Thursday, May 31, 2012

রকমারি রান্নার সরঞ্জাম


রান্না সহজ ও স্বল্প সময়ে করার জন্য বাজারে নানা রকম সরঞ্জাম পাওয়া যায়। ভাত রান্নার জন্য রাইস কুকার, মাংস রান্নার জন্য প্রেশার কুকার। খাবার গরম ও রান্না করতে ওভেন। চা, কফি ও পানি গরম করার জন্য রয়েছে ওয়াটার হিটার এবং খাবার গরম রাখতে হটপট। এ ছাড়া আছে ননস্টিক ফ্রাইপ্যান।

কেমন চাই
বাজারে পাবেন ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, তাওয়া, কড়াই, সসপ্যান ঢাকনাসহ ও ছাড়া; প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, কারি কুকার, ওভেন ও মাইক্রোওভেন। আছে সিরামিকের প্লেট, গ্লাস, ডিনার সেট, বিভিন্ন সাইজের বোল, বিভিন্ন ধরনের স্টেইনলেস স্টিলের চামচ সেট, স্টিলের ছোট-বড় দুই ধরনের ছুরি, বিভিন্ন ডিজাইনের চামচ সেট। আরো আছে নারিকেল মালাই দিয়ে কাঠের হাতলের চামচ, বাঁশের ফ্রুট ট্রে ও ঢাকনাসহ মাটির লবণদানি ইত্যাদি।

ধরন বুঝে দাম
বড় অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের সাইজ ২২ থেকে ৩৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল পাওয়া যাবে কেজি দরে, যা শুরু হয় ৪৫০ টাকা থেকে। ননস্টিক ২২ সেন্টিমিটার ১৫০০, ২৪ সেন্টিমিটার ১৫৫০ এবং ২৬ সেন্টিমিটার ১৬০০ টাকায়। এ ছাড়া ২৮ সেন্টিমিটার ১৬৫০, ৩০ সেন্টিমিটার ১৭০০, ৩২ সেন্টিমিটার ১৭৫০, ৩৪ সেন্টিমিটার ১৮০০ এবং ৩৬ সেন্টিমিটার ১৮৫০ টাকায়। স্টিলের সসপ্যান পাওয়া যাবে ১ থেকে ১০ নম্বর অনুযায়ী। সসপ্যান ঢাকনাসহ দাম পড়বে ৬০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে। আর একসঙ্গে সেট নিলে পাওয়া যাবে ৪০০০ টাকার মধ্যে। স্টিল কুকার পাওয়া যাবে ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে। লোহার কড়াই ছোট, বড় ও মাঝারি তিন সাইজের দাম পড়বে কেজি দরে। প্রেশার কুকার পাওয়া যাবে দুই লিটার থেকে সাড়ে আট লিটার পর্যন্ত। প্রেশার কুকারের দাম ব্র্যান্ড ও লিটার অনুযায়ী ৮৭০ থেকে শুরু করে ৯৪৯০ টাকা পর্যন্ত। তাওয়া পাওয়া যাবে নরমাল ও হাই কোয়ালিটির। নরমালের মধ্যে রয়েছে কিয়াম, ম্যাজিক ও ব্রাইন_দাম ৫০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। আর হাই কোয়ালিটির ফিচুড়া পাওয়া যাবে ১৯০০ থেকে ৪০০০ টাকায়। কারি কুকার পাওয়া যাবে ১৭০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে। ইলেকট্রিক ওভেন পাওয়া যাবে ৩০০০ থেকে ১৫০০০ টাকায়। মাইক্রোওভেন ৫০০০ থেকে ২৮০০০ টাকার মধ্যে। এসব ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সিরামিক সামগ্রী, যার মধ্যে বিভিন্ন সাইজের বোল পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। প্লেট সেট ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, গ্লাস সেট ৩০০ থেকে ১৫০০, ডিনার সেট ২৫০০ থেকে ২৫০০০, কাটলারি সেট ৮০০ থেকে ১৫০০, নারিকেলের মালাই দিয়ে হাতলের চামচ ৮০ টাকা, বাঁশের ফ্রুট ট্রে ৭০ থেকে ১০০ টাকা এবং মাটির লবণদানি ১১০ টাকা। এ ছাড়া ওয়াটার হিটার সুপারভিশন ব্র্যান্ডের ৫০০ ওয়াটের দাম ২৫০ টাকা, ১০০০ ওয়াট ৮৫০ এবং ১৫০০ ওয়াটের দাম ১২০০ টাকা। স্টিলের হিটারের দাম ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। মিল্টন ও কিয়ামের ছোট হটপটের দাম ৩৫০ টাকা, মাঝারি ১৩০০ এবং বড় ২৫০০ টাকা। নোকার হটপটের দাম ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। স্বপ্নমলে পাবেন আধা কেজি থেকে ১৪ কেজি পর্যন্ত খাবার ধারণ করার হটপট। ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত খাবার গরম থাকবে। দাম ২৫০ থেকে ২৫০০ টাকা।

পাবেন যেখানে
নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, কারওয়ান বাজার, বিগ বাজার, আড়ং, মীনা বাজার, স্বপ্ন ও আগোরাতে সিরামিকের পণ্য পাবেন মন্নু সিরামিক, পিপলস সিরামিক ও শাইনপুকুরের। সিরামিকের বিভিন্ন শোরুম এবং ক্রোকারিজ আইটেমের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ পাবেন রাজধানীর চকবাজারে। এ ছাড়া যেকোনো শপিং মলে পাবেন।

Tuesday, May 29, 2012

অনেক গুণের বেগুন


পিৎজা

উপকরণ
বেগুন ১টি, মুরগির কিমা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ কুচি ৪টি, তেল পরিমাণমতো, ময়দা ১ কাপ, ইস্ট ১ চা চামচ, গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ, ডিম অর্ধেক, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, মজোরোলা চিজ প্রয়োজনমতো, অরিগেনও পাতা আধা চা চামচ, টমেটো সস আধা কাপ।
ময়দা, ইস্ট, দুধ, ডিম, লবণ, চিনি একসঙ্গে ডো বানিয়ে আধা ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. বেগুন ছোট টুকরা করে কেটে লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিন।
২. কড়াইয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ-মরিচ কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে আদা, রসুন বাটা দিয়ে মাংস দিয়ে দিন।
৩. সয়া সস, লবণ, গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে টমেটো সস দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
৪. পিৎজা সেটিং : পিৎজার ডাইসে তেল ব্রাশ করে ডো দিয়ে রুটি বেলে ডাইসে সেট করুন।
৫. রুটির ওপর ডিম ব্রাশ করে টমেটো সস দিয়ে ভাজা বেগুন দিয়ে তার ওপর টমেটো সস এবং কিছু চিজ দিয়ে তার ওপর রান্না করা মাংস দিন। আবার টমেটো সস, চিজ দিয়ে অরিগেনও পাতা ছিটিয়ে দিন।
৬. ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট বেক করুন।

