Friday, December 21, 2018

বড়দিনে সান্তা ক্লজ কেক


আর মাত্র তিন দিন তার পরেই সবার জন্য উপহার নিয়ে চলে আসবে সান্তা ক্লজ মানে বড়দিন। আর বড়দিনে আয়োজন সান্তা ক্লজকে ছাড়া কখনো সম্পূর্ণ হয়েছে এমনটা কি কেউ কখনো শুনেছেন? সান্তার গাড়ি, বেয়ার, শ্নো ফল, ক্রিসমাস ট্রি সবই তো থাকবে। তাহলে এবারের কেক ডিজাইনে সান্তা ক্লজ কেনো বাদ যাবে? চলুন এবারের বড়দিনের কেক আমরা সান্তা ক্লজের জন্য তৈরি করি। সান্তা ক্লজ আমাদের জন্য অনেক উপহার নিয়ে আসবে আমাদের তো তার জন্য কিছু করা উচিৎ তাই না? আসুন আপনার সোনামণিদের সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য এবার তৈরি করে ফেলুন সান্তা ক্লজ কেক। এবার আসুন দেখে নেই কেকের রেসিপিটা।



উপকরণ

ডিম ৬টি,

চিনি আধা কাপ,

ময়দা ১ কাপ,

ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ,

গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ,

বেকিং পাউডার ১ চা চামচ,

মাখন ২০০ গ্রাম,

আইসিং সুগার ১ কাপ,

বরফ কিউব ২/৩টি।

লাল ফুড কালার পরিমাণ মতো (সাজাবার সুবিদার জন্য চাইলে অন্য কালারও নিতে পারেন)

প্রয়োজন মতো অন্য সকল ডেকোরেশন পিস। 


প্রণালি:

ময়দা, গুঁড়া দুধ, বেকিং পাউডার এক সঙ্গে চেলে নিন। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে চিনি ডিমের কুসুম ও ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে কিছুক্ষণ বিট করে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে ১৬০ ডিগ্রি তাপে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করে স্পঞ্জ কেক বানাতে হবে। 

মাখন, আইসিং সুগার, বরফ এক সঙ্গে বিট করে সফট ক্রিম তৈরি করে নিতে হবে।

ক্রিম তৈরি হয়ে গেলে পরিমার মতো টিউবে ভরে নিন।

বাকিটা কেকে কটিং দেয়ার জন্য রেখে দিন। 

কেক ঠাণ্ডা হলে সফট ক্রিম দিয়ে আপনার পছন্দ মতো সান্তা ক্লজ কেকের ডিজাইন তৈরি করুন।

কেক সাজানো হলে ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন এবং আপনার সোনামণিদের সারপ্রাইজ দিন। 


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ডিসেম্বর ২১, ২০১৭

Thursday, December 20, 2018

চিকেন বারবিকিউ



হালকা শীতের এই সময়টাতে বাড়ির ছাদে অনেকেই করে থাকেন বারবিকিউ পার্টি। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠার পাশাপাশি মুখরোচক এমন খাবার, আনন্দ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ। চলুন জেনে নেই বারবিকিউ চিকেন তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : ১২ টুকরো মুরগির মাংস, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, রোজমেরি ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ৩টা আস্ত লেবুর রস, সরিষার তেল আধা কাপ, গরম মশলা গুঁড়া পরিমাণ মতো।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস ছাড়া সব উপকরণগুলো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মেশানো মশলার সঙ্গে মুরগির টুকরোগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এভাবে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কয়লার চুলোয় ২৫-৩০ মিনিট অল্প আঁচে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর মাংসের টুকরোগুলো উল্টিয়ে দিন। পরিবেশন ডিসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।


তথ্যসূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম

Saturday, December 15, 2018

খেজুর গুড়ের পায়েস


শীত মানেই পিঠা-পায়েস, খেজুর গুড়ের ম ম গন্ধে সুরভিত ঘরদোর। শহুরে এই যান্ত্রিক জীবনে খেজুর গুড়ের দেখা খুব একটা না মিললেও অন্তত একবার পায়েস তো খেতেই হয়। তা না হলে শীতের মজাটাই যেন জমে না! চলুন জেনে নেই খেজুর গুড়ের পায়েস তৈরির সহজ রেসিপি-

উপকরণ : দুধ ১ লিটার, পোলার চাল ৩ মুঠো, সাদা এলাচ ৩ টা গুড়া করা, দারুচিনি ২টা, তেজপাতা ২টা, খেজুর গুড় ৩-৪ মুঠো(নিজের স্বাদ অনুযায়ী)।

