Tuesday, August 28, 2018

কড়াই মাটন


কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেমের সংখ্যা। বাংলাদেশে মূলত গরু এবং খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো কড়াই মাটন। রেসিপিটি দিয়েছেন বিশিষ্ট রাঁধুনি রোমানা রহমান মিতু।

রান্নায় যা লাগবে
খাসির মাংস ১ কেজি, টমেটো টুকরো আধা কাপ, টক দই আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২-৩ টা, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, শুকনা মরিচ ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ, জায়ফল গুঁড়া ১ চা চামচ।

রান্না করতে হবে যেভাবে
প্রথমে পেঁয়াজ কুচি, তেল আর এলাচ বাদে সব উপকরণ মেখে দুই ঘণ্টা ফ্রিজের নরমাল অংশে রেখে দিতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে তাতে এলাচ ও পেঁয়াজ লালচে করে ভাজতে হবে। তারপর মাংস দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষাতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে আবার গরম পানি দিয়ে মাখা মাখা হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে।
রান্না হয়ে গেলে গরম গরম সাদা ভাত, পোলাও অথবা চালের রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৬ আগস্ট ২০১৮

Sunday, August 26, 2018

গরুর মাংসের দই বড়া


কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেমের সংখ্যা। বাংলাদেশে মূলত গরু এবং খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো গরুর মাংসের দই বড়া। রেসিপিটি দিয়েছেন বিশিষ্ট রাঁধুনি রোমানা রহমান মিতু।

রান্নায় যা লাগবে
গরুর কিমা ২০০ গ্রাম, পাউরুটি আধা কাপ, টক দই ৫০০ গ্রাম, কাঁচামরিচ কুচি ২-৩ টা, পেঁয়াজ টুকরো করে কাটা ১ কাপ, পুদিনাপাতা কুচি ১ কাপ, পুদিনাপাতা বাটা ১ চা চামচ, ধনেপাতা বাটা ১ চা চামচ, তেতুলের সস ৪ টেবিল চামচ, চাট মশলা ১ চা চামচ, চিনি আধা কাপ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, জিরা টালা গুঁড়া আধা চা চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ স্বাদ মতো।

যেভাবে রান্না করতে হবে
পাউরুটি ছাড়া বাকি সব উপকরণ মেখে ১ ঘণ্টা ফ্রিজের নরমালে রেখে দিতে হবে। এরপর পাউরুটি ভিজিয়ে আবার চিপে পানি বের করে মাংসের কিমার সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে গোল বলের মতো করে ডুবোতেলে লালচে করে ভেজে নিতে হবে। এরপর অন্যান্য সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কিমার বলগুলো দইয়ের মিশ্রণে ডুবিয়ে ২-৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পরিবেশনের পূর্বে প্রয়োজনে একটু লাল মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিতে পারেন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৬ আগস্ট ২০১৮

Saturday, August 25, 2018

খাসির কোরমা

 

কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেমের সংখ্যা। বাংলাদেশে মূলত গরু এবং খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো খাসির কোরমা। রেসিপিটি দিয়েছেন বিশিষ্ট রাঁধুনি রোমানা রহমান মিতু।

রান্নায় যা লাগবে
খাসির মাংস ১ কেজি, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি বড় ৪ টুকরা, তেজপাতা ২ টি, লবণ ২ চা চামচ, ঘি আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৮ টি, কেওড়া ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, রসুন বাটা দুই চা চামচ, এলাচ ৪ টি, টক দই আধা কাপ, চিনি ৪ চা চামচ, দেশি পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা চামচ।

রাধঁবেন যেভাবে
মাংস টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সব বাটা মশলা, গরম মশলা, টক দই, সিকি কাপ ঘি ও লবণ দিয়ে মেখে হাত ধোয়া পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিন। পানি অর্ধেক টেনে গেলে কেওড়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে আবার হালকা নেড়ে ঢেকে দিন।

১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পাশের চুলায় বাকি ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি সোনালি রঙ করে ভেজে মাংসের হাঁড়িতে দিয়ে বাগার দিন। তারপর চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দুধে ভেজানো জাফরান ওপর থেকে ছিটিয়ে দিয়ে আরও ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর ঢাকনা খুলে লেবুর রস দিয়ে হালকা নেড়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে তাওয়ার ওপর ঢেকে প্রায় ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টার মতো দমে রাখুন। যখন কোরমা মাখা মাখা হয়ে বাদামি রঙ হবে এবং মশলা থেকে তেল ছাড়া শুরু করবে, তখন নামিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৭ আগস্ট ২০১৮

Friday, August 24, 2018

সম্রাট আকবরের প্রিয় আকবর-ই-গোস্ত


কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেম। বাংলাদেশে মূলত গরু ও খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো মোঘল সম্রাট আকবরের প্রিয় আকবর-ই-গোস্ত। 'আইন-ই-আকবরি'তে আবুল ফজল লিখেছিলেন, একদিন আকবরের প্রধান বাবুর্চি নবাবকে নতুন কিছু খাওয়াবেন বলে নিজের মনমতো এই রান্নাটি করেছিলেন। একবার খেয়েই রান্নাটির প্রেমে পড়ে যান সম্রাট। আকবরের নামেই রান্নাটির নামকরণ হয় ‘আকবর-ই-গোস্ত’।

