Sunday, March 27, 2016

পাকা কলার কাস্টার্ড







উপকরণ :
ডিমের কুসুম ২ টি
চিনি আধা কাপ
কাস্টার্ড পাউডার ২ টেবিল চামচ
কাস্টার্ড সস
দুধ (হালকা গরম) আধা লিটার
পাকা সাগর কলা ২ টি।

রস্তুত প্রণালী :
ডিমের কুসুম ও চিনি এক সঙ্গে মেশাতে হবে। এরপর সিকি কাপ দুধে কাস্টার্ড পাউডার গুলিয়ে নিয়ে ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন। পরে দুধ হালকা আঁচে চুলায় বসিয়ে নাড়তে থাকুন। কাস্টার্ড সস ফুটে ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। পাকা কলা টুকরা করে ঠান্ডা কাস্টার্ড সস দিয়ে পরিবেশন করা যায়। ইচ্ছে করলে কেক, রসগোল্লা ইত্যাদি মিলিয়ে পরিবেশন করা যায়।

মিনি কাবাব






উপকরণ: হাড় ছাড়া যেকোনো মাংস আধা কেজি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ডিম ১টি, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, গোটা পেঁয়াজ ১০-১২টি, লবণ স্বাদমতো, ময়দা আধা কাপ, টুথপিক প্রয়োজনমতো, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।

রণালি: মাংস দেড় ইঞ্চি টুকরা করে কেটে সয়াসস দিয়ে মেখে ৪ ঘণ্টা রাখতে হবে। ডিম, ময়দা, গোটা পেঁয়াজ বাদে বাকি সব উপকরণ মাংসে মেখে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। ডিম, ময়দা, লবণ সামান্য পানি দিয়ে গুলে নিতে হবে। টুথপিকে মাংস, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ গেঁথে ডিম-ময়দার গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে অল্প আঁচে হালকা বাদামি রং করে ভেজে নামাতে হবে। মিনি কাবাব তেঁতুল বা টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

সহজ চিকেন বিরিয়ানি






উপকরণ:--
●বাসমতী চাল 700 গ্রাম (বাড়ির ভাতের চালেও করা যাবে )।
●মুরগির মাংস দেড় কেজি।
●পেঁয়াজ কুচি 4 টি বড় মতো
●পেঁয়াজ বেরেস্তা 1 কাপ
** ( পেঁয়াজ কুচি করে দুধে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।তেল খুব গরম হলে পেঁয়াজ কুচিগুলি তুলে নিয়ে ভাজুন।এতে পেঁয়াজে তাড়াতাড়ি বাদামি রঙ ধরবে এবং পেঁয়াজ কুচিগুলিও মুচমুচে হবে )।
●রসুন 8 কোয়া
●কাঁচালঙ্কা ঝাল অনুযায়ী
●আদাবাটা 2 টেবিলা চামচ
●গোটা আলু কয়েকটি মানানসই আকারের।
●টক দই 4 টেবিল চামচ
●গোটা মশলা যেমন--
লবঙ্গ,দারচিনি,এলাচ,জায়ফল,জয়িত্রী ,ধনে -- আন্দাজ মতো।
●দুধে ভেজানো জাফরান অথবা কামধেনু রঙ অল্প।
● কেওড়া জল আন্দাজ মতো।
●দেশী ঘি 2 টেবিল চামচ


