Saturday, October 30, 2010

বাঁধাকপি মাংস


উপকরণ :

মাংস ২ কেজি, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, বাঁধাকপি ১টা, জিরা গুঁড়ো আধা চা-চামচ, কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ, লবণ আন্দাজমতো, তেল পরিমাণমতো, আদা বাটা, রসুন বাটা ২ চা-চামচ করে, গরম মসলা ৪/৫টা।

প্রণালী :

মাংস ধুয়ে পানি নিংড়ে নিন। চুলায় পাত্রে তেল দিন। তেল গরম হলে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, পেঁয়াজ কাটা ও আদা-রসুন বাটা দিন। এবার হলুদ, মরিচ, জিরা গুঁড়ো দিন। অল্প পানি দিয়ে মসলা কষান এবং মাংস দিন। ১ থেকে দেড় ঘণ্টা মাংস রান্না করুন। এবার বাঁধাকপি কুচি করে কেটে মাংসে দিন। আরও ৩৫ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত মাংস খোলা অবস্থায় রান্না করে দমে ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


সিজনাল ভেজিটেবল


উপকরণ :

গাজর, শিম, বরবটি, কপি, মটরশুঁটি ১ কাপ করে, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কারি পাউডার, মরিচ গুঁড়ো, পাঁচফোড়ন, হিং ১ চা-চামচ করে, লবণ পরিমাণমতো, তেল আধা কাপ, ধনেপাতা ১ আঁটি, কাঁচামরিচ ৪/৫টা।

প্রণালী :

সব সবজি বড় কিউব করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে গরম হলে পাঁচফোড়ন, পেঁয়াজ কুচি ও হিং দিন। এবার সামান্য লাল হলে মরিচ গুঁড়ো ও সব সবজি দিন। সেদ্ধ হলে ধনেপাতা, কাঁচামরিচ দিয়ে নামান।


কামরাঙার আচার


উপকরণ :

কামরাঙা ১ কেজি, পেঁয়াজ আধা কেজি, কাঁচামরিচ ৮/১০টা, লবণ পরিমাণমতো, কাসন্দ আধা কাপ, আচার মসলা গুঁড়ো ২ চা-চামচ, শুকনামরিচ কাটা ৮/১০টা, সরিষার তেল দেড় কাপ।

প্রণালী :

চুলায় পাত্র গরম হলে তেল দিন। তেল গরম হলে আস্ত ১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন ও ক্রাস রসুন দিন আন্দাজমতো। এবার রসুন লাল হলে এবং পাঁচফোড়নগুলো ফুটে উঠলে বাকি মসলা দিন। অল্প কষিয়ে কুচি পেঁয়াজ এবং কুচি কাটা কামরাঙা দিন। ভালো করে কষিয়ে ১ দিন রাখুন। পরের দিন আবার চুলায় বসান। আবার কষিয়ে বৈয়ামজাত করুন।


কাঁচা কুলের আচার


উপকরণ :

কাঁচা কুল ১ কেজি, সরিষা বাটা ৬ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো ২ চা-চামচ, লবণ ৪ চা-চামচ, সিরকা আধা কাপ, ভাজা মসলা ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন গুঁড়ো ২ চা-চামচ, তেজপাতা ৪/৫টা, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ৪ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ২ কাপ।

প্রণালী :

কুলগুলো লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার একটা পাত্র চুলায় দিয়ে গরম করুন এবং তেল দিন। তেল গরম হলে সব মসলা ও তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট কষান। মাঝে মাঝে মসলা কষানোর সময় সিরকা দিন। সেদ্ধ কুলগুলো দিন। আরও ১০ মিনিট কষিয়ে নামিয়ে বৈয়ামজাত করুন।


কাঁচা আমড়ার আচার


উপকরণ :

আমড়া ২০টি, সরিষার তেল ১ কেজি, আদা বাটা ৬ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ৬ টেবিল চামচ, লবণ ২ টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ, কাটা শুকনামরিচ ৪/৫টি, কাটা আদা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো ২ চা-চামচ।

প্রণালী :