রান্নায় যা লাগবে
খাসির মাংস- ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২টা কুচি কুচি করে কাটা, আদা বাটা- ২ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, লাল লঙ্কা গুঁড়া- ২ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া- ১ চা চামচ, পানি- ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া- অর্ধেক চা চামচ, টমেটো- ২-৩টা কুচি কুচি করে কাটা, আদা কুচি- আধা চা চামচ, তেল- আধা কাপ, মসুর ডাল সিদ্ধ- আধা কাপ।

রান্না হবে যেভাবে
পানিতে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, লাল লঙ্কা গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রনটিকে আর পানির সাথে মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে ১৬-২০ মিনিট সেদ্ধ করুন। টমেটো কুচি আর আদা দিন। ৫ মিনিট পর তেল দিয়ে ৫-১০ মিনিট রান্না করুন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। প্রয়োজন হলে ১-২ টেবিল চামচ পানি দিন যাতে নীচের দিকে ধরে না যায়। তেল ছাড়তে শুরু করলে ডাল সিদ্ধ মিশিয়ে আরও খানিকক্ষণ আঁচে রাখুন। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২০ আগস্ট ২০১৮

Thursday, August 23, 2018

খাসির লেগ রোস্ট


কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেমের সংখ্যা। বাংলাদেশে মূলত গরু ও খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। খাসির লেগ রোস্ট অনেকের কাছেই প্রিয়। যদিও এটি বিয়ের অনুষ্ঠান বা অন্যকোনও বড় অনুষ্ঠানে করা হয়ে থাকে। তবে কুরবানির ঈদে রান্না করাই যায় মজাদার এ পদটি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো খাসির লেগ রোস্ট।

রান্নায় যা লাগবে
খাসির পেছনের রান একটি, টক দই এক কাপ, আদা, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা এক চা চামচ, বাদাম বাটা এক টেবিল চামচ, এলাচ, দারচিনি, লং, কালো গোলমরিচগুঁড়া ১ চা চামচ করে, পেঁয়াজকুচা আধা কাপ, চিলি সস কোয়ার্টার কাপ, গুঁড়ামরিচ ২ চা চামচ, পেস্তাদানা বাটা ১ চা চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, তেল পরিমাণ মতো

যেভাবে রান্না করবেন
প্রথমে খাসির রানটি ভালো করে ধুয়ে নিন। খাসির রান, টক দই, আদা-রসুন বাটা, জিরা বাটা, গুঁড়া মসলা, সব ধরনের বাটা মসলা, পেঁয়াজ কুচি, তেল, লবণ ও পানি দিয়ে ২ থেকে আড়াইঘণ্টা কম জ্বালে সেদ্ধ করুন। মাঝে মাঝে রোস্টিং ফর্ক-কাটা চামচ দিয়ে কেচে দিন। যখন রানের মাংস নরম হয়ে আসবে তখন এটাকে তুলে একটি ডিশে রাখুন।

এবার গ্রেভিতে চিলি সস এবং ঘি দিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। ঘন গ্রেভি রানের উপর ঢেলে দিয়ে ওভেনে দিন অথবা ওভেন না থাকলে ঘন গ্রেভিতে রানটা ভালোভাবে জ্বাল দিয়ে কিছুক্ষণ অল্প আঁচে দমে রাখুন। পরিবেশনের আগে চুলা থেকে নামাবেন এবং গরম গরম পরিবেশন করবেন। মনে রাখবেন ঠাণ্ডা হলে শক্ত হয়ে যাবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৯ আগস্ট ২০১৮

Wednesday, August 22, 2018

মাটন বারবিকিউ কাবাব


কুরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় খাবারের আইটেম। বাংলাদেশে মূলত গরু এবং খাসিই কুরবানি হয়ে থাকে বেশি। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো মাটন বারবিকিউ কাবাব।

বানাতে যা লাগবে
মাটন কিমা ১ কেজি, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা পেঁপে বাটা ১ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, বড় কালো এলাচ ৩টা, ছোট এলাচ ৬টা, তেজপাতা ৩টা, দারুচিনি ৪/৫ পিস, কালো গোলমরিচ ১ চা চামচ, পোস্ত দানা বাটা ১ টেবিল চামচ, কাবাব চিনি ৮-১০টা, জিরা বাটা ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, শাহী জিরা ২ চা চামচ, শিক ৮/১০টা, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল পরিমাণমতো।

যেভাবে বানাবেন
প্রথমে মাংস ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরাতে হবে। এবার পেঁয়াজ বাটা, পেঁপে বাটা, লবণ, তেল, জিরা বাটা, আদা ও রসুন বাটাসহ বাকি সব মসলা দিয়ে খুব ভালো করে মাখাতে হবে। মশলাগুলো দিয়ে মাখিয়ে ২-৩ ঘণ্টা মেরিনেট করে রেখে দেন। এবার মেরিনেট করা মাংসগুলো শিকে গেঁথে নিন। এরপর এটা কয়লায় আগুনে ঝলসিয়ে নিয়ে চারপাশ পোড়া পোড়া করে নামিয়ে নিন। নান, পোলাও, গরম ভাত ও পরোটার সাথে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৮ আগস্ট ২০১৮

গরুর মেজবানি মাংস


বিয়ের অনুষ্ঠানে বা রেস্টুরেন্টে গেলে খেতে পারেন গরুর মেজবানি মাংস। কিন্তু চাইলে এইে ঈদে আপনিও ঘরে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু ও চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক গরুর মেজবানি মাংস। আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আরটিভি অনলাইনের বিশেষ রেসিপির তালিকায় আজ থাকলো গরুর মেজবানি মাংস।

রান্নায় যা লাগবে
গরুর মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ ও মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ, টক দই ১ কাপ, কাঁচামরিচ ১০-১২টি, গোলমরিচ ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৫-৬টি, জায়ফল ও জয়ত্রী আধা চা চামচ, মেথিগুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

রান্না করবেন যেভাবে
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি পাত্রে মাংস, তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ ও সব মসলা নিয়ে মেরিনেট করে রাখুন। অর্ধেক পেঁয়াজ তেলে ভেঁজে বেরেস্তা করে নিন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে মেরিনেট করা মাংস কষাতে থাকুন। হাঁড়িতে ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। মাংস থেকে পানি ঝরে গেলে মৃদু আঁচে মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

মাংসের পানি শুকিয়ে এলে কাঁচামরিচ, ধনে, জিরাগুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু গরুর মেজবানি মাংস।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৯ আগস্ট ২০১৮

Saturday, August 18, 2018

করলা দিয়ে মাছের ডিমের চচ্চড়ি


করলা আপনার প্রিয় খাবার নাও হতে পারে, কিন্তু এর পুষ্টিগুণের কোনও শেষ নেই। নানাভাবে করলা খাওয়া যেতে পারে। তরকারিতে, সবজি রান্নায় হরহামেশাই ব্যবহার হয়ে থাকে দারুণ উপকারী এ সবজি। অপরদিকে মাছের ডিমে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। যারা নিজেদের এবং পরিবারের শরীরের যত্ন নিয়ে খুব খেয়াল রাখেন, তারা আরটিভি অনলাইনের দেয়া রেসিপি দেখে রান্না করে ফেলুন মজাদার ও ব্যতিক্রমধর্মী খাবারটি।

যা লাগবে রান্নায়
করলা (গোল করে কেটে, ছাঁকা তেলে ভেজে নেওয়া)- ১ কাপ, মাছের ডিম- আধ কাপ, পেঁয়াজ- ১টা, কাঁচা মরিচ (কুচি কুচি করে কাটা)- ২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ চেরা- ৩-৪টা, তেজপাতা- ২টা, পরিমাণমতো সরিষার তেল, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া- অর্ধেক চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, লেবুর রস- ২ চা চামচ।

যেভাবে রান্না করবেন
কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে কালো জিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ একটু রঙ হয়ে এলে মাছের ডিম দিয়ে ভেজে নিন। যাবতীয় গুঁড়া মশলা মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। স্বাদমতো লবণ আর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। ডিম সেদ্ধ হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ ও করলা ভাজা মিশিয়ে নাড়ুন। ঝোল শুকিয়ে এলে লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। 

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১২ আগস্ট ২০১৮

Friday, August 17, 2018

লইট্টা শুঁটকি দিয়ে কাঁচকলা ভুনা


লইট্টা শুটকির ভুনা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে শুঁটকির প্রচলিত ও জনপ্রিয় এ পদটি ছাড়া ভিন্নভাবেও রান্না করা যায়। বাজারে এখন কাঁচকলা পাওয়া যাচ্ছে। লইট্টা শুটকির সাথে কাঁচকলা ভুনা আজকের রাতের খাবারে থাকতেই পারে। কে বলেছে ছুটির দিনের আগেরদিন রাতে শুধু মাংস খেতে হবে। আরটিভি অনলাইনের দেয়া ফরমুলা দেখে রান্না করতে পারেন মজাদার এই রেসিপিটি।

যা লাগবে
লইট্টা শুঁটকি ৫০ গ্রাম, কাঁচকলা দুটি, পেঁয়াজকুচি দুই টেবিল চামচ, রসুন কুচি এক চা-চামচ, রসুন বাটা এক চা-চামচ, জিরা বাটা এক চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ২-৩টি, শুকনা মরিচ দুটি, আস্ত জিরা এক চিমটি, লবণ স্বাদমতো ও তেল প্রয়োজনমতো।

যেভাবে রান্না করবেন
শুঁটটি মাছ তাওয়ায় টেলে ভালো করে পরিষ্কার করে শিল-পাটায় থেঁতো করে নিতে হবে। কাঁচকলা ছোট ছোট করে কেটে লবণ ও হলুদগুঁড়া দিয়ে সেদ্ধ করে আধাভাঙা করে নিন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে তাতে বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে একটু ভেজে শুঁটকি মাছ দিতে হবে। মাছ কষানো হলে কাঁচকলা দিয়ে নাড়াচাড়া করে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাছ সেদ্ধ হলে অন্য একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে আস্ত জিরা, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, শুকনো মরিচ ফোঁড়ন দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার পরিবেশন করুন আপনার পছন্দের লইট্টা শুঁটকি দিয়ে কাঁচকলা ভুনা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৯ আগস্ট ২০১৮

Thursday, August 16, 2018

গরুর মাংসের তেহারি


একটু ভারি খাবার খেতে যাদের পছন্দ তাদের কাছে তেহারি পোলাও খুবই জনপ্রিয়। খাসি বা গরু দুই ধরনের মাংস দিয়ে তেহারি তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে গরুর মাংসের তেহারিই বেশি জনপ্রিয়। আরটিভি অনলাইনের দেয়া রেসিপি দেখে আজ রান্না করতে পারেন গরুর মাংসের তেহারি।

রান্নায় যেসব উপাদান থাকবে
গোলমরিচ- ৬ টি, এলাচ- ৪ টি, দারচিনি- ৪ টি, জায়ফল গুঁড়া- ১/২ চা চামচ, জয়ত্রী গুঁড়া- ১/২ চা চামচ, খাসি বা গরুর মাংস- ১ কেজি, জিরার গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ, তেল বা ঘি- ৩/৪ কাপ, পেঁয়াজ স্লাইস- ১ কাপ, আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা- ১ চা চামচ, টক দই- ১/২ কাপ, কাঁচামরিচ- ৩০ টি, পোলাওয়ের চাল- ৫০০ গ্রাম, দুধ- ১ কাপ, চিনি- ১ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদ অনুযায়ী।

যেভাবে রান্না করবেন
প্রথমে গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, জায়ফল ও জয়ত্রী গুঁড়া করুন। তারপর  মাংস ছোট টুকরা করুন। ধুয়ে পানি ঝরান। মাংসে অর্ধেক গুঁড়া মশলা, আদা, রসুন, টকদই, ১০ টি কাঁচামরিচ এবং এক চা চামচ লবণ মিশান।

তারপর তেল গরম করে পেঁয়াজ হালকা বাদামি রং করে ভাজুন। মাংস ও ৩ কাপ পানি দিন। নেড়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে রান্না করুন। পানি শুকালে মাংস কষান। তেল বের হলে বাকি গুঁড়া মশলা দিয়ে নেড়ে নামান।

তেল এবং ঝোল ছেঁকে মাংস হাঁড়ি থেকে তুলে রাখুন। হাঁড়িতে আড়াই কাপ পানি দিয়ে ঢেকে ফুটান। পানি ফুটে উঠলে চাল, দুধ, লবণ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। দুই তিনবার ফুটার পর নেড়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ১৮ মিনিট রান্না করুন। পোলাও এর উপর বাকি কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ খুব কমিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন।

চুলা থেকে হাঁড়ি নামিয়ে রাখার ২০ মিনিট পরে ঢাকনা খুলে পোলাওয়ের চালের উপর মাংস ছড়িয়ে দিয়ে আবার হাঁড়ি ঢেকে রাখুন।
পরিবেশনের আগে পোলাও বড় হাতা দিয়ে উপর-নিচ করে পোলাওয়ের সাথে মাংস মিশান। এবার খাওয়ার পালা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৭ আগস্ট ২০১৮

Wednesday, August 15, 2018

রসুনের কোয়া দিয়ে ছুরি শুঁটকি


শুঁটকির নাম শুনলেই অনেকের জিভে জল আসে। আবার কেউবা নাক সিটকায়। এই লেখাটি তাদের জন্য যাদের শুঁটকির নাম শুনলেই রসনায় তৃপ্তি আসে। বাজারে দেশি বিভিন্ন শুঁটকির পাশাপাশি পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি। সামুদ্রিক মাছের শুঁটকিতে দেশি শুঁটকির চেয়ে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে বলে অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। আরটিভি অনলাইনের দেয়া রেসিপি দেখে রান্না করে আজ তাই ঘরের মানুষের পাতে তুলে দিন রসুনের কোয়া দিয়ে ছুরি শুঁটকি।

রান্নায় যা লাগবে
ছুরি শুঁটকি ২ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধাকাপ, রসুন দুটি, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ ফালি কয়েকটা, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ ও রসুন বাটা আধা চা-চামচ।

যেভাবে রান্না করবেন
ছুরি শুঁটকির মাথা ফেলে পরিষ্কার করে টুকরা করে নিন। টুকরাগুলোকে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর পানি ঝরিয়ে নিন।
এরপর রসুন থেকে কোয়া আলাদা করে নিতে হবে। তেলে পেঁয়াজ, রসুন বাটা, হলুদ ও মরিচগুঁড়া কষিয়ে শুঁটকি দিয়ে নাড়ুন। অল্প পানি দিয়ে কষান। এবার রসুনের কোয়া দিয়ে ঢেকে দিন। জিরা গুঁড়া ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠে এলে নামিয়ে নিন।

এবার পরিবেশন করুন গরম গরম ভাপ ওঠা ভাতের সাথে। আবার আটার সাদা রুটি দিয়েও খেতে পারেন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৫ আগস্ট ২০১৮

পাথরের তরকারি


ভারতীয় রান্নার ক্ষেত্রে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে ‘স্টোন কারি’ বা পাথরের তরকারি। খাবারটি এসেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের কাথি সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছ থেকে। বিবিসি বাংলার এক ভিডিও প্রতিবেদন অবলম্বনে চলুন জেনে নিই কীভাবে রান্না করা যায় এই পাথরের তরকারি।

গুজরাটে স্থানীয়ভাবে এই তরকারিটির নাম ‘চবলা নি কারি’। এই তরকারি রান্না করা হয় পাথর, মাখন-দুধ এবং বেসন দিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পাথর কেন? এ সম্পর্কে এ তরকারিটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখেন এরকম একজনের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি।
গুজরাটের রামকু ভাই খাচর জানান, আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে যারা যোদ্ধা ছিলেন তারা নিয়মিত খেতেন এই খাবার। এই রান্নার জন্য সাদা বা কালো রঙের ছোট ছোট পাথর কুড়িয়ে আনতেন।

যদি ও এই পাথরের তরকারি খুব প্রচলিত খাবার নয়। তবে কাথি সম্প্রদায়ের লোকেরা শুধু বিশেষ উৎসবের সময়ই এ তরকারিটি রান্না করে থাকেন।
গুজরাটের কাথি সম্প্রদায়ের নির্মলা বা বলেন, এই রান্না করতে আমরা খুব বেশি মশলা ব্যবহার করি না। এটা একটা সহজ ধরনের রান্না যেটা করতে মাত্র পাঁচ মিনিট লাগবে।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ হেতাল ভাঙ্ক বলেন, পাথর গরম হলে তা থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া সহজ হয়। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় মজবুত করা এবং সামগ্রিক বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী।
তবে গরম পাথর থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় এ সংক্রান্ত কোন সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৩ আগস্ট ২০১৮

Thursday, August 9, 2018

ওজন কমাতে পারে যেসব স্যুপ


স্যুপ এরকম একটি খাবার যেটা দিনের সব বেলাতেই খেতে পারেন। স্যুপ খেলে শরীরে একটা তরতাজা ভাব আসে। ঠাণ্ডা লেগে গেলে, সর্দি কাশি এবং জ্বরে স্যুপ খুবই উপকারী। ওজন কমাতেও ভীষণ সাহায্য করে বিভিন্ন স্যুপ। চলুন এনডিটিভি অনলাইন অবলম্বনে জেনে নিই ওজন কমাতে যেসব স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।

শশার স্যুপ
পুদিনা, ধনে পাতা, রসুন  আর সামান্য লেবুর রস দিয়ে বানানো শশার এই স্যুপ স্বাদে সবার থেকে এগিয়ে। ঠাণ্ডা করে এই স্যুপ খেলে আপনার মধ্যে তাজা ভাব আসবে, ভালো থাকবে পেটও।

শাক আর চিজ দিয়ে স্যুপ
মেথি পাতা, ধনে পাতা এবং সরষে শাক দিয়ে বানাতে পারেন এই স্যুপ। সাথে চাট মশলার স্বাদযুক্ত চিজ দিতে পারলে আরও ভালো লাগবে খেতে। বিভিন্ন শাকের মধ্যে ফাইবার রয়েছে প্রচুর, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

বিন এবং চিকেন স্যুপ রেসিপি
চিকেনের স্যুপ ভালোবাসেন না এমন মানুষ কমই আছে। স্বাদে অসামান্য তো বটেই পুষ্টিগুণেও অনন্য। চিকেন স্যুপ পেটও ভরা রাখে, আবার এর ক্ষতিকর দিকও কম। আরও ভালো স্বাদ পেতে বিন দিয়ে পাতলা করে চিকেন সেদ্ধ স্যুপ বানান বাড়িতেই।

গাজর এবং টমেটো স্যুপ
গাজর ও টমেটো উভয়ই ওজন কমানোর আদর্শ উপাদান। আর তা যদি স্যুপ করে খাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। ওজন কমাতে হলে উচ্চগুণ সম্পন্ন ফাইবার সমৃদ্ধ এই দুই সবজিই স্যুপ করে খান, স্বাদ বাড়াতে সামান্য ক্রিম যোগ করতে পারেন আপনার স্যুপে।

মুগ ডালের স্যুপ
স্বাদে তো মুগডাল অসাধারণই। তবে প্রোটিন আর ফাইবারে ভরপুর এই ডাল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। হালকা ঝাল দিয়ে এই ডালের স্যুপ করে খান।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৩ আগস্ট ২০১৮

Wednesday, August 8, 2018

কাচকি মাছের চচ্চড়ি


বর্ষা শেষ। মাছের বাজারে ঢু মারলে এখনি দেখতে পাবেন কাচকি মাছের সমাহার। দেশি এ ছোট মাছের চচ্চড়ি পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আরটিভি অনলাইনের দেয়া রেসিপি দেখে জেনেই নিন কীভাবে রান্না করবেন কাচকি মাছের চচ্চড়ি।

তরকারি রান্নায় যা লাগবে
মাঝারি সাইজের ১ বাটি কাচকি মাছ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, টমেটো মাঝারি সাইজ ১ টা (না হলেও চলে), তেল ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুড়া  আধা চা চামচ, মরিচ গুড়া আধা চা চামচেরও কম, জিরা গুড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৫/৬ টা, ধনে পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ,  লবণ পরিমাণমতো।

রান্না করবেন যেভাবে
কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। পেঁয়াজগুলো ভাজা ভাজা করে টমেটো কুচি দিয়ে দিন। একটু মাখা মাখা হয়ে আসলে পানি, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা বাদে সব মসলা দিয়ে দিন। অল্প একটু পানি দিয়ে কষান, পানি কমে যাওয়ার পর মাছগুলো দিয়ে দিন, মাছ থেকে কিছু পানি বের হবে, চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। তবে বেশি নড়াচড়া করবেন না, মাছ ভেঙে যাবে। সবশেষে দেড় কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে বসিয়ে রাখুন। ঝোল কমে আসলে কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে ফেলুন। ব্যাস! হয়ে গেলো মজাদার কাচকি মাছের চচ্চড়ি। গরম ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন। আর এক টুকরা লেবু চিপে নিলে খেতে অসাধারণ লাগবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ৩১ জুলাই ২০১৮

Tuesday, August 7, 2018

গরম গরম ব্রকলি বড়ার সাথে পেরি পেরি মেয়োনিজ!


ব্রকলি খেতে ভালো লাগে মোটেও? আজ থেকে ব্রকলি হয়ে উঠবে আপনার প্রিয় সবজি! বাচ্চারাও সবজির কিছুই খেতে চায় না? তাহলে আজকের রেসিপি আপনারই জন্য। ব্রকলি খেতে না চাইলে ফুলকপি, বাঁধাকপি বা আলু কুচি দিয়েও এই স্ন্যাক্সটি তৈরি করা যাবে। ২০ মিনিট সময় হাতে থাকলেই নাস্তার টেবিলে গরম গরম পরিবেশন করতে পারবেন সুস্বাদু এই বড়া।

চলুন, জেনে নিই সায়মা সুলতানার রেসিপি।

যা লাগবে

  • ব্রকলি মাঝারি আকারের ২ টি ( ছোট করে টুকরা করে কেটে নেয়া )
  • অল্প লাল মরিচ গুঁড়ো
  • টেস্টিং সল্ট ১ চা চামচ ( যারা দিতে চান না বাদ দিয়ে করতে পারেন )
  • পেঁয়াজ, রসুন বাটা মিলে ১ চা চামচ (চাইলে দিতে পারেন মিহি আদা কুচিও)
  • বেসন আধা কাপ ( কম-বেশি হতে পারে )
  • লবণ স্বাদ মত


প্রণালি

  • প্রথমে ব্রকলির টুকরাগুলোকে বলক আসা পানিতে সেদ্ধ করে নিন ৫ থেকে ৭ মিনিট।
  • এবার এর থেকে পানি ঝরিয়ে নিন। একটু ঠাণ্ডা হলে ব্রকলিগুলোকে একটি বাটিতে নিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিন।
  • এতে উপরে উল্লেখ করা সব উপকরণ গুলো একে একে দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। কোন বাড়তি পানি দেয়া লাগবে না। মিশ্রণটি কিছুটা পিঁয়াজুর মতই হবে
  • এবার গরম করে রাখা তেলে ভেজে তুলুন। ডুবো তেলে ভাজা যায়, চাইলে প্যানে হালকা তেল দিয়েও ভাজতে পারেন।
  • পেরি পেরি মেয়োনিজ তৈরির প্রণালি


স্বাদ অনুযায়ী মেয়োনিজ ও রেডিমেড পেরি পেরি সস নিন। সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তৈরি পেরি পেরি মেয়োনিজ।

গরম গরম চা আর সসের সাথে পরিবেশন করুন এই বড়া ।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৫ জুলাই ২০১৮
প্রিয়.কম

Monday, August 6, 2018

সম্পূর্ণ নতুন স্বাদে রেস্তরাঁর চাইনিজ ভেজিটেবলস


মুরগী কিংবা গরুর মাংসের স্বাদে চাইনিজ সবজি রান্নার রেসিপি সকলেই জানেন। আজ তাই সুমনা সুমি জানাচ্ছেন চিংড়ির স্বাদে দারুণ একটি চাইনিজ সবজি রাঁধার রেসিপি। এতে লাগবে অল্প কিছু উপাদান, আপনার পছন্দের সবজি ও চিংড়ি বা মুরগির মাংস। গরম গরম ফ্রাইড রাইসের সাথে খেতে দারুণ তো হবেই, রুটি-পরোটা বা গরম ভাত-নুডুলসের সাথে খেতেও হবে সুস্বাদু।এই দারুণ স্বাদের চাইনিজ সবজিটি দেশের কোন রেস্তরাঁয় কিনতে পাবেন না। কিন্তু খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন নিজের ঘরেই।

যা লাগবে
  • মাঝারি আকারের চিংড়ি ১ কাপ বা ২০০গ্রাম
  • কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ
  • আদার রস ১ চা চামচ
  • তেল ১/৪ কাপ
  • মাখন ২ টেবিল চামচ
  • গাজর ১ কাপ (পাতলা ২ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা)
  • লাল, হলুদ ও সবুজ ক্যাপ্সিকাম ১টি করে বা ১কাপ করে (চিকন ২ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা)
  • ফুলকপি, ব্রকলি, বরবটি ও পেঁয়াজের কলি ১/২কাপ করে ( ১/২ ইঞ্চি করে কাটা)
  • পেঁয়াজ মোটা কুচি ১/২ কাপ
  • গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
  • সয়াসস, চিলিসস, ভিনেগার ১ টেবিল চামচ করে
  • চিকেন স্টক বা কিউব ১পিস
  • কাঁচা মরিচ ৫-৬পিস (ফালি করে দিন)
  • চিনি ১ চাচামচ
  • আজিনোমোটো ১/২ চা চামচ (না দেয়াই ভাল)



প্রনালি
  • চিংড়ির সাথে চিনি, আদার রস, অল্প লবণ ও কর্নফ্লাওয়ার মেখে নিন।
  • কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও চিকেন কিউব দিয়ে অল্প ভেজে চিংড়ি দিয়ে ভাজতে হবে।
  • চিংড়ি রং বদলালে গাজর, বরবটি, ব্রকলি ও ফুলকপি দিন। একে একে সব সস, গোলমরিচ, আজিনোমোটো দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন।
  • গাজর , ফুলকপি কিছুটা সেদ্ধ হলে সব ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজের কলি দিয়ে মিশিয়ে নিন। লবণ দেখে ৪-৫মিনিট চুলায় রেখে নামিয়ে নিন।

গরম পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৪ জুলাই ২০১৮
প্রিয়.কম

Sunday, August 5, 2018

মুগ ডালের হালুয়া


খাবারের জগতে নানা ধরণের হালুয়া রয়েছে। হালুয়া তৈরি করাটা কিন্তু মোটেই কঠিন কিছু নয়, তা ডিমের হালুয়াই বলুন কিংবা গাজরের। কিন্তু মুগ ডাল দিয়েও যে বানানো যায় হালুয়া, জানন কী? আরটিভি অনলাইনের দেয়া রেসিপি দেখে জেনে নিন কীভাবে বানাবেন মুগ ডালের হালুয়া।

হালুয়া বানাতে যা লাগবে
খোসা ছাড়ানো মুগ ডালের পেস্ট ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, বেসন ১ টেবিল চামচ, দুধ ১ ১/২ কাপ, গার্নিশের জন্য জাফরান সামান্য, চিনি ১ কাপ, মাওয়া ৩/৪ কাপ, এলাচি গুঁড়ো সামান্য, আমন্ড বা কাঠবাদাম কুচি ১০-১২টি।  

যেভাবে বানাবেন
ননস্টিক প্যানে ঘি গরম করে এতে বেসন ও মুগ ডালের পেস্ট দিয়ে নাড়তে থাকুন। বাদামি না হওয়া পর্যন্ত কিংবা ২০-২৫ মিনিট ক্রমাগত নাড়তে হবে। আরেকটি প্যানে ১/২ কাপ দুধ গরম করে এতে সামান্য জাফরান মিশিয়ে চুলো থেকে নামিয়ে নিন।
অন্য আরেকটি প্যানে চিনির সিরাপ তৈরি করতে হবে। চিনির সিরাপ তৈরির জন্য ১ কাপ পানিতে ১ কাপ চিনি ঢেলে দিন। চিনি সম্পূর্ণ গলে আসলে নামিয়ে নিবেন। এবার জাফরান মেশানো দুধ মুগ ডালে ছেড়ে দিন। সেই সাথে রয়ে যাওয়া বাকি দুধ ও মাওয়া মেশান। ২ মিনিট রান্না করুন।

এ পর্যায়ে মুগডালের মিশ্রণে এলাচি গুঁড়ো, বাদাম কুচি ও চিনির সিরাপ দিতে হবে। সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ৫ মিনিটের জন্য প্যান ঢেকে রাখুন। তবে এর মাঝে চামচ দিয়ে নেড়ে নিতে ভুলবেন না, নাহলে হালুয়া প্যানের সাথে লেগে যেতে পারে।
৫ মিনিট পর হালুয়া হয়ে আসলে চুলো থেকে নামিয়ে পাত্রে ঢেলে দিন। উপরে জাফরান, বাদাম বা কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে নিন সুস্বাদু মুগ ডালের হালুয়া।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৩ আগস্ট ২০১৮

সুস্বাদু ফাস্টফুড ‘ক্রাঞ্চি ফিশ বাইটস’!


ক্রিসপি চিকেন ফ্রাই কিন্তু কমবেশি সকলেরই পছন্দের খাবার। অন্যদিকে মুরগির মাংস খেতে সকলের যত আগ্রহ থাকে, মাছ খাবার বেলায় ঠিক তার উল্টো। আজ তাই সামিয়া সুলতানা জানাচ্ছেন একটি দারুণ মাছের রেসিপি। মুচমুচে করে ভাজা এই মাছ স্বাদে হার মানাবে চিকেন ফ্রাইকেও। বাচ্চারা একদম মাছ খেতে চায় না? তারাও খাবে খুব আগ্রহ নিয়ে। সাথে কোলস্লো সালাদ ও চিপস পরিবেশন করলে এক বেলার খাবার হয়ে যায় খুব সহজেই। আর সময়? সেও লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।

চলুন, জেনে নিই রেসিপিটি।

যা লাগবে

  • যে কোন সাদা ও বড় মাছের ফিলে কিউব করে কাটা ১ কাপ

  • ডিম ১টি

  • কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ

  • ময়দা /চালের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ

  • কর্নফ্লেক্স গুঁড়ো করা ১ টেবিল চামচ

  • গোলমরিচ গুঁড়ো হাফ চা চামচ

  • পাপরিকা পাউডার ১ চা চামচ

  • গার্লিক পাউডার আধা চা চামচ

  • লেবুর রস ১ টেবিল চামচ

  • ড্রাই পার্সলে হাফ চা চামচ ( না দিয়েও করতে পারেন)

  • লবণ স্বাদমতো


প্রনালি

  • একটা বাটিতে কিউব মাছের সাথে উপরের সব উপকরণ দিয়ে মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। মেরিনেট করে রাখুন ১০ মিনিট।
  • এখন এই মাখানো মাছের টুকরাগুলো মাঝারি আঁচে ডুব তেলে বাদামী করে ভেজে নিন। স্বাস্থ্যকর করে তুলতে ওভেনেও বেক করতে পারেন। ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি হিট করা ওভেনে লাল হওয়া পর্যন্ত বেক করবেন।
  • চা এর সাথে পরিবেশন করতে পারেন। একটু ভারী মিল হিসেবে খেতে চাইলে সাথে সালাদ, চিপস, গার্লিক ব্রেড ইত্যাদি পরিবেশন করুন।


বাচ্চাদের জন্য এটা একটি ভালো নাস্তার আইটেম। এক্ষেত্রে কম ঝালের জন্য পাপরিকা, গোলমরিচ ছাড়া ভেজে দিতে পারেন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৩ জুলাই ২০১৮
প্রিয়.কম

Saturday, August 4, 2018

চালের গুঁড়ি ছাড়াই পারফেক্ট 'চিতই পিঠা' তৈরির সবচাইতে সহজ রেসিপি!


চাইলে সাধারণ তরকারি রাধার কড়াইতেই চিতই পিঠা তৈরি সম্ভব। আপনারা বলবেন, এত পরিশ্রম কেন করবো? বাজার থেকে কিনে খেলেই তো হয়! আমি বলবো, বাজারে গিয়ে পিঠা কেনার চাইতেও সহজ এই রেসিপি। আর স্বাদ? সেটা অতুলনীয়। নরম তুলতুল, মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে এমন চিতই পিঠা কি কখনো খেয়ে দেখেছেন?

সকাল-বিকালের নাস্তায় গরম গরম চিতই পিঠা কার না ভালো লাগে? আজ তবে জেনে নিন সেই পিঠা তৈরির সবচাইতে সহজ রেসিপিটি। চালের গুঁড়ি করতে হবে না, শিল-পাটায় কিছু ঘষাঘষির ঝামেলাও কিন্তু একদম হবে না! ছাঁচ নেই? প্রয়োজনও নেই। নিজের রোজকার তরকারি রাঁধার কড়াইতেও দারুণ পিঠা তৈরি করতে পারবেন।   

উপকরণ
১ কাপ পোলাওয়ের চাল
হাফ কাপ আতপ চাল
১ কাপ রান্না করা ভাত
লবণ স্বাদ মত
তেল ২ টেবিল চামচ
১ চা চামচ বেকিং পাউডার (ইচ্ছা)
ভাতের মাড় এক কাপ
কুসুম গরম পানি পরিমাণ মত

প্রণালি
-চালগুলো পরিমাণ মত পানি দিয়ে সারারাত অথবা কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
-এরপর চাল গুলো ভালমতো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।এ
-এবার সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালো ভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। হ্যাঁ, খুব সহজেই এই চাল ব্লেন্ড হয়ে যাবে ভিজিয়ে রাখার কারণে। কিন্তু খুব বেশি পানি দেবেন না। যেটুকু চাল ও ভাত, ঠিক সেটুকু পানি+মাড় দিয়ে শুরু করুন। তারপর আস্তে আস্তে পাতলা করবেন। একবারে বেশি পানি দিয়ে দিলে চাল মিহি করে ব্লেন্ড হবে না।একটু সময় নিয়ে ব্লেন্ড করুন।
- মিশ্রণটি খুব ঘন বা পাতলা হবে না মাঝামাঝি ঘনত্ব