রণালী:--
1)) প্রথমে গোটা মশলা গুলো মিক্সিতে পিষে নিন।
2) এবার কাঁচালঙ্কা,পেঁয়াজ , রসুন ও আদা মিক্সিতে পেষ্ট করে রাখুন।
3) টকদই --এ গুড়ো মশলাগুলো দিয়ে ফেটিয়ে রাখুন।
4) এবার মাংসের মধ্যে সব বাটা মশলা এবং -গুঁড়ো মশলা মেশানো টক দই ও নুন-চিনি দিয়ে মেরিনেট করুন। জল দিতে হবেনা।বেশি সময় ধরে মেরিনেট করলে মাংস নরম হয়। ফ্রিজেও রাখতে পারেন বেশ কিছু সময়।
5) এবার মেরিনেট করা মাংস ও গোটা আলু প্রেসার কুকারে দিয়ে 2/3 টি সিটি দিন।খেয়াল রাখবেন রান্নার সময় আঁচ হালকা করে নিতে হবে।
** বিরিয়ানি ভাতের জন্য যা যা করতে হবে:---
1) চাল অন্তত এক ঘণ্টা মতো জলে ভিজিয়ে রাখুন।
2) এবার একটিপাত্রে জল দিয়ে ফুটতে দিন।তাতে জল ঝরিয়ে চালগুলো দিয়ে দিন।ঐ সঙ্গে তেজপাতা ও নুন দিন।জলের পরিমাণ চাল অনুযায়ী দিতে হবে ।
3) ভাত একটু শক্ত থাকতে নামিয়ে নিন। মশারির নেটে ঢেলে দিয়ে ভাত ঝরঝরে করে নিন।এবার দুধে ভেজানো জাফরান দিয়ে অথবা অতি সামান্য কামধেনু রঙ দিয়ে ভাত সামান্য ঝাঁকিয়ে নিন।
**এবার সাজানোর অর্থাৎ লেয়ার বানানোর পর্যায় :---
একটি পাত্রে প্রথমে আন্দাজ মতো ভাত দিন। তারপর রান্না করা মুরগির মাংসের কয়েকটি টুকরো, আলু এরপর পেঁয়াজ ভাজা অর্থাৎ বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন।পুনরায় একইভাবে লেয়ার বানান।সবশেষে কেওড়ার জল ছড়িয়ে দিন।এবার 2 টেবিল চামচ দেশী ঘি ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
4) এইবার উনানে একটা তাওয়া রেখে কিংবা একটি ফুটন্ত জলের পাত্রের উপর বিরিয়ানির পাত্রটি বসিয়ে রাখুন 20 -- 25 মিনিট মতো।
**বিরিয়ানির পাত্রের ঢাকনা ভালভাবে বন্ধ করতে হবে।দরকার হলে মাখা ময়দার প্রলেপ দিয়ে ফাঁক বন্ধ করলে ভাল হয়।

Saturday, March 26, 2016

মজাদার ইলিশ পোলাও






উপকরণ:
ইলিশ মাছ ৮ টুকরা।
পোলাওর চাল ১/২ কেজি
আদা বাটা ১ চা চামচ
রসুন বাটা ১/২ চা চামচ
টকদই ১ কাপ
তেল ১/২ কাপ
দারচিনি ২ সেমি ২ টুকরা
এলাচ ৪টি
পেঁয়াজ বাটা ৩/৪ কাপ
পেঁয়াজ স্লাইস ৩ টেবিল চামচ
পানি ৪ কাপ
কাঁচামরিচ ৬টি
চিনি ১ চা চামচ
লবণ স্বাদ অনুযায়ী।


প্রস্তুত প্রনালি:
১। মাছ আঁশ ছাড়িয়ে ধুয়ে মাথা ও লেজ কেটে মাঝের অংশ ৮- টুকরা করুন। একবার বেশি পানিতে ধুয়ে পানি ঝরান। আদা, রসুন, লবণ ও দই মাখিয়ে ১৫ মিনিট মেরিনেট করুন।
২। মাছ রান্নার হাঁড়িতে তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ দিয়ে নেড়ে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে মসলা কষান। মসলা ভুনা হলে মাছ দিয়ে কম আঁচে ২০ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। মাঝে মাছ একবার উল্টে দিন। পানি তেলের উপর উঠলে নামান। হাঁড়ি কাত করে রাখুন।
৩। পোলাও রান্নার হাঁড়িতে মাছের ভুনা মসলা থেকে ২ টেবিল চামচ তেল নিয়ে অন্য একটা হাড়িতে দিন। স্লাইস করা পেঁয়াজ সোনালী করে ভাজুন। পানি ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে ঢাকুন।
৪। পানি ফুটে উঠার সাথে সাথে চাল দিয়ে নাড়ুন। আবার দু-একবার ফুটলে ঢেকে মৃদু আঁচে ১৫ মিনিট রাখুন। চুলা থেকে নামান।
৫। মাছ মসলা থেকে তুলে আলাদা রাখুন। পোলাওর ঢাকনা খুলে দুই-তৃতীয়াংশ পোলাও তুলে নিয়ে বাকি পোলাওর উপর মাছের তেল, মসলা, চিনি ও ৪টি কাঁচামরিচ দিয়ে তুলে রাখা পোলাও থেকে অর্ধেক দিয়ে ঢেকে ২-৩ মিনিট দমে রাখুন। পোলাওর উপর মাছ বিছিয়ে বাকি পোলাও দিয়ে মাছ ঢাকুন। উপরে বাকি কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে ১০-১৫ মিনিট দমে রাখু।

