Friday, March 30, 2012

ইলিশ রসুন লুকোচুরি


উপকরন: ইলিশ মাছ ৮/১০ টুকরো, পেঁয়াজকুচি এক কাপ, হলুদ গুড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুড়া ১/২ চা-চামচ, জিরা গুড়া ১ চা-চামচ, আস্ত রসুনের কোয়া ৮/১০টা, লবন স্বাদমত, সর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ, পানি পরিমান মত ।


প্রনালি: চুলায় হাড়ি/ কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজুন, লালচে হওয়ার আগে রসুন দিন। আর একটু ভেজে আধ কাপ পানি দিয়ে সব মসলা ও লবন দিয়ে ভালো করে কষান। আপনার মনের মত কষানো হলে আস্তে করে মাছ গুলো সাজিয়ে দিন। এখন এমন আন্দাজে গরম পানি দিন যাতে নামানোর পরে ঝোলটা মাখামাখা হয়। ঢেকে দিয়ে ৫/৬ মিনিট সেদ্ধ করুন। নামানোর আগে ইচ্ছে হলে ৪/৫টা কাঁচামরিচ অল্প চিরে তরকারিতে দিয়ে নামিয়ে ঢেকে রাখুন।
অনেকে মনে করতে পারেন রসুনের টুকরো খেতে বিদঘুটে গন্ধ করতে পারে। কিন্তু কোন বিদঘুটে বা বাজে গন্ধই পাবেন না। রসুন খাওয়া অনেক ভালো। বিশেষ করে কাঁচা রসুন। যারা আমার মতো কাঁচা খেতে পারেন না, তারা এ ভাবে তরকারিতে দিয়ে খেতে পারেন। রসুন রক্তে কোলষ্ট্রলের মাত্রা কমিয়ে হার্টেকে ঝুকিমুক্ত করে। আর গরম পানি দেয়ার কারন, ইলিশ খুব নরম মাছ। বেশী জ্বাল দিলে ভেঙ্গে যাবে। গরম পানি দিলে তাড়াতাড়ি মাছ সিদ্ধ হয়ে যাবে।

Thursday, March 29, 2012

সকালে মজার নাস্তা ( কিমা ব্রেড )


উপকরন: পাউরুটি ৮ পিস, মিহি কিমা ১ কাপ, পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ৪-৫টা, ডিম ১ টা, সয়াসস ১ চামচ, বাটার ৪ টেবিল চামচ, ধনিয়াগুঁড়ো ১ চা চামচ, মরিচগুঁড়ো ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট হাফ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো,  আদা রসুন বাটা ১ চা চামচ।


প্রনালি: মাইক্রোওয়েভ প্রুভ ডিসে ৪ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে ২টি ব্রেড গরম করে নিন। এবার কিমা সয়াসসসহ সব মসলা দিয়ে মেখে ৪ মিনিট কুক করে নিন। আরেকটি মাইক্রোয়েভ প্রুফ পাত্রে বাটার দিয়ে ব্রেডগুলো ৩০ সেকেন্ড করে গরম করে নিন। এবার ব্রেড, ডিম কিমা লেয়ারে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। কিমা ব্রেড চুলায় তাওয়া বসিয়ে সহজেই করতে পারেন।




Saturday, March 24, 2012

হাতমাখা বাতাসি মাছ


উপকরণ: বাতাসি মাছ ২৫০ গ্রাম, মিষ্টি আলুকুচি (মোটা করে) ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, মটরশুঁটি আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, সরিষার তেল আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি অল্প, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: মাছ বেছে লবণ দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। লেবু ও ধনেপাতা বাদে বাকি সব উপকরণ রান্নার পাত্রে নিয়ে মাখাতে হবে এবং হাত ধুয়ে সামান্য পানি দিতে হবে। জোর জ্বালে ঢেকে রান্না করতে হবে। ঝোল শুকিয়ে এলে লেবুর রস ও ধনেপাতা দিতে হবে। পাত্রের গায়ে লেগে চচ্চড়ি হলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন।

Friday, March 23, 2012

ভাপে মলাই মাছ


উপকরণ: মলাই মাছ ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ আধাভাজা এক কাপ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, পেঁয়াজপাতা আধা কাপ, ভাতের চাল ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল সিকি কাপ, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, চিনি (ইচ্ছা) আধা চা-চামচ।

প্রণালি: মাথা বাদ দিয়ে মলাই মাছ কেটে লবণ দিয়ে কেচে ধুয়ে নিতে হবে। ভাতের চাল ১৫ মিনিট ভিজিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। চাল বাদে রেসিপির সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে একটি টিফিন বাটিতে নিতে হবে এবং বাটির মুখ ভালো করে বন্ধ করে রাখতে হবে। রাইস কুকারে চাল ও সঙ্গে চালের দ্বিগুণ পানি দিতে হবে। মাছের বাটিটিও চালের মধ্যে বসিয়ে কুকার বন্ধ করে দিতে হবে। কুকারের লাল লাইট বন্ধ হওয়ার পর আরও ১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুকার খুলে পরিবেশন।

Thursday, March 22, 2012

বৈশাখের রান্না [বেগুন ভাজা (চাকার মতো করে)]


উপকরন: গোল বেগুন ১/২ কেজি, হলুদ গুঁড়া - ১/৩ চা চামচ, জিরা গুঁড়া - ১/৩ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ, ধনেগুঁড়া - ১/২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি -১/৩ কাপ, ধনে পাতা কুচি - ৩/৪ টা গাছ, কাচা মরিচ কুচি - ৩ টা, টমেটো সস - ১ চা চামচ, তেল - ১/৩ কাপ, লবণ স্বাদমতো । 

প্রনালি: বেগুন চাকার (wheel) মতো করে গোল করে কেটে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, এতে বেগুন কেটে রাখলে যে কালচে ভাব হয় তা আর হবে না। ১৫ মিনিট পরে টুকরো বেগুন গুলো থেকে পানি ঝরিয়ে অন্য পাত্রে নিয়ে হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনে গুঁড়া ও লবণ ভল করে মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন।

এরপর কড়াইতে তেল গরম করে মশলা মাখানো বেগুনের চাকা গুলো ৩/৪ টুকরো অথবা সুবিধা মতো বাদামী করে ভেজে আলাদা পাত্রে রাখুন। ভাজার সময় ১/২ বার উল্টিয়ে দেবেন যাতে পুড়ে কালো হয়ে না যায়। চুলার আঁচ এ সময়ে কমানো থাকবে।


এবার কড়াইতে থাকা অবশিষ্ট তেলে পেঁয়াজ বাদামী করে ভাজুন। সস ও কাচা মরিচ দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজের সাথে মিশিয়ে নিন। ভাজা বেগুন গুলো উপরে ছড়িয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রাখুন। তার উপরে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন । বেগুন ভাজা গরম ভাতে সাথে দুপুরেই বেশি ভাল লাগবে।

বেগুন চাটনী


উপকরন:

মূল উপকরন: বেগুন (লম্বা) ৬ টা (মাঝারী), টমেটো সস দেড় টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ।

মশলা: পেয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো সামান্য।

অন্যান্য উপকরন: কাচামরিচ ৪-৫ টা মাঝারি, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ, লবন পরিমানমত, পানি পরিমানমত।

