Monday, April 30, 2018

এই বৃষ্টিতে সরিষার তেলের ভুনা খিচুড়ি


বাইরে রিনিঝিনি শব্দে অঝোর ধারায় পরছে বৃষ্টি। আর এমন দিনে যে খাবারটির কথা প্রথমে মনে আসে তা হলো খিচুড়ি। আর তাই এমন বর্ষণমুখর দিনে তৈরি করে ফেলতে পারেন সরিষার তেলের ভুনা খিচুড়ি। তাহলে জেনে নিন সরিষার তেলের ভুনা খিচুড়ি তৈরি করতে কী কী উপকরণ লাগবে এবং কীভাবে তৈরি করবেন।

যা লাগবে
পোলাওয়ের চাল ১০০০  গ্রাম,  মুগ ডাল ৫০০ গ্রাম, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ২-৩টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, গরমমসলা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো, এলাচ ৫ টুকরা, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ২টি, সরিষার তেল আধা কাপ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পানি পরিমাণ মতো।

যেভাবে রান্না করবেন
প্রথমে মুগ ডাল ভেজে নিতে হবে। এরপর পোলাওয়ের চাল আর মুগ ডাল একসঙ্গে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে ১ ঘণ্টা। এবার তেল গরম করে পেঁয়াজ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ হালকা বাদামি হয়ে এলে একে একে সব মশলা আর লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। এরপর চাল ডাল একসঙ্গে দিয়ে ভাজার মতো করে রান্না করতে হবে।
তারপর গরম পানি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে বেশি আঁচে রান্না করুন। পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করুন। বেশ হয়ে গেলো সরিষার তেলের ভুনা খিচুড়ি। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন সরিষার তেলের ভুনা খিচুড়ি। খিচুড়ির সাথে থাকতে পারে ইলিশ মাছ আর বেগুন ভাজা অথবা গরুর কালা ভুনা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ৩০ এপ্রিল ২০১৮

টক আমের ডাল


আজকের রেসিপির নাম ‘টক আমের ডাল’। কাঁচা আমের টক স্বাদের মুখরোচক ডালের এই রেসিপি দেওয়া হয়েছে এমএমএস কিচেন বাইটস ওয়েবসাইটে। জেনে নিন, কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন টক আমের ডাল।

উপকরণ

মসুরের ডাল এক কাপ, কাঁচা আম একটি, হলুদের গুঁড়া আধা টেবিল চামচ, চিনি আধা টেবিল চামচ, সরিষা এক চামচ, শুকনো মরিচ দু-তিনটি, সরিষার তেল এক টেবিল চামচ, চিনি আধা টেবিল চামচ এবং লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে ডাল ধুয়ে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর পর দুই কাপ পানির মধ্যে ডাল সেদ্ধ করুন। এখন এর মধ্যে হলুদের গুঁড়া ও কাঁচা আমের টুকরা দিয়ে ২০ মিনিট রান্না করুন। ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে এর মধ্যে লবণ এবং আরো এক কাপ পানি দিয়ে রান্না করে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন।

অন্য একটি প্যানে সরিষা ও শুকনো মরিচ ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে রান্না করা ডাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। এক মিনিট পর চিনি দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু আমের ডাল।

সূত্র : এনডিটিভি

প্রতিদিন কুসুমসহ ডিম খাওয়া কি ঠিক?


