Wednesday, October 17, 2018

ঝটপট তৈরি করুন সুস্বাদু ভুনা খিচুড়ি


খিচুড়ি কার না পছন্দ। আর বৃষ্টির দিন হলে তো কথাই নেই। বৃষ্টি উপভোগ করতে করতে জটপট তৈরি করে খেতেই পারেন ভুনা খিচুড়ি। রেসিপি দেখে সহজেই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু ভুনা খিচুড়ি।

উপকরণ
ভাজা মুগ ডাল ১ কাপ, পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, তেজপাতা ১টি, দারচিনি (২ সেন্টিমিটার) ৩টি, এলাচ ২টি, লবঙ্গ ২টি, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা আধা চা চামচ, আদাবাটা ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়া এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ, জিরাবাটা ১ চা চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা চামচ, ফুটানো গরম পানি ৬-৭ কাপ, লবণ ১ টেবিল চামচ, তেল ও ঘি পরিমাণ মতো।

যেভাবে রান্না করবেন
ডাল ধুয়ে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। প্যানে ঘি গরম করে মাঝারি আঁচে গোটা গরম মসলার ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হলে এতে চাল, ডাল ও পানি ছাড়া অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। কাঁচামরিচ, চাল ও ডাল দিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট ভেজে ফুটানো গরম পানি ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে নাড়ুন। ফুটে উঠলে নেড়ে ঢেকে দিন। ২০-২২ মিনিট ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করুন অথবা চাল ও ডাল সেদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত দমে রাখুন। চুলা বন্ধ করে ১০ মিনিট দমে রাখুন। পরিবেশন পাত্রে বেড়ে বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ভুনা খিচুড়ি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

Wednesday, October 3, 2018

একটুও তেল দরকার হবে না মুখরোচক এই স্ন্যাক্স তৈরিতে!


একদম তেল ছাড়া তৈরি হবে মোমো। ওরিয়েন্টাল কুইজিনের মাঝে সবার প্রথমেই মনে আসে মোমোর কথা। বিভিন্ন রকমের উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায় মোমো। সচরাচর সবজি বা মাংসকে বেশ করে তেলে ভেজে নিয়ে তার পুর দেওয়া হয় মোমোর ভেতরে। আপনি তেল থেকে দূরে থাকতে চাইলে আজ দেখে নিতে পারেন একশোভাগ তেলমুক্ত ভেজিটেবল মোমোর এই রেসিপিটি।

উপকরণ

-      আধা কাপ আটা

-      লবণ স্বাদমতো

-      আধা কাপ সেদ্ধ করা ব্রকোলি কুচি

-      সিকি কাপ সেদ্ধ করা অঙ্কুরিত ছোলাবীজ কুচি

-      আধা চা চামচ আদা বাটা

-      ১ চা চামচ কাঁচামরিচ বাটা

-      ১ চা চামচ রসুন মিহি কুচি

-       এক চিমটি চিনি

প্রণালী

১) আটা এবং অল্প লবণ একটি পাত্রে নিন। অল্প অল্প করে পানি যোগ করে নরম খামির তৈরি করে নিন।

২) ব্রকোলি, অঙ্কুরিত ছোলাবীজ কুচি, আদাবাটা, কাঁচামরিচ বাটা, রসুন, চিনি ও লবণ আরেকটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মেখে নিন।

৩) খামির থেকে ১২টি বল গড়ে নিন। ছোট ছোট রুটি বেলে নিন। ১ টেবিল চামচ করে সবজির পুর দিয়ে পুলিপিঠার মতো ভাঁজ করে নিন। এরপর পিঠার দুই প্রান্ত এক করে চেপে আটকে দিন। এভাবে সবগুলো মোমো গড়ে নিন।

৪) স্টিমারে ১০ মিনিট ভাপে সেদ্ধ করে নিন মোমোগুলোকে।

গরম গরম পরিবেশন করুন সিচুয়ান সস বা সুইট চিলি সসের সাথে।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৬ জুলাই ২০১৭
প্রিয়.কম

Tuesday, October 2, 2018

মাত্র ৫টি উপাদানে সুস্বাদু ছোট মাছ


অনেকেই মনে করেন যে ছোট মাছ মজা করে রান্না করাটা বুঝি খুবই কঠিন। বিশেষ করে যারা নতুন রাঁধতে শিখেছেন, তাঁদের জন্য ছোট মাছ মানে বিভীষিকা। আজ তাই নিয়ে এসেছি একদম সহজ একটি রেসিপি। এই রেসিপিতে সব মশলা মেখে মাছ চুলায় বসিয়ে দিলেই হবে। কাচকি মাছ, ট্যাংরা, পাবদা, মলা, পুঁটি সহ যে কোন ছোট মাছ এভাবেই চচ্চড়ি করতে পারবেন খুব সহজে। সময় প্রয়োজন হবে মাত্র ১০/১৫ মিনিট।