প্রনালি: ৬টা বেগুনকে ২ ইঞ্চি বোটা সহ চার ফালি করে এমন ভাবে কাটতে হবে যাতে গোটা বেগুন চার ফালি হয়ে বোটায় লেগে থাকে। কাটা বেগুন গুলো পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার ১ কাপ পানি দিয়ে বেগুন গুলো সিদ্ধ করে নিতে হবে। প্রথমে কড়াইতে তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে নেড়ে সব মশলা দিয়ে/মিশিয়ে কষাতে হবে। উপকরণ গুলো সিদ্ধ হলে বেগুন ঢেলে দিয়ে তেলের উপর মাঝারী আঁচে এপিঠ-ওপিঠ হালকাভাবে ভাজতে হবে যেন বেগুন ভেঙ্গে না যায়। এবার টমেটো সস, চিনি, ধনে পাতা কুচি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। খুব সাবধানে নাড়তে হবে যেন পুড়ে না যায়।
এবার তেল উপরে উঠলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

পরিবেশন:  পরিবেশন করার জন্য কোন পছন্দসই পাত্রে নিয়ে সামান্য ভাজা টালা জিরার গুঁড়ো ছিটিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

এই রান্নাটিতে খেয়াল রাখতে হবে, বেগুন যেন ভেঙ্গে না যায়, তাহলে দেখতে ভাল লাগবে না।


রূপচাঁদার কাটলেট


উপকরণ: ছোট রূপচাঁদা মাছ বাটা ১ কাপ, ভাত বাটা আধা কাপ, পাউরুটি ভিজানো ২ টুকরা, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, টোস্টের গুঁড়া পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ভাজার জন্য, আদা মিহি কুচি ১ চা-চামচ।

প্রণালি: মাছ ভালো করে লবণ দিয়ে কেচে ধুয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সঙ্গে সামান্য লবণ ও পানি, আদা, রসুনবাটা ও মরিচ গুঁড়া দিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে পানি শুকালে মাছ বেটে নিতে হবে। বাটা মাছের সঙ্গে টোস্টের গুঁড়া ও সয়াবিন তেল বাদে বাকি সব উপকরণ মাখতে হবে। কাটলেটের আকারে বানিয়ে ডিমে চুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গলিয়ে গায়ে দাগ কাটতে হবে। ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ডুবোতেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন।

Wednesday, March 21, 2012

ঘন ডাল


উপকরন: মসুর ডাল ২০০ গ্রাম (বা দেড় কাপ), গরম পানি ৭/৮ কাপ
(পানির পরিমাণ নির্ভর করে ডাল কতটা ঘন করতে চান, অবশ্য পানি বেশী হলে একটু বেশী সময় ধরে জ্বাল দিলেই ডাল ঘন হবে, বেশী সময় ধরে জ্বাল দিলে ডালের স্বাদটাও ভাল হয়), টমেটো ২/৩টা (লম্ব-লম্বি করে ৪ ফালি করে কাটা), কাঁচা মরিচ ৩/৪টা (মাঝখানে কাটা), ঝাল কাঁচা মরিচ হলে আরো কম দিতে হবে, হলুদ গুঁড়া ১/২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ১/২ কাপ, সরিষা ও জিরা দানা ১ চিমটা (খুব অল্প হলেই হবে, ফোঁড়ন দেয়ার জন্য), জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ (জিরা গুঁড়া বেশী হলে ডালের রঙ কাল হয়ে যেতে পারে), শুকনা লাল মরিচ ২ টা (কয়েক টুকরা করে কাটা), রসুন ১ টা (মাঝারী) কুচানো, ধনে পাতা ১ আঁটি (৪/৫টা গাছ) কুচানো । 

প্রনালি: ডাল ভাল করে ধুয়ে নিন। ধোয়া ডাল হাড়িতে নিয়ে তাতে গরম পানি দিয়ে চুলায় বসান। এবার এতে টুকরো করা টমেটো, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং রেসিপি'র অর্ধেকটা তেল দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে রান্না করতে শুরু করুন। লবণ পরে দিবেন এতে ঢাকনা দেয়া অবস্থায় ডাল হাড়ি থেকে উপচে পড়বে না।

মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিন ঢাকনা তুলে, দেখুন ডাল সেদ্ধ হয়েছে কিনা। ডাল উপচে পড়তে থাকলে ঢাকনা সরিয়ে দিতে পারেন। ডাল ঘুটুনী বা এব বিটার দিয়ে ভাল করে ঘুটে দিন যাতে ডাল ভেঙ্গে পানির সাথে মিহি হয়ে মিশে যায়। পানি কমে ডাল ঘন হয়ে এলে পরিমাণমতো লবণ দিন, স্বাদ দেখে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। শুকনা কাটা লাল মরিচ এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। ডালের ঘ্রাণটা ভাল করার জন্য কাচা মরিচ পরে দিয়েছি।


এবার ডালে বাগার দেয়ার জন্য অন্য একটি পাত্রে এই সময়ে বাকী তেল গরম করে তাতে এক এক করে সরিষা দানা, জিরা দানা এবং কুচানো রসুনের ফোড়ন দিন। ঘন-ঘন নাড়তে থাকুন নইলে পুড়ে যাবে। রসুন একটু বাদামী হয়ে এলে তেল সহ সব কিছু ডালের মধ্যে ছেড়ে দিন। এ অবস্থায় ডালে ঢাকনা দিয়ে রাখুন। অল্প আঁচে মিনিট খানেক থাক। নামিয়ে কুচানো ধনে পাতা উপরে ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন। দেখুন ডালের কি চমৎকার ঘ্রাণ বেরিয়েছে। ঘন ডাল একটা আলাদা মেন্যু হিসেবে টেবিলে আনতে পারেন।

লেবুপাতার পুঁটির ঝোল


উপকরণ: পুঁটি মাছ ২৫০ গ্রাম, লেবুপাতা ৪-৫টি, কাঁচা তেঁতুল ১ ছড়া, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।

প্রণালি: পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি হলে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষাতে হবে। মসলার গন্ধ বের হলে মাছ দিয়ে কষাতে হবে। গরম পানি দিয়ে ঝোল দিতে হবে। ঝোল ফুটে উঠলে তেঁতুলের ছড়া ৩ টুকরা করে দিতে হবে। লেবুপাতা দিতে হবে। ঢেকে ৩-৪ মিনিট রান্না করে নামাতে হবে। এই তরকারিতে ঝোল পাতলা হবে। ঝোল বেশি থাকবে। লেবুপাতার ঘ্রাণে এই ঝোল গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

Tuesday, March 20, 2012

স্ট্রবেরি স্ট্রবেরি




দেশেই এখন চাষ হচ্ছে স্ট্রবেরির এমনিতে খাওয়া গেলেও স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি করতে পারেন নানা মজাদার ডেজার্ট এ রকম কয়েকটি রেসিপি দিয়েছেন হোটেল ঢাকা রিজেন্সির শেফ রাজিব হাসান

