Friday, September 30, 2011

আমিত্তি পিঠা


উপকরণ : চালের গুঁড়া আধা কেজি, তেল এক কেজি, গুড় এক কেজি, লবণ আধা চামচ, পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি : প্রথমে পানিতে লবণ দিয়ে চালের গুঁড়ার খামির তৈরি করতে হবে। খামিরটি ভালোভাবে মাখতে হবে। এরপর খামির দিয়ে চিকন লতির মতো করে তা দিয়ে একের পর এক রিং তৈরি করে আমিত্তির আকৃতি দিতে হবে। তারপর তা তেলে বাদামি রঙ করে ভেজে গুড়ে পাক দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

আনারস পিঠা


উপকরণ : ময়দা আধা কেজি, তেল এক কেজি, গুড় এক কেজি, লবণ এক চামচ, পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি : ময়দা ও লবণ দিয়ে খামির করে পাতলা রুটি তৈরি করতে হবে। রুটি তৈরির পর তা চিকন করে কেটে নিতে হবে। তারপর কেটে নেওয়া রুটিগুলো একসঙ্গে রেখে একটির ওপর আরেকটি বুনে যেতে হবে। বুনন শেষে দুই মাথা একসঙ্গে জুড়ে দিতে হবে। তেলে বাদামি রঙ করে ভেজে গুড়ে পাক দিতে হবে। তারপর তা পরিবেশন করুন।

কুশলী পিঠা


উপকরণ : ময়দা আধা কেজি, তেল এক কেজি, মাংসের কিমা আধা কেজি, লবণ পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি : ময়দা, লবণ ও পানি দিয়ে খামির তৈরি করতে হবে। তারপর ছোট রুটি বেলতে হবে। রুটির ভেতর কিমা দিয়ে পুঁটলি তৈরি করতে হবে। তারপর তেলে বাদামি রঙ করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ইলিশ পিঠা


উপকরণ : ময়দা আধা কেজি, তেল এক কেজি, মাংসের কিমা আধা কেজি, লবণ পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো, গাজর দুটি, পেঁয়াজ পাতা পরিমাণমতো।

প্রণালি : ময়দা, লবণ দিয়ে প্রথমে খামির তৈরি করতে হবে। তারপর মাংসের কিমা সিদ্ধ করে গাজর ও পেঁয়াজ পাতা দিয়ে রান্না করে পুর তৈরি করতে হবে। এরপর খামির দিয়ে লম্বা রুটি তৈরি করে তার দুই দিক ছোট করে কেটে নিতে হবে। তারপর রুটির মধ্যে পুর দিয়ে কাটা অংশগুলো একের পর এক রেখে বুনে যেতে হবে, যা দেখতে মাছের মতো লাগবে। তেলে বাদামি রঙ করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

বাদাম-নারকেলের ঝালপিঠা


উপকরণ: কুরানো নারকেল ৩ কাপ, আধা ভাঙা চিনাবাদাম আধা কাপ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, সামান্য এলাচ গুঁড়া, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, ময়দা আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, ভাজার জন্য তেল ৩ কাপ, গোলমরিচ ও জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ করে।

প্রণালি: চুলায় নারকেলে সামান্য লবণ দিয়ে একে একে সব মসলা, বেরেস্তা, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ সবকিছু দিয়ে একটু নেড়ে নিন। এবার বাদাম, গোলমরিচ, জিরা ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে দুই মিনিট রেখে নামাতে হবে। ময়দা ও চালের গুঁড়া একসঙ্গে সেদ্ধ করে খামির বানিয়ে ঠান্ডা হলে ছেনে নিতে হবে। এখন রুটি বানিয়ে যেকোনো আকারে ভাঁজ দিয়ে ভেতরে বাদাম-নারকেলের পুর ভরে নিতে হবে। এবার কিনারে একটু মুড়ি ভেঙে বা ছুরি দিয়ে ডিজাইন করে গরম তেলে লাল করে ভেজে তুলতে হবে।

নারকেলের নাড়ু


উপকরণ: নারকেল কোরানো ৪/৫ কাপ, ২৫০ গ্রাম গুড়।

প্রণালি: গুড় ও কোরানো নারকেল একসঙ্গে করে জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেওয়ার সময় লক্ষ রাখতে হবে যখন আঁশ হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ফেলতে হবে। এরপর নাড়ু বানাতে হবে।

খইয়ের মুড়কি


উপকরণ: খই ৫০০ গ্রাম, গুড় ৩০০ গ্রাম।

প্রণালি: গুড় কড়াইয়ের মধ্যে জ্বাল দিতে হবে। গুড়ে আঁশ হয়ে গেলে খইয়ের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন। খই নির্দিষ্ট একটি বড় পাত্রে রাখলে খইয়ের মুড়কি বানাতে অনেক সুবিধা হয়।

চিঁড়ার মোয়া


উপকরণ: ৫০০ গ্রাম চিঁড়া, ২০০ গ্রাম গুড়, গোলমরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি: চিঁড়া ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর কাঠের খোলায় চিঁড়া ভেজে নিতে হবে। চিঁড়া লাল লাল হয়ে গেলে এতে গুড় ঢেলে দিতে হবে। একসঙ্গে গুড় ও চিঁড়া কষাতে হবে। কষানোর সময় কাঠি বা কোনো কিছু দিয়ে সারাক্ষণ নাড়তে হবে। যেন গুড় ও চিঁড়া লেগে না যায়। আঠালো হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে গোলমরিচের গুঁড়া দিতে হবে। গরম থাকতে থাকতে মোয়া বানিয়ে ফেলতে হবে। চিঁড়া ঠান্ডা হয়ে গেলে মোয়া তৈরি করা যায় না। তাই গরম থাকা অবস্থায়ই তৈরি করে ফেলতে হবে।

Thursday, September 29, 2011

কাঁচকলা ও ইলিশ মাছের ভর্তা


উপকরণ: কাঁচকলা ২টি (মাঝারি), ভাজা ইলিশ মাছ ২ টুকরা (কাঁটা ছাড়ানো), শুকনো মরিচ ভাজা ২টি, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ২ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: কাঁচকলা ডুবো পানিতে সেদ্ধ করুন। কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে রাখুন। এবার ইলিশ মাছ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও তেল একসঙ্গে মাখুন। মাখা হলে কাঁচকলা দিয়ে ভালো করে মেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Wednesday, September 28, 2011

লাউ টাকি বড়ির ঝোল


উপকরণ: লাউ ২ কাপ (ছোট ডুমো করে কাটা), ডালের বড়ি ৭-৮টি, টাকি মাছ ৪ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ (ফালি) ৪-৫টি, তেজপাতা ২টি, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো ও পানি ১ কাপ।

প্রণালি: লাউ ধুয়ে কেটে নিন। বড়ি তেলে ভেজে তুলে রাখুন। টাকি মাছ হলুদ ও লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে কাঁটা বেছে রাখুন। এবার একটি হাঁড়িতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, তেজপাতা, হলুদ গুঁড়া, টাকি মাছ, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে লাউ দিন। একটু কষিয়ে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। লাউ সেদ্ধ হলে ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ দিন। লাউ মাখা মাখা হলে ভাজা বড়িগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুুন। লাউ ঠান্ডা হলে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কলমি-চিংড়ি ভাজা


উপকরণ: কচি কলমি শাক ৩ আঁটি, চিংড়ি মাছ ১০-১৫টি (মাঝারি), নারকেল বাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ, রসুন কুচি ২ কোয়া, কাঁচামরিচ ফালি ৩-৪টি, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: কলমি শাক ধুয়ে কুচি করে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে চিংড়ি মাছ ভেজে তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, নারকেল বাটা, হলুদ গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে একটু কষিয়ে নিন। তারপর কলমি শাক দিয়ে ভাজুন। সব মসলা মিশে ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কচুর লতি চচ্চড়ি


