Saturday, June 30, 2018

ভক্তদের জন্য আর্জেন্টাইন পটেটো সালাদ


বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতেছে সারা দেশ। আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সমর্থকই বেশি আমাদের দেশে। আজ আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। খেলার উন্মাদনার সাথে সাথে রসনায়ও থাকুক না বৈচিত্র্য। তাই আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য আজ থাকলো আর্জেন্টাইন পটেটো সালাদের রেসিপি। বিখ্যাত লাতিন আমেরিকার এই খাবারটি পরিচিতি ‘এনসালাদা রুসা’ নামে। অ্যাপেটাইজার হিসেবে পারফেক্ট। সকাল, দুপুর রাত যেকোনও সময়ই খেতে পারেন।

বানাতে যা লাগবে
চারটি বড় আলু সেদ্ধ করে চামড়া ছড়িয়ে কিউব করা, তিনটি সিদ্ধ ডিম, মিক্সড ভেজিটেবল কাটা কাটা (পরিমাণমতো), আধাকাপ মেয়নিজ, আধা-চা চামচ গোলমরিচগুঁড়া, আধা চা চামচ গ্রাউন্ড মাস্টার্ড, আধা-টেবিল চামচ ফ্রেশ লেমন জুস, পাঁচ টেবিল চামচ ক্যাপসিকাম কাটা, স্টাফ করা জলপাই লবণ এবং স্বাদের জন্য ব্ল্যাক পেপার।

যেভাবে বানাবেন
প্রথমেই আলু সেদ্ধ করে চামড়া ছড়িয়ে কিউব করে কেটে একটা বড়ো পাত্রে ঢালুন। তারপর সিদ্ধ ডিমগুলোকে খোসা ছাড়িয়ে কাটুন। এবার আলু, ডিম আর মিক্সড ভেজিটেবলগুলোকে একটি বাটিতে একসাথে মেশান। তবে খেয়াল রাখবেন আলু যাতে থেঁতলে কিংবা গলে না যায়।

তারপর আরেকটি বাটিতে মেয়নিজ, ব্ল্যাক পেপার, গ্রাউন্ড মাস্টার্ড, লেমন জুস, ধনেপাতা অথবা অন্যান্য সুগন্ধিপাতা এবং সবুজ জলপাই একসাথে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করে সালাদ ড্রেসিং হিসেবে আলু, ডিম আর ভেজিটবলের মিশ্রণে মাখিয়ে নিন। তারপর লবণ আর পেপার দিয়ে সিজন করুন। সবশেষে সবগুলো নড়াচড়া করে ফ্রিজে একঘণ্টার জন্য রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন। সোডিয়ামে ভরপুর এ খাবারটি আপনার খিদেকে জাগিয়ে তুলবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ৩০ জুন ২০১৮

পাকা কলার হালুয়া


হালুয়া হয় নানা স্বাদের। কিছু স্বাদ আমাদের পরিচিত, কিছু ব্যতিক্রম। পাকা কলা আমাদের সবার ঘরেই থাকে। এই কলা দিয়েই ঝটপট তৈরি করা যায় মজাদার হালুয়া। রেসিপি একদমই সহজ। চলুন শিখে নেই-

উপকরণ: পাকা কলা ২টি, চিনি ১/৪ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ৩ টেবিল চামচ, এলাচ পাউডার ১/৪ চা চামচ।

প্রণালি: কলা খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কাটা চামচের সাহায্যে ম্যাশ করে নিতে হবে। এবার একটি ফ্রাইংপ্যানে ১ চা চামচ ঘি গরম করে নিতে হবে। ঘিতে কাজু বাদামগুলো হালকা ভেজে নিতে হবে। বাদাম হালকা ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। হামান দিস্তায় এই ভাজা বাদামগুলো হালকা করে ভেঙে নিতে হবে।


এবার আর একটা ফ্রাইংপ্যানে বাকি ঘি গরম করতে দিতে হবে। ঘি গরম হলে এতে ম্যাশ করা কলা দিয়ে দিতে হবে। প্রায় তিন থেকে চার মিনিট স্যতে করতে হবে। পাকা কলা হালকা ভাজা ভাজা হলে চিনি যোগ করতে হবে। বেশ খানিক্ষণ এভাবে স্যতে করতে হবে। এবার অল্প অল্প করে ঘি যোগ করতে হবে।

রান্নার এই পর্যায়ে এলাচের গুঁড়া ও আগে থেকে ভেজে আধা ভাঙা করে রাখা কাজু বাদাম যোগ করতে হবে। আরো পাঁচ থেকে ছয় মিনিট নেড়েচেড়ে হালুয়া রান্না করতে হবে। এরপর চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। একটি প্লেটে হাত দিয়ে ঘি মেখে নিতে হবে। এর উপর পাকা কলার হালুয়ার মিশ্রণ সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। ছুরি দিয়ে সুন্দর করে চারকোণা পিস করে হালুয়া কেটে নিতে হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৬ জুন ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

যেভাবে বুঝবেন আমে ফরমালিন মেশানো কিনা


ফলপ্রেমীরা সারাবছর ধরে অপেক্ষায় থাকে যেসব রসালো ফলের তার মধ্যে আম একটি। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। বাজারে নানা জাতের আম পাওয়া যায়। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে সুন্দর মনে হলেও সেসব আমের মধ্যেই হয়তো মেশানো রয়েছে ফরমালিন!