ডিমকে বলা হয়, ‘পাওয়ার হাউস অব নিউট্রিশন’। অর্থাৎ পুষ্টির শক্তির ঘর। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম হলো আদর্শ প্রোটিন। এখানে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরের অনেক উপকারে আসে। ডিম শুধু আদর্শ প্রোটিনই নয়, বরং অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী।
একটি বড় ডিম থেকে অনেক নিউট্রিয়েন্টস (পুষ্টি উপাদান) পাওয়া যায়। যেমন : ভিটামিন বি৬, বি১২, রিবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড, আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ প্রভৃতি। একট হার্ড বয়েলড বা সিদ্ধ ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। একটি ডিমের মধ্যে ৭০ থেকে ৭২ কিলোক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ডিমের প্রোটিন পুরোটাই শরীরের কাজে লাগে। এটি মাংসপেশির গঠনে সাহায্য করে। ডিম থেকে অনেক কম কার্বোহাইড্রেট আসে। তাই একটি সিদ্ধ ডিম কুসুমসহ প্রোটিনের উৎস হিসেবে গ্রহণ করলে সেটি ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে।
হৃদরোগের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত সম্পৃক্ত চর্বি ও ট্রান্সফ্যাট। তবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে শুধুমাত্র ডিমের কুসুম বাদ দেওয়া কি খুব কার্যকরী? বিজ্ঞানীদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল মাংস ও ডিম থেকে পেতে হয়। এটি টেসটোসটেরন হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে; এটি মাংসপেশি গঠনে সহায়ক। বিজ্ঞানীদের মতে, খাবারের কোলেস্টেরল মূলত রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ানোর মূলে নয়, বরং সম্পৃক্ত চর্বি ও ট্রান্সফ্যাট থেকেই রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়।
ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের কুসুম বরং রক্তে খারাপ চর্বি বা এলডিএল কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে সাহায্য করে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যাদের রক্তে কোলেস্টেরল ও এলডিএলের মাত্রা ঠিক থাকে, তাদের জন্য দৈনিক কোলেস্টেরল গ্রহণের পরিমাণ ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম।
সাধারণত একটি ডিমের কুসুম থেকে ১৮৫ থেকে ১৮৭ মিলিগ্রাম  কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। তবে যাদের পরিবারে হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে তাদের অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ  নিয়ে ডিমের কুসুম খেতে হবে।
বিভিন্ন গবেষণায় ডিমের কুসুম এবং এর উপকারিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। আর এর প্রয়োজনীয়তার কারণে আজকাল অনেকে ডিমকে কুসুমসহ খাচ্ছেন। এমনকি চিকিৎসকরাও পরামর্শ দিচ্ছেন প্রতিদিন একটি কুসুমসহ ডিম খাওয়ার। তবে আসলে কি রোজ একটি কুসুমসহ ডিম আপনি খাবেন?
ডিমের কুসুমের গুণ বিচার করলে, রোজ একটি ডিম কুসুমসহ খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়বে না বরং এতে রক্তে কোলেস্টেরল কমবে, এটা সত্য।
তবে যাদের রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বেশি বা যাদের বংশে এর ঝুঁকি রয়েছে, তারা যদি এই গবেষণার ফলাফল মেনে রোজ ডিমের কুসুম খান তবে কি খুব ক্ষতি? আসলে, গবেষণাগুলো শুধু ডিমের ওপর ভিত্তি করে এর একটি ফলাফল তুলে ধরেছে।
তবে কেউ যদি ভাবেন, কুসুম হলো ওষুধের মতো রক্তে কোলেস্টেরল কমাবে বা কোলেস্টেরল বাড়বে না, তাদের জন্য বলছি, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ, সম্পৃক্ত চর্বি বর্জন, দৈনিক হাঁটা বা ব্যায়াম করা, ট্রান্সফ্যাট বর্জন, শাক সবজি গ্রহণ ইত্যাদি না মেনে চললে, যদি গবেষণা অনুযায়ী একটি ডিম কুসুমসহ রোজ খায়, তাদের হৃদরোগ বা কোলেস্টেলের ঝুঁকি বাড়বে।
এটা ঠিক ডিমের কোলেস্টেরল আর কতটুকু, তবে ডিমকে বেশি তেল দিয়ে ভেজে খেলে বা তার সঙ্গে মাখন মিশিয়ে খাবার প্রস্তুত করে খেলে, সেটি অবশ্যই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াবে। একজন মানুষ যদি তার সারা দিনের খাবারের ফাস্টফুড গ্রহণ করে, কলিজা, মগজ, লাল মাংস, ভাজা মাছসহ ভাজা মাংস ইত্যাদি গ্রহণ করে, আর তার পাশাপাশি যদি একটি ডিম কুসুমসহ খায়, তবে সে তার হৃদরোগের ঝুঁকি বা কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকি কোনোভাবে কমাতে পারবে না।
যেমন, কেউ যদি সকালে একটি ডিম কুসুমসহ খায়, তবে সে কুসুম থেকে পাবে ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। সে যদি সকালের নাশতায় একটি সিদ্ধ ডিম, একটি ঘিয়ে ভাজা পরোটা খায়, তবে ওই পরোটা থেকে পাবে ৪৮ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। দুপুরে যদি সে মুরগির মাংসের একটি কলিজা ও এক টুকরো মাংস খায়, তবে সে পাবে ২৮৮ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। বিকেলে যদি দুটো পুরি খায়, আর সঙ্গে এক কাপ কনডেন্সড মিল্কের চা খায়, তবে পাবে ৯৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। রাতে যদি সে গরুর মাংস (১০০ গ্রাম) খায়, তবে পাবে ৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। অর্থাৎ সারা দিনে সে কোলেস্টেরল গ্রহণ করল প্রায় ৭০৩  মিলিগ্রাম।
তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল? খাদ্যের অভ্যাস পরিবর্তন না করে যদি ডিমসহ অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা হয়, তখনই বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডিম পরিমিত পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। অর্থাৎ সবাইকে এই পরিমাণ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। একটি খাবার অনেক স্বাস্থ্যকর হলেও সেটি অতিরিক্ত গ্রহণ উপকারের পাশাপাশি অপকারও করে থাকে।
খাদ্য প্রস্তুত প্রণালির বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন : ডিম যদি মাখন দিয়ে ভেজে চিজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়, তবে অবশ্যই তা রক্তের কোলেস্টেরলের ওপর প্রভাব ফেলবে। কিছু কিছু রান্না, যেমন, ডিম দিয়ে ফ্রেঞ্চটোস্ট, পুডিং, ডিমের হালুয়া ইত্যাদি তৈরিতে একের অধিক কুসুমসহ ব্যবহার করা হয়। এগুলো খেলে দৈনিক চাহিদার তুলনায় বেশি গ্রহণ কোলেস্টেরল গ্রহণ করা হয়। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কোলেস্টরল সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করলে রক্তে যদি কোলস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে এটি এথেরোসক্লোরোসিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে এটা ঠিক যে ডিমের কুসুম রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ায় না।
নিউট্রিশন জার্নাল জুলাই ২০১০ সালের মতে, সব গবেষণায় মোডারেশন ও পরিমাপের বিষয়টিতে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়।
হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের মতে, একটি ডিম রোজ খেলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না, তবে ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল বেশি থাকলে সপ্তাহে এক থেকে তিনটির বেশি ডিম কুসুমসহ না খাওয়া ভালো।
ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। একটি থেকে যেহেতু অনেক পাওয়া যায়, তাই কিডনির ঝুঁকি থাকলে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
যেই সব বিষয় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, সেই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন : ধূমপান ত্যাগ করা, দৈনিক হাঁটা, শাকসবজি ও ফল প্রতিদিন গ্রহণ করা। নিয়মিত চিকিৎসক দেখানো, আলাদা লবণ খাবারে না খাওয়া, মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলা। ইত্যাদি মেনে চললে এর সঙ্গে রোজ একটি ডিম কুসুমসহ খেলে হয়তো আপনার কোনো ক্ষতি হবে না। 
তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য রোজ একটি ডিম অবশ্যই খাওয়া যাবে। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদাও এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে। সারা দিনের খাবারে খাদ্য প্রস্তুতের বিষয়টি ও মেন্যু ইত্যাদিও বিবেচনা করতে হবে। যেমন : সকালে একটি ডিম খেয়ে আবার যদি বিকেলে একটি ডিম দিয়ে তৈরি নুডলস খায় তবে সেই অতিরিক্ত পরিমাণ থেকেই  সমস্যা হতে পারে। তাই রান্নার মান উন্নত করে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে, ডিম আপনার জন্য উপকারী খাবার হিসেবে বিবেচিত হবে। 
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল
সূত্রঃ NTV

ছুটির দুপুরে মেথি পাঙ্গাস


পাঙ্গাস মাছ কার কার পছন্দ? এটা জিজ্ঞাসা করলে আপনি পছন্দের সংখ্যা কম পাবেন। কারণ অনেকেই স্বাদ,গন্ধ নানা কারণে পাঙ্গাস মাছ পছন্দ করেন না। আবার অনেক সময় ভালো মতো রান্না করতে না পারার করণে পাঙ্গাস মাছের স্বাদ, বিস্বাদ হয়ে যায়। তবে আজ আমরা যে রেসিপিটা আপনাকে জানবো সেটা খেলে আপনি রীতিমতো পাঙ্গাসের ভক্ত হয়ে যাবেন। আসুন তাহলে দেখে নেই পাঙ্গাসের নতুন রেসিপি মেথি পাঙ্গাস। 

উপকরণ: 
পাঙ্গাশ মাছ ৭-৮ টুকরা।
টক দই ২ টেবিল-চামচ। 
মেথিবাটা আধা চা-চামচ। 
শুকনামরিচ ১-২টি। 
লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ। 
পেঁয়াজবাটা আধা কাপ। 
রসুনবাটা আধা চা-চামচ। 
আদাবাটা আধা চা-চামচ।
হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। 
মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ। 
ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। 
ভাজা জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। 
আস্ত জিরা ১/৪ চা চামচ। 
চিনি আধা চা-চামচ।(ইচ্ছা) 
এলাচ ২-৩টি। 
দারুচিনি ১টি। 
তেজপাতা ১টি। 
লবঙ্গ ২-৩টি। 
তেল পরিমাণ মতো। 
লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালি: 
মাছের টুকরাগুলো ধুয়ে অল্প লবণ, হলুদ আর লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে, মাছের টুকরাগুলো হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
একই তেলে জিরা, শুকনামরিচ আর গরমমসলার ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজ, আদা, রসুনবাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। তারপর সামান্য পানি দিন।

