Wednesday, December 28, 2011

খেজুর গুড়ের পিঠাপুলি

খেজুরের গুড়-রস আর নতুন চাল দিয়ে তৈরি করুন মজাদার পিঠাপুলি। রেসিপি দিয়েছেন শাহরিয়া আতিক সুমি
সূর্যমুখী পিঠা

উপকরণ: পোলাও চালের গুঁঁড়া ২০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় বা রস পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, মাওয়া ১ কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ, সয়াবিন তেল ১ কাপ, খোয়া ক্ষীর আধা কাপ, রস ২ কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন:
১. চালের গুঁড়া সিদ্ধ করে নিন।
২. খোয়া ক্ষীর ও মাওয়া একসঙ্গে মিশিয়ে পুর তৈরি করে নিন।
৩. সিদ্ধ করা কাই থেকে রুটি বানিয়ে ভেতরে পুর দিয়ে সূর্যমুখীর মতো কেটে নিন।
৪. এরপর ডুবো তেলে ভেজে রসে ভিজিয়ে পরিবেশন করুন।

দুধ তক্তি

উপকরণ: চালের গুঁড়া ২ কাপ, তরল দুধ ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, এলাচ গুঁড়া-আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন:
১. প্রথমে চালের গুঁড়া শুকনো খোলায় ভেজে নিন।
২. এরপর দুধ জ্বাল দিয়ে চিনি দিন। একটু আঠালো হলে চালের গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
৩. বরফি বা ডাইস দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন।

চন্দ্রপুলি


উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ২০০ গ্রাম, গুড় বা খেজুরের রস পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ১ কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ, ঘি ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন:
১. চালের গুঁড়া সিদ্ধ করে ঘি দিয়ে ময়ান করে নিন।
২. রস জ্বাল দিয়ে নিন।
৩. কাই থেকে একটু মোটা করে রুটি বেলে চাঁদের মতো কেটে ডুবো তেলে ভেজে রসের মধ্যে দিন।
৪. রসে ভেজানোর ২-৩ ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন।

রস পাকন

উপকরণ: চালের গুঁড়া ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, গমের আটা
আধা কাপ, দুধ ১ লিটার, সয়াবিন তেল ১ কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন:
১. প্রথমে একটি পাত্রে চালের গুঁড়া, গমের আটা, দুধ, এলাচ গুঁড়া নিয়ে গোলা তৈরি করে নিন।
২. চিনি ও ২ কাপ পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
৩. গোলা থেকে পাকন তৈরি করে ডুবো তেলে ভেজে নিন।
৪. সিরার রসের মধ্যে ভিজিয়ে পরিবেশন করুন।

রসে দুধপুলি

উপকরণ: চালের গুঁড়া ৩ কাপ, গুড় ২ কাপ, তিল ১ কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ, নারিকেল কোরা আধা কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, এলাচ তিনটি, দারচিনি ২টি, লবণ স্বাদমতো, খেজুরের রস আধা লিটার।

যেভাবে তৈরি করবেন:
১. চালের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে কাই করে রুটির মতো বেলে নিন ।
২. গুড়, তিল, নারিকেল কোরা একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করুন।
৩. রুটির মধ্যে পুর ভরে ভাঁজ করে নিন।
৪. অন্য পাত্রে তরল দুধ, এলাচ ও দারচিনি একসঙ্গে জ্বাল দিন।
৫. কিছুক্ষণ পর পিঠাগুলো দিন।
৬. ১০ মিনিট পর নামিয়ে নিন।

শাহি ভাপা পিঠা

উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, গুড় আধা কাপ, মাওয়া আধা কাপ, নারিকেল কোরা ১ কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ, কাজুবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, ঘি ৩ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন:
১. চালের গুঁড়ার সঙ্গে লবণ ও পরিমাণমতো কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে চালনিতে চেলে নিন, যেন দলা না বাঁধে।
২. এরপর একটা পাত্রে চালের গুঁড়া, চিনি, মাওয়া, নারিকেল কোরা, কাজুবাদাম কুচি, কিশমিশ ও ঘি দিয়ে এর ওপরে আবার চালের গুঁড়া দিয়ে উল্টিয়ে ভাপে দিন।
৩. ৫-৭ মিনিট পর নামিয়ে নিন।

লাচ্চা পরোটা


উপকরণ : ময়দা ২ কাপ, দুধ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ১ কাপ, ডিম ১টা, চিনি ২ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে ময়দা, লবণ, চিনি ও ৩ চা চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে মাখিয়ে দুধ দিতে হবে, পানি দেওয়া যাবে না। খামির মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এর পর পরোটা বেলে পাখার মতো ভাঁজ করে পেঁচাতে হবে, এর পর হালকা করে বেলে ডুবো তেলে ভেজে ফেলুন।

Tuesday, December 27, 2011

পৌষের পিঠা-পুলি





পৌষ চলে এসেছে। খেজুরের গুড় আর রস দিয়ে পিঠা তৈরির সময় তো এখনই। দেখুন নাজমা হুদার দেওয়া কয়েক রকম পিঠা তৈরির প্রণালি।

গাজর-কপির পাটিসাপটা
উপকরণ: চালের গুঁড়া সিকি কাপ, ময়দা ১ কাপ, খেজুরের রস ১ কাপ। সব দিয়ে গোলা তৈরি করতে হবে।
গাজরকুচি ১ মুঠো, ফুলকপি ১ মুঠো, নারকেলের কোরা ২ মুঠো, চিনি ১ কাপ। জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করতে হবে।
প্রণালি: প্যানে সামান্য ঘি লাগিয়ে ১ হাতা করে গোলা দিয়ে পাটিসাপটা রুটি বানিয়ে তার মধ্যে পুর দিয়ে ভাঁজ করে নামিয়ে নিতে হবে। এভাবে সব বানিয়ে সার্ভিং ডিশে রেখে খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে ঘন করে পিঠার ওপর দিয়ে দিতে হবে।

দুধপুলি
উপকরণ: চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, খেজুরের গুড় পৌনে এক কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, গুড় ১ কাপ।
প্রণালি: দুধ ও গুড় জ্বাল দিয়ে অল্প ঘন করতে হবে, নারকেল ও গুড় জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করতে হবে।
চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালো করে চেলে নিতে হবে, এবার ছোট ছোট লুচি কেটে গোল করে মাঝখানে পুর ভরে ছোট ছোট পুলি পিঠা তৈরি করতে হবে। চুলায় দুধ থাকা অবস্থায় পিঠা দিয়ে অল্প জ্বাল দিয়ে পিঠা সেদ্ধ হলে নামিয়ে গরম অবস্থায় পরিবেশন করুন। ঠান্ডা করেও খাওয়া যায়।

রসবড়া
উপকরণ: কলাইয়ের ডাল ১ কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, ২টি এলাচ গুঁড়া, ভাজার জন্য তেল।
শিরার জন্য: চিনি ১ কাপ, পানি ১ কাপ। জ্বাল দিয়ে শিরা তৈরি করে নিতে হবে।
পুরের জন্য: নারকেল ও চিনি জ্বাল দিয়ে পুর বানাতে হবে।
প্রণালি: ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ডালবাটার সঙ্গে মিলিয়ে খুব ভালো করে মাখাতে হবে। হাতে ১ টেবিল চামচ ঘি নিয়ে এর সঙ্গে মাখিয়ে রেখে দিতে হবে।
গোল গোল করে বড়ার মতো বানিয়ে মাঝখানে পুর ভরে ডুবো তেলে ভেজে শিরায় দিয়ে দু-তিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।

