Thursday, September 30, 2010

খুব চেনা ৪ পদ


রিবেশনাতে যদি থাকে খানিক ভিন্নতা, তাহলে চেনা খাবারের স্বাদেও পাওয়া যায় পূর্ণ তৃপ্তি। এমনই ৪টি রেসিপি জেনে নিন আজ।

সিংগারা

যা যা লাগবে
আলু : ১ কেজি, কালোজিরা : ১ চা চামচ, লবণ : পরিমাণমতো, আদা বাটা : ১ চা চামচ, রসুন বাটা : ১ চা চামচ, মরিচগুড়া : ১ চামচ, তেল : ১-২ কাপ, কলিজা : ১/২ কেজি, পাঁচফোড়ন গুড়া : ১-২ চা চামচ, পাঁচফোড়ন আস্ত : ১-২ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
চুলায় তেল দিয়ে হালকা আঁচে পাঁচফোড়ন দিন। আদা-রসুন-মরিচ গুঁড়া দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করুন। এবার কলিজা দিয়ে কষিয়ে নিন। সবশেষে আলু দিয়ে কষিয়ে মাখা মাখা করে নামিয়ে নিন। ময়দার লুচি বেলে ভিতরে পুর ভরে সিংগারা শেইপ করে ডুবো তেলে ভেজে নিন।

গোলাপ পিঠা

যা যা লাগবে
ময়দা : ৪ কাপ, চিনি : ১ কাপ, চালের গুঁড়া : ১/২ কাপ, তেল : ২ কাপ, দুধ : ১/২ কাপ, বাদাম কুচি : ২ টেবিল চামচ, পানি :১ কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
চালের গুঁড়া, চিনি, দুধ, বাদাম কুচি পানি দিয়ে ভালো করে ক্ষিরসা তৈরি করে নিন। চুলায় পাত্র বসিয়ে পরিমাণমতো পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে ময়দা, দুধ চালের গুঁড়া দিয়ে শক্ত ডো (মিশ্রণটির এক ধরনের ঢলা) তৈরি করে নিন। ছোট ছোট ৩টা করে রুটি বেলে মাঝখান থেকে ৩ ভাগ করে কেটে গোলাপ পিঠা তৈরি করুন। ডুবো তেলে ভেজে চিনির সিরায় দিয়ে তুলে নিন, পরিবেশন করুন।

লুচি

যা যা লাগবে
ময়দা : ৪ কাপ, তেল : ১/২ কাপ, লবণ : পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার : ১ চা চামচ, পানি : পরিমাণমতো, তেল : ২ কাপ (ভাজার জন্য)।

যেভাবে তৈরি করবেন
ময়দা ও তেল ভালোমতো মেখে নিয়ে লবণ, বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে মোটামুটি শক্ত ডো (মিশ্রণটির এক ধরনের ঢলা) তৈরি করুন। এবার ছোট ছোট লেচি কেটে গোল সাইজে বেলে লুচি তৈরি করুন। এবার সেই লুচি ডুবো তেলে ভেজে নিন।

চটপটি

যা যা লাগবে
ডাবলিবুট : ১ কেজি, খাবার সোডা : ১ চা চামচ, পানি : ৩ কেজি, আদা-রসুন বাটা : ২ চা চামচ, লবণ : ১ চা চামচ, চাট মসলা : ১ চা চামচ, সিদ্ধ আলু : আধা কেজি, সিদ্ধ ডিম: ২টা, কাঁচামরিচ কুচি : ৪ টেবিল চামচ, পিঁয়াজ কুচি : ৪টা, হলুদগুড়া : সামান্য, মরিচগুঁড়া : ১/২ চামচ, তেঁতুলের টক : পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন
ডাবলি বুট খাবার সোডা দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। তৈরির আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। বুট পানি, হলুদ-মরিচ গুড়া, লবণ, আদা-রসুন বাটা দিয়ে হালকা আঁচে সিদ্ধ করুন। আলাদাভাবে আলু, ডিম, আদা সিদ্ধ করে নিন। এবার ডাবলি বুটের ওপর সেদ্ধ আলু ও ডিমের কুচি ছড়িয়ে দিয়ে টক, চাট মসলা, পিঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে নিন। এবার পরিবেশন করুন।

Thursday, September 23, 2010

সকালে মজার নাস্তা


সকালের নাস্তা মজাদার হলে সবারই মন ভরে ওঠে। আজ জেনে নিন সকালের নাস্তার দুটি রেসিপি।

কিমা ব্রেড

যা লাগবে

পাউরুটি ৮ পিস, মিহি কিমা ১ কাপ, পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ৪-৫টা, ডিম ১ টা, সয়াসস ১ চামচ, বাটার ৪ টেবিল চামচ, ধনিয়াগুঁড়ো ১ চা চামচ, মরিচগুঁড়ো ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট হাফ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আদা রসুন বাটা ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

মাইক্রোওয়েভ প্রুভ ডিসে ৪ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে ২টি ব্রেড গরম করে নিন। এবার কিমা সয়াসসসহ সব মসলা দিয়ে মেখে ৪ মিনিট কুক করে নিন। আরেকটি মাইক্রোয়েভ প্রুফ পাত্রে বাটার দিয়ে ব্রেডগুলো ৩০ সেকেন্ড করে গরম করে নিন। এবার ব্রেড, ডিম কিমা লেয়ারে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। কিমা ব্রেড চুলায় তাওয়া বসিয়ে সহজেই করতে পারেন।

রুমালি রুটি

যা লাগবে

ময়দা ৪ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, তেল আধা কাপ, ঠান্ডা পানি এক কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন

ময়দা লবণ তেল ও অল্প অল্প ঠান্ডা পানি দিয়ে নরম খামির তৈরি করে শুকনা ময়দার মধ্যে খামিরটা ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার খামির থেকে ছোট ছোট লেচি নিয়ে তেলের সাহায্যে রুমালি রুটি বেলে শুকনো তাওয়া অথবা কড়াইয়ের উল্টোদিকে সেকে নিন।

Wednesday, September 15, 2010

ঈদের পরেও মজার খাবার


ঈদের দিন সকাল থেকেই শুরু হয় জম্পেশ খাওয়াদাওয়া। ঈদের পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে এই আমেজ। ঈদ-আইটেমে সাদা পোলাও আর মুরগি থাকেই। আজ জেনে নিন দুটি রেসিপি।

সাদা পোলাও

যা লাগবে

পোলাও-চাল : ৪-৫ কাপ, দারচিনি : ৪ টুকরা, পানি : ৬ কাপ, এলাচ : ৪-৫টি, দুধ : ১ কাপ, লবঙ্গ : ৪টি, টকদই : সিকি কাপ, তেজপাতা : ২টি, ঘি : ১ কাপ, কাঁচামরিচ : ৮টি, আদাবাটা : ১ চা-চামচ, মাওয়া : সিকি কাপ, রসুনবাটা : আধা চা-চামচ, পোস্তদানাবাটা : ১ টেবিল-চামচ, কেওড়া : ১ টেবিল-চামচ, লবণ : ১ টেবিল-চামচ, কিশমিশ : ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজবাটা : ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি : আধা কাপ, চিনি : ১ চা-চামচ ও পেস্তা বাদামের কুচি : ১ টেবিল-চামচ।

