Friday, December 21, 2018

বড়দিনে সান্তা ক্লজ কেক


আর মাত্র তিন দিন তার পরেই সবার জন্য উপহার নিয়ে চলে আসবে সান্তা ক্লজ মানে বড়দিন। আর বড়দিনে আয়োজন সান্তা ক্লজকে ছাড়া কখনো সম্পূর্ণ হয়েছে এমনটা কি কেউ কখনো শুনেছেন? সান্তার গাড়ি, বেয়ার, শ্নো ফল, ক্রিসমাস ট্রি সবই তো থাকবে। তাহলে এবারের কেক ডিজাইনে সান্তা ক্লজ কেনো বাদ যাবে? চলুন এবারের বড়দিনের কেক আমরা সান্তা ক্লজের জন্য তৈরি করি। সান্তা ক্লজ আমাদের জন্য অনেক উপহার নিয়ে আসবে আমাদের তো তার জন্য কিছু করা উচিৎ তাই না? আসুন আপনার সোনামণিদের সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য এবার তৈরি করে ফেলুন সান্তা ক্লজ কেক। এবার আসুন দেখে নেই কেকের রেসিপিটা।



উপকরণ

ডিম ৬টি,

চিনি আধা কাপ,

ময়দা ১ কাপ,

ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ,

গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ,

বেকিং পাউডার ১ চা চামচ,

মাখন ২০০ গ্রাম,

আইসিং সুগার ১ কাপ,

বরফ কিউব ২/৩টি।

লাল ফুড কালার পরিমাণ মতো (সাজাবার সুবিদার জন্য চাইলে অন্য কালারও নিতে পারেন)

প্রয়োজন মতো অন্য সকল ডেকোরেশন পিস। 


প্রণালি:

ময়দা, গুঁড়া দুধ, বেকিং পাউডার এক সঙ্গে চেলে নিন। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে চিনি ডিমের কুসুম ও ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে কিছুক্ষণ বিট করে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে ১৬০ ডিগ্রি তাপে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করে স্পঞ্জ কেক বানাতে হবে। 

মাখন, আইসিং সুগার, বরফ এক সঙ্গে বিট করে সফট ক্রিম তৈরি করে নিতে হবে।

ক্রিম তৈরি হয়ে গেলে পরিমার মতো টিউবে ভরে নিন।

বাকিটা কেকে কটিং দেয়ার জন্য রেখে দিন। 

কেক ঠাণ্ডা হলে সফট ক্রিম দিয়ে আপনার পছন্দ মতো সান্তা ক্লজ কেকের ডিজাইন তৈরি করুন।

কেক সাজানো হলে ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন এবং আপনার সোনামণিদের সারপ্রাইজ দিন। 


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ডিসেম্বর ২১, ২০১৭

Thursday, December 20, 2018

চিকেন বারবিকিউ



হালকা শীতের এই সময়টাতে বাড়ির ছাদে অনেকেই করে থাকেন বারবিকিউ পার্টি। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠার পাশাপাশি মুখরোচক এমন খাবার, আনন্দ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ। চলুন জেনে নেই বারবিকিউ চিকেন তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : ১২ টুকরো মুরগির মাংস, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, রোজমেরি ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ৩টা আস্ত লেবুর রস, সরিষার তেল আধা কাপ, গরম মশলা গুঁড়া পরিমাণ মতো।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস ছাড়া সব উপকরণগুলো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মেশানো মশলার সঙ্গে মুরগির টুকরোগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এভাবে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কয়লার চুলোয় ২৫-৩০ মিনিট অল্প আঁচে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর মাংসের টুকরোগুলো উল্টিয়ে দিন। পরিবেশন ডিসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।


তথ্যসূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম

Saturday, December 15, 2018

খেজুর গুড়ের পায়েস


শীত মানেই পিঠা-পায়েস, খেজুর গুড়ের ম ম গন্ধে সুরভিত ঘরদোর। শহুরে এই যান্ত্রিক জীবনে খেজুর গুড়ের দেখা খুব একটা না মিললেও অন্তত একবার পায়েস তো খেতেই হয়। তা না হলে শীতের মজাটাই যেন জমে না! চলুন জেনে নেই খেজুর গুড়ের পায়েস তৈরির সহজ রেসিপি-

উপকরণ : দুধ ১ লিটার, পোলার চাল ৩ মুঠো, সাদা এলাচ ৩ টা গুড়া করা, দারুচিনি ২টা, তেজপাতা ২টা, খেজুর গুড় ৩-৪ মুঠো(নিজের স্বাদ অনুযায়ী)।

প্রণালি : ১ কাপ পানিতে খেজুর গুড় জ্বাল করে ঠান্ডা হলে ছাকনি দিয়ে ছেকে রাখতে হবে। চালে একটু বেশি করে পানি দিয়ে চাল পুরোপুরি ফুটিয়ে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি হাঁড়িতে দুধ দিয়ে তাতে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে জ্বাল করে নিতে হবে। একটু ঘন হয়ে এলে মসলাগুলো সাবধানে চামচ দিয়ে তুলে ফেলে দিতে হবে। সেদ্ধ করা চালে দুধ ঢেলে অল্প আঁচে ভালোভাবে জ্বাল করে নিতে হবে। যখন ঘন হয়ে আঠালো হয়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। ৮-১০ মিনিট পর ঠান্ডা খেজুর গুড় যেটা আগে জ্বাল করে ঠান্ডা করা হয়েছিল তা দুধ-চালের মিশ্রণে ঢেলে ভালোভাবে নাড়তে হবে। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু খেজুর গুড়ের পায়েস। উপরে চেরি, বাদাম, কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