পরিবেশন

Thursday, March 24, 2016

সুস্বাদু পেঁড়া মিষ্টি







উপকরণঃ
- ঘি ২ টেবিল চামচ,
- কন্ডেন্সড মিল্ক ৪ টেবিল চামচ,
- গুঁড়ো দুধ আধা কাপ + ২ টেবিল চামচ

রণালীঃ
- ওভেনে ঘি গরম করে নিন ১ মিনিট।
- বের করে কন্ডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে আবার ওভেন এ গরম করুন ১ মিনিট।
- এবার অল্প অল্প করে গুঁড়ো দুধ মিশান। হাত দিয়ে অথবা চামচ দিয়ে।
- গরম থাকতে থাকতেই পেঁড়ার মত আকার করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যাবে। -হয়ে গেল দারুন মজার পেড়া মিস্টি।

Tuesday, March 22, 2016

পাঞ্জাবী মুঠি কাবাব








পুষ্টিগুণঃ
একটি মাঝারী আকৃতির মুঠো কাবাবে আছে ১৬০ ক্যালোরি, ৪ গ্রাম ফ্যাট, ১০৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৩২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ২৬ গ্রাম প্রোটিন।

উপকরণঃ
- ১/২ কেজি গরুর/খাসির কিমা
- ১ টেবিল চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- পেঁয়াজ কিমা আধা কাপ,
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
- ১ টেবিল চামচ কাঁচামরিচ কুচি
- ১ চা চামচ আদা বাটা
- ১ চা চামচ রসুন বাটা
- ১/২ চা চামচ চিনি
- ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার/ময়দা
- তেল ভাজার জন্য
- সরিষার তেল মাখানোর জন্য
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী

প্রস্তুত প্রণালীঃ
- কিমা করা মাংসকে পাটায় আরেকবার ছেঁচে নিন। না নিলেও সমস্যা নেই, তবে নিলে ভালো।
- কিমা ভালো করে ধুয়ে পানি ছেঁকে নিন।
- কিমায় গরম মশলা, আদা বাটা, রসুন বাটা, সরিষার তেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, কর্ন ফ্লাওয়ার, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি মাখিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন।
- মাঝারী আঁচে চুলায় ফ্রাই প্যান দিয়ে মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।
- এবার হাতে একটু তেল মাখিয়ে নিয়ে কিছুটা মিশ্রন হাতের মুঠোয় নিন।
- মুঠোয় চেপে চেপে আকার দিয়ে গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিন।
- কাবাব লাল করে ভেজে তুলে কিচেন টিস্যুতে তুলে নিন।
- পরোটা, সস কিংবা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম মুঠি কাবাব।

মসলা মাখা " আলুর দম "








পুষ্টিগুণঃ
এক কাপ দম আলুতে আছে ৩৭৭ ক্যালরী, ২১.৭ গ্রাম ফ্যাট, ১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৮৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৯ প্রোটিন।
উপকরণঃ
- আলু আধা কেজি (ছোট গোল আলু অথবা চারকোনা করে কাটা আলু)
- আদাবাটা ১ চা-চামচ
- জিরা গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- মরিচের গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- তেজপাতা ১/২টি
- দারচিনি মাঝারী আকৃতির ৩/৪টি
- এলাচি ২টি
- টমেটো পিউরী ৪ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ ৩/৪ টি ফালি করা
- আস্ত জিরা আধা চা চামচ
- চিনি সামান্য
- তেল পরিমাণ মত
- লবণ পরিমাণ মত
- কিশমিশ- ইচ্ছা

প্রণালীঃ
- আলু হালকা সেদ্ধ করে নিন।
- কড়াইয়ে তেল গরম করে সেদ্ধ আলু হালকা ভেজে তুলে নিন।
- এবার আরেকটা কড়াইতে অল্প তেলে গোটা জিরা, এলাচি, দারচিনি একটু ভেজে নিন।
- তারপর তেজপাতা, আদাবাটা, মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া, হলুদ গুড়া ও লবণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।
- মসলা কষে উপরে তেল উঠে এলে ভাজা আলু দিয়ে দিন।
- এবার কড়াইয়ে সামান্য পানি, অল্প চিনি, টমেটো পিউরি ও কিশমিশ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন।
- এবার কাঁচা মরিচ ফালি দিন।
- খেয়াল রাখুন আলু গলে না যায়। এবার মাখা মাখা ঝোল করে নামিয়ে নিন।
- উপর ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে বিকেলের পরিবেশন করুন মজাদার আলুর দম।