মালপোয়া
উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, তেল (ভাজার জন্য), দই আধা কাপ, দুধ ২ লিটার, গুড় বা চিনি ১ কাপ, এলাচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: ময়দার সঙ্গে দই দিয়ে ফেটে অল্প পানি দিয়ে ঘন গোলা তৈরি করতে হবে।
দুধ জ্বাল দিয়ে চিনি মিলিয়ে ঘন করে নামিয়ে রাখতে হবে এবং ওপরে এলাচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিতে হবে। ময়দার গোলা গোল চামচে করে গরম তেলে ছেড়ে ভাজতে হবে। হালকা রং ধরলে নামিয়ে দুধে ছাড়তে হবে।

Friday, December 23, 2011

শাহি চিংড়ি পোলাও


উপকরণ (১): বড় চিংড়ি দেড় কেজি, ঘন নারকেলের দুধ ২ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আদাবাটা ২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, টমেটো সস আধা কাপ, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ।
উপকরণ-২: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, ঘি ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল-চামচ, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ২টি, টকদই আধা কাপ, মালাই ১ কাপ, পেস্তাবাদাম ও কিশমিশ সিকি কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ, কেওড়া ২ টেবিল-চামচ, আলুবোখারা ৮-১০টি, বেরেস্তা ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো। কাঁচা মরিচ ৮-১০টি।

প্রণালি-১: চিংড়ি পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা কষিয়ে টমেটো সস দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে চিংড়ি দিয়ে ৫ মিনিট ভুনতে হবে। পরে নারকেলের দুধ দিতে হবে। ঝোল কমে এলে গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নামাতে হবে।
প্রণালি-২: চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। কেওড়া ও জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে। ঘি গরম করে পেঁয়াজ ভেজে সব বাটা মসলা, গরম মসলা, চাল দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে গরম পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে দই, লবণ দিতে হবে।

পোলাওয়ের পানি শুকিয়ে এলে অর্ধেক পোলাও উঠিয়ে রেখে রান্না করা চিংড়ি, আলুবোখারা, অর্ধেক বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ, অর্ধেক মালাই দিয়ে পোলাও দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বাকি মালাই, কিছু বেরেস্তা, পেস্তাবাদাম, কিশমিশ, কেওড়া ভেজানো জাফরান দিয়ে ২০-২৫ মিনিট দমে রাখতে হবে।

Thursday, December 22, 2011

ভুনা খিচুড়ি


উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, মুগডাল হালকা ভাজা ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ, দারুচিনি-এলাচ ২/৩ টুকরা করে, তেজপাতা ৩/৪টি, লবণ ও তেল পরিমাণ মতো। (তেলের পরিবর্তে ঘি দিতে পারেন।)


প্রস্তুত প্রণালী: চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। হাঁড়িতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ, রসুন ভাজা হলে হলুদ বাদে সব মসলা দিয়ে দিন। এরপর ভালো করে নেড়ে ডাল ধুয়ে দিয়ে দিন। হলুদ গুঁড়ো, পানি, লবণ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। চাল-ডাল সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। নামানোর ৫ মিনিট আগে ওপরে ঘি দিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে সুস্বাদু হবে এবং সুন্দর ঘ্রাণ বেরোবে। সবশেষে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Tuesday, December 20, 2011

চকোলেট ডোনাট


উপকরণ
ময়দা ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, গুঁড়ো দুধ ১ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, ইস্ট ১ চা চামচ, ডিম অর্ধেকটা, পানি পরিমাণমতো, তেল ১ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য, সাজানোর জন্য সুইট বল ১ প্যাকেট।
চকোলেট সস তৈরি : মিমি চকোলেট ২ প্যাকেট, বাটার অয়েল ২ টেবিল চামচ একটি পাত্রে নিয়ে গরম পানির ওপর কিংবা ওভেনে গলিয়ে নিন।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. ভাজার জন্য তেল ছাড়া সব একসঙ্গে মিশিয়ে খামির তৈরি করে গরম জায়গায় ঢেকে অপেক্ষা করুন দিগুণ হওয়া পর্যন্ত।
২. এরপর আধা ইঞ্চি পুরু করে রুটি বেলে ডোনাট সেপ করে কেটে নিন।
৩. ১০ মিনিট পর ডুবোতেলে অল্প আঁচে ভাজুন। ৪. এরপর চকোলেট সসে ডুবিয়ে সুইট বল ওপরে ছিটিয়ে ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রায় রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

Sunday, December 18, 2011

মোরগের রোস্ট

উপকরণ : মোরগ ৩টি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, তেল ২ কাপ, টক দই আধা কাপ, আদা বাটা ৩ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্তের দানাবাটা ১ টেবিল চামচ, জায়ফল বাটা কোয়ার্টার চামচ, এলাচ ও দারুচিনি বাটা ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ চা চামচ, লবণ ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, চিনি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৮টি, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ।


প্রণালী : মোরগ ৪ টুকরো করে নিতে হবে। কাঁচামরিচ বাদে সব উপকরণ মিশিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তারপর হাঁড়িতে মোরগ দিয়ে (মসলাসহ) আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর আঁচ কমিয়ে চুলায় ১ ঘণ্টার মতো বসিয়ে রাখতে হবে। তেল উপরে উঠে এলে আরও কিছুক্ষণ ভাপে রাখতে হবে। মসলা মাখা মাখা হয়ে এলে ডিশে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

Thursday, December 15, 2011

ফুলকপির চার পদ



ফুলকপির জাফরান-পায়েস
উপকরণ: ফুলকপি (ছোট টুকরা) ১ কাপ, দুধ ২ লিটার, চিনি ১ কাপ, জাফরান ১ চিমটি, এলাচ ৩-৪টি, ঘি ২ টেবিল চামচ, বাদাম ও কিশমিশ ১ টেবিল চামচ করে।
প্রণালি: প্যানে ঘি দিয়ে ফুলকপি হালকা করে ভেজে নিতে হবে। ২ লিটার দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিতে হবে। এবার ফুলকপি দিয়ে দ্রুত হাতে নাড়তে হবে। ফুলকপি সেদ্ধ হলে চিনি ও এলাচ দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে। পায়েস ঘন হয়ে এলে তাতে দুধে ভেজানো জাফরান, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায় মজাদার ফুলকপির পায়েস।

আস্ত ফুলকপি ভাজা
উপকরণ: ফুলকপি ১টি (মাঝারি), আদা-রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: চার কাপ পানিতে লবণ (১ চা-চামচ) দিয়ে ফোটাতে হবে। ফুটন্ত পানিতে ফুলকপি দিয়ে দু-তিন মিনিট ডুবিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে ফুলকপিসহ অন্যান্য মসলা দিয়ে কড়া আঁচে তিন-চার মিনিট ভাজতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করে তেল ঝরিয়ে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায় আস্ত ফুলকপি ভাজা।