জাগোনিউজ২৪.কম

বাসায় তৈরি করুন নান রুটি


নান রুটি আমাদের দেশের জনপ্রিয় একটি খাবার। সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তা হিসাবে এই রুটির জুড়ি নেই। রেসিপি জানা থাকলে খুব সহজে ঘরে বসেই বানাতে পারেন নান রুটি। দেখে নিন নান রুটির সহজ দুটি রেসিপি। 

নান রুটি

উপকরণ
ময়দা ২কাপ, ইষ্ট ২ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, ডিম ১ টি, বেকিং পাউডার ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো।

প্রণালী
একটি পাত্রে পানি গরম দিন এবং খামির বানানোর পাত্রে দুই কাপ ময়দা নিন। ময়দায় পরিমাণমতো লবণ, বেকিং পাউডার, ডিম ও এক চা-চামচ চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ইষ্ট পানিতে গুলে নিয়ে ময়দায় দিয়ে মাখাতে থাকুন এবং গরম পানি দিয়ে খামির বানান। যেহেতু চিনি আছে, একটু সাবধানে আস্তে আস্তে অল্প অল্প পানি দিয়ে মাখাতে থাকুন।

লক্ষ্য রাখবেন খামির যাতে বেশি নরম না হয়ে যায়। খামির হয়ে গেলে এবার তেল (অল্প অল্প করে) দিয়ে আবারো খামির মলে মলে আরও নরম করে নিন। খামিরকে একটি পাত্রে কিছুক্ষণ রেখে গরম করা পানির পাত্রের ওপর দিয়ে দিন । পানি থেকে ওঠা বাষ্প খামিরের তলায় লাগবে, খামির হালকা গরমে ফুলে উঠবে। মিনিট বিশেক পর খামির তুলে দেখুন ফুলে বড় হয়েছে কিনা।

রুটি বেলার জন্য খামিরকে ছয় ভাগে ভাগ করুন (ছোট বানাতে চাইলে দুইকাপ ময়দায় আটটি বানাতে পারেন) রুটি বেলে নিন। তাওয়া গরম করে সাধারণ রুটির মত করে সেঁকে নিন। এক্ষেত্রে ভালো একটি পাতলা কাপড় দিয়ে চাপ দিয়ে সেঁকে নিন যাতে রুটির প্রতি অংশে আগুনের আঁচ লাগে। রুটি ফুলে উঠলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

গার্লিক নান  রুটি

উপকরণ
ময়দা ২ কাপ, ইস্ট ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, বেকিং পাউডার ১ চিমটি, তেল ২ টেবিল চামচ, গরম দুধ ১/২ কাপ, গরম পানি ১/২ কাপ, মিহি করে কাটা কাচা মরিচ ১টি, কুঁচি করে কাটা রসুন কোয়া ৩ টি।

প্রণালী
অল্প গরম দুধের সাথে ইস্ট মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার বড় একটা পাত্রে ময়দার সাথে লবণ, চিনি, বেকিংপাউডার, তেল, মরিচ, রসুন ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে, তাতে ইস্ট আর দুধের মিশ্রণটি মেশান এবং অল্প অল্প করে গরম পানি যোগ করুন। খুব নরম করে ডো তৈরি করতে হবে। ডো যদি শক্ত হয়ে যায় তাহলে নান রুটি নরম হবে না। এবার ডো এর উপর অল্প তেল মাখিয়ে, ভেজা কাপড় দিয়ে একটি পাত্রে ঢেকে রাখুন, গরম কোনও জায়গায় ১ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। ঘণ্টাখানেক পর দেখা যাবে, ডো ফুলে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

এখন একে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে ৬ ভাগে ভাগ করুন। এবার অল্প ময়দা দিয়ে রুটি বেলে নিন। তাওয়া গরম করে, মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। ভাজার সময় বার বার উল্টাবেন না। যখন দেখবেন নানের উপরটা ফুলে উঠেছে ,তখন উল্টে দিন। হালকা বাদামী রং হলে নামিয়ে ফেলুন। ব্যস হয়ে গেল হোম মেইড ‘গার্লিক নান রুটি’।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

Friday, December 14, 2018

চিতই পিঠার সহজ রেসিপি


শীতকালে পিঠা খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মজাদার একটি পিঠার নাম চিতই পিঠা। শীত আসলেই শহরে চিতই পিঠার দোকান দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু পথের পাশের খাবারে অনেকেরই রয়েছে অনাগ্রহ। তাই শীতের সকালে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন এই পিঠা।

উপকরণ
পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, লবণ আধা চা চামচ, পানি ১ কাপ, সেদ্ধ চাল ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালি
চাল ভালো করে ধুয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। প্রমে আধা কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে লবণ মিশিয়ে আরও আধা কাপ বা পরিমাণমতো পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে মসৃণ করে নিন। ননস্টিক কড়াই বা প্যান ভালো করে গরম করুন। সামান্য তেল ব্রাশ করা যেতে পারে। এবার বেন্ড করা অংশ থেকে ডালের চামচের ২ চামচ প্যানে দিয়ে ঢেকে দিন। ৩-৪ মিনিট পর ঢাকনা খুলে পিঠা উঠিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। এভাবে প্রতিটি পিঠা তৈরি করুন। তারপর মুরগির মাংসসহ পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮

Thursday, December 13, 2018

টক-মিষ্টি স্বাদের জাম্বুরা মাখা


জাম্বুরা ফল খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এই ফল মাখা খেতে যেমন মজা, শরীরের জন্যও তেমন উপকারী। এ ছাড়া ফলটি যে শুধু স্বাদের তা-ই নয়, এর রয়েছে ঔষধি গুণও। জাম্বুরায় ক্যালরি কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগী ও স্থূলকায় দেহের জন্য খুবই উপকারী ফল। তাই আসুন যেনে নিই জাম্বুরা মাখার সহজ রেসিপি-