এরপর হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরাগুঁড়া, লবণ, মেথিবাটা দিয়ে আবারো কষিয়ে দই আর চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন।
এবার ভাজামাছগুলো দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। প্রয়োজনে একটু পানি দিতে হবে। যদি মাখা মাখা ঝোল রাখতে চান তাইলে অল্প আঁচে রেখে ঝোল শুকিয়ে নিন। আর ঝোল বেশি রাখতে চাইলে পানি দেওয়ার পর ঝোল ফুটে রান্না হয়ে গেলেই নামিয়ে ফেলুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  নভেম্বর ২৪, ২০১৭

Sunday, April 29, 2018

ঝটপট রসনাবিলাসে খাসির মগজ ভুনা (রেসিপি ও ভিডিও)


সাধারণ মাংস রান্না সবাই পারেন একটু হলেও। তবে মাংসের পাশাপাশি আরো কিছু রান্না আছে, যেমন কলিজা ভুনা, মগজ ভুনা বা নেহারি- যার রেসিপি সবাই জানেন না এবং রান্নার চেষ্টাও করেন না। মগজ ভুনা এসবের মাঝে খুবই সহজ একটি রান্না যা তৈরি হয়ে যায় দারুণ কম সময়ের মাঝে। চলুন দেখে নিই খাসির মগজ পরিষ্কার করে সেটা ঝটপট রান্না করে নেবার প্রণালী।

উপকরণ

২টি খাসির মগজ (১৫০ গ্রাম)

আধা কাপ মোটা করে কাঁটা পিঁয়াজ

সিকি কাপ পিঁয়াজ বাটা

২ টেবিল চামচ তেল

আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

আধা চা চামচ ধনে গুঁড়ো

আধা চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়ো

সিকি চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো

সিকি চা চামচ আদা বাটা

সিকি চা চামচ রসুন বাটা

কাঁচামরিচ কুচি স্বাদমতো


প্রণালী

১) একটি পাত্রে গরম পানি ফুটিয়ে নিন। এতে মগজ ছেড়ে দিন। বেশী আঁচে ১ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ছেঁকে তুলে নিন মগজ। ১ মিনিটের বেশী সময় ফুটাবেন না, তাতে বেশী নরম হয়ে যাবে।

২) ঠাণ্ডা হলে পরিষ্কার করে নিন। মগজে কিছু চিকন রগ থাকে যা হাতে টান দিলেই চলে আসবে। বাকি যা সাদা অংশ থাকে তা বাদ দিতে হবে। এরপর ছোট করে কেটে নিন মগজ। 

৩) ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন। এতে পিঁয়াজ বাটা দিয়ে ২ মিনিট ভাজা ভাজা করে নিন। এরপর বাকি মশলা এবং লবণ দিন। এতে একটু পানি দিয়ে ২ মিনিট মশলা কষে নিতে হবে। এরপর এতে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পিঁয়াজ ২-৩ মিনিট নেড়েচেড়ে নিন। পিঁয়াজ নরম হলে মগজ দিয়ে দিন।

৪) মশলায় মগজ খুব ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর কাঁচামরিচ কুচি দিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে আঁচ কমিয়ে রাখুন। ৫-৮ মিনিট লাগবে মগজ রান্না হতে। তবে মগজের পরিমাণ কম-বেশী হলে এই সময়টাও সেভাবে কম বা বেশী হবে। ঢাকনা খুললে দেখবেন মগজ রান্না হয়ে এসেছে। এবার একটু আঁচ বাড়িয়ে ভাজা ভাজা করে নিতে পারেন। 

তৈরি হয়ে গেলো মগজ ভুনা। পরিবেশন করতে পারেন পরোটা বা ভাতের সাথে। রেসিপির ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন এখানে-




রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ৩১ অক্টোবর ২০১৭

ক্যানড মাশরুমের দুর্গন্ধ দূর করবেন যেভাবে


তাজা মাশরুম এখনো আমাদের দেশে খুব একটা সহজলভ্য নয়। বাজারে ভালো মানের ওয়েস্টার মাশরুম  পাওয়া গেলেও বাটন বা অন্যান্য প্রজাতির মাশরুম কিনতে হয় ক্যানড বা প্রক্রিয়াজাত অবস্থায়। দীর্ঘদিন ভালো থাকার জন্য তাতে দেওয়া থাকে প্রিজারভেটিভ। ফলে ক্যানের মাশরুমের সংরক্ষণ পদ্ধতির জন্যই বাজে দুর্গন্ধ আসে, যা রান্না করার পরও যায় না।
মাশরুমসহ যেকোনো সবজি তাজা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এর পরও নানা রকমের শৌখিন রান্নায় ক্যানের মাশরুম কিনতেই হয়। সেই মাশরুম কীভাবে দুর্গন্ধমুক্ত রাখা যায়, তা প্রিয়.কমের পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
যা লাগবে
এক ক্যান মাশরুম
এক টেবিল চামচ মিহি কিমা করা রসুন 
এক টেবিল চামচ মাখন 

প্রণালি
-ক্যানের ভেতর যে পানিটা থাকে, সেটা সম্পূর্ণ ফেলে দিন। তারপর মাশরুমগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন পরিষ্কার পানি দিয়ে। ভালো হয় চার থেকে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে নিলে। 
-এরপর পছন্দমতো স্লাইস করে কাটুন বা আস্তই রেখে দিন, যেমন আপনার ইচ্ছা। 
-নন স্টিক প্যানে মাখন দিন। মাখন গরম হলে রসুনের কিমা দিয়ে দিন। 
-রসুন গন্ধ ছড়ালে মাশরুম দিয়ে দিন।
-এবার ভাজুন। মাঝারি আঁচে দুই থেকে তিন মিনিট ভেজে নিন।

ব্যস, তৈরি আপনার মাশরুম। এখন আপনি যে রান্নাতেই ব্যবহার করেন না কেন, কোনো রকমের দুর্গন্ধ আসবে না। রসুন ও মাখনের ফ্লেভার মিলে যোগ হবে দারুণ একটি স্বাদ।
টিপস
চাইলে ভাজার সময় লবণ ও চিলি ফ্লেক্স ছিটিয়ে, পছন্দের কোনো হার্ব যোগ করে পরিবেশন করতে পারেন সটেড মাশরুম। সে ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ মিনিট ভেজে নিলেই চলবে।


তথ্যসূত্রঃ প্রিয়.কম

চিংড়ী করলা


তেঁতো করলা খেতে চায় না অনেকেই! অথচ এই করলা খুবই পুষ্টিকর সবজি। এজন্য এটা খাওয়া থেকে বিরতি না নিয়ে বরং করলাকে কিভাবে মজা করে রান্না করা যায়, এদিকে নজর দেয়া উচিত। এই চিংড়ী করলাটা কিন্তু তিতা হয় না। বরং খেতে সুস্বাদু। চলুন তবে আজ এই রান্নাটা শিখে নেয়া যাক।