আমড়া ধুয়ে সিলকাসহ ফালি ফালি কাটুন। এবার তেল বাদে সব মসলা মেখে ১ দিন রোদে শুকিয়ে নিন। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন দিন। ফুটে উঠলে মাখানো আমড়া দিন। ভালোমতো কষিয়ে তেলের ওপরে উঠলে নামিয়ে নিন। এবার বৈয়ামজাত করুন।


Thursday, October 21, 2010

একটু অন্যরকম স্বাদ


ভোজনরসিকদের ঘরে যে কত রকম খাবার তৈরি হয়, তা গৃহিণীরা ভালো জানেন। আজ জেনে নিন একটু ভিন্ন ৪ পদের মজাদার খাবার।

মিষ্টিকুমড়ার ডালনা

যা লাগবে

মিষ্টিকুমড়া : ১ ফালি, পেঁয়াজ বাটা : ১/২ কাপ, সরিষা বাটা : ১/২ চা চামচ, চিনি : ২ চা চামচ, তেল : ১/২ কাপ, কাঁচামরিচ : ৪-৫টা, শুকনামরিচ গুঁড়া : ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

মিষ্টিকুমড়া কিউব করে কেটে ধুয়ে নিন। চুলায় পাত্র বসিয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ, সরিষা বাটা ও মসলা দিন। মসলা কষিয়ে মিষ্টি কুমড়া দিন। এবার মসলাসহ মিষ্টি কুমড়া, কষিয়ে পানি দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে নিন।

রুইমাছ-পটল

যা লাগবে

রুইমাছ : ৪-৫ টুকরা, পটল : ২৫০ গ্রাম, আদা-রসুন : বাটা ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া : ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া : ১/২ চা চামচ, লেবুর রস : ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা : ২ টেবিল চামচ, তেল : পরিমাণমতো, লবণ : পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে রুইমাছটাকে লেবুর রস ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ৫ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। এবার তেলে হালকা ভেজে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে তেল দিন। পেঁয়াজ বাটা, আদা, রসুন ও মরিচ-হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে তাতে পোটল দিয়ে আবার কিছুক্ষণ কষান। এবার ২ কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। ওপরে তেল ভেসে উঠলে ভাজা রম্নই মাছ দিয়ে দিন। রসা রসা হয়ে গেলে সামান্য জুড়িয়ে নিয়ে এরপর পরিবেশন করুন।

ডাল-মাখানি

যা লাগবে

রাজমা, মসুরির ডাল, বুটের ডাল, মুগের ডাল, ডাবলির ডাল- সব মিলিয়ে ১ কেজি। আদা-রসুন বাটা : ২ টেবিল চামচ, পাপড়িকা : ১ চা চামচ, পাঁচফোড়ন : ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল : ১ কাপ, লবণ : পরিমাণমতো, গরমমসলা :৪-৫টা, তেজপাতা : ২-৩টা।

যেভাবে তৈরি করবেন

সব ডাল ধুয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। চুলায় বসানো পাত্রে তেল দিয়ে গরম হলে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে এরপর ডাল দিন। ডাল কষিয়ে ৬ কাপ পানি দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করম্নন। সিদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হয়ে গেলে পোলাও, পরোটা কিংবা সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করম্নন।

গরু/খাসির মাংসের ভুনা

যা লাগবে

গরুর মাংস : ৫০০ গ্রাম, আদা-রসুন বাটা : ১ চা চামচ, দারুচিনি : ৪-৫টা, এলাচ : ৩-৪টা, তেজপাতা : ২টা, জয়ত্রি ও জায়ফল : ১/২ চা চামচ, মরিচগুঁড়া : ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়া : ১ চা চামচ, ভাজা মসলা : ১ চা চামচ, টক দই : ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কাটা : ২ টেবিল চামচ, তেল : পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে তেল দিয়ে মাংসটাকে কিছুৰণ ভাজুন, ভাজা হয়ে গেলে ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাংসটাকে কষাতে থাকুন। ওপরে তেল ভেসে উঠলে ১ কাপ পানি দিয়ে দমে রেখে দিন। এরপর ঢাকনা খুলে ভাজা মসলা দিয়ে আবার কিছুৰণ দমে রেখে দিন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