শাহী লাচ্ছি







উপকরণ
মিষ্টি দই – ১ কাপ
ঠাণ্ডা পানি – ১ কাপ
চিনির সিরাপ \ চিনি – ২ টেবিল চামচ
গোলাপ জল – ১ চা চামচ
বরফ কুচি – পরিমান মতো
রূহ আফজা- রঙ হওয়ার জন্য



প্রনালি
-ব্লেন্ডারে মিষ্টি দই, ঠাণ্ডা পানি , চিনি, গোলাপ জল, রূহ আফজা ও বরফ কুচি দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন । চিনির বদলে চিনির সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন ।
-যাদের বাসায় ব্লেন্ডার নেই তারা হাত দিয়ে ভাল করে ফেটে নিতে পারেন ।
-সব কিছু ভাল করে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন প্রান জুড়ানো লাচ্ছি।


KFC চিকেন ফ্রাই







উপকরণ :-
হাড় চামড়া সহ চিকেন - ১ কেজি
টেস্টিং সল্ট - ১ চা চামচ
বেকিং সোডা - ১ চা চামচ
ওয়েস্টার সস - ১ চা চামচ
কাল গোল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
চিলি সস - ২ টেবিল চামচ
কর্ণ ফ্লাওয়ার - ২ টেবিল চামচ
লবন - ১/৪ চা চামচ
চিকেন বড় বড় টুকরো করে সব উপকরণ দিয়ে মেরিনেট করে রাখুন ১০-১২ ঘন্টা ।
ব্যাটার :-
পেপ্রিকা অথবা লাল গুঁড়া মরিচ - ১ চাচামচ
সাদা গোল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
চিলি সস - ১ টেবিল চামচ
যেকোনো আটা - ১/২ কাপ
কর্ণ ফ্লাওয়ার - ২ টেবিল চামচ
বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ
লবন স্বাদ অনুযায়ী
টেস্টিং সল্ট - ১ চা চামচ
অল্প পরিমান পানি
( সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করুন । )
কোটিং :-
কর্ণফ্লেক্স - ১ কাপ
চিপস - ১ কাপ
ব্রেডক্রাম্ব - ১ কাপ
( সব এক সাথে মিশিয়ে গুঁড়া করে নিন । বেশি গুঁড়া করবেন না ।)
তেল ভাজার জন্য


প্রনালি :-
- মেরিনেট করা চিকেন ১০ মিনিট স্ট্রিম করে নিন।
- কোটিং একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে নিন ।
- এবার চিকেন ব্যাটার এর মধ্যে ভাল করে ডুবিয়ে নিন ।
- ব্যাটার এ ভাল করে মিশানোর পর কোটিং এর প্যাকেটে চিকেনগুলো দিয়ে ভাল করে ঝাকান ।
- এবার ভাল ভাবে ডুবো তেলে অর্ধেক ভেজে নিন ।
- অল্প বাদামি কালার হয়ে হয়ে আসলে নামিয়ে টিস্যুর উপর রাখুন ।
- মোটা কটিং এর জন্য আবার ও ব্যাটার এর মধ্যে ভাল করে ডুবিয়ে নিন পরে কটিং এর প্যাকেট মধ্যে দিয়ে ঝাকিয়ে নিন ।
- এবার ডুবো তেলে মচমচে বাদামি কালার করে ভেজে তুলুন ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর সাথে চিলি সস দিয়ে পরিবেশন করুন দারুন মজাদার KFC
চিকেন ফ্রাই ।
আমাদের পরবর্তী রেসিপি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর রেসিপি পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

KFC-এর পটেটো ওয়েজেস






উপকরনঃ
-৫/৬ টি বড় আকৃতির আলু (তিন কোনা করে কাটা)
-১ কাপ দুধ
-১ টি ডিম
-১ কাপ ময়দা
-১/২ চা চামচ টেস্টিং সল্ট