যেভাবে করবেন

চাল ধুয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। ঘি গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে ওঠাতে হবে। ওই ঘিয়ের মধ্যে সব বাটা মসলা ও গরম মসলা, তেজপাতা, লবণ দিয়ে সামান্য কষিয়ে দই ও গরম পানি দিয়ে চাল দিতে হবে। পানি সামান্য শুকিয়ে এলে দুধ, চিনি, কিশমিশ ও মাওয়া দিয়ে দমে রাখতে হবে। কাঁচামরিচ, কেওড়ার পানি ও কিছু বেরেস্তা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে ২০-২৫ মিনিট দমে রাখুন।

কড়াই মুরগি

যা লাগবে

মুরগি : ১টি (মাঝারি সাইজের), পেঁয়াজকুচি : ১ কাপ, আদাবাটা : ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা : ১ চা-চামচ, টমেটো সস : ৪ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজবাটা : ৩ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া : আধা চা-চামচ, পোস্তদানাবাটা : ১ টেবিল-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া : ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়া করা : ১ চা-চামচ, লবণ : পরিমাণমতো, টকদই : সিকি কাপ, মিষ্টি দই : ২ টেবিল-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া : ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়িত্রীর গুঁড়া : সিকি চা-চামচ, কারি পাউডার : ১ চা-চামচ, ঘি : সিকি কাপ, তেল : আধা কাপ, মাখন : ২ টেবিল-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া : ১ চা-চামচ ও বাদামবাটা : ১ টেবিল-চামচ।

যেভাবে করবেন

মুরগির মাংস মাঝারি টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হলুদ ও সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখতে হবে। তেল, ঘি গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে সব বাটা মসলা কষিয়ে মুরগি দিয়ে কষাতে হবে। সব গুঁড়া মসলা, টকদই ও মিষ্টি দই দিয়ে কষাতে হবে। মাংস সেদ্ধ হওয়ার জন্য অল্প করে গরম পানি দিয়ে কষাতে হবে।

বাদামবাটা দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেলের ওপর এলে টমেটো সস দিয়ে নামাতে হবে। ছোট লোহার কড়াই আধা ঘণ্টা করে বেশি জ্বালে চুলায় রাখতে হবে। গরম কড়াইয়ে মাখন দিয়ে সব উপকরণ ঢেলে চুলা বন্ধ করে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে পরিবেশন করুন।

Thursday, September 9, 2010

ঈদের বিকেলে ঝাল ও মিষ্টি


ঈদের দিন দুপুরে ভারী খাবার তো খাওয়া হবেই। বিকেলে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে আড্ডায় চাই ঝাল-মিষ্টি নাশতা। দেখুন কল্পনা রহমানের দেওয়া রান্নাগুলো।

ক্ষীর সেমাই
উপকরণ: দুধ ২ কেজি, সেমাই আধা কাপ, সাগুদানা ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি সিকি কাপ, জাফরান এক চিমটি, কাঠবাদাম কুচি সিকি কাপ, কিসমিস ২ টেবিল চামচ, খুরমা কুচি সিকি কাপ, চিনি ১ কাপ। সাজানোর জন্য চেরি ও পেস্তা কুচি প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: সাগুদানা ধুয়ে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় দিতে হবে। ঘন ঘন নাড়তে হবে। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পাত্রে ঢালতে হবে। এবার ছোট ছোট পানতুয়া অথবা রসগোল্লা প্রয়োজনমতো পাত্রে দিতে হবে। ওপরে পেস্তা কুচি ও চেরি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। নামানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি ঘন হয়ে না যায়। কারণ ঠান্ডা হলে এটা জমে আসবে।

মুচমুচে ফিশ ফিঙ্গার
উপকরণ: কাঁটা ছাড়া যেকোনো মাছের টুকরা ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, পাউরুটি বড় ১ টুকরা, মুড়ি গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, আদা মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ডিম ২টা, লবণ প্রয়োজনমতো, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, পাউরুটি রুটি কুচি করা প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: মাছের টুকরার সঙ্গে আদা-রসুন বাটা, লবণ ও কাঁচা মরিচ কুচি অল্প পানি দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে নিতে হবে। কাঁটা বাছা মাছ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা কুচি, পাউরুটি ভেজানো, লেবুর রস, আদা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ডিমের কুসুম, মুড়ি গুঁড়া ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে লম্বা ফিঙ্গারের মতো বানাতে হবে। ডিমের সাদা অংশ, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার ও অল্প পানি দিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। এবার ফিশ ফিঙ্গার পেস্টে চুবিয়ে পাউরুটি কুচিতে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে বাদামি করে। প্লাস্টিকের স্টিক অথবা শাশলিক কাঠি ঢুকিয়ে পাত্রে সাজিয়ে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

রেশমি সেমাই
ক. উপকরণ: সেমাই ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, জর্দার রং সামান্য, ঘি আধা কাপ, এলাচ ও দারচিনি চারটি করে, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, আনারস আধা কাপ, কিসমিস, পেস্তাবাদাম ও কাঠবাদাম ১ কাপ, লবণ এক চিমটি।
প্রণালী: কিসমিস, কাঠবাদাম ও পেস্তা বাদাম অল্প ঘি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। সেমাই বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা করতে হবে। গরম পানিতে দিয়ে ভাপে ছেঁকে নিতে হবে। আনারস কুরিয়ে রস ছেঁকে ছোবাটা আধা কাপ মেপে নিতে হবে। এখন ভাপা সেমাই, চিনি, আনারসের ছোবা, এলাচ, দারচিনি গুঁড়া, লবণ ও জর্দার রং সামান্য গুলে দিতে হবে। তারপর একসঙ্গে মাখতে হবে। এবার পাত্রটি একটি তাওয়ায় অল্প জ্বালে দমে বসাতে হবে। আঘা ঘণ্টা পর পাত্রের ঢাকনা খুলে নেড়ে দিতে হবে।
খ. উপকরণ: জাফরান অল্প, ডিম ২টা, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, ডিমের জন্য চিনি সিকি কাপ, পানি ১ কাপ (ডিমের জন্য), ঘি সিকি কাপ (ডিমের জন্য)।
প্রণালী: উপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ঘি দিয়ে চুলায় দিতে হবে। ঘন ঘন নাড়তে হবে। একসময় এটি ছানার মতো হয়ে ঝরঝরে হবে; তখন আগে দমে দেওয়া সেমাইয়ের সঙ্গে ভালোভাবে মেশাতে হবে। বাকি ঘি ও বাদাম ভাজাগুলো মেশাতে হবে। পাঁচ মিনিট অল্প জ্বালে ঢেকে দমে রেখে বাটিতে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

দুররানি কাবাব
ক. উপকরণ: ডিম ৬টা, লবণ আধা চা চামচ, তরল দুধ সোয়া কাপ।
প্রণালী: উপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে পুডিং বানাতে হবে। ঠান্ডা করে উল্টিয়ে নামাতে হবে। এবার দেড় ইঞ্চি চওড়া করে কিউব কাটতে হবে।
খ. উপকরণ: মুরগির মাংস কিউব ২ কাপ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: মাংস দেড় ইঞ্চি চওড়া কিউব করে কাটতে হবে। এবার ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মেরিনেট করতে হবে আধা ঘণ্টা। এবার শাশলিক কাঠিতে এক টুকরা মাংস, এক টুকরা পুডিং এভাবে তিন টুকরা মাংস ও দুই টুকরা পুডিং গেঁথে কাবাবের কাঠিগুলো তৈরি করতে হবে।
গ. উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালী: উপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। এবার গেঁথে রাখা কাঠিগুলো পেস্টে চুবিয়ে ডুবোতেলে মাঝারি আঁচে বাদামি করে ভেজে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন।