প্রণালি : ১ কাপ পানিতে খেজুর গুড় জ্বাল করে ঠান্ডা হলে ছাকনি দিয়ে ছেকে রাখতে হবে। চালে একটু বেশি করে পানি দিয়ে চাল পুরোপুরি ফুটিয়ে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি হাঁড়িতে দুধ দিয়ে তাতে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে জ্বাল করে নিতে হবে। একটু ঘন হয়ে এলে মসলাগুলো সাবধানে চামচ দিয়ে তুলে ফেলে দিতে হবে। সেদ্ধ করা চালে দুধ ঢেলে অল্প আঁচে ভালোভাবে জ্বাল করে নিতে হবে। যখন ঘন হয়ে আঠালো হয়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। ৮-১০ মিনিট পর ঠান্ডা খেজুর গুড় যেটা আগে জ্বাল করে ঠান্ডা করা হয়েছিল তা দুধ-চালের মিশ্রণে ঢেলে ভালোভাবে নাড়তে হবে। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু খেজুর গুড়ের পায়েস। উপরে চেরি, বাদাম, কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

জাগোনিউজ২৪.কম

বাসায় তৈরি করুন নান রুটি


নান রুটি আমাদের দেশের জনপ্রিয় একটি খাবার। সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তা হিসাবে এই রুটির জুড়ি নেই। রেসিপি জানা থাকলে খুব সহজে ঘরে বসেই বানাতে পারেন নান রুটি। দেখে নিন নান রুটির সহজ দুটি রেসিপি। 

নান রুটি

উপকরণ
ময়দা ২কাপ, ইষ্ট ২ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, ডিম ১ টি, বেকিং পাউডার ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো।

প্রণালী
একটি পাত্রে পানি গরম দিন এবং খামির বানানোর পাত্রে দুই কাপ ময়দা নিন। ময়দায় পরিমাণমতো লবণ, বেকিং পাউডার, ডিম ও এক চা-চামচ চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ইষ্ট পানিতে গুলে নিয়ে ময়দায় দিয়ে মাখাতে থাকুন এবং গরম পানি দিয়ে খামির বানান। যেহেতু চিনি আছে, একটু সাবধানে আস্তে আস্তে অল্প অল্প পানি দিয়ে মাখাতে থাকুন।

লক্ষ্য রাখবেন খামির যাতে বেশি নরম না হয়ে যায়। খামির হয়ে গেলে এবার তেল (অল্প অল্প করে) দিয়ে আবারো খামির মলে মলে আরও নরম করে নিন। খামিরকে একটি পাত্রে কিছুক্ষণ রেখে গরম করা পানির পাত্রের ওপর দিয়ে দিন । পানি থেকে ওঠা বাষ্প খামিরের তলায় লাগবে, খামির হালকা গরমে ফুলে উঠবে। মিনিট বিশেক পর খামির তুলে দেখুন ফুলে বড় হয়েছে কিনা।

রুটি বেলার জন্য খামিরকে ছয় ভাগে ভাগ করুন (ছোট বানাতে চাইলে দুইকাপ ময়দায় আটটি বানাতে পারেন) রুটি বেলে নিন। তাওয়া গরম করে সাধারণ রুটির মত করে সেঁকে নিন। এক্ষেত্রে ভালো একটি পাতলা কাপড় দিয়ে চাপ দিয়ে সেঁকে নিন যাতে রুটির প্রতি অংশে আগুনের আঁচ লাগে। রুটি ফুলে উঠলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

গার্লিক নান  রুটি

উপকরণ
ময়দা ২ কাপ, ইস্ট ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, বেকিং পাউডার ১ চিমটি, তেল ২ টেবিল চামচ, গরম দুধ ১/২ কাপ, গরম পানি ১/২ কাপ, মিহি করে কাটা কাচা মরিচ ১টি, কুঁচি করে কাটা রসুন কোয়া ৩ টি।

প্রণালী
অল্প গরম দুধের সাথে ইস্ট মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার বড় একটা পাত্রে ময়দার সাথে লবণ, চিনি, বেকিংপাউডার, তেল, মরিচ, রসুন ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে, তাতে ইস্ট আর দুধের মিশ্রণটি মেশান এবং অল্প অল্প করে গরম পানি যোগ করুন। খুব নরম করে ডো তৈরি করতে হবে। ডো যদি শক্ত হয়ে যায় তাহলে নান রুটি নরম হবে না। এবার ডো এর উপর অল্প তেল মাখিয়ে, ভেজা কাপড় দিয়ে একটি পাত্রে ঢেকে রাখুন, গরম কোনও জায়গায় ১ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। ঘণ্টাখানেক পর দেখা যাবে, ডো ফুলে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