রণালীঃ

প্রথমে আলু কেটে আদা বাটা ও সামান্য লবন দিয়ে পানিতে সামান্য সিদ্ধ করে নিন।
পানি ফুটলে তাতে আলু মাত্র ২ মিনিট রাখুন ।
খেয়াল রাখবেন পুরো সিদ্ধ যেন না হয়ে যায়।
একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে তাতে দুধ দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর আলুর টুকরো গুলো ঠাণ্ডা করে ডিমের মিশ্রণে চুবিয়ে রেখে দিন ১৫-২০ মিনিট।
একটি পাত্রে ময়দা, মরিচ গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো, লবন, টেস্টিং সল্ট একসাথে মিশিয়ে রাখুন।
একটি প্যান গরম করে এতে ডুবো তেলে ভাজা যায় তেমন ভাবে তেল ঢালুন। চুলোর আঁচ মাঝারি রাখুন ।
তেল বেশী গরম করবেন না।
তেল বেশী গরম হলে ওয়েজের ওপরের অংশ পুরে যাবে কিন্তু ভেতর কাঁচা রয়ে যাবে।
এরপর ডিম ও দুধের মিশ্রন থেকে আলুগুলো তুলে ময়দার মিশ্রণ দিয়ে ভালো মত ঢেকে দিন।
ময়দার শুকনো মিশ্রণ আলুর গায়ের ডিম ও দুধের মিশ্রণে লেগে যাবে। তারপর গরম তেলে আলুগুলো দিয়ে ভাজতে থাকুন।
সব দিক ভালো করে ভাজার জন্য আলুগুলো মাঝে মাঝেই নেড়ে দেবেন।
২ মিনিট ভেজে তেল থেকে নামিয়ে ফেলুন।
একদম ঠাণ্ডা হতে দিন।
এরপর আবার তেলে দিয়ে ৫ মিনিট ভেজে নামিয়ে ফেলুন।
সসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার পটেটো ওয়েজেস।


তন্দুরি চিকেন বিরিয়ানী






উপকরণ ১:
----------------
মুরগি এক কেজি চার টুকরা
আদা রসুন বাটা দুই চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া এক চা চামচ
তন্দুরি মসলা দুই চা চামচ


লেবুর রস দুই টেবিল চামচ
ঘি দুই টেবিল চামচ
সয়াবিন তেল দুই টেবিল চামচ
টক দই পৌনে এক কাপ
লবণ স্বাদমতো এবং জর্দার রং পছন্দ মত
উপকরণ ২:
পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম
গরম পানি দেড় লিটার
আদা বাটা এক চা চামচ
আস্ত এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ তিনটি করে
কাঁচা মরিচ পাঁচটি
লবণ স্বাদমতো
গুঁড়ো দুধ এক টেবিল চামচ
চিনি এক চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
ঘি এক কাপ
কেওড়া বা গোলাপ জল এক টেবিল চামচ

প্রণালি ১:
-মুরগি চার টুকরা করে ধুয়ে ভালোভাবে পানি নিংড়ে নিন। মুরগির গায়ে ছুরি দিয়ে আঁচড় কেটে দিন।
-সব উপকরণ দিয়ে মুরগি ম্যারিনেট করে রাখুন দুই ঘণ্টা।
-এবার মুরগির টুকরাগুলো ২০ মিনিট গ্রিল করুন।
-হালকা বাদামি রং হবে।
প্রণালি ২:
-চুলায় হাঁড়ি চাপিয়ে ঘি দিন।
-গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি বেরেস্তা করে দিন। অর্ধেক বেরেস্তা তুলে রাখুন।
-এবার গোটা গরম মসলা দিয়ে আগে থেকে ধুয়ে রাখা চালে আদা বাটা দিন।
-চাল সামান্য ভেজে পানি দিন। গুঁড়ো দুধ ও লবণ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন।
-চাল ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ, চিনি ও মটরশুঁটি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন।
-পোলাওয়ের পানি টেনে এলে অর্ধেক পোলাও উঠিয়ে গ্রিল করা মোরগ দিয়ে বাকি পোলাও দিয়ে ঢেকে ওপরে কেওড়া জল ছড়িয়ে ৩০ মিনিট দমে রাখুন।
-তুলে রাখা পেঁয়াজ বেরেস্তার মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করুন।