টিপস-
১। এই কাবাব কাঠিতে গেঁথে দুই-তিন দিন ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনের সময় অল্প অল্প ভেজে পরিবেশন করা যায়।
২। যাঁরা তেল খেতে চান না তাঁরা ইচ্ছা করলে এই কাবাব ডাবল বয়লারে ভাপ দিয়ে ও সস দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

মিনি পরোটা ও মাংস


উপকরণ: ময়দা ৩ কাপ, গুঁড়ো দুধ ৩ টেবিল-চামচ, বাটার অয়েল ৪ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, কুসুম গরম পানি প্রয়োজনমতো, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি: ময়দা, গুঁড়ো দুধ, চিনি বাটার অয়েল লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ময়দা মাখিয়ে নিতে হবে। ময়দা যখন নরম হবে তা থেকে ১০টি লেচি কেটে নিতে হবে। ছোট ছোট রুটি বানিয়ে তাতে তেল ও শুকনো ময়দা ছিটিয়ে রোল করে নিন। পরে ছোট পরোটা/লুচি আকারে বেলে তেল দিয়ে ভেজে নিন।

মাংস

উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরো, এলাচ ৪টি, গোলমরিচ ৭-৮টি, লবঙ্গ ৭-৮টি, টমেটো সস ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, টকদই ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো, জিরা গুঁড়া সামান্য, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি।

প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করতে হবে। তারপর একটি সসপ্যানে তেল গরম করে তাতে মেরিনেট করা মাংস ঢেলে দিন। একটু কষে এক কাপ গরম পানি দিয়ে মৃদু আঁচে ৩০ মিনিট চুলার আগুনে মাঝে মাঝে মাংস নেড়ে দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হলে নামিয়ে পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

ডিম ডিমা ডিম


শীত আসছে। এই সময়টায় ডিম খাবার মজাই অন্যরকম। ডিমের নানারকম রান্না দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস

ডিমের কাশ্মীরি কোরমা
উপকরণ: সিদ্ধ ডিম ৬টি, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, ঘি সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, কিসমিস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রণালী: তেল, ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা কষিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে ১ কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা ও দই দিতে হবে। কিসমিস ও ডিম দিয়ে নামাতে হবে।

পাঁচমিশালি সবজি আর ডিমের পুর
উপকরণ: বড় ডিম ৪টি, মুরগির মাংসের মিহি কিমা ৪ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চামচ।
প্রণালী: কিমা, কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, চিনি একসঙ্গে মাখিয়ে ডিম ফেটিয়ে ডিমের সঙ্গে ভালোভাবে মিলিয়ে ব্যাটার তৈরি করে ১০-১২ মিনিট রাখতে হবে।
পুরের উপকরণ: ফুলকপি আধা কাপ, গাজর আধা কাপ, বরবটি আধা কাপ, বাঁধাকপি আধা কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, মাশরুম আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, কারি পাউডার ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ মুরগির কিমা আধা কাপ।
প্রণালী: সব সবজি আধা সিদ্ধ করে নিতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে কিমা ভুনতে হবে। এবার পর্যায়ক্রমে সব সবজি ও বাকি উপকরণ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে। ফ্রাইপ্যান গরম করে সামান্য তেল মাখিয়ে ১ কাপ ব্যাটার ফ্রাইপ্যানে দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোলা ছড়িয়ে দিতে হবে। এক পিঠ হলে উল্টিয়ে দিতে হবে। এভাবে সব কয়টি করতে হবে। রুটির একপাশে সবজির পুর রেখে রোল করে গোলানো ময়দা দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে। প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১০ মিনিট রাখতে হবে।

রুটি-ডিমের পুডিং
উপকরণ: বড় ডিম ৫টি, পাউরুটি ৪ টুকরা, কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, পনির ৬ টুকরা, বড় পাউরুটি ৪ টুকরা, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, ঘন কুসুম গরম দুধ আধা কাপ।
প্রণালী: পুডিং মোল্ডে আধা কাপ চিনি ও সিকি কাপ পানি দিয়ে ঘিয়ে রঙের ক্যারামেল তৈরি করে গরম অবস্থায় কিসমিস দিয়ে পাউরুটি টুকরা করে বসিয়ে নিতে হবে। ডিম, কনডেন্সড মিল্ক, পনির, এলাচ গুঁড়া, কাজু বাটা ও দুধ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মোল্ডে ঢেলে ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩৫-৪৫ মিনিট বেক করতে হবে। পুডিং ঠান্ডা হলে সার্ভিং ডিশে ঢেলে পরিবেশন করতে হবে। ব্রেড পুডিং হাঁড়িতে পানি দিয়ে ভাপে অথবা প্রেসার কুকারে ২০-২৫ মিনিটে পুডিং করা যায়।

ডিমের কোপ্তা কারি
উপকরণ: বড় ডিম ৬টি, গুঁড়া দুধ এক কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জায়ফল গুঁড়া সামান্য।
প্রণালী: ডিম ফেটিয়ে নিয়ে সব উপকরণ মিলিয়ে আবারও ফেটিয়ে পুডিংয়ের মোল্ডে অথবা সসপ্যানে ঘি অথবা মাখন লাগিয়ে ডিমের মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩০-৩৫ মিনিট বেক করতে হবে অথবা ভাপে সেদ্ধ করেও করা যায়।
ঠান্ডা হলে প্লেটে ঢেলে ছুরি দিয়ে ছোট ছোট টুকরা করতে হবে।
গ্রেভির জন্য: তেল আধা কাপ, ঘি সিকি কাপ, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, বেরেস্তা ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রণালী: তেল ও ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা ভালো করে কষিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে আবার কষাতে হবে। বেরেস্তা গুঁড়া করে দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে দেড় কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা দই দিয়ে ডিমের টুকরা দিতে হবে। তেলের ওপর এলে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

Tuesday, September 7, 2010

ঝালে মসলায় ঈদের রান্না


মাংসই তো এই ঈদে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হবে। তাই চাই মাংসের নানা রকম স্বাদ। দেখে নিন সিতারা ফিরদৌসের দেয়া ভিন্ন রকম কয়েকটি রেসিপি।

আচার মাংস
উপকরণ: খাসি বা গরুর মাংস দেড় কেজি। আম বা জলপাইয়ের আচার ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, তেজপাতা ৪টি, মেথি আধা চা চামচ, তেল ১ কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, টকদই আধা কাপ, চিনি ১ চা চামচ।
প্রণালী: মাংস টুকরা করে ধুয়ে সব বাটা মশলা, গুঁড়া মসলা, টকদই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল গরম করে মেথি ফোড়ন দিয়ে তেল ছেঁকে নিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে কষাতে হবে। মাংস কয়েকবার কষিয়ে পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, চিনি, আচার দিয়ে মাংস ভুনা ভুনা করে নামাতে হবে।

কড়াই গোশত
উপকরণ: খাসির মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ৩ কাপ, সরিষার তেল ১ কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ফালি ৮-১০টি, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, কারি পাউডার ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সিরকা ৩ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, মটরশুঁটি আধা কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, মেথি সামান্য।
প্রণালী: মাংস ছোট টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। গরম মসলার গুঁড়া ও কারি পাউডার বাদে সিরকার সঙ্গে বাকি বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা মিলাতে হবে। তেল গরম করে শুকনা মরিচ ও রসুনের ফোড়ন দিয়ে সিরকা মিলানো মসলা কিছুক্ষণ কষিয়ে মাংস ও পেঁয়াজ দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও লবণ দিতে হবে। মাঝে মধ্যে নেড়ে দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হলে টমেটো সস, মটরশুঁটি, কাঁচামরিচ, গরম মসলার গুঁড়া, কারি পাউডার দিতে হবে। কড়াইয়ে ঘি গরম করে মেথির ফোড়ন দিয়ে আধা কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা করে মাংস ঢেলে দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।