এখন একে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে ৬ ভাগে ভাগ করুন। এবার অল্প ময়দা দিয়ে রুটি বেলে নিন। তাওয়া গরম করে, মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। ভাজার সময় বার বার উল্টাবেন না। যখন দেখবেন নানের উপরটা ফুলে উঠেছে ,তখন উল্টে দিন। হালকা বাদামী রং হলে নামিয়ে ফেলুন। ব্যস হয়ে গেল হোম মেইড ‘গার্লিক নান রুটি’।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

Friday, December 14, 2018

চিতই পিঠার সহজ রেসিপি


শীতকালে পিঠা খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মজাদার একটি পিঠার নাম চিতই পিঠা। শীত আসলেই শহরে চিতই পিঠার দোকান দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু পথের পাশের খাবারে অনেকেরই রয়েছে অনাগ্রহ। তাই শীতের সকালে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন এই পিঠা।

উপকরণ
পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, লবণ আধা চা চামচ, পানি ১ কাপ, সেদ্ধ চাল ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালি
চাল ভালো করে ধুয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। প্রমে আধা কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে লবণ মিশিয়ে আরও আধা কাপ বা পরিমাণমতো পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে মসৃণ করে নিন। ননস্টিক কড়াই বা প্যান ভালো করে গরম করুন। সামান্য তেল ব্রাশ করা যেতে পারে। এবার বেন্ড করা অংশ থেকে ডালের চামচের ২ চামচ প্যানে দিয়ে ঢেকে দিন। ৩-৪ মিনিট পর ঢাকনা খুলে পিঠা উঠিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। এভাবে প্রতিটি পিঠা তৈরি করুন। তারপর মুরগির মাংসসহ পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮

Thursday, December 13, 2018

টক-মিষ্টি স্বাদের জাম্বুরা মাখা


জাম্বুরা ফল খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এই ফল মাখা খেতে যেমন মজা, শরীরের জন্যও তেমন উপকারী। এ ছাড়া ফলটি যে শুধু স্বাদের তা-ই নয়, এর রয়েছে ঔষধি গুণও। জাম্বুরায় ক্যালরি কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগী ও স্থূলকায় দেহের জন্য খুবই উপকারী ফল। তাই আসুন যেনে নিই জাম্বুরা মাখার সহজ রেসিপি-

উপকরণ
জাম্বুরা ১টা, শুকনা মরিচ ১টা, বিট লবণ ১/৩ চা চামচ, চিনি আধা চা চামচ, পুদিনা কুচি ১ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালি
জাম্বুরা খোসা ছাড়িয়ে, রসালো বীজগুলো ছাড়িয়ে নিন যাতে কোনও চামড়া বা বীজ না থাকে। এবার জাম্বুরার রসালো কোষগুলোকে একটা ছড়ানো পাত্রে নিয়ে হালকা চেপে নরম করে নিন। অন্যদিকে শুকনা মরিচ টেলে নিন। এবার জাম্বুরার কোষগুলোর সাথে টেলে নেয়া শুকনা মরিচ মাখিয়ে নিন। সাথে বিট লবণ, চিনি এবং পুদিনা কুচি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। হয়ে গেলো জাম্বুরার মাখা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

Monday, December 10, 2018

বোরহানি তৈরি করুন বাসায়


অনেকে বোরহানি খেতে খুবই পছন্দ করেন। আবার কোনও কোনও সময় দেখা যায় পছন্দ না করলেও পরিবারের সদস্যদের জন্য বোরহানি আনতে হয় বাইরে থেকে। তবে নিজে এটা শিখে রাখলে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন।

উপকরণ
মিষ্টি দই ৫০০ গ্রাম, টক দই ৫০০ গ্রাম, পুদিনা পাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ ১ টেবিল চামচ, সরিষাগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চামচ, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল চামচ এবং পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালী
দুই কাপ পানির সঙ্গে দই ছাড়া বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এবার এই মিশ্রণটি দইয়ে দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে আবার ফেটিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৫ নভেম্বর ২০১৮