Sunday, October 17, 2010

চানাচুর


উপকরণ:
বেসন: ১ কাপ
ছোলার ডাল বাটা (পুরোপরি মিহি হবেনা): ১ কাপ
চিরা: ১ কাপ
বাদাম: এক কাপ
চিনি: এক চামচ
টেস্টিং সল্ট: ৪ চিমটি
লবন: পরিমাণ মত, লবন গুড়া করতে হবে কিছুটা
লেবুর রস: ৯/১০ চামচ
লাল মরিচের গুড়া: ৭/৮ চামচ
রসুন কুচি: ১টি
আদা কুচি: ২ চামচ
ধনে পাতা বাটা: ৩ চামচ

প্রণালী:
১. বাদাম, চিরা, লবন, ধনেপাতা, রসুন কুচি, আদাকুচি সব খুব কড়া আচে ডুবো তেলে ভাজতে হবে।

২. ডাল বাটা আর বেসন একসাথে খুব ভালোভাবে লবন আর টেস্টিং সল্ট, মরিচের গুড়া অর্ধেকটা দিয়ে মিক্সড করতে হবে। আর একটু পানি পানি রাখতে হবে।

৩. খুব কড়া আচে অনেক তেল গরম করতে হবে। তারপরে ঐ মিক্সচার তেলের মধ্যে দিয়ে খুব জোড়ে জোড়ে খালি নাড়াচাড়া করতে হবে। দেখবেন ঝুড়ি ঝুড়ি মত হয়ে গেছে।

৪. বাদাম, চিরা, লবন, ধনেপাতা, রসুন কুচি, আদাকুচি ভাজা ঐ ঝুড়ি ঝুড়ি ডালভাজার সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে মরিচের গুড়া, টেস্টিং সল্ট দেন।

হয়ে গেল মচমচে চানাচুর। এখন মুট মুট ভরে খান।

Friday, October 15, 2010

শারদীয় দুর্গাপূজার নাড়ু তকিত লাড্ডু


শারদীয় দুর্গাপূজার পাশাপাশি লক্ষ্মীপূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নাড়ু, তকিত, লাড্ডু বানানো শুরু হয়।’ বললেন জ্যোত্স্না বিশ্বাস। একাধারে তিনি যাত্রা অভিনেত্রী, লেখক, নির্দেশক এবং অমলেন্দু বিশ্বাস কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারপারসন।
সেই ছোট্টবেলা থেকেই তিনি মা-মাসিদের দেখেছেন এ পূজার জন্য প্রস্তুতি নিতে। শারদীয় উত্সব শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যেত লাড্ডু, মোয়া ইত্যাদি তৈরির আয়োজন।কলার গাছের ঢোঙল বা খোল কেটে তাতে খাবার দেওয়া হতো। ‘এখন তো শহরে সেভাবে খুব আয়োজন করতে দেখা যায় না। সময় কই মানুষের?’ বললেন তিনি।
‘আসলে মা-মাসীদের কাছ থেকেই লক্ষ্মীপূজার প্রসাদ তৈরি করতে শিখি। তবে এ জন্য প্রয়োজন হয় অনেক রকমের আয়োজনের। এই আয়োজন করতেও সময় লেগে যায়। এ জন্য শারদীয় পূজা শুরুর সময় থকেই আমি লক্ষ্মীপূজার প্রস্তুতি নিতে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে এবার খুব বড় পরিসরে আয়োজন করতে পারব না। কারণ, লোকজন আগেভাগেই ছুটি নিয়ে চলে গেছে। তার পরও নিজের সাধ্যের মধ্যে থেকেই আয়োজনটা করেছি।’ বলছিলেন জোত্স্না বিশ্বাস।

রসকড়া
উপকরণ : আধা কেজি কাঁচা মাষ কালাইয়ের ডাল, আধা কেজি চিনি, বেশম।
প্রস্তুত প্রণালী : পানিতে চিনি গুলিয়ে ঘন সিরা করে নিতে হবে। সিরা চুলো থেকে নামিয়ে রেখে দিতে হবে। তারপর ডালটাকে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি ছেঁকে নিয়ে শিলের পাঠায় মিহি করে বেটে নিতে হবে। ডাল বাটা হলে তাতে সামান্য কিছু বেসন মিশিয়ে নিয়ে ডোবা তেলে গোল গোল করে ভেজে নিতে হবে। এবারে গোল গোল ভাজা ডালের বড়াগুলো সিরায় ছেড়ে দিতে হবে। এমনি করে রসকড়া তৈরি হবে।