স্ট্রবেরি মিলফ্যু

উপকরণ: ৫০০ গ্রাম রেডিমেড পাফ পেস্ট্রি, পাঁচ টেবিল চামচ আইসিং চিনি, ৩০০ মিলিলিটার ডাবল ক্রিম, আধা চা-চামচ ভ্যানিলা ফ্লেভার, এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর চিনি, ৪০০ গ্রাম স্ট্রবেরি

প্রণালি: ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওভেন প্রিহিট করুন মিলফ্যু তৈরির জন্য পেস্ট্রি বেলে সিকি ইঞ্চি পুরু করে রাখুন একে নয়টি আয়তকার শিটের আকারে কাটুন শিটগুলো ননস্টিক বেকিং শিটে রাখুন ওভেনে ১৫ মিনিট বেক করুন সোনালি বাদামি হয়ে এলে বের করে ঠান্ডা করুন ডবল ক্রিম চুলায় দিয়ে অনবরত থাকুন চামচের মাথায় নরম ফেনার মতো ক্রিম উঠতে থাকলে তখন তাতে ভ্যানিলা আর ক্যাস্টর চিনি দিয়ে নাড়ুন ঘন হয়ে উঠলে নামিয়ে ফেলুন প্রতিটি পেস্ট্রি খুব সাবধানে ধারালো ছুরি দিয়ে দুই ভাগ করুন, যাতে দুটো সরু শিট বের হয় প্লেটে এই শিট একটি নিয়ে তার ওপর ক্রিমের মিশ্রণ এক স্তর ঢালুন এর ওপর কিছু স্ট্রবেরি কেটে ছড়িয়ে দিন আবার আরেক শিট পেস্ট্রি দিন এভাবে আরও কয়েকবার কয়েক স্তরে সাজান প্লেটে স্ট্রবেরির টুকরা আর ক্রিম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন

স্ট্রবেরি ম্যুজ

উপকরণ: তিনটি ডিমের সাদা অংশ, ৫০ গ্রাম সোনালি ক্যাস্টর চিনি, ৩০০ গ্রাম স্ট্রবেরি, ব্লেন্ড বা খুব ভালো করে ঘেঁটে নিয়ে পেস্ট করা, ১৪২ মিলিলিটার ডবল ক্রিম হালকাভাবে নেড়ে নেওয়া

প্রণালি: ডিমের সাদা অংশ আর চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন এর ভেতর ক্রিম আর স্ট্রবেরি পেস্ট চামচ দিয়ে ঢোকান গ্লাসে ঢেলে ফ্রিজে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন

স্ট্রবেরি টার্ট

উপকরণ: ২০০ গ্রাম ময়দা, ১০০ গ্রাম মাখন, ১০০ গ্রাম সোনালি ক্যাস্টর চিনি, দুটি ডিমের কুসুম, ১০০ গ্রাম ক্রিম, আধা বোতল স্ট্রবেরি জেলি, ৫০০ গ্রাম ছোট স্ট্রবেরি, টার্ট প্যান

প্রণালি: ময়দা আর মাখন একসঙ্গে মেখে নিন এরপর তাতে চিনি মেশান তারপর ডিমের কুসুম দিয়ে মেখে ডো বানিয়ে নিন এটি কাপড়ে মুড়িয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ওভেন প্রিহিট করুন টার্ট প্যানে অল্প মাখন মেখে নিন এরপর ডো বসিয়ে ২৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন এবার ডোর ওপর বেকিং শিট চেপে বসিয়ে বেকিং বিনস দিয়ে দিন যাতে টার্টের সব অংশ সমান তাপ পায় ১৫ মিনিট বেক করুন এবার তাপ কমিয়ে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস করুন, ১০ মিনিট বেক করুন শেষ বেকিং পেপার ও বিনস সরিয়ে আরও ১০ মিনিট বেক করুন

ঠান্ডা হলে প্যান থেকে বের করে প্লেটে রাখুন এর ওপর জমাট ক্রিম ছড়িয়ে দিন এবার ১৭৫ মিলিলিটার পানিতে জ্যাম গলিয়ে ঠান্ডা করুন একটু ঘন হলে তাতে স্ট্রবেরি দিন এবার জেলিসহ স্ট্রবেরিগুলো টার্টের ওপর ছড়িয়ে দিন ঠিকঠাক বসে গেলে পরিবেশন করুন

তথ্য সুত্র: প্রথম আলো পত্রিকা

Sunday, March 18, 2012

ডিমের মিহি দানা


উপকরন: তরল দুধ - দুই লিটার, চিনি - ৫০০ গ্রাম (কম বেশি হতে পারে), ডিম - ৬ টা, কিসমিস - পরিমানমতো, বাদাম - পরিমানমতো, দারুচিনি - ২/৩ টুকরা, ঘি (গরুর) - ১ চা চামচ ।

প্রনালি: ২ লিটার দুধ জ্বাল দিতে দিতে ঘন করে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। ঘন দুধটা এবার ঠান্ডা হতে দিন। আলাদা একটি পাত্রে ডিম গুলো ফেটিয়ে তাতে পরিমানমতো চিনি ভালকরে মিশিয়ে নিন।

এবার ঘন করা ঠান্ডা দুধের সাথে ডিম ও চিনির মিশ্রণটি মিশিয়ে নিন। চুলায় পরিষ্কার পাতিলে ১ চামচ ঘি দিয়ে দুধের মিশ্রণটি ঢেলে দিন, ২/৩ টুকরা দারুচিনি দিয়ে অনবরত হালকা তালে নাড়তে থাকুন। যেন পাতিলের তলায় আটকে না যায়। নাড়তে নাড়তে দুধের মিশ্রণটি যখন দানা দানা হয়ে আসবে তখন কিসমিস ও বাদাম দিয়ে চুলায় অল্প আঁচে আরো ৫ মিনিট রাখুন। খেয়াল রাখবেন দানা গুলো যেন বড় বড় না হয় আর লাল যেন না হয়ে যায়।



Friday, March 16, 2012

বোরহানী, মুখরোচক গুরুপাক খাবারে


উপকরন: মিষ্টি দই - ১ কাপ, টক দই - ১ কেজি, কাচা মরিচ কাটা - ১ চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা - ১ চা চামচ, সরিষা বাটা - ১ চা চামচ, বিট লবন - ১ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো (পাতলা বা ঘন যেমনটি করতে চাইবেন), চিনি - ১ টেবিল চামচ, লবন - ১ চা চামচ, সাদা গোল মরিচের গুঁড়া - ১ চা চামচ। 

প্রণালি: কাচা মরিচ, পুদিনা পাতা, একসাথে বেটে নিন। বিট লবণ পাটায় গুঁড়া করে মিহি করে নিন। সমস্ত উপকরণ একসাথে অল্প পানি দিয়ে গুলে দইয়ের মধ্য দিন। এবার মিষ্টি দই, টক দই সহ সমস্ত উপকরণ এগ বিটার দিয়ে ১০ মিনিট বিট করুন বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। এবার ছাকনি বা কাপড় দিয়ে ছেকে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