স্মোক ব্রিনজাল

উপকরণ
বেগুন ২টি, ছোট চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, চিংড়ির কিমা এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, নারিকেল বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, এলাচ ১টি, দারুচিনি ২-৩ টুকরা, তেজপাতা ১টি, তেল পরিমাণমতো, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. বেগুন লম্বা করে চার ফালি করতে হবে, বোঁটার দিকে লেগে থাকবে। লবণ মাখিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট।
২. এরপর চিংড়ি, নারিকেল, লবণ, মরিচ গুঁড়া একসঙ্গে মাখিয়ে বেগুনের ভেতর পুর দিয়ে সুতা দিয়ে ভালো করে বেঁধে তেলে ভাজুন।
৩. এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে একে একে সব বাটা মসলা দিয়ে কষিয়ে লবণ, মরিচ, হলুদ দিয়ে চিংড়ির কিমা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে আধা কাপ পানি দিন।
৪. ফুটে উঠলে ভাজা বেগুন দিয়ে রস শুকিয়ে তেলের ওপর উঠে এলে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আম-বেগুনের মিতালি

উপকরণ
বেগুন ১টি, আম ১টি, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, বিট লবণ আধা চা চামচ, সরিষার তেল এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, পাঁচফোড়ন ভাজা গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ ২-৩টি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. বেগুন পুড়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। আম সিদ্ধ করে চটকে রাখুন।
২. কড়াইতে তেল, মরিচ দিয়ে আম-বেগুন দিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ, মরিচ গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি দিয়ে দিন।
৩. ভালো করে নাড়তে হবে, যখন তেলের ওপর উঠে আসবে, গুঁড়া মসলা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

স্প্রিং রোল

উপকরণ
বেগুন ১টি, ডিম ১টি, মুরগির কিমা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, মরিচ কুচি ৩-৪টি, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, ব্রেড ক্রাম ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, তেল পরিমাণমতো, টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ, চিনি আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. বেগুন লম্বা ও পাতলা করে কেটে লবণ মাখিয়ে তাওয়ায় সেঁকে নিন। কড়াইতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ-মরিচ কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়তে থকুন।
৩. এবার মুরগির কিমা দিয়ে সয়া সস, লবণ দিয়ে নাড়ুন। পানি শুকিয়ে এলে গোলমরিচ গুঁড়া, টেস্টিং সল্ট, টমেটো সস, ময়দা, ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
৪. বেগুনের ভেতর পুর দিয়ে রোলের মতো পেঁচিয়ে ময়দা পানিতে গুলে মুখটা বন্ধ করে দিন।
৫. এবার ডিমে চুবিয়ে ক্রামে গড়িয়ে ফ্রিজের সাধারণ তাপমাত্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে অল্প তেলে ভেজে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Monday, May 28, 2012

রসুনের গুণ


রান্নার পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভালো রাখার দাওয়াই হিসেবেও কাজ করে। এর নানা রকম ভেষজ গুণ রয়েছে। রসুনে আছে ১৭টি অ্যামাইনো এসিড ময়েশ্চার, প্রোটিন, আমিষ, ফ্যাট, মিনারেল ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, নিয়াসিন, আয়োডিন, সালফার ও ফ্লোরিন, আছে অল্প পরিমাণে ভিটামিন সি। এ ছাড়া আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমাণে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকর।

ভেষজ গুণ
শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। রক্ত সঞ্চালন সঠিক রেখে শরীরে টঙ্নি কমায়। ক্যান্সার প্রতিরোধক, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতেও রসুন উপকারী। রসুন ফুসফুস, ব্রঙ্কিয়াল টিউব, সাইনাসের গহ্বরে মিউকাস জমতে দেয় না। রসুন শরীরে প্রবিষ্ট তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিষ্ক্রিয় বা নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে। টিউবারকিউলোসিস, নিউমোনিয়া, হুপিংকাশির মতো অসুখে রসুন উপকারী। এটি ঠাণ্ডা, সর্দি, কফ সারাতেও সাহায্য করে। রসুন ঘা, আলসার সহজে সারায়। হজমে গোলমাল, যেমন_আমাশয় ও কৃমির সমস্যায়ও এটি উপকারী। অ্যাজমা, কানে কম শোনা, ব্রঙ্কাইট কনজেশন প্রভৃতি থেকে সুরক্ষা করে। রসুন ক্ষুধামান্দ্য দূর করে। এ ছাড়া প্রস্রাবের বেগ বাড়ায়, হাইপারটেনশন ও চুল পাকানো কমায়।

ব্যবহার
মসলা হিসেবে রসুন ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন আচার ও মুখরোচক খাবার তৈরিতে রসুনের ব্যবহার রয়েছে।

অপকারিতা
রসুন বেশি খেলে অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। রসুন থেকে অ্যালার্জিও হতে পারে।

Sunday, May 27, 2012

লেবুর আচার


উপকরণঃ লেবু ২০টি ধুয়ে নরম কাপড়ে মুছে নিতে হবে। লবণ ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ (টেলে গুঁড়া করা), মরিচ গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, সরিষার তেল ২ কাপ।

প্রণালীঃ লেবু লম্বায় ৮ টুকরা করে কেটে বড় বোলে নিয়ে ওপরে লবণ ছড়িয়ে রাখতে হবে। এবার পাঁচফোড়ন, মরিচ ও হলুদ দিয়ে লেবু মাখিয়ে (তেলসহ) পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে ১০/১২ দিন রোদ লাগাতে হবে। লেবু নরম হলে বোতলে ভরে রাখতে হবে।

(সংগ্রহ)

মাশরুম স্টিক


উপকরণ: বড় মাশরুম (মোটা করে কাটা), মার্জারিন, গোলমরিচ, ময়দা, ক্যাপসিকাম।

প্রণালি: মাশরুমগুলো পানিতে দুয়েক মিনিট সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করার পর অল্প মার্জারিন দিয়ে অল্প তাপে ভাজতে হবে। ভাজা হলে উঠিয়ে রাখতে হবে। এরপর একই ফ্রাইপ্যানে মার্জারিন ও ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে দুধ মিশিয়ে হোয়াইট সস বানাতে হবে। এরপর একটা সার্ভিং ডিসে বড় বড় কাঠিতে দুটি মাশরুম টুকরো, একটি ক্যাপসিকাম টুকরো—এভাবে গেঁথে স্টিক বানাতে হবে। সার্ভিস ডিশে স্টিকগুলো সাজিয়ে ওপরে হোয়াইট সস ঢেলে দিতে হবে।

Saturday, May 26, 2012

ডিমের পুষ্টিগুণ

আখতারুন নাহার আলো
বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টি বিভাগ
বারডেম হাসপাতাল

ডিম প্রোটিনসমৃদ্ধ, সহজপাচ্য আদর্শ খাদ্য। আমাদের দেশে দুই ধরনের ডিম পাওয়া যায়_ ফার্মের ডিম ও দেশি ডিম। অনেকের ধারণা, ফার্মের ডিম ও হাঁসের ডিমে কোনো পুষ্টিগুণ থাকে না। আসলে তা নয়। পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনা করলে দেখা যায়, ফার্মের ডিম ও হাঁসের ডিম যেহেতু আকারে বড়, তাই এতে পুষ্টিগুণও বেশি থাকে। একটি ফার্মের ডিমে ক্যালরি আছে ৮০ এবং দেশি মুরগির ডিমে ক্যালরি আছে মাত্র ৫০।

বাজারে যেসব ফার্মের ডিম পাওয়া যায় তাতে ৮ গ্রাম প্রোটিন ও ৬ গ্রাম চর্বি রয়েছে। ডিমের কুসুমে রয়েছে ২৫০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, যা সম্পৃক্ত চর্বি। তবে ডিমের কুসুম সহজে হজম হয়। সিদ্ধ, পোচ, অমলেট_যেভাবেই ডিম খাওয়া হোক না কেন, এর পুষ্টিগুণে তারতম্য হয় না।