যা লাগবে

  • ছোট মাছ ২৫০ গ্রাম
  • পেঁয়াজ কুচি ১০০ গ্রাম বা চায়ের কাপের এক কাপ
  • হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো বা কাঁচা মরিচ ফালি স্বাদমত
  • লবণ স্বাদমত
  • তেল আন্দাজ অনুযায়ী, ২ টেবিল চামচ দিলেই হবে
  • টমেটো, ধনে পাতা ইত্যাদি কুচি ইচ্ছা, না দিলেও চলবে


যা করবেন

  • মাছ খুব ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
  • এবার মাছের সাথে ধনেপাতা বাদে তেলসহ বাকি সব মশলা মেখে দিন। কোন আদা-রসুন-ধনিয়া দেবার প্রয়োজন নেই।
  • মাখানো হলে সামান্য পানি দিন। সামান্য মানে খুবই সামান্য। আর মাছের সাথে পানি থাকলে সেটাও দেয়ার প্রয়োজন নেই।
  • এবার মাছ মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। ৪/৫ মিনিটের জন্যে ঢেকে দিন। দেখবেন তরকারিতে পানি উঠে গেছে।
  • এবার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে পানি শুকিয়ে মাখা মাখা হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাছ মোটেও নাড়বেন না। কড়াই ধরে একটু ঢলিয়ে দিলেই হবে। টেংরা বা পাবদা বড় সাইজের হলে মাঝে একবার উল্টে দিন।
  • ধনে পাতা দিয়ে দিন। চাইলে লেবু পাতাও দিতে পারেন। চুলা বন্ধ করে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর পরিবেশন করুন।


টিপস

ছোট মাছ ফ্রিজে রেখে খেলে ভালো লাগে না। তাই গরম গরম রান্না করুন। সাথে আলু দিতে চাইলে চিকন কুচি করে দিতে পারেন। মোটা করে দিলে আলু সেদ্ধ হবে না। ফালি করে কেটে দিতে পারেন পটল, ঝিঙ্গা, ডাটা সহ নরম যে কোন সবজি। 

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রিয়.কম

Monday, October 1, 2018

ওজন কমাতে সকালের নাশতায় ডিম খাওয়ার ৫ কৌশল


সকালের নাশতায় ডিম খেলে যে দ্রুত ওজন কমে, এই কথা এখন সর্বজনবিদিত। কেবল যে ফিটনেস এক্সপার্টরা এমন বলেন, সেটা নয়। বিজ্ঞানীরা রীতিমত গবেষণা করে প্রমাণ করেছেন যে, প্রতিদিন সকালের নাশতায় সবজি বা ফলের সাথে একটি ডিম সম্পূর্ণ আহারের পুষ্টি দেয় শরীরকে। মেটাবলিজম বাড়াতেও সহায়ক।

সকালে একটি ডিম অনেকটা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি যোগায়। ফলে সারাদিনের অতিরিক্ত ক্ষুধা ও অধিক ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলার বাজে প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যারা ডায়েট করছেন, সকালের নাশতায় একটি ডিম বা ডিমের সাদা অংশ অবশ্যই রাখবেন।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ওজন কমানোর জন্য ডিমটা খাবেন কীভাবে? ডুবো তেলে পোচ করে ফেললেন কিংবা মাখন দিয়ে ঝাল ঝাল অমলেট করে নিলেই কি হবে? না, একদম না! যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ডিম খেতে হবে সঠিকভাবে। ডিমে যদি বাড়তি তেল-ঘি যোগ করেন, তাহলে ওজন কমার চাইতে বরং বাড়বে বেশি। তা ছাড়া পুষ্টি উপাদান ঠিক রাখার ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। 

