Saturday, June 30, 2012

দাগ মেটানোর নানা উপায়


► ছুরি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।

► কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠে যাবে।

► অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।

► রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।

► বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।

► কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।

► পিতলের জিনিসের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের জিনিসের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।

► রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।

Friday, June 29, 2012

নারিকেল

নারিকেল শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, শরীরের জন্যও উপকারী। বাদাম, আখরোট ও মিছরির সঙ্গে নারিকেল মিশিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ডাবের পানি রোজ খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এ ছাড়া খালি পেটে নারিকেল খেলেও নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। নারিকেলের পানি শসার রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক পরিষ্কার হয়। রাতে খাওয়ার পর প্রতিদিন আধগ্লাস নারিকেলের পানি পান করলে ঘুম ভালো হয়। নারিকেলের মধ্যে বাদাম পেষা মিশিয়ে মাথায় লাগানো ভালো। এতে মাথার যন্ত্রণা কমে। নারিকেল তেলের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে খুশকি দূর হয়। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৫০ গ্রাম নারিকেল খাওয়া ভালো। এতে বাচ্চার গায়ের রং ফরসা হয়। পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাশতার পর এক টুকরো নারিকেল খান। পেটের কৃমি দূর হবে।

Thursday, June 28, 2012

আম আর পেঁপে



উপকরণ: কাঁচা আমের ঝুরি দেড় কাপ, পাকা পেঁপে ঝুরি দেড় কাপ, সাইডার ভিনিগার দেড় কাপ, চিনি দেড় কাপ, লেবুর রস আধা কাপ, আদা কুচি দুই চা-চামচ, রসুন কুচি দুই চা-চামচ, লাল শুকনা মরিচ কুচি এক টেবিল-চামচ, কিশমিশ আধা কাপ, দারুচিনি দুই টুকরা, লবঙ্গ ছয়টি, কাবাবচিনি আটটি, লবণ প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: আমের ঝুরি এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন পানি থেকে তুলে ভালো করে চিপে পানি ফেলতে হবে। শুকনা কাপড় দিয়ে পানি মুছতে হবে। বড় সসপ্যানে আম ও পেঁপে নিতে হবে। দারুচিনি, লবঙ্গ, কাবাব চিনি একটি পাতলা কাপড়ে পুঁটলি বেঁধে সসপ্যানে রাখতে হবে। এবার রেসিপির বাকি সব উপকরণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে কম আঁচে নাড়তে হবে। চিনি গলে গেলে আঁচ মৃদু রেখে প্রায় এক ঘণ্টা রান্না করতে হবে। ঢাকনা দেওয়া যাবে না। আচার মসৃণ হয়ে এলে চুলা থেকে নামাতে হবে। মসলার পুঁটলি ফেলে দিয়ে গরম আচার জীবাণুমুক্ত বোতলে ভরতে হবে।

Wednesday, June 27, 2012

সবুজ আম



উপকরণ: কাঁচা আম ৬০০ গ্রাম, চিনি দেড় কাপ, সিরকা আধা কাপ, লেবুর রস আধা কাপ, কাঁচামরিচ চারটা, ফুড কালার (সবুজ) কয়েক ফোঁটা, ম্যাংগো এসেন্স কয়েক ফোঁটা, কর্ন ফ্লাওয়ার এক টেবিল-চামচ ও সিটা দুই টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: কাঁচা আমের খোসা ফেলে চার টুকরা করে কাঁটা-চামচ দিয়ে কেঁচে লবণপানিতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার আম ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। ফুটন্ত পানিতে আম সিদ্ধ করে পানি ঝরাতে হবে। অন্য প্যানে সিরকা, চিনি, কাঁচামরিচ দিয়ে রান্না করতে হবে। এরপর ফুড কালার, আম ঢেলে দিতে হবে। কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নেড়ে রান্না করতে হবে। আম গলে এলে কর্ন ফ্লাওয়ার গুলিয়ে দিতে হবে। তারপর এসেন্স দিয়ে নামাতে হবে। ঠান্ডা হলে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখতে হবে।

Tuesday, June 26, 2012

বিকেলের নাশতায়



নারিকেলের কোপ্তা খিচুড়ি

কোপ্তার উপকরণ
বড় নারিকেল ১টি, বেসন ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা একমুঠো, পেঁয়াজ ১টি, পুদিনাপাতা সামান্য, আদা একটুকরো, গরম মসলা গুঁড়ো আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, তেল আধা কাপ, কাজুবাদাম একমুঠো (ম্যুরের জন্য)।

খিচুড়ির উপকরণ
পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, মুগের ডাল দেড় কাপ, নারিকেলের দুধ ১ লিটার, দারুচিনি ২ টুকরো, এলাচ ৩টি, কারি মসলা ২ চা চামচ, তেজপাতা ২টি, লবঙ্গ ৪টি, কাঁচামরিচ ৭টি, লবণ স্বাদমতো, ঘি আধা কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. পুদিনাপাতা ও ধনেপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে কুচিয়ে রাখুন। তারপর নারিকেল কোরা, কোচানো পেঁয়াজ, আদা, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা একসঙ্গে বেটে নিন।
২. নারিকেল বাটার সঙ্গে বাকি মসলা ভালো করে মিশিয়ে গোল গোল কোপ্তা তৈরি করুন। প্রতিটি কোপ্তার ভেতরে বাদামের পুর দিয়ে ভালো করে মুখ বন্ধ করে কোপ্তা গোল করে বানিয়ে তেলে হালকা বাদামি করে ভাজুন।
৩. সসপ্যানে ঘি গরম করে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়ুন। এরপর চাল, তেজপাতা, গরম মসলা দিয়ে ৫ মিনিট রাখুন।
৪. এবার চালের সঙ্গে নারিকেল দুধ, মরিচ ও লবণ একসঙ্গে প্রেশার কুকারে দিন। প্রায় সিদ্ধ হলে কুকার খুলে নারিকেল দুধে সিদ্ধ ভাতের মধ্যে ভাজা কোপ্তাগুলো দিয়ে দিন।
৫. আবার প্রেশার কুকারের মুখ বন্ধ করে আরো ৫ মিনিট দমে রাখুন। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করুন।

পাস্তার স্যুপ

উপকরণ
পাস্তা ১০০ গ্রাম, চিকেন স্টক ২ কাপ, মাশরুম কুচি ৪টি, টমেটো পেস্ট ১ টেবিল চামচ, ডিমের সাদা অংশ ১টি, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি সামান্য, গোলমরিচ গুঁড়া একচিমটি।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. বড় পাত্রে চিকেন স্টক দিয়ে পাস্তা সিদ্ধ করুন।
২. তেল গরম হলে মাশরুম ও টমেটো পেস্ট দিয়ে নেড়ে নিন।
৩. দুই মিনিট পর লবণ দিন। এর মধ্যে পাস্তা সিদ্ধ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৪. পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে ১০ মিনিট আঁচে রান্না করুন। ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে ঢেলে দিন এবং ঘন ঘন নাড়ুন।
৫. ঘন হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পাকোড়ার সঙ্গে।