উপকরণ
চিংড়ী- ১/২ কাপ
করলা- ১ টি বড়, (গোল গোল করে চাক করে কাঁটা)
পেঁয়াজ কুঁচি- ২/৩ কাপ
আদা-রসুন বাঁটা- ১ টে.চা.
কাঁচামরিচ- ৫ টি, মাঝ বরাবর আড়াআড়ি ফালি করে ২ ভাগ করা
মরিচের গুঁড়ো- ১/২ টে.চা.
হলুদের গুঁড়ো- ১/২ টে.চা.
সরিষা বাঁটা- ২ টে.চা.
সরিষা তেল- ৩ টে.চা.
পানি
লবণ

প্রণালী
– একটি প্যানে সরিষার তেল নিয়ে ১/৩ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেঁজে নিন। এরপর আদা-রসুন বাঁটা দিয়ে নাড়ুন কিছুক্ষণ। একটু পানি দিন। মরিচের গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ২ মিঃ নাড়ুন। চিংড়ী মাছ ছাড়ুন। ৭ মিঃ রান্না করুন।

– এবার তেল ভেসে উঠার পর সামান্য পানি (১/৩ কাপ) দিয়ে দিন। সরিষা বাঁটা দিয়ে হালকা করে নেড়ে মেশান। এবার মিডিয়াম আঁচে করলা, কাঁচামরিচ ও ১/৩ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি তাতে ছাড়ুন। ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিন। ৫ মিঃ ঢেকে রাখুন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। করলা যাতে প্যানে পুড়ে লেগে না যায় তাই আঁচ সবসময় কমিয়ে রাখবেন এবং খেয়াল রাখবেন।

– এবার ঢাকনা খুলে নেড়ে দিন। যদি সরিষা বাঁটা বেশি খান তো আরেকটু দিতে পারেন। হালকা নেড়ে আরও ১০ মিঃ ঢেকে রাখুন।

– আধা কাঁচা রাখলে খেতে ভালো লাগবে। তাই নামিয়ে ফেলুন। বেশি ভেঁজে ফেললে নরম নরম ভাবটা থাকবে না, খেতেও ভালো লাগবে না।

ব্যস! রান্না হয়ে গেল মজাদার চিংড়ী করলা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

মাংস দিয়ে মজাদার এচোড় ভুনা


হরেক রকম দেশি ফল নিয়ে আগমন ঘটে বৈশাখ মাসের। কাঁচা আম,  কাঁঠাল, জাম, লিচু নানা ফলের ছড়াছড়ি। ছোট কাঁঠালকে এচোড় বলা হয়। এচোড় ফল হিসেবে খাওয়া না গেলেও এটা দিয়ে খুব মাজাদার সবজি রান্না করে খাওয়া যায়। কেউ কেউ ছোট মাছ দিয়ে চচ্চড়ি, বড় মাছ দিয়ে ঝোল বা মাংস দিয়ে ভুনা করে খেতে পছন্দ করেন। রান্নার কৌশল জানা থাকলে অসাধারণ স্বাদের এই খাবার কেউ মিস করতে চান না। তাই দেখে নেওয়া যাক, মাংস দিয়ে কাঁচা কাঁঠাল ভুনা করার পদ্ধতি।

যা যা লাগবে

উচ্ছিষ্ট বাদ দিয়ে কাঁচা কাঁঠাল আধা কেজি, আধা কেজি গরু বা খাসির মাংস, পেঁয়াজ  কুচি আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া পরিমাণমতো, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, জিরা গুঁড়া এক চা চামচ, রসুন বাটা দুই টেবিল চামচ, আদা বাটা দুই টেবিল চামচ, এলাচ চারটা, দারুচিনি চার টুকরো, কাঁচামরিচ ৮ থেকে ১০টা, লবণ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পানি পরিমাণমতো, আধা চামচ চিনি।

যেভাবে করবেন

প্রথমে কাঁচা কাঁঠাল ভাব দিয়ে নিন। এরপর কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে মসলাগুলো সব কষিয়ে নিতে হবে। তারপর হলুদ, লবণ আর সামান্য পানি দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন। মসলা ভালো করে ফুটে উঠলে মাংস দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। মাংস হয়ে এলে আগে থেকে ভাব দিয়ে রাখা কাঁঠাল দিয়ে আবারও এক কাপ পানি দিতে হবে।

এবার আবার ১০ মিনিট ঢেকে রান্না করতে হবে। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিলে পাতিলের নিচে লেগে যাবে না। পানি শুকিয়ে এলে লবণ-মরিচ চেখে নামিয়ে আনুন।

এবার অন্য একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, আস্ত জিরা আর রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজে বাদামি রং এলে পুরো সবজিটি ফোড়ন দিন। এবার তাতে সামান্য চিনি ছিটিয়ে দিন। এতে তরকারির স্বাদ ভালো হবে। আবার একটু নেড়ে শুকনা করে কাঁঠাল তরকারি নামিয়ে আনুন।

ব্যস, হয়ে গেল অসাধারণ স্বাদের কাঁঠালের এচোড় তরকারি। 

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

শবেবরাতে হালুয়ার ৩ পদ




শবেবরাত। ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই দিনটির অপেক্ষা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর এই দিনে রুটি আর হালুয়া খাওয়ার কোনো নিয়ম না থাকলেও একটু মিষ্টিমুখ তো করাই যেতে পারে।

তবে নামাজের জন্য হাতে যেন সময় থাকে, সে জন্য মজার হালুয়া খেতে হলে আগে তৈরি করে রাখতে পারেন।

আসুন জেনে নিই শবেবরাতের তিন পদের হালুয়া সম্পর্কে-

ছোলার ডালের হালুয়া

ছোলার ডালের হালুয়া

উপকরণ

ছোলার ডাল ৫০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, চিনি ৭৫০ গ্রাম, ঘি চার ভাগের এক কাপ, এলাচ গুঁড়ো , দারুচিনি, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ। কিসমিস ৩ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি

ছোলার ডাল, দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে গরম অবস্থায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে ডাল বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চিনি দিন। এলাচ, দারুচিনি গুঁড়ো দিতে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে উঠলে কিসমিস, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। বড় থালায় ঘি লাগিয়ে পেস্তা বাদাম কুঁচি ছিটিয়ে গরম হালুয়া ঢেলে সমান করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছাঁচে বসিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরিবেশন করুন।

ডিমের হালুয়া

ডিমের হালুয়া

উপকরণ

ডিম ৮টি, চিনি পৌনে ২ কাপ, দুধ ঘন ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২ সেমি ২ টুকরো, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, জাফরান সামান্য।