Thursday, March 15, 2012

আলু-ইলিশের ঝোল


উপকরন: ইলিশ মাছ - ছোট এক বাটি, ১/২ ইঞ্চি কিউব করে কাটা, ইলিশ মাছের ডিম - ১/২ বাটি (২ ভাগ) পরিমাণ, মাছের মতই ১/২ ইঞ্চি কিউব করে কাটা, পেটের এবং পিঠের মাছ হলে ভাল হয়, এতে রান্নার পরও মাছ ভেঙ্গে যাবে না, আলু - ২ টা মাঝারী, আধা ইঞ্চি কিউব করে কাটা, পেয়াজ কুচি - ২ টা মাঝারী, কাচা মরিচ - ৪ টা (ঝাল বেশি চাইলে আরো একটা বেশি দিতে পারেন), মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ, আদা বাটা - ১/২ চা চামচ, রসুন বাটা - ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ, লবণ - পরিমাণমতো, তেল - ২ টেবিল চামচ, চিনি - ১ চিমটি (ডায়াবেটিস থাকলে দেবেন না), ধনে পাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ, পানি - ২/৩ কাপ । 

প্রণালি: হাঁড়িতে তেল দিয়ে একটু গরম হলে পেয়াজ কুচি ছেড়ে দিন। হালকা বাদামী রঙ ধারণ করলে চুলার আঁচ কমিয়ে পরিমাণমতো লবণ দিন, আদা-রসুন, হলুদ-মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিয়ে নাড়ুন। সব মশলা ২/৩ মিনিট কষান। এ সময়ে চুলার আঁচ কমানো থাকবে।

মশলা কষানো হলে মাছ ছেড়ে দিয়ে ৫ মিনিট নেড়ে-নেড়ে মাছ কষান। কষানো হলে ২/৩ কাপ পানি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিন। ৪/৫ মিনিট পর পানি ফুটতে শুরু করলে আলু দিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন। এ সমেয় ঢাকনা তুলে মাঝে মাঝে হালকা ভাবে নেড়ে দিন যেন মাছ ভেঙ্গে না যায়। ২/৩ মিনিটে মাথায় চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না হতে দিন।


আলু সিদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ এবং চিনি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্ন করুন। ঝোল কমে খানিকটা মাখা-মাখা হলে নামিয়ে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।


পরিবেশনের জন্য তৈরী। গরম ভাতের সাথে খুবই ভাল লাগবে।

 

মোরগ মোসাল্লাম





উপকরন: মোরগ - ২ টি, ঘি বা তেল - ৩/৪, রসুন বাটা - ২ চা চামচ, দারুচিনি - ২ সে.মি. করে ৪ টুকরা, আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ, এলাচ - ৪ টি, মরিচ বাটা - ২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি - ১/২ কাপ, ধনে বাটা - ২ চা চামচ, মাওয়া - ২ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা - ২ চা চামচ, পেস্তা ভিজান - ৮ টি, চিনি - ২ চা চামচ, বাদাম ভিজান - ৮ টি, টক দই - ১ কাপ, কিসমিস - ১ টেবিল চামচ ।

প্রণালি: মোরগ আস্ত রেখে পরিস্কার করুন। গলার হাড় কেটে ফেলুন। কাঁটাচামচ দিয়ে কেঁচে দু'পা একসঙ্গে করে সুতা দিয়ে বাধুঁন। মাংসে বাটা মসলা, লবণ, দই চিনি ও ঘি মিশিয়ে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। দারুচিনি, এলাচ ও হলুদ রং মাংসে দিন। ঢাকনা দিয়ে মৃদু আঁচে সিদ্ধ করুন। পেঁয়াজ ভেরেসতা করে গুঁড়া করুন।

ওভেনে ১৮০ ডিগ্রী সেঃ (৩৫০ ডিগ্রীঃ ফাঃ) তাপ দিন। মাংস সিদ্ধ হলে বেকিং ট্রেতে মাংস ও মসলা নিন । মাংসের উপর বেরেসতা, মাওয়া, পেস্তা, বাদাম কুচি ও কিসমিস ছিটিয়ে দিন। ওভেনে ৩০ মিনিট বেক করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

Wednesday, March 14, 2012

টক মিষ্টি চিংড়ি


উপকরণঃ
১. চিংড়ি মাঝাড়ি সাইজের ১৪-১৫ টা,
২. রসুন কুচানো- ১টা,
৩. আনারস ছোট টুকর করা-১ কাপ,
৪. আনারস টুকর করা-১ কাপ,
৫. শসা ছোট টুকর করা-১ টা,
৬. টম্যাটো সস-৩ টেবিল চামচ,
৭. Worcestirshire সস-৩ টেবিল চামচ,
৮. চিকেন স্টক-১/২ কাপ,
৯. পেয়াজ কুচানো- ১টা,
১০. সাদা তেল -৪ টেবিল চামচ,
১১. নুন স্বাদ মতন,
১২. লেবুর রস-১টা,
১৩. ধনের পাতা, পেয়াজ কলি।

প্রণালীঃ
তেল গরম হলে এলে রসুন কুচি সোনালী করে ভাজুন। টুকর করে কাটা আনারস, আনারস, শসা, লেবুর রস, দু'রকম সস দিন। ২/৩ মিনিট ভাজুন। তারপর চিকেন স্টক দিন। ফুটে উঠলে চিংড়ি দিন। ১৫ মিনিট রান্না করুন। পেয়াজ কুচি, পেয়াজ কলি ও ধনের পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।

রান্না কেমন হল জানাবেন।

-সুমি ( ইন্ডিয়া থেকে )

পাঠকের পাঠানো

Tuesday, March 13, 2012

ইলিশ মাছের ডিমের ঝোল


উপকরন: ইলিশ মাছের ডিম - ১টা মাছের (গোল করে টুকরা করা), ১ কাপ সমপরিমান ডিম , আলু - ৩ টা মাঝারী, আধা ইঞ্চি কিউব করে কাটা, পেঁয়াজ কুচি - ১/২ কাপ, আদা বাটা - ১/২ চা চামচ, রসুন বাটা - ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া - ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ, জিরা বাটা - ১/২ চা চামচ, ধনে গুঁড়া - ১/২ চা চামচ, কাচা মরিচ - ৩/৪ টা (ঝাল বেশি চাইলে আরো বেশি), লবণ - পরিমাণমতো, তেল - ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ, পানি - পরিমানমতো ।

প্রণালি: মাছের ডিম হালকা ভাবে ধুয়ে ১ ইঞ্চি কিউব করে কেটে নিন। আলু খোসা ফেলে ১/২ ইঞ্চি কিউব করে কেটে নিন।

হাঁড়িতে তেল দিয়ে একটু গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন, নাড়তে থাকুন, হালকা বাদামী করে ভাজা হলে এবার চুলার আঁচ কমিয়ে সব মশলা ও পানি দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন। এবার মাছের টুকরা ও ডিম দিয়ে আরো ৫ মিনিট কষিয়ে পরিমানমতো পানি দিন, ঝোল বেশি হলে আবার ভাল লাগবে না। আলুর কাটা টুকরো গুলো দিয়ে দিন। ঢেকে দিন কিছুক্ষণ রান্না হওয়ার জন্য। ঝোল ফুটতে শুরু করলে কাঁচা মরিচ উপরে ছিটিয়ে দিন। এবার ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। পরিবেশনের জন্য তৈরী।