ফুলকপির রায়তা
উপকরণ: ফুলকপি ১ কাপ, টক দই ৪ টেবিল চামচ, ভাজা মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, বিট লবণ সামান্য, ১টি কাঁচা মরিচের মিহি কুচি, গাজরের মিহি কুচি ১ চা-চামচ, অর্ধেক টমেটোর মিহি কুচি, ধনেপাতার কুচি ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতার কুচি আধা চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ (ইচ্ছা)।
প্রণালি: প্রথমে ফুলকপি ছোট ছোট করে কেটে লবণ পানিতে ভাপ দিয়ে নিতে হবে। পানি ঝরিয়ে ২ টেবিল চামচ তেলে ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর টক দই ফেটে তাতে ফুলকপি, টমেটোর কুচি, গাজরকুচি, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, কাঁচা মরিচ, ভাজা মসলা, বিটলবণ, চিনি ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করা যায় ফুলকপির রায়তা।

সয়া, কিমা ও ফুলকপির দম
উপকরণ: ফুলকপি ১টি (মাঝারি), সয়াবিন বড়ি ৮-১০টি (বাজারে কিনতে পাওয়া যায়), মটরশুঁটি আধা কাপ সেদ্ধ করা, গরুর মাংসের কিমা ১ কাপ, গাজর ১টি, আলু ১টি, টক দই ১ কাপ (ফেটানো), আদাবাটা আধা চা-চামচ, চিনাবাদাম ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, হলুদগুঁড়া সামান্য, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ১ চিমটি, চিনি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ (ফালি) ৩-৪টি, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো, ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ফুলকপি, গাজর ও আলু ডুমো করে কেটে নিতে হবে। সয়াবিন বড়ি গরম পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে চিপে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেজপাতা ও জিরার ফোড়ন দিয়ে ফুলকপি, গাজার, আলু ও সয়াবিন বড়ি, মটরশুঁটি ভেজে তুলে রাখতে হবে। এবার সব মসলা, টক দই ও কিমা দিয়ে কষাতে হবে। ফুলকপি ও অন্যান্য সবজি দিয়ে কষাতে হবে আরও কিছুক্ষণ। এবার অন্য একটি ফ্রাইপ্যানে ঘি দিয়ে তাতে চিনাবাদাম, কিশমিশ ভেজে ফুলকপিতে দিতে হবে। সবশেষে ১ কাপ পানি, সয়া বড়ি, কাঁচা মরিচ ফালি ও চিনি দিয়ে ঢেকে দমে রাখতে হবে ৫ মিনিট। ঝোল মাখা মাখা হলে নামিয়ে পরিবেশন করা যায়।

Saturday, December 10, 2011

মিক্সড চিকেন খিচুরি







উপকরণ : চাল ২ কাপ, গাজর ১/৪ কাপ, আলু ১/৪ কাপ, মুগ ডাল ১/২ কাপ, বাটার অয়েল ১/৪ কাপ, তেল ১/৪ কাপ, আদা বাটা ২ চা চামচ, হলুদ গুড়া ১/২ চা চামচ, রসুন ছেচা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, মুরগি ২ কাপ, এলাচ ৪/৫টা।

প্রণালী : কাঁচা মরিচ ৮/১০ টি চুলায় বাটার অয়েল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, আদা বাটা রসুন ছেচা, হলুদ মরিচ গুড়া, লবঙ্গ এলাচ দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানোর সময় সাথে ৪ টেবিল চামচ পানি দিন। এবার ডাল ও চাল ধুয়ে নিন। মসলার মুরগি কষিয়ে নিন। মুরগি কষানো হলে এবার চাল ও ডাল, সবজি কষিয়ে গরম পানি দিয়ে দমে ঢেকে দিন। ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন। উপভোগ করুন মিক্সড চিকেন খিচুরি।

স্পেশাল পায়েস



উপকরণ: গরুর দুধ ১০ কেজি, চিনিগুড়া চাল ৫০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় ৩ কেজি
প্রণালী: বড় পাত্রে ১০ কেজি দুধ নিয়ে জ্বাল দিতে হবে।
ঘণ্টাখানেক জ্বাল দেওয়ার পর দুধ লালচে রং নেবে।
দুধ যখন কমতে কমতে ৫-৬ কেজিতে দাঁড়াবে, তখন তাতে চাল দিতে হবে।
১৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে।
এরপর কুচি কুচি করে কেটে রাখা খেজুরের গুড় দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে।
ব্যস, পায়েস তৈরি।
এবার ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

পালং ঝোলে মলা মাছ




উপকরণ ও পরিমাণ: মলা মাছ এক কাপ, পালং শাক ২৫০ গ্রাম, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ঝোলের জন্য ভাতের মাড় দুই কাপ, পেঁয়াজ কুচি চার টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটি, জিরা বাটা আধা চা চামচ, তেল সিকি কাপ, লবণ প্রয়োজনমতো।

প্রণালী: পাত্রে তেল, লবণ, পেঁয়াজ কুচি, বাটা মসলা, কাঁচা মরিচ ও মলা মাছ একসঙ্গে মাখাতে হবে। এবার মাছগুলো উঠিয়ে অন্য পাত্রে রাখতে হবে। মসলার মধ্যে মাড় দিয়ে চুলায় বসাতে হবে। ভালোভাবে ফুটে উঠলে পালং শাক দিয়ে বেশি জ্বাল দিতে হবে। একটু পরে মাছগুলো বিছিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাখামাখা ঝোল রেখে নামাতে হবে। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ঘরোয়া রান্না-বান্না



যুগ যুগ ধরে বাংলার গৃহিনীরা কম বেশি সবাই তাদের রন্ধন প্রক্রিয়া জারি রেখেছিলেন। আজ ও সেই দিন বদলায়নি। বরং রান্না এখন শুধু মাত্র চারদেয়ালের ধোঁয়া ওঠা রান্নাঘরের মদ্ধেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি সম্মানজনক পেশায় পরিনত হয়েছে। সারা বিশ্ব এখন সুরুচিকর আর পুষ্টিকর রান্নার বিষয়ে চলছে ব্যাপক গবেশনা। মসলাপাতি নিখুঁত পরিমানে ব্যাবহারের মাধ্যমে রান্না হয়ে ওঠে সুস্বাদু। সব রাধুঁনী চায় তার রান্নাকে সুস্বাদু করতে। আর আমাদের ঘরোয়া রান্না-বান্নার নিয়মিত পাঠক হয়ে আপনিও হতে পারেন সেই সুস্বাদু রান্নার রাধুঁনী। আমাদের আজকের রেসিপি শাহজাহানী মাছ।



উপকরন সমূহঃ

১। বড় রুই বা কাতলা মাছ ৫০০ গ্রাম (৬ টুকরা)

