Friday, November 30, 2012

প্রন আদাবো


উপকরণ: বড় চিংড়ি আধা কেজি, রসুন কুচি ২ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা সিরকা ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, গারলিক সস ১ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা ১ গোছা, মাখন ৫০ গ্রাম।

প্রণালি: চিংড়ির লেজ ও মাথা রেখে খোসা ছাড়িয়ে পিঠের দিক অল্প চিরে শিরা বের করে নিতে হবে এবং মাথার ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে। সিরকা, গোলমরিচ, লবণ, চিনি ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে তাতে চিংড়ি দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে আরও ৫-৭ মিনিট পর চিংড়ি পানি থেকে তুলে রাখতে হবে।
সসের জন্য: প্যানে ১ টেবিল-চামচ মাখন গলিয়ে ময়দা মৃদু আঁচে বাদামি রং করে ভেজে অল্প অল্প করে চিংড়িসেদ্ধ পানি মেশাতে হবে। ফ্রাইপ্যানে বাকি মাখন গলিয়ে রসুন ভেজে তাতে চিংড়ি দিয়ে আরও ২ মিনিট বেশি আঁচে ভেজে সয়াসস দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। ভাজা চিংড়ির সঙ্গে রান্না করা চিংড়ির সস, গারলিক সস ও টমেটো সস মিশিয়ে ওপরে সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ও পার্সলে কুচি ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

হট প্রন কারি উইথ স্টিমড রাইস


উপকরণ: ছোট পাকা টমেটো আধা কেজি, বড় চিংড়ি আধা কেজি, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, রসুন ১ কোয়া, ছোট মরিচ ৩-৪টি, জলপাই তেল ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা বা পার্সলেপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কালো গোলমরিচ ১ চা-চামচ, চিনি প্রয়োজনমতো, সাদা ভিনেগার ১ টেবিল-চামচ, মাখন ৪ চা-চামচ, যেকোনো সুগন্ধি চাল ২৫০ গ্রাম।

প্রণালি: পাত্রে তেল গরম করে তাতে রসুন ও মরিচ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তাতে চিংড়ি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ গোলাপি রং করে ভেজে নিতে হবে। সাদা ভিনেগার দিয়ে ১ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। টমেটো ও মরিচ গুড়াঁ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে লবণ ও কালো গোল গোল মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রাখতে হবে। সুগন্ধি চালের ভাত ফুটিয়ে নিতে হবে এবং রান্না শেষে গরম ভাতের ওপর মাখন ছিটিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ দমে রাখতে হবে। গরম ভাত পরিবেশন পাত্রে নিয়ে তার ওপর চিংড়ি কারি ঢেলে এরপর ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন।

বাটারফ্লাই-কিং প্রনস


উপকরণ: চিংড়ি ১৬টি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল-চামচ, বড় পেঁয়াজ কুচি ১টি, রসুন কুচি ১টি, হাড়ছাড়া মুরগির মাংস ছোট এক টুকরা, টমেটোর রস ২ কাপ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, ভিনেগার ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২-৩ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি:  তেল গরম করে, তার সঙ্গে পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে দু-তিন মিনিট নাড়াচাড়া করতে হবে। টমেটোর রস, মুরগির মাংস, চিনি, ভিনেগার, সামান্য লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে ১০-১২ মিনিট জ্বাল দিতে হবে ঘন হওয়া পর্যন্ত। এখন চিংড়িগুলো দিয়ে ১০ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। ধনেপাতা মেশাতে হবে। একটা পাত্রে ঢেলে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন।

Sunday, November 25, 2012

ছানার পুলি

উপকরণ: ছানা ২৫০ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন, ময়দা ৬-৭ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল, সাড়ে তিন কাপ চিনি ও সাড়ে তিন কাপ পানি মিলিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা বানিয়ে নিতে হবে।

প্রণালি: ছানা, কনডেন্সড মিল্ক, ময়দা, বেকিং পাউডার এবং বড় ১ টেবিল চামচ ঘি মিলিয়ে খুব করে মেখে মোলায়েম ডো বানাতে হবে। ডো দিয়ে ছোট ছোট পুলি বানিয়ে হালকা গরম তেলে (অল্প আঁচে) সোনালি করে ভেজে সিরায় দিতে হবে। মাওয়া বা গোলাপ পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।

Saturday, November 24, 2012

আনন্দ ভোগ


উপকরণ: সুজি ২৫০ গ্রাম, চিনি ২৫০ গ্রাম, মাওয়া ৪০০ গ্রাম গ্রেট করা, জাফরান পৌনে এক টেবিল চামচ, ছোট এলাচি দানা (১০টা এলাচির) গুঁড়া করা, গোলাপজল ২ চা-চামচ, ঘি ৯ টেবিল চামচ, দুধ ১ টেবিল চামচ, সাজানোর জন্য সিলভার ফয়েল।