আম দীর্ঘদিন তাজা রাখতে ফরমালিনসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়। ফরমালিন মেশানো আম খেলে কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সেই সঙ্গে বিকলাঙ্গতা, এমনকি ক্যান্সারেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই বলে কি আমও খাবেন না! ফরমালিন মেশানো আম চেনার উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের বৃন্তে সুঘ্রাণ মিলবে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমের বৃন্তে কোনো ঘ্রাণ থাকবে না। তাই কেনার আগে গন্ধ শুঁকে দেখে নিতে পারেন।

আমের রং দেখেও চেনা যায় ফরমালিনযুক্ত। প্রাকৃতিক ভাবে পাকা আমে হলুদ এবং সবুজের একটা মিশেল থাকে। অনেক সময় হালকা সবুজ রঙেরও হয়। আবার আমার গায়ে সাদাটে বা কালো দাগ দেখা যায়। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত বা অন্যান্য কেমিকেল দিয়ে পাকানো আমগুলো দেখতে খুব সুন্দর, চকচকে আর সম্পূর্ণ হলুদ রঙের হয়। আমের গায়ে কোনো দাগ থাকে না।

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম বেশ মিষ্টি হয় এবং সেগুলি অনেক বেশি রসালো হয়। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে রস অনেক কম থাকে।

প্রাকৃতিক ভাবে পাকা আম মুখে দিলে টক-মিষ্টি স্বাদ মেলে। তাছাড়া এই আমে মাছিও বসবে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে তেমন কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না। এগুলোতে মাছিও বসে না।  চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফরমালিনযুক্ত আম খেলে পেটে ব্যথা, গলা জ্বলা এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি।

সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম

গুঁড়া দুধ দিয়েই তৈরি করুন সন্দেশ


গুঁড়া দুধ দিয়েই তৈরি হবে সন্দেশ। ঘরে বসে খুব কম সময়ে আর ঝামেলা ছাড়াই সুস্বাদু সন্দেশ তৈরি করতে পারেন। চলুন জেনে নেই গুঁড়া দুধ দিয়ে সন্দেশ তৈরির উপায়।

উপকরণ: গুঁড়া দুধ- ৩ কাপ, তরল দুধ- ৩/৪ কাপ, ঘি- ৫ টেবিল চামচ, মিহি গুঁড়া চিনি- ১/৪ কাপ, মাওয়া গুঁড়া- ২ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া- সামান্য, কাঠবাদাম- ৫/৬ টি।


প্রণালি: প্রথমেই একটি প্লেট বা ট্রেতে ঘি ব্রাশ করে নিন। চুলায় একটা নন-স্টিক প্যানে ঘি গলিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে তরল দুধ দিয়ে, তারপরেই গুড়া দুধ ও মাওয়া গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মিশে গেলে গুঁড়া চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে আবার নাড়ুন। অনবরত নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। সন্দেশ হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ঘি ব্রাশ করা পাত্রে ঢেলে উপরে কাঠবাদাম কুচি দিয়ে ঠান্ডা করে সন্দেশের শেপে কেটে নিন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৮ জুন ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

মালাই চিকেন বল


আজকের পদটির নাম মালাই চিকেন বল। বাইরে থেকে যেমন মুচমুচে, ভেতরে তেমনি নরম খেতে হবে এই পদটি। তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন, শিখে নেওয়া যাক জিভে জল আনা এই সুস্বাদু পদটি বানানো।

উপকরণ

১. চিকেন ব্রেস্ট—এক (বোনলেস, সেদ্ধ ও পিস পিস করে কাটা)

২. ক্রিম—এক কাপ

৩. মরিচ গুঁড়া পরিমাণমতো

৪. লবণ পরিমাণমতো

৫. ডিম—একটা

৬. বিস্কিটের গুঁড়া—এক কাপ

৭. পরিমাণমতো তেল ভালো করে ভাজার জন্য

প্রস্তুত প্রণালি

একটা বড় বাটিতে পরিমাণমতো মালাই, চিকেন, লবণ ও মরিচ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রণ থেকে অল্প করে নিয়ে বলের মতো বানিয়ে ফেলুন। একটা আলাদা বাটিতে ডিম নিয়ে সেটি ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার একটা প্লেটে বিস্কিটের গুঁড়া ঢেলে নিন। তারপর একটা একটা করে চিকেন বল নিয়ে প্রথমে ডিমে, পরে বিস্কিটের গুঁড়ায় মিশিয়ে নিন। খেয়াল করবেন যাতে বলগুলো পুরো বিস্কিটের গুঁড়ায় ঢেকে যায়। এবার কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল নিয়ে সেটি গরম করুন। তারপর তাতে একটা একটা করে চিকেন বল দিতে থাকুন। যখন দেখবেন চিকেন বলগুলো বাদামি রঙের হয়ে গেছে, তখন সেগুলো তুলে একটা প্লেটে রাখুন। প্রয়োজনে টিস্যু পেপার নিয়ে বলগুলো মুড়িয়ে নিন। এমনটা করলে দেখবেন অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যাবে। মালাই চিকেন বল এবার তৈরি পরিবেশনের জন্য। ইচ্ছা হলে সস, ধনে পাতার চাটনি, পুদিনা চাটনি সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১২ জুন ২০১৮

Friday, June 29, 2018

বিকেলের নাস্তায় চিংড়ি পাকোড়া


বিকেলের নাস্তায় ঝটপট কিছু তৈরি করতে চান? বানাতে পারেন চিংড়ি পাকোড়া। এজন্য উপকরণ প্রয়োজন হবে সামান্যই। আবার সময়ও লাগবে খুবই কম। কিভাবে তৈরি করবেন? রইলো রেসিপি।

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১টি, মরিচের গুঁড়া সামান্য, কাঁচামরিচ কুচি ১টি, ময়দা আধা কাপ, রসুন কুচি দুই কোয়া, ধনিয়াপাতা কুচি সামান্য, লেবুর রস এক টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো এবং তেল ভাজার জন্য।


প্রণালি: প্রথমে চিংড়ি মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি বাটিতে চিংড়ি নিয়ে তাতে ময়দা, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, মরিচের গুঁড়া, কাঁচামরিচ কুচি, ধনিয়াপাতা কুচি এবং লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এতে লেবুর রস ও দুই টেবিল চামচ তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এখন একটি প্যানে তেল গরম করে অল্প আঁচে পাঁচ মিনিট চিংড়িগুলো ভেজে নিন। বাদামি রঙের হয়ে গেলে চিংড়িগুলো তেল থেকে উঠিয়ে প্লেটে তুলে নিন। টমেটো সস এবং চাটনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু চিংড়ি পাকোড়া।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৮ জুন ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

আলুর দম নয়, অন্য কিছু!