বিফ সিজলিং
উপকরণ: গরুর সামনের রানের মাংস পাতলা করে কাটা ৪০০ গ্রাম, ডিমের কুসুম ১টি, ময়দা ২ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস সিকি কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চা চামচ, স্বাদ লবণ আধা চা চামচ, পেঁয়াজ মোটা কুচি দেড় কাপ, টমেটো কিউব করে কাটা আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, শুকনো মরিচ চেরা ২টি, মাখন ১ টেবিল চামচ, গাজর পাতলা টুকরা আধা কাপ আধা সেদ্ধ করা।
প্রণালী: মাংস পাতলা টুকরা করে ডিমের কুসুম, ১ টেবিল চামচ সয়াসস, ফিশ সস দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মাংস মাখিয়ে অল্প ভেজে ওঠাতে হবে। ৬ টেবিল চামচ তেল গরম করে শুকনো মরিচ দিয়ে রসুন ভাজতে হবে। আদা, রসুন বাটা দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেয়াজ সামান্য নরম হলে গাজর, টমেটো সস, স্বাদ লবণ, লবণ ও চিনি দিয়ে মাংস দিতে হবে। সয়াসস, ওয়েস্টার সস, গোলমরিচ গুঁড়া, টমেটো দিতে হবে। সিজলিং ট্রে ৩০ মিনিট আগে চুলায় দিয়ে রাখতে হবে (নিউমার্কেট, গুলশানে তৈজসপত্রের দোকানে সিজলিং ট্রে কিনতে পাওয়া যায়)। ট্রে চুলা থেকে নামিয়ে গরম ট্রেতে মাখন দিয়ে মাংস ঢেলে দিতে হবে।

কাটা মসলার কোরমা
উপকরণ: গরুর মাংস ৩ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ৪ কাপ, বেরেস্তা ৩ কাপ, আদা মিহি কুচি ৪ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, আধা ভাঙা গোলমরিচ ১ চা চামচ, শুকনো মরিচ ৪ টুকরা করে কাটা ৪-৫টি, আস্ত কাঁচামরিচ ৮টি, টকদই ১ কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, দারচিনি ৬ টুকরা, ছোট এলাচ ৬টি, বড় এলাচ ২টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ৪টি, আলুবোখারা ৮টি, মাওয়া গুঁড়া আধা কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: মাংস টুকরা করে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। ২ কাপ বেরেস্তা, মাওয়া গুঁড়া, ঘি, গরম মসলার গুঁড়া, মরিচ ভাজা গুঁড়া, চিনি, মিষ্টি ও দই বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাংস মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। মাংস রান্নার হাঁড়িতে চিনি পুড়িয়ে সোনালি করে মাখানো মাংস ঢেলে গরম পানি দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে এলে মিষ্টি দই দিতে হবে। বেরেস্তার সঙ্গে গরম মসলার গুঁড়া, ভাজামরিচ গুঁড়া দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ঘি, কাঁচামরিচ ও মাওয়া গুঁড়া দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।

Monday, September 6, 2010

ঈদের সকালে ঝাল-মিষ্টি


ঈদের সকালে নাশতায় সেমাই তো থাকবেই। সঙ্গে ঝালটা হলে জমবে দারুণ! আজ জেনে নিন দুটি রেসিপি।

দুধ-সেমাই

যা লাগবে

দুধ : ১ লিটার, সেমাই : ১ কাপ, চিনির সিরা : ১ কাপ, ঘি : ১ টেবিল-চামচ, বাদামকুচি : ১ টেবিল-চামচ, কিশমিশ : ১ টেবিল-চামচ।

যেভাবে করবেন

সেমাই ঘি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিয়ে সেমাই ও চিনি দিন। সেমাইয়ে দুধ মিশে গেলে বাদামকুচি ও কিশমিশ দিন।

পরোটা ও ঝাল-মাংস

যা লাগবে

ময়দা : ৩ কাপ, গুঁড়ো দুধ : ৩ টেবিল-চামচ, বাটার অয়েল : ৪ টেবিল-চামচ, লবণ : আধা চা-চামচ, চিনি : ১ টেবিল-চামচ, কুসুম গরম পানি প্রয়োজনমতো, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে করবেন

ময়দা, গুঁড়ো দুধ, চিনি বাটার অয়েল লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ময়দা মাখিয়ে নিতে হবে। ময়দা যখন নরম হবে তা থেকে ১০টি লেচি কেটে নিতে হবে। ছোট ছোট রুটি বানিয়ে তাতে তেল ও শুকনো ময়দা ছিটিয়ে রোল করে নিন। পরে ছোট পরোটা/লুচি আকারে বেলে তেল দিয়ে ভেজে নিন।

Friday, September 3, 2010

ঠান্ডা ঠান্ডা ইফতারি


গরমে ইফতারিতে চাই মাজাদার ঠান্ডা পানীয়- যা একই সঙ্গে তৃপ্তি দেবে ও শরীরে পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করবে। আজ জেনে নিন এরকমই দুটি পানীয়র রেসিপি।



লেবু কলার ঠাণ্ডা

যা যা লাগবে

কলা : ৩টি, দই : দেড় কাপ, লেবুর রস : ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম : ১ টেবিল চামচ, চিনি : ১ টেবিল চামচ, বরফ কুচি : ১ কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন

কলা কেটে দই, লেবুর রস, বাদাম বাটা ও চিনি দিয়ে ব্লেন্ড করুন; ঠাণ্ডা পানি দিন; বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।


শসার শরবত

যা যা লাগবে

শসা : ১ কাপ, টক দই : ১ কাপ, পুদিনা পাতা : ১ চা চামচ, বিট লবণ : আধা চা চামচ, চিনি : ২ চা চামচ, কাঁচামরিচ : ১টি।

যেভাবে তৈরি করবেন

পুদিনা পাতা ধুয়ে নিন। শসা ধুয়ে স্লাইস করে কেটে নিন। টক দই, পুদিনা পাতা, বিট লবণ, কাঁচামরিচ, শসা ও চিনি দিয়ে ব্লেন্ড করুন; বরফ কিউব দিন অথবা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

Wednesday, September 1, 2010

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই


যা যা লাগবে
আলু : হাফ কেজি, ভাজার জন্য তেল : ১ কেজি, লবণ : পরিমাণমতো, টেস্টিং সল্ট : ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ : ১ চা-চামচ, ময়দা : কোয়ার্টার কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
আলু ছিলে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা ফালি করে কেটে নিন। এবার পাত্রে পানি দিয়ে ভাপ দিন। আলু ঠাণ্ডা করে নিন। এবার টেস্টিং সল্ট শুকনা মরিচ গুঁড়া ময়দা দিয়ে মেখে গরম তেলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভেজে তুলুন। তৈরি হয়ে গেল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। গরম গরম পরিবেশন করুন।

তেঁতুলের সস


উপকরণঃ তেঁতুলের রস এক কাপ, চিনি এক কাপ, লবণ আধা চা চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া এক চা চামচ, ভাজা মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ।

প্রণালীঃ সব উপকরণ একসঙ্গে জ্বাল দিতে হবে। এই সস যেকোনো খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।