পটেটো চিজ বল



উপকরণ:
সিদ্ধ আলু – ৪ টি,মোজারেলা চিজ বা পনির – আধা কাপ,পেঁয়াজ বেরেস্তা করা – ১ টি,কাঁচা মরিচ কুচি – ২ টি,ডিম – ২ টি,সিদ্ধ করা ভুট্টার দানা- আধা কাপ,চাট মশলা – ১ টেবিল চামচ,গরম মশলা গুঁড়া – আধা চা চামচ,কর্ণ ফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ,লবণ – স্বাদ মতো,ধনে পাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ,
ব্রেড ক্রাম – ১ কাপ,তেল – ভাজার জন্য


প্রনালি:
আলু সিদ্ধের সাথে ভুট্টা, পেঁয়াজ কুচি (চাইলে নাও দিতে পারেন) , কাঁচা মরিচ কুচি , ধনে পাতা কুচি , চাট মশলা , গরম মশলা , কর্ণ ফ্লাওয়ার , একটি ডিমের সাদা অংশ ও লবন দিয়ে খুব ভাল করে মাখিয়ে নিন ।একটি বাটিতে ডিম সামান্য লবন দিয়ে ফেটিয়ে রাখুন । চিজ ছোট টুকরা করে রাখুন ।এবার আলুর মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন । প্রত্যেক বলের মধ্যে আঙুল দিয়ে ছোট গর্ত করে চিজের ছোট টুকরা একটা করে ভরে দিয়ে পুনরায় বলটি গোল করে নিন । এভাবে সবগুলো বল তৈরি করে নিন ।এবার বলগুলো ডিমের গোলায় চুবিয়ে ব্রেড ক্রামে জড়িয়ে গরম তেলে সোনালী করে ভেজে নিন । সস বা চাটনির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মচমচে পটেটো চিজ বল ।

আলু পরটা







উপকরন:
ডো এর জন্য-
ময়দা ২ কাপ
তেল ২ টেবিল চামচ
পানি আন্দাজ মতো
আস্ত টালা জিরা অল্প ।
ভর্তার জন্য :আলু ৪/৫ টি
লবন আন্দাজমতো
পেয়াজ মিহি কুচি ১/৪ কাপ
ধনেপাতা পছন্দ অনুযায়ি
সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ
টালা শুকনা মরিচ ২/৩ টি
ভাজার জন্য তেল. 


প্রণালী: প্রথমে আলুকে সেদ্ব করে হাত দিয়ে ভালো করে চটকায়ে নিবেন ।তেল বাদে ভর্তার সব উপকরন দিয়ে আলুকে মাখিয়ে নিবেন ।তারপর প্যান এ সরিষার তেল দিয়ে আলু ভর্তা দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে ঠান্ডা করে নিবেন ।তারপর আলুভর্তার সাথে ময়দা+লবন+টলা আস্ত জিরা+তেল ও আন্দাজমতো পানি দিয়ে মাখিয়ে ছোট ছোট লেচি কেটে বেলে নিবেন ।তারপর পরাটার মতো কম তেল দিয়ে ভেজে চাটনির সাথে পরিবেশম করুন ।

ঝিঙে ফ্রিটার


উপকরণ: ঝিঙে মাঝারি আকারের ১টা, বেসন আধা কাপ, চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১ চা-চামচ, ম্যাগি চিকেন কিউব ১টা, বেকিং সোডা ১ চিমটি, লবণ স্বাদমতো (চিকেন কিউবে লবণ থাকে), তেল ভাজার জন্য ও ফ্রিজের ঠান্ডা পানি প্রয়োজনমতো।

রণালি: কচি ঝিঙে খোসাসহ ধুয়ে একটু খানি কেটে মুখে দিয়ে দেখুন তেতো লাগে কি না। তেতো লাগলে সেটা বাদ নিয়ে অন্য ঝিঙে নিতে হবে। ঝিঙের ধারালো অংশ কেটে ফেলে দিন। খোসাসহ পাতলা গোল গোল চাক করে কেটে নিয়ে কিচেন টিস্যুতে রেখে হালকা চেপে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, চিকেন কিউব, বেকিং সোডা, লবণ আর ঠান্ডা পানি নিয়ে ভালো করে গুলে ঘন গোলা তৈরি করে নিন। এবার সেখানে ঝিঙের টুকরাগুলো চুবিয়ে নিয়ে গরম ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে টমেটো সস, চিলি সস অথবা ধনেপাতার চাটনি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। বেকিং সোডা ও পানির বদলে খুব ঠান্ডা সোডা ওয়াটার ব্যবহার করলেও ফ্রিটার মচমচে হবে।