লইট্যা মাছের দোপেঁয়াজা


উপকরন: লইট্যা মাছ - ১ কেজি, আলু - ৩ টা (দেড় ইঞ্চি স্লাইস করে কাটা), টমেটো - ২ টা (কিউব করে কাটা), ধনেপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ, পেয়াঁজ কুচি - ১ কাপ, কাঁচামরিচ - ৮ টা (ফালি করে কাটা), রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা - ১ চা চামচ, জিরা (বাটা/গুঁড়া) - ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া - ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া - ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল - ৪ ভাগের ৩ কাপ, লবণ - পরিমাণমতো । 

প্রণালি: লইট্যা মাছ ১ ইঞ্চি করে কেটে টুকরো করে নিন। ৩/৪ বার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর খানিকটা লবণ দিয়ে মেখে মিনিট খানেক রেখে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। ধোয়া মাছের পানি ঝরিয়ে নিন।

চুলোতে কড়াই চাপিয়ে তাতে তেল সবটুকু দিন। তেল গরম হলে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে নাড়তে হবে। পেয়াঁজ বাদামী হয়ে এলে লবণ সহ সব মসলা দিয়ে নাড়ুন। এবার আলু দিন, এ অবস্থায় ২-৩ মিনিট কষানোর পর লইট্যা মাছ ঢেলে দিন। তারপর ফালি করা কাঁচামরিচ ছিটিয়ে দিন, কিউব করা টমেটো ছড়িয়ে দিন। চুলার আচঁ কমিয়ে ২০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে হালকা ভাবে নেড়ে দিতে হবে, কোন অবস্থায় জোরে নাড়বেন না। নামানোর ২ মিনিট আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। গরম ভাতে গরম গরম পরিবেশন করুন।


সবজির ঝাল পাকোড়া





উপকরন: আলু কুচি - ১ বাটি, টমেটো কুচি - ১ টি, সিম কুচি - ১ কাপ, গাজর কুচি - আধা কাপ, ফুলকপি কুচি - আধা কাপ, পালং শাক কুচি - ১ কাপ, বাধাকপি কুচি - ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি - ৫/৬ টা, লবণ - স্বাদ মতো, আদা ও রসুন বাটা (একত্রে) - আধা চা চামচ, ময়দা - আড়াই কাপ, বেকিং পাউডার - আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া - দেড় চা চামচ, কর্নফ্লাওয়ার - আধা চা চামচ, কর্নফ্লাওয়ার - আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া - আধা চা চামচ, পানি - ২ কাপ, পরিমাণমতো ভাজার জন্য তেল, ডুবো তেলে ভাজতে হবে ।

প্রণালি: ডিম ছাড়া তেল, পানি, ময়দা এবং অন্যসব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রণে ডিম ভেঙ্গে দিন। এরপর ময়দা দিয়ে আবার মাখান। এবার পানি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে পেয়াজুর মতো করে ডুবো তেলে ভেজে সস সহ গরম গরম পরিবেশন করুন। বিকেলের নাশতা হিসেবে এই ঝটপট রেসিপিটি চমতকার।


Monday, March 12, 2012

পায়েশের স্বাধ দুধেই





উপকরন: দুধ - দেড় থেকে দুই লিটার, পোলাওয়ের চাল – দুই মুঠ, চিনি – ৫ কাপ (কিংবা পরিমানমতো, পায়েশ খুব বেশি মিষ্টি হলে ভাল লাগবে না), কিশমিশ – ১৬/১৭ টা, দারুচিনি – ৩ টুকরা, এলাচ – ২/৩ টা (গোটা অথবা গুঁড়া), তেজপাতা – ২ টা, ভাজা চীনাবাদাম অথবা পেস্তাবাদাম – ২ টেবিল চামচ, ঘি – ১ টেবিল চামচ। 

প্রণালি: প্রস্তুতির শুরুতেই পোলাওর চাল ধুয়ে আধাঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে (এতে চাল সিদ্ধ হতে সময় কম লাগবে)। এরই মধ্যে দুধটা চুলোয় চাপিয়ে জ্বাল দিন। খেয়াল রাখবেন দুধ যেন গরম হয়ে উপচে না পড়ে। দুধ কিছুক্ষন জ্বাল হয়ে একটু ঘন হয়ে এলে এতে ভিজিয়ে রাখা চাল পানি থেকে তুলে দুধে দিয়ে দিন। ভাল করে নেড়ে দিন। চালসহ দুধ ফুটতে শুরু করবে। চুলার আঁচ একটু কমিয়ে দিয়ে এসময় হালকা হাতে নাড়তে থাকুন। চাল সিদ্ধ হতে থাকবে। মাঝে মাঝে হালকা হাতে নাড়তে হবে, নইলে পাতিলের তলায় লেগে যাবে, পুড়েও যেতে পারে। পুড়ে গেলে পায়েসের স্বাধটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

দেখবেন এসময়ে পাতিলের তলায় দুধ ঘন হয়ে লেগে যেতে শুরু করেছে, তাই নাড়া বন্ধ করা যাবে না। চাল সিদ্ধ হয়ে এলে এবার চিনি, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। চিনি একবারে ৫ কাপ না দিয়ে স্বাধ (মিষ্টি) চেখে দেখে যতটা প্রয়োজন ততটা দিতে পারেন। নাড়তে নাড়তে দেখবেন পায়েশ ঘন হয়ে খুব সুন্দর ঘ্রাণ বেরিয়েছে। এবার ১ টেবিল চামচ ঘি (অথবা কাঁচা দুধ দিতে পারেন) দিয়ে, ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন, আরো মিনিট পাঁচেক চুলায় রেখে নামিয়ে ফেলুন। নামানোর ঠিক আগে কিশমিশ আর এলাচ দিতে হবে। পায়েশ তৈরি। 

পরিবেশন: তবে এখানেই শেষ নয়। পায়েশ পরিবেশনার জন্যে আপনার একটা প্রস্তুতি দরকার। পরিবেশনাই পায়েশকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলবে। পরিবেশনার জন্য পায়েশ ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা পায়েশ ছোট ছোট মাটির ভাঁড়ে অথবা সুন্দর ছোট কাঁচের পাত্রে তুলে উপরে বাদাম অথবা পেস্তাবাদাম কুচি করে ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
 


আলু চপ (কিমা চপ)





উপকরন: আলু - আধা কেজি, পেঁয়াজ ভেরেস্তা - ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া - ১/৩ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি - ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি (মিহি করে) - ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ডিম - ১ টা, টোস্ট বিস্কুট গুঁড়া করা - আধা কাপ, বিট লবণ - ১/৩ চা চামচ, তেল (ভাজার জন্য) ।

প্রণালি: 
চপ বানানোর পূর্বপ্রস্তুতি-
ভেরেস্তা তৈরীঃ
প্রথমে পেয়াজের ভেরাস্তা করে নিন। চুলায় পাতিল চাপিয়ে খানিকটা গরম হলে পরিমাণমতো তেল দিন। তেল গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চুলার আঁচ কমিয়ে পেয়াজ ভেজে বাদামী করে তুলে রাখুন।
কিমা তেরীর প্রক্রিয়াঃ
মাংসের কিমা ২৫০। প্রথমে কড়াইতে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি ও লবণ দিয়ে নাড়ুন । এবার আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, দারুচিনি ২ টুকরা, লবঙ্গ ও এলাচ ২টা এবং মাংসের কিমা দিয়ে নাড়তে থাকুন । সামান্য একটু পানি দিন। পানি উঠে শুকিয়ে তেলের ঊপর ঊঠলে নামিয়ে রাখুন। ডিমের ওমলেটের কিমা দিয়েও করতে পারেন।