২। নারকেল বাটা ১ টাবিল চামচ

৩। সাদা সরষেবাটা- দেড় চা চামচ

৪। মেথি বাটা- ১চা চামচ

৫। পেঁয়াজ কুচি- ১টা বড়

৬। রসুন বাটা ১চা চামচ

৭। হলুদ- ১চা চামচ

৮। চিনি- ১চা চামচ

৯। টমেটো পিউরি- দেড় টেবিল চামচ

১০। লবন- স্বাদ মত

১১। কারিপাতা ও ধনেপাতা- আন্দাজ মত

১২। সরষের তেল-রান্নার জন্য; পানি প্রয়োজন মত



রান্নার পদ্ধতিঃ

প্রথমে মাছ ভালকরে ধুয়ে নিন। মাছের গা থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। টুকরো মাছগুলোতে অল্প লবন ও হলুদ মাখান। চুলায় ফ্রাইপ্যান চাপান। কিছুটা সরষের তেল ঢেলে দিন। তেল গরম হলে ডোবা তেলে বাদামি করে মাছের টুকরোগুল ভেজে তুলে রেখেদিন। মনে রাখবেন মাছ ভাজা খুব বেশি কড়া করবেন না। ঐ তেলে পেঁয়াজ ও রসুন বাটা দিন। সামান্য লালচে হলে হলুদ, মরিচ, মেথি, নারকেল বাটা, চিনি ও কারিপাতা দিন। আঁচ কমিয়ে ভাজুন। ভাজা হলে সরষেবাটা দিয়ে নাড়ুন। বড় কাপের পৌনে এক কাপ পানিতে টমেটো পিউরি গুলে নিন। এবার মসলার উপরে দিন এবং স্বাদ মত লবন দিন। ফুটে উঠলে মাছ দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। একটু পরে মাছ উলটে দিয়ে আবার ঢেকে দিন। খেয়াল রাখবেন আঁচ যেন অল্প থাকে। ৫ মিনিট পরে একটি পাত্রে মাছ সাজিয়ে তার উপর ধনেপাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

টিকিয়া


উপকরণ: পালংশাক ১ কাপ (কুচি), ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, ফুলকপি কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম ২টি, তেল ভাজার জন্য, মুগডাল ১ টেবিল চামচ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. ডাল এক ঘণ্টা ভিজিয়ে বেটে নিন।
২. ডাল বাটার সঙ্গে ডিম ছাড়া অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে ম্যাশ করে পছন্দমতো আকার করে ডিমে ডুবিয়ে তেলে বাদামি করে ভেজে নিন।
৩. সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Thursday, December 8, 2011

খিচুড়ি-মাংসের কয়েক পদ



ঈদের পর অনেকের বাড়িতে এখনো রয়ে গেছে মাংস। এ সময় খিচুড়ি-মাংসের কয়েক পদ হলে মন্দ হয় না। নাজমা হুদা দিয়েছেন এমন কয়েকটি রেসিপি।

মাংস-খিচুড়ি
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, এলাচ ৪টি, বুটের ডাল ৩০০ গ্রাম, দারচিনি ৫-৬ টুকরা, পোলাওর চাল ৫০০ গ্রাম, জায়ফল-জয়ত্রি আধা চা-চামচ, সরষের তেল ১ কাপ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, টক দই আধা কাপ, হলুদগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, লবঙ্গ ৫-৬টি, জিরাবাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজের বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ।
প্রণালি: মাংসের সঙ্গে চাল, ডাল, বেরেস্তা ও কাঁচা মরিচ বাদে সব মাখিয়ে এক ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখতে হবে। এবার চুলায় দিয়ে কষাতে হবে। তিন-চারবার কষানোর পর সেদ্ধ হওয়ার জন্য পানি দিতে হবে। একটু কম সেদ্ধ হওয়া অবস্থায় চাল আর ডাল দিয়ে কষাতে হবে। এবার পানি দিয়ে ঢাকনা দিতে হবে। চালের পানি শুকিয়ে গেলে চাল, মাংস, ডাল সব মিলে গেলে কাঁচা মরিচ দিয়ে ওপরে বেরেস্তা দিয়ে দমে দিতে হবে। গরম অবস্থায় পরিবেশন করুন।

কালো মাংস
উপকরণ: মাংস ১ কেজি, কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, আদা বাটা ১ টেবিল-চামচ, এলাচ ৩টি, রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, দারচিনি ৪ টুকরা, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া সিকি চা-চামচ, বেরেস্তা ১ কাপ, শুকনা মরিচ ভাজা ৪টি, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল ১ কাপ।
প্রণালি: তেলে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে একটু ভেজে আদা বাটা, রসুন, শুকনা মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, এলাচ, দারচিনি, জায়ফল-জয়ত্রি সব দিয়ে কষাতে হবে। অনেকক্ষণ কষানোর পর মাংস দিয়ে আবার কষাতে হবে। কষাতে কষাতে মাংস সেদ্ধ হয়ে আসবে। এবার জিরার গুঁড়া দিয়ে বেরেস্তার সঙ্গে ভাজা শুকনা মরিচ গুঁড়া করে মাংসে দিয়ে আস্তে আস্তে রান্না করতে হবে। একটু পরপর নাড়তে হবে। একেবারে কালচে রং ধারণ করবে এবং তেলের ওপর উঠলে নামিয়ে নিতে হবে।

শুকানো মাংস ভুনা
উপকরণ: মাংস ১ কেজি, হলুদ সামান্য, লবণ আন্দাজমতো।
প্রণালি: মাংস ধুয়ে পানি শুকিয়ে হলুদ আর লবণ মাখিয়ে তারে গেঁথে রোদে শুকাতে হয়। রোদে দেওয়ার সমস্যা হলে চুলার ওপর তার ঝুলিয়ে রেখে শুকানো যায়। রান্নার দুই ঘণ্টা আগে একটু গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর তুলে ছেঁচে নিতে হয়।
মাংস ভুনা: উপকরণ: মাংস ১ কাপ, পেঁয়াজ ১ কাপ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, জিরা বাটা আধা চা-চামচ, এলাচ-দারচিনি গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ।
প্রণালি: কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ হালকা ভেজে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে মাংস ছেঁচা দিয়ে অল্প আঁচে একদম কষিয়ে নিতে হবে। ভুনা ভুনা হলে নামিয়ে নিতে হবে।

মাঠা
ঘোল তৈরি: উপকরণ: দুধ ৩ লিটার।
প্রণালি: দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে ডাল ঘুঁটনি দিয়ে ভালো করে ঘুঁটে ওপর থেকে ক্রিম উঠিয়ে নিতে হবে। সব ক্রিম বা ননি ওঠানো হয়ে গেলে যে দুধ থাকবে, ওটাই ঘোল। এই ঘোল দিয়ে মাঠা তৈরি করা হয়।
মাঠা তৈরি: উপকরণ: ঘোল ৪ গ্লাস, লবণ সামান্য, চিনি ৪ টেবিল-চামচ, বরফ ১ কাপ।
প্রণালি: সব একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে। ওপরে ফেনা উঠবে, এই অবস্থায় ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন।

Tuesday, December 6, 2011

পাঁচমিশালি সবজি আচার


উপকরণ
শালগম আধা কাপ, ফুলকপি আধা কাপ, বাঁধাকপি আধা কাপ, বরবটি-গাজর টুকরা আধা কাপ, কাঁচা টমেটো আধা কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, জিরা বাটা ১ চামচ, হলুদ সামান্য, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, বিটলবণ আধা চা চামচ, জিরা-পাঁচফোড়ন-ধনে ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, তেঁতুলের মাড় সিকি কাপ, চিনি সিকি কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, সিরকা আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আস্ত পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ, পাঁচফোড়ন বাটা ১ চামচ, সরিষার তেল ৩০০ গ্রাম, সোডিয়াম বেনজয়েট আধা চা চামচ, সিরকা ১ টেবিল চামচ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. সবজি ছোট টুকরা করে কেটে ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে এক দিন রোদে শুকান।
২. কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিন।
৩. এরপর একে একে সব বাটা মসলা, লবণ, হলুদ, মরিচ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে সবজি দিন।
৪. একটু নেড়ে সিরকা ও চিনি দিন।
৫. এবার তেঁতুলের মাড় দিয়ে ভালো করে কষান। আচার যখন তেলের ওপর উঠে আসবে, নামিয়ে সোডিয়াম বেনজয়েট ও সিরকা গুলে আচারে দিন।
৬. ভাজা মসলার গুঁড়া দিন। ঠাণ্ডা হলে বয়ামে রেখে কয়েক দিন রোদে দিয়ে সংরক্ষণ করুন।