আজ জানিয়ে দিচ্ছি কীভাবে ডিম খেলে তা ওজন কমাতে সহায়ক।

পানি পোচ
ডিম পোচ করে খেতে কোনও অসুবিধা নেই ঠিকই, কিন্তু সেটায় তেল ব্যবহার করা যাবে না একটুও। তেলের বদলে পানিতে ডিম পোচ করে নিন। একটি পাত্রে পানি দিন, পানি ফুটে উঠলে আঁচ একটু কমিয়ে দিন। এরপর একটি চামচ দিয়ে পানিটা নেড়ে দিন, যেন পানির মাঝে একটু ঘূর্ণি ওঠে। আস্তে করে সেই ঘূর্ণির মাঝে ডিম ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণের মাঝেই দেখবেন ডিমের বাইরের অংশটা সাদা হয়ে গেছে। ২/৩ মিনিট পর উঠিয়ে হালকা গোলমরিচ ও লবণ ছিটিয়ে নিন। কুসুম যত বেশি শক্ত খেতে চাইবেন, তত বেশি সময় পানিতে রাখবেন।

নরম সেদ্ধ
ডিমকে যদি খুব বেশি সেদ্ধ করা হয়, তাহলে এর পুষ্টি উপাদান কমতে থাকে। তাই সবটুকু পুষ্টি পেতে ডিম ‘সফট বয়েল’ খাওয়াই উত্তম। গরম পানিতে দেয়ার পর তিন থেকে সাত মিনিট পর্যন্ত ডিম সেদ্ধ করতে পারেন, ঢাকনা দিয়ে। এর চাইতে বেশি সেদ্ধ করা উচিৎ নয়।

বেক করা ডিম
ননস্টিক কাপ কেকের প্যান নিন। এতে প্রতি খোপে একটি করে ডিম দিন। সামান্য লবণ ও গোলমরিচ ছিটিয়ে দিন। ওভেনে ৪/৫ মিনিট বেক করে পরিবেশন করুন।

ডিমের স্যুপ
হাঁড়িতে পানি বা চিকেন স্টক ফুটতে দিন। ডিম ফেটে নিয়ে সেই পানিতে আস্তে আস্তে ঢেলে দিন। ভালো করে নাড়ুন। কর্ণ স্যুপের মতন চেহারা হয়ে যাবে। চাইলে সামান্য কর্ণ ফ্লাওয়ার গুলে দিয়ে ঘন করে নিতে পারেন। লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, সাদা সিরকা, সয়াসস ইত্যাদি যোগ করুন নিজের স্বাদ অনুযায়ী।

তেল ছাড়া অমলেট
ডিম যেভাবে অমলেট খেতে ভালোবাসেন, সেভাবেই কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ ও অন্যান্য মশলা দিয়ে ফেটে নিন। এবার একটা ননস্টিক কেক তৈরির প্যানে এই মিশ্রণ ঢেলে ওভেনে বেক করে নিন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। চাইলে মাইক্রোওয়েভেও দিতে পারেন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আপনার তেল ছাড়া অমলেট! এতে চাইলে হরেক রকমের সবজিও যোগ করা যায়।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

খাসির কোরমা


কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেমের সংখ্যা। বাংলাদেশে মূলত গরু এবং খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো খাসির কোরমা। রেসিপিটি দিয়েছেন বিশিষ্ট রাঁধুনি রোমানা রহমান মিতু।

রান্নায় যা লাগবে
খাসির মাংস ১ কেজি, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি বড় ৪ টুকরা, তেজপাতা ২ টি, লবণ ২ চা চামচ, ঘি আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৮ টি, কেওড়া ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, রসুন বাটা দুই চা চামচ, এলাচ ৪ টি, টক দই আধা কাপ, চিনি ৪ চা চামচ, দেশি পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা চামচ।

রাধঁবেন যেভাবে
মাংস টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সব বাটা মশলা, গরম মশলা, টক দই, সিকি কাপ ঘি ও লবণ দিয়ে মেখে হাত ধোয়া পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিন। পানি অর্ধেক টেনে গেলে কেওড়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে আবার হালকা নেড়ে ঢেকে দিন।

১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পাশের চুলায় বাকি ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি সোনালি রঙ করে ভেজে মাংসের হাঁড়িতে দিয়ে বাগার দিন। তারপর চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দুধে ভেজানো জাফরান ওপর থেকে ছিটিয়ে দিয়ে আরও ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর ঢাকনা খুলে লেবুর রস দিয়ে হালকা নেড়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে তাওয়ার ওপর ঢেকে প্রায় ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টার মতো দমে রাখুন।

যখন কোরমা মাখা মাখা হয়ে বাদামি রঙ হবে এবং মশলা থেকে তেল ছাড়া শুরু করবে, তখন নামিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৭ আগস্ট ২০১৮