ডিমের শাহি কাবাব

উপকরণ
ডিম ৪টি, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, কাজুবাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, ছোলার ডাল বাটা আধা কাপ, আলু সিদ্ধ ২টি, গরম মসলা আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, পানি ঝরানো টকদই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, ময়দা আধা কাপ, তেল আধা কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ডাল বেটে নিন। সিদ্ধ ডিম ছোট টুকরো করে কাঁচামরিচ, কাজুবাদাম, ধনেপাতা মিশিয়ে নিন।
২. তেল ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন।
৩. পছন্দমতো আকারে গড়ে ডিমের পুর ভরে তেলে বাদামি করে ভেজে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

পুর ভরা দোসা

উপকরণ
পোলাউয়ের চাল ১ কাপ, কলাইর ডাল আধা কাপ, আলু সিদ্ধ ৩টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষা ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. চাল ও ডাল রাতে আলাদা করে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে নিন।
২. একটু পানি ও লবণ দিয়ে গোলা তৈরি করে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
৩. তেল গরম হলে সরিষা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে ধনেপাতা, আলুর ছোট টুকরো দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
৪. এরপর ননস্টিক প্যানে চাল ও ডালের মিশ্রণ একহাতা দিন। হাতার পেছন দিয়ে গোলা ছড়িয়ে দিন। এর ওপর পুর ছড়িয়ে মুড়ে দিন।
৫. ধনেপাতার চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন।

চিকেন পাকোড়া

পাকোড়ার উপকরণ
চিকেন ব্রেস্ট কুচি ৪ টুকরো, চিজ ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, মাখন ১৫০ গ্রাম, ময়দার গোলা ১ বাটি।

সসের উপকরণ
পেঁয়াজ কুচি ২টি, মাখন ৫০ গ্রাম, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, টমেটো ক্যাচাপ ২ টেবিল চামচ, গুড় একচিমটি, লবণ স্বাদমতো, মরিচ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. প্যানে মাখন গরম হলে চিকেন দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন।
২. বড় পাত্রের মধ্যে ময়দা গোলা বা ব্রেড ক্রাম, চিজ, ধনেপাতা, লবণ ও গোলমরিচ চিকেনে মেশান।
৩. এরপর বাদামি করে ভাজুন।
৪. কম আঁচে মাখন গরম করে তাতে পেঁয়াজ হালকা বাদামি করে ভেজে লেবুর রস, টমেটো ক্যাচাপ, লবণ, মরিচ দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৫. পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে চিকেন পাকোড়ার সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আম পেঁয়াজের মঞ্জুরি



আজ রইলো অতি চমৎকার একটা আচারের রেসিপি। বানাতে ভীষণ সহজ, কিন্তু খেতে সেই রকম মজা। মূলত ভাত বা খিচুড়ির সাথে মানানসই।

এসে গেছে আমের দিন। আর সেই সাথে রাঁধুনিদের হেঁসেল ভরে উঠতে শুরু করেছে নানান রকম আচারে। আর হবে নাই বা কেন, বছর ঘুরে আবার যে পাক্কা এক বছর পর মিলবে এই কাঁচা আম। আর তাই তো সারা বছরের আচার মজুদ হতে শুরু করেছে এখন বাঙালির ঘরে ঘরে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ রইলো অতি চমৎকার একটা আচারের রেসিপি। বানাতে ভীষণ সহজ, কিন্তু খেতে সেই রকম মজা। মূলত ভাত বা খিচুড়ির সাথে মানানসই এই আচারের রেসিপি দিয়েছেন সাইমা জাহান।

উপকরণ -
১. দেশী পেয়াজ কুচি ৪ কেজি ২. কাঁচা আম ১/২ কেজি ৩. কালোজিরা ১ চা-চামচ ৪. শুকনা মরিচ ৮টা ৫. তেঁতুল ১ টেবিল চামচ ৬. চিনি ৪ টেবিল চামচ ৭. রসুন কোয়া ১০ টা ৮. লবন স্বাধমতো ৯. সরিষার তেল ১০. কাঁচের জার প্রণালী - পেয়াজ আর আমের চামড়া পরিষ্কার করে নিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। এরপর পেয়াজ আর আম মিহি কুচি করে কাটতে হবে। এরপর একটা ডালায় আম আর পেয়াজের কুচি নিয়ে তাতে কালোজিরা, শুকনা মরিচ, রসুন কোয়া, তেতুল, চিনি, লবন আর অল্প সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে ৩/৪ দিন রোদে শুকাতে হবে। বাদামী রঙ এবং ঝরঝরে হলে কাঁচের জারে নিয়ে সরিষার তেল দিয়ে আবার রোদে দিতে হবে... এই আচার বানানো অনেক সোজা এবং খেতে ও মজা। এই টক মিষ্টি আচার দিয়ে আলু ভর্তা করতে পারবেন, খিচুড়ির সাথেও খাওয়া যায়। ছবি- সাইমা জাহান

সূত্রঃ প্রিয়.কম

Monday, June 25, 2012

অরেঞ্জ ললিস


উপকরণ
পানি এক কাপ, চিনি পৌনে এক কাপ, লেবুর রস দুই টেবিল চামচ, ট্যাং পাউডার তিন টেবিল চামচ, খাবার রং কমলা এক চিমটি, লবণ এক চিমটি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ওপরের সব একসঙ্গে বিট করুন।
২. ছাঁচে ফেলে রেফ্রিজারেটরের ডিপ চেম্বারে পাঁচ ঘণ্টা রেখে দিন।
৩. এরপর পরিবেশন করুন।
লেমন ললিস : অরেঞ্জ ললিসের নিয়মেই তৈরি করুন। শুধু রং দেবেন সবুজ আর ফ্লেভার দেবেন লেমন।

Sunday, June 24, 2012

ম্যাংগো মাশরুম



উপকরণ: কাঁচা আম ৫০০ গ্রাম, বাটন মাশরুম এক কাপ, সাইডার ভিনিগার আধা কাপ, সাদা ভিনিগার আধা কাপ, লেবুর রস আধা কাপ, চিনি দেড় কাপ, লেমন গ্রাস কয়েকটি, লাল মরিচ দুটি, রসুন কুচি দুই চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো

প্রণালি: কাঁচা আম খোসা ফেলে কিউব করে কেটে লবণপানিতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। ভারী সসপ্যানে আম, মাশরুম এবং সব উপকরণ নিয়ে চুলায় বসাতে হবে। মধ্যম আঁচে রান্না করে চিনি গলাতে হবে। তারপর মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে প্রায় ৪০ মিনিট মাঝেমধ্যে নাড়তে হবে। ঢাকনা দেওয়া যাবে না। আম গলে গেলে গরম আচার চুলা থেকে নামিয়ে জীবাণুমুক্ত বোতলে ভরতে হবে।