Monday, December 5, 2011

বিফ ফিংগার ফ্রাই


উপকরণ
বিফ কিমা ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ২ পিস, আদা কিমা ১ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, টেস্টি সল্ট ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কিমা পরিমাণমতো, ময়দা ২ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, চায়নিজ ব্রেড ক্রাম ১ প্যাকেট, হোয়াইট পেপার গুঁড়ো আধা চামচ, পরিবেশনের জন্য মিষ্টিকুমড়া আধা পিস, টমেটো ১ পিস, লেটুসপাতা ১টি।



যেভাবে তৈরি করবেন
ব্রেড ক্রাম ছাড়া অন্য সব উপকরণ ভালোভাবে শক্ত করে মেখে নিন। এখন ১০-১২টি বল বানিয়ে তারপর ফিংগার বানিয়ে নিন। এবার আরো ২-৩টি ডিম ভালোভাবে ফেটে নিন। এখন ফিংগার ডিমের মধ্যে চুবিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্রেড ক্রাম লাগিয়ে ড্রিপ ফ্রাই করে নিন। পরিবেশনের জন্য টমেটো দিয়ে ছোট ১টি সসপট ও মিষ্টি কুমড়াটি প্রথমে ভালোভাবে লম্বা করে গোল করে নিন। এখন মাঝের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঝিকঝাক করে চারপাশ কারভিং ছুরি দিয়ে প্লেটের মতো করে কেটে নিন। এখন টমেটোর সসপটে হানিসস দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। মাঝে অবশ্যই ফয়েল পেপার দিয়ে সাজাতে হবে।

ফ্রায়েড চিলি কলিফ্লাওয়ার


উপকরণ : কিমা ৫০০ গ্রাম, ফুলকপি ১টি ছোট টুকরো, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, সয়াসস ১ চা চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, তেল আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, লবণ স্বাদমতো।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. কিমা, রসুন কুচি বাদে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট।
২. ফুলকপি ছোট টুকরো করে মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।
৩. তেল গরম হলে রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে বাদামি হলে কিমা দিয়ে ঢেকে দিন। কিমার পানি শুকিয়ে তেল উঠলে ফুলকপি দিন।
৪. অল্প আঁচে ভেজে রান্না করুন। নামানোর আগে কাঁচামরিচ দিয়ে নামান।

Saturday, December 3, 2011

পাবদা মাছের দো-পেঁয়াজি

উপকরণ : পাবদা মাছ ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, একটি টমেটো লম্বা করে কাটা, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ৩/৪টা, ধনেপাতা কুচি (প্রয়োজন অনুযায়ী), তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমত।

প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি ছেড়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ হালকা বাদামি হয়ে এলে তাতে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে ৫ মিনিট। এরপর কষানো মসলায় মাছগুলো ছেড়ে দিতে হবে। ৫ মিনিট পর আধাকাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে টমেটো, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। ৫ মিনিট পরে নামিয়ে মজাদার পাবদা মাছের দো-পেঁয়াজি গরম ভাত কিংবা খিচুড়ি/সাদা পোলাওয়ের সঙ্গেও খেতে পারেন।

চিজ রোল

উপকরণ : ফুলকপি কুচি সিদ্ধ ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি আধা কাপ, চিজ কুচি আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য, ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, দুধ পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা অল্প তেল, বেকিং পাউডার ও দুধ দিয়ে মেখে রাখুন ৩০ মিনিট।
২. তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে ফুলকপি, ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা দিয়ে নেড়ে চিজ দিয়ে পুর বানিয়ে নিন।
৩. ময়দার ছোট ছোট লেচি বানিয়ে তার মধ্যে পুর ভরে গরম তেলে ভেজে তুলুন বাদামি করে।
৪. সস দিয়ে চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

পাস্তা উইথ চিজ

উপকরণ : সিদ্ধ পাস্তা ২ কাপ, গ্রেট চিজ ১ কাপ, ভাঁজ খোলা পেঁয়াজ ১ কাপ, টমেটো কুচি ১ কাপ, গাজর+বিনস জুলিয়ান কাট ১ কাপ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. চুলায় ফ্রাইপ্যান দিয়ে তেল দিন।
২. তেল গরম হলে আদা, রসুন কুচি দিয়ে ভাজুন।
৩. সুগন্ধ বের হলে পেঁয়াজ দিন, লবণ দিন।
৪. টমেটো আগে থেকেই গরম পানিতে ভিজিয়ে খোসা ফেলে কিউব করে কেটে রাখুন।
৫. এবার টমেটো কিউব দিয়ে নেড়েচেড়ে সবজি দিন।
৬.সবজি আধা সিদ্ধ হলে পাস্তা, গোলমরিচ দিন। সব শেষে গ্রেটেড চিজ দিয়ে নেড়ে কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে নেড়ে নামান।

ফুলকপির পরোটা

উপকরণ : ময়দা ২৫০ গ্রাম, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ঘি ভাজার জন্য পরিমাণমতো, ফুলকপি কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, চাট মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ঝুরঝুরে করে লবণ ও পানি দিয়ে ময়ান করে খামির তৈরি করুন। খামির ভেজা পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন ২ ঘণ্টা।
২. কড়াইতে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। নরম হলে ফুলকপি কুচি দিয়ে নেড়ে দিন। ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি ও চাট মসলা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
৩. ময়দার খামির তিন ভাগ করে নিন। গোল করে ভেতরে ফুলকপির পুর ভরে বেলে নিন।
৪. ফ্রাইপ্যানে দুই পিঠ হালকা সেঁকে ঘি দিয়ে ভেজে নিন। যেকোনো মিষ্টি আচার বা চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আপেলের পুডিং

উপকরণ : আপেল ১টি, ডিম ৪টি, দুধ ১ লিটার, কিশমিশ ৫ গ্রাম, এলাচ গুঁড়া সামান্য, চিনি আধা কাপ ও তেল আধা টেবিল চামচ।


প্রণালী : আপেল কুচি কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। ডিম ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে বিট করে নিন। এরসঙ্গে দুধ, এলাচ গুঁড়া, আপেলের জুস মিশিয়ে আবার বিট করুন। পুডিং বক্সে তেল গরম করে সামান্য চিনি দিয়ে কেরামেল করে নিন। বক্সটি চুলা থেকে নামিয়ে কিশমিশ দিন। বক্সটি ঠাণ্ডা হলে পুডিং ঢেলে দিয়ে বক্সের মুখ আটকে দিন। চুলায় বড় পাত্রে সামান্য পানি দিয়ে পুডিংয়ের বক্সটি বসিয়ে ওপরে ভার দিয়ে দিন। অল্প আঁচে জ্বাল দিন। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করুন।

দই-মালপোয়া

দই-মালপোয়া
উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, ময়দা ১ কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, তরল দুধ ২ কাপ, মিষ্টি দই ২ কাপ, গোলাপজল ৩-৪ ফোটা, তেল ভাজার জন্য।