উপকরণ
জাম্বুরা ১টা, শুকনা মরিচ ১টা, বিট লবণ ১/৩ চা চামচ, চিনি আধা চা চামচ, পুদিনা কুচি ১ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালি
জাম্বুরা খোসা ছাড়িয়ে, রসালো বীজগুলো ছাড়িয়ে নিন যাতে কোনও চামড়া বা বীজ না থাকে। এবার জাম্বুরার রসালো কোষগুলোকে একটা ছড়ানো পাত্রে নিয়ে হালকা চেপে নরম করে নিন। অন্যদিকে শুকনা মরিচ টেলে নিন। এবার জাম্বুরার কোষগুলোর সাথে টেলে নেয়া শুকনা মরিচ মাখিয়ে নিন। সাথে বিট লবণ, চিনি এবং পুদিনা কুচি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। হয়ে গেলো জাম্বুরার মাখা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

Monday, December 10, 2018

বোরহানি তৈরি করুন বাসায়


অনেকে বোরহানি খেতে খুবই পছন্দ করেন। আবার কোনও কোনও সময় দেখা যায় পছন্দ না করলেও পরিবারের সদস্যদের জন্য বোরহানি আনতে হয় বাইরে থেকে। তবে নিজে এটা শিখে রাখলে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন।

উপকরণ
মিষ্টি দই ৫০০ গ্রাম, টক দই ৫০০ গ্রাম, পুদিনা পাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ ১ টেবিল চামচ, সরিষাগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চামচ, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল চামচ এবং পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালী
দুই কাপ পানির সঙ্গে দই ছাড়া বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এবার এই মিশ্রণটি দইয়ে দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে আবার ফেটিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৫ নভেম্বর ২০১৮

ঝটপট ঘরেই তৈরি করুন ‘মসলা ফুলকপি’


শীত এলেই বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি চোখে পড়ে। এর মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির কদর একটু বেশিই। এই সবজি দিয়ে নানা ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। ফুলকপি দিয়ে ঝটপট ঘরেই তৈরি করুন ‘মসলা ফুলকপি’-

রান্নায় যা লাগবে
একটা বড় ফুলকপি টুকরো করা (দেড় কাপ পরিমাণ), আলু কিউব করে কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টমেটো টুকরো, জিরা আস্ত ১ চা চামচ, হলুদ-লঙ্কা-ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, ধনিয়া পাতা কুচি অল্প, আদা মিহি কুচি ১ চা চামচ।

রান্না করবেন যেভাবে
হাঁড়িতে তেল দিয়ে তাতে জিরা দিন। জিরা ফুটে উঠলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নেড়ে গুঁড়ো মশলাগুলো আর বাটা মশলা দিতে হবে। এবার অল্প পানি আর লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন।

এখন এই মশলাতে কপি আর আলুর টুকরা, সাথে টুকরা করা টমেটো আর হাফ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন ২০ মিনিট। পানি শুকিয়ে গেলে ভাজা ভাজা করে নিন। নামানোর আগে আদা মিহি কুচি আর ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিন। গরম রুটি কিংবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

Sunday, December 9, 2018

শীতের সকালে নাস্তায় রাখুন মজাদার ‘ছিটা রুটি’


শীত মানেই শীতের পিঠা। সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় শীতের পিঠার জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবাই পিঠা পছন্দ করেন, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যে পিঠা পছন্দ করেন না। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার ঘরে ঘরে শীতের পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। গ্রামে ঘরে ঘরে শীতের পিঠা তৈরি হলেও শহরের যান্ত্রিকতার ভিড়ে শীতের পিঠা হারিয়ে গেছে বলা যায়। শীতের একটি মজার পিঠা হলো ‘ছিটা রুটি’। ঘরেই ঝটপট বানিয়ে ফেলুন মজাদার ছিটা রুটি-

উপকরণ
চালেরগুঁড়া ১ কাপ, ময়দা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, লবণ ও পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় বাটিতে উপরের সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পাতলা গোলা হবে। আবার বেশি পাতলাও হবে না। এখন গোলাটা ঢেকে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন। চুলাতে ফ্রাইপ্যান দিয়ে গরম করে নিন। একটি কাপড় নিয়ে তেলে ভিজিয়ে নিন ও প্যানে ব্রাশ করুন। এখন হাতের সব আঙুল চালের গুঁড়ার মিশ্রণে ডুবিয়ে প্যানে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে, হাত সামনে পিছনে নিয়ে ছিটা দিন। ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। রুটি হয়ে গেলে রুটির পাশ উঠে আসবে। চামচ দিয়ে দুই ভাঁজ করে তিন কোণা করে ভাঁজ করে তুলে নিন। এভাবে সব বানিয়ে মুরগির ঝোলসহ পরিবেশন করুন মজাদার ছিটা রুটি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

Saturday, December 8, 2018

চই পিঠা


অনেকে চুসি বা সেওয়াই পিঠাও বলেন। অঞ্চলভেদে অনেক নাম থাকলেও এটি আসলে রসের পিঠা। সাধারণত খেজুরের রসে জ্বাল দিয়ে করা হয়।

বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে খেজুর গাছের প্রাধান্য রয়েছে যেমন- দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চটগ্রাম অঞ্চলেই এই পিঠার প্রচলন বেশি।