Saturday, June 23, 2012

রেড গ্রিন ম্যাংগো


উপকরণ: কাঁচা আম ৭০০ গ্রাম, লাল ক্যাপসিকাম একটি, লাল মরিচ চারটি, সাদা ভিনিগার এক কাপ, সাইডার ভিনিগার আধা কাপ, চিনি দুই কাপ, স্টার অ্যানিস দুই টুকরা, লেবুর রস আধা কাপ, ফুড কালার (সবুজ) কয়েক ফোঁটা, লবণ প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: আমের খোসা ফেলে চার টুকরা করে কাঁটা-চামচ দিয়ে কেঁচে নিতে হবে। লবণপানিতে চার-পাঁচ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ক্যাপসিকাম লম্বায় টুকরা করে বিচি ফেলে দিতে হবে। ওভেনে ক্যাপসিকাম উঁচু তাপমাত্রায় গ্রিল করতে হবে, যেন খোসা ফেটে যায়। ক্যাপসিকামের খোসা ফেলে দিতে হবে। আম লবণপানি থেকে নিয়ে ভালো করে ধুতে হবে। একটি ভারী ননস্টিক প্যানে মরিচ, ভিনিগার, স্টার অ্যানিস ও ফুড কালার লবণ দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। এরপর আমের টুকরা দিতে হবে। কিছুক্ষণ ফুটে আম নরম হয়ে এলে লেবুর রস, লাল মরিচ ও ক্যাপসিকাম দিয়ে আবার মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর নামিয়ে গরম আচার জীবাণুমুক্ত বোতলে ভরতে হবে।

Friday, June 22, 2012

আম-রসুনের রসুইঘর


উপকরণ: কাঁচা আম খোসা ছাড়া টুকরা দুই কাপ, রসুনছেঁচা এক কাপ, সরিষার তেল এক কাপ, মৌরি এক টেবিল-চামচ, মেথি এক টেবিল-চামচ, জিরা এক টেবিল-চামচ, কালো জিরা দুই চা-চামচ, সরষে আড়াই টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ ১০-১২টি, হলুদগুঁড়া দুই চা-চামচ, সিরকা আধা কাপ, চিনি দুই টেবিল-চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: আমের টুকরা লবণ মেখে এক রাত রাখতে হবে। পরের দিন ধুয়ে কয়েক ঘণ্টা রোদে দিতে হবে। রেসিপির সব মসলা মিহি করে বেটে নিতে হবে। সসপ্যানে তেল দিয়ে চুলায় বসাতে হবে। তেল গরম হলে রসুন দিয়ে নাড়তে হবে। বাটা মসলা দিয়ে নাড়তে হবে। তারপর আম দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ রান্না করে আম নরম হলে চিনি দিয়ে নেড়ে নামাতে হবে। আচার ঠান্ডা হলে বোতলে ভরতে হবে। বোতলের মুখ তেল দিয়ে ঢাকতে হবে। কয়েক দিন রোদে দিতে হবে।

Thursday, June 21, 2012

সাত মসলায় আম


উপকরণ: কাঁচা আম এক কেজি, সিরকা আধা কাপ, সরিষার তেল এক কাপ, রসুনবাটা দুই চা-চামচ, আদাবাটা দুই চা-চামচ, হলুদগুঁড়া দুই চা-চামচ, চিনি তিন টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
সাত মসলার জন্য: মেথি টালা গুঁড়া এক চা-চামচ, জিরা টালা গুঁড়া দুই চা-চামচ, মৌরিগুঁড়া এক চা-চামচ, রাঁধুনি গুঁড়া দুই চা-চামচ, সরষেবাটা তিন টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া দুই টেবিল চামচ, কালো জিরা গুঁড়া এক চা-চামচ।

প্রণালি: কাঁচা আম ধুয়ে খোসাসহ টুকরা করে লবণ দিয়ে মেখে এক রাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন ধুয়ে আদা, রসুন, হলুদ মেখে রোদে দিতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর সসপ্যানে আধা কাপ তেল দিয়ে আমগুলো রান্না করতে হবে নেড়ে নেড়ে। গলে গেলে নামাতে হবে। অন্য সসপ্যানে বাকি তেল দিয়ে চিনি গলাতে হবে। কম আঁচে চিনি গলে গেলে সব মসলা দিয়ে (মৌরি, মেথি ছাড়া) কষিয়ে আম দিন। আম গলে গেলে মৌরিগুঁড়া, মেথিগুঁড়া দিয়ে নামাতে হবে।

Wednesday, June 20, 2012

টুটি ফুটি


উপকরণ : গুঁড়াদুধ এক কাপ, কর্নফ্লাওয়ার এক চা চামচ, ডিমের কুসুম একটি, পানি সোয়া কাপ, চিনি আধা কাপ, সফট ক্রিম এক টেবিল চামচ, চায়না গ্রাস এক চা চামচ, সিএমসি আধা চা চামচ, ম্যাংগো ইমালশন এক চিমটি, ম্যাংগো এসেন্স এক চিমটি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. যেকোনো ২-৩ ফ্লেভারের আইসক্রিম স্কুপ দিয়ে বল বানিয়ে কাপে নিবেন।
২. এবার আঙ্গুর, আম ও আপেল টুকরো দিন।
৩.তারপর চকোলেট সিরাপ দিন।
৪.উপরে সঢট ক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Tuesday, June 19, 2012

গরমে খাবার ভালো রাখতে...


এই প্রচণ্ড গরমে খাবার ভালো রাখাটা বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালের খাবার দুপুর গড়াতেই বাসি হয়ে যাচ্ছে। আর বাসি খাবার খেলে তো পেটের অসুখ হবেই। এ গরমে খাবার সংরক্ষণ করার বিষয় নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন রান্নাবিদ সিতারা ফিরদৌস।

► ►► জেনে নিন

● কাঁচা মাছ ও মাংস বাজার থেকে আনার পর ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে রেফ্রিজারেটরের বরফ চেম্বারে রাখতে হবে।

● কাঁচা শাকসবজি ও কাঁচামরিচ বাজার থেকে আনার পর এগুলোকে ছড়িয়ে রেখে বাতাসে পানি শুকিয়ে গেলে শুকনা পলিপ্যাক, কাগজের ঠোঙায় বা কনটেইনারে করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। পলিপ্যাকে ছিদ্র করেও রাখা যেতে পারে, যেন বাতাস বের হয়ে যায়।

● কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে সংরক্ষণ করতে হবে।

● বাজার থেকে শাক আনলে পরিষ্কার করে বেছে শুকনা পলিপ্যাক বা কনটেইনারে রাখতে হবে।

● মাছ ও মাংস রান্না করার জন্য রেফ্রিজারেটর থেকে নামালে বরফ গলিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না। তাতে গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

● যেকোনো রান্না করা খাবার এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর আগেই সংরক্ষণ করতে হবে।

● রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে।

● বেশি পরিমাণ খাবার রান্না না করে প্রয়োজনমতো রান্না করতে হবে।

● যেকোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার সময় কনটেইনার, ঢাকনাসহ বাটি—এসব ব্যবহার করা যেতে পারে।

● ফল যেটুকু খাওয়া হবে শুধু সেটুকু কাটতে হবে। বাকিটা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।

● রেফ্রিজারেটর বেশি খুললে ও বন্ধ করলে ভেতরে বাতাস ঢুকে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বেশি খোলা যাবে না।

● যেকোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে, যেন এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে না যায়।

● রেফ্রিজারেটর না থাকলে যেকোনো বেলায় খাওয়ার পর বাকি খাবার জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে জালি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ঘরের বাইরে খাবার ভালো রাখতে ‘কতক্ষণের জন্য খাবার নেওয়া হচ্ছে, বিষয়টার ওপর গুরুত্ব দিয়ে খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে,’ বলছিলেন রান্নাবিদ সিতারা ফিরদৌস।

● ঘরের বাইরে যেমন—অফিসে আমরা সাধারণত পোলাও, খিচুড়ি, ভাত—এসব খাবার নিয়ে থাকি। সাধারণ টিফিন বাক্সে খাবার নিয়ে বেরোনোর আগে খাবার বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। কখনোই গরম গরম খাবার বাক্সে নেওয়া যাবে না, এতে খাবার গন্ধ হয়ে যেতে পারে।

● কোল্ডপটে ঠান্ডাজাতীয় খাবার নিলে তা ঠান্ডা থাকবে।

● যদি খাবার ঠান্ডা করার সময় না থাকে, তাহলে কর্মস্থলে যাওয়ার পর খাবারের বাক্সটা একটু খুলে রাখতে হবে, যেন গরম ভাপটা বের হয়ে যায়।

● টিস্যু পেপারে কিংবা বাটার পেপারে রোল করে স্যান্ডউইচ, স্ন্যাকস-জাতীয় খাবার মুড়িয়ে নিলে খাবারের অতিরিক্ত তেল টিস্যু পেপার চুষে নেয় আর খাবারও ভালো থাকে অনেকক্ষণ।

● চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল—এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে নিলে নষ্ট হবে না।

● গ্রিল, কাবাব—এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে ছিদ্র করে মুড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে।

● নুডলস বাটার পেপারে কিংবা টিফিন বাক্সে করে নেওয়া ভালো।

● ভ্রমণে শুকনা খাবার নেওয়াই ভালো। অনেকক্ষণ খাবার ভালো থাকে।

● খাবারে কাঁচা পেঁয়াজ দেওয়া না হলে তা অনেক্ষণ ভালো থাকে।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা, (তারিখ: ১৯-০৬-২০১২)

চিকেন ললিপপ


উপকরণ: হাড়সহ মুরগির মাংস ৩০০ গ্রাম, এ ক্ষেত্রে রানের অংশ কেটে নিতে হবে। তেল পরিমাণমতো, ভিনেগার, কাঁচামরিচ দুটি, রসুন তিন কোয়া, ময়দা দুই টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ একটা, ডিম একটা, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, এরারুট দুই চা-চামচ, ধনেপাতা একটি গাছ, স্বাদ লবণ ও লবণ পরিমাণমতো, ওয়েস্টার সস, সয়াসস ও মাস্টার্ড সস চা-চামচের আধা চামচ করে। টমেটো ও চিলি সস পরিমাণমতো।

প্রণালি: মুরগি প্রথমে ধুয়ে ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন। পরে পানিতে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। উঠিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সব মসলা মিশিয়ে কিমা করে নিয়ে মাংসে মিশিয়ে নিন। ময়দা ও সস মিশিয়ে ডুবোতেলে তা ফ্রাই করে নিন। এবার তুলে সস মিশিয়ে নিন। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন।

Sunday, June 17, 2012

কুলফি আইসক্রিম


উপকরণ
গুঁড়ো দুধ দুই কাপ, পানি দুই কাপ, ডিম দুটি, কনডেন্সড মিল্ক এক টিন, কর্নফ্লাওয়ার এক টেবিল চামচ, কাজুবাদাম কুচি দুই টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়ো এক চিমটি, গোলাপজল আধা চা চামচ, চায়না গ্রাস এক চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. দুধ, পানি ও ডিমের কুসুম সিএমসি ও কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে চুলায় একসঙ্গে জ্বাল দিন।
২. এরপর এলাচ গুঁড়ো দিন। নামানোর আগে চায়না গ্রাস গরম পানিতে গুলে দিন।
৩. ঠাণ্ডা হলে বিট করুন। ফ্রিজে রেখে পাঁচ ঘণ্টা পর আবার বিট করুন।
৪. এরপর বিটারে ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ফোম বানান। সেই ফোম ও গোলাপজল দিয়ে বিট করে কুলফির খাঁচে ভরে ফ্রিজে রাখুন।
৫. এক ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন।

Saturday, June 16, 2012

ম্যাংগো আইসক্রিম


উপকরণ
গুঁড়ো দুধ এক কাপ, কনফ্লাওয়ার এক চা চামচ, চিনি আধা কাপ, ডিমের কুসুম একটি, পানি সোয়া কাপ, ডানো ক্রিম এক টেবিল চামচ, চায়না গ্রাস এক চা চামচ, সিএমসি আধা চা চামচ, ম্যাংগো ইমালশন এক চিমটি, ম্যাংগো অ্যাসেন্স এক চিমটি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. প্রথমে গুঁড়ো দুধ, কনফ্লাওয়ার, চিনি, ডিমের কুসুম ও পানি ব্লেন্ড করে জ্বাল দিন।
২. এরপর নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ক্রিম মিলিয়ে বিট করুন চার মিনিট।
৩. ফ্রিজের ডিপ চেম্বারে রেখে দিন।
৪. এক ঘণ্টা পর নামিয়ে আবার বিট করুন। দ্বিতীয়বার বিট করার সময় রং ও অ্যাসেন্স মিলিয়ে নিন।
৫. এক ঘণ্টা ফ্রিজের ডিপ চেম্বারে রেখে তারপর পরিবেশন করুন।

Friday, June 15, 2012

চিকেন ব্রেস্ট


উপকরণ
মুরগির মাংস হাড় ছাড়া ৬ টুকরা, মাখন ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২টি, পাকা টমেটো ২টি, টমেটো পেস্ট ৫ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, রসুন কুচি ২ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