নারকেলের নাড়ু
উপকরণ: দুটি নারকেল, আধা কেজি চিনি অথবা আধা কেজি গুড়, এলাচ গুঁড়ো, তেজপাতা ও আধা কেজি গুঁড়ো দুধ।
প্রস্তুত প্রণালী: নারকেল কুরিয়ে নেব। এরপর দুধ, কোরানো নারকেল, চিনি অথবা গুড় মিশিয়ে কড়াইয়ে চড়িয়ে দেব। সঙ্গে থাকবে তেজপাতা এবং এলাচ গুঁড়ো। এরপর কড়াইয়ে ভাজতে হবে। যখন বাদামি রঙের আকার ধারণ করবে, তখনই কড়াই চুলা থেকে নামিয়ে তেজপাতা ফেলে দেব। তারপর গরম থাকতে থাকতে হাতে তুলে নেব নারকেলের খামির। গোল গোল করে তৈরি করব নাড়ু। হয়ে গেল নারকেলের নাড়ু।

তকিত
উপকরণ: ২৫০ গ্রাম ছানা, দুটো নারকেল, পরিমাণমতো চিনি ও এলাচ দানা।
প্রস্তুত প্রণালী: নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। এরপর ছানা, চিনি ও কোরানো নারকেলের অংশ নিয়ে কড়াইয়ে ছেড়ে দিতে হবে। ২৫ মিনিট চুলোয় থাকবে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে বিভিন্ন আকৃতির তকিত তৈরি করা যাবে। কেউ করে গোল গোল আকৃতির আবার কেউ করে চৌকোনা আকৃতির। কেউ বা ঘুড়ির মতো করে তৈরি করে তকিত।

চিঁড়ার নাড়ু
উপকরণ: আধা কেজি চিঁড়া, আধা কেজি চিনি, ঘি অথবা ডালডা ও পানি।
প্রস্তুত প্রণালী: চিঁড়া প্রথমে ডালডা অথবা ঘি দিয়ে হাল্কা করে ভেজে নেব। এরপর পানিতে চিনি গুলিয়ে সিরা করে নেব। সিরা চুলায় জ্বাল করে নেব। চিনির সিরা যখন ঘন হয়ে আসবে, তখনই ভাজা চিঁড়া চিনির সিরায় ছেড়ে দেব। এরপর সিরায় মিশ্রিত চিঁড়া দিয়ে ছোট ছোট নাড়ু বানিয়ে নেব। হয়ে গেল চিঁড়ার নাড়ু।

নিরামিষ
উপকরণ: আলু, বেগুন, মুলা, পটল, মিষ্টিকুমড়া. ফুলকপি।
প্রস্তুত প্রণালী: চুলায় তেল দিয়ে তেজপাতা, কালো জিরা, মরিচ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর সব সবজি এক করে তাতে হলুদ বাটা দিয়ে মেখে নিতে হবে। তেলটা গরম হয়ে গেলে তাতে সবজি ছেড়ে দিতে হবে। এরপর প্রয়োজনমত আদা বাটা, জিরার গুড়া ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিতে হবে। সেদ্ধ হওয়ার পর সেগুলো নামিয়ে আবার চুলায় তেল দিয়ে দুটো শুকনো মরিচ ছেড়ে দিয়ে তাতে সেদ্ধ তরকারি ছেড়ে দিতে হবে। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব। হয়ে যাবে নিরামিষ।

লাড্ডু
উপকরণ: একটা নারকেল, বেসন, চিনি, ঘি অথবা তেল।
প্রস্তুত প্রণালী : নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। এরপর কোরানো নারকেলের সঙ্গে বেসন মাখিয়ে নিয়ে গরম কড়াইয়ে ঘি অথবা তেলের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। এগুলো ভাজা হয়ে গেলে, সামান্য পানিতে চিনি ছেড়ে বেশ ঘন রস করে নিতে হবে। এবারে সেই চিনির রসের মধ্যে বেসন দিয়ে ভাজা নারকেল মিশ্রণ করে নেব। তারপর হাত দিয়ে তৈরি করব মজার লাড্ডু। চিনির রসটা এমনভাবে করতে হবে যেন ভাজা নারকেল রসের সঙ্গে মেশানোর পর তা জমাট বেঁধে যায় এবং অবশিষ্ট কোনো রস না থাকে।