উপকরণ: চালের গুঁড়া আধা কেজি। পানি ১ কাপ। লবণ পরিমাণ মতো।

পিঠা রান্নার জন্য: দুধ ১ লিটার। গুড় ১ কাপ। এলাচ ২টি। দারুচিনি ১টি। ঘি ১ টেবিল-চামচ। গুঁড়া-দুধ ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: প্রথমে গরম পানিতে চালের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে খামির তৈরি করুন। এবার ভালোভাবে ময়ান করে ডো বানিয়ে সেটা থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে হাত দিয়ে ঘষে লম্বা লম্বা লতির মতো ছোট ছোট চই তৈরি করে নিন।

একটি হাঁড়িতে দুধ, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ঘন করে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করুন। এবার এর মধ্যে চইগুলো দিয়ে দিন।

পিঠা দেওয়ার সময় একবারে ছাড়বেন না। অল্প অল্প করে দুধে ছাড়বেন। অনেকে আগে পিঠাগুলো ভাপ দিয়ে নেয়।

চই সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে গুড়, গুঁড়া-দুধ ও ঘি দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার চই পিঠা।

মনে রাখবেন- গরম দুধে কখনও গুড় দেবেন না বা গুড় দিয়ে জ্বাল দেবেন না।

এখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত গুড়ে সোডা ব্যবহার করা হয়। ফলে দুধে গুড় দিয়ে জ্বাল দিলে বা গরম দুধে গুড় দিলে ফেটে যেতে পারে।

গুড় আলাদা জ্বাল দিয়ে রেখে দুধে পিঠা দিয়ে জ্বাল দিয়ে দুটোই যখন কুসুম গরম তখন গুড় মেশানো ভালো। পরে আর জ্বাল দেবেন না।

চই রোদে শুকিয়ে বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করা যায় অনেক দিন। যখন খেতে ইচ্ছা করবে শুধু উপরের নিয়মে রান্না করলেই হবে।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

Saturday, December 1, 2018

ছানায় তৈরি মজাদার খাবারটি খেয়েছেন কী?


ছানা দিয়ে মিষ্টি  তৈরি করতে পারেন না সবাই। তা ছাড়া মিষ্টি তৈরি সময়সাপেক্ষ ও শ্রমসাধ্য। ছানার খাবারে স্বাদবদল চাইলে চেখে দেখতে পারেন এই খাবারটি। তৈরিতে সহজ, মেহমান আপ্যায়নেও দারুণ।

দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে তৈরি করে নিতে পারেন এই খাবারটি! এত মজাদার যে, মুখে লেগে থাকবে স্বাদ। 

ছানা তৈরি করবেন যেভাবে
দুধ- ২ লিটার
ভিনেগার- ৩ টেবিল চামচ
সুতি/মসলিন নরম কাপড়

- চুলায় দুধ ফুটতে শুরু করার পর চুলা বন্ধ করে দিন।
-ভিনেগারের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে অল্প অল্প করে দুধে মেশাতে থাকুন।
-দুধ ফেটে সবুজ পানি আলাদা হয়ে গেলে ছানা কাপড়ে ছেঁকে ফেলুন।
-কয়েকবার ধুয়ে নিন যাতে টকভাব দূর হয়ে যায়। ভালো করে না ধুলে ছানা দুধে দিলে দুধ ফেটে যেতে পারে।
-ঠান্ডা করে ছানার কাপড় চেপে পানি বের করে উচু জায়গাতে ঝুলিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট।

পায়েস তৈরি করবেন যেভাবে
দুধ- ২ লিটার
এলাচ- ৩-৪ টি
দারুচিনি- ১ টুকরো
বাদাম কুচি- ১/২ কাপ
গুঁড়ো দুধ- ১/২কাপ
চিনি- পরিমাণমতো বা ১ কাপ
কেওড়াজল- ১/২ চা চামচ
ঘি- ২ টেবিলচামচ

-ছানা দুই ভাগ করে নিন।
-এক ভাগ ভালো করে মথে নিন। চুলাতে ১ কাপ চিনি ও তিন কাপ পানি দিয়ে ফুটতে দিন।
-এখন মথে নেওয়া ছানা ছোট কিউব বা বলের মতো করে নিন বা পছন্দমতো আকারে কেটে নিন। এই ছানা ফুটন্ত সিরাতে দিয়ে ঢেকে পাঁচ মিনিট বেশি আঁচে ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন (রসগোল্লার মতো)।
-অন্যভাগ ছানা নিন। প্যানে ঘি দিয়ে এই ছানা দিয়ে অল্প আঁচে ভেজে নিন। ৩-৪ মিনিটের মতো সময় লাগবে যাতে ছানার কাঁচা ঘ্রাণটা চলে যায়। কিছুটা ঠান্ডা করে হাত দিয়ে ঝুরঝুরে করে নিন।
-দুধ, এলাচ, দারুচিনি হাঁড়িতে দিয়ে কিছুটা ঘন করে নিন।
-এখন ছানার কিউবগুলো সিরা থেকে তুলে পানি ছেঁকে নিন।
-দুধে ছানার কিউব, ছানার ঝুরি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। গুঁড়ো দুধ দিয়ে তা ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

ঠান্ডা করে বাদাম ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
প্রিয়.কম

Friday, November 30, 2018

সম্রাট আকবরের প্রিয় আকবর-ই-গোস্ত


কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেম। বাংলাদেশে মূলত গরু ও খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো মোঘল সম্রাট আকবরের প্রিয় আকবর-ই-গোস্ত। 'আইন-ই-আকবরি'তে আবুল ফজল লিখেছিলেন, একদিন আকবরের প্রধান বাবুর্চি নবাবকে নতুন কিছু খাওয়াবেন বলে নিজের মনমতো এই রান্নাটি করেছিলেন। একবার খেয়েই রান্নাটির প্রেমে পড়ে যান সম্রাট। আকবরের নামেই রান্নাটির নামকরণ হয় ‘আকবর-ই-গোস্ত’।