টমেটো সস


উপকরণঃ টমেটো তিন কেজি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবঙ্গ আট-দশটি, দারুচিনি চার-পাঁচ টুকরো, শুকনা মরিচ ছয়-আটটি, লবণ আড়াই চা চামচ, চিনি এক কাপ, সিরকা এক কাপ।

প্রণালীঃ টমেটো ধুয়ে টুকরো করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কাটার সময় যেন রস থাকে।
টমেটো টুকরো, পেঁয়াজ কুচি, লবঙ্গ, দারুচিনি ও মরিচ একসঙ্গে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে চুলায় মৃদু আঁচে জ্বাল দিতে হবে। কয়েকবার নেড়ে নিতে হবে। টমেটো সিদ্ধ হয়ে ঘন হলে ঘুঁটে নিতে হবে। চালনিতে টমেটো মিশ্রণ ছেনে নিতে হবে। ছেনে নেওয়া টমেটো মিশ্রণ, লবণ, চিনি ও সিরকা একসঙ্গে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে রং ধরলে নামিয়ে ফেলুন।

বম্বে টোষ্ট


উপকরনঃ ডিম, স্লাইস করা ব্রেড, চিনি (পরিমানমত)


এবার শুরু করুন কাজঃ

ডিমটাকে ফেটিয়ে নিন বাটিতে, এরপর প্রয়োজনীয় পরিমান চিনি মেশান..............এরপর স্লাইস করা ব্রেডে মাখিয়ে নিন এমনভাবে যাতে ব্রেডের সব সাইড এ ডিম+চিনির মিশ্রন পৌঁছে। এরপর সসপ্যানে হালকা তেলদিয়ে একটু কাত করে নড়িয়ে চড়িয়ে নিন, যাতে প্যানের তলাটা পুরাপুরি তেল পায়। এরপর ভাজুন এমনভাবে যাতে ব্রেড পুরে না যায়। সবশেষে গরমগরম পরিবেশন করুন...হয়ে গেলো বিকেলের নাস্তা :)

চিকেন স্যান্ডউইচ

উপকরণঃ
১. পাউরুটি ৮ টুকরা
২. মুরগির কিমা ১ কাপ
৩. পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ
৪. তেল বা মাখন ২ টেবিল চামচ
৫. গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. ময়দা দেড় টেবিল চামচ
৭. দুধ আধা কাপ

প্রণালীঃ
তেলে পেঁয়াজ হালকা করে ভেজে তাতে মাংস, গোলমরিচ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করুন। মাংস সেদ্ধ হলে ময়দা দিয়ে নাড়ুন। বাদামি রং হলে এবার দুধ দিয়ে নাড়ুন। মিশ্রণটি ঘন হলে নামিয়ে নিন। পাউরুটির চার পাশ কাটুন, রুটির ওপর মাখন মেখে মাংসের মিশ্রণের প্রলেপ দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করুন।

নুডুলস পাকুরা


প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নুডলস : ১/২ প্যাকেট
লবণ : ১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ কুচি : ২ টা
পেঁয়াজ কুচি : ২ টেবিল চামচ
সাদা গোলমরিচ গুঁড়া : ১ চা চামচ
চালের গুঁড়া/ময়দা : ২ টেবিল চামচ
ডিম : ১ টা
সয়াসস :১ চা চামচ
টেস্টিং সল্ট : ১/২ চা চামচ
তেল : ভাজার জন্য/ পরিমান মত

তৈরী প্রণালী :

প্রথমে নুডলস্ সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ নুডলস্ এর সাথে একে একে পেঁয়াজ কুচি, গোলমরিচ গুড়া, কাঁচামরিচ কুচি, সয়াসস ,টেস্টিং সল্ট এবং লবণ দিয়ে একটু মেখে এর সাথে চালের গুড়া অথবা ময়দা মেশান। এবার এর সাথে একটি ডিম দিয়ে ভালোকরে মেখে নিন। মাখানো হলে চপের আকৃতিতে হালকা গরম তেলে ছেড়ে দুই পাশ লাল করে ভাজতে থাকুন। সবগুলো ভাজা শেষে নামিয়ে প্লেটে তুলে রাখুন। সবশেষে সস,গাজর, কাঁচামরিচ এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুন স্বাদের নুডলস্ পাকুরা।

সেমাই জর্দা


উপকরণ:

কুলসন সেমাই - ১ প্যাকেট
(কুলসন সেমাই না পেলে, যেকোন দেশি সেমাই, যাকে অনেকে বাংলা সেমাই বলে থাকেন, একটু লালচে রং-এর খোলা সেমাইটাই আসলে বাংলা সেমাই নামে পরিচিত)

চিনি - ২ কাপ
নারকেল কুরানো - ১ কাপ
কিশমিশ - ২ টেবিল চামচ
চীনা বাদাম (ভাজা) - ৩ টেবিল চামচ
দারুচিনি - ৩ টুকরা
তেজপাতা - ২ টা
ঘি - ৪ টেবিল চামচ
পানি - ২ কাপ
লবন - পরিমাণমতো

প্রস্তুতপ্রণালী:

চুলাতে কড়াই চাপিয়ে আগুনের আচেঁ কড়াইয়ের ভেতরটা শুকাতে দিন। এবার গরম কড়াইতে ঘি দিয়ে দিন। ঘি সামান্য গরম হলে চিনি দিন । এবার ১ প্যাকেট সেমাইয়ের অর্ধেকটা এই গরম ঘিয়ে ঢেলে দিয়ে ১০/১৫ মিনিট নাড়ুন, সেমাইটা ঘিয়ে ভাজা হবে ।

এবার এতে কুরানো নারকেল দিয়ে নাড়তে থাকুন, কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে দিন আর চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন । পানি শুকিয়ে আসলে বাদাম, কিশমিশ, তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে আরো মিনিট দশেক মৃদু জ্বালে দমে রাখুন । সেমাই ঝরঝরে হলে নামিয়ে পরিবেশণ করুন ।


টিপসঃ
সেমাইটা সরাসরি ঘিয়ে না দিয়ে একটু প্রসেস করে নিতে পারেন, এতে সেমাইটা নরম হবে। কি করতে হবে বলছি - আলাদা পাত্রে পানি গরম করে তাতে সেমাইটা মিনিট পাচেক সিদ্ধ হতে দিন, এবার একটা ঝাঁঝরিতে গরম পানি সহ সিদ্ধ সেমাইটা ঢেলে দিন, পানি ঝরে যাবে। এবার সাথে সাথেই সিদ্ধে গরম সেমাইটার উপর ঠান্ডা পানির ধারা দিন, তাতে সেমাইটা ঝর-ঝরে হয়ে যাবে আর ঠান্ডা হবে। এ অবস্থায় সেমাইটা পাতিলে গরম ঘিয়ে ঢেলে দিন।

বোরহানী


উপকরণঃ

মিষ্টি দই - ১ কাপ

টক দই - ১ কেজি

কাচা মরিচ কাটা - ১ চা চামচ

পুদিনা পাতা বাটা - ১ চা চামচ

সরিষা বাটা - ১ চা চামচ

বিট লবণ - ১ চা চামচ

পানি পরিমাণমতো (পাতলা বা ঘন যেমনটি করতে চাইবেন)