ছবি দেখে আলুর দম মনে হলেও এই খাবারটি একেবারেই নতুন কিছু। খুব স্বল্প খরচে তৈরি করা যায়, স্বাদে টেক্কা দেবে যে কোন মাংসের খাবারকে। নতুন রাধুনিরাও খুব সহজে রেঁধে ফেলতে পারবেন। সময় লাগবে সব মিলিয়ে আধা ঘণ্টা। চলুন, সায়মা সুলতানার হেঁসেল থেকে দেখে আসি আলু দিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি খাবারের রেসিপি 'আচারি আলু'।
যা লাগবে
  • ছোট আলু ১ কেজি
  • পেঁয়াজ মিহি কুচি ২ কাপ
  • পেঁয়াজ বাটা ২ চা চামচ 
  • আদা ও রসুন বাটা ২ চা চামচ করে 
  • হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ করে
  • মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
  • জিরা ও গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ করে
  • টমেটো পেস্ট ২ চা চামচ 
  • এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটি করে 
  • তেল আধা কাপ
  • লবণ স্বাদমত
  • কাঁচামরিচ ৫/৬ টি
  • পেঁয়াজ বেরেস্তা হাফ কাপ
  • রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ
  • কাঁচামরিচ স্বাদ অনুযায়ী 
প্রনালি
  • প্রথমে আলুগুলোকে অল্প হলুদ গুঁড়ো দিয়ে লাল করে ভেজে নিন।
  • এখন প্যানে তেল দিয়ে এতে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিন। এরপর দিন পেঁয়াজ কুচি।
  • লাল করে ভেজে নিয়ে এতে সব গুঁড়ো মশলা, বাটা মশলা, টমেটো পেস্ট , স্বাদমত লবণ দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন।
  • এখন এতে ভেজে রাখা আলু , রসুন কুচি , ধনিয়া পাতা কুচি , টক মিষ্টি আচার, কয়েকটা কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে হাফ কাপ গরম দিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট।
  • তরকারি থেকে তেল উঠে এলে বুঝবেন হয়ে গেছে।
  • চুলা থেকে নামানোর আগে কিছু ধনিয়াপাতা ও মিহি কুচি আদা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৭ জুন ২০১৮
প্রিয়.কম

রঙিন পাটিসাপটা তৈরির সহজ রেসিপি


পাটিসাপটা পিঠার নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে নিশ্চয়ই। চমৎকার স্বাদের এই পিঠাটি যদি হয় নানা রঙে রঙিন, তাহলে দেখতে কতই না ভালো লাগবে! চলুন শিখে নেই কিভাবে রঙিন পাটিসাপটা তৈরি করবেন।

উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কাপ, ময়দা ১/২ কাপ, সুজি ১/৪ কাপ, চিনি ১/৩ কাপ, ঘি/ বাটার/ তেল ১ টেবিল চামচ, পানি ২ এবং ১/২ কাপ, সামান্য লবণ, ফুড কালার কয়েক ফোঁটা (লাল, কমলা, হলুদ, নীল,সবুজ)।

খিরসা তৈরির জন্য: দুধ ১ লিটার, এলাচ ৩টি, চিনি, সুজি ৩ চামচ।

প্রণালি: প্রথমে খিরসা তৈরির জন্য ১ লিটার ফুল ফ্যাটযুক্ত দুধ গরম করে তাতে ৩টি এলাচ/ এলাচের গুঁড়া, স্বাদমতো চিনি দিয়ে জ্বাল করে যখন দুধটা অর্ধেক হয়ে আসবে (হলদে একটা ভাব আসবে দুধে) তার মধ্যে ৩ টেবিল চামচ সুজি/ চালের গুঁড়া দিয়ে দিন। ঘন না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল করতে হবে। দুধটা মোটামটি ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। চাইলে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত খিরসাটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।


বেটার তৈরির জন্য এক এক করে পরিমাপ করা চালের গুঁড়া, ময়দা, সুজি, চিনি, ঘি, লবণ এবং পানি মিশিয়ে নিন।একটি হুইস্কি/ চামচের সাহায্যে ভালো করে বেটারটা মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন বেটারটা যেন খুব বেশি পাতলা না হয়।

অন্য একটি বাটিতে সামান্য একটু বেটার আলাদা করে করে তার মধ্যে পছন্দ মতো আলাদা ফুড কালার দিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। চুলায় একটি ফ্রাইং প্যানে একটি ব্রাশ দিয়ে তেল লাগিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। মেসারিং চামচ দিয়ে রঙিন গোলাগুলো নিয়ে প্যানের মধ্যে পছন্দ মতো ডিজাইন করে ৩০ সেকেন্ড ঢেকে রাখতে হবে। ৩০ সেকেন্ড পর সাদা বেটার দ্রুত ছড়িয়ে দিয়ে কর্ণার বরাবর খিরসা দিয়ে এক পাশ থেকে পিঠা ভাঁজ করে নিতে হবে। একইভাবে আপনি নিজের পছন্দমতো যেকোনো ফুড কালার দিয়ে ইচ্ছামতো ডিজাইন করে নিতে পারেন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৪ জুন ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

দরবারি মোরগ মোসাল্লাম থাকুক পাতে


আজ শুক্রবার। আপনার কর্তার পাতে দরবারি মোরগ মোসাল্লাম দিয়ে চমকে দিতে পারেন। আমাদের দেয়া রেসিপিটি দেখে রান্না করেই ফেলুন।