এবার আলু চপ তৈরী করুন -


আলু ধুয়ে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ আলুর পানি ঝরিয়ে নিন। এবার সাথে সাথেই এই সিদ্ধ করা আলুগুলো চুলায় খালি গরম পাতিলে দিয়ে আলুর গায়ে লেগে থাকা পানি শুকিয়ে নিন। খোসা ছাড়িয়ে আলুগুলো চটকে নিন।


এখন পেঁয়াজ ভেরেস্তা, গোলমরিচ গুঁড়া, বিটলবণ, ১ চা চামচ টোস্টের গুঁড়া, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, লবণ একসাথে ভাল করে মেশান। এবার এই মিশ্রণটি আলুর সাথে ভাল করে চটকে মেখে নিন। ভাল করে মেশানোর জন্য মলতে পারেন বেশি করে।


তারপর মাখানো আলু ১০ ভাগ করে মাংসের এর ভেতরে আগেই করে রাখা মাংসের কিমার পুর দিয়ে আলুর চপ ইচ্ছামত বিভিন্ন আকারের [যেমন- ডিম্বাকার, গোলাকার] করে তেরী করে নিন। দেখবেন কিমার পুর এর উপর যেন আলু দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। এখন কাচা চপ ফেটানো ডিমের মধ্যে চুবিয়ে তা টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন, তাতে ডিমে চুবানো চপের গা শুকিয়ে যাবে। এবার ডুবো তেলে ভাঁজুন।


এবার টমেটো সস কিংবা চিলি সস সাথে শশা কেটে সাজিয়ে পরিবেশণ করুন। ছবিতে যে টমেটো সস দেখতে পাচ্ছে তা আমার রান্না ঘরেই করা, টমেটোর সিজনে করে রাখি বছরের অনেকখানি চলে যায়। বাজারের সসে নাকি টমেটোই থাকে না। 



Sunday, March 11, 2012

রূপচাঁদা শুঁটকিতে টমেটো





উপকরন: রূপচাঁদা শুঁটকি - ১০০ গ্রাম, টমেটো (কিউব করে কাটা) - ৪টি (মাঝারী), রসুন বাটা - ১ টে চামচ, আদা বাটা - ১ চা চামচ, জিরা বাটা - দেড় চা চামচ, ধনে গুড়া - ১ চা চামচ, হলুদ গুড়া - ১/২ চা চামচ, মরিচ বাটা - ১ টেবিল চামচ, পেয়াজ কুচি - ১ কাপ, কাঁচামরিচ (ফালি করে কাটা) - ৪/৫ টা, তেল - দেড় কাপ, পানি - দেড় কাপ, লবণ - পরিমাণমতো, ধনেপাতা কুচি - ৩ টে চামচ, চিনি - ১ চিমটা । 

প্রণালি: প্রথমে শুঁটকি এক ইঞ্চি সাইজের টুকরা করে নিতে হবে। এবার ভাল করে ধুয়ে ২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কাটা শুঁটকিগুলো। দুই ঘন্টা পরে ভেজানো শুঁটকি গুলো পানি থেকে তুলে পানি ঝরিয়ে নিন, আর মূল রান্নার জন্য তৈরী হোন -

কড়াইতে তেল দিন, তেল গরম হলে তাতে পেয়াজ কুচি দিন, ভাজতে থাকুন। হালকা বাদামী রঙ ধারণ করলে উপকরণের সব মশলা দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে নিন। এসময় চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন, নইলে মশলা পুড়ে যাবে। এবার কষানো মসলায় শুঁটকি দিয়ে দিন, এ অবস্থায় আরও ১০ মিনিট রান্না করুন। চুলার আঁচ একটু বাড়াতে পারেন। এবার ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। কিছুক্ষন পর টমেটো ও কাঁচামরিচ ছেড়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে একটু নেড়ে দিন, আবার ঢেকে দিন। এ অবস্থায় আরো কিছুক্ষণ রান্না করুন। মাখামাখা হয়ে আসলে ধনেপাতা ও চিনি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। গরম ভাতের সাথে পরিবেশনে খুবই ভাল লাগবে। কেউ ঝাল পছন্দ করে শুঁটকিতে, ঝাল বাড়িয়ে দিতে পারেন আপনার পছন্দ মত।

 


মৃগেল মাছের দোঁপেয়াজা





উপকরন: মৃগেল মাছ - ৬ টুকরা (পিঠের মাছ), পেয়াঁজ কুচি - ১ কাপ, টমেটো কাটা (কিউব) - ১ কাপ, আদা বাটা - আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া - আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া - আধা চা চামচ, হলুদ গুঁড়া - ৪ ভাগের ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া - আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি - ১ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো, ধনেপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো ।

প্রণালি: প্রথমেই মাছের টুকরাগুলো লালচে বাদামী করে ভেজে নিন। কড়াইতে তেল দিন, তেল গরম হলে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে খানিকটা নাড়ুন। এবার পেয়াঁজ কুচির সাথে একে একে আদা বাটা, জিরা গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর টমেটো কিউব ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে নাড়ুন। টমেটো সিদ্ধ হয়ে আসলে দধনেপাতা কুচি সহ ভাজা মাছ দিয়ে দিন। অল্প আঁচে চুলায় ১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

আলু-করলা ভাজি




উপকরন: করলা - ১টা বড় সাইজের, আলু - ২টা মাঝারী সাইজের, পেয়াজ কুচি - ১ টেবিল চামচ, ধনেগুড়া - ১টেবিল চামচ, মরিচ গুড়া - ১/২ চা চামচ, জিরা গুড়া - ১/৩ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি - ১ চিমটি, তেল - ১/২ কাপ ।

প্রণালি: আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর আলু ও করলা ধুয়ে পাতলা করে কেটে নিতে হবে, কুচি করবেন না। করলার খোসা ছাড়াতে হবেনা। কাটার পর সবজি ধোবেন না, তাতে খাদ্যগুণ নষ্ট হয়।

এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে একটু গরম করুন। তেল হালকা গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে পেঁইয়াজ ভাজুন। পেঁয়াজ বাদামী রঙ ধারণ করলে একেএকে ধনে গুড়া, মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া ও লবণ দিয়ে একবার নেড়ে তাতে করলা ও আলু দিয়ে দিন। ভালভাবে কয়েকবার নেড়ে মশলার সাথে কষিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে দিতে পারেন এ পর্যায়ে। চুলার আঁচ খুব বেশি থাকবেনা। কিছুক্ষন পর আবার নেড়ে দিন। এভাবে একটু পরেপরে কয়েকবার নেড়ে দিতে হবে। নেড়ে দেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন খুব যেন ওলোট-পালোট করে নাড়া না হয় তাতে করলা তিতা হয়ে ঊঠবে।


করলা ভাজা-ভাজা হয়ে এলে সামান্য (১ চিমটি) চিনি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন। চিনি দেয়ার ফলে করলা ভাজির রঙ রান্নার পরো সবুজ থাকবে (ছবি দেখুন)।