চিনি - ১ টেবিল চামচ

লবণ - ১ চা চামচ

সাদা গোল মরিচের গুঁড়া - ১ চা চামচ


প্রণালীঃ

কাচা মরিচ, পুদিনা পাতা, একসাথে বেটে নিন। বিট লবণ পাটায় গুঁড়া করে পাউডার করে নিন। সমস্ত উপকরণ একসাথে অল্প পানি দিয়ে গুলে দইয়ের মধ্য দিন। এবার মিষ্টি দই, টক দই সহ সমস্ত উপকরণ এগ বিটার দিয়ে ১০ মিনিট বিট করুন বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। এবার ছাকনি বা কাপড় দিয়ে ছেকে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ফ্যাইশা শুটকির ভর্তা


উপকরণঃ

ফ্যাইশা শুটকি - ৫টা
নারিকেল কুরানো - ১ কাপ ( ছোট )
শুকনোমরিচ - ৪টা (মাঝারী)
রসুন - ২ কোয়া
পেয়াঁজ কুচি - দেড় টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ
লবণ – স্বাদ/ পরিমাণমতো

প্রণালীঃ

প্রথমেই শুটকি তাওয়ায় বা কড়াইতে গরম করে নিন, এরপর কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন (বাটার সুবিধার জন্য), এতে শুটকি’র গন্ধ দূর হবে, যা অনেকেই পছন্দ করেননা।

ভিজিয়ে রাখা শুটকি পানি থকে তুলে পানি ঝরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন ভর্তা করার জন্য। এখন লবন এবং শুকনোমরিচ একসাথে শীল পাটায় বেটে নিন। এবার শুটকি সাথে অন্যান্য উপকরণ – কুরানো নারিকেল, পেয়াঁজ, ধনেপাতা, রসুন একসাথে বেটে নিন। এবার বাটা উপকরণগুলো ভাল করে মেখে মেশাতে হবে। ভালোভাবে মেশানোর পর আরেকবার মাখানো উপকরণগুলো বাটুন। ছবিরমত করে অথবা আপনার যেমন পছন্দ পরিবেশন করুন ভাতের সাথে।

ঘরে তৈরী রসমালাই


উপকরণঃ
দুধ কাপ
চিনি কাপ
গুঁড়ো দুধ ২ কাপ
বেকিং পাউডার চা চামচ
ডিম টা
কর্নফ্লাওয়ার চা চামচ

প্রণালীঃ
প্রথমে একটি হাড়িতে দুধ কাপ, চিনি পরিমান মত পানি মিশিয়ে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে জ্বাল দিয়েঘন করে রাখুন। একটি বাটিতে কাপ গুঁড়ো দুধ নিয়ে সাথে বেকিং পাঊডার দিয়ে ভালো করেমিশিয়ে নিন। এবার ডিম ফেটিয়ে একটু একটু করে দিয়ে মেশান। মেশানোর পর পছন্দমত গোলবা লম্বাটে করে ঘন দুধের মধ্যে ছাড়ুন। এবার রসমালাই সবগুলো ছাড়ার পর হালকা ভাবে নেড়ে- মিনিট পর চুলা থেকে নামান। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

মিক্সড চিংড়ী সালাদ


ঊপকরণঃ
ছোট চিংড়ী, সিদ্ধ করা- ২০০ গ্রাম (মাঝারী হলে মাঝখানে টুকরো করে নিতে পারেন)
শশা - ২ টা (খিরাই হলে ৪ টা)
পেয়াজ - ১ টা (বড়)
লেবুর রস - ১ টা
লেবু (মাঝারী সাইজের)
টমেটো - ২ টা সবুজ
কাচা মরিচ- ৪/৫ টা
লবণ- স্বাদমত/পরিমানমতো
গোল মরিচ গুড়া - ১ চিমটার একটু বেশি (বা স্বাদমতো)
অলিভ অয়েল (বা সরিষার তেল) - ১/৩ কাপ


প্রণালীঃ

হাড়িতে পরিমানমতো লবণ দিয়ে চিংড়ি সিদ্ধ করে নিন। একটি পাত্রে অলিভ অয়েল (বা সরিষার তেল), লবণ, গোলমরিচ গুড়া লেবুর রস ভাল করে মেশান। সিদ্ধ চিংড়ি প্রতিটাকে ২ (দুই) টুকরো করুন (অথবা গোটা রাখতে পারেন)। শশা, পেয়াজ এবং টমেটো চিংড়ি'র টুকরার সাথে মিল রেখে বা আপনার পছন্দমতো টুকরা করে নিতে পারেন। কাচামরিচ আড়াআড়ি ভাবে কুচু করে নিন।

এবার সিদ্ধ চিংড়ির টুকরার মধ্যে সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে অলিভ অয়েলের মিশ্রণটি দিয়ে ভাল করে মাখান, কচলাবেন না। সালাদ তৈরী, এবার সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মিক্সড আপেল সালাদ


উপকরণঃ

আপেল - ১ টা (বড় সাইজের)
শশা - ২টা (মাঝারী)
টমেটো - ১টা
লবণ - স্বাদমতো
বিট লবণ - সামান্য পরিমান
চিনি - ১ টেবিল চামচ
টকদই - ২ টেবিল চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া - আধা চামচের ২ভাগের ১ ভাগ
সাজানোর জন্য - পুদিনাপাতা ।

প্রস্তুতপ্রণালীঃ

শশা, আপেল, টমেটো কিউব করে (কিংবা ছবি'র মত করে) কেটে তার সাথে পুদিনাপাতা ছাড়া সব উপকরণ মেখে নিন। পরে পুদিনাপাতা সালাদের উপর সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মোরগ পোলাও


উপকরণঃ

পোলাউর চাল - আধা কেজি
মোরগের মাংস - দেড় কেজি
মুশারীর ডাল - আধা কাপ
পেয়াঁজ কুচি - ১ কাপ
পেয়াঁজ বাটা - ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা - ২ চা চামচ
রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ
গরম মসলা গুঁড়া/বাটা - ১ চা চামচ
তেজপাতা - ২ টা
টক দই - ২ টেবিল চামচ
আলু বোখারা - ২ টা
[দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জায়ফল, জয়ত্রী] একত্রে বাটা - ১ চা চামচ
লবণ - পরিমাণমতো
ঘি - ২ টেবিল চামচ
সয়াবিন তেল - আধা কাপ
চিনি - ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া - আধা চা চামচ
কাঁচামরিচ - ২/৩ টা
পেয়াঁজ বেরেস্তা - ১ কাপ
জিরা বাটা - ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া - চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ
মরিচ - আধা চা চামচ
ধনে গুঁড়া - ১ চা চামচ
পানি - ৪ কাপ

প্রস্তুতপ্রণালীঃ

মোরগের চামড়া ছাড়িয়ে হাঁড় সহ ১২ টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পানি ঝরে গেলে এতে পেয়াঁজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, চিনি, দারুচিনি-এলাচ-লবঙ্গ-জায়ফল-জয়ত্রী একত্রে বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ, জিরা বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, আলু বোখারা, টক দই দিয়ে ভাল করে মেখে ১ ঘন্টা রাখতে হবে।


পোলাওর চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। ঘি তেল একসঙ্গে চুলায় দিয়ে একটু গরম হলে তাতে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে নাড়ুন, বাদামী হয়ে পেয়াঁজ ভেরেস্তা হবে। পেয়াঁজের ভেরেস্তা টুকু আলাদা তুলে রাখুন। ঐ তেলে গরম মসলা ও তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে মাখানো মাংস দিয়ে কষাতে হবে।


মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে মাংসের টুকরা তুলে রাখতে হবে। ঐ হাড়িতেই পোলাওর চাল দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে, তারপর তাতে ৪ কাপ পানি, লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চুলার আচ কমিয়ে দিন। চাল ফুটে উঠলে মাঝে মাঝে নেড়ে দিয়ে মাঝারী আঁচে ঢেকে রাখুন। পোলাউর পানি শুকিয়ে এলে কিছুটা পোলাও উঠিয়ে রান্না করা মোরগের মাংসের টুকরাগুলো পাতিলের বাকী পোলাওর মধ্যে দিয়ে তার সাথে কাঁচামরিচসহ বাকী পোলাও দিয়ে মৃদু আঁচে কিছুক্ষণ দমে রাখুন। ১০ মিনিট পর হালকাভাবে নেড়ে দিয়ে আবার দমে রাখুন। আরো ৫ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন। পরিবেশনের সময় ভেরেস্তা পোলাওর উপরে ছড়িয়ে সালাদসহ পরিবেশন করুন ।

মজাদার পুডিং


পুডিং-এর রেসিপিটি এই রকমঃ

পুডিং হবে প্রেসার কুকারে, আর যা যা লাগবেঃ

দুধ - ১/২ লিটার
ডিম - ৫ টা
চিনি - ১/২ কাপ বা পরিমানমতো
ঘি (গরুর) - ১ চা চামচ


কিভাবে করবেনঃ

- ১/২ লিটার দুধ নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন, খেয়াল রাখবেন দুধে যাতে স্বর বসে না যায়। তাই ঘন ঘন নাড়তে হবে। দুধ কমে যখন প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।

- অন্য পাত্রে ৫ টা ডিম ভাল করে ফেটে নিন, এইবার এর সাথে চিনি মেশান। সবটা চিনি গলে যাবে না, তবুও যতটা সম্ভব ভাল করে মেশান। মিশ্রণটি জ্বাল দেয়া ঠান্ডা দুধে দিন, ১ চা চামচ ঘি দিন। ভাল করে ফেটে নিন, ...ভাল করে।

- এইবার পছন্দসই একটি পাত্র (প্রেসার কুকার উপযোগী) চুলায় চাপিয়ে তাতে সামান্য চিনি দিয়ে একটু লালচে (পুড়ে) করে নিন, পুডিং যখন উপুড় করে পরিবেশন করবেন তখন দেখতে ভাল দেখাবে।

- প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে এর মধ্যে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে তার উপর পুডিং এর মিশ্রণ সহ ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি দিন। ৩/৪ সিটি পর্যন্ত রান্না হতে দিন। এই সময়ে পাত্রের ঢাকনা তুলে দেখতে পারেন পুডিং জমেছে কিনা। মিনিট বিশেক এর মত লাগবে পুডিং হতে।

আর প্রেসার কুকার না হলেঃ

- একটা পাত্রে পানি গরম করে, পাত্রটির উপর পুডিং এর মিশ্রণ সহ পাত্রটি দিন ঢাকনা সহ, চুলার আগুন কমিয়ে দিন। নীচে পানি গরম হবে আর এই বাস্পের প্রেসারে উপরে পাত্রে আস্তে আস্তে পুডিং জমাট বাধতে থাকবে, ঢাকনা তুলে দেখবেন হয়েছে কিনা। নামানোর আগে কি করে বুঝবেন পুডিং হয়ে গেছে? একটা কাঠি পুডিং এর মধ্যে চুবিয়ে তুলে নিন, যদি কাঠিতে পুডিং এর অংশ লেগে থাকে বুঝবেন পুডিং হয়নি, যদি দেখেন চুবিয়ে তোলার পর কাঠির গায়ে কিছুই লেগে নেই, তাহলে বুঝবেন পুডিং হয়ে গেছে।

Tips: পূডিং জমাট না বাঁধার কারণ গুলো হতে পারে এই রকম

১। রেসিপিতে ডিমের পরিমান অন্য উপাদান গুলোর তুলনায় হয়ত কম হয়েছে
২। মিশ্রণটি আলাদা ভাবে এবং একসঙ্গে ভাল করে ফেটানো হয়নি হয়ত
৩। পুডিং রান্নার সময় মিশ্রণটির ভেতর কোনভাবে হয়ত বাহির থেকে পানি ডুকে যাচ্ছে

এই কারণ গুলোর জন্যে পুডিং জমাট না বেঁধে পানি পানি হয়ে যেতে পারে।

আলু চপ - প্রিয় নাস্তা


আলু চপের এই রেসিপিটা ঈদের সময়, বিশেষ করে রোজার ঈদে আমার মেয়েরা সব সময়ই করে প্রতিবেশি আর আত্মীয়দের প্রিয় আমার ঘরেও সবার খুব প্রিয় এই রেসিপিটি আলু চপ মজা হওয়ার পেছনে আলুর ভেতরে পুর হিসাবে কিমা দেয়াটা একটা বড় কারণ তাছাড়া চপ ভাজার পর দেখতেও ভাল দেখাতে হবে, সুন্দর পরিবেশনাও জরুরী কিভাবে আলু চপ করতে হবে দেখুন

উপকরণ

আলু - আধা কেজি
পেঁয়াজ ভেরেস্তা - ২ টেবিল চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া - ১/৩ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি - ১ চা চামচ
কাঁচামরিচ কুচি (মিহি করে) - ১ চা চামচ
লবণ পরিমাণমতো
ডিম - ১ টা
টোস্ট বিস্কুট গুঁড়া করা - আধা কাপ
বিট লবণ - ১/৩ চা চামচ
তেল (ভাজার জন্য)

প্রস্তুতপ্রণালীঃ

চপ বানানোর পূর্বপ্রস্তুতি -

ভেরেস্তা তৈরীঃ প্রথমে পেয়াজের ভেরাস্তা করে নিন চুলায় পাতিল চাপিয়ে খানিকটা গরম হলে পরিমাণমতো তেল দিন তেল গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন চুলার আঁচ কমিয়ে পেয়াজ ভেজে বাদামী করে তুলে রাখুন

কিমা তেরীর প্রক্রিয়াঃ মাংসের কিমা ২৫০ প্রথমে কড়াইতে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি ও লবণ দিয়ে নাড়ুন এবার আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, দারুচিনি ২ টুকরা, লবঙ্গ ও এলাচ ২টা এবং মাংসের কিমা দিয়ে নাড়তে থাকুন সামান্য একটু পানি দিন পানি উঠে শুকিয়ে তেলের ঊপর ঊঠলে নামিয়ে রাখুন ডিমের ওমলেটের কিমা দিয়েও করতে পারেন

এবার আলু চপ তৈরী করুন -

আলু ধুয়ে সিদ্ধ করুন সিদ্ধ আলুর পানি ঝরিয়ে নিন এবার সাথে সাথেই এই সিদ্ধ করা আলুগুলো চুলায় খালি গরম পাতিলে দিয়ে আলুর গায়ে লেগে থাকা পানি শুকিয়ে নিন খোসা ছাড়িয়ে আলুগুলো চটকে নিন

এখন পেঁয়াজ ভেরেস্তা, গোলমরিচ গুঁড়া, বিটলবণ, ১ চা চামচ টোস্টের গুঁড়া, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, লবণ একসাথে ভাল করে মেশান এবার এই মিশ্রণটি আলুর সাথে ভাল করে চটকে মেখে নিন ভাল করে মেশানোর জন্য মলতে পারেন বেশি করে