কারা খাবেন
হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়াই ভালো। রুগ্ণ ও ভগ্নস্বাস্থ্য ভালো করার জন্য এবং গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডিম আদর্শ খাবার। রিউমেটিক রোগীদের দেহে ডিম ভালো কাজ করে। জন্ডিস, পেটের পীড়ায় ডিম কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া ঘটায় না। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ ও কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডিম প্রয়োজন।

Friday, May 25, 2012

গ্রিন গ্রেভি


উপকরণ: ধনেপাতা কুচি ১ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৩টি, সরিষা বাটা আধা চা চামচ, চিনি একটু, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ধনেপাতা, লেবুর রস, কাঁচামরিচ, সরিষা, রসুন কুচি, চিনি ও লবণ সব একসঙ্গে মিহি করে বেটে নিন।
২. পরিবেশন করুন ভাত ও ভর্তার সঙ্গে।

Thursday, May 24, 2012

ফলের সাসলিক


উপকরণ: আপেল, টক দই (পানি নিংড়ানো), আনারস, লেটুসপাতা, পেয়ারা, কনডেন্সড মিল্ক, শসা, বিটলবণ, গোলমরিচ ও চেরি।

প্রণালি: প্রথমে টক দই দুই-তিন ঘণ্টা একটা কাপড়ের মধ্যে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখি। এভাবে টক দইয়ের পানি সম্পূর্ণ নিংড়িয়ে নিই। একটি পাত্রে সমপরিমাণ টক দই ও কনডেন্সড মিল্ক নিই। এবার ইলেকট্রিক বিটারে যতক্ষণ পর্যন্ত ফেনা না উঠবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করি। এভাবে ক্রিম তৈরি হলো। এই মিশ্রণে বিটলবণ ও গোলমরিচ পরিমাণমতো দিই। একটা কাঠিতে আপেল, আনারস, পেয়ারা, শসা ও চেরি ফল গেঁথে দিই। এবার এই কাঠিতে ক্রিম লাগিয়ে পরিবেশন করি।

Wednesday, May 23, 2012

আমের অনেক উপকার


আমে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে এবং হৃদরোগ, বুড়িয়ে যাওয়া, ক্যান্সার ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। আমে প্রচুর লৌহ আছে। ফলে রক্তশূন্যতায় আক্রান্তদের জন্য এটা ওষুধও হতে পারে। হজম, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও এটি বেশ কার্যকর। এর পটাসিয়াম রক্তচাপ কমায়। আর পেকটিন কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়।

Tuesday, May 22, 2012

টক দইয়ের টক-মিষ্টি


এই গরমে টক দই স্বাস্থ্যকর, সবার জানা। কিন্তু এর স্বাদটা অনেকেরই পছন্দ নয়। টক দই দিয়েও করা যায় নানা স্বাদের মজাদার খাবার। দেখুন নাসরিন আলমের রেসিপিগুলো।

ভাপা দই
উপকরণ: দই আধা লিটার বা ৩ কাপ (পানি ঝরানো), কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, বাদাম স্বাদমতো, কিশমিশ স্বাদমতো, এলাচ গুঁড়া সামান্য।

প্রণালি: দই, কনডেন্সড মিল্ক ও এলাচ গুঁড়া খুব করে ফেটে নিতে হবে। প্যানে মাখন প্রলেপ দিয়ে এই মিশ্রণ ঢেলে ভাপে জমিয়ে নিতে হবে। সার্ভিং ডিশে উল্টে বাদাম, কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।

* প্যানে মাখন বুলিয়ে (গ্রিজড করে) ভাপা দই জমানো যায় বা হালকা ক্যারামেল করেও জমানো যায়।

দই-পাকোড়া
উপকরণ: আলু কুচি করা আধা কাপ, গাজর কুচি করা আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, ময়দা প্রয়োজনমতো, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ বিচি ফেলে কুচি স্বাদমতো, ভাজার জন্য তেল।

প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিতে হবে। ডুবোতেলে ছোট ছোট বড়া বা পাকোড়া ভেজে তুলতে হবে সোনালি করে। সব ভাজা হয়ে গেলে সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে ওপরে তেঁতুল-দইয়ের মিশ্রণ ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশন।

দইয়ের মিশ্রণ তৈরি: টক দই আধা কেজি, লবণ স্বাদমতো, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, তেঁতুলের চাটনি আধা কাপ। সব একসঙ্গে মিলিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
তেঁতুলের চাটনি তৈরি: তেঁতুলের রস ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ভাজা শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ। সব একসঙ্গে জ্বাল করে নিতে হবে। ঘন হয়ে এলে নামাতে হবে।

লাচ্ছি
উপকরণ: টক দই আধা (কেজি), দুধ আধা লিটার (খুব ঠান্ডা) বা পানি, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, বিটলবণ স্বাদমতো, বরফ কিউব পরিমাণমতো।
প্রণালি: ব্লেন্ডারে দই, দুধ, লেবুর রস, জিরার গুঁড়া, লবণ ও বরফ কিউব দিয়ে ব্লেন্ড করে লম্বা গ্লাসে ঢেলে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন। লবণ ও বরফ প্রয়োজনমতো কমবেশি দেওয়া যাবে এবং পছন্দ করলে পুদিনাপাতাও দেওয়া যাবে। এই গরমে লাচ্ছি খেতে অনেক ভালো।

* শুকনা মরিচ টেলে গুঁড়া করা ১ চা-চামচ দিয়ে ব্লেন্ড করলেও মজা হবে।

দই-আপেল সালাদ
উপকরণ: তিন রঙের আপেল খোসাসহ কুচি ৩ কাপ, মুরগির বুকের মাংস সেদ্ধ ১ কাপ, টক দই ১ কাপ (পানি ঝরানো), লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লেবুর রস ৩ টেবিল-চামচ, চিনি স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ বিচি ফেলে কুচি ২টি।

প্রণালি: আপেল, মুরগি, দই, লবণ, গোলমরিচ, লেবুর রস ও চিনি দিয়ে সালাদ বানিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা করে সাজিয়ে পরিবেশন। এই গরমে অনেক স্বাস্থ্যকর এ সালাদ।

তথ্য সূত্র : প্রথম আলো পত্রিকা

স্যান্ডউইচ বিস্কুট


উপকরণ: ভেজিটেবল ক্র্যাকারস, শসা, টমেটো, টক দই, সসেজ।

প্রণালি: শসা ও টমেটো ছোট ছোট কিউব করে কাটতে হবে। এবার এতে পরিমাণমতো টক দই মিলিয়ে দিই। এবার সসেজ টুকরো করি। এবার একটা ভেজিটেবল ক্র্যাকারের ওপর সসেজ টুকরো দিয়ে এতে শসা ও টমেটোর মিশ্রণ দিই। এর ওপর আরেকটা ক্র্যাকার দিয়ে পরিবেশন করি।

Monday, May 21, 2012

পাতুরি অম্বল টক

কলাপাতায় শজনে

উপকরণ
শজনে ডাঁটা আধা কেজি, সরিষা বাটা ৫ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৩টি, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কলাপাতা ১টি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. শজনে ডাঁটা ছোট করে কেটে ধুয়ে নিন।
২. এবার ডাঁটার সঙ্গে ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখুন।
৩. কলাপাতার মধ্যে শজনে ডাঁটার মিশ্রণ দিয়ে তা মুড়িয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে দিন।
৪. কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে কলাপাতা অল্প তাপে ঢেকে রেখে সিদ্ধ করুন বা ভাপে দিন আধা ঘণ্টা।
৫. নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।