প্রণালি: কুসুম গরম দুধে চালের গুঁড়া, ময়দা, গুড় দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তবে মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা বা ঘন না হয়। কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে এক হাতা করে মিশ্রণ দিয়ে বাদামি করে পিঠা ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর গোলাপজল দিয়ে মিষ্টি দই ফেটে তার মধ্যে মালপোয়াগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করা যায় মজাদার দই-মালপোয়া।

বেগুন কাটলেট

উপকরণ : মাঝারি গোল বেগুন ২টি, কিমা ১ কাপ, পনির আধা কাপ, টমেটো সস সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি আধা টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, গরম মসলা আধা চা চামচ, ডিম ১টি, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. বেগুন ধুয়ে মাঝ বরাবর দুই ভাগ করে নিন।
২. বেগুনের ভেতরের শাঁস আধা ইঞ্চি পরিমাণ রেখে কুরিয়ে বের করে নিন। বেগুনের খোলে লবণ মেখে রাখুন।
৩. ফ্রাইপ্যানে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ নরম হলে আদা, রসুন বাটা ও মরিচ গুঁড়ো দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে কিমা দিয়ে নেড়ে আধা কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
৪. কিমা সিদ্ধ হয়ে এলে বেগুনের শাঁস দিয়ে ঢেকে দিন। মাখা মাখা হলে ২ টেবিল চামচ পনির, টমেটো সস, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ কুচি, গরম মসলা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
৫. বেগুনের খোলে কিমার পুর ভরে ডিম ফেটে ঢেলে দিন। ওপরে টমেটো সস ও পনির গ্রেট করে দিন।
৬. ইলেকট্রিক ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপে আপ-ডাউন হিট দিয়ে ৩০ মিনিট বেক করে নিন।

মাছের শরমা

উপকরণ
রুই মাছ ৩০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, টমেটো সস ৩ চা চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, শসা কুচি আধা কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, ময়দা ২ কাপ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ইস্ট ২ চা চামচ, গুঁড়া দুধ ২ চা চামচ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা, গুঁড়া দুধ, ইস্ট একসঙ্গে পানি দিয়ে পরোটার খামিরের মতো ভালো করে মেখে তেল দিয়ে ডো তৈরি করে নিন। এই ডো ১ ঘণ্টার মতো ঢেকে রেখে দিন।
২. মাছ লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে কাঁটা বেছে ঝুরি করে নিন।
৩. কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, মাছের ঝুরি, আদা ও রসুন বাটা, ভাজা জিরা গুঁড়া, কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
৪. আগে থেকে তৈরি করা ডো থেকে রুটি বেলে সেঁকে নিন।
৫. এরপর রুটির মধ্যে মাছের ঝুরি, টমেটো সস, টমেটো কুচি, শসা কুচি দিয়ে রোল করে পরিবেশন করুন।

কাবলি ছোলা

উপকরণ
কাবলি ছোলা, মটর ডাল ৫০০ গ্রাম, মসলা গুঁড়া (শুকনা মরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ) ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনে গুঁড়া ২ চা চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আলু সিদ্ধ ৩০০ গ্রাম, চিনি ১ চা চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ২ চা চামচ, তেজপাতা ২টি, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন গুঁড়া ১ চা চামচ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. ছোলা ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
২. কড়াইয়ে সয়াবিন তেল দিন। আদা ও রসুন বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে ছোলা, আলু সিদ্ধ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে লবণ দিয়ে আবার কষিয়ে নিন।
৩. তেঁতুলের ক্বাথ অল্প পানি দিয়ে লবণ, ভাজা জিরা গুঁড়া ও চিনি দিন।
৪. এরপর ডালের মধ্যে মসলা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, চিনি, ভাজা জিরা গুঁড়া, পাঁচফোড়ন গুঁড়া, কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে নামান।
৫. পরিবেশনের আগে ধনেপাতা কুচি, ঝুরি চানাচুর ও শসা দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কাবলি ছোলা।

Friday, December 2, 2011

জলপাইয়ের লাচ্ছি

উপকরণ: জলপাই কুচি ১ কাপ, চিনি ৫ টেবিল-চামচ, পানি ৫ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, বিটলবণ আধা চা-চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো, ধনেপাতা বা পুদিনাপাতা ১ মুঠা।


প্রণালি: ব্লেন্ডারে জলপাইসহ বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। গ্লাসে ঢেলে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন (বরফ কুচি দিয়ে)। চিনি ছাড়াও এই লাচ্ছি বানানো যাবে।

দুধ ও বাদামের ঠাণ্ডাই


উপকরণ
তরল দুধ ১ লিটার, পানি ২ কাপ, মধু ৩ টেবিল চামচ, মৌরি ৪ টেবিল চামচ, এলাচদানা আধা চা চামচ, লবঙ্গ ৩-৪টি, কিশমিশ সিকি কাপ, চিনাবাদাম আধা কাপ, কাজুবাদাম সিকি কাপ, পেস্তাবাদাম সিকি কাপ, জাফরান রং পরিমাণমতো, গোলাপজল ২ চা চামচ (ইচ্ছা), বরফ কুচি পরিমাণমতো।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. সব ধরনের বাদাম ভেজে খোসা ফেলে মিহি গুঁড়ো করে নিন।
২. কিশমিশ পেস্ট করে নিন।
৩. একটি পাত্রে পানি ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে এতে মৌরি, এলাচদানা ও লবঙ্গ দিয়ে ঢেকে ফুটিয়ে নিন। ১০-১২ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৪. জ্বাল করা মিশ্রণের সঙ্গে বাদাম গুঁড়ো, কিশমিশ পেস্ট, চিনি ও মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন।
৫. জাফরান রং দিয়ে দুধ ফুটিয়ে নিন। যেন সর না পড়ে খেয়াল রাখুন।
৬. জ্বাল দেওয়া দুধের সঙ্গে বাদামের মিশ্রণ মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে খুব ঠাণ্ডা করে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

খাসির কলিজা ভুনা



উপকরণ
খাসির কলিজা ১টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, এলাচ, দারুচিনি, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো ১ চা চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, তেল আধা কাপ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে মরিচ বাটা দিয়ে সব মসলা ও দই দিয়ে কষিয়ে কলিজা দিতে হবে।
২. এর পর সামান্য পানি দিয়ে কলিজা কষাতে হবে।
৩. ভুনা ভুনা হলে নামিয়ে নিতে হবে।
৪. এরপর তেলে ভাজা পরাটা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

লাবাং


উপকরণ
টকদই আধা কেজি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ, লবণ ১ চা চামচ (স্বাদমতো), বরফ কুচি পরিমাণমতো।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. টকদই, লবণ, চিনি ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন।
২. বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

Wednesday, November 30, 2011

পাহাড়ি দুই পদ



এই সময়ে অনেকেই বেড়াতে আসেন রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। এসে আদিবাসী খাবার তো চেখে দেখবেনই; বাড়ি ফিরেও যদি পাওয়া যেত এসব খাবারের স্বাদ! রাঙামাটির চাংপাং রেস্তোরাঁর সৌজন্যে দেওয়া হলো এখানকার দুই পদের রেসিপি।

