণ করা যাবে।

গাজরের শাহি লাড্ডু

উপকরণ: গাজর ৫০০ গ্রাম, ঘি সিকি কাপ, চিনি ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, এলাচগুঁড়া আধা চা-চামচ (টেলে গুঁড়া করা), কিশমিশ ২ টেবিল-চামচ, বাদামকুচি ২ টেবিল-চামচ, পেস্তাকুচি ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: গাজর ধুয়ে ছিলে নিন। কুরুনিতে মিহি ঝুড়ি করুন। ফ্রাইপ্যানে ঘি গরম করে ঝুড়ি করা গাজর মাঝারি আঁচে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভাজুন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে কিছুক্ষণ নেড়ে আবার ঢেকে রাখুন। ভাপে গাজর সেদ্ধ হয়ে এলে চিনি ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।

নাড়তে নাড়তে যখন শুকিয়ে আঠালো হয়ে আসবে, তখন কিশমিশ, বাদামকুচি, পেস্তাকুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এলাচগুঁড়া ও গুঁড়া দুধ দিয়ে ভালো করে নেড়ে গাজরের সঙ্গে মেশাতে হবে। সম্পূর্ণভাবে মিশে গেলে নাড়তে যখন একটু কষ্ট হবে বা ভারী মনে হবে, তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। গরম থাকতেই একটি পাত্রে উঠিয়ে লাড্ডুর জন্য আলাদা ভাগে রাখুন।

হাতে পানি লাগিয়ে একেকটি ভাগ তালুতে নিয়ে লাড্ডুর আকারে তৈরি করে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে লাড্ডু পরিবেশন করুন।

এই লাড্ডু পাঁচ থেকে সাত দিন বায়ুরোধী বক্সে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। তবে ফ্রিজ থেকে বের করে ২০ সেকেন্ড মাইক্রো ওভেনে গরম করে পরিবেশন করতে পারেন।