ঝটপট ঘরেই তৈরি করুন ‘মসলা ফুলকপি’


শীত এলেই বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি চোখে পড়ে। এর মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির কদর একটু বেশিই। এই সবজি দিয়ে নানা ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। ফুলকপি দিয়ে ঝটপট ঘরেই তৈরি করুন ‘মসলা ফুলকপি’-

রান্নায় যা লাগবে
একটা বড় ফুলকপি টুকরো করা (দেড় কাপ পরিমাণ), আলু কিউব করে কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টমেটো টুকরো, জিরা আস্ত ১ চা চামচ, হলুদ-লঙ্কা-ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, ধনিয়া পাতা কুচি অল্প, আদা মিহি কুচি ১ চা চামচ।

রান্না করবেন যেভাবে
হাঁড়িতে তেল দিয়ে তাতে জিরা দিন। জিরা ফুটে উঠলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নেড়ে গুঁড়ো মশলাগুলো আর বাটা মশলা দিতে হবে। এবার অল্প পানি আর লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন।

এখন এই মশলাতে কপি আর আলুর টুকরা, সাথে টুকরা করা টমেটো আর হাফ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন ২০ মিনিট। পানি শুকিয়ে গেলে ভাজা ভাজা করে নিন। নামানোর আগে আদা মিহি কুচি আর ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিন। গরম রুটি কিংবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

Sunday, December 9, 2018

শীতের সকালে নাস্তায় রাখুন মজাদার ‘ছিটা রুটি’


শীত মানেই শীতের পিঠা। সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় শীতের পিঠার জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবাই পিঠা পছন্দ করেন, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যে পিঠা পছন্দ করেন না। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার ঘরে ঘরে শীতের পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। গ্রামে ঘরে ঘরে শীতের পিঠা তৈরি হলেও শহরের যান্ত্রিকতার ভিড়ে শীতের পিঠা হারিয়ে গেছে বলা যায়। শীতের একটি মজার পিঠা হলো ‘ছিটা রুটি’। ঘরেই ঝটপট বানিয়ে ফেলুন মজাদার ছিটা রুটি-

উপকরণ
চালেরগুঁড়া ১ কাপ, ময়দা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, লবণ ও পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় বাটিতে উপরের সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পাতলা গোলা হবে। আবার বেশি পাতলাও হবে না। এখন গোলাটা ঢেকে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন। চুলাতে ফ্রাইপ্যান দিয়ে গরম করে নিন। একটি কাপড় নিয়ে তেলে ভিজিয়ে নিন ও প্যানে ব্রাশ করুন। এখন হাতের সব আঙুল চালের গুঁড়ার মিশ্রণে ডুবিয়ে প্যানে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে, হাত সামনে পিছনে নিয়ে ছিটা দিন। ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। রুটি হয়ে গেলে রুটির পাশ উঠে আসবে। চামচ দিয়ে দুই ভাঁজ করে তিন কোণা করে ভাঁজ করে তুলে নিন। এভাবে সব বানিয়ে মুরগির ঝোলসহ পরিবেশন করুন মজাদার ছিটা রুটি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

Saturday, December 8, 2018

চই পিঠা


অনেকে চুসি বা সেওয়াই পিঠাও বলেন। অঞ্চলভেদে অনেক নাম থাকলেও এটি আসলে রসের পিঠা। সাধারণত খেজুরের রসে জ্বাল দিয়ে করা হয়।

বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে খেজুর গাছের প্রাধান্য রয়েছে যেমন- দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চটগ্রাম অঞ্চলেই এই পিঠার প্রচলন বেশি।

উপকরণ: চালের গুঁড়া আধা কেজি। পানি ১ কাপ। লবণ পরিমাণ মতো।

পিঠা রান্নার জন্য: দুধ ১ লিটার। গুড় ১ কাপ। এলাচ ২টি। দারুচিনি ১টি। ঘি ১ টেবিল-চামচ। গুঁড়া-দুধ ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: প্রথমে গরম পানিতে চালের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে খামির তৈরি করুন। এবার ভালোভাবে ময়ান করে ডো বানিয়ে সেটা থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে হাত দিয়ে ঘষে লম্বা লম্বা লতির মতো ছোট ছোট চই তৈরি করে নিন।

একটি হাঁড়িতে দুধ, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ঘন করে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করুন। এবার এর মধ্যে চইগুলো দিয়ে দিন।