মাছ হ্লা
[চাকমা আদিবাসীদের মাছের বিশেষ রান্না]
উপকরণ: ছয় টুকরা মাছ, সয়াবিন তেল তিন চামচ, আদা বাটা দেড় চামচ, কুচি কুচি করে কাটা তিনটি পেঁয়াজ, ফালি করা কাঁচা মরিচ পরিমাণমতো, রসুন বাটা এক চামচ, কর্নফ্লাওয়ার আধা চামচ, হলুদের গুঁড়া, বাহারপাতা, ধনিয়াপাতা ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: মাছের টুকরোগুলো ধনিয়াপাতা ও বাহারপাতা ছাড়া অন্য উপকরণ দিয়ে মেখে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। উপকরণমিশ্রিত মাছ গরম তেলে ছেড়ে দিন এবং পাঁচ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। পাঁচ মিনিট পর আধা কাপ পানি, বাহারপাতা ও ধনিয়াপাতা দিয়ে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর রান্না হওয়া মাছ সবুজ কলাপাতার প্লেট তৈরি করে এর ওপর দিয়ে খাবার টেবিলে পরিবেশন।

চুমোত কুড়ো এরা
[বাঁশের চোঙায় রান্না করা মুরগির মাংস]
উপকরণ: কাঁচা বাঁশের চোঙা ও কলাপাতা, ৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস, সয়াবিন তেল দুই চামচ, আদা বাটা দুই চামচ, দুটি পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ বাটা দুই চামচ, জিরা বাটা আধা চামচ, হলুদের গুঁড়া, ধনিয়াপাতা ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: ছোট ছোট টুকরো করা মুরগির মাংস সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে কাঁচা বাঁশের চোঙায় ঢুকিয়ে দিন। এবার সবুজ কলাপাতা দিয়ে বাঁশের মুখটি শক্ত করে ঢেকে দিন যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। এবার কাঁচা বাঁশের চোঙাটি জ্বলন্ত কয়লায় ছয় থেকে আট ইঞ্চি পরিমাণ ঢুকিয়ে ৪০ মিনিট রেখে দিন। ৪০ মিনিট পর প্লেটে বাঁশের চোঙাটি উল্টো করে ঝাঁকুনি দিয়ে মুরগির মাংস ঢেলে নিন এবং খাবার টেবিলে পরিবেশন করুন।

এ সময়ের সবজি


বাজার ভরে গেছে শীতের যত সবজিতে। বাড়িতে তো সবজি রান্না হবেই। সবজির কয়েকটি রেসিপি দিয়েছেন কল্পনা রহমান

ওরিয়েন্টাল শাসলিক
উপকরণ: শিম আধা কাপ, ক্যাপসিকাম ১টি, শসা আধা কাপ, মুরগির মাংস কিউব ৪-৫ টুকরো, ফুলকপি আধা কাপ, আদা ১ চা-চামচ, বাঁধাকপি আধা কাপ, রসুন ১ চা-চামচ, গাজর আধা কাপ, টমেটো সস আধা কাপ, শালগম পাতলা টুকরা আধা কাপ, সয়া সস ২ টেবিল চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ এবং শাসলিক কাঠি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: সব সবজি ১ ইঞ্চি কিউব করে কেটে নিতে হবে। মাখন বাদে ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মেরিনেট করে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। এবার পর্যায়ক্রমে সবজি ও মাংস কাঠিতে গেঁথে মাখন মাখিয়ে টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

সবজি বল
উপকরণ: গাজর আধা কাপ, আলু আধা কাপ, বরবটি আধা কাপ, ডিম ২টি, ফুলকপি আধা কাপ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদা ১ চা-চামচ, বাঁধাকপি আধা কাপ, রসুন আধা চা-চামচ, মটরশুঁটি আধা কাপ, জিরার গুঁড়া, টোস্ট গুঁড়া প্রয়োজনমতো, পনির, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, ময়দা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো এবং সয়াবিন তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: সব সবজি কুচি করে আদা, রসুন ও লবণ দিয়ে হালকা সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। সবজির সঙ্গে ডিম সেদ্ধ কুচি করে দিতে হবে। গোলমরিচ, জিরার গুঁড়া, পনির, কাঁচা মরিচ কুচি—সব একসঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মাখাতে হবে। ময়দা, লবণ ও মরিচ গুঁড়া দিয়ে পাতলা লেই বানিয়ে রাখতে হবে। এবার মাখানো সবজি বল করে ময়দার পেস্টে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে পরিবেশন করতে হবে।

সোনালি বাঁধাকপি
উপকরণ: বাঁধাকপি অর্ধেকটি, ময়দা ১ কাপ, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিট লবণ আধা চামচ এবং পানি ১ কাপ।
প্রণালি: বাঁধাকপির পাতা ছাড়িয়ে ৩-৪ ইঞ্চি চওড়া চার কোনা আকারে বড় বড় টুকরো করে কেটে নিতে হবে। ময়দা, লবণ, মরিচ, ধনেপাতার মিহি কুচি ও পানি দিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। বাঁধাকপির টুকরোগুলো পেস্টে ডুবিয়ে সোনালি করে ভেজে বিট লবণ ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

সবজি-বড়ির ঝোল
উপকরণ: ফুলকপি ১টি, শিম কয়েকটি, শালগম ১টি, টমেটো ৩টি, কুমড়ার বড়ি ১ কাপ, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, যেকোনো মাছ ৬-৭ টুকরো।

প্রণালি: বড়ি অল্প তেলে হালকা ভেজে নিতে হবে। লেবু ও লবণ দিয়ে মাছ ভালোভাবে ধুয়ে ভেজে রাখতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে সব বাটা মসলা দিয়ে কষাতে হবে, সঙ্গে একটি টমেটোকুচি দিতে হবে। টমেটো গলে গেলে সবজিগুলো একই রকম করে কেটে দিয়ে কষাতে হবে। এরপর গরম পানি দিতে হবে। ফুঠে উঠলে মাছ ভাজি, টমেটো টুকরো ও বড়ি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সবকিছু ভালোভাবে সেদ্ধ হলে নামানোর আগে ধনেপাতা দিয়ে দুই মিনিট চুলায় রেখে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

প্রেশার-কুকারে সবজি-বিরিয়ানি
উপকরণ: বাসমতী চাল ২ কাপ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, পেঁপে-গাজর-বরবটি যেকোনো সবজি দেড় কাপ, এলাচি-দারচিনি ২টি করে, আদাবাটা ১ চা-চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, তেল সিকি কাপ, বাদামবাটা ১ চা-চামচ, চিকেন কিউব ২টি, লবণ পরিমাণমতো এবং পানি ৩ কাপ।

প্রণালি: চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। সবজি ছোট টুকরো করে রাখতে হবে। কুকারে তেল ও গরম মসলা দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। চাল ছেঁকে নিয়ে কুকারের মসলা, চিকেন কিউব, সবজি ও চাল দিয়ে ২ মিনিট নেড়ে পানি দিতে হবে। লবণ চেখে কুকার বন্ধ করে দিতে হবে। ২টি হুইসেল এলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। প্রেশার কমে গেলে পরিবেশন।

Wednesday, November 23, 2011

হেমন্তের পিঠা-পুলি





ঘরে উঠেছে নতুন চাল। পিঠা-পুলি খাবার এই তো সময়। দেখুন শাহানা পারভীনের দেওয়া কয়েক রকম পিঠা তৈরির প্রণালি।