স্টাফড চিচিঙ্গা






উপকরণ: কচি চিচিঙ্গা ১টা, মুরগির কিমা ২৫০ গ্রাম, বড় পেঁয়াজ ১টা কুচি করে কাটা, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, মোজারেলা চিজ কুচি ৪ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো ও তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: চিচিঙ্গার খোসা আঁচড়ে নিয়ে আড়াই ইঞ্চি আকারের গোল রিং করে কেটে ভেতরের বীজের অংশ বের করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর ফুটন্ত লবণ-পানিতে ৮ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে কিচেন টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। বাইরে অল্প করে মাখন মেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। অন্য একটা প্যানে ১ টেবিল চামচ তেলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে আদা-রসুনবাটা ও মরিচ গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে মুরগির কিমা দিন। কিমার গায়ের পানি শুকিয়ে গেলে স্বাদমতো লবণ আর অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। কিমা সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে টমেটো সস মিশিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর চিচিঙ্গার রিঙের মধ্যে চেপে চেপে রান্না করা কিমা ভরে ওপরে মোজারেলা চিজ কুচি দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর বেকিং ট্রেতে অল্প তেল মাখিয়ে নিয়ে চিচিঙ্গার রিংগুলো সাজিয়ে ওপরে চিজ ছড়িয়ে দিয়ে ১৮০ ডিগ্রি প্রিহিট করা ওভেনে ১২ থেকে ১৫ মিনিট বেক করে নিন। ওভেন না থাকলে চুলায় করা যাবে। সে ক্ষেত্রে প্যানে অল্প তেল দিয়ে কিমা ভরা রিংগুলো বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এক পাশ সোনালি হয়ে গেলে চিচিঙ্গা রিঙের ওপরে আর নিচে পাতলা খুন্তি দিয়ে ধরে খুব সাবধানে উল্টিয়ে নিন। এবার তার ওপরে মোজারেলা চিজ কুচি দিয়ে চিজ গলে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে চিচিঙ্গাও যেন সেদ্ধ হয়। তবে একদম নরম করা যাবে না। মুরগির কিমার বদলে গরুর কিমাও ব্যবহার করা যেতে পারে।

শজনে-মাশরুম স্যুপ


উপকরণ: শজনে ডাঁটা ৫টা, আলু ১টা (বড়), বাটন মাশরুম ৫টা (পাতলা করে কাটা), রসুন ১ কোয়া (কুচি কুচি করে কাটা), মাখন ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, স্বাদলবণ বা আজিনোমোতো সিকি চা-চামচ (যদি লাগে), শুকনো ওরিগ্যানো এক চা-চামচের তিন ভাগের এক ভাগ, কর্নফ্লাওয়ার ১ চা-চামচ, লেবুর রস স্বাদমতো ও পানি পরিমাণমতো।

রণালি: শজনের আঁশ ছাড়িয়ে ২ ইঞ্চি টুকরা করে নিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে কিউব আকারে কেটে নিতে হবে। তারপর প্রেশার কুকারে ২-৩ কাপ পানি দিয়ে শজনে আর আলু একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ডালঘুটনি বা স্ম্যাশার দিয়ে ঘুটে, ছাঁকনিতে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে নিতে হবে। অপর একটি পাত্রে মাখন দিয়ে রসুন কিমাটা হালকা ভেজে মাশরুম দিতে হবে। মাশরুম হালকা ভাজা হলে শজনে-সেদ্ধ আলুর কাই ঢেলে দিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে গোলমরিচ গুঁড়ো আর লবণ। ইচ্ছে হলে একটুখানি স্বাদলবণ বা আজিনোমোতো দেওয়া যেতে পারে। ভালোভাবে ফুটে উঠলে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে মিশিয়ে নিয়ে আবার একটু ফুটিয়ে নিন। শুকানো ওরিগ্যানো গুঁড়ো আর লেবুর রস মিশিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে। মনে রাখবেন, আলু পানি শুষে নেয়। তাই স্যুপ নামানোর সময় বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।