প্রণালি: ৪ টেবিল চামচ উষ্ণ গরম পানি ও ১ টেবিল চামচ ঘিয়ে সুজি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে পানি বেশি দেওয়া যাবে, যাতে সুজি ভালোভাবে ভিজে যায়। প্যানে বাকি ঘিয়ে ভেজানো সুজি অল্প আঁচে হালকা বাদামি করে ভেজে নামাতে হবে। সুজির সঙ্গে মাওয়া মিলিয়ে নিতে হবে। প্যান আবার চুলায় বসিয়ে ভুনতে হবে। সুজি ও মাওয়া পুরোটা মিশে গেলে নামিয়ে বড় পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা করে নিতে হবে। অন্য প্যানে ১ কাপ পানি ও চিনি মিশিয়ে ঘন সিরা বানাতে হবে। ঘন সিরায় গোলাপজল ও জাফরান ভালোভাবে মিলিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে সুজি ও মাওয়ার মিশ্রণ ঢেলে এলাচির গুঁড়া মিলিয়ে নিতে হবে। উঁচু চারকোনা ডিশে ঢেলে সেট করে ঠান্ডা হলে সিলভার ফয়েল বা তাক দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ছোট ছোট চৌকো করে কেটে পরিবেশন।

ক্যারামেল ফিরনি

উপকরণ: দুধ ২ লিটার, পানি ২ কাপ, পোলাওয়ের চাল ২ মুঠো (২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে আধা ভাঙা করে নিতে হবে), কনডেন্সড মিল্ক ১টা, ১ কাপ চিনির ক্যারামেল, জাফরান ১ চিমটি, সাজানোর জন্য মাওয়া, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম।

প্রণালি: সাদা ফিরনির জন্য—১ লিটার দুধের সঙ্গে ১ কাপ পানি মিলিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা দুধে আধা ভাঙা চাল (১ মুঠো) মিলিয়ে চুলায় দিতে হবে। ফুটে উঠলে নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে জাফরান ও অল্প অল্প কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে নাড়তে হবে (মিষ্টি দেখে নিতে হবে)। ঘন হয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে।
ক্যারামেল ফিরনি—বাকি দুধের সঙ্গে পানি মিলিয়ে ঠান্ডা দুধে আধা ভাঙা চাল মিলিয়ে চুলায় বসাতে হবে। ফুটে উঠলে নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে যখন চাল সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন অল্প অল্প করে ক্যারামেল মেলাতে হবে। মিষ্টি কম-বেশি হলে ঠিক করে নিতে হবে। ঘন হয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে।
সার্ভিং ডিশে এক স্তর সাদা ফিরনি, এক স্তর ক্যারামেল ফিরনি—এভাবে সাজিয়ে মাওয়া, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।
ক্যারামেল বানাতে—শুকনো প্যানে চিনি অল্প আঁচে গলিয়ে নিতে হবে, পরে আধা কাপ দুধ মিলিয়ে নিতে হবে।

Wednesday, November 21, 2012

হাঁড়িবন্ধ


উপকরণ: গরুর চর্বিসহ মাংস ৫ কেজি, পেঁয়াজ মোটা কুচি ৬ কাপ, আদা মিহি কুচি ১ কাপ, রসুনের কোয়া ১ কাপ, শুকনা মরিচ ফালি আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, টকদই ২ কাপ, মিষ্টিদই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৪ কাপ, তেজপাতা ৬টি, দারচিনি ১০ টুকরা, ছোট এলাচ ১০টি, লবঙ্গ ১২টি, বড় এলাচ ৪টি, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি।

প্রণালি: চর্বিসহ মাংস বড় টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বড় হাঁড়িতে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। হাঁড়ি ভরে পানি দিন। ময়দা পানি দিয়ে মথে হাঁড়ির চারপাশে লাগিয়ে ঢাকনা দিয়ে এমনভাবে ঢেকে দিন যেন বাষ্প বের হতে না পারে।
এবার হাঁড়ি চুলায় দিয়ে মাঝারি জ্বালে রান্না করুন। ভালো করে ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। প্রতিদিন দুবার করে ফোটান। এভাবে ঝোল শুকিয়ে তেলের ওপর এলে আধা কাপ বেরেস্তা ও ১ চা-চামচ গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নামান।
মজাদার হাঁড়িবন্ধ পোলাও, ভুনা খিচুড়ি, পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

আনাজ-মাংসের কাবাব


উপকরণ: মাংসের সেদ্ধ কিমা ১ কেজি, কাঁচা কলা ৪টি, আদাবাটা আধা টেবিল-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, ডিম ফেটানো একটি।