তারপর মাখানো আলু ১০ ভাগ করে মাংসের এর ভেতরে আগেই করে রাখা মাংসের কিমার পুর দিয়ে আলুর চপ ইচ্ছামত বিভিন্ন আকারের [যেমন- ডিম্বাকার, গোলাকার] করে তেরী করে নিন দেখবেন কিমার পুর এর উপর যেন আলু দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন এখন কাচা চপ ফেটানো ডিমের মধ্যে চুবিয়ে তা টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন, তাতে ডিমে চুবানো চপের গা শুকিয়ে যাবে এবার ডুবো তেলে ভাঁজুন

এবার টমেটো সস কিংবা চিলি সস সাথে শশা কেটে সাজিয়ে পরিবেশণ করুন ছবিতে যে টমেটো সস দেখতে পাচ্ছে তা আমার রান্না ঘরেই করা, টমেটোর সিজনে করে রাখি বছরের অনেকখানি চলে যায় বাজারের সসে নাকি টমেটোই থাকে না

টিপসঃ
ভেরেস্তা এবং কিমা আপনি আলুগুলো সিদ্ধ করার পর করতে পারেন অথবা কিমা সবার আগে করে রাখতে পারেন আমি কখনো বিশেষ করে ঈদেরদিন করতে গেলে আগের রাতেই ন্যনপক্ষে কিমা করে রাখি

পেয়াজু


পেয়াজু তৈরির উপকরণ


খেশারী ডাল - ২ কাপ
পেয়াজ কুচি - ১ কাপ
আদা কুচি - দেড় চা চামচ
ধনে গুঁড়া - ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
কাচামরিচ কুচি - ৩ চা চামচ
লবণ - পরিমানমতো
ধনেপাতা কুচি - ২ চা চামচ
তেল - ভাজার জন্য

প্রস্তুত প্রণালী


ডাল ৬-৭ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ইফতারিতে পেয়াজু করার জন্য আমি সাধারনত সকালে ডাল ভিজিয়ে রাখি।


এবার ৬-৭ ঘন্টা পরে পেয়াজু বানানোর প্রস্তুতি হিসেবে ডাল ভালকরে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। ডাল খুব মিহি করে না বাটলেও চলবে। এরপর বাটা ডালে উপরের সব উপকরণ ভালকরে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রণ থেকে হাতে গোল-চ্যাপ্টা বড়া তৈরি করুন। এই বড়া ডুবো তেলে বাদামী করে ভেজে তুলুন। বড়াগুলো তৈরি করেই গরম তেলে ছেড়ে দিতে পারেন। পেয়াজু গরম-গরম কুড়-মুড়ে হলেই ভাল লাগে।


এই রেসিপিতে কারো পেয়াজু করতে অসুবিধা হলে জানাবেন। কেউ চাইলে পেয়াজের পরিমান বাড়িয়ে দিতে পারেন।

রুই-পালং এর ঝোল


উপরকরণঃ

পালং শাক – ১ কেজি (চার ইঞ্চি করে কাটা, ছবি দেখুন)
রুই মাছ – ৭/৮ টুকরা কিউব করে কাটা
সীম (ছোট ফালি করে কাটা) – ১ কাপ
আলু (দেড় ইঞ্চি ফালি করে কাটা) – ২টা (মাঝারী সাইজের)
কাঁচামরিচ _ ৫/৬ টা, ফালি করা
পেয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
গুঁড়া মরিচ _ ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
জিরা বাটা _ ১/২ চা চামচ
ধনে গুঁড়া _ ১ চা চামচ
আদা বাটা _ ১ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
টমেটো (মাঝারী) – ২ টা
পানি – ৩ কাপ
তেল – ৩ টেবিল চামচ
লবন – পরিমানমতো

প্রস্তুত প্রণালীঃ

চুলোতে কড়াই একটু গরম হলে তেল দিয়ে দিন। তেল খানিকটা গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন, নাড়তে থাকুন। এসময় চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। পেয়াজ হালকা বাদামী রঙ ধারণ করলে উপকরণের সব মশলা দিয়ে ২/৩ মিনিট কষান। খেয়াল রাখবেন মশলা যেন পুড়ে না যায়।
মশলা কষানো হলে ধোয়া – পানি ঝরানো মাছের টূকরাগুলো দিয়ে আরো কিছুক্ষন কষান। এবার পানি দিন। চুলার আচঁ এসময় একটু বাড়িয়ে দিন, তবে বেশি বাড়াবেন না। কষানো ঝোলটুকু ফুটে উঠলে মাছগুলো আলাদা প্লেটে তুলে রাখুন।

এরপর ফুটে ওঠা ঐ ঝোলে শাক, আলু, সীম দিয়ে দিন। নেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন, দমে রান্না হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিবেন। দশ মিনিট পর টমেটো, কাচামরিচ ছেড়ে দিন। এর দুই মিনিট পর তুলে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিন, অল্প আচেঁ রান্না করুন। ঝোল-ঝোল হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।


ছোলা ভাজা, ইফতারের আরেক জনপ্রিয় অনুষঙ্গ


যা যা লাগবে

ছোলা ১ কাপ (২৫০ গ্রামের কম)
ছোট আলু ২০০ গ্রামের কম (২টি)
জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
আদা কুচি ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১/২ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ
লবণ পরিমাণমতো
তেল ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস স্বাদমতো
পানি সিদ্ধ করার জন্য পরিমানমতো
গোলমরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ
কাঁচামরিচ কুচি ৩/৪ টা মাঝারী মরিচ
ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ

মনে রাখবেন - ১ চামচ মানে প্রায় ৫ গ্রাম আর ১ টেবিল চামচ মানে প্রায় ১৫ গ্রাম

প্রণালী

প্রথমে ছোলা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে পরিমানমতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। আমি ইফতারীতে করার জন্য সেহরী শেষ করে, কখনো ইফতারের পরই ছোলা ভিজিয়ে রাখি। ছোলা সিদ্ধ হতে হতে একই সাথে আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন। সিদ্ধ আলু ছোলার সাইজে (ছোট-বড় হলে অসুবিধা নেই) কিউব করে কেটে নিন।

এবার একটি কড়াইতে তেল গরম করে আদা কুচি দিন, হালকা ভাজুন। এবার জিরা, আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভেজে গোলমরিচ দিয়ে কষিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন এসময়ে যেন মশলা পুড়ে না যায়। মশলা পুড়তে দেখলে ১ চামচ পানি দিন এতে। এবার আলু, ছোলা ও লবণ দিয়ে বেশ করে ভাজুন। ভাল করে ভাজা হলে আলু বাদামি রং ধরবে এবং আলুর কিউব ভাবটা কিছুটা ক্ষয়ে যাবে। নামিয়ে নেয়ার ২/৩ মিনিট আগে কাচামরিচ কুচি দিয়ে আবার নেড়ে দিন। ২/৩ মিনিট পর নামিয়ে তাতে লেবুর রস আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

বিকেলের নাস্তায় ছোলা ভাজা আর মুড়ি

আমাদের দেশে ছোলা মুড়িতে মাখিয়ে খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। ছুটির দিনের কোন কোন বিকেলে আমার ঘরে নাস্তায় এই মুড়ি মাখানো ছোলা করা হয়। সাথে টমেটো, শশা কুচি আর পুদিনাপাতা সহ সরিষার তেলে মেখে খাওয়া হয়। ওদের বাবার এই খাবারটা খুবই প্রিয়।

টিপস

মশলার পরিমান কম-বেশি হলে অসুবিধা নেই, স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি করতে পারেন। গোলমিরচের গুঁড়া না দিলেও চলবে, তেমনি ঝাল করতে চাইলে কাচামরিচ কিছুটা বাড়িয়েও দিবেন। তবে ছোলা যেন ভাজা হয় ভাল।