প্রণালি

গোলাপজলে জাফরান আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটে দিন। সব উপকরণ একত্রে মেশান। মৃদু আঁচে চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। খুব সাবধানে নাড়তে হবে যেন তলায় না লাগে। ডিম জমাট বেঁধে মিহিদানার মতো হবে। পানি শুকিয়ে ঘি বের হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়ুন। বেশিক্ষণ ভাজলে হালুয়া শক্ত হয়ে যাবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে মাওয়া, বাদাম কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে দিন।

বাদামের হালুয়া

বাদামের হালুয়া

উপকরণ

কাজু বাদাম ২ কাপ, ছানা ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, এলাচ গুঁড়া সিঁকি চা চামচ, ঘি আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ, কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।

প্রণালি কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে নাড়তে থাকুন এবং চিনি দিন। ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে ঢেলে পিস করে নিন, সবশেষে সাজিয়ে ওপরে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৭ এপ্রিল ২০১৮

Saturday, April 28, 2018

সাবুদানা খিচুড়ি


আজকের রেসিপির নাম সাবুদানা খিচুড়ি। সাবুদানা দিয়ে তৈরি মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর খিচুড়ির এই রেসিপিটি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায়। জেনে নিন কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন সাবুদানা খিচুড়ি।

উপকরণ

এক কাপ সাবুদানা, আলু একটি, এক কাপ টমেটো কুচি, ১/৪ কাপ চিনাবাদাম, এক টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ কাঁচামরিচ কুচি, আধা টেবিল চামচ জিরা, এক টেবিল চামচ ঘি এবং লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে সাবুদানাগুলো দুই ঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে চালনির মধ্যে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। আলু ছোট ছোট করে কেটে নিন। একটি প্যানে ঘি গরম করে নিন। এরপর এতে জিরা এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ভাজতে থাকুন। ১০ সেকেন্ডের মতো ভেজে এর মধ্যে আলু দিয়ে দিন। আলু হালকা ভাজা হয়ে গেলে চিনাবাদাম দিয়ে ভাজতে থাকুন। এরপর এতে টমেটো দিয়ে চার-পাঁচ মিনিট ভাজতে থাকুন, যতক্ষণ না টমেটো সিদ্ধ হয়। এখন এতে সাবুদানা ও লবণ দিয়ে চার-পাঁচ মিনিট রান্না করুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল দারুণ সুস্বাদু সাবুদানা খিচুড়ি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১২ মার্চ ২০১৫

বাসন্তী পোলাও


অনেকেই হয়তো ভাবছেন, বাসন্তী পোলাও, তা আবার হয় নাকি? মূলত এই পোলাওটা রান্না করা হয় আমাদের রেগুলার পোলাও ও জর্দার সংমিশ্রণে। তবে এই পোলাওটা জর্দার থেকে একটু কম মিষ্টি হয়। তাহলে জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন বাসন্তী পোলাও। 

উপকরণ
গোবিন্দভোগ চাল এক কাপ
কাজু ২৫ গ্রাম
কিশমিশ ২৫ গ্রাম
হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ 
আদা কুচি এক চা চামচ
চিনি এক টেবিল চামচ
তেজপাতা চারটি
দারুচিনি তিন টুকরা
এলাচ চারটি 
লবঙ্গ ছয়টি
ঘি দুই চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া এক চা চামচ
লবণ পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চালগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর এর মধ্যে আদা, লবণ, গরম মসলা গুঁড়া এবং হলুদের গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর চুলায় মিডিয়াম আঁচে একটি কড়াইয়ে দুই চা চামচ ঘি হালকা গরম করে নিন। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন আস্ত তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, কিশমিশ ও কাজু। এরপর এগুলোকে একটু হালকা করে ভেজে নিন। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন আগে থেকে মসলা মাখানো চালগুলো। এরপর সব উপকরণ ভালো করে ভেজে নিন। এর মধ্যে দিয়ে দিন দুই কাপ গরম পানি। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন এক টেবিল চামচ চিনি। এরপর একটা ঢাকনা দিয়ে হাঁড়িটাকে ঢেকে দিয়ে অল্প আঁচে দমে রেখে পোলাওটাকে রান্না করে নিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাসন্তী পোলাও। 


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

টমেটোর ইলিশ মাছের ঝোল

এই বৈশাখে ইলিশের বিভিন্ন রকম আয়োজনের শেষ নেই। শর্ষে ইলিশ, ইলিশ ভাজা, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ পোলাওসহ আরো কত কী। তেমনি আজ আপনাদের জন্য রয়েছে আরো সুস্বাদু রেসিপি টমেটোর ইলিশ মাছের ঝোল। যাঁরা ঝাল খেতে পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে এটি ভালো লাগবেই। আর যাঁরা ঝাল কম খাবেন, তাঁরা ঝালের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন। তাহলে চলুন, দেখে নিই কীভাবে বানাবেন মজাদার এই খাবার।

উপকরণ

ইলিশ মাছ ছয় পিস
সয়াবিন তেল আধা কাপ
পেঁয়াজ কুচি এক কাপ
টমেটো কুচি আধা কাপ
শুকনা মরিচ বাটা দুই চা চামচ (এর পরিবর্তে মরিচ গুঁড়াও দিতে পারেন)
হলুদ আধা চা চামচ
জিরা বাটা এক চা চামচ
রসুন বাটা আধা চা চামচ
লবণ স্বাদ অনুযায়ী
পানি দুই কাপ

যেভাবে করবেন

প্রথমে মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি বাটিতে মাছে আধা চা চামচ হলুদ ও দুই চিমটি লবণ মাখিয়ে নিন। ফ্রাই প্যানে মেপে রাখা তেলের পুরোটাই দিয়ে দিন। তেল ভালো করে গরম হলে এতে মাছ দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। ভাজা হলে মাছ উঠিয়ে অন্য একটি পাত্র উঠিয়ে রাখুন। এবার ফ্রাই প্যানের ওই তেলের মধ্যেই পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। হালকা ভেজে এবার এর মধ্যে টমেটো কুচি দিয়ে দিন। একটু নেড়ে আধা চা চামচ লবণ দিন। এবার ভালো করে নাড়তে থাকুন। টমেটো নরম হয়ে এলে এতে একে একে জিরা বাটা, রসুন বাতা, মরিচ বাটা, আধা চা চামচ হলুদ ও আধা কাপ পানি দিয়ে ভালো করে কষুন। পানি শুকিয়ে এলে এতে আরো দেড় কাপ পানি দিন। পানি ফুটলে এর ওপর ভেজে রাখা ইলিশ মাছের টুকরাগুলো বিছিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে রান্না করবেন। মাছের ঝোল ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে মজাদার টমেটোর ইলিশ মাছের ঝোল। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। 