টকিংয়ের জন্য
ব্রেডক্রাম ৪ কাপ, ধনেপাতা কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, গলানো মাখন ২ টেবিল চামচ, মোজারেলা চিজ কোরানো দেড় কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ফ্রাইপ্যানে মাখন গরম করে মুরগির মাংস হালকা করে ভেজে নিন।
২. ভাজা হলে ওভেনপ্রফ ডিশে ঢেলে পেঁয়াজ, টমেটো পেস্ট, লবণ, মরিচ, রসুন ভালো করে মেখে নিন।
৩. মিশ্রণটি মাংসের ওপর খানিকটা দিয়ে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রায় ৪০ মিনিট বেক করুন।
৪. এবার বেক করা মাংস উল্টে অন্য পাশে ধনেপাতা, মাখন, ব্রেডক্রাম, মোজারেলা চিজ মুরগির ওপর ছড়িয়ে দিন। আবার ৫ মিনিট বেক করুন।
৫. ব্রেডক্রাম লালচে হয়ে গেলে বেকিং ট্রে বের করে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Thursday, June 14, 2012

আমলকী


আমলকী ঔষধি ফল হিসেবে পরিচিত। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে বলেই আমলকীকে ভিটামিন সির রাজা বলা হয়। ১০০ গ্রাম আমলকীতে রয়েছে ভিটামিন সি ৪৬৩ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৬.২ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৭ গ্রাম, আঁশ ৩.৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৭০ কিলোক্যালরি, ক্যালসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩.১ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন বি-১-এ ০.০৩ মিলিগ্রাম।

ব্যবহার
ওষুধ ও প্রসাধনীতে আমলকী ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া আমলকীর আচার ও মোরব্বা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। আমলকীর রস যকৃৎ, পেটের রোগ, হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র, অজীর্ণ ও জ্বর সারাতে কাজ করে। পাতার রস আমাশয় দূর করে। আমলকীর রসের শরবত জন্ডিস, চর্মরোগ, বদহজম ও কাশির জন্য উপকারী। শুকনো ৬ গ্রাম আমলকী কুচি এক কাপ পানিতে মিশিয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পরে চটকে ছেঁকে প্রতিদিন পানি খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় ও বমিভাব কাটে। কাঁচা আমলকীর রস প্রতিদিন খেলে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-২-এর অভাব দূর হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকী বাটা তরল দুধে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে স্ক্যাল্পে লাগালে ঘুম ভালো হয়। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় দুই চামচ আমলকীর রস এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে তিন-চার চামচ আমলকীর রস আধা লিটার কাঁচা দুধ আর মিছরি মিশিয়ে খেতে পারেন। চুলের যত্নে আমলকী পেস্ট ব্যবহার করলে চুল পাকা, চুল ওঠা বন্ধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। ওষুধ হিসেবে খাওয়া ছাড়াও প্রতিদিন দুটি আমলকী খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

Wednesday, June 13, 2012

এই গরমে ঠান্ডা সালাদ





এই গরমে প্রাণ জুড়াতে খাবারের সঙ্গে চাই সালাদ। তা-ও যেন হয় ঠান্ডা। দেখুন ফারজানা হালিম হাইয়ের দেওয়া সালাদ তৈরির প্রণালিগুলো।

মুরগি-আনারসের সালাদ
উপকরণ: মুরগির মাংসের টুকরা ১ কাপ, আনারসের টুকরা ১ কাপ, শসা ১ কাপ।
ড্রেসিং: মেয়নিজ ৮ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ ও লেবুর রস ২ চা-চামচ।
প্রণালি: সালাদ ড্রেসিং আলাদাভাবে মিশিয়ে নিন। মুরগির মাংস সিদ্ধ করে নিন। এবার সস, আনারস ও মাংস একসঙ্গে মিশিয়ে ড্রেসিং দিয়ে পরিবেশন।

সেদ্ধ সবজির সালাদ
উপকরণ: আলু সেদ্ধ ১ কাপ, মটরশুঁটি সেদ্ধ আধা কাপ, গাজর সেদ্ধ ১ কাপ, শসা ২টি, ডিম সেদ্ধ ২টি।
ড্রেসিং: মেয়নিজ ৪ টেবিল চামচ, ক্রিম ২ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: সব সবজি ও ডিম কিউব করে কেটে নিন। ড্রেসিং, ডিম আর সবজি বাটিতে মেশান। ঠান্ডা করে পরিবেশন।

লাল সালাদ
উপকরণ: কিডনি বিন ২ কাপ, বিন স্প্রাউট ১ কাপ, বিট কুচি আধা কাপ।
ড্রেসিং: ভিনেগার আধা কাপ, জলপাই তেল ২ টেবিল চামচ, কমলার রস ২ টেবিল চামচ, আদা কুচি ২ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ।
প্রণালি: বড় বাটিতে ড্রেসিংয়ের সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন। সারা রাত এটি ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন ব্যবহার করলে ভালো। কিডনি বিন সেদ্ধ করে নিন। স্প্রাউট আর বিটের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ড্রেসিং মেখে পরিবেশন।

টক সালাদ
উপকরণ: লাল আপেল একটি বড়, পেয়ারা একটি, মালটা একটি, আনারস একটি, শসা একটি, টমেটো বড় একটি, আমন্ড বাদাম কয়েকটি।
ড্রেসিং: টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, রসুন ৩ কোয়া চাপ দিয়ে ভেঙে নেওয়া, কাঁচামরিচ একটি, বিট লবণ ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, ধনেপাতা অল্প।
প্রণালি: সব ফল ও সবজি পছন্দমতো কেটে নিন। আমন্ড, রসুন, মরিচ, ধনেপাতা একসঙ্গে কুচি করে নিন। লবণ, বিট লবণ, লেবুর রস, টমেটো সস একসঙ্গে মেশান। এই মিশ্রণ ফল ও সবজিতে মেশান। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পছন্দমতো পরিবেশন।

পাস্তা সালাদ
উপকরণ: পাস্তা ১ কাপ, মাঝারি আকারের চিংড়ি ১ কাপ, মাশরুম ১ কাপ, জলপাই তেল ১ চা-চামচ।
ড্রেসিং: টক দই আড়াই কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, লেবুর রস ২ চা-চামচ।
প্রণালি: টক দই কাপড়ে বেঁধে তিন ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখুন। তাতে পানি ঝরে যাবে। একটু জলপাই তেল মিশিয়ে পাস্তা সেদ্ধ করে নিন। চিংড়ি আর মাশরুম সেদ্ধ করুন। এবার টক দই বাটিতে নিয়ে তাতে লবণ, বিট লবণ, লেবুর রস দিয়ে বিট করে নিন। তৈরি হলো ড্রেসিং। চিংড়ি, মাশরুম, পাস্তা একটি বাটিতে নিয়ে তাতে ড্রেসিং ঢেলে দিন। ঠান্ডা করে পরিবেশন।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা

Tuesday, June 12, 2012

আনারস মুরগি


উপকরণ: মুরগি ১টি দেড় কেজি ছোট টুকরা করা (ধুয়ে পানি ঝরানো), পেঁয়াজ বড় ২টি, রসুন বড় ২ কোয়া, আদা কুচি ২ টেবিল-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, পাপরিকা পাউডার ২ টেবিল-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ—এসব উপকরণ একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। তেল আধা কাপ, কাজুবাদাম ১০০ গ্রাম (এক ঘণ্টা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে), কারিপাতা ৬টি, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি।
আনারস কিউব ২ কাপ, পানি আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: প্যানে তেল গরম করে সব মসলা বেটে নিয়ে তা দিয়ে ১০ মিনিট অল্প গরম পানি দিয়ে কষাতে হবে। তেলের ওপর উঠলে মুরগি দিয়ে বেশি আঁচে কষাতে হবে। ৫ মিনিট কষিয়ে আধা কাপ গরম পানি ও কাজুবাদাম দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। ১০ মিনিট পর কারিপাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে। পরে আনারস, লেবুর রস ও চিনি দিয়ে কষিয়ে রান্না করতে হবে।
গরম গরম পরিবেশন।

Monday, June 11, 2012

পাইন আপেল সালাদ


উপকরণ: আনারস চাক চাক করে কাটা ৮ টুকরা (সাজাতে), গাজর ফুল করে কাটা ৮ টুকরা (সাজাতে), কাঁচা মরিচের ফুল ৮টি (সাজাতে)।

সালাদের জন্য: আনারস কুচি ১ কাপ (লম্বা), গাজর কুচি ১ কাপ (লম্বা), শসা কুচি ১ কাপ (লম্বা), লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, লেবুর রস স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ কুচি বিচি ফেলে দিয়ে স্বাদমতো, মেয়োনেজ বা টকদই ১ কাপ (পানি ঝরানো)।
প্রণালি: সব একসঙ্গে মেখে সালাদ তৈরি করে নিন। আনারস চাক, গাজরের ফুল, কাঁচা মরিচের ফুল ফ্রিজে ঠান্ডা করে রাখতে হবে।

এসব দিয়ে প্লেট সাজিয়ে সালাদ পরিবেশন করুন বা আনারস পাতাসহ লম্বায় অর্ধেক করে কেটে চামচ দিয়ে কুরে কুরে বাটির মতো বানিয়ে নিন। ভালো করে পাতাসহ ধুয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা করে নিতে হবে। পরে এই আনারসের বাটিতে সালাদ পরিবেশন করা যাবে।

Sunday, June 10, 2012

আনারস মার্গারিটা


উপকরণ: আনারস কুরানো ১ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, চিনি ৬ টেবিল-চামচ, ঠান্ডা পানি ১ কাপ, বরফ কুচি আন্দাজমতো।

প্রণালি: সব একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে, তৈরি রাখা গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন।
পরিবেশন: লম্বা গ্লাসের ওপরের অংশ লেবুর রসে সামান্য ডুবিয়ে নিন। পরে গুঁড়া চিনি বা গুঁড়া লবণে ডুবিয়ে নিতে হবে, সঙ্গে আনারস টুকরাও লাগানো যাবে। এভাবে গ্লাস তৈরি করে তাতে আনারসের রস ঢালুন। চুমুক দিলেই টক-মিষ্টি বা নোনতা স্বাদ পাবেন।

Saturday, June 9, 2012

পাইন আপেল আপ সাইড ডাউন কেক


উপকরণ: চিনি ১ কাপ, আনারস রিং আকারে কাটা ছয়-সাতটি। তাতে লবণ ও চিনি ছিটিয়ে রেখে দিতে হবে। পরে শুকনা করে মুছে অল্প আঁচে ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে। বেকিং ডিশে ১ কাপ চিনি অল্প আঁচে গলিয়ে ক্যারামেল বানিয়ে নিতে হবে। ক্যারামেলে আনারস রিং বিছিয়ে চেরি দিতে হবে।

স্পঞ্জের জন্য

উপকরণ: ডিম ৪টি, চিনি গুঁড়া আধা কাপ, ময়দা আধা কাপ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স বা পাইন আপেল এসেন্স আধা চা-চামচ, গলানো বাটার অয়েল ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: ময়দা, বেকিং পাউডার ও গুঁড়া দুধ একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। বাটিতে ডিমের সাদা অংশ বিট করে ফেনা তুলে নিতে হবে। ডিমের ফেনায় চিনি মিলিয়ে বিট করতে হবে। ২ মিনিট পরে ডিমের হলুদ অংশ দিয়ে খুব করে বিট করে নিতে হবে। এই ডিমের মিশ্রণে ময়দার মিশ্রণ মেখে নিতে হবে। তাতে এসেন্স ও বাটার অয়েল মিলিয়ে রিং বিছানো ডিশে মিশ্রণ ঢেলে মাঝারি আঁচে ৩৫-৪০ মিনিট (প্রিহিটেড ওভেনে) বেক করতে হবে। বেক হয়ে গেলে সার্ভিং ডিশে কেক উল্টে নিতে হবে। রিং বিছানো দিক ওপরে হবে।

Friday, June 8, 2012

কাঁচা আমের নাশতা


আমচা

উপকরণ
আম কুচি আধা কাপ, চায়ের গরম লিকার ২ কাপ, চিনি ৪ চা চামচ, কফি লিকার ২ চা চামচ, লবণ এক চিমটি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. চা, কফি লিকার, চিনি ও আম একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ঠাণ্ডা করে নিন। ২. লেবুর স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

টক মিষ্টি জর্দা

উপকরণ
আম ১ কাপ (সেট করা), বাসমতি চাল আধা কাপ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, চিনি ৪০০ গ্রাম, কিশমিশ ২৫ গ্রাম, বাদাম ১ টেবিল চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, জাফরান এক চিমটি, এলাচ ৩টি, দারুচিনি ২ টুকরা।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. চাল ঝরঝরে করে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. আম বেশি টক হলে লবণপানিতে ভিজিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। এরপর পানি ঝরিয়ে নিন।
৩. কড়াইয়ে ঘি গরম হলে চিনি ও অল্প পানি দিয়ে সিরা বানিয়ে আম দিয়ে ১০ মিনিট নেড়ে এলাচ, দারুচিনি, জাফরান ও ভাত দিয়ে হালকা করে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
৪. নামানোর পর কিশমিশ, ছোট মিষ্টি ও বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।