Saturday, March 10, 2012

তেলে ভাজা করলা






উপকরণ: বড় সাইজের করলা - ১ টা (২৫০ গ্রাম হলেই হবে), পেয়াঁজ কুচি - ২ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া – ১/২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ, জিরা গুঁড়া – ১/৩ চা চামচ (তিন ভাগের একভাগ), লবণ - পরিমাণমতো, তেল - ১ কাপ ।

প্রণালি: কাটার আগেই করলা ধুয়ে নিন। এবার চাকার মত গোল-গোল করে করলা কেটে নিতে হবে (ছবির মত করে)। টুকরাগুলো খুব পাতলা হবে না, আবার ভারীও হবে না। করলার বীচি ফেলে দেবেন। এবার লবণ, ধনে, মরিচ ও জিরা গুড়াঁ করলার মধ্যে মেখে নিন। খুব হালকা হাতে মাখাবেন, কচলাবেন না। মাখানো করলাগুলো মিনিট দশেক রেখে দিন।

এবার কড়াইয়ে পুরো ১ কাপ তেল দিন। হালকা গরম হলে ৪/৫ টুকরা করে করলা ঐ গরম তেলে হালকা বাদামী করে ভেজে প্লেটে উঠিয়ে রাখুন। এসময় চুলার আঁচ কমানো থাকবে। এভাবে সবটুকু করলা ভেজে তুলুন। করলা ভাজা হয়ে গেলে বাকী তেলে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে নেড়ে বাদামী রং করে ভাজুন।

পরিবেশনের জন্য ভাজা করলার উপর বাদামী করে ভাজা এই পেঁয়াজটুকু ছড়িয়ে দিন। কিংবা পেঁয়াজ বাদামী হয়ে ভাজা হলে ঐ একই কড়াইয়ে ভাজা করলাসহ আরো ২/৩ মিনিট ভেজে চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

Wednesday, March 7, 2012

টমেটো চিংড়ি মালাইকারি [৪-৫ জনের জন্য]


উপকরণ: বড় মাঝারি চিংড়ি ২০০ গ্রাম (ধুয়ে বেছে নেওয়ার পর), সবুজ কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, লাল কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, টমেটো ৩টি (প্রতিটি লম্বায় ৪ টুকরো করতে হবে) মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, গোটা জিরা সিকি চা-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়ো সিকি চা-চামচ, জিরা গুঁড়ো আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, সরিষার তেল সিকি কাপ

প্রণালি: ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। মাছ ভাজার একই তেলে গোটা জিরার ফোড়ন দিয়ে আদা ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ নারকেলের দুধ দিন। আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপর মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু হলে জ্বাল কমিয়ে লবণ ও চিনি দিয়ে হালকা নেড়ে হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। সামান্য গরম পানি দিয়ে কষান। এবার বাকি ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে হালকা নেড়ে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিন। চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুুলে নাড়ুন। তারপর টমেটো দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে যখন মাছের গায়ে ঝোল মাখা মাখা হবে, তখন চেরা কাঁচা ও পাকা মরিচ দিয়ে ঢেকে চুলা বন্ধ করে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন।

টমেটোর আচার



উপকরণ: টমেটো ১ কেজি, শুকনো মরিচ ৪-৫টি, সরিষার তেল ১ কাপ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ, কাঁচা আদা ২ ইঞ্চি লম্বা ১টি, জিরা ১ টেবিল চামচ, রসুন ৮ কোয়া, সাদা সরিষা ১ টেবিল চামচ, হলদু আধা চা-চামচ, লবণ ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি সিকি কাপ, পাঁচফোড়ন টেলে গুঁড়ো করা ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: টমেটো ধুয়ে কুচি করে নিন। অর্ধেক পরিমাণ আদা ও রসুন কুচি করুন। বাকি আদা, সরিষা ও জিরা বেটে নিন। চুলায় কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে সব বাটা মসলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। কষানো হলে সিরকা ও লবণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে কষাতে হবে। তারপর টমেটো কুচি, ১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো, আদা, রসুন কুচি ও শুকনো মরিচ দিয়ে রান্না করুন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে তেলের ওপরে এলে তাতে তেঁতুলের ক্বাথ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। একটু মাখা মাখা হলে বাকি পাঁচফোড়নের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করুন। ঠান্ডা হলে একটি কাচের শুকনো বোতলে আচার ঢেলে বোতলের মুখ শক্ত করে বন্ধ করে ১০-১২ দিন কড়া রোদে দিন।

টমেটোর খাট্টা-মিঠা [৫-৬ জনের জন্য]


উপকরণ: টমেটো ৫০০ গ্রাম, পানি ৬ কাপ, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, লবণ ৩ চা-চামচ (অথবা স্বাদ অনুযায়ী), চিনি ৬ চা-চামচ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ

প্রণালি: একটি হাঁড়িতে ৬ কাপ পানি দিয়ে চুলায় দিন। তাতে টমেটো ধুয়ে ৪ টুকরো করে দিন। সঙ্গে ২ চা-চামচ লবণ, হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ৪ চা-চামচ চিনি দিন। আবারও ঢেকে দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে ৪ কাপমতো হলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। এবার তারের চালুনিতে টমেটোগুলো হাত দিয়ে ভালো করে ছেনে নিয়ে খোসা ফেলে দিন। আবার হাঁড়ি চুলায় চাপিয়ে তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে আরও ১ চা-চামচ লবণ ও ২ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঢেলে দিন। নেড়ে দুই-তিনবার ফুটতে দিন। চুলার আঁচ কিছুটা কমিয়ে দিন। পাশের চুলায় ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ হালকা বাদামি রং হলে রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ ও রসুনের রং গাঢ় বাদামি হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে দু-এক মিনিট ভেজে খাট্টা-মিঠার হাঁড়িতে তা ঢেলে দিন। দু-একবার ফুটে ওঠার পর ধনেপাতা কুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট রাখুন। কেউ যদি একটু ঘন করতে চান, তাহলে এতে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার গুলে দিতে পারেন।

টমেটোর চাটনি [৪ জনের জন্য]


উপকরণ: বড় টমেটো ৬টি, সয়াবিন তেল সিকি চা-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি আধা চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৪টি

প্রণালি: টমেটো ধুয়ে মুখটা কেটে ৪ টুকরো করে কেটে নিন। টমেটোতে তেল মাখিয়ে একটি ফ্রাইপ্যানে দিয়ে জ্বাল বাড়িয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে টমেটোগুলো উল্টে দিয়ে আবারও ঢেকে দিন। আরও পাঁচ মিনিট পর চুলার জ্বাল কমিয়ে ঢাকনা খুলে ডালঘুঁটনি দিয়ে সামান্য থেঁতো করে পানি শুকিয়ে ফেলুন। টমেটো সেদ্ধ হয়ে পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। একটি পাত্রে শুকনো মরিচ টেলে হাতে গুঁড়ো করে রাখুন। তার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ ও চিনি মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে কচলে পোড়া পোড়া টমেটোর সঙ্গে মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম ভাত বা পুরির সঙ্গে খেতে পারবেন।