রান্নায় যা লাগবে
দেশি ও কচি মোরগ (৭০০ গ্রাম) ১টি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, বেরেস্তা বাটা আদা কাপ, কিশমিশ বাটা ১ চা-চামচ, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ বাটা সামান, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ। তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচি ৪টি, লবঙ্গ ৭টি, গোল মরিচ ৭-৮টি, আলুবোখারা ৪-৫টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, মিষ্টি দই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো, ঘি ১ কাপ, জাফরান ১ চিমটি, তরল দুধ ১ কাপ, বাদামকুচি ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, সেদ্ধ ডিম ১টি।

যেভাবে রাঁধবেন
মোরগ আস্ত রেখে ভেতরের সবকিছু বের করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। আদা, রসুন, লবণ, মিষ্টি দই ও জাফরান দিয়ে মেখে কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচে নিন। সেদ্ধ ডিম ভেজে মোরগের পেটের ভেতর ঢুকিয়ে দিন। অর্ধেক বাদামকুচি, কিশমিশ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ডিমের সঙ্গে ভরে দিন। সুতা দিয়ে ডানাসহ পা দুটি একসঙ্গে বাঁধুন। মোরগ একবার উল্টে দিন। দই পিঠে হালকা বাদামি করে ভেজে তুলে নিন। এবার সব বাটা ও গুঁড়া মসলা অল্প আঁচে এপিঠ-ওপিঠ রান্না করুন। মোরগ সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। ভাজা-ভাজা হলে সুতা খুলে পেঁয়াজ বেরেস্তা, বাদাম কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২১ জুন ২০১৮

গ্রিল্ড টার্কিশ কোফতা কাবাব


ঈদ স্পেশাল হিসেবে আজ বানানো হবে মধ্যপ্রাচ্যের একটি জনপ্রিয় ডিশ। এই পদটি এতটাই জনপ্রিয় যে ঈদের দিনে অনেকেই এটি বানিয়ে থাকেন। তাই তো আর অপেক্ষা না করে চলুন তৈরি করি গ্রিল্ড টার্কিশ কোফতা কাবাব।

উপকরণ

১. শিক বা বাঁশের মোটা কাঠি—ছয় থেকে বারোটা  

২. দই—দুই কাপ (সস বানাতে প্রয়োজন পড়বে)

৩. লেবুর রস—এক চামচ

৪. রসুন—এক কোয়া

৫. তেল—এক চামচ

৬. লবণ—হাফ চামচ

৭. মাংস—এক কেজি

৮. পেঁয়াজ—একটা

৯. ধনে পাতা—এক আঁটি

১০. গোলমরিচ—পরিমাণমতো

১১. টমেটো—দুইটা

১২. শসা—একটা

১৩. ধনে পাতা—সাজানোর জন্য

১৪. লেটুস পাতা—সাজানোর জন্য

প্রস্তুত প্রণালি

কাবাব বানানোর আগে দই সহযোগে সসটা বানিয়ে নিতে হবে। তার জন্য একটা বড় বাটিতে দই, এক চামচ লেবুর রস, একটা রসুনের কোয়া, অল্প পরিমাণ তেল এবং স্বাদ অনুসারে লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল করবেন সবকটি উপকরণ যেন ঠিকমতো মিশে যায়। সসটা বানানো হয়ে গেলে সেটি ফ্রিজে রেখে দিন। এবার হাফ কাপ ধনে পাতা সংগ্রহ করে আলাদা করে রেখে দিন। একটা বড় বাটিতে মাংস, পেঁয়াজ, ধনে পাতা, গোলমরিচ এবং লবণ মিশিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মাখতে থাকুন। ততক্ষণ পর্যন্ত মাখুন, যতক্ষণ না ভালো করে সবকটি উপকরণ মিশে যায়। এবার মিশ্রণটি ৬ বা ১২ ভাগে ভাগ করে নিন। তারপর মাংসের পেস্টটা নিয়ে শিকে ভালো করে চেপে চেপে ঢুকিয়ে দিন। এই সময় শিকটা একটু বেঁকিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন, না হলে মাংসটা পড়ে যাবে। এইভাবে প্রত্যেকটা শিকে ধীরে ধীরে মাংসের মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। শিকগুলো ভালো করে ঢেকে রেখে দিন কিছুক্ষণ। এই সময় গ্রিলটা ভালো রকম গরম করে নিন। তবে তার আগে তাতে অল্প করে তেল লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। যখন দেখবেন গ্রিলটা ভালো রকম গরম হয়ে গেছে, তখন ধীরে ধীরে শিকগুলো ভেতরে ঢোকাতে শুরু করুন। ঠিক আট মিনিট গ্রিল করতে হবে। চার মিনিট পর শিকটা ঘুরিয়ে দেবেন, যাতে সব দিক থেকে মাংসটা রান্না হতে পারে। এরপর কাবাবগুলো বের করে এনে ধীরে ধীরে প্লেটে রাখুন। এবার ফ্রিজ থেকে দই দিয়ে বানানো সসটাও বের করে আনুন। পরিবেশনের জন্য আপনার গ্রিল্ড টার্কিশ কোফতা কাবাব রেডি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৩ জুন ২০১৮

Thursday, June 28, 2018

ভাত খান, স্লিম থাকুন


চিকিৎসকের নিষেধ, মেদ-ভুঁড়ি বাড়ার যতই আশঙ্কা থাকুক প্রতিদিন অন্তত একবেলা ভাত না হলে যেন চলেই না বাঙালির। কারো ওজন বাড়ছে দেখতে পেলেই সবাই যে পরামর্শটি দেন তাহলো- ভাত খাওয়া বন্ধ করো, রুটি খাও। কিন্তু ভাত ছাড়া যে বাঙালির পাত অপূর্ণ!


ভাত খেয়েও স্লিম থাকতে চাইলে ভাত রান্না করতে হবে বিশেষ এক পদ্ধতিতে। আর সেই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন শ্রীলঙ্কার একদল গবেষক। যাতে ভাতের ক্যালোরি ৫০ শতাংশ কমিয়ে নেয়া যায়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, সব স্টার্চ এক রকম নয়। সরল স্টার্চ হজম হতে সময় কম লাগে আর জটিল স্টার্চ হজম হতে বেশি সময় লাগে। শরীরে যদি বেশি পরিমাণ গ্লাইকোজেন জমা হয় তা হলে মেদ কমানোর জন্য বেশি এনার্জির প্রয়োজন হয়। তাই চাল ফোটানোর আগে পানিতে নারিকেল তেল দিলে স্টার্চ সহজে হজম করতে সাহায্য করে।


পদ্ধতি: 
প্রথমে পানি ফুটতে দিন। পানি ফুটে উঠলে চাল দেওয়ার আগে পানির মধ্যে নারিকেল তেল দিন। আধ কাপ চালের ভাত রান্না করতে হলে এক চা-চামচ নারকেল তেল মেশাবেন। চালের পরিমাণ বাড়লে, সেই অনুপাতে নারিকেল তেলের পরিমাণও বাড়িয়ে নেবেন। ভাত হয়ে গেলে তা ঠান্ডা করে খাওয়ার আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। খাওয়ার আগে গরম করে নিন। ব্যাস, ভাত খেলেও বাড়বে না মেদ।

সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম

ছানা বাদ দিয়েই তৈরি করুন সুস্বাদু 'মালাই চপ'


মিষ্টি তৈরি করতে ছানাটাই প্রয়োজন, এমন কথা কে বলেছে? সঠিক রেসিপি জানা থাকলে ছানা ছাড়াও চমৎকার মিষ্টি তৈরি করা যায়। হ্যাঁ, মালাই চপের মত মিষ্টিও। মালাই চপ তৈরি করতে প্রয়োজন হবে হাতে গোনা ৩/৪ টি উপাদানের, ব্যবহার করা হবে গুঁড়ো দুধ। কমবেশি ৪০ মিনিট সময় হলে অত্যন্ত সুস্বাদু এই মিষ্টি নিজের হাতেই বানিয়ে নিতে পারবেন যখন-তখন। রেসিপি জানাচ্ছেন দিপা শেখ। 
যা লাগবে
  • গুঁড়ো দুধ ১ কাপ
  • তরল দুধ ১ লিটার
  • ডিম বড় ১ টি
  • ঘি ১ চা চামচ
  • বেকিং পাউডার আধা চা চামচ
  • চিনি ১/৪ কাপ
  • এলাচি ৪/৫ টি
  • জাফরান ও পেস্তা/কাঠবাদাম ইচ্ছেমত
  • গোলাপজল ইচ্ছে অনুযায়ী
প্রনালি
  • গুঁড়ো দুধের সাথে বেকিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঘি দিন এবং মিশিয়ে নিন।
  • এবার ডিম ফেটে গুঁড়ো দুধে দিয়ে দিন এবং মেখে নিন ভালো করে। যদি বেশি নরম মনে হয়, আর একটু দুধ যোগ করুন। বেশি শক্ত মনে হলে আরো একটু ডিম দিন। পুরোটাই নির্ভর করবে ডিমের আকারের ওপরে। একটু নরম খামির হবে।
  • ঢেকে রেখে দিন ১৫ মিনিট।
  • হাতে ঘি মেখে নিন। গুঁড়ো দুধের খামির থেকে গোল বা লম্বা আকৃতির চপ তৈরি করে নিন।
  • চুলোয় ইতিমধ্যেই তরল দুধ ফুটতে দিন। চিনি, এলাচি যোগ করে ফুটতে দিন। আপনি চাইলে আগে থেকেই ঘন করে জ্বাল দেয়া দুধ নিতে পারেন।। তবে খুব বেশি ঘন দুধ নেবেন না।
  • দুধের মাঝে চপগুলো ছেড়ে দিয়ে ৫ মিনিট পুরো আঁচে জ্বাল দিন ঢাকনা দিয়ে। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করুন ঢাকনা ছাড়া।
  • হয়ে এলে জ্বাল নিভিয়ে দুধে গোলানো জাফরান, পেস্তা বাদাম ও গোলাপ জল দিয়ে ঢেকে রাখুন। যদি আগে থেকে তুলে রাখা দুধের সর বা মালাই থাকে, সেটাও যোগ করুন। ঢেকে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।
  • সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন
রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৮ জুন ২০১৮
প্রিয়.কম

গরমে মন জুড়াবে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা এই পিঠা!


কেবল শীতের দিনে হবে পিঠার ধুম, গরমে পিঠা চলবে না- এই কথা কে বলেছে? শীতের ঠাণ্ডায় গরম গরম পিঠা খেতে যেমন দারুণ লাগে, তেমনই আম-কাঁঠাল পাকা গরমের দিনে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পিঠা খেতেও কিন্তু বেশ লাগে। আজ সুমনা সুমি জানাচ্ছে ঠিক তেমনই একটি রেসিপি। এই পিঠা তৈরি করা খুব সহজ, ভুল হবার কোন সম্ভাবনাই নেই। লাগবে না কোন চালের গুঁড়ো, গুড় বা নারিকেল। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করলে হতে পারে দারুণ ডেজার্ট। যারা অন্য কোন পিঠাই তৈরি করতে পারেন না, তারাও রেসিপিটি অনুসরণ করলে সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন।
চলুন তবে, জেনে নিই রসালো পাকন পিঠার রেসিপি।
উপকরণ
  • ময়দা দেড় কাপ
  • সুজি আধা কাপ (সুজি বাদ দিয়ে কেবল ময়দা দিয়েও করা যায়)
  • দুধ ২ কাপ
  • লবণ ১/৪ চা চামচ
  • ডিমের কুসুম ১টি
  • টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ
  • ঘি ২ টেবিল চামচ
  • পিঠার ছাঁচ বা চামচ বা ছুরি
  • সিরার জন্য চিনি ২ কাপ
  • পানি ৩ কাপ
  • সবুজ এলাচ ৩টি
প্রনালী
  • একটি পাত্রে দুধ, ঘি ও লবণ দিয়ে বলক উঠলে ময়দা ও সুজি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঢেকে একদম অল্প আঁচে ৫ মিনিট রাখুন।
  • সসপ্যানে খামির নিয়ে একটু ঠান্ডা করে হাতে ঘি মাখিয়ে ভাল করে মথুন।খামির কম হলেও ১০ মিনিট মথতে হবে। ডিম ও বিস্কুটের গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছু সময় মথতে হবে।
  • এখন গোল বা ডিমের আকৃতি করে পিঠার ছাঁচ বা চামচ দিয়ে ডিজাইন করে ডুবো তেলে অল্প তাপে বাদামি করে ভাজুন। ঠান্ডা হতে দিন।
  • একটি পাত্রে পানি, চিনি ও এলাচ দিয়ে সিরা ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
  • একটি ছড়ানো পাত্রে সিরা হালকা গরম থাকা অবস্থায় পিঠা সিরায় ভিজিয়ে দিন। ৪-৫ ঘন্টা রেখে দিন। পিঠা যেন একটার সাথে অন্যটা লেগে না যায়, কারণ সিরায় ভিজে এটা ফুলে বড় হবে।
ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করলে স্বাদ বেড়ে যাবে বহুগুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৫ জুন ২০১৮
প্রিয়.কম

Wednesday, June 27, 2018

সুস্বাদু বাদাম চিক্কি


এই একটা খাবারের নাম শুনলেই ছোটবেলার নানা স্মৃতিমধুর ঘটনা যেন চোখের সমনে ভেসে ওঠে। এই চিক্কি পছন্দ করেন না এমন লোক খুব কমই আছে। তো চলুন দেখে নিই কীভাবে তৈরি করবেন বাদাম চিক্কি।

উপকরণ

১. চীনাবাদাম-দুই কাপ

২. গুড়-এক কাপ

৩. ঘি-দুই চামচ

৪. এলাচ-চারটি (গুঁড়ো করা)

প্রস্তুত প্রণালি

একটা বড় বাটি নিয়ে গরম করুন। যখন দেখবেন বাটিটা ভালো রকম গরম হয়ে গেছে তখন তাতে চীনাবাদামগুলো দিয়ে ভালো করে ফ্রাই করুন। চীনাবাদামগুলো লালচে খয়েরি রঙের হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার ভাজা চীনাবাদামগুলো একটা প্লেটে নিয়ে ভালো করে গুঁড়া করে নিন। ফ্রাই করার আগে মনে করে চীনাবাদামের খোসাটা ছাড়িয়ে নেবেন কিন্তু। এবার একটা প্যান গরম করুন। যখন দেখবেন প্যানটা ভালো গরম হয়ে গেছে, তখন তাতে গুড়টা দিয়ে দিন। প্যানে এক চামচ ঘি দিন।  গুড়টাকে তরল করতে পরিমাণমতো পানি মেশান। যখন গুড়টা গলে যাবে, তখন তাতে চীনাবাদমগুলো দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। কম করে ১০-১৫ মিনিট ভালো করে নাড়ুন। মিশ্রণটিকে ঘন করুন। এবার একটা প্লেট নিয়ে তাতে ভালো করে ঘি মাখান। মিশ্রণটি এবার প্লেটে ঢালুন। ১০ মিনিট সময় দিন যাতে মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে যায়। যখন দেখবেন মিশ্রণটি জমে গেছে তখন একটা ছুরি নিয়ে চিক্কির যতগুলো টুকরো করার ইচ্ছে করে ফেলুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, জুন ২০, ২০১৮

রেস্টুরেন্টের কোলস্লো সালাদ তৈরির সবচেয়ে সহজ রেসিপি


গরম গরম চিকেন ফ্রাইয়ের সাথে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কোলস্লো সালাদ খেতে ভালোবাসেন সকলেই। কিন্তু সকলের তৈরি কোলস্লো কি ঠিক রেস্তরাঁর মত হয় খেতে? একদম না! কারণ, এই সালাদ তৈরিতে চাই কিছু বিশেষ উপকরণ। তবে বেশি নয়, খুব সীমিত পরিমাণে। সুমনা সুমির হেঁসেল থেকে আজ আমরা নিয়ে এলাম কোলস্লো সালাদ তৈরি করার একটি নিখুঁত রেসিপি। এই রেসিপিতে কোলস্লো তৈরি করতে লাগবে মিনিটে দশেক সময়, স্বাদ হবে ঠিক আপনার প্রিয় বিএফসি বা কেএফসি রেস্তরাঁর মত।
সালাদ ড্রেসিং তৈরি
  • ভালো মানের মেয়নেজ ১/২ কাপ
  • দুধ জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করা ১/৪ কাপ
  • সাদা গোল মরিচ পাউডার ১ চা চামচ
  • লবণ ১/৪ চা চামচ বা স্বাদমত
  • চিনি ১ টেবিল চামচ বা স্বাদমত
  • সাদা ভিনেগার ১ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ভাল করে হুইস্ক করে ক্রিমের মত বানিয়ে নিন। মেশিনে বিট করবেন না, কাঁটা চামচ দিয়ে হাতে হুইস্ক করবেন।
কোলস্লো তৈরি
  • বাঁধাকপি (মিহি কুচি) ২ কাপ
  • গাজর (মিহিকুচি) ১/৪ কাপ
  • পেঁয়াজ মিহিকুচি ১ টেবিল চামচ
  • সালাদ ড্রেসিং
প্রনালি
  • বাঁধাকপি, গাজর ও পেঁয়াজ একসাথে একটি বড় বাটিতে মিশিয়ে তার সাথে চামচ দিয়ে সালাদ ড্রেসিং মিশিয়ে নিন।
  • ফ্রিজে কমপক্ষে ৪-৫ ঘন্টা রেখে পরিবেশন করুন।
বার্গার, চিকেন ফ্রাইয়ের সাথে সাইড ডিশ বা স্যান্ডুইচের পুর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এই সালাদ।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৩ জুন ২০১৮
প্রিয়.কম

হুটহাট অতিথি আপ্যায়নে মিক্সড ভেজিটেবল পোলাও


খুব কম সময়ে তৈরি করতে পারেন ভেজিটেবল পোলাও। ঈদ এসে পড়েছে। অতিথির আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে, অথচ আপনার কোনো রান্নার প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি! খুব দ্রুত অতিথি আপ্যায়ন করতে চাইলে দেখে নিন ঝটপট ভেজিটেবল পোলাওয়ের রেসিপিটি। বাড়িতে থাকা অল্প কিছু উপকরণেই তা রান্না হয়ে যাবে। ভিডিওতে দেখে নিন প্রণালীটি।

উপকরণ

-   সিকি কাপ মটরশুঁটি, আধাসেদ্ধ করে নেওয়া

-   ১টি মাঝারি গাজর, ছোট টুকরো করে কেটে আধাসেদ্ধ করে নেওয়া

-   সিকি কাপ ফুলকপি ছোট টুকরো করে কেটে আধাসেদ্ধ করে নেওয়া

-   ৬/৭টি ফ্রেঞ্চ বিনস, কুচি করে আধাসেদ্ধ করা (বরবটি ব্যবহার করতে পারেন)

-   ৩ কাপ বাসমতি চালের ভাত

-   ২ টেবিল চামচ তেল

-   ২টি তেজপাতা

-   ২/৩টি লবঙ্গ

-   ২/৩টি গোলমরিচ

-   ১ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা

-   লবণ স্বাদমত

প্রণালী

১) একটি বড় নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে তেজপাতা, লবঙ্গ এবং গোলমরিচ দিয়ে নেড়ে নিন সুবাস না ওঠা পর্যন্ত।

২) এতে আদা-রসুন বাটা, মটরশুঁটি, গাজর, ফুলকপি এবং ফ্রেঞ্চ বিনস দিয়ে কিছুক্ষন নেড়ে নিন। লবণ দিয়ে দিন।

৩) এতে ভাতটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন সব উপকরণ। ঢেকে রান্না হতে দিন ৫ মিনিট।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৬ জুন ২০১৭
প্রিয়.কম

Tuesday, June 26, 2018

ফ্রিজ ছাড়াই ১ বছর ভালো থাকবে হাতে তৈরি 'আলুর চিপস'


টেস্টমেকার মশলা ছিটিয়ে এক চিপসেই নিয়ে আসা যাবে ভিন্ন ভিন্ন বিদেশি চিপসের স্বাদ!কেবল বাচ্চারা কেন, চিপস খেতে ভালোবাসে ছোট-বড় সকলেই। কিন্তু বাজারের কেনা চিপস কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? বাচ্চাদেরকে প্যাকেটজাত চিপস হাতে তুলে দেয়ার বদলে ঘরেই বানিয়ে দিতে পারেন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর আলুর চিপস। একবার তৈরি করে রাখলে দোকানের চিপসের মতই ঘরে থাকবে অনেক দিন। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গুঁড়ো মশলা ছিটিয়ে দিলে এই এক চিপসেই মিলবে হরেক রকম স্বাদ। প্রিঙ্গলস, লে'স বা প্রিয় যে কোন চিপসের স্বাদ নিয়ে আসতে পারবেন নিজের তৈরি চিপসেই। রেসিপি জানাচ্ছেন সুমনা সুমি।
উপকরণ
  • আলু ৫-৬টি বড় সাইজের
  • ফিটকিরি ১ চা চামচ
প্রনালি
  • আলু খোসা ছিলে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • এখন যে কোন স্লাইসার বা চাকু দিয়ে একই মাপে গোলগোল স্লাইস করে নিন।আলু কেটে সাথে সাথে পানিতে ভিজিয়ে নিন, নয়তো কালো হয়ে যাবে।আলুর স্লাইসগুলো ২-৩ বার পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।
  • ১ হাঁড়ি পরিস্কার পানিতে ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ফিটকিরি আলুর রং সাদা রাখতে সাহায্য করবে।
  • এখন আলুর স্লাইসগুলো এই ফিটকিরি পানিতে ভিজিয়ে ৪-৫ ঘন্টা বা সারারাত রেখে দিন।
  • সকালে ১ হাঁড়ি পরিষ্কার পানি ও ২ টেবিল চামচ লবণ চুলাতে ফুটতে দিন। ভেজানো আলু থেকে পানি ঝরিয়ে নিন।
  • ফুটন্ত গরম পানিতে আলুর স্লাইসগুলো দিয়ে এবার বলক আসতে দিন।
  • পানি আবার ফুটতে শুরু করলে ৩-৪ মিনিট পর যখন আলু ৭০% সেদ্ধ হয়ে যাবে চুলা বন্ধ করে দিন।আলু থেকে পানি ঝরিয়ে নিন।
  • এখন রোদে বড় কাপড় বিছিয়ে নিন।কাপড়ের উপর আলুর স্লাইসগুলো বিছিয়ে দিন যাতে একটির উপরে অন্যটি না পড়ে। ২ দিন রোদে দিলেই শুকিয়ে যাবে।
  • এয়ারটাইট কোন বক্সে ১ বছরও রাখা যাবে এটি ফ্রিজ ছাড়াই। চাইলে মাঝে মাঝে রোদে দিতে পারেন। আবার ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
ভাজার প্রনালি
  • কড়াইয়ে তেল দিন। বেশ অনেকটা গরম করার পর আলুর স্লাইসগুলো দিন।
  • ১ মিনিটেই চিপসগুলো ফুলে ক্রিসপি হয়ে যাবে।
  • মরিচের গুঁড়ো , লবণ, টেস্টমেকার বা চাট মশলা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২২ জুন ২০১৮
প্রিয়.কম

দম বিরিয়ানি রেসিপি


উপকরণ :
বাসমতী বা পোলাও চাল ১/২ কেজি 
খাসির মাংস ১ কেজি 
আদা রসুন এবং কাঁচা মরিচের পেস্ট ২ টেবিল চামচ 
কাঁচা পেঁপের পেস্ট ১ চা চামচ 
লবণ স্বাদ মতো
টকদই ১.৫ কাপ 
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ 
লাল মরিচ গুঁড়ো ১.৫ চা চামচ 
গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ 
জয়ফল গুঁড়ো ১/২ চা চামচ 
লেবুর রস ১টি 
লবঙ্গ ৪টি 
এলাচি ৪-৫ টি 
শাহী জিরা ১ চা চামচ 
জিরা ১ চা চামচ 
আলু ৪টি মাঝারি আকৃতির 
পুদিনা পাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ 
ধনে পাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ 
জয়ত্রি গুঁড়ো ১টি 
দারুচিনি ১ ইঞ্চি 
তেজপাতা ১টি
ঘি 
গোলমরিচ গুঁড়ো ৫টি 
কালো এলাচ ২টি 
জাফরান ভেজানো পানি ১ চা চামচ 
পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ (সাজানোর জন্য)

প্রণালি :
প্রথমে একটি প্যানে পানি সিদ্ধ হতে দিন।
মাংসে লবণ, পেঁপের পেস্ট, আদা, রসুন এবং কাঁচা মরিচ পেস্ট দিয়ে মাখিয়ে নিন। এটি কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা মেরিনেট করার জন্য রেখে দিন। সম্ভব হলে সারা রাত এটি মেরিনেট করার জন্য রেখে দিন।
মেরিনেট করা মাংসের মধ্যে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, লেবুর রস, লবঙ্গ, শাহী জিরা, তেজপাতা, জায়ফল গুঁড়ো (সামান্য), এলাচ, জিরা, পেঁয়াজ বেরেস্তা, আলু, ধনে পাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি এবং টক দই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এখন সিদ্ধ করা পানির মধ্যে এক চা চামচ ঘি, আস্ত জয়ত্রি, তেজপাতা, কালো এলাচ, সবুজ এলাচ, শাহী জিরা, দারুচিনি, লবণ দিয়ে দিন।
এরপর এতে পোলাও এর চাল দিয়ে দিন। চাল ১০-১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে নিবেন।
চাল আধা সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। নামিয়ে পানি ঝরতে দিন।
এখন একটি ভারী প্যানে ঘি দিয়ে দিন।
ঘি গরম হয়ে এলে এতে মেরিনেইট করা মাংসগুলো দিয়ে দিন।
এখন মাংসের উপর সিদ্ধ করা পানি ঝরানো চালগুলো দিয়ে দিন। মাংসের উপর পোলাও চাল লেয়ার করে দিবেন।

তার উপর ধনে পাতা কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, জাফরন গোলানো পানি, সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো, লবণ, পুদিনা পাতা এবং সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন।
এখন প্যানটির ঢাকনার লাগিয়ে তার চারপাশে সিদ্ধ আটা দিয়ে লাগিয়ে দিন।
মাঝারি আঁচে ৩৫ মিনিট রান্না করুন।
চুলা নিভিয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট চুলার উপর রেখে দিন।
ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার দম বিরিয়ানি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, জুন ১২, ২০১৮

Monday, June 25, 2018

ফ্রিজের খাবার যেভাবে খাবেন


সাধারণত খাবার ভালো রাখার জন্যই রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, জানেন কি? কিছু জিনিস রেফ্রিজারেটরে বেশিদিন রাখলে সেটি ভালো না থেকে খারাপ হয়ে যায়। তারপরে সেই খাদ্য যদি আপনার পেটে যায়, তাহলে পেট খারাপ থেকে শুরু করে ফুড পয়জনিং বহু ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাহলে জেনে নিন, কী কী খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখবেন না বেশি দিনের জন্য।

ডিম কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ডিম ফ্রিজে রাখা হলে ফ্রিজের ঠাণ্ডা তাপমাত্রা ডিমের ভিতরের পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে কখনো কখনো ডিমের উপরের খোসা ভেঙে যায় এবং ভিতরে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। যার ফলে ডিমটি সম্পূর্ণ খারাপ হয়ে যায়।

দুধ জাতীয় খাবার বেশিদিন ফ্রিজে রাখা উচিৎ নয়। বেশিদিন এগুলো ফ্রিজে রাখলে খাবারগুলোতে পানি জমতে থাকে এবং বিস্বাদ হয়ে যায়।

সব থেকে বড় কথা দুধ জাল দেয়ার পরেই গরম অবস্থায় ফ্রিজে রাখবেন না কিছুক্ষণ বাইরে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিয়ে তবেই ফ্রিজে রাখবেন।

ফ্রিজে সংরক্ষিত মাংস এবং মাছ, একবার ফ্রিজ থেকে বের করে তা আবার ফ্রিজে রাখা উচিত না। এতে করে এসব খাবারে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

টাটকা শাকসবজি, ফলমূল ফ্রিজে অবশ্যই রাখুন। কিন্তু দু’ থেকে তিন দিনের বেশি নয়। তাহলে সবজিগুলো খারাপ হয়ে যায় এবং তার মধ্যে জন্মায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া।

রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার জন্য রেফ্রিজারেটর অত্যন্ত উপকারী। তবে সেটা তিন থেকে চারদিনের বেশি নয়। আর একবার ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার কখনোই দ্বিতীয়বার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

রান্না করা খাবার বার বার ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করে খেলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ চলে যায় এবং পেঁয়াজ জাতীয় খাদ্য বারবার গরম করলে অনেক সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হয়।

সূত্রঃ পরিবর্তন