লাউপাতায় মসুর ডাল

উপকরণ
লাউপাতা ৬টি, মসুর ডাল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ৩টি, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. লাউপাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
২. মসুর ডাল, লবণ, ধনেপাতা কুচি, সরিষার তেল, হলুদ গুঁড়া ও কাঁচামরিচ ফালি একসঙ্গে মেখে নিন।
৩. এরপর লাউয়ের পাতার মধ্যে ডালের মিশ্রণ দিয়ে লাউপাতা ভাঁজ করে সুতা দিয়ে বেঁধে দিন, যাতে খুলে না যায়।
৪. কড়াইয়ে অল্প পানি দিন। এর মধ্যে লাউপাতা দিয়ে ঢেকে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

অম্বল

উপকরণ
কাঁচা আম আধা কেজি, চিনি পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, সরিষা আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা চামচ, কালিজিরা আধা চা চামচ, আস্ত শুকনা মরিচ ২টি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. আম লবণ দিয়ে সিদ্ধ করুন, যেন খুব নরম হয়।
২. কড়াইয়ে তেল গরম করে সরিষা, কালিজিরা, গোটা শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে রসুন ও আদা বাটা দিয়ে একটু নেড়ে নিন। এরপর সিদ্ধ করা আম দিন।
৩. তাপে ফুটিয়ে ঘন করুন।
৪. চিনি ও লবণ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
বি.দ্র.: অম্বল আমড়া, কামরাঙা, জলপাই দিয়েও করতে পারেন।

সবজি পাতুরি

উপকরণ
সবজি (মিষ্টিকুমড়া, আলু, গাজর, পেঁপে) আধা কেজি, কাঁচামরিচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, কলাপাতা ১টি, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. সবজি ধুয়ে কিউব (চারকোনা) করে কেটে নিন।
২. এরপর সবজির সঙ্গে লবণ, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, জিরা বাটা, মরিচ গুঁড়া, সরিষার তেল, কাঁচামরিচ ফালি, লবণ_সব একসঙ্গে ভালো করে মাখুন।
৩. কলাপাতায় সামান্য সরিষার তেল দিয়ে হালকা করে সেঁকে নিন।
৪. সবজিগুলো কলাপাতার মধ্যে দিয়ে ভাঁজ করে সুতা দিয়ে বেঁধে এরপর ভাপে সিদ্ধ করুন।

দাগ তোলার কিছু টিপস


কাপড়ে বিভিন্ন রকমের দাগের সমস্যায় আমরা প্রায়ই পড়ি। এ সমস্যার সমাধানের জন্য রইল দাগ তোলার কিছু টিপস।

* রঙিন কাপড় বা সিল্ক ফ্যাব্রিকের দাগ তুলতে হলে কাপড়টি বোরেঙ্ সলিউশনের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। এ ছাড়া লবণ ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে কাপড়ের ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগার ও মুলতানি মাটির পেস্টও দাগ তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভেজা কাপড় দিয়ে দাগের ওপর ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
* কলমের দাগ তুলতে পারেন টমেটোর রস দিয়ে। এক টুকরো কাপড়ে কাঁচা টমেটোর রস লাগিয়ে নিন। এরপর ওই কাপড় দিয়ে দাগওয়ালা কাপড়টি কিছুক্ষণ ঘষুন। এক ঘণ্টার মতো রেখে দিন। তারপর প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* কালির দাগটি প্রথমে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর টক দইয়ের মধ্যে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, যেন কাপড় শুকিয়ে না যায়। এরপর গুঁড়ো সাবান ও প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া কালির দাগের ওপর লবণ দিয়ে রাখুন। এরপর লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। শেষে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* কার্পেট বা সোফায় কালির দাগ পড়লে প্রথমে দাগের ওপর অল্প তরল দুধ ঢেলে দিন। এরপর ভেজানো তুলা দিয়ে ঘষুন। কিছুক্ষণের মধ্যে দাগ উঠে যাবে।

Sunday, May 20, 2012

বেরেস্তায় আলু


উপকরণ: আলু ৬টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, শুকনো মরিচ ৩টি, ঘি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. আলু অল্প লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে খোসা ফেলে চটকে নিন।
২. ঘি গরম হলে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন।
৩. মরিচের বিচি ফেলে একটু ভাজুন।
৪. এরপর লবণ দিয়ে মরিচ, ধনেপাতা, ঘি ভালোভাবে মেখে আলুর সঙ্গে মেশান।
৫. পেঁয়াজ বেরেস্তা অল্প ভেঙে ভর্তার সঙ্গে মেশান। লুচি বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Saturday, May 19, 2012

রান্নার কিছু টিপস


* চা বানানোর সময় অনেকে চুলায় ঠাণ্ডা পানিতে চা দিয়ে তারপর পানি গরম করে। কিন্তু প্রথমে পানি গরম করে তারপর তাতে চা পাতা বা টি-ব্যাগ দিন। এতে চা অনেক বেশি সুস্বাদু হবে।

* আগুন-গরম কফি খেতে খেতে শেষের দিকের চুমুকগুলো কেমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। টিপস হলো আগে একটু গরম পানি দিয়ে কাপটি গরম করে নিন।

* অনেক সময় আমরা যখন ডিম সিদ্ধ করি, ডিম কেমন ফেটে ফেটে যায়। খোসা ভেঙে সাদা সাদা অ্যালবুমিন পানিতে বেরিয়ে আসে। এ রকম পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আগে পানিতে একচিমটি লবণ দিয়ে রাখুন। দেখবেন ডিম আর ফাটবে না।

* হাত পুড়ে গেলে ঠাণ্ডা পানিতে হাত ২০-২৫ মিনিট চুবিয়ে রাখুন বা ঠাণ্ডা পানির কলের নিচে হাত রাখুন। যেকোনো মলম বা বরফের চেয়ে পানি বেশি কার্যকর।

* হাত কেটে গেলে প্রথমে কলের ঠাণ্ডা পানিতে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে কিচেন টাওয়েলে পানি মুছুন, তারপরে ব্যান্ড এইড লাগান।

* আলু বেশিদিন রেখে দিলে নরম হয়ে যায়। সবুজ সবুজ গাছের জন্ম নেয়। এখন উপায়? আলুর প্যাকেটে একটা আপেল রেখে দিন। আর হবে ন

* রান্নার সময় খাবার পুড়িয়ে ফেলেছেন। প্যানটি সাবান মেশানো গরম পানিতে সিঙ্কে চুবিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। প্যান পরিষ্কার সহজ হয়ে যাবে।

*পেঁয়াজ কাটতে চোখ তো জ্বালাতন করবেই। পেঁয়াজটি খোসা ছাড়িয়ে গরম পানিতে ধুয়ে নিন কিংবা চুইংগামপ্রেমী হলে মুখে চুইংগাম পুরে চিবোতে থাকলে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলবে না।

*পেঁয়াজ বা টমেটো কাটার পর আধা পেঁয়াজ অব্যবহৃত রয়ে গেলে তা এয়ারটাইট গ্লাডরাপ করে ফ্রিজে রাখুন। অনেক দিন থাকবে।