লেখকঃ কামরুজ্জামান
তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো

Friday, October 8, 2010

চিকেন সিরাজি বিরিয়ানী


উপকরনঃ

পোলাওর চাল – ১/২কেজি

মুরগীর মাংস(কিউব করে কাটা) – ২৫০ গ্রাম

টক দই – ১/২ কেজি

ডিম -৪ টি

এলাচ – ৫-৬টি

শাহজিরা -১/২ চাঃচাঃ

দারচিনি – ৪ টি

ধনে গুড়াঁ – ১ টেঃচাঃ

জিরা গুড়াঁ – ১ টেঃচাঃ

আদা বাটা- ১ চাঃচাঃ

রসুন বাটা – ১/২ চাঃচাঃ

লবঙ্গ – ৮ টি

পানি – ১ লিটার

লবন – ২ চাঃচাঃ

পেয়াঁজ কাটা – ১/৪ কাপ

পেয়াঁজ বেরেস্তা – ১ কাপ

মুরগীর কিমা – ২৫০ গ্রাম

কিসমিস ও পেস্তা কুচি – ২ টেঃচাঃ করে

প্রনালীঃ

*মুরগীর মাংস আদা, রসুন, লবন দিয়ে মেরিনেট করে রাখবো ১০মিনিট। তারপর ২ টেঃচাঃ তেল দিয়ে রান্না করে রাখবো। অন্য হাড়িতে পেয়াঁজ, জিরা ও ধনে দিয়ে কিমা রান্না করে নিতে হবে এবং কষিয়ে রান্না হলে ১ টেঃচাঃ মাওয়া ঘি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

*ডিম ফেটে পুডিং বানিয়ে বাটার দিয়ে ভেজে ছোট ছোট কিউব করে কাটতে হবে

*একটি হাড়িতে ঘি দিয়ে লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি দিয়ে ১ কেজি পানি দিয়ে ফুটলে লবন ও চাল দিয়ে পোলাও রান্না করতে হবে।

* অন্য একটি হাড়িতে প্রথমে পোলাও তারপর কিমা আবার পোলাও, কিউব মাংস ও পুডিং দিয়ে পেস্তা-কিসমিস দিয়ে উপরে পোলাও, বেরেস্তা দিয়ে ১ ঘন্টা দমে বসাতে হবে

এরপর সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন।


সূত্রঃ রওশন আরা বেগম রিসিপি

কাশ্মেরী কাবাব


উপকরনঃ

গরুর মাংস (কিউব কাটা) – ২ কাপ

আদা বাটা – ১ টেঃচাঃ

লবঙ্গ, ছোট এলাচ ও দারচিনি গুড়াঁ – ১ চাঃচাঃ

পেয়াজ লম্বা কুচি – ১/২ কাপ

ছোট পেয়াজ – ১/২ কাপ

বাদাম বাটা – ১ টেঃচাঃ

জিরা ও ধনে বাটা- ১/২ চাঃচাঃ

লবন – প্রয়োজনমত

শুকনা মরিচ গুড়াঁ – ১ চাঃচাঃ

জায়ফল গুড়াঁ – সামান্য

দই – ১ কাপ

ডিম – ৬ টি

পেয়াজ বাটা – ২ টেঃচাঃ

রসুন বাটা – ১/২ চাঃচাঃ

ঘি ও তেল মিশিয়ে – ১/২ কাপ

নারিকেল বাটা – ১ টেঃচাঃ

প্রনালীঃ

*গরম মসলা গুড়াঁ করে রাখতে হবে।

*মাংস কিউব করে কেটে মসলা দিয়ে ভিজিয়ে রাখবো ১ ঘন্টা। এরপর হেমার দিয়ে ছেচে নেবো। আবারো ভিজিয়ে রাখবো।

*ডিম পুডিং এর মত করে সিদ্ধ করে চারকোনা করে কেটে নেবো। এবার ছোট কাঠিতে মাংস পিস, ডিম পিস ও পেয়াজ পরপর সাজিয়ে নেবো। এভাবে কয়েকটি কাঠি সাজাবো।