রান্নায় যা লাগবে
খাসির মাংস- ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২টা কুচি কুচি করে কাটা, আদা বাটা- ২ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, লাল লঙ্কা গুঁড়া- ২ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া- ১ চা চামচ, পানি- ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া- অর্ধেক চা চামচ, টমেটো- ২-৩টা কুচি কুচি করে কাটা, আদা কুচি- আধা চা চামচ, তেল- আধা কাপ, মসুর ডাল সিদ্ধ- আধা কাপ।

রান্না হবে যেভাবে
পানিতে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, লাল লঙ্কা গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রনটিকে আর পানির সাথে মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে ১৬-২০ মিনিট সেদ্ধ করুন। টমেটো কুচি আর আদা দিন। ৫ মিনিট পর তেল দিয়ে ৫-১০ মিনিট রান্না করুন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। প্রয়োজন হলে ১-২ টেবিল চামচ পানি দিন যাতে নীচের দিকে ধরে না যায়। তেল ছাড়তে শুরু করলে ডাল সিদ্ধ মিশিয়ে আরও খানিকক্ষণ আঁচে রাখুন। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২০ আগস্ট ২০১৮

Monday, November 26, 2018

রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট রাঁধবেন যেভাবে


অতিথি আপ্যায়ন কিংবা উৎসবের খাবারে মুড়িঘণ্টের প্রচলন নতুন নয়। মাছের মাথা দিয়ে রান্না সুস্বাদু এই খাবারটি অনেকেরই পছন্দের। চলুন জেনে নেই মুড়িঘণ্ট রান্না করার সহজ রেসিপি-

উপকরণ: ২ কেজি ওজনের রুই মাছের মাথা ১টি, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮-১০টি, কারি পাউডার ১ চা-চামচ, আদা মিহি কুচি ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২ টুকরা, লবণ পরিমাণমতো, তেজপাতা ২টি, আলু ছোট টুকরা আধা কাপ, পোলাওর চাল ৪ টেবিল-চামচ, মুগডাল আধা কাপ, তেল সিকি কাপ, ঘি সিকি কাপ, মেথি সিকি চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ।


প্রণালি: মুগডাল ও চাল ধুয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরাতে হবে। মাছের মাথা ছোট টুকরা করে মাছের অংশ ও মুড়ো আলাদা করে রাখতে হবে। ৪ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে আলু ভেজে তুলে নিয়ে চাল ও ডাল ভাজতে হবে। অন্য পাত্রে তেল গরম করে মেথির ফোড়ন দিয়ে আদা, রসুন, পেঁয়াজ কুচি ভেজে সব বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে মাছের অংশ রেখে মুড়ো দিয়ে কষাতে হবে। এবার তাতে চাল, ডাল দিয়ে ডুবো পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। এই সময় লবণ, তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, গোলমরিচ দিতে হবে।

মাছের মাথা সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে মুড়োটা ভেঙে উঠিয়ে রেখে ওই হাঁড়িতে বাকি কাটা মাছ ও আলু দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। আবার মাছের মুড়ো ঢেলে দিয়ে ৫ থেকে ৬ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। ঝোল কমে এলে চিনি, কারি পাউডার, কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে বাকি ঘি মুড়িঘণ্টের ওপর দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৪ অক্টোবর ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

Friday, November 23, 2018

ভিন্ন স্বাদের চিড়া পোলাও


সুগন্ধময় পোলাও খেতে সবাই ভালোবাসেন। সেটা রোজার ঈদ হোক আর ‍কুরবানি। তবে প্রচলিত রান্নার বাইরে গিয়ে এবার পোলাও রান্না করতে পারেন চিড়া দিয়ে। কি, চমকে গেলেন? চমকে যাবেন না। আরটিভি অনলাইনের দেয়া রেসিপি দেখে জেনে নিন ভিন্ন স্বাদের মজাদার চিড়া পোলাও রান্না করবেন যেভাবে।

রান্নায় যা লাগবে
চিড়া ১ কাপ, ডিম ২ টি, তেল ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, মরিচ কুচি ২-৩ টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ আধা চা চামচ, তেজপাতা ২ টি, লবণ স্বাদ মতো।

যেভাবে রাঁধবেন
প্রথমে চিড়া ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে এর মধ্যে ডিমে ও লবণ দিয়ে ঝুরি করে উঠিয়ে নিন। এবার বাকি তেলগুলোর মধ্যে তেজপাতা, পেঁয়াজ ও বাকি সব মসলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।

তারপর চিড়া দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। এরপর ডিমের ঝুরি ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে আর একটু নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের চিড়া পোলাও।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Thursday, November 22, 2018

নিজেই রান্না করুন মুরগির রোস্ট


বাসায় বসে মুরগির রোস্ট রান্না করে খেতে ভীষণ ইচ্ছা করছে। কিন্তু রান্না করার মতো কেউ নেই। নিজেও কোনদিন রান্না করেন নি। ওদিকে খেতে হবেই, এমন অস্থিরতায় ভুগছেন। তবে দেরি কেন, ঝটপট রেসিপিটা পড়ুন আর হয়ে যান একজন রন্ধনশিল্পী।  নিজের হাতেই রান্না করে খেতে পারেন মজাদার মুরগির রোস্ট। জেনে নিন কিভাবে রান্না করবেন মুরগির রোস্ট?