*পাস্তা, স্পাগেটি বা নুডলস সিদ্ধ করার সময় অবশ্যই পানিতে এক বা দুই চিমটি লবণ দেবেন। আপনার জটিল পাস্তা মহা জটিল হবে। লবণের সঙ্গে পানিতে দুই চামচ তেল দিন; দেখবেন পাস্তা, স্পাগেটি, নুডলস একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে যাচ্ছে না (ফুটন্ত অবস্থায় কিংবা পানি ঝরানোর পর আর আঠা আঠা হবে না)। ঠাণ্ডা পানিতে পাস্তা/নুডলস/স্পাগেটি দেবেন না; পানি সম্পূর্ণভাবে গরম হলে তার পরই ওগুলো দেবেন। লবণ ও তেল পাস্তা দেওয়ার আগে দেবেন, পরে নয়।

*বর্ষাকালে লবণ অনেক সময় পানি হয়ে যায়। তখন লবণে একটি বা দুটি চালের দানা দিন, আর হবে না।

*রান্নায় খুব বেশি লবণ হয়ে গেছে? আমি আছি, ভাবনা কিসের! একটা আস্ত আলু খোসা ছাড়িয়ে দিয়ে দিন। অল্প কিছুক্ষণ পর দেখবেন অতিরিক্ত লবণ আলুটি শুষে নেবে।

*মোমবাতি ফ্রিজে রাখুন। মোমবাতি ভালো থাকবে এবং ক্ষয়ও হবে কম।

*সবজি, ধনেপাতা বেশিদিন সতেজ রাখতে চান? টিস্যু পেপার কলের পানিতে ভিজিয়ে সবজির নিচের অংশে জড়িয়ে রাখুন। তারপর ফ্রিজের ভেজিটেবল বক্সে রাখুন, ব্যস।

Friday, May 18, 2012

কোরিয়ান স্পাইসি বিফ গ্রিলড


অনেক কিছুর মতো খাবারটাও এখন আর সীমানা মানে না।?এক দেশের খাবার স্বাদে-গুণে জনপ্রিয় হয় অন্য দেশেও। চেখে দেখুন কোরিয়ান এই খাবারটি। রেসিপি দিয়েছেন : হাসিনা ইসলাম কলি

উপকরণ: মাংস আধা কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, ভিনেগার আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, লেমান গ্রাস কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কলি স্লাইস করা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, পুদিনাপাতা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, চিনি আধা চা চামচ, বিস্কুটের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ৫ টেবিল চামচ, কিশমিশ ৩ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাংস ধুয়ে পাতলা করে কেটে ২ ঘণ্টা ভিনেগার দিয়ে মেখে ম্যারিনেট করে নিন।

২. ম্যারিনেট করা মাংস মাঝারি আঁচে গ্রিল করে নিন সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত।

৩. এরপর একটি কোলের মাংস নিয়ে লেমান গ্রাস কুচি দিয়ে উল্টেপাল্টে ভালোভাবে মেখে নিন।

৪. এরপর ফিশ সস, লেবুর রস ও চিনি দিয়ে আবার ৫ মিনিট মাঝারি আঁচে গ্রিল করুন।

৫. এবার মরিচ গুঁড়া, বিস্কুটের গুঁড়া দিয়ে খুব ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মাখিয়ে নিন। ওপরে পুদিনাপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Thursday, May 17, 2012

চুমুকেই ঠান্ডা




গরমের দিনে অতিথি আপ্যায়নে তাজা ফলের রসের তুলনা নেই। চুমুকেই তৃপ্তি।

আনারস জুস
উপকরণ: আনারস, বিটলবণ, বরফ, কাঁচা মরিচ, বেশি টক আনারস হলে পরিমাণমতো চিনি দিতে হবে।
প্রণালি: এবার ব্লেন্ডার করি এবং সবকিছু ব্লেন্ড করে পরিবেশন করি।

তরমুজের জুস
উপকরণ: তরমুজ, বিটলবণ, বরফ।
প্রণালি: প্রথমে তরমুজের বিচি বের করে নিই। এবার সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করি।

আইস টি
উপকরণ: বরফ, টি ব্যাগ, মাল্টা কুচি, চিনি, লেবু।
প্রণালি: আট কাপ গরম পানিতে মাল্টা কুচি মিশিয়ে জ্বাল দিই। এবার চুলা বন্ধ করে তাতে চারটা টি ব্যাগ মেশাই। ঠান্ডা হওয়ার জন্য ঢেকে রাখি। ঠান্ডা হলে এতে পরিমাণমতো চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে দিই। তারপর বরফ দিয়ে পরিবেশন করি।

তেঁতুলের জুস
উপকরণ: তেঁতুল, বিটলবণ, চিনি, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, বরফ।
প্রণালি: প্রথমে তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রেখে বিচি এবং খোসা ছাড়িয়ে নিই। সবকিছু একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পরিবেশন করি।

Wednesday, May 16, 2012

পেঁপের পুষ্টি


আখতারুন নাহার আলো বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টি বিভাগ বারডেম হাসপাতাল
এই সবজিটি এনজাইমসমৃদ্ধ বলে হজমকারক হিসেবে পরিচিত। এমনকি মাংস সিদ্ধ না হলে মাংসে কাঁচা পেঁপে ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে সারা বছরই এই সবজি পাওয়া যায়। ভাজি, ভর্তা, রান্না, সালাদ_ বিভিন্নভাবে কাঁচা পেঁপের ব্যবহার রয়েছে। এটা সহজপাচ্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী। ১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে আছে ৩৬ ক্যালরি, ৬.৪ গ্রাম শর্করা, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ৫৬০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন।

পাকা পেঁপে সুস্বাদু ও সহজপাচ্য ফল। এতে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল রাতকানা রোগের মহৌষধ। অন্ত্রের গোলযোগ, কিডনির পাথরে কাঁচা ও পাকা উভয় পেঁপেই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেঁপের এনজাইম শিশুর কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। পেঁপে যকৃৎ বা লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে।

Tuesday, May 15, 2012

প্রাণহরা


উপকরণ: ছানা ২০০ গ্রাম, দুধের সর ১৫০ গ্রাম, ঘি ৪ টেবিল চামচ, চিনি গুঁড়ো ১ কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ, গোলাপজল ১ চা চামচ, মাওয়া ১০০ গ্রাম, এলাচ গুঁড়ো সামান্য।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ছানা, দুধের সর, চিনি গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো একসঙ্গে মেখে নিন।
২. এরপর মিশ্রণটি কড়াইয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে নেড়ে নিন।
৩. কড়াই থেকে নামিয়ে মাওয়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে লাড্ডুর আকারে বানিয়ে আবার মাওয়ায় গড়িয়ে পরিবেশন করুন।

Sunday, May 13, 2012

পাঁচ মিনেটেই নাশতা


ঝটপট তৈরি করুন বিকেলের নাশতা। রেসিপি দিয়েছেন অনুপমা হক স্বাতি

প্রন পাফ

উপকরণ
সিদ্ধ করা ছোট চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, ময়দা ২ কাপ, পেঁয়াজ বড় করে কাটা ৩টি, টমেটো কুচি ১টি, কাঁচামরিচ কুচি ৩টি, আদা কুচি ১ চা চামচ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. চিংড়ি মাছ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে নিন। তেল গরম করে আদা ও পেঁয়াজ দিয়ে চিংড়ি মাছ দিন।
২. অল্প নেড়ে টমেটো, ক্যাপসিকাম কুচি, মরিচ ও লবণ দিয়ে ভাজুন।
৩. এরপর ময়দা একটু তেল ও লবণ দিয়ে ভালো করে ময়ান করে ছোট লুচির মতো বেলুন।
৪. একটি লুচির ওপরে চিংড়ির পুর দিয়ে অন্য একটি লুচি ওপরে বসিয়ে চারদিকে মুড়ে তেলে ভাজুন।