এঁচোড়ে আম

উপকরণ
আম বাটা ১ টেবিল চামচ, এঁচোড় ২৫০ গ্রাম, টমেটো কিমা ২টি, চিংড়ি ১২টি, আস্ত জিরা আধা চা চামচ, এলাচ ৩টি, দারুচিনি ২ টুকরা, শুকনা মরিচ ৪টি, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চিমটি, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি, হলুদ অল্প, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, আলু ৫ টুকরা।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. কড়াইয়ে ঘি গরম হলে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, আস্ত জিরা, লাল মরিচ ও চিংড়ি দিয়ে নেড়ে নিন।
২. এরপর সিদ্ধ আলুর টুকরা ও টমেটো দিয়ে নেড়ে হলুদ, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, আদা বাটা ও অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।
৩. কষানো হলে কাঁচা আম বাটা দিন। সিদ্ধ এঁচোড় দিয়ে নেড়ে লবণ দিন।
৪. মাখা মাখা হলে গরম মসলা, চিনি ও ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রেখে নামিয়ে পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

মিড ডে রেলিশ

উপকরণ
আম বাটা আধা কাপ, কমলার রস আধা কাপ, আনারস স্লাইস ১ কাপ, তরমুজ ১ কাপ, ম্যাঙ্গো এসেন্স আধা চা চামচ, চিনি ৩ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১.ম্যাঙ্গো এসেন্স ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ফ্রিজারে ঠাণ্ডা হতে দিন।
২.এরপর বের করে এসেন্স দিয়ে আবার ব্লেন্ড করে রেফ্রিজারেটরের ডিপ চেম্বারে জমতে দিন। ৩.জমাট বাঁধার পর বের করে পরিবেশন করুন।

ম্যাঙ্গো তন্দুরি চিকেন

উপকরণ
মুরগির রানের মাংস ৫০০ গ্রাম, কাঁচা আম বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, চাট মসলা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, দই ২ টেবিল চামচ, তন্দুরি মসলা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ চা চামচ, তেল প্রয়োজনমতো, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. মুরগির মাংস লবণ, চিনি, আদা বাটা, রসুন বাটা, তন্দুরি, মসলা, পেঁয়াজ বাটা, চাট মসলা, কাঁচামরিচ বাটা, দই, কর্নফ্লাওয়ার মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন।
২. তেল গরম হলে মাংস দিন। মসলা মাখা মাখা হলে আম বাটা দিয়ে নেড়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ দমে রাখুন।
৩. নামিয়ে পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।

জেনে নিন

*কাঁচা আমে ভিটামিন সি রয়েছে।
*আমের গ্লুটামিন এসিড স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
*আমপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ওই পানি খেলে ব্লাড সুগার লেভেলে ভারসাম্য থাকবে।
*আম বেশি টক হলে সামান্য ভাপিয়ে পানি ফেলে দিন, তারপর খান।
*পানীয় বা শরবত তৈরির সময় সব উপকরণ ফ্রিজে ঠাণ্ডা করে নিন। গ্লাসটাও ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন।

Thursday, June 7, 2012

কাঁঠালের বিরিয়ানি


উপকরণ: কাঁচা কাঁঠালের টুকরা ৫০০ গ্রাম, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, তেল ও ঘি এক কাপের একটু কম, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ-বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, দারুচিনি ও এলাচ ৩টি করে, টমেটো কুচি ১টি, টক দই আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, আলুবোখারা ৪-৫টি, কাঁচা মরিচ ৮-১০টা, বিরিয়ানির মসলা ১ টেবিল চামচ, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, ছোট গোলআলু ২৫০ গ্রাম।

পোলাও: চাল ২ পট, পানি ৩ পট, বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, গুঁড়াদুধ ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি এক কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ, এলাচি ও দারচিনি ৩টি করে।

বিরিয়ানির মসলা: এলাচি, দারচিনি, জায়ফল, জয়ত্রী, শাহিজিরা, সাদা গোল মরিচ ও লবঙ্গ। এ মসলাগুলো অল্প অল্প নিয়ে হালকা ভেজে গুঁড়া করে নিলেই বিরিয়ানির মসলা হয়ে যাবে।

প্রণালি: পাত্রে তেল, ঘি দিয়ে ছোট আলু ভেজে তুলতে হবে। বাকি তেলে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ একটু ভেজে আদা, রসুন, গরম মসলা ও টক দই দিয়ে কষাতে হবে। এতে কাঁঠালের টুকরাগুলো দিয়ে কষাতে হবে। সেদ্ধর জন্য অল্প পানি দিতে হবে। টমোটো কুচি করে দিতে হবে। কেওড়া জল ও আলুবোখারা দিয়ে দিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে পানি শুকালে নামানোর আগে ১ চা-চামচ বিরিয়ানির মসলা দিয়ে নামিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পোলাও রান্নার জন্য পাত্রে চাল বাদে সবকিছু একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। এতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখা চাল দিয়ে দিন। চালের পানি সমান হলে তাওয়ার ওপর দমে বসান। ১০ মিনিট পর রান্না কাঁঠাল ও ভাজা আলু পোলাওয়ের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ১৫ মিনিট দমে রেখে গরম গরম পরিবেশন।

Wednesday, June 6, 2012

গোসতের দম বিরিয়ানি


উপকরণ: খাসির মাংস ১ কিলোগ্রাম (২ ইঞ্চি টুকরো করে কেটে নিন), বাসমতি চাল ২ কাপ, আদা ৪ টুকরা, রসুন কোয়া ২০টা, দই ২ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২টা, মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ ৪টি (কুচি করে ভেজে নিন), লবঙ্গ ৬টা, দারুচিনি ১ টুকরা, কাঁচা এলাচ ৫টি, শুকনো এলাচ ১টি, গোলমরিচ ১০টি, শাহি জিরা পাউডার আধা চা চামচ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মসলা ২ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ কাপ, পুদিনা পাতা কুচি আধা কাপ, অলিভ অয়েল ৫ টেবিল চামচ, জাফরান দেওয়া দুধ ২ চা চামচ, গোলাপ জল ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. অর্ধেক আদা ও রসুন ভালো করে মিশিয়ে নিন। কিছু আদা স্লাইস করে কাটুন।
২. খাসির মাংসের সঙ্গে দই, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লবণ, পেঁয়াজ কুচি ভাজা, লেটুসপাতা মিশিয়ে নিন।
৩. লবঙ্গ, দারুচিনি, কাঁচা ও শুকনো এলাচ, গোল মরিচ, লবণ পাতলা রুমালে বেঁধে রাখুন।
৪. কড়াইয়ে ৫ কাপ পানি দিয়ে রুমালে বাঁধা মসলা দিন। এরপর লবণ, শাহি জিরা পাউডার এবং চাল দিয়ে আধা সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
৫. ঢাকনা খুলে অর্ধেক চাল উঠিয়ে মাঝখানে গর্ত করে মেরিনেড করা মাংস দিয়ে বাকি চাল দিয়ে ঢেকে দিন।
৬. আধা ঘণ্টা পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।