প্রণালি: কলা সেদ্ধ করে খোসাসহ বেটে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে চুলায় দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। ঠান্ডা হলে একসঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে গোল গোল চ্যাপ্টা কাবাব করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন।

Tuesday, November 20, 2012

নারকেলের দুধে কাটা মসলার মাংস


উপকরণ: গরু বা খাসির মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ, আদা মিহি কুচি ৩ টেবিল-চামচ, আস্ত রসুন ৮-১০টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, আধা ভাঙা গোলমরিচ ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৮-১০টি, সরিষার তেল ১ কাপ, তেজপাতা ৪টি, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৮টি, টকদই আধকাপ, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, চিনি ১ চামচ বা স্বাদমতো, নারকেলের দুধ ৬ কাপ।

প্রণালি: মাংস টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ, নারকেলের দুধ বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর নারকেলের দুধ দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে এলে বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্প জ্বালে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।

চুইঝালে মাংস ভুনা


উপকরণ: গরুর মাংস ২ কেজি, চুইঝাল মাঝারি টুকরা করে কাটা ২ কাপ, আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, টকদই আধা কাপ, তেজপাতা ৪টি, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, সরিষার তেল ১ কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি: মাংস ধুয়ে লবণ ও টকদই দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখুন। তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে তাতে সব মসলা কষিয়ে মাংস ও চুইঝাল দিয়ে কয়েকবার কষান। পরে পানি দিন। মাংসের ঝোল শুকিয়ে তেলের ওপর এলে গরম মসলার গুঁড়া, জিরা ভাজা গুঁড়া দিয়ে নামান।

Wednesday, November 14, 2012

সবজি-কিমা কাবাব



উপকরণ: সেদ্ধ করা গরুর মাংসের কিমা ৫০০ গ্রাম, সেদ্ধ সবজি (পছন্দমতো) ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, শুকনো মরিচ ২-৩টি, জিরা আধা চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, আদাকুচি ১ চা-চামচ, গোলমরিচ ১০-১২টি, এলাচ ২-৩টি, রসুনকুচি ১ চা-চামচ, জায়ফলের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, ডিম ১টি, পাউরুটির গুঁড়া প্রয়োজনমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, দুধ ১ কাপ, পাউরুটি ৩ টুকরা, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য, মাখন ১ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: ফ্রাইপ্যানে ২ টেবিল-চামচ তেল দিয়ে তাতে শুকনো মরিচ, জিরা, দারচিনি, এলাচি, রসুন, আদা ও গোলমরিচ দিয়ে হালকা ভেজে তুলুন। ঠান্ডা হলে ভাজা মসলার সঙ্গে কিমা বেটে নিন। কিমার মধ্যে বেকিং পাউডার, বেরেস্তা, জায়ফল গুঁড়া, ডিম, দুধে ভেজানো পাউরুটি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনমতো পাউরুটির গুঁড়াও দিন। এবার এই মিশ্রণ থেকে বল তৈরি করে ডুবোতেলে ভেজে তুলুন। ফ্রাইপ্যানে মাখন দিয়ে তাতে আস্ত সবজিগুলো দিয়ে লবণ ও টমেটো সস দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। এবার বলগুলো কাঠিতে গেঁথে সবজি দিয়ে পরিবেশন করুন।

মাংসের পিঠা

  

উপকরণ: মাংসের কিমা ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, ধনেপাতা ১ টেবিল-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, তেল ভাজার জন্য, লবণ স্বাদমতো, আতপ চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম।

প্রণালি: সসপ্যানে লবণ ও পানি জ্বাল দিয়ে তাতে বলক উঠলে চালের গুঁড়া দিন। মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে তিন-চার মিনিট দমে রাখুন। ভালোভাবে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা গরম অবস্থায় মাখিয়ে নিন। ছোট ছোট লেচি কেটে রুটি আকারে বেলে নিন।
ফ্রাইপ্যানে ৪ টেবিল-চামচ তেল দিয়ে তাতে কিমা, পেঁয়াজ, আদাবাটা, রসুনবাটা, গরম মসলা, ধনেপাতা, লবণ দিয়ে একটি পুর তৈরি করে ঠান্ডা করে নিন। রুটির টুকরোর ভিতর পুর দিয়ে পছন্দমতো আকার গড়ে ডুবোতেলে ভেজে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

Tuesday, November 13, 2012

বিফ মোমো



উপকরণ (১): মাংসের কিমা ১ কাপ, আদার রস ১ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা ১ টেবিল-চামচ। এসব উপকরণ দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করে পুর তৈরি করতে হবে।

উপকরণ (২):
ময়দা ৩০০ গ্রাম, লবণ সামান্য, পানি প্রয়োজনমতো। ময়দা মেখে ডো বানিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ২০ মিনিট।