গাজরের লাড্ডু

উপকরণ
ডিম ৪টি, গাজর কুচি সিদ্ধ ২টি, সুজি আধা কাপ, চিনি স্বাদমতো, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. গাজর গরম পানিতে হালকা ভাপিয়ে নিন। সুজি ঘিয়ের মধ্যে বাদামি করে ভাজুন।
২. এরপর ডিম, কনডেন্সড মিল্ক, চিনি ভালোমতো ফেটে সুজির মধ্যে দিয়ে নাড়ুন।
৩. কিছুক্ষণ পরে সিদ্ধ গাজর কুচি দিন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। আঠালো হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
৪. এরপর হাতে একটু ঘি মেখে গোল গোল করে লাড্ডু বানিয়ে বাদামে গড়িয়ে পরিবেশন করুন।

চিকেন ভাজা


উপকরণ
হাড়ছাড়া মুরগির ৫০০ গ্রাম, ময়দা ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, পাপরিকা ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ডিমের সাদা অংশ ২টি, ব্রেডক্রাম প্রয়োজনমতো, তেল ১ কাপ, শুকনো মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দার মধ্যে পেঁয়াজ বেরেস্তা, পাপরিকা, গোলমরিচ, লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
২. মাংস কিউব করে কেটে ময়দার মিশ্রণের মধ্যে মাখান। ডিমের সাদা অংশ একটু লবণ দিয়ে ফেটে নিন।
৩. মাখা মাংস ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ব্রেডক্রামে গড়িয়ে ডুবোতেলে ভেজে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

সবজি পাস্তা

উপকরণ
পাস্তা ২৫০ গ্রাম, গাজর কুচি ১ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ টেবিল চামচ, বরবটি কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ৩টি, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা ২টি, সস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. পাস্তা একটু লবণ ও অল্প তেল দিয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. তেল গরম করে সব সবজি দিয়ে নেড়ে একটু সিদ্ধ হলে লবণ, মরিচ কুচি ও পেঁয়াজ দিয়ে নেড়ে পাস্তা দিন।
৩. নামানোর আগে ধনেপাতা ও সস মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

আলুর সালাদ


উপকরণ
মাঝারি আকারের সিদ্ধ আলু ৪টি, শসা ২টি, ডিম সিদ্ধ ২টি, গাজর সিদ্ধ ১টি, মটরশুঁটি সিদ্ধ আধা কাপ, মেয়নেজ ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. সিদ্ধ আলু ছোট টুকরো করে কেটে ডিম ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে হালকা করে মাখিয়ে নিন।
২. ডিম পাতলা করে কেটে সালাদের ওপর সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

টিপস

* স্যান্ডউইচ বানিয়ে পাউরুটির পাশগুলো ফেলে না দিয়ে ওভেনে গরম করে গুঁড়িয়ে ব্রেডক্রাম করে রাখুন।
* মাংস গনগনে আঁচে রান্না করলে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ দুটোই ঠিক থাকে।
* ময়দা ময়ান করার সময় একটু তেল, লবণ ও অল্প লেবুর রস দিলে পরোটা মচমচে হবে।
* নুডলস বা পাস্তা সিদ্ধ করার সময় গরম পানির মধ্যে একটু তেল দিলে গায়ে গায়ে লেগে যাবে না।
* সবজির রং ঠিক রাখতে গরম পানির মধ্যে এক মিনিট রেখে এরপর উঠিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে রান্না করুন।

তুলসী চা


প্রধান উপাদান
শতভাগ অর্গানিক তুলসী। ওলেনোলিক এসিড, আর্সোলিক এসিড, রোজমরি এসিড, করভাক্রল লিনালোল গেজ, বি-কারওফাইলিন।

প্রস্তুত প্রণালী
খালি কাপে একটি তুলসীপাতার টি ব্যাগ রাখুন। গরম পানি ঢালুন। কমপক্ষে এক মিনিট পর পাতার ব্যাগটি তুলে ফেলুন। প্রয়োজনমতো চিনি বা মধু মিশিয়ে পান করুন।
উপকারিতা
কফকাশি, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা ভালো করে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করে। কর্মশক্তি ও উদ্দীপনা বাড়ায়। দেহের অঙ্েিজন গ্রহণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃৃদ্ধি করে। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

Saturday, May 12, 2012

চকোলেট


কোকো চূর্ণ দিয়ে তৈরি হয় চকোলেট। খেতেও সুস্বাদু। ছোটবড় সব বয়সীরই চকোলেট প্রিয়। সব বয়সী মানুষের খাদ্যতালিকায় চকোলেট থাকে। অনেকের মধ্যে বেশি করে চকোলেট খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
চকোলেটের অ্যান্টি-অঙ্েিডন্ট, স্টিমুল্যান্ট শরীরের জন্য উপকারী।

* রক্তের প্রেশার কমায়, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
* ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
* ব্রেইনের কার্যকারিতা শক্তিশালী করে।
* হজম, স্নায়ু ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ভালো রাখে।
তবে চকোলেটে কিলোক্যালরি বেশি হওয়ায় ঝুঁকি রয়েছে।
* অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
* ক্ষুধা হ্রাস পায়।
* অন্য খাবারের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। তাই বেশি বেশি খাওয়ার ফলে দেহ অপুষ্টির শিকার হয়।
* রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
প্রতিদিন পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাদ্য থেকে নিজেকে বিরত না রেখে বরং অতিরিক্ত পরিশ্রম বা খেলাধুলার পর এনার্জি বুস্টার হিসেবে খাওয়া যায়।

Friday, May 11, 2012

তাড়াতাড়ি রান্না করার কিছু টিপস


কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময় সাজিয়ে-গুছিয়ে সময় নিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। ঝটপট রান্নার কাজটা সেরে যেতে হয় অন্য কাজে। তাই বলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। চলুন, তাড়াতাড়ি রান্না করার কিছু টিপস জেনে নিই।

* মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোলে অনেক সময় লবণ বেশি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ওই তরকারিতে কয়েকটি সিদ্ধ আলু ভেঙে দিন। লবণ কমে যাবে।

* মুরগির মাংস বা কলিজা রান্না করার সময় ১ টেবিল চামচ সিরকা দিন। এতে যেমন গন্ধ থাকবে না, তেমনি তাড়াতাড়ি সিদ্ধও হবে।

* মাছ ভাজার সময় তেল ছিটলে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন। তেল আর ছিটবে না।

* বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন। তাড়াতাড়ি লালচে হবে।

* কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।

* আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সিদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।

* অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করলে পাতলা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্যুপ ঘন হবে।

* ডাল তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।

* মসলাপাতি তাড়াতাড়ি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।

* পরদিন কী রান্না করবেন তা আগের রাতেই ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি নিন। তাহলে অল্প সময়ে রান্না হবে।