উপকরণ:
আস্ত মুরগি- ১টি, আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ, রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া- ২চা চামচ, টক দই- দেড় কাপ, ঘি- ২টেবিল চামচ, গরম মশলা গুঁড়া- আধা চা চামচ, জয়ত্রী গুঁড়া- আধা চা চামচ, জয়ফল গুঁড়া- ১টি পরিমাণ, তেল- ২চা কাপ, লবণ- পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে মুরগিটিকে কেটে চার ভাগ করে নিন। চাকু দিয়ে আলতো করে মাংস চিরে নিন। কড়াইতে তেল ঢালুন, তারপর গরম করে নিন। সামান্য লবণ মাখিয়ে গরম তেলে হালকা বাদামী করে ভেজে নিন। এরপর কড়াইতে পেঁয়াজ-কুচি ঢালুন। হালকা বাদামী হয়ে এলে, একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার গরম মশলা, জয়ফল, জয়ত্রী দিয়ে মাংস ঢালুন। মশলার সঙ্গে মাংস ভালোভাবে নেড়ে ২ কাপ পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে রাখুন। পানি মোটামুটি শুকিয়ে এলে ঘি ছড়িয়ে দিন। তেল উপরে উঠে এলে চুলা বন্ধ করুন। এরপর পরিবেশন করুন। আকর্ষণীয় করে পরিবেশন করতে টমেটো, শসা নকশা করে কেটে রোস্টের সঙ্গে দিন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৭ অক্টোবর ২০১৮

Friday, November 16, 2018

ঝটপট তৈরি করে ফেলুন মজাদার মিষ্টি কালোজাম


মিষ্টি কমবেশি সবারই পছন্দ। খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে বা নাশতার টেবিলে মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেকেই পছন্দ করেন। বাড়িতে মেহমান আসলে মিষ্টির দোকানে না ছুটে নিজেই বাড়িতে তৈরি করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। কালোজাম মিষ্টির সহজ একটি রেসিপি দেখে নিন। আর ঘরেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার মিষ্টি কালোজাম। 

উপকরণ
ময়দা আধা কাপের চেয়ে একটু বেশি, গুঁড়া দুধ ২ কাপ, ডিম ২টি, বেকিং পাউডার ২ চা চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো, সিরার জন্য চিনি ৬ কাপ, পানি ৩ কাপ। 

প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল গরম করুন। এরপর বাটিতে দুটো ডিমে ২ টেবিল চামচ তরল দুধ এবং ৩ টেবিল চামচ ঘি একসাথে খুব ভালো করে ফেটে নিতে হবে। এবার অন্য একটা প্লেটে গুঁড়া দুধ, ময়দা এবং ২ টেবিল চামচ বেকিং পাউডার দিয়ে মিক্স করে নিয়ে ফেটে রাখা ডিমের মিশ্রণটিতে ভালো করে মাখিয়ে নিন। হাতের তালুতে সামান্য ঘি লাগিয়ে পছন্দের শেপ অনুযায়ী গোল গোল গোল্লা করে নিন। চুলায় তেল গরম করে গরম তেলে মিষ্টিগুলো ঢিমা আঁচে কালচে করে ভাজুন।


তবে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলার জ্বাল বেড়ে না যায়। বেশি আঁচে ভাজলে মিষ্টিগুলো কাঁচা আর ভিতরে গুটির মতো শক্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। এবার অন্য একটি কড়াইতে চিনি ও পানি দিয়ে মিষ্টির জন্য সিরা করে নিন। ভাজা মিষ্টিগুলো বলক ওঠা সিরায় ছেড়ে দিয়ে ৫-৬ মিনিটের জন্য রেখে দিন। মিডিয়াম আঁচে চুলার ওপর কিছুক্ষণ রাখুন।
এবার চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন। আকর্ষণীয় উপায়ে পরিবেশন করতে কালোজামের ওপর মাওয়া ছড়িয়ে দিন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২১ অক্টোবর ২০১৮

Monday, November 12, 2018

ইলিশের মাথা দিয়ে কচুর শাক


কচুর শাকের রয়েছে নানা উপকারিতা। এটি খেতেও বেশ সুস্বাদু। ইলিশের মাথা দিয়ে কচুর শাক রান্না একটি জনপ্রিয় খাবার। চাইলে রাঁধতে পারেন আপনিও। রইলো রেসিপি-

উপকরণ: কচুশাক- ২৫০ গ্রাম, ইলিশ মাছের মাথা- ২টি, পেঁয়াজ- ১টি, রসুন- ১টি (কোয়া ছাড়ানো), হলুদ, মরিচ ও লবণ- স্বাদমতো।

প্রণালি: কচুশাক সেদ্ধ করে নিতে হবে। পেঁয়াজ কুচি, রসুন, হলুদ, মরিচ ও লবণ দিয়ে মাছের মাথা কষিয়ে নিন। সেদ্ধ কচুশাক কষানো মাছে দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়ুন। নামানোর আগে লেবুর রস দিয়ে দিন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

Sunday, November 11, 2018

চিংড়ি খিচুড়ি রান্নার সহজ রেসিপি


খিচুড়ি খেতে কে না ভালোবাসে! এই খিচুড়ি হয় নানা স্বাদের। বিফ, মাটন, চিকেন কিংবা ইলিশ খিচুড়ি তো খাওয়া হলোই, এবার শিখে নিন চিংড়ি খিচুড়ি রান্নার রেসিপি-

উপকরণ: চাল- এক কাপ, মুগডাল- এক/দুই কাপ, শাহজিরা- এক/চার চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা- এক/চার কাপ, আদা বাটা- এক টেবিল চামচ, গরম পানি- আড়াই কাপ, কাঁচা বাদাম- দুই টেবিল চামচ, রসুন বাটা- এক চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা- চার/পাঁচটি, লবণ- পরিমাণমতো, গরম মসলা, শুকনামরিচ গুঁড়া- এক চা চামচ, তেল বা ঘি -কোয়ার্টার কাপ, ছোট চিংড়ি ১০-১২টি।