উপকরণ: লতি আধা কেজি, চিংড়ি মাছ ৮-১০টি মাঝারি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, নারকেলবাটা ১ টেবিল চামচ, সরষেবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫টি, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: লতি পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ১ কাপ পানি দিয়ে কড়াইতে প্রথমে মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট এবং মৃদু আঁচে ১০ মিনিট রাখতে হবে। মাঝখানে লতি একবার উল্টে দিতে হবে। ইচ্ছা হলে পাতলা পাতলা করে আমড়া কেটে দেওয়া যায় লতি চচ্চড়িতে।

Tuesday, September 27, 2011

লেবু-নারকেলে হাঁস


উপকরণ: হাঁসের মাংস আট টুকরা, নারকেলের দুধ ২ কাপ, নারকেল ফালি আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, লেবুর খোসা ১ চা-চামচ, (কুচিকরা), আদা, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া সামান্য, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, চিনি ২ চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ।

প্রণালি: প্রথমে হাঁস ভালো করে পরিষ্কার এবং টুকরা করে ধুয়ে নিতে হবে। সসপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি একটু নরম করে হাঁসের মাংস ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে আদা-রসুনবাটা, হলুদ-মরিচের গুঁড়া, লবণ, দারচিনি, এলাচ ও নারকেলের ফালি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। কষা হলে নারকেলের দুধ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ৫ মিনিট। মাংস সেদ্ধ হলে লেবুর রস, লেবুর খোসা, কাঁচা মরিচ, চিনি এবং সবশেষে গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায় লেবু-নারকেলের হাঁস।

লইট্টা মাছের কাবাব


উপকরণ : লইট্টা মাছ হাফ কেজি, ভাত বাটা সিকি কাপ, পেঁয়াজ (চপকাটা) সিকি কাপ, রসুন বাটা ১ টে. চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টে. চামচ, আদা বাটা ১ টে. চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টে. চামচ, কাঁচা মরিচ (চপকাটা) ১ টে. চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, ডিম ২টি, পাউরুটির গুঁড়া পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, তেল ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে লইট্টা মাছ আঁশ ফেলে টুকরা করে কেটে ধুয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ মাছের কাঁটা বের করে চটকে নিন। সব মসলা, অর্ধেক পাউরুটির গুঁড়া, চটকানো ভাত, ডিমের কুসুম, মাছ সব একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। এবার গোল বা লম্বা চ্যাপ্টা করে কাবাব বানিয়ে ডিমের সাদা অংশে ডুবিয়ে পাউরুটির গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে মচমচে করে ভেজে নিন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Sunday, September 25, 2011

কুমড়াপাতায় টাকি মাছের চপ


উপকরণ: কুমড়াপাতা ৫-৬টি (একটু ভাপ দিয়ে নেওয়া), টাকি মাছ তিনটি (বড়), সামান্য হলুদ, লবণ ও তেল দিয়ে লাল করে ভেজে কাঁটা বেছে নিতে হবে। সেদ্ধ আলু ১টি, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২টি, ধনেপাতাকুচি ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।

মিশ্রণ তৈরি: চালের গুঁড়া ১ কাপ, বেসন আধা কাপ, হলুদ সামান্য, লবণ স্বাদমতো, পরিমাণমতো পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
এবার কুমড়াপাতা ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে একটি পুর তৈরি করতে হবে। পুর গোল গোল করে প্রতিটি কুমড়াপাতার মাঝখানে রেখে পেঁচিয়ে মিশ্রণে চুবিয়ে ডুবোতেলে ভেজে নিতে হবে। এই চপ সস দিয়ে চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

ইলিশ কাবাব - ২


উপকরণ : ইলিশ মাছ ১টি, আলু ১টি, পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা চামচ, টমেটোর সস ২ টে. চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ, লেবুর রস ১ টে. চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পাউরুটির গুঁড়া পরিমাণমতো, তেল সিকি কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে ইলিশ মাছের আঁশ ফেলে পেট চিরে ময়লা বের করে নিন। এবার পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। ডুবো পানিতে গোটা মাছ সিদ্ধ করুন। মাথা ও লেজ রেখে দু’পিঠের মাছ মাঝের কাঁটা থেকে স্লাইস করে তুলে কাঁটা বেছে নিন। মাছ ঝুরি করে নিন। আলু সিদ্ধ করে চটকে নিন। লেবুর খোসা গ্রোট করে নিন। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি ভেজে তুলে চটকানো আলু দিয়ে ভেজে নিন। আলু তুলে রেখে কড়াইয়ে এক টে. চামচ তেল দিয়ে মাছের ঝুরি টমেটোর সস, গোলমরিচ ও লবণ দিয়ে ভেজে নিন। ভাজা হলে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কাঁচা মরিচ, লেমন রাইন্ড লেবুর রস দিয়ে নেড়ে আলু দিন। সামান্য ভাজা হলে নামিয়ে পাউরুটি ভেজে মাছে মিশিয়ে নিন। এবার একটি ডিশে মাথা লম্বাভাবে বিছিয়ে রান্না করা মাছ ইলিশ মাছের আকারে বিছিয়ে দিন। ওপরে আরও পাউরুটি গুঁড়া সমানভাবে বিছিয়ে দিন। ওভেনে ১৯০ ডিগ্রি সে.গ্রে. তাপে ২০-২৫ মিনিট বেক করুন।

প্রন পাপর কাবাব


উপকরণ : চিংড়ি মাছ হাফ কেজি, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, পুদিনা পাতা বাটা ১ টে. চামচ, আদা বাটা ১ টে. চামচ, রসুন বাটা ১ টে. চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টে. চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ টে. চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, টকদই ২ টে. চামচ, ডিম ১টি, পাপর ৫-৬টি, পাউরুটির গুঁড়া পরিমাণমতো, তেল ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে মিহি কিমা করে নিন। এবার পেঁয়াজ, আদা, রসুন পুদিনা পাতা, সব মসলা, ডিমের কুসুম, লবণ, দই, গরম মসলা সব একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। পাপর পানিতে ভিজিয়ে নিন। পানি ছেঁকে কিছুক্ষণ রেখে দিন যেন পানি ঝরে যায়। এবার পাপরে মেরিনেড করা প্রন দিয়ে একটা একটা করে মুড়িয়ে নিন। ডিমের সাদা অংশে ডুবিয়ে পাউরুটির গুঁড়ায় গড়ায়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পাবদা কোরমা


উপকরণ : পাবদা মাছ ২৫০ গ্রাম, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪-৫টি, মিহি করে পেঁয়াজ কাটা আধা কাপ, টক দই ১০০ গ্রাম, তেল প্রয়োজনমতো। কিশমিশ ২/৩টি, বাদাম ও পেস্তা কুচি আধা চা চামচ এবং চিনি আধা চা চামচ, পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে পাবদা মাছ কুটে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। পাবদা মাছে শুধু লবণ ও টক দই মেখে রেখে দিন প্রায় ১০ মিনিট। এখন একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে কুচি করা পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে মসলা ভালো করে কষিয়ে টক দই দিয়ে মাখানো পাবদা মাছ সাজিয়ে ওপরে চিনি, বাদাম কুচি, কাঁচামরিচের ফালি এবং পরিমাণমতো পানি দিয়ে হালকাভাবে নেড়ে ৫ মিনিট রান্না করে মাছের ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Friday, September 23, 2011

নেহারি গরুর পায়া দিয়ে

গরু বা ছাগলের হাটু থেকে পায়ের হাড় দিয়ে আমাদের দেশের প্রায় পরিবারে একটা রান্না হয়ে থাকে, যার স্বাদ আমরা অনেকই ভুলতে পারি না। হা, তা হচ্ছে নেহারি, সাধারণত অনেকেই বলে থাকেন পায়া। আরো কঠিন ভাষায় বলতে পারেন পায়া স্যুপ! আমাদের মায়েরা বিশেষ যত্ন নিয়ে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই রান্না করে থাকেন। বাংলাদেশে এমন কোন পরিবার পাওয়া যাবে না যে, এই নেহারি রান্না করা হয় নাই! হোটেল রেস্তারায় সকালের নাস্তায় ছাগলের পায়ার নেহারি পাওয়া যাবেই যাবে। রুটি বা পরোটা দিয়ে খেতে বেশ ভাল লাগে। তবে আজ পর্যন্ত কোন হোটেলে গরুর পায়া দিয়ে নেহারি আমি পাই নাই!