* অন্য হাড়িতে ঘি দিয়ে পেয়াজ দেবো। বাকী বাটা মসলা দিয়ে কষাবো। ভেজানো মসলা ও টক দই দিয়ে দেবো। মসলা কষানো হলে কাঠিগুলো বসিয়ে দেবো।

ঘি উপরে উঠলে নামিয়ে নেবো।

এরপর নান ও পরোটা দিয়ে পরিবেশন করুন।


সূত্রঃ রওশন আরা বেগম রিসিপি


ফ্রুটস ড্রিংক্স


উপকরনঃ

পেপে ও আপেল কুচি – প্রয়োজনমত

কলা – ১টি

মিষ্টি দই – ১ কাপ

আইস্ক্রিম – ১ কাপ

চিনির সিরা – প্রয়োজনমত

পেস্তা ও কাজু বাদাম কুচি – ২ টেঃচাঃ

চেরী – পছন্দ মত

প্রনালীঃ

প্রথমে পেপে, আপেল, কলা ও বাদাম ব্লেন্ড করতে হবে। এতে দই, আইস্ক্রিম ও চিনির সিরা দিয়ে পুনরায় ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে।

সার্ভিং গ্লাসে কিছু ফল কুচি দিয়ে ফ্রুটস ড্রিংক্স ঢেলে পেস্তা, কাজু বাদাম কুচি ও চেরী দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

সূত্রঃ রওশন আরা বেগম রিসিপি

বাদশাহী ক্ষীর


উপকরনঃ

ঘন দুধ- ১ লিটার চিনির সিরা- পরিমানমত

ছানা – ২ কাপ কাজু বাদাম কুচি- ৫০ গ্রাম

পেস্তা – ১/৪ কাপ জাফরান -১ টেঃচাঃ

কিসমিস- ২ টেঃচাঃ সিল্ভার পেপার- সামান্য

প্রনালীঃ

তিন কেজি দুধ ঘন করে ১ কেজি করতে হবে। দুধ যখন ঘন হবে তখন চিনির সিরা মিশিয়ে নেড়ে ঠান্ডা করতে হবে।

শক্ত ছানার থেকে পানি ঝরিয়ে শক্ত কিছু দিয়ে চাপা দিয়ে ১ ঘন্টা রাখতে হবে।

এরপর ছানা কুচি কুচি করে কেটে দুধের সাথে মিশাতে হবে এবং এর সাথে অন্যান্য উপকরন একত্রে মিশিয়ে ডিশে ঢেলে উপরে পেস্তা ও কাজু বাদাম ছিটিয়ে, সিল্ভার পেপার দিয়ে পরিবেশন করুন।

সূত্রঃ রওশন আরা বেগম রিসিপি

Thursday, October 7, 2010

শারদীয় খাবার


শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। মজার মজার খাবার তৈরী করা হয় এ-সময়। আজ জেনে নিন দুটি রেসিপি।

লুচি

যা লাগবে

ময়দা ৪ কাপ, নারিকেলের দুধ ১ কাপ, লবণ আধা চা চামচ, তেল বা ঘি ৩ কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন

১.৩ টেবিল চামচ ময়দা ঘি ও লবণ দিয়ে ময়ান করুন।
২.ময়ান নারিকেলের দুধ দিয়ে মাখিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।
৩. ছোট আকারে রুটি বেলে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

মোহনভোগ

যা লাগবে

সুজি ১ কাপ, কাজু বাদাম বাটা আধা কাপ, নারিকেল বাটা আধা কাপ, ছানা আধা কাপ, খেজুর গুড় আধা কাপ, ৩টি এলাচ গুঁড়ো, ঘি ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

১.কড়াইয়ে ঘি গরম করে কাজু ও নারিকেল বাটা দিয়ে নাড়ুন।
২. সুজি দুধে ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো সুজিতে ছানা, চিনি ও খেজুর গুড় দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৩.এলাচ গুঁড়ো দিন। অল্প আঁচে ঢেকে একটু দমে রাখুন।
৪. নামানোর আগে অল্প ঘি দিন। ঠাণ্ডা হলে নানা আকারে তৈরি করে উপরে কাজু বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।