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

কাঁচা আমের মিঠা আচার


বাজারে হরহামেশা পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা আম। আম ভর্তা থেকে শুরু করে আচার পর্যন্ত এমন কিছু নেই যা বাঙালির জিভে জল আনে না। তবে ছোট থেকে বুড়ো সবাই পছন্দ করে কাঁচা আমের মিঠা আচার। আজ আমরা জেনে নেব মজাদার এই আমের আচার কীভাবে বানানো যায়।
বানাতে যা লাগে কাঁচা আম ১ কেজি,  সিরকা আধা কাপ, সরিষার তেল এক কাপ, রসুনবাটা দুই চা-চামচ, আদাবাটা দুই চা-চামচ, হলুদ গুড়া দুই চা-চামচ, চিনি তিন টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো। 

আচারের বিশেষ মসলার জন্য লাগবে
মেথি গুঁড়া এক চা-চামচ, জিরা গুঁড়া দুই চা-চামচ, মৌরি গুঁড়া এক চা-চামচ, রাঁধুনি গুঁড়া দুই চা-চামচ, সরষেবাটা তিন টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া দুই টেবিল-চামচ, কালো জিরা গুঁড়া এক চা-চামচ।

যেভাবে বানাবেন
প্রথমেই খোসাসহ কাঁচা আম টুকরো করে লবণ দিয়ে মেখে একরাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন ধুয়ে আদা, হলুদ, রসুন মাখিয়ে কিছুক্ষণ রোদে রাখুন। এরপর সসপ্যানে আধা কাপ তেল দিয়ে আমগুলো নাড়া-চাড়া করতে থাকুন, গলে গেলে নামিয়ে ফেলুন । অন্য একটি  সসপ্যানে বাকি তেল দিয়ে চিনিটা গলিয়ে ফেলুন। কম আঁচে চিনি গলে গেলে সব মসলা দিয়ে (মৌরি,মেথি গুঁড়া ছাড়া) আম কষিয়ে নিতে হবে। আম গলে গেলে মৌরি গুঁড়া, মেথি গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৭ এপ্রিল ২০১৮

দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী বিষক্রিয়া হয়?


দুধ ও আনারস একসঙ্গে খাবেন না। এ কথাটি আমরা সব সময় শুনে থাকি। দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে নাকি হতে পারে বিপত্তি। তবে কথাটি কি সত্যি। কী বিপত্তি হতে পারে, তা কি আপনার জানা আছে।

আনারসে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম ও ফসফরাস। আর দুধকে আমরা সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করি। তবে আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে মানুষ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যায়-এ রকম একটি ধারণা প্রচলিত আছে।

জানা আছে, দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কি সমস্যা হয়? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন, ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন।

আসুন জেনে নেই দুধ আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?

দুধ-আনারসে বিষক্রিয়া

আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে কেউ মারা যায় এই ধারণা ভুল। এগুলো একধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার। দুধ আর আনারস একসঙ্গে খেলে কেউ মারা যায় না। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ

আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয় না। আনারস একটি অ্যাসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যে কোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। হতে পারে বদহজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ।, তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

গ্যাসট্রিকের সমস্যা

দুধ ও আনারস খেলে বিষক্রিয়া সমস্যা নেই। তবে যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই খালি পেঠে আনারস ও টকজাতীয় কোনো খাবার খাবেন না।

কুসংস্কার

এমন কখনো দেখিনি যে দুধ-আনারস একসঙ্গে খেয়ে মানুষ মারা গেছে। এটা একটা কুসংস্কার। ডেজার্ট, কাস্টার্ড বা স্মুদিতে আনারস-দুধ একত্রে মিশিয়ে খাই। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না।এটি এটি সম্পূর্ণ কুসংস্কার।

খাদ্যের সমন্বয়

পাইনঅ্যাপেল কাস্টার্ড, ডেজার্ট, পাইনঅ্যাপেল স্মুদি, পাইনঅ্যাপেল মিল্ক সেক, পাইনঅ্যাপেল সালাদ, পাইনঅ্যাপেল ইয়োগার্ট ইত্যাদি ফলগুলো আমরা একসঙ্গে খাই। এই ফলগুলোর মধ্যে খাদ্যের সঠিক সমন্বয় থাকে। তাই কোনো সমস্যা হয় না।

অন্যদিকে এক গ্লাস দুধ খেলেন, পাশাপাশি আনারস খেয়ে নিলেন তাহলে সঠিক খাদ্যের সমন্বয় হয় না। এ ক্ষেত্রে সঠিক সমন্বয় না হওয়ার ফলে পাতলা পায়খানা, বদ হজম, অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি

দুধ-আনারস একসঙ্গে না খেয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি দেয়া যেতে পারে। কারণ একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার কোনো কারণ নেই।

সূত্রঃ যুগান্তর

Friday, April 27, 2018

শবে বরাতে তৈরি করুন ৭ দেশের মিষ্টান্ন


আমাদের দেশে শবে বরাতে ধর্মীয় ইবাদতের পাশাপাশি আর কিছু হোক বা না হোক বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়। গরিব মানুষ, আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে দেয়ার জন্য। এই দিন বিভিন্ন রকমের হালুয়া, মিষ্টি, পায়েস, সন্দেশ, রুটি আরও নানা ধরনের খাবার তৈরি করা হয়।এবার যদি আপনার হাতে সময় থাকে তাহলে আপনি আপনার শবে বরাতের রান্না রাখতে পারেন সাতটি দেশের ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি খাবার। যা আপনার রেগুলার সব ধরনের খাবারকে পেছনে ফেলে দিবে। আসুন তাহলে এবার শবে বরাতে তৈরি করে ফেলি সাত দেশের ভিন্ন স্বাদ।

টার্কিশ ডিলাইট

১. টার্কিশ ডিলাইট

উপকরণ

কাস্টর সুগার ৮০০ গ্রাম

লেবুর রস ২ টবিল চামচ

কর্নফ্লাওয়ার ১৪০ গ্রাম

ক্রিম অফ টারটার গুঁড়ো দেড় চা চামচ (এর বিজ্ঞানের নাম পটাসিয়াম বিটরেট্রেট, টার্টেট বা টার্টরিক এসিড (তাই এই নাম)।

গোলাপ জল ২ টেবিল চামচ

গোলাপি ফুড কালার

সাইট্রিক এসিড গুঁড়ো ১ চা চামচ

আইসিং সুগার পরিমাণ মতো

প্রণালী: কাস্টর সুগার এবং দেড় কাপ পানি একটি নন-স্টিক প্যানে নিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটে ওঠার পর লেবুর রস দিন। ৩০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন অথবা ক্যান্ডি থার্মোমিটার বা সুগার থার্মোমিটারে ১১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আসার পর চুলা বন্ধ করে দিন।