Tuesday, March 6, 2012

চিকেন কিমা-পোলাও


উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আড়াই কাপ (আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে), ধনেপাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ, আস্ত পাতা ২০ থেকে ২৫টি, লবণ স্বাদমতো, চিকেন কিমা ১ কাপ, তেল আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, এলাচি ২টি, লবঙ্গ ২টি, দারচিনি ২টি, গোলমরিচ ১০টি, আস্ত জিরা সিকি চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টমেটো চপ করা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, শুকনো মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে এলাচি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারচিনি ও জিরার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। এটি ভুনে কিমা দিয়ে আবার ভুনে লবণ, আদা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া ও টমেটো দিয়ে ভুনে ঢেকে দিতে হবে। কিমা সেদ্ধ হয়ে এলে চাল দিয়ে ভুনে পানি দিয়ে ঝরঝরে পোলাও রান্না করে নিতে হবে। ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, কাঁচা মরিচ, গরম মসলা ও ঘি দিয়ে দমে বসাতে হবে।

এই পোলাও বাচ্চাদের টিফিনে, বড়দের অফিসের খাবারে বা যাত্রায় নেওয়ার জন্য খুব ভালো এবং খেতেও সুস্বাদু।

Monday, March 5, 2012

ব্রেড-পালং টিক্কা


উপকরণ: পাউরুটি ৮ স্লাইজ, ফেটানো দই ১ কাপ, ময়দা আধা কাপ, কর্ন ফ্লাওয়ার আধা কাপ, ঘি বা তেল ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ দেড় চা-চামচ, সাদা তিল টেলে নেওয়া ১ টেবিল চামচ, পালংপাতা কুচি (মিহিকুচি) ২ কাপ, আদা গ্রেট করা মিহি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ।

প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ মিলিয়ে ডো বানাতে হবে। এই ডো আধা ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে বের করে ছোট ছোট টিক্কা বানাতে হবে। ডুবো তেলে সোনালি করে (মাঝারি আঁচে) ভেজে পরিবেশন। এই টিক্কা টিফিনে, লাঞ্চে বা যাত্রাপথে নেওয়ার জন্য খুব স্বাস্থ্যকর।

Sunday, March 4, 2012

ডিমের স্যান্ডউইচ


উপকরণ: পাউরুটি প্রয়োজনমতো, ডিম সেদ্ধ ৩টি কুচি করা, গোলমরিচ স্বাদমতো, লবণ স্বাদমতো, মাখন ৩ টেবিল চামচ (নরম)।

প্রণালি: নরম মাখনে গোলমরিচ ও লবণ দিয়ে মেখে নিতে হবে। এ মিশ্রণে কুচি করা ডিম মিলিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণ পাউরুটির ২ টুকরোর সঙ্গে মাঝে লাগিয়ে সাইড কেটে ফেলে তিন কোনা করে কেটে পরিবেশন করতে হবে।
এই স্যান্ডউইচ যাত্রাপথে খেতে খুব মজা। সঙ্গে গাজর ও শসা স্লাইচ নিন বেশি করে। মরিচের গুঁড়া, বিট লবণ ও লবণ সঙ্গে রাখুন।

Saturday, March 3, 2012

বেগুন-টমেটো ভর্তা


উপকরণ: বেগুন বড় ১টা, পাকা টমেটো ৪টা, পেঁয়াজ মিহি কুচি আধা কাপা, শুকনা মরিচ ৪টা, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, লবণ ৩-৪ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: বেগুন ধুয়েমুছে একটু তেল মাখিয়ে আগুনে পুড়ে নিন। এরপর খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটো ধুয়ে পাঁচ মিনিট গরম পানিতে ছেড়ে সেদ্ধ করে নিন। পানি থেকে নামিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। বেগুন ও টমেটো ছোট ছোট টুকরা করে প্যানে চুলায় নেড়েচেড়ে শুকিয়ে নিন। আধা চা-চামচ লবণ ও চিনি দিয়ে শুকাবেন। একটি বাটিতে পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতার সঙ্গে স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে মজিয়ে নিন। তারপর বেগুন ও টমেটো একসঙ্গে মিশিয়ে মেখে নিন। সরিষার তেল দিয়ে মাখবেন। খুদের ভাতের সঙ্গে ভর্তা পরিবেশন করুন।

Friday, March 2, 2012

স্প্রিং রোল


উপকরণ: মুরগির কিমা ১ কাপ, গাজর কুচি করা ১ কাপ, বাঁধাকপি কুচি করা ১ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা আধা টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ (বিচি ফেলে), চিনি ১ চা-চামচ, স্বাদলবণ ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ, রোলের পাতলা রুটি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ ভুনে তাতে মাংসের কিমা, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ভুনতে হবে দুই থেকে তিন মিনিট। এরপর সবজি দিয়ে ভুনে অল্প লবণ দিতে হবে। অল্প ভুনে সয়াসস, টমেটো সস, চিনি ও স্বাদলবণ দিয়ে ভুনে নামাতে হবে। রোলের পাতলা রুটি রোল বানিয়ে সোনালি করে ভেজে নিতে হবে।

এ রোল বাক্সে ভরে ডিপে অনেক দিনের জন্য রেখে খাওয়া যায়। যাত্রাপথে সঙ্গে রাখুন প্লাস্টিকের প্লেট, বাটি, গ্লাস ও চামচ। সস সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।

Thursday, March 1, 2012

রুই কোর্মা


উপকরণ : বড় টুকরা রুই মাছ ৫০০ গ্রাম, পানি ঝরানো টকদই ১০০ গ্রাম, তরল দুধ ৫০ মিলিলিটার, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১.৪ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, ধনেবাটা ২ চা চামচ, আস্ত গোলমরিচ ৫-৬টি, আস্ত এলাচ-দারচিনি-তেজপাতা ২টি করে, কিশমিশ পেস্তা বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ঘি আধা কাপ, তেল আধা কাপ, চিনি ১ চা চামচ ,লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৫টি, গরম মসলা আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছ কেটে ধুয়ে নিন।
২. একটি পাত্রে দই, তরল দুধ, লবণ, আস্ত গরম মসলা, সব বাটা মসলা একসঙ্গে মাখুন। এর সঙ্গে মাছ মিশিয়ে নিন।
৩. কড়াইতে তেল ও ঘি গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে রাখুন।
৪. এবার মেখে রাখা মাছ, পেঁয়াজ বেরেস্তা এবং আধা কাপ বেরেস্তা ভাজা তেল ও ঘিয়ের মিশ্রণ একসঙ্গে ভালো করে মাখুন। ১ টেবিল চামচ বেরেস্তা রেখে দিন।
৫. ননস্টিক প্যানে মাছ বিছিয়ে ওপর থেকে মসলার মিশ্রণ ঢালুন। ঢেকে চুলায় দিন। কম আঁচে রান্না করুন।
৬. মাছের ঝোল শুকিয়ে এলে লেবুর রস, চিনি ও কাঁচামরিচ, গরম মসলা দিয়ে সাবধানে নেড়ে আবার ঢেকে দিন।
৭. ঝোল শুকালে মাছ নামিয়ে ফেলুন। বেরেস্তা ও বাদামের মিশ্রণ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।