প্রণালি:
ময়দার খামির দিয়ে ছোট লেচি কেটে পাতলা করে বেলে নিন। এতে কিমার পুর ভরে মোমোর আকারে গড়ে নিন। ভাপে অথবা প্রেসার-কুকারে সেদ্ধ করে নিন। সসের সঙ্গে গরম গরম মোমো পরিবেশন করুন।

পোহে

  

উপকরণ: চিঁড়া ১ কাপ, মাংসের কিমা ১ কাপ (সেদ্ধ করা), আলু ১টি, টমেটো ১টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, নারকেল কোরানো ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা বা কারিপাতা ৮-১০টি, তেল বা ঘি প্রয়োজনমতো, হলুদ সামান্য, লবণ স্বাদমতো, ডিম ১টি, কাঁচা মরিচকুচি ৩টি।

প্রণালি: চিঁড়া ভালো করে ধুয়ে নিন। আলু ও টমেটো ছোট ছোট টুকরা করে নিন। কড়াইয়ে তেল বা ঘি দিয়ে তাতে কারিপাতা বা ধনেপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। তারপর আলু, মাংসের কিমা ও টমেটো দিয়ে কষান। কষা হয়ে গেলে ধুয়ে রাখা চিঁড়া ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে নাড়াচাড়া করুন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে আদাকুচি, ধনেপাতাকুচি, কাঁচা মরিচকুচি ও নারকেল কোরানো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

Friday, November 9, 2012

পট রোস্ট



উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংসের চাকা ১ কেজি, গোলমরিচ ২০-২৫টা, লবণ পরিমাণমতো, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল-চামচ, ছোট আলু ৮-১০টা, মাখন ৩ টেবিল-চামচ, ক্যাপসিকাম স্বাদমতো।
প্রণালি: প্রথমে মাংসের চাকাটাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ধুয়ে মুছে নিতে হবে, যাতে কোনো পানি না থাকে। এরপর ময়দার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে নিয়ে তার মধ্যে মাংসের টুকরা আলতোভাবে গড়িয়ে নিতে হবে। বড় পাতিলে কম আঁচে মাখন গলিয়ে নিয়ে তাতে ময়দা মাখানো মাংস হালকা বাদামি করে ভাজতে হবে। এরপর পাতিলে প্রচুর পানি দিয়ে মাংস কম আঁচে সেদ্ধ করতে হবে। সাত-আট ঘণ্টা সেদ্ধ করে পানি কমে গেলে আবার একটু একটু করে পানি দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং পানি মাখা মাখা হলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর ফ্রাই প্যানে মাখন গলিয়ে তাতে ছোট সেদ্ধ আলু এবং ক্যাপসিকাম গোটা গোটা করে কেটে হালকা ভাজতে হবে। এরপর মাংসে যতটুকু পানি ছিল, তা আলাদা করে নিয়ে তাতে একটু কর্ন ফ্লাওয়ার এবং গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ঘন করতে হবে। এরপর একটা বড় কাচের ডিশের মাঝখানে মাংসের টুকরাটা রেখে তার চারধারে সবজিগুলো বিছিয়ে দিতে হবে। তার ওপর বানানো ঘন ঝোল ঢেলে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

Thursday, November 8, 2012

খাসির স্টেক



উপকরণ: হাড়সহ খাসির মাংস ৮ টুকরা (বড় করে কাটা), জলপাই তেল ১ টেবিল-চামচ, ময়দা প্রয়োজনমতো, মাশরুম ১ ক্যান, সেদ্ধ সিমের বিচি প্রয়োজনমতো, রসুন (মাঝারি কোয়া) ১০-১২টা, মাখন ১ টেবিল-চামচ, কমলার রস আধা কাপ, কমলাকুচি আধা কাপ, লবণ, গোলমরিচ।

প্রণালি:
মাংস পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। ময়দায় লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে তাতে মাংসগুলো একটু গড়িয়ে নিতে হবে। মোটা তলার ফ্রাইপ্যানে জলপাই তেল গরম করতে হবে। তাতে মাংস দিয়ে দুই পিঠ বাদামি করে ভাজতে হবে। এরপর কড়াইয়ে মাখন দিয়ে তাতে মাশরুম ও সেদ্ধ সিমের বিচি অল্প লবণ দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। এগুলো উঠিয়ে ওই তেলে রসুন কোয়া, কমলাকুচি এবং বেশি করে পানি দিয়ে তার মধ্যে ভাজা খাসির মাংস দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কম আঁচে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি শুকিয়ে ফেলে তাতে কমলার রস দিয়ে আরেকটু জ্বাল দিতে হবে। এরপর একটি বড় প্লেটে মাংস, সিমের বিচি মাশরুম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন চারজনের জন্য।