আরেকটি পাত্রে কর্নফ্লাওয়ার, ক্রিম অফ টারটার এবং দুই কাপ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি ইলেকট্রিক বিটার ব্যবহার করুন। বিট করতে থাকলে মিশ্রণ ঘন এবং আঠালো হয়ে আসবে। এর মাঝে চিনির মিশ্রণটি দিয়ে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এবার খুব ধৈর্য ধরে রান্না করতে হবে। খুব কম আঁচে নাড়তে থাকুন মিশ্রণটিকে। ক্রমাগত নাড়ুন নয়তো পুড়ে যেতে পারে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের মাঝে মিশ্রণটি সোনালি হয়ে আসবে এবং পাত্রের মাঝামাঝি অংশে ঘন হয়ে আসবে। এ সময়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন পাত্রটি।

এবারে এতে রং ও ফ্লেভার যোগ করার পালা। প্রথমে গোলাপজল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর নিজের ইচ্ছেমত রং দিয়ে দিন, হালকা বা গাড় রং করতে পারেন। সবার শেষ সাইট্রিক এসিড ডিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

একটি ট্রেতে বেকিং পেপার দিয়ে এর ওপরে তেল মাখিয়ে নিন। তাতে মিশ্রণটি ঢেলে নিন এবং নেড়েচেড়ে সমান করে নিন। এবার এটাকে রেখে দিন। সারারাত রেখে দিতে পারলে ভালো হয়।

পরের দিন দেখবেন এটা শক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু, কিছুটা চটচট করছে। কাটিং বোর্ডের ওপর আইসিং সুগার ছড়িয়ে এর ওপর ট্রে থেকে নামিয়ে নিন পুরোটা। একটি ছুরিতে তেল মাখিয়ে পছন্দ মতো আকৃতিতে কেটে নিন। কাটা টুকরোগুলোকে আবারও আইসিং সুগারে গড়িয়ে নিন।

ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার টার্কিশ ডিলাইট। সাথে সাথে উপভোগ করতে পারেন অথবা প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বাড়িতেও পাঠাতে পারেন সুন্দর ও সুস্বাদু এই মিষ্টি।

ফিলিপিনো ‘বুকো পানদান’

২. ফিলিপিনো ‘বুকো পানদান’

উপকরণ:

সাবু দানা ২ কাপ

কনডেন্সড মিল্ক ১টা

ডানো ক্রিম ১টা

হাফ কেজি তরল দুধ (ঘন করে ১ কাপ করে নিতে হবে)

ডাব নারিকেল এর শাঁস (নারিকেল এর শাঁস খুব নরম বা খুব শক্ত হবে না ও চারকোনা করে কাটা)

জেলাটিন জমিয়ে ৪ কোনা করে কাটা।

আঙুর, আম, বা পছন্দের কোনো ফল (চারকোনা করে কাটা দিতে পারেন-ইচ্ছামত)

পছন্দ মতো ফুড কালার

প্রণালী:

সাবু দানা পানিতে সিদ্ধ করে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে গলে না যায়। এই সময় ফুড কালার মিশিয়ে নিন।

পানি ঝরিয়ে ১টা বাটিতে নিয়ে কনডেন্স মিল্ক, ক্রিম, ঘন দুধ, ফল, নারিকেলে শাঁস ও জেলাটিন সব একসাথে মিক্স করে নিন।

এবার গ্লাস বা বাটিতে করে সুন্দর করে সাজিয়ে ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার ফিলিপিনো খাবার বুকো পানদান।

তুর্কিস্তানের রেভানি

৩. তুর্কিস্তানের রেভানি

উপকরণ:

ডোয়ের জন্য

দই ১ কাপ

চিনি ১ কাপ

কমলার খোসা কোরানো ১টি

ময়দা ১ কাপ

সুজি ১ কাপ

কোরানো নারকেল আধা কাপ

তেল আধা কাপ

ডিম ৩টি

বেকিং পাউডার ২ চা চামচ

ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা চামচ

সিরাপের জন্য

চিনি সাড়ে ৩ কাপ

পানি সাড়ে ৩ কাপ

লেবুর রস ২ টেবিল চামচ

প্রণালী: প্রথমেই পানিতে চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে চিনির সিরাপ তৈরি করে ফেলুন। এতে লেবুর রস দিয়ে হালকা ঘন চিনির সিরাপ তৈরি করে আলাদা করে রাখুন।

এরপর একটি বড় বোলে ডিম ভেঙে চিনি দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তারপর এতে দই ও তেল দিন। আবারো ভালো করে মিশিয়ে নিন।

ভালো করে মেশানো হলে কোরানো নারকেল, সুজি দিয়ে দিন এবং ময়দা ও বেকিং পাউডার ছেঁকে দিয়ে ভালো করে মেশাতে থাকুন। ভ্যানিলা এসেন্স ও কোরানো কমলালেবুর খোসা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে কেকের ব্যাটারের মতো তৈরি করে নিন।

একটি বড় কেক মোল্ড বা বড় ওভেনপ্রুফ ট্রে বা ছড়ানো বাটি নিয়ে বাটার দিয়ে গ্রিজ করে নিন এবং এতে মিশ্রণটি ঢেলে দিন।

ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রি হিট করে নিয়ে ট্রেটি ওভেনে দিন এবং ১০ মিনিট বেক করে নিন। এরপর ১৮০ ডিগ্রীতে হিট কমিয়ে এনে ৩০-৩৫ মিনিট বেক করুন। কেকের মতোই টুথপিক দিয়ে দেখে নিন ভেতরে হয়েছে কিনা। এরপর বের করে নিন ওভেন থেকে।

এরপর মাঝে যোগ চিহ্নের মতো করে কেটে ঠাণ্ডা হয়ে আসা সিরাপ দিয়ে দিন যাতে ভেতরে সিরাপ ঢুকতে পারে। খানিকক্ষণ এভাবে রেখে সিরাপ শুষে নিতে দিন।

তারপর পছন্দের আকারে কেটে উপরে বাদাম কুচি বা কিশমিশ ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। চাইতে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে খেতে পারেন স্বাদে অসাধারণ এই হালুয়া ‘রেভানী’।

আফগানি ‘মালিদা’

৪. আফগানি ‘মালিদা’

উপকরণ:

মাঝারি আকারের আটার রুটি ৮টি,

গুঁড় (কুচি করে কাটা) ১/৪ কাপ,

এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,

বাদাম ১/২ কাপ,

খেজুর কুচি করে কাটা ১/৪ কাপ,

ঘি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী:

প্রথমে রুটিগুলো ভালো করে হাতে ছিঁড়ে ছোট ছোট পিস করে নিন।

এরপর একটি গ্রাইন্ডার বা ফুড প্রসেসরে দিয়ে রুটি আরও ছোটো করে গুঁড়ো ধরনের করে নিন। এতে প্রায় ৩ কাপ পরিমাণ রুটি হবে।

এরপর বাদাম গ্রাইন্ডারে দিয়ে ভেঙে নিন। চাইলে হামান দিস্তায় পিসে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। খুব বড় হবে না আবার মিহি করেও ভেঙে নিতে হবে না।

একটি বড় বাটিতে বাদাম গুঁড়ো, খেজুর কুচি, এলাচ গুঁড়ো এবং গুঁড় খুব ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং আলাদা করে রাখুন।