প্রণালি: মুগডাল ও চাল একসঙ্গে পরিষ্কার করে ধুয়ে এক-দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে গরমমসলা ও আদা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এবার চাল ও ডাল মিশিয়ে দিতে হবে। চাল, মসলাসহ চার-পাঁচ মিনিট ভেজে নিয়ে গরম পানি মেশাতে হবে। সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। অর্ধেক সেদ্ধ যখন হবে তখন চিংড়িগুলো দিয়ে পানি শুকিয়ে এলে দমে বসিয়ে রাখতে হবে। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

Saturday, November 10, 2018

শাহী চিকেন কোরমা রান্নার রেসিপি


বাড়িতে অতিথি এলে তো বটেই, কখনো কখনো একান্তই ঘরোয়া আয়োজনে থাকে চিকেন কোরমা। সুস্বাদু এই খাবারটি আরও বেশি সুস্বাদু হয়ে ওঠে যখন নামের আগে শাহী যোগ হয়। আজ থাকলো শাহী চিকেন কোরমা তৈরির রেসিপি-

উপকরণ: মুরগি ২টি ১৬ পিস করতে হবে। টক দই আধা কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, পেঁয়াজ মিহি করে কাটা ২ কাপ, ২-৩টি এলাচ ও দারুচিনি, তেজপাতা ২টি, ঘি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো। আস্ত কাঁচামরিচ ৭-৮টি, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, কিশমিশ ১৫-২০টি, কাঠবাদাম ও পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ, মাওয়া আধা কাপ গ্রেট করা, তরল দুধ ১ কাপ, চিনি ১ চা চামচ এবং আলুবোখারা ৫-৬টি।

প্রণালি: প্রথমে মুরগির টুকরোগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর এতে মাওয়া, দুধ, কিশমিশ, বাদাম ও কাঁচামরিচ বাদে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। একটি বড় পাতিলে তেল ও ঘি একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে মিহি করা পেঁয়াজ দিয়ে বাদামি করে ভেজে মুরগির টুকরোগুলো তাতে দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। মুরগি কষানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো পানি, দুধ, মাওয়া, কিশমিশ, বাদাম ও কাঁচামরিচ দিয়ে অল্প ঢেকে প্রায় ২০ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

Friday, November 9, 2018

নবাবি খিচুড়ি রাঁধবেন যেভাবে


খিচুড়ির নাম শুনলে জিভে জল আসবেই। এই খিচুড়ির রয়েছে আবার নানা ধরন। তেমনই একটি পদ হলো নবাবি খিচুড়ি। স্বাদে অতুলনীয় এই খাবারটি আপনিও তৈরি করতে পারেন। আর সেজন্য জানা থাকা চাই রেসিপি। চলুন জেনে নেয়া যাক-

উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, মুগ ডাল ১/২ কাপ, শাহ জিরা ১/৪ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১/৪ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, গরম পানি আড়াই কাপ, কাঁচা বাদাম ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হিং ১/২ চা চামচ, কিসমিস ১/৪ কাপ, কাঁচামরিচ বাটা ৪/৫টা, চাল ৫০০ গ্রাম, লবণ পরিমাণমতো, গরম মসলা ৮/৯টি, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল বা ঘি কোয়ার্টার কাপ।

প্রণালি: মুগ ডাল ও চাল একসাথে পরিষ্কার করে ধুয়ে ১/২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি বাড়িয়ে নিন। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে গরম মসলা ও আদা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার চাল ও ডাল মিশিয়ে দিন। চাল, মসলাসহ ৪-৫ মিনিট ভেজে নিয়ে গরম পানি মেশান। সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। পানি শুকিয়ে এলে দমে বসিয়ে রাখুন। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৪ নভেম্বর ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

ভিন্ন স্বাদের ইলিশ পেঁয়াজি


আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ। এই নামটি শুনলেই জিভে জল আসে। গরম ভাত তার সঙ্গে ইলিশ মাছ, সেটা ভাজাই হোক বা অন্য যে কোন রেসিপি হোক, এর থেকে মজার খাবার আর কিছুই হতে পারে না।

বাসায় হঠাৎ আসা অতিথিকে মুগ্ধ করতে বা ঘরের মানুষদের ভিন্ন স্বাদের ইলিশের রেসিপি উপহার দিতে ইলিশের ব্যতিক্রমী রেসিপি জানা দরকার। এক্ষেত্রে ইলিশ পেঁয়াজি হতে পারে ভিন্ন স্বাদের উত্তম একটি রেসিপি। এটা সব বয়সীদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নাম। তাহলে জেনে নিন ইলিশ পেঁয়াজি তৈরি করতে কী কী উপকরণ লাগবে এবং কীভাবে তৈরি করবেন- 

রান্নায় যা লাগবে
ইলিশ ৬-৭ টুকরো, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ৫-৬টা, লবণ আধা চা চামচ, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ।

রান্না করবেন যেভাবে
প্রথমে ইলিশের টুকরোগুলো অল্প হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং লবণ মাখিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন । এবার সরষের তেল গরম করে তাতে মাছগুলোকে হালকা ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। এতে রসুন বাটা, কাঁচামরিচ ফালি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ দমে রেখে দিন। চুলা থেকে নামিয়ে ইলিশ পেঁয়াজি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

Thursday, November 8, 2018

চিকেন ক্যাশুনাট স্প্যাগেটি তৈরি করবেন যেভাবে


প্যানে পানি গরম হতে দিন। ফুটে এলে এতে লবণ ও তেল দিয়ে স্প্যাগেটি সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝরিয়ে রাখুন। এবার ফ্রাই প্যানে অলিভ অয়েল গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া, পাস্তা সস, টমেটো সস, অরিগানো পাউডার আর লবণ দিয়ে ভুনে নিন।
এরপর মাংসের কিমা দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রেখে মাংস সেদ্ধ করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে স্প্যাগেটি পাস্তা দিয়ে নেড়েচেড়ে এতে রোস্টেড কাজুবাদাম দিন। ডিশে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