Thursday, May 10, 2012

মিহিদানার লাড্ডু


উপকরণ: বেসন ২ কাপ, হলুদ রং একচিমটি, ঘি ২ টেবিল চামচ, চিনি ৩ কাপ, গোলাপজল ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. বেসন পানিতে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।
২. এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে ঝাঁঝরিতে একটু একটু মিশ্রণ দিয়ে ভাজুন, যেন মিহিদানার মতো ছোট হয়।
৩. পানি, চিনি ও ঘি দিয়ে আঠালো করে সিরা বানান। এর মধ্যে ভাজা মিহিদানা দিয়ে আঠালো হলে নামিয়ে নিন।
৪. লাড্ডু আকারে তৈরি করুন।

Wednesday, May 9, 2012

বিফ কোরিয়ান


উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংস আধা কেজি, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, চিনি ৪ চা চামচ, তেল ৪ টেবিল চামচ, রসুন বড় ২টা, পেঁয়াজ ৪টা, লবণ পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাংস পাতলা করে ছোট টুকরা করুন।
২. সয়াসস, চিনি, লবণ পরিমাণমতো দিয়ে মাংস মেখে ২ ঘণ্টা রেখে দিন।
৩. চুলায় তাওয়া দিয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে জ্বাল কমিয়ে মাংস ঢেলে দিয়ে নাড়াচাড়া করে ১০ মিনিট ঢেকে রাখবেন।
৪. রসুন ও পেঁয়াজ একটু মোটা করে কেটে মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করবেন।
৫. ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে নিন। কোরিয়ান রাইস বা ফ্রাইড রাইসের সঙ্গে পরিবেশন করবেন।

Tuesday, May 8, 2012

কাবাব


উপকরণ: ইলিশ মাছ ১টি, সিদ্ধ আলু আধা কাপ, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, টোস্ট ক্রাম ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, লেমন জিস্ট ১ চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, লবণ ২ চা চামচ, সয়াবিন তেল এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছ কেটে ধুয়ে মাছে ছুরি দিয়ে দাগ কাটুন।
২. বেকিং ট্রেতে অল্প পানি দিয়ে মাছ সিদ্ধ করুন।
৩. মাছের মাথা, লেজ মাঝের কাঁটাসহ রেখে মাছ ছাড়িয়ে বাকি কাঁটা বেছে নিন।
৪. আলু সিদ্ধ করে চটকে নিন। বিস্কুটের গুঁড়ো ও আলু তেলে ভেজে রাখুন।
৫. কড়াইয়ে তেল দিয়ে কাঁটাবাছা মাছ টমেটো সস, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে ভাজুন। আলু দিন।
৬. লেমন জিস্ট, লেবুর রস, পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে ভাজুন।
৭. মাছ নামিয়ে তিন ভাগের এক ভাগ বিস্কুটের গুঁড়ো মেশান।
৮. ওভেন প্রুফ পাত্রে মাছের কাঁটাসহ মাথা বিছিয়ে দিন। এবার ভাজা মাছ ইলিশ মাছের আকারে কাঁটার ওপর বিছিয়ে দিন। ওপরে বিস্কুটের গুঁড়ো দিন। মাছের আইশ এঁকে দিন।
৯. ১৯০ ডিগ্রি তাপে ২০ মিনিট বেক করুন।

Monday, May 7, 2012

কাঁটা গলানো মাথা

উপকরণ: ইলিশ মাছের মাথা ৪টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ২ চা চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, সরিষা বাটা ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণমতো, সরিষার তেল আধা কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ইলিশ মাছের মাথা আড়াআড়ি দুই টুকরা করে নিন; মোট ৮ টুকরা হবে।
২. চুলায় প্রেশার কুকার বসিয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ দিন।
৩. পেঁয়াজ নরম হলে সব মসলা, সরিষা ও লবণ দিয়ে কষান।
৪. কষানো হলে মাছ ডুবে যায় এমন পরিমাণ পানি দিন।
৫. প্রেশার কুকারের ঢাকনা দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে প্রেশার তুলুন।
৬. এবার আঁচ একদম কমিয়ে এক ঘণ্টা রান্না করুন। মাছের মাথা আস্ত থাকবে এবং কাঁটা নরম হয়ে যাবে।
৭. মাছ পরিবেশন পাত্রে রাখুন এবং ওপরে মসলা ছড়িয়ে দিন।

Sunday, May 6, 2012

লাউপাতা


উপকরণ: ইলিশ মাছ ৮ টুকরা, হলুদ সরিষা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৪টি, ফালি করা কাঁচামরিচ ৩টি, পেঁয়াজ বাটা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, লবণ স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, লেবুর খোসা কোরানো ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, বড় কচি লাউপাতা ৮টি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ইলিশ মাছ কেটে ধুয়ে নিন।
২. সরিষা ও কাঁচামরিচ ধুয়ে বেটে ছাঁকনিতে ছাঁকুন।
৩. ছেঁকে নেওয়া সরিষা বাটার সঙ্গে পাতা ও মাছ ছাড়া সব উপকরণ মাখুন।
৪. মাখানো মসলা দিয়ে মাছ মেরিনেট করুন ৩০ মিনিট।
৫. একটি লাউপাতার ওপর এক পিস মাছ ও কিছু মসলার মিশ্রণ দিয়ে মুড়িয়ে টুথপিক আটকে দিন।
৬. কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল গরম করে পাতায় মোড়ানো মাছ দিয়ে ঢাকুন। আঁচ কমিয়ে রান্না করুন। এক পিঠ হয়ে গেলে আরেক পিঠ উল্টে দিন।
৭. গরম গরম পরিবেশন করুন।

Saturday, May 5, 2012

বল


উপকরণ: ইলিশ মাছের পিঠের ফিলে ৫০০ গ্রাম, আদার রস ২ চা চামচ, সিরকা ২ টেবিল চামচ, দারুচিনি এক টুকরা, তেজপাতা ১টি, চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ বেরেস্তা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, ডিম ১টি, ব্রেড ক্রাম পরিমাণমতো, তেল এক কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছ আদার রস, তেজপাতা, দারুচিনি, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো ও সিরকা দিয়ে সিদ্ধ করুন।
২. ঠাণ্ডা হলে কাঁটা বেছে নিন।
৩. এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও চালের গুঁড়ো দিয়ে মাছ মেখে পছন্দমতো বল বানান।
৪. ডিম ফেটিয়ে মাছ ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়োয় গড়িয়ে নিন। ফ্রিজে রাখুন ২০ মিনিট।
৫. এরপর ডুবোতেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Friday, May 4, 2012

ইলিশেই ইতি-আদি


উপকরণ: ইলিশ মাছ কাঁটা ছাড়া ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপের চার ভাগের এক ভাগ, শুকনো মরিচ ৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো সামান্য, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছ কেটে ধুয়ে হলুদ মেখে এক টেবিল চামচ তেলে ভাজুন। ঠাণ্ডা হলে কাঁটা বেছে নিন।
২. বাকি তেলে মরিচ ভেজে নিন। এই তেলেই পেঁয়াজ ও ধনেপাতা ভাজুন।
৩. পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মরিচ মেখে ভাজা পেঁয়াজ ও ধনেপাতার সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
৪. এবার মিশ্রণটি সরিষার তেল ও মাছ দিয়ে মাখুন।
৫. গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Thursday, May 3, 2012