এবার একটি প্যানে অল্প আঁচে ঘি গলিয়ে নিন এবং অল্প গরম হলেই প্রসেস করে রাখা রুটি দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন। রুটিগুলো প্রায় ৫-৭ মিনিট ভাজুন। এতে করে রুটির গুঁড়ো একটু মুচমুচে হবে।

ভাজা হয়ে গেলে এবার বড় বাটিতে রাখা বাদাম গুঁড়ের মিশ্রণে রুটির মিশ্রণ দিয়ে দিন এবং হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। যখন মিশ্রণ একটু ভেজা ভেজা হয়ে যাবে গুঁড়ের কারণে এবং আঠালো নরম ডো এর মতো তৈরি হবে তখন ছোটো ছোটো ভাগে ভাগ করে লাড্ডুর মতো বল তৈরি করুন।

একটির পর একটি বল তৈরি করে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পড়েই নরম ভাব কেটে দিয়ে একটু শক্ত লাড্ডুর মতো তৈরি হয়ে যাবে। উপরে কাজু বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

শ্রীলঙ্কার এক টুকরো ডাবের পানি

৫. শ্রীলঙ্কার এক টুকরো ডাবের পানি

উপকরণ:

ডাবের পানি ৩ কাপ ডাবের নরম শাঁস ফালি করে কাটা ইচ্ছা মতো চিনি ১ টেবিল চামচ বা আপনার ইচ্ছা মতো চানা গ্রাস (আগার আগার) ১০ গ্রাম

প্রণালী:

.চায়না গ্রাস কুচি কুচি করে কেটে ১/২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট।

.তারপর পানিসহ চুলায় বসিয়ে দিন অল্প আঁচে। নেড়ে গলিয়ে নিন।

.আরেকটি পাত্রে ডাবের পানি ও চিনি একসাথে গরম করুন।

.গরম হলেই গলিত চায়না গ্রাস ঢেলে দিন এবং নাড়তে থাকুন।

.পুরো চায়না গ্রাসটা ডাবের পানির সাথে মিশে গেলে নামিয়ে নিন।

.এবার গোলাকার পাত্র নিন পুডিং জমাবার জন্য। আগে থেকেই পাত্রে নারকেলের শাঁস সাজিয়ে রাখুন। .এবার ডাবের পানির মিশ্রণটি ঢেলে দিন।

.একটু ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন জমার জন্য।

.২ ঘণ্টা পর সাবধানে উল্টে পরিবেশন করুন।

ভারতীয় ‘চকোলেট সেহেরা’

৬. ভারতীয় ‘চকোলেট সেহেরা’

উপকরণ:

সুজি ১ কাপ

তরল দুধ ২ কাপ

চিনি ১/৩ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম বেশি করতে পারেন)

চকোলেট এসেন্স ৩ ফোটা

ডার্ক চকোলেট কুঁচি ১/২ কাপ অথবা কোকো পাউডার ২ চা চামচ

ঘি/গলানো মাখন ২ টেবিল চামচ

কাজু অথবা আলমন্ড বাদাম পরিমাণ মতো (সাজানোর জন্য)

প্রণালী: সুজি একটা শুকনা কড়াইতে নিয়ে হালকা আঁচে একটু ভেজে নিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।

ননস্টিক পাত্রে দুধ, চিনি, কোকো পাউডার বা ডার্ক চকোলেট গলিয়ে (যেটা দিতে চান) ভালো মতো মিশিয়ে নিন। এবার ঠাণ্ডা করা ভাজা সুজি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে কড়াইটা চুলায় দিন। মাঝারি আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন। যেন সুজি দলা পাকিয়ে না যায় এবং হাঁড়ির নিচে লেগে না যায়।

এবার সুজি সেদ্ধ হয়ে দুধ শুকিয়ে আঠালো হয়ে এলে ঘি/বাটার দিন ১ চামচ। কিছুক্ষণ নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বাকি ঘি/বাটার দিন। আবার নাড়ুন। এবার তেল উঠে একটু ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর সার্ভিং ডিসে সাজিয়ে উপরে বাদাম কুঁচি ছড়িয়ে দিন।

বাংলার স্বাদে আমৃত্তি

৭. বাংলার স্বাদে আমৃত্তি

উপকরণ:

মাশকলাই ডাল- ২ কাপ

কর্নফ্লাওয়ার- হাফ কাপ

চিনি- ৩ কাপ (সিরা করার জন্য)

খাবারের রং লাল/জর্দা রং- ১-২ ফোটা (ইচ্ছা)

ময়দা- হাফ কাপ

এলাচ- ১-২ টা

অমৃত্তি- তৈরির জন্য মোটা কাপড়, মাঝখানে ছোট ছিদ্র করা।

(এক্ষেত্রে আপনি সসের পট (পিপিং বয়াম) ব্যবহার করতে পারবেন)

তেল- পরিমাণ মতো (ভাজার জন্য)

তেজপাতা- ২-৩টা

চেপ্টা ফ্রাইপ্যান- বড় চওড়া হলে বেশি ভালো হয়।

প্রণালী: ডাল ৪-৫ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ডালটা ভালো করে পিষে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। (আপনি চাইলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন)। যখন পেস্টটা বানাবেন তখন হাফ কাপ পানি তাতে দিয়ে দিন। এবার একটা কড়াই নিয়ে তাতে অল্প করে পানি দিন।

কড়াইয়ের পানিতে এবার চিনি মেশান। চিনিটা জলের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। (খেয়াল রাখবেন সিরা যেন খুব বেশি ঘন না হয়ে যায়। সিরাতে এবার পরিমাণ মতো এলাচ মেশান। অল্প আঁচে সিরা তৈরি করে নিন। যখন দেখবেন রসটা ঘন হয়ে গেছে তখন আলাদা করে সরিয়ে রাখুন)।

এবার একটা বাটিতে ডাল নিন। সেই বাটিতে ডালের সঙ্গে একে একে কনফ্লাওয়ার, ময়দা এবং রং মেশান। সব উপকরণ ভালো করে মাখুন। এবার একটা পিপিং বয়াম নিয়ে তাতে ডালের এই মিশ্রনটা ঢেলে নিন। কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে গরম করুন।

দেখবেন তেলটা ভালো মতো গরম হয়ে গেছে, তখন পিপিং বয়ামের সাহায্যে ডালের মিশ্রনটি কড়াইয়ে ছাড়তে থাকুন। এমনভাবে মিশ্রণটা দেবেন যাতে আমৃত্তির মতো দেখতে লাগে। ভালো করে আমৃত্তিগুলো ভাজুন। আমৃত্তিগুলো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে, তেল থেকে ছেকে তুলে সেগুলোকে সিরায় ডুবিয়ে দিন। সিরায় ভালো করে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে একটা প্লেটে আমৃত্তিগুলো নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৭ এপ্রিল ২০১৮