উপকরণ
স্প্যাগেটি ২৫০ গ্রাম, মুরগির মাংসের কিমা ১ কাপ, রোস্টেড কাজুবাদাম ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পাস্তা সস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, অরিগানো পাউডার আধা চা চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো এবং অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৪ নভেম্বর ২০১৮

Wednesday, November 7, 2018

ব্যতিক্রমী সুস্বাদু রেসিপি মরিচা ইলিশ


বাজারে এখন ইলিশ বেশ সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। অতিথিকে মুগ্ধ করতে বা ঘরের মানুষদের ভিন্ন স্বাদের ইলিশের রেসিপি উপহার দিতে ইলিশের ব্যতিক্রমী এই সুস্বাদু রেসিপিটি জেনে নিন। তো ঝটপট জেনে নিন মরিচা ইলিশ তৈরি করতে কী কী উপকরণ লাগবে এবং কীভাবে তৈরি করবেন-

উপকরণ
ইলিশ ৬-৭ টুকরো, পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ৫-৬ টা, লবণ আধা চা চামচ, সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ, যেমন হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাঁচামরিচ ফালি, লবণ, পেঁয়াজ কুচি এবং ইলিশ একসাথে মেখে রেখে দিন ৫-১০ মিনিট। এবার প্যানে সরষের তেল গরম করে মাখা ইলিশের পুরোটাই তেলে দিয়ে, অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন ১০ মিনিট। উপরে তেল ভাসতে দেখলে নামিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মরিচা ইলিশ।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

Tuesday, November 6, 2018

মজাদার এগ বিরিয়ানি রেসিপি


প্রতিদিনের একঘেয়েমি মেন্যুতে ভিন্নতা আনতে তৈরি করতে পারেন এগ বিরিয়ানি। দেখে নিন এই খাবার তৈরির সহজ পদ্ধতি-

প্রণালি
প্রথমে বিরিয়ানির প্যানে তেল এবং ঘি নিয়ে হালকা গরম করে সেদ্ধ ডিমগুলো হালকা বাদামি করে চারপাশে ভেজে নিতে হবে। এবার সেই ঘি তেলে তেজপাতা, এলাচ এবং দারুচিনি দিয়ে তাতে আদা রসুন বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে এক এক করে জিরা গুড়া, ধনিয়া গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে ১ টেবিল চামচ তরল দুধ মিশিয়ে হালকা কষিয়ে নিতে হবে।
এবার এতে পোলাও-এর চাল দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করুন। এরপর তরল দুধ, পেঁয়াজ বেরেস্তা, জায়ফল গুঁড়া, জয়ত্রী, কিসমিস, আলু বোখারা, কাঁচামরিচ গোটা, লবণ, লেবুর রস, গোলাপজল এবং ৪০০ গ্রাম পানি দিয়ে বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। লেবুর রসের কারণে বিরিয়ানি ঝরঝরে হবে।

পানি শুকিয়ে এলে এতে ভেজে রাখা ডিম, ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে তাওয়ার ওপর মৃদু জ্বালে ২৫-৩০ মিনিটের জন্য বসিয়ে রাখলেই হয়ে গেল এগ বিরিয়ানি।

উপকরণ
চিনিগুঁড়া চাল ২৫০ গ্রাম, ডিম সেদ্ধ ৪ টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, তরল দুধ আধা কাপ, ক্যাপসিকাম ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১/৩ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১/৩ চা চামচ এবং গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ।
এছাড়া তেজপাতা ২ টা, এলাচ ৪ টা, দারুচিনি ১ টুকরা, জায়ফল গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, জয়ত্রী ১/৪ চা চামচ, কিসমিস ১ টেবল চামচ, আলু বোখারা ৭-৮ টা, কাঁচামরিচ গোটা ৭-৮ টা, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, সানফ্লাওয়ার তেল ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, এবং গরম পানি ৪০০ গ্রাম প্রয়োজন হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৩ নভেম্বর ২০১৮

Monday, November 5, 2018

সুস্বাদু পুঁইপাতায় ভাঁপে ইলিশ


ইলিশ মাছ বিভিন্ন দেশে খাওয়া প্রচলিত থাকলেও এই মাছটি বাঙালিদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রচলিত। ইলিশের নাম শুনলে কার না জিভে জল চলে আসে! বাঙালিদের প্রথম পছন্দ ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। মেহমান হোক কিংবা ঘরের মানুষ, সবাই উপভোগ করতে পারেন পুঁইপাতায় ভাঁপে ইলিশ।
তাহলে জেনে নিন কীভাবে বানাবেন পুঁইপাতায় ভাঁপে ইলিশ।

উপকরণ
ইলিশ ৬-৭ টুকরো, পুঁইপাতা ৬-৭টা, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ৫-৬ টা, লবণ আধা চা চামচ, সরষের তেল ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে ইলিশগুলোকে অল্প হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, সরষের তেল, কাঁচামরিচ ফালি, লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ৫ থেকে ১০ মিনিটের মতো। এবার পুঁইপাতায় মসলা মেখে রাখা ইলিশ দিয়ে মুড়িয়ে নিয়ে স্টিমারে ঢেকে স্টিম করে নিন ১৫ মিনিটের জন্য। এরপর পরিবেশন  করুন সুস্বাদু এই খাবারটি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৮ অক্টোবর ২০১৮