Tuesday, June 5, 2012

আচার সংরক্ষণের উপায়


* সিরকা ও সোডিয়াম বেনজয়েট দিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

* পানি ব্যবহার করলে আচার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।

* হাত দিয়ে আচার নাড়বেন না, চামচ ব্যবহার করুন। আচার বয়াম থেকে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, চামচে যেন পানি না থাকে।

* কাচের বয়ামে আচার ভালো থাকে।

* মাঝেমধ্যে আচার রোদে দিলে ভালো থাকে।

* তেলে আচার ডুবিয়ে রাখলে আচারে ফাঙ্গাস পড়ে না।

* আচারে তেল কম হলে তেল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে দিলে গন্ধ হয় না।

* চুনের পানি, ফিটকিরিতে আম ভিজিয়ে রাখলে আচার খুলে যায় না।

কাঁঠালের কাবাব


উপকরণ: কাঁঠাল টুকরা করা ২ কাপ, পেঁয়াজ ৪টা, ছোলার ডাল আধা কাপ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, আদাকুচি ১ টেবিল চামচ, আস্ত শুকনা মরিচ ৮টা, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ডিম ২টা, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, কাবাব মসলা ১ চা-চামচ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ৩টি করে। ভাজার জন্য তেল ও লবণ পরিমাণমতো দিতে হবে।

প্রণালি: কাঁচা কাঁঠাল কেটে সামান্য হলুদ দিয়ে পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডিম, কাবাব মসলা, টোস্টের গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার ও তেল বাদে বাকি সব উপকরণ পরিমাণমতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। গরম গরম পাটায় বেটে নিতে হবে। এবার বাকি উপকরণগুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে কাবাবের খামির তৈরি করতে হবে। যদি খামির বেশি নরম হয়, তবে আরও একটু বিস্কুটের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। সব শেষে কাবাবের আকার করে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কাঁচা কাঁঠালের কাবাব।

Monday, June 4, 2012

কাঁঠালের ভর্তা


উপকরণ: কাঁচা কাঁঠাল বাটা ১ কাপ, পেঁয়াজের কুচি আধা কাপ, সরিষাবাটা আধা কাপ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, সরিষার তেল পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৩-৪টা, হলুদগুঁড়া সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, চিনি ১ চিমটি, লেবুর রস ১ চা-চামচ ও লেবুর খোসা কুচি করা ১ চা-চামচ।

প্রণালি: কাঁঠাল সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন, এতে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে কাঁঠাল বাটা দিয়ে নাড়তে হবে। মসলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে গেলে সরিষাবাটা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়তে হবে। প্রয়োজনে হাত-ছিটা পানি দেওয়া যেতে পারে। নাড়তে নাড়তে যখন ভর্তা গোল হয়ে আসবে, তখন চিনি, লেবুর রস ও লেবুর খোসা কুচি দিয়ে দুই মিনিট চুলায় রেখে নামাতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

Sunday, June 3, 2012

কাঁঠালের কোপ্তা কারি


উপকরণ: ক. কাঁঠালবাটা ২ কাপ, পাউরুটি ২ টুকরা, আদা বাটা ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, ডিম ১টা, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে গোল কোপ্তা বানিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে তুলতে হবে।

উপকরণ: খ. তেল এক কাপের একটু কম, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধাকাপ, ধনেবাটা এক চা-চামচ, টক দই ৪ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, এলাচি-দারচিনি ৩-৪ চা-চামচ, দুধ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ চা-চামচ।

প্রণালি: পাত্রে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ২-৩ মিনিট ভাজার পর সব মসলা একে একে দিয়ে ভুনতে হবে। দুধ ও অল্প পানি দিয়ে ঝোল দিতে হবে। ফুটে উঠলে কোপ্তাগুলো দিয়ে মাঝারি আঁচে দমে রাখতে হবে। ঝোল মাখা হলে ঘি ও বেরেস্তা দিয়ে পাঁচ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন।

Saturday, June 2, 2012

পাটিসাপটা

উপকরণ: পাটিসাপটা
পোলাউয়ের চালের গুঁড়ো ১ কাপ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ, ধনেপাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, আদা বাটা ১ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
সব উপকরণ মিশিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে পাটিসাপটার গোলা তৈরি করুন।

উপকরণ : পুর
ইলিশ মাছের টুকরা ৬টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো একচিমটি, সরিষা বাটা ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. সামান্য হলুদ, লবণ ও পানি দিয়ে মাছ সিদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন।
২. কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিন।
৩. এরপর সরিষা বাটা দিয়ে কষিয়ে মাছ, কাঁচামরিচ কুচি ও একটু লবণ দিয়ে ভাজা ভাজা করে নামান।
৪. কড়াইয়ে সরিষার তেল ব্রাশ করে পরিমাণমতো পাটিসাপটার গোলা দিয়ে হাতল ঘুরিয়ে ছড়িয়ে এক মিনিট ঢেকে দিন।
৫. এবার প্রয়োজনমতো পুর দিয়ে পিঠা রোল করে চুলা থেকে নামান।
৬. ধনেপাতার চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Friday, June 1, 2012

ডাবের পানি


রেহানা ফেরদৌসী মিলি
পুষ্টিবিদ, সিনিয়র প্রভাষক, কোডা
চেম্বার : শমরিতা হাসপাতাল, ঢাকা
ডাবের পানিকে বলা হয় প্রাকৃতিক জুস। ডাবের পানিতে অল্প ক্যালরি ছাড়া ভিটামিন (সি, বি১, বি২, বি৩), মিনারেলস (পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, ফসফরাস) আছে। এ ছাড়া আছে কার্বোহাইড্রেট, সুগার, আঁশ ও সামান্য পরিমাণ প্রোটিন।

কেন পান করবেন
*পানিশূন্যতা দূর করে।
*বমি বা বমিভাব নিয়ন্ত্রণ করে।
*জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে (প্যারাসাইট, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস দূর করে)।
*রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
*যথেষ্ট পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটিস থাকায় রক্তে অক্সিজেন ও তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
*অ্যান্টিবায়োটিক, ফ্রি-র‌্যাডিক্যাল, টক্সনি ফ্ল্যাশ আউট করে।
*হজম ভালো হয় এবং অকালবার্ধক্য দূর করে।
*ওজন কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তে এইচএলডি বাড়ায়।
কখন খেলে উপকার
*খাওয়ার আগে ও পরে পান করুন। যাঁদের অ্যালার্জি, তীব্র গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, তাঁরা খালি পেটে পান করবেন না।
*পরিশ্রমের পর, শরীরে ঘাম হলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তখন ডাবের পানি পান করা ভালো।
*যাঁরা চিবিয়ে ফল খেতে পারেন না এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কম, তাঁদের জন্য ডাবের পানি জরুরি।