লাউপাতায় শুঁটকি


উপকরণ: লাউপাতা ১০টি, ছোট চিংড়ির শুঁটকি ২ কাপ, সরিষার তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি আধা কাপ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, হলুদ একটু, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. কড়াইয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ-রসুন একটু নেড়ে ধোয়া শুঁটকি, হলুদ, লবণ, মরিচ দিয়ে ভাজুন।
২. এরপর ভালো করে বেটে নিন।
৩. লাউপাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পাতার মধ্যে ভর্তা রেখে চারপাশ সুন্দর করে মুড়ে টুথপিক গেঁথে দিন।
৪. কড়াইয়ে তেল গরম করে এপাশ-ওপাশ ভেজে নামিয়ে ফেলুন।

Wednesday, May 2, 2012

লেমনেড


দেখে নিন মারমেইড ক্যাফের শেফ আরিফুল ইসলামের দেওয়া লেমনেড রেসিপি।

উপকরণ: লেবু ২টা, বরফ টুকরো ও চিনি পরিমাণমতো। প্রয়োজন হলে হালকা পানি।

প্রণালি: প্রথমে লেবু ২টা ধুয়ে নিন। এরপর গোল গোল করে কেটে নিন। কাটা লেবুর সঙ্গে পরিমাণমতো বরফ টুকরো ও চিনি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। এরপর পরিষ্কার গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন।

খোসা

উপকরণ: পটোলের খোসা আধা কাপ, মিষ্টিকুমড়ার খোসা আধা কাপ, লাউয়ের খোসা আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৫টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি আধা চা চামচ, ছোট চিংড়ি আধা কাপ, সরিষার তেল দেড় টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. খোসা ছোট করে কেটে ধুয়ে অল্প লবণ ও মরিচ দিয়ে অল্প তেলে ভেজে নিন।
২. চিংড়ি একটু ভাপিয়ে নিন।
৩. এরপর সব খোসা ও চিংড়ি মিহি করে বাটুন।
৪. তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলুন।

Tuesday, May 1, 2012

ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিম





গরমে আইসক্রিম খেতে মন তো চাইবেই। তবে পানিটা স্বাস্থ্যকর কি না, উপকরণগুলো তাজা কি না—এসব চিন্তা মাথায় ঘুরলে তো খাওয়ার মজাই মাটি। বাড়িতেই তাই বানিয়ে নিতে পারেন ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিম। দেখুন নাসরিন আলমের দেওয়া আইসক্রিমের রেসিপিগুলো।

কাসাটা
উপকরণ: ময়দা আধা কাপ, রিপল আইসক্রিম আধা লিটার, গুড়াঁ চিনি আধা কাপ (আইসিং সুগার), গুঁড়া দুধ ২ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা-চামচ, ডিম ৪টি।

প্রণালি: বোলে ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে ফেনা তুলে নিতে হবে। চিনি দিয়ে বিট করতে হবে। পরে ডিমের হলুদ অংশ দিয়ে বিট করে হালকা হাতে ময়দার মিশ্রণ (ময়দা, গুঁড়া দুধ ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে), ডিমের মিশ্রণে মিলিয়ে নিতে হবে। ছড়ানো গ্রিজ করা ডিশে এটি ঢেলে মাঝারি আঁচে বেক করতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট, চা রং ধরা পর্যন্ত।
বেক হওয়ার পর গ্রিজ করা পেপারে বেক করা এই স্পঞ্জ ঢেলে রোল করতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর রোল খুলে আইসক্রিমের স্তর দিয়ে আবারও রোল করে নিতে হবে। ডিপ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। লম্বা ডিশে বসিয়ে চকলেট সস ও হুইপড ক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।

লেমনি সরবে
উপকরণ: জেলাটিন ১ টেবিল-চামচ, ঠান্ডা পানি দেড় কাপ, ফোটানো পানি আধা কাপ, লেবুর রস আধা কাপ, কমলার রস আধা কাপ, চিনি এক কাপ।

প্রণালি: আধা কাপ ঠান্ডা পানিতে জেলাটিন ছড়িয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট রেখে আধা কাপ গরম পানি মিলিয়ে অল্প আঁচে জেলাটিন গলিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে চিনি দিয়ে তা গলা পর্যন্ত চুলার ওপর জ্বাল করে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। বাকি ১ কাপ ঠান্ডা পানি মিলিয়ে লেবুর রস ও কমলার রস দিয়ে মিলিয়ে নামাতে হবে। তিন-চার ঘণ্টা পর সাজিয়ে পরিবেশন।

কফি আইসক্রিম
উপকরণ: গুঁড়া দুধ ১ কাপ, পানি ১ কাপ, ক্রিম ১ টিন, কফি দেড় টেবিল চামচ, কাস্টার্ড পাউডার ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: গুঁড়া দুধ, পানি, ক্রিম, কফি ও কাস্টার্ড পাউডার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে প্যানে ঢেলে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। বড় বোলে ডিমের কুসুম ৫টি, চিনি আধা কাপ নিতে হবে। ডিমের কুসুম ও চিনি খুব করে বিট করে নিতে হবে। ক্রিমের মতো হয়ে এলে জ্বাল করে রাখা গরম মিশ্রণ অল্প অল্প দিয়ে বিট করতে হবে। সবটুকু মিশ্রণ মেলানো হয়ে গেলে খুব করে বিট করে ছাঁচে ঢেলে জমাতে হবে সারা রাত। পরে সাজিয়ে পরিবেশন। হুইপড ক্রিম ও চকলেট সিরাপ দিয়ে সাজাতে হবে। সঙ্গে চকলেট কুচি করেও দেওয়া যাবে।

স্ট্রবেরি সরবে
উপকরণ: ১ কাপ চিনি, এক কাপ পানি, ১ কাপ স্ট্রবেরি পিউরি।

প্রণালি: প্যানে চিনি ও পানি অল্প আঁচে জ্বাল করে নিতে হবে চিনি গলা পর্যন্ত। চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। চিনির শিরায় স্ট্রবেরি পিউরি মিলিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে তিন-চার ঘণ্টা। এরপর বের করে আবার খুব করে বিট করে ফ্রিজ করতে হবে। খুব ভালোভাবে জমে গেলে হুইপড ক্রিম ও স্ট্রবেরি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।

কাঁচা আমের উপকারিতা


* আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখে।
* কাঁচা আম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
* ক্যারোটিন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভালো রাখে।
* বিটা ক্যারোটিন থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে।
* কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।
* ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায় গরমে ঠাণ্ডাজাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে।
* কিডনির সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* লিভার ভালো রাখে।
* নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করে।
* অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে।
* ত্বক উজ্জ্বল করে।
* দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে।
* ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
* এ ছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন-সি বেশি পরিমাণে থাকে। বেশি বেশি কাঁচা আম খেয়ে শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।
* আচার রাখার বয়ামটি ধুয়ে রোদে অথবা চুলার আগুনের তাপে শুকিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন বয়ামে পানি না থাকে।

ভাতে ভর্তা

বৈশাখে পান্তা-ইলিশের সঙ্গে ভর্তা আনবে বাড়তি স্বাদ। নানা রকমের ভর্তার রেসিপি দিয়েছেন অনুপমা হক স্বাতি।

উপকরণ: মানকচু ২৫০ গ্রাম, নারিকেল কোরা ১ কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষা গুঁড়ো আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. কচু ছোট করে কেটে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে ভালোভাবে বেটে নিন।
২. তেল গরম হলে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু নেড়ে সরিষা গুঁড়ো দিন।
৩. এরপর লবণ, নারিকেল কোরা ও কচু দিয়ে মাঝারি আঁচে ঘন ঘন নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।