দই-মালপোয়া
উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, ময়দা ১ কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, তরল দুধ ২ কাপ, মিষ্টি দই ২ কাপ, গোলাপজল ৩-৪ ফোটা, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: কুসুম গরম দুধে চালের গুঁড়া, ময়দা, গুড় দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তবে মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা বা ঘন না হয়। কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে এক হাতা করে মিশ্রণ দিয়ে বাদামি করে পিঠা ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর গোলাপজল দিয়ে মিষ্টি দই ফেটে তার মধ্যে মালপোয়াগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করা যায় মজাদার দই-মালপোয়া।

চুসির পায়েস
উপকরণ: চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম, দুধ আধা লিটার, খেজুরের গুড় ১ কাপ, পানি পরিমাণমতো, লবণ সামান্য।
প্রণালি: কড়াইয়ে পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে একটু ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ২৫০ গ্রাম চালের গুঁড়া দিয়ে একটা মণ্ড তৈরি করতে হবে। রুটি বেলার পিঁড়িতে অল্প করে মণ্ড থেকে নিয়ে লম্বা করে লতার মতো বানিয়ে তা থেকে ছোট করে কেটে চুসি তৈরি করতে হবে। এবার সসপ্যানে দুধ ও গুড় জ্বাল দিয়ে তাতে চুসিগুলো দিয়ে ফুটাতে হবে। একটু ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায়।

চাপতি-পিঠা
উপকরণ: আতপ চাল ১ কাপ, পাঁচমিশালি ডাল (মুগ, মসুর, মটর, ছোলা, অড়হর) আধা কাপ, ডিম ১টি (ইচ্ছা), কাঁচা মরিচ কুচি ৪টি, পোড়া শুকনা মরিচ কুচি ১টি, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, তেল সামান্য।
প্রণালি: চাল ও ডাল একসঙ্গে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিতে হবে। তারপর বাকি সব উপকরণ দিয়ে মেখে একটি গোলা তৈরি করতে হবে। এবার ননস্টিক ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল দিয়ে তাতে দেড় হাতা করে গোলা দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে প্যান ঢেকে দিতে হবে। ৩-৪ মিনিট পর ঢাকনা তুলে নামান। চাপতি পিঠা ভুনা মাংস বা নরম খেজুর গুড়েরর সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

নারকেলের ভাপা পুলি
উপকরণ: সেদ্ধ করা চালের গুঁড়া ২৫০ গ্রাম, নারকেলের পুর ১ কাপ (নারকেল ও গুড় জ্বাল করা)।
প্রণালি: সেদ্ধ করা চালের গুঁড়া ভালো করে মাখিয়ে নিয়ে লুচির মতো ছোট ছোট লেচি বানিয়ে নিতে হবে। এবার লেচির মধ্যে নারকেলের পুর ভরে পুলির আকারে গড়ে প্রেশার কুকারে ১ কাপ পানি দিয়ে পিঠাগুলো ভাপে সেদ্ধ করতে হবে। ১টি হুইসেল দিলে নামিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে পরিবেশন করা যায় নারকেলের ভাপা পুলি।

Wednesday, November 16, 2011

জবর জলপাই






বাজারে উঠেছে জলপাই। তরকারির স্বাদ বাড়াতে জুড়ি নেই এর। মাছ, মাংস—সব রান্নাতেই ব্যবহার করতে পারেন জলপাই। এমন কয়েকটি রেসিপি দিয়েছেন কল্পনা রহমান।

হাতমাখা মাছে জলপাই
উপকরণ: ছোট মাছ ৫০০ গ্রাম, সরিষাবাটা ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৫০০ গ্রাম, আদাবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, সরিষার তেল সিকি কাপ, জলপাই ৫-৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: মাছ কেটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। মাছ ও জলপাই ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে হাত ধোয়া অল্প পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ভালোভাবে ফুটে উঠলে সব মাছ ছড়িয়ে দিতে হবে। ঢেকে রান্না করতে হবে। মাছ মাখা মাখা হলে নামানোর একটু আগে জলপাই টুকরা করে দিতে হবে। ধনেপাতা দিতে হবে। চুলার ওপর দুই মিনিট রেখে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ছড়া কচুর ঘাঁটা
উপকরণ: ছড়া কচু ৫০০ গ্রাম, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, জলপাই ৬-৭টি, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেপাতা ২ টেবিল-চামচ, আস্ত সরিষা আধা চা-চামচ, তেল ৬ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: চিংড়ির মাথা ধুয়ে পরিষ্কার করে বেটে রস বের করে ছেঁকে রাখতে হবে। ছড়া কচু ধুয়ে সেদ্ধ করে ছিলে অল্প পানি দিয়ে ভেঙে রাখতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিতে হবে। একটু পর চিংড়ি দিতে হবে। এরও একটু পর মাথার রস, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ, জিরা দিয়ে কষাতে হবে। এবার কচু ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। একটু ঘন হলে জলপাই ও ধনেপাত দিতে হবে। বাকি ২ টেবিল-চামচ তেলে সরিষার ফোড়ন দিয়ে কচু ঘাঁটায় ঢেলে দিতে হবে। এবার নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

জলপাইয়ের লাচ্ছি
উপকরণ: জলপাই কুচি ১ কাপ, চিনি ৫ টেবিল-চামচ, পানি ৫ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, বিটলবণ আধা চা-চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো, ধনেপাতা বা পুদিনাপাতা ১ মুঠা।
প্রণালি: ব্লেন্ডারে জলপাইসহ বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। গ্লাসে ঢেলে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন (বরফ কুচি দিয়ে)। চিনি ছাড়াও এই লাচ্ছি বানানো যাবে।

আচারি মাংস ভুনা
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, টক দই সিকি কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, সিরকা আধা কাপ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, মেথি আধা চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, ঘি ও তেল আধা কাপ, জলপাইয়ের আচার ৪ টেবিল-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে আদা, রসুন, পেঁয়াজবাটা, টক দই, সিরকা, মরিচের গুঁড়া, বাদামবাটা দিয়ে আধা ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখতে হবে। পাত্রে তেল ও ঘি দিয়ে মেথির ফোড়ন দিতে হবে। এবার মেরিনেট করা মাংস দিয়ে রান্না করতে হবে। মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করে মাংস যখন সেদ্ধ হয়ে যাবে, তখন জলপাইয়ের আচার দিয়ে আরও ১০ মিনিট দমে রেখে গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

কোয়েল ডিমে জলপাইয়ের কোরমা
উপকরণ: কোয়েল পাখির ডিম ১২টি, পেঁয়াজবাটা সিকি কাপ, জলপাই ৬টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ১ কাপ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেলবাটা ২ চা-চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, ঘি ১ চা-চামচ, তেল সিকি কাপ।
প্রণালি: ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে অল্প তেলে ভেজে রাখতে হবে। জলপাই লম্বালম্বিভাবে কয়েকটা চির দিয়ে নিতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষাতে হবে। মসলায় সুন্দর ঘ্রাণ এলে নারকেলের দুধ দিতে হবে। ফুটে উঠলে ডিম ও জলপাই দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। একটু পর বেরেস্তা, চিনি ও ঘি দিয়ে দুই মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

তথ্য সুত্র: প্রথম আলো , তারিখ: ১৫-১১-২০১১