পিঠা দেওয়ার সময় একবারে ছাড়বেন না। অল্প অল্প করে দুধে ছাড়বেন। অনেকে আগে পিঠাগুলো ভাপ দিয়ে নেয়।

চই সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে গুড়, গুঁড়া-দুধ ও ঘি দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার চই পিঠা।

মনে রাখবেন- গরম দুধে কখনও গুড় দেবেন না বা গুড় দিয়ে জ্বাল দেবেন না।

এখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত গুড়ে সোডা ব্যবহার করা হয়। ফলে দুধে গুড় দিয়ে জ্বাল দিলে বা গরম দুধে গুড় দিলে ফেটে যেতে পারে।

গুড় আলাদা জ্বাল দিয়ে রেখে দুধে পিঠা দিয়ে জ্বাল দিয়ে দুটোই যখন কুসুম গরম তখন গুড় মেশানো ভালো। পরে আর জ্বাল দেবেন না।

চই রোদে শুকিয়ে বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করা যায় অনেক দিন। যখন খেতে ইচ্ছা করবে শুধু উপরের নিয়মে রান্না করলেই হবে।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

Saturday, December 1, 2018

ছানায় তৈরি মজাদার খাবারটি খেয়েছেন কী?


ছানা দিয়ে মিষ্টি  তৈরি করতে পারেন না সবাই। তা ছাড়া মিষ্টি তৈরি সময়সাপেক্ষ ও শ্রমসাধ্য। ছানার খাবারে স্বাদবদল চাইলে চেখে দেখতে পারেন এই খাবারটি। তৈরিতে সহজ, মেহমান আপ্যায়নেও দারুণ।

দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে তৈরি করে নিতে পারেন এই খাবারটি! এত মজাদার যে, মুখে লেগে থাকবে স্বাদ। 

ছানা তৈরি করবেন যেভাবে
দুধ- ২ লিটার
ভিনেগার- ৩ টেবিল চামচ
সুতি/মসলিন নরম কাপড়

- চুলায় দুধ ফুটতে শুরু করার পর চুলা বন্ধ করে দিন।
-ভিনেগারের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে অল্প অল্প করে দুধে মেশাতে থাকুন।
-দুধ ফেটে সবুজ পানি আলাদা হয়ে গেলে ছানা কাপড়ে ছেঁকে ফেলুন।
-কয়েকবার ধুয়ে নিন যাতে টকভাব দূর হয়ে যায়। ভালো করে না ধুলে ছানা দুধে দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে।
-ঠান্ডা করে ছানার কাপড় চেপে পানি বের করে উচু জায়গাতে ঝুলিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট।

পায়েস তৈরি করবেন যেভাবে
দুধ- ২ লিটার
এলাচ- ৩-৪ টি
দারুচিনি- ১ টুকরো
বাদাম কুচি- ১/২ কাপ
গুঁড়ো দুধ- ১/২কাপ
চিনি- পরিমাণমতো বা ১ কাপ
কেওড়াজল- ১/২ চা চামচ
ঘি- ২ টেবিলচামচ

-ছানা দুই ভাগ করে নিন।
-এক ভাগ ভালো করে মথে নিন। চুলাতে ১ কাপ চিনি ও তিন কাপ পানি দিয়ে ফুটতে দিন।
-এখন মথে নেওয়া ছানা ছোট কিউব বা বলের মতো করে নিন বা পছন্দমতো আকারে কেটে নিন। এই ছানা ফুটন্ত সিরাতে দিয়ে ঢেকে পাঁচ মিনিট বেশি আঁচে ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন (রসগোল্লার মতো)।
-অন্যভাগ ছানা নিন। প্যানে ঘি দিয়ে এই ছানা দিয়ে অল্প আঁচে ভেজে নিন। ৩-৪ মিনিটের মতো সময় লাগবে যাতে ছানার কাঁচা ঘ্রাণটা চলে যায়। কিছুটা ঠান্ডা করে হাত দিয়ে ঝুরঝুরে করে নিন।
-দুধ, এলাচ, দারুচিনি হাঁড়িতে দিয়ে কিছুটা ঘন করে নিন।
-এখন ছানার কিউবগুলো সিরা থেকে তুলে পানি ছেঁকে নিন।
-দুধে ছানার কিউব, ছানার ঝুরি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। গুঁড়ো দুধ দিয়ে তা ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

ঠান্ডা করে বাদাম ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
প্রিয়.কম