কয়েকদিন আগে একটা গ্রোসারির মিট সেকশনে গিয়ে চারটে গরুর পা দেখে, দাম জিজ্ঞেস করে স্ত্রীর মুখের দিকে তাকাই! স্ত্রীর মুখের হালচাল দেখে পায়া চারটে কিনে ফেলি। প্রতি পিস ৬০/- টাকা (পরের সপ্তাহে গিয়ে দেখলাম প্রতি পিস ৭০/-টাকা)। সেদিন রাতেই স্বামী স্ত্রী মিলে রান্নায় নেমে গেলাম! আমার স্ত্রী এই নেহারি আগেও কয়েকবার রান্না করেছেন, কিন্তু আমার দেখা হয় নাই। আমি শিখে গেলাম। আমার মা মাঝে মাঝে নেহারি রান্না করতেন, সেই স্বাদ ও রং আমার চোখে এখনো লেগে আছে।



গরুর পা গুলো সাইজ মত টুকরা টুকরা করে কেটে ভাল করে ধুয়ে একটা বড় কড়াইয়ে নিন। সামান্য লবণ ও তেজপাতা দিয়ে ডুবো পানিতে ভাল করে জ্বাল দিতে থাকুন। (আমি গ্রোসারি থেকেই পিস করে নিয়েছিলাম)

জ্বাল দেয়ার এক পর্যায়ে এমন দেখাবে। আমার স্ত্রী জানালেন, পায়া জ্বাল দিলে শেওলার মত সবুজ/কালছে কিছু ময়লা বের হয়। তখন চামচ দিয়ে তা ফেলে দিতে হবে এবং এক পর্যায়ে পানি কমে গেলে আরো কিছু পানি দিতে হবে।


জ্বাল চলতে থাকুক। ফাঁকে আপনি মশলা নিয়ে মাঠে নামুন! নিম্নের লিষ্ট অনুসারে মশলা সমূহ এক বাটিতে করে ফেলুন। চারটি গরুর পায়ার জন্য এমন অনুপাতে হতে পারে।

হলুদ - আধা চামচ
মরিচ - আধা চামচ
আদা - ২ চামচ
পেঁয়াজ - ৩ চামচ
রসুন - ২ চামচ
জিরা - ১ চামচ
ধনে গুড়া - ১ চামচ
কাঁচা মরিচ - ৬/৭ টা
(আমরা পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ গাইন্ড করে নিয়েছি)

তেজপাতা - ৩/৪ টা (আগে ব্যবহার হয়েছে)
এলাচ - ৪/৫ টা
দারুচিনি - ৪/৫ টুকরা
তেঁতুল - আধা কাপ
লবণ - পরিমান মত (শেষ বারে লবণ দিতে মনে রাখবেন, প্রথমে একবার দেয়া হয়েছিল)

পেঁয়াজ কুচি - বেরেস্তার জন্য
তেল - কয়েক চামচ, বেরেস্তার জন্য।

নেহারিতে মশলা কম দেয়া হয় যাতে করে ঝোল পাতলা হয় অনেকটা স্যুপের মত করার জন্য এবং তেতুলের ব্যবহার করা হয় যাতে করে ঝোল পানির মত হয়। কত অজানারে!


পায়া ভাল করে সিদ্ব (ঘণ্টা দুয়েক লাগবেই) হলে সব মশলা দিয়ে দিন। এলাচ, দারুচিনি ও তেঁতুল সহ।

আরো কিছু পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে আবার জ্বাল দিতে থাকুন। ঢাকনা দিয়ে টিভি দেখতে চলে যান।

আপনি গিয়ে কোন রান্নার অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। বাংলাদেশে রান্নার অনুষ্ঠান (টিভি, সিডি, ডিভিডিতে) এবং বই লিখে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছেন সিদ্দিকা কবীর। ইটিভিতে এখনো তার অনুষ্ঠান চলে। আমি আমার অন্তরের সালাম জানাই ওনাকে। কি সবালীল ভাষায় সব কিছু বলে দেন তিনি। তার পাশে থাকা শারমীন শীলাকে দেখে আবার মেজাজ চটে যায়! খালি মাতাব্বরী! প্রথম দিকের ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন, সিদ্দিকা আপা তাকে কি করে নিয়ন্ত্রন করতেন! আমার মনে হয় শীলাকে এখনো একটা কিছু একা রান্না করতে দিলে পারবে না! আমি নিশ্চিত। চামচ ধরা দেখলেই বুঝা যায়, কে পারে!

শুধু টিভি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসতে হবে। পানি কমে গেলে আবার পানি দিতে হবে। যতক্ষন না সব কিছু আপনার মনের মত হচ্ছে। লবণ দেখুন, লাগলে দিন।

অন্য একটা কড়াইতে তেল ঢেলে পেঁয়াজ কুচি ভাজে নিন। বেরেস্তা বানান।

পায়ায় বেরেস্তা দিয়ে দিন (বাগার মারুন) এবং আরো কিছু ক্ষন জ্বাল দিন।

ব্যস হয়ে গেল, সুস্বাদু নেহারি।

রেসিপেটি লিখেছেনঃ সাহাদাত উদরাজী (বাংলাদেশ থেকে )


চিংড়ি স্যান্ডউইচ


উপকরণ : চিংড়ি মাছ ১ কাপ, ডিম ১টি (সিদ্ধ), পাউরুটি ১০ পিস, কুচি কাপ, গাজর আধা কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ১ চা চামচ, মাখন ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে কড়াইয়ে মাখন গরম করে পেঁয়াজ হালকা ভেজে চিংড়ি, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ করা চিংড়ির সঙ্গে মেয়োনেজ মেখে নিন। পাউরুটি চারপাশ কেটে একটি পাউরুটির ওপর মিশ্রণ দিয়ে তার ওপর ডিম, শসা, টমেটের কুচি দিয়ে দিন। এবার এর ওপর অন্য একটি পাউরুটি দিয়ে তিন কেজি করে বেটে নিন। সবগুলো এভাবে বানিয়ে পরিবেশন করুন।

কাঁঠালের বিচি ও মুরগির মাংস ভুনা


উপকরণ :
মুরগি একটি, কাঁঠালের বিচি আধা কাপ, নারিকেলের দুধ আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, জিরা বাটা এক চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা এক টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া এক টেবিল চামচ, গরম মশলার গুঁড়া এক চা চামচ, দারুচিনি-এলাচ চার টুকরা, তেজপাতা দুটি, লবণ এক চা চামচ তেল আধা কাপ, কাঁচামরিচ চারটি।


যেভাবে তৈরি করবেন:
১. মুরগি টুকরা করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। কাঁঠালের বিচি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
২. হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, লবণ, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা দিয়ে ভাজুন। গরম মসলার গুঁড়া ছাড়া সব মসলা ভুনে কাঁঠালের বিচি দিয়ে কষিয়ে নিন।
৩. কাঁঠালের বিচি কষানো হলে মাংস ও নারিকেল দুধ দিয়ে কষিয়ে নিন। এরপর পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
৪. মাংস সেদ্ধ হয়ে পানি কমে তেল ওপরে উঠলে গরম মসলার গুঁড়া এবং কাঁচামরিচ দিয়ে একটু পর নামিয়ে ফেলুন।

হাঁসের আখনি পোলাও


উপকরণ:
ক. মাংস রান্না: হাড়সহ হাঁসের মাংস দেড় কেজি, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, টক দই ৩ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, আস্ত কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, পানি (গরম) ১ কাপ।
খ. পোলাওয়ের জন্য: চাল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, মাওয়া (গুঁড়া করা) ১ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, বাদামকুচি ১ টেবিল-চামচ, আলুবোখারা ৫-৬টি, লবণ স্বাদমতো, সেদ্ধ ডিম ২টি।
গ. আখনি করা পানির জন্য: পানি দেড় লিটার, হাঁসের হাড় ৪-৫ টুকরা, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, লবঙ্গ ৭-৮টি, এলাচ থেঁতো করা ৪-৫টি, গোলমরিচ ৮-১০টি, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ২টি।

প্রণালি:
হাঁসের মাংস পরিষ্কার করে কেটে ও ধুয়ে দই এবং বাটা সব মসলা মেখে ১ ঘণ্টা রাখুন। সসপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি একটু ভেজে মাখানো হাঁসের মাংস দিয়ে ভালো করে কষিয়ে সেদ্ধ করতে হবে এবং মাংস অন্য একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে। অন্য আরেকটি সসপ্যানে আখনির পানির সব উপকরণ দিয়ে একসঙ্গে জ্বাল দিতে হবে। পানি কমে দেড় লিটার থেকে ১ লিটার হলে চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। হাঁসের মাংস রান্না করা সসপ্যানে দিন। তাতে আখনি করা ১ লিটার পানি দিয়ে তাতে গুঁড়ো দুধ, গরম মসলা ও চাল দিয়ে নাড়তে হবে। যেন সব দিকের চাল সমান তাপ পায়। চাল ফুটে উঠলে কিশমিশ, বাদামকুচি, আলুবোখারা, লবণ ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে ঢেকে দমে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে মাওয়া, রান্না করা হাঁসের মাংস সাজিয়ে নিচ থেকে কিছু পোলাও দিয়ে ঢেকে আরও ১৫ মিনিট মৃদু আঁচে দমে রাখতে হবে। সেদ্ধ ডিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায় হাঁসের আখনি পোলাও।

Thursday, September 22, 2011

তাজা ফলের সালাদ


উপকরণ: আপেল আধা কাপ, কলা আধা কাপ, কালো আঙুর আধা কাপ, মাল্টা একটি, কমলার কোয়া চার-পাঁচটি, আনার এক টেবিল চামচ, পেঁপে আধা কাপ, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, ছানা এক কাপ, (টুকরো করা) বাদাম গুঁড়া এক টেবিল চামচ, মধু দুই টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, বিটলবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ টুকরো করে একসঙ্গে মেখে ঢেকে ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন মজাদার তাজা ফলের সালাদ।

কাঁচা পেঁপের স্যালাড


উপকরণঃ
খোসা ছাড়ানো কাঁচা পেঁপে মিহি করে কুচোনো - ২০০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা - ৫/৬ টা
রসুন - ৪/৫ কোয়া
চিনেবাদাম খোলায় ভাজা - ১ টেবিল চামচ
ছোট চিংড়ি শুঁটকি - ২ টেবিল চামচ
চেরি টোম্যাটো - ৭/৮ টা
লেবুর রস - ২ টো
আখের ড়ি - দেড় চামচ (গুঁড়ো করা)
নুন - স্বাদ অনুযায়ী

প্রণালীঃ
রসুন থেতো করে নিন। কাঁচা লঙ্কা আর থেতো করা রসুন কুচোনো পেঁপের মধ্যে দিয়ে হাত দিয়ে ভাল করে চটকে মেখে নিন।
এবারে এতে চিনেবাদাম, চিংড়ির শুঁটকি (চিংড়িগুলি ২ মিনিট গরম নুন জলে ফুটিয়ে জল ঝরিয়ে তবেই পেঁপের সঙ্গে মেশাবেন), টোম্যাটো মিশিয়ে দিন।
লেবুর রস, নুন, ড়ি সব মিশ্রণের সঙ্গে ভাল করে মেশান। ধনে পাতা কুচিয়ে দিন।
ফ্রিজে ঠান্ডা হতে দিন। তবে তৈরি করার পরে পরিবেশন করতে বেশি দেরি করবেন না, তাহলে soggy হয়ে যাবে।

লাউ দিয়ে মুগ ডাল


উপকরণঃ
লাউ মিহি করে কুচোনো - ৫০০ গ্রাম
মুগ ডাল - ২ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা - ৩/৪ টে
নুন, মিষ্টি - স্বাদ অনুযায়ী
জিরের গুঁড়ো - ১ চা চামচ লাল
শুকনো লঙ্কা - ২ টো ধনেপাতা
কুচোনো - ১ টেবিল চামচ
ময়দা - ১ চা চামচ
দুধ - ২ টেবিল চামচ
কালো জিরে, মেথি, মৌরি মিলে - ১/৪ চা চামচ
তেল - ১ টেবিল চামচ


প্রণালীঃ
মুগ ডাল খোলায় হালকা ভেজে নিন
২ কাপ মতন জল আঁচে বসান
ফুটতে শুরু করলে ভাজা ডাল ও নুন দিন
আধ সিদ্ধ হলে কুচোনো লাউ আর জিরের গুঁড়ো দিন
কাঁচালঙ্কা, চিনি দিন
লাউ সিদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে এলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন
এবার তেল চড়ান গরম হলে শুকনো লঙ্কা দুটো সামান্য চিড়ে নিয়ে তেলে দিন
তেজপাতা, কালোজিরে, মেথি, মৌরি দিন
সুগন্ধ বেরোলে ডাল-লাউ যেটা সিদ্ধ করে রেখেছেন সেটা ঢেলে দিন
ময়দা দুধে গুলে ডালে মিশিয়ে দিন ভাল করে এবারে আঁচ থেকে নামিয়ে ধনেপাতা কুচোনো ছড়িয়ে দিন

ইলিশ মাছ- এর পাতুরী


উপকরনঃ
ইলিশ মাছ বড় করে কাটা ৬ টুকরো
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
কাঁচা মরিচ ৮
সরিষার তেল প্রয়োজনমত
লবন স্বাদমত
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
হলুদ ১/৪ চা চামচ
লাউপাতা ৮/১০

প্রনালীঃ
লাউপাতা গরম পানিতে ১ মিনিট ভাপ দিয়ে পান ঝরিয়ে রাখতে হবে |
মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে লবন হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে |
তেল গরম করে পেঁয়াজ মরিচ গরম করে ভেজে নিতে হবে |
ভাজা পেঁয়াজ মরিচ ভালো করে চটকিয়ে লেবুর রস ও লবন দিয়ে মাছের গায়ে ভালো করে লাগাতে হবে |
মসলা মাখানো মাছ লাউপাতায় ভালো করে মুড়িয়ে একটি সসপানে সুন্দর করে সাজিয়ে ঢেকে গরম পানির ভাপে ১ ঘন্টা রাখতে হবে |

ভাজা মুগের ডাল দিয়ে মাছ


উপকরনঃ
রুই মাছ ২৫০ গ্রাম
মুগডাল ২০০ গ্রাম
তেল ৩ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ ৩ টা কুচোনো
আদা বাটা ১ চা চামচ
হলুদ গুড়া ১ চা চামচ
মরিচ গুড়া ১ চা চামচ
ধনে গুড়া ১ চা চামচ
তেজপাতা ১ টা
কাঁচামরিচ ৪ টা
লবন স্বাদমত
গরমমসলা ১ চা চামচ

প্রনালীঃ

মাছ পছন্দমত টুকরো করে নিন |
তারপর সেটাকে হালকা ভেজে নিন |
ডাল সেদ্ধ করে নিন |
এবারে তেল গরম করুন |
তাতে পেঁয়াজকুচি, তেজপাতা কাঁচামরিচ চিড়ে দিন |
মাছের টুকরো দিন |
বাটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষান |
২ মিনিট কষে নিয়ে পানি দিন ১/২ কাপ |
৫ মিনিট রান্না করে এবারে তার মধ্যে ডাল দিন |
১/৪ চা চামচ চিনি দিন |
ঢিমে আঁচে ৪/৫ মিনিট গরমমসলা দিয়ে রান্না করুন |
গরম গরম পরিবেশন করুন |

রোজা ( বাংলাদেশ থেকে )
পাঠকের পাঠানো





বাকরখানি


উপকরণ
ক. ময়দা ১ কাপ, ডালডা ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি
১. ময়দা গলানো ডালডা, তেল ও লবণ মেখে খাস্তা করে নিন।
২. এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে ময়দা ময়ান করে ঢেকে রাখুন ২ ঘণ্টা।
খ. তেল ১ কাপ, ডালডা ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ।
১. ডালডা গরম করে গলিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
২. ডালডা ও তেল একসঙ্গে মিলিয়ে বিট করে রাখুন।
গ. ময়দা ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, তেল ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ।
ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, তেল_সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে রাখুন।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ক-এর উপকরণ দিয়ে তৈরি খামির ৪ ভাগ করে প্রতিটি দিয়ে যতটুকু সম্ভব খুব পাতলা রুটি বেলে নিন।
২. রুটির চারদিকে ১ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে খ-এর ডালডার মিশ্রণের প্রলেপ দিন। এর ওপর গ-এর উপকরণ দিয়ে তৈরি ময়দার মিশ্রণ ছিটিয়ে দিন।
৩. রুটি দুই ভাঁজ করে আবার ডালডার প্রলেপ দিয়ে ময়দা ছিটিয়ে দিন। এভাবে আবার করুন।
৪. ভাঁজ দেওয়া খামির ঢেকে রেখে দিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা।
৫. এবার ৪টি খামিরের প্রতিটি থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে গোল বাকরখানি বানিয়ে ছুরি দিয়ে আঁচড় কেটে দিন।
৬. তন্দুরীতে সেঁকে নিন বা ইলেকট্রিক ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রি-হিট করে ২০ মিনিট বেক করে নিন।

Wednesday, September 21, 2011

খাসির মাংসের পাকোড়া


উপকরণ :
মাংস আধা কেজি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ময়দা ২ কাপ, পানি পেস্টের জন্য, ধনেপাতা (কুচি) ১ কাপ, কাঁচামরিচ (গ্রেট করা) ২ টেবিল চামচ, হলুদ সিকি চা চামচ, অয়স্টার সস ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধাকাপ, সাদা তিল ১ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য।


প্রণালী :
মাংস ছোট বটি করে আদা, রসুন, অয়স্টার সস, কাঁচামরিচ বাটা ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ময়দা, ধনেপাতা, গাজর, কাঁচামরিচ, লবণ, হলুদ ও পানি দিয়ে ঘন পেস্টের মতো বানাতে হবে। এরপর সেদ্ধ মাংস দিয়ে তিলগুলো ছিটিয়ে দিতে হবে। পাকোড়া বানিয়ে সস দিযে পরিবেশন।

রসাল পটোল


উপকরণ : পটোল ২৫০ গ্রাম, আদা বাটা এক চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা এক চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা এক চা চামচ, লেবুর রস দুই টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ, চিনি একটু, লবণ স্বাদমতো, হলুদ প্রয়োজনমতো।

প্রণালি : পটোল ছিলে কেঁচে নিন। লবণ, হলুদ, মরিচ দিয়ে মেখে হালকা করে ভেজে নিন। সব বাটা মসলা তেলে দিয়ে কষিয়ে তাতে পটোল দিন। লবণ ও অল্প পানি দিন। পানি শুকিয়ে তেল বের হলে লেবুর রস, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ অল্প আঁচে রেখে নামিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন।

আমের টক, ঝাল, মিষ্টি আচার


উপকরণ: কাঁচা আম ৬০০ গ্রাম, আদাবাটা ২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, ধনেবাটা ২ চা-চামচ, পোস্তদানাবাটা ১ টেবিল-চামচ, গরম মসলাবাটা আধা চা-চামচ, জয়ত্রীবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচবাটা আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল-চামচ, চিনি ৪ টেবিল-চামচ, সিরকা ২ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: আম খোসা ফেলে চার টুকরো করুন। লবণ পরিমাণমতো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার আমগুলো ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিন। বাদামি হলে আদা, রসুন, ধনে, পোস্ত, মরিচ গুঁড়া, লবণ ও সিরকা দিয়ে কষাতে হবে। এবার আম দিয়ে কষাতে হবে। ২-৩ মিনিট পর গোলমরিচবাটা, লেবুর রস ও চিনি দিন। আম সেদ্ধ হয়ে এলে জয়ত্রীবাটা দিন। নেড়ে দিন। তেল ওপরে এলে নামান। ঠান্ডা হলে বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করুন।

মিষ্টিকুমড়ার দম


উপকরণ : মিষ্টিকুমড়া ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা বাটা এক চা চামচ, হলুদ পরিমাণমতো, মরিচ বাটা এক চা চামচ, জিরা বাটা এক চা চামচ, দই ১০০ গ্রাম, ঘি এক টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো

প্রণালি : কুমড়া ছিলে ডুমো করে কেটে নিন। আদা, হলুদ, মরিচ, জিরা ও দই দিয়ে কুমড়া মেখে রাখুন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে কুমড়া দিন। কিছুক্ষণ কষিয়ে লবণ দিয়ে একটু পানি দিন। সিদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠলে ঘি ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ ঢেকে দমে রাখুন অল্প আঁচে। রুটি বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

তন্দুরি আলু


উপকরণ : ছোট আলু ২৫০ গ্রাম, টমেটো সস এক টেবিল চামচ, তেল দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
তন্দুরি মসলার উপকরণ : শুকনা মরিচ পাঁচটি, আদা ছেঁচা আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, জয়ত্রী সামান্য।

প্রণালি : আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। তেল গরম হলে আলু দিন। কিছুক্ষণ নেড়ে তন্দুরি মসলার উপকরণ পেস্ট করে আলুর সঙ্গে মিশিয়ে দিন। অল্প আঁচে একটু ঢেকে দমে রাখুন। নামানোর আগে সস দিয়ে নেড়ে নামিয়ে চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Tuesday, September 20, 2011

ডিম ভাজি


উপকরণ

১. ডিম
২. তেল (ঘি হৈলে আরো ভালো)
৩. পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ
৪. লবন
৫. চুলায় আগুন ধরানোর জন্য ম্যাচ

প্রণালী :
পাত্রে ডিম ভেঙ্গে তার সাথে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ, লবন সব দিয়ে প্রকট ঘুটা দিয়া গড়ম তাওয়া বা কড়াইতে (আগেই তেল দেয়া থাকপে) লাল করে ভেজে নিন....তারপর আর কোনো কাজ নাই... কষ্ট কৈরা শুধু খাইতে হবে.... সোজা হিসাব

রিপন (লন্ডন থেকে)
পাঠকের পাঠানো

তালের রসের লাড্ডু


উপকরণ : তালের রস চার বাটি। গাজর সিদ্ধ বাটা এক বাটি। গুঁড়া দুধ দেড় বাটি, চিনি দুই বাটি, নারিকেল কোরানো এক বাটি, কাঠ বাদাম-কুচি আধাকাপ, ঘি এক কাপ, এলাচি গুঁড়া আধা চা চামচ, দারুচিনি আধা চা চামচ।


প্রণালী : তালের রস, গাজর বাটা, নারিকেল গুঁড়া, দুধ, চিনি, এলাচি, দারুচিনি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে কড়াইতে ঘি দিয়ে তাতে জ্বালানো মিশ্রণ ঢেলে রান্না করতে থাকুন। এভাবে পর পর তিনদিন রান্না করবেন যতক্ষণ না মিশ্রণটি শক্ত হয়। মিশ্রণটি শক্ত হয়ে এলে গোল গোল লাড্ডু তৈরি করে তা বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন।

টাকি মাছের ভর্তা


উপকরণ :

টাকি মাছ ৬-৭ টা
আদা ২ টেবিল চামচ ( টুকরো করা )
পেঁয়াজ ৪ টেবিল চামচ ( টুকরো করা )
কাঁচা মরিচ ৪-৫ টা ( টুকরো করা )
ধনেপাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ
লবন স্বাদমত
সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ

প্রণালী :

মাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন, এবং এর শরীর থেকে মাথা এবং লেজ কেটে বাদ দিন |
এখন একটি কড়াইতে ২ টেবিল চামচ পরিমান তেল দিয়ে তাতে মাছ দিন এবং অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে রাখুন |
মাছ সেদ্ধ হয়ে গেলে কাঁটা গুলো আলাদা করে পাশে রেখে দিন |
এখন কাঁচা মরিচ আর আদা ভেজে নিন |
যখন মাছগুলো একটু ঠান্ডা হয়ে আসবে তখন মাছগুলোকে চটকে বাকি সব উপকরণের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন |
টাটকা টাটকা পরিবেশন করুন |

কাঁচা কলার ভর্তা


উপকরন সমূহঃ
শুকনা মরিচ- ১ টি
কাঁচা কলা- ৪ টি
পেয়াজ কুচি- ২ টেবল চামুচ
সরিষার তেল- ১ টেবিল চামুচ
চিনি- ১ চা চামুচ
লবণ- সবাদ মত

রস্তুত প্রণালীঃ কোসা সহ গোটা কলা সিদ্ধ করে নিতে হবে। শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিয়ে পাটায় মরিচ, লবণ ও চিনি বেটে নিতে হবে। কলার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে মরিচের সাথে বেটে নিতে হবে। তারপর তেল ও পেয়াজের সাথে মাখিয়ে পরিবেশন করতে হবে।


Sunday, September 18, 2011

মাশরুম থেকে তৈরী মজাদার খাবার


প্রাচীন রোমে মাশরুমের জনপ্রিয়তা এত ব্যাপক ছিল যে, একে বলা হতো ‘ঈশ্বরের খাবার’। ১৭০০ সালের শুরুর দিকে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুমের চাষ শুরু হয়। খাদ্য ছাড়াও বিভিন্ন উল ও রং তৈরিতে এটি ব্যবহার হয়। সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন খাবারের নাম মাশরুম। এর স্ট্যান্ডার্ড নাম ‘Agricus bisporus’ আমাদের দেশে খাদ্য হিসেবে এর প্রচলন খুব বেশিদিন না হলেও বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা অনেক। মুখরোচক খাদ্য হিসেবে এর প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন মিসরে। প্রায় তিন হাজারেরও বেশি সময় আগে মিসরের ফারাওদের কাছে এটি ছিল জনপ্রিয় এক খাবার। তখন কেবল অভিজাতরাই এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারত। মাশরুম এক প্রকার সাদা সবজি। তবে খাদ্যগুণ বিবেচনায় এর অবস্থান সবজি ও মাংসের মাঝামাঝি হওয়ায় এটিকে সবজিমাংস নামেও অভিহিত করা হয়। এটি ভিটামিন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। কোনো ব্যক্তির দৈনিক যে পরিমাণ ভিটামিন গ্রহণ করা প্রয়োজন তা মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। ১০০ গ্রাম শুকনা মাশরুমে আছে ১৯ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রোটিন। এছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ। এতে চর্বি ও শর্করার পরিমাণ কম এবং আঁশ বেশি থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোবাস্টাটিন ও এন্টাডেনিন থাকায় মাশরুম খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের জন্য ভালো। এছাড়া এটি ডেঙ্গুজ্বর ও হেপাটাইসিস-বি জন্ডিসের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। গর্ভবতী মা ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতেও মাশরুমের ভূমিকা অনন্য। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ থাকায় এটি রক্তশূন্যতা দূরীকরণেও কার্যকর। চীনে বর্তমানে ১১ প্রজাতির মাশরুম বিভিন্ন রোগে সরাসরি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের দেশেও মাশরুম গুটিবসন্ত, অ্যাজমা ও উচ্চ রক্তচাপজনিত চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ ব্যাপকতা লাভ করেছে। অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম উৎপাদন শুরু না হলেও ৮ প্রকার মাশরুম চাষ হচ্ছে।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে মাশরুম একটি অপরিচিত সবজি। সঙ্গত কারণেই এর রান্নার প্রক্রিয়াটি অনেকের কাছেই অজানা। ভালোভাবে রান্না করা হলে এটি আমাদের মুখেও স্বাদ লাগবে। মাশরুম রান্নার কয়েকটি সংক্ষিপ্ত প্রণালী হলো-
ক) মাশরুম সবজি

মাশরুম অন্যান্য দেশী সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করা যায়। এর জন্য যে পরিমাণে সবজি নিতে হবে-

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ শুকনো মাশরুম ২০ গ্রাম
২ আলু ১টি (৫০ গ্রাম)
৩ মটরশুটি ১২০ গ্রাম
৪ টমেটো ১৫০ গ্রাম
৫ পেঁয়াজ ১০০ গ্রাম
৬ আদা ১০ গ্রাম
৭ রসুন ২ থেকে ৩ টি কোয়া
৮ তেল ১ থেকে ২ চামচ
৯ অন্যমসলা, লবণ প্রয়োজনমত

রান্না প্রণালী

• শুকনো মাশরুম গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে ;
• আলু, মটরশুটি, টমেটো ধুয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ, মটরশুটি ও আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে ;
• এরপর আলু, টমেটো ও পেঁয়াজ কুটতে হবে। পেঁয়াজ একটু তেলে ভেজে নিতে হবে ;
• আদা, রসুন বেটে নিতে হবে। মসলা তেলে ভেজে লবণ ও কাটা সবজি দিয়ে নাড়তে হবে ;
• এরপর একটু গরম পানি দিয়ে তরকারী সিদ্ধ করতে হবে ;
• মাশরুম টুকরা করে কেটে সিদ্ধ সবজির সাথে দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করে তুলে নিতে হবে।
খ) মাশরুম বিরিয়াণী

মাশরুমের স্বাদ কিছুটা মাংসের মত। এজন্য মাশরুমের সাথে সবজি মিশিয়ে সহজেই সুস্বাদু বিরিয়াণী তৈরি করা যায়। মাশরুম বিরিয়াণী প্রস্তুত প্রণালী হলো-

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ পোলাউর চাল ১৫০ গ্রাম
২ মাশরুম ১০০ গ্রাম
৩ গাজর ৫০ গ্রাম
৪ মটরশুটি ৫০ গ্রাম
৫ ফুলকপি ৫০ গ্রাম
৬ পেঁয়াজ ১০০ গ্রাম
৭ ধনেপাতা ২৫ গ্রাম
৮ রসুন ৫ গ্রাম
৯ আদা ৫ গ্রাম
১০ কাঁচা মরিচ ৫ গ্রাম
১১ টক দই ৫০ গ্রাম
১২ তেল/মাখন ৫০ গ্রাম
১৩ অন্যমসলা, লবণ, পানি প্রয়োজনমত

রান্না প্রণালী

• চাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। মসলা বেটে নিতে হবে ;
• পেঁয়াজ সোনালী করে ভেজে রাখতে হবে ;
• মাশরুম পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে ভেজে রাখতে হবে ;
• সবজি ধুয়ে কেটে সিদ্ধ করে নিতে হবে ;
• চাল তেলে ভেজে সামান্য পানি দিয়ে প্রায় রান্না করার অবস্হায় নিয়ে আনতে হবে ;
• দই ভাল করে ফেটে ধনে পাতা কুচির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ;
• এরপর সিদ্ধ সবজি, মাশরুম, দই মিশাতে হবে ;
• একটি পাত্রে আবার খানিকটা তেল/মাখন দিয়ে চুলায় দিতে হবে। এরপর সবজি, মাশরুম পেঁয়াজ এর মিশ্রণ দিয়ে একটু নাড়তে হবে এবং প্রায় সিদ্ধ পোলাউর চাল মিশিয়ে ১০ মিনিট হালকা আঁচে চুলায় রাখতে হবে ;
• তুলে পোলাউর উপর ভাজা পেঁয়াজ, কাজু বাদাম ইত্যাদি মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
গ) মাশরুম ফ্রাই

নাস্তা হিসেবে মাশরুম ফ্রাই চা-এর সাথে পরিবেশন করা যায়। ইফতারীর সময় বেসনের সাথে সবজি দিয়ে পাকুড়া তৈরির মত করে সবজির পরিবর্তে মাশরুমের পাকুড়া তৈরি করা হলে তা যথেষ্ট সুস্বাদু হবে।

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ মাশরুম ১০ থেকে ১২টি
২ ডিম ১ টি
৩ বেসন ১ থেকে ২ টেবিল চামচ
৪ লবণ, গোল মরিচ গুড়া, সয়াবিন তেল পরিমাণ মত

রান্না প্রণালী

• মাশরুম ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ছাড়িয়ে নিতে হবে ;
• একটি পাত্রে ডিম ভেঙ্গে বেসন, লবণ, গোল মরিচের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে প্রয়োজনমত পানি দিয়ে ঘন করে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মাশরুমগুলো মিশ্রণে ভালোভাবে ডুবিয়ে নিতে হবে ;
• পপাত্রে তেল গরম করতে হবে এবং একত্রে কয়েকটি মাশরুম ভেজে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
ঘ) মাশরুম হালিম

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরণের ডালের সাথে মাংস মিশিয়ে হালিম তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে হালিমের জন্য প্রয়োজনীয় ডালের সাথে মাশরুম মিশিয়ে মাশরুমের হালিম বানানো যায়। তাছাড়া পাতলা ডালের সাথে মাশরুম দিয়ে মাশরুম স্যুপও তৈরি করা যেতে পারে।

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ মুগ ডাল ১২৫ গ্রাম
২ মসুর ডাল ২৫০ গ্রাম
৩ ছোলার ডাল ১২৫ গ্রাম
৪ মাশরুম তাজা ৫০০ গ্রাম (শুকনো হলে ৫০ গ্রাম)
৫ পেঁয়াজ কুঁচি, আদা, রসুন, জিরার গুড়া, হলুদের গুড়া, তেজপাতা, লবণ ও পানি পরিমাণ মত

রান্না প্রণালী

• মাশরুম ধুয়ে পানি ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে রাখতে হবে ;
• ডালগুলো ধুয়ে পানিতে ছাড়িয়ে নিতে হবে ;
• মুগ ডাল সামান্য ভেজে ধুয়ে মসুর ও ছোলার ডালের সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ করার সময় ডালের সাথে আদা, রসুন, পেঁয়াজ কুঁচি ও লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। ডাল খুব ঘন করা যাবে না ;
• কাটা মাশরুম পেঁয়াজ কুচির সাথে ১ থেকে ২ মিনিট গরম তেলে হালকাভাবে ভেজে নিতে হবে। তারপর সিদ্ধ ডালের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ;
• সামান্য জিরার গুড়া এবং গোল মরিচের গুড়া মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

ঙ) চিকেন মাশরুম স্যুপ

আমাদের দেশের রেস্তেরাগুলোতে চিকেন কর্নস্যুপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। চিকেন কর্নের সাথে মাশরুম দিলে স্যুপের পুষ্টিমাণ বাড়বে এবং স্বাদও ভিন্নতর হবে। চিকেন মাশরুম স্যুপ তৈরি করার জন্য নীচের উপরকরণগুলোর প্রয়োজন হবে।

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ মাশরুম ২৫০ গ্রাম
২ পেঁয়াজ ২টি
৩ মুরগীর স্টক ৪ কাপ
৪ পানি ৩ কাপ
৫ কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপ
৬ বাটার অয়েল ২০ গ্রাম
৭ আদা ২৫ গ্রাম
৮ লবণ, টেস্টিং সল্ট পরিমাণ মত

রান্না প্রণালী

• মুরগির স্টক তৈরি করার জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি মুরগি ২.৫০ লিটার পানিতে পরিমাণ মত লবণ আদা দিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে। মাংসগুলো নরম হয়ে আলাদা হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে মুরগির হাড়গুলো আলাদা করতে হবে এবং মাংস স্টক পানির সঙ্গে একত্রে মিশিয়ে নিতে হবে ;
• মাশরুম ও পেঁয়াজ চাকা করে কেটে নিতে হবে। তারপর বাটার অয়েল দিয়ে হালকাভাবে ভেজে নিতে হবে ;
• এবার এসব ভাজা মাশরুম, মুরগির হাড় ও মাংস সিদ্ধ স্টক পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন মত লবণ ও একটি কাপে অল্প পানিতে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিতে হবে ;
• ২ থেকে ৩ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে ;
• প্রয়োজন মত টেস্টিং সল্ট দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
চ) মাশরুম চিংড়ি

চিংড়ি মাছ এমনিতেই যথেষ্ট সুস্বাদু মাছ। এ মাছের সাথে মাশরুম রান্না করলে একটু ভিন্ন স্বাদের তৈরি করা যায়। নীচে রান্নার উপকরণ ও প্রণালীর বর্ণনা দেওয়া হলো-

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ মাশরুম ৫০ গ্রাম
২ মাঝারি ধরণের চিংড়ি ২০০ গ্রাম
৩ পেঁয়াজ , মরিচ, লবণ, আদা, হলুদ, সয়াবিন তেল পরিমাণ মত

রান্না প্রণালী

• মাশরুম ধুয়ে কেটে পানি ছাড়িয়ে রাখতে হবে ;
• চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে ;
• তেল, লবণ ও প্রয়োজনীয় মসলা দিয়ে মাছ তেলে ভেজে নিতে হবে ;
• মাছ প্রায় হলে আসলে মাশরুম চিংড়ি মাছের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ;
• ৫ থেকে ৭ মিনিট নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে ;
• গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

ছ) মাশরুম স্যান্ডউইচ

স্যান্ডউইচ বর্তমানে শহরের মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়। দ্রুত তৈরি এবং সহজে বহন করার কারণে স্যান্ডউইচ সব বয়সের মানুষের কাছে পরিচিত। স্যান্ডউইচ সাধারণত: মাংস, মাছ কিংবা ডিম দিয়ে হয়। মাছ, মাংস, ডিমের পরিবর্তে মাশরুম ব্যবহার করা হলে স্যান্ডউইচ স্বাদ ও পুষ্টিমাণ ভিন্নরকমের হবে। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা এই স্যান্ডউইচ খেতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে বাটারের পরিবর্তে কোলস্টেরল মুক্ত কর্ন অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ মাশরুম ৫০ গ্রাম
২ বাটার ৫০ গ্রাম
৩ পেঁয়াজ, লবণ পরিমাণ মত
৪ পাউরুটি ১টি

রান্না প্রণালী

প্রথমে মাশরুমগুলো স্লাইস করে কেটে নিতে হবে। তারপর ফ্রাইপ্যানে বাটার/কর্ন অয়েল বা ভেজিটেবল ঘির মধ্যে পেঁয়াজ, লবণ দিয়ে মাশরুমগুলো হালকা করে ভেজে নিতে হবে ;
তারপর দুই পিস পাউরুটির ভিতর ভাজা মাশরুমগুলো সুন্দর করে স্প্রেড করে দিন। এরপর মিয়োনিজ, টমেটো, পেঁয়াজ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
জ) মাশরুম ওমলেট

ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ডিমের সাথে মাশরুম মিশালে সেই খাবারের মান ও গুণ দু-ই বৃদ্ধি পায়। নীচে মাশরুম ওমলেট রান্নার উপকরণ দেওয়া হলো-

ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ
১ মাশরুম ১০০ গ্রাম
২ বাটার ১৫ গ্রাম
৩ ডিম ২টি
৪ দুধ ১ থেকে ২ কাপ
৫ লবণ ও মরিচ গুড়া পরিমাণ মত

রান্না প্রণালী

• মাশরুম ধুয়ে পরিষ্কার করে কেটে নিতে হবে ;
• অল্প তাপে বাটার দিয়ে মাশরুমগুলো ৫ থেকে ৭ মিনিট ভেজে নিতে হবে ;
• ডিম ও দুধ একসঙ্গে ফেটে নিয়ে মাশরুমের কড়াইতে ঢেলে নিতে হবে ;
• প্রয়োজন মত লবণ ও মরিচের গুড়া দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
• যাদের কোলস্টেরল সমস্যা আছে তারা ডিমের কুসুমটি বাদ দিয়ে সাদা অংশের সাথে মাশরুম মিশিয়ে পুষ্টিকর উপাদেয় ওমলেট তৈরি করে খেতে পারেন।
মাশরুমের আচার

• রান্না ছাড়াও তাজা মাশরুম তেল ও মসলা দিয়ে আচার বানিয়ে রাখা যায়। আচারের জন্য দুধ মাশরুম সবচেয়ে ভাল। এজন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে-
• তাজা মাশরুম পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে ;
• রসুন, আদা, গোল মরিচ ও সরষের গুড়া এবং গরম মসলা মিশিয়ে সামান্য তেলে মাশরুম ভেজে প্রায় শুকিয়ে ফেলতে হবে ;
• ঠান্ডা করে লবণ ও ভিনেগার মিশাতে হবে ;
• তেল গরম করে ঠান্ডা করতে হবে। সম্পূর্ণ মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে তেলের মধ্যে রাখতে হবে ;
• বোতলে ঢুকাবার আগে বোতলটি ভালোভাবে ঢাকনাসহ সিদ্ধ করে নিতে হবে।
• বাংলাদেশে খাদ্যে স্বয়ংভরতা অর্জন করেছে কিন্তু এথনো পুষ্টিতে সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হযনি। বাংলাদেশের পুষ্টিতে সহজ সরল এবং স্বল্প পুজিতে পুষ্টির উপকরণ যোগান দিতে মাশরুম অনন্য। এখন প্রয়োজন উদবুদ্ধকরণের মাধ্যমে মাশরুম উৎপাদন, বিপনণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং এর ব্যবহার সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর ভুমিকা। মাশরুম দিয়ে এদেশের পুষ্টি এবং কৃষিকে সমৃদ্ধ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। মাশরুম সমৃদ্ধ পরিকল্পিত কৃষির প্রত্যাশা আমাদের সবার কাম্য।

তথ্য সুত্র: প্রথম আলো ব্লগ

তিন রকমের সবজির মেশানো ডিশ


গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে টাটকা তিন রকমের সবজির মেশানো ডিশ

চীনা ভাষায় তিসানসিয়ানের অর্থ হল গ্রীষ্মকালের শুরুতে সবচেয়ে টাটকা তিন রকমের সবজির খাবার। প্রাচীনকালে চীনাদের জীবনযাপনের সময় গ্রীষ্মকালের শুরুতেই মাটিতে ছোট ছোট গাছে বা লতা পাতায় জন্মলাভ করা সতেজ সবুজ সবজি খাওয়ার অভ্যেস থাকে। বিশেষ করে উত্তর চীনের ছাংছুন শহরে তিসানসিয়ান খাওয়ার রীতি আছে এবং এ খাবার স্থানীয় অঞ্চলের খুবই জনপ্রিয় ও বিখ্যাত। তিসানসিয়ান রান্নার উপায় ভিন্ন এবং সবজির ধারণাও ভিন্ন রকম। যেমন শিম, আলু ও বেগুনের সাথে ভাজা অর্থাত্ আলু, বেগুন ও সবুজ গোল মরিচের সাথে ভাজা হয় সুন্দর করে। টাটকা সবজির কারণে এ খাবার খেতে দারুণ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বেগুনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পি রয়েছে, তা রক্তনালীর দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা এবং উচ্চ রক্ত চাট এবং হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালনসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। বর্তমানে লোকজনের খাওয়ার চিন্তাভাবনা সুস্বাদু থেকে পুষ্টিকর মানে উন্নতি হয়েছে এবং জীবনযাপনের মানরন উন্নতি হওয়ার পাশপাশি নানা ধরনের ধনী রোগ যেমন ডায়াবেটিক রোগও বেশি হয়েছে। এ কারণে শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর ও সহায়ক খাবার বর্তমানে জনপ্রিয় প্রবণতায় পরিণত হয়েছে।

এখন আপনাদেরকে ছাংছুন প্রদেশের এ জনপ্রিয় খাবার রান্নার উপায় জানিয়ে দিচ্ছি। প্রথমে আলু ১৫০ গ্রাম, বেগুন ১৫০ গ্রাম এবং ১৫০ গ্রাম ক্যাপসিকাম প্রস্তুত করুন, তারপর আদার কুচি, রসুন বাটা, সয়াসস, লবণ, চিনি, সিসেমের তেল, স্টার্চ ও তেল হাতের কাছে নিন। সবজি ধোয়ার পর বড় সাইজের টুকরা করে কাটুন। উনুনে রাখা পাত্রের মধ্যে বেশি পরিমাণের তেল দিন, তেল একটু গরম হওয়ার পর আলু, বেগুন ও ক্যাপসিকামের টুকরা ভাজুন। সবজির টুকরাগুলো সোনালী রঙয়ে পরিণত হওয়ার পর পাত্র থেকে তা প্লেটে রাখুন। পাত্রের মধ্যে অল্প পরিমাণে তেল দিন, রসুনের গুড়ো ও আদার কুচি ভাজুন, তারপর ভাজা শেষ হওয়ার তিন রকমের সবজির টুকরা মিশিয়ে নিন। সাথে এক চামচ লবণ, অর্ধেক চামুচ চিনি ও অল্প পরিমাণে সয়াসস দিয়ে দিন। উপকরণ ও সবজির সাথে ভালভাবে মেশানোর পর অবশেষে স্টার্চের রস ঢেলে দিন এবং অল্প পরিমাণে সিসেলের তেল এতে মেশান। এভাবে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তিসানসিয়ান খাবার তৈরী হয়ে যাবে।
যদি আপনাদের সময় থাকে, তাহলে বাসায় আত্মীয়স্বজনের জন্য এ খাবার নিজ হাতে রান্না করে দেখুন। দেখবেন সুগন্ধ যুক্ত, পুষ্টিকর ও মিষ্টি এ খাবার অবশ্যই সবার পছন্দ হবে।

সুবর্ণা, (বাংলাদেশ থেকে)
পাঠকের পাঠানো




কাঁচা মরিচের পুষ্টি গুন


[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ আশা করি মুলা কিংবা লাউয়ের মত করে কেউ এই কাঁচামরিচ নিয়ে টানাটানি করিবেন না ।]

যদিও আমরা কাঁচা মরিচ নামেই উহাকে চিনি কিন্তু কলকাতার বাঙ্গালীদের নিকট উহা কাঁচা লংকা নামেই বহুল পরিচিত। ইংরেজী নাম Green Chili.

পুষ্টিগুন প্রতি ১০০ গ্রামে
কার্বোহাইড্রেড ৮.৮ গ্রাম
সুগার ৫.৩ গ্রাম
ডাইটারি ফিবার ১.৫ গ্রাম
ফ্যাট ০.৪ গ্রাম
প্রোটিন ১.৯ গ্রাম
পানি ৮৮ গ্রাম
ভিটামিন বি-৬ ০.৫১ মিঃগ্রাম
ভিটামিন সি ১৪৪ মিঃগ্রাম
আয়রন ১ মিঃগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ২৩ মিঃগ্রাম
পটাসিয়াম ৩২২ মিঃগ্রাম

লাউ ও গাজরের পায়েস


উপকরণ : লাউ মিহি কুচি গ্রেট করা ২ কাপ, গাজর মিহি কুচি গ্রেট করা ১ কাপ, নারিকেল কোরানো ১ কাপ, দুধ ২ লিটার, কনডেন্সড দুধ ১ কৌটা, এলাচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কিসমিস সাজানোর জন্য পরিমাণমত।

প্রণালী : লাউ ও গাজর বলক ওঠা পানিতে আধা সেদ্ধ করে কাপড়ে চিপে শুকিয়ে নিতে হবে। ঘিয়ে লাউ ও গাজর ভূনে নিতে হবে। ২ লিটার দুধ ঘন করে নিয়ে লাউ ও গাজর নারিকেল দিয়ে ভাল করে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে এলাচ গুড়ো দিয়ে নামাতে হবে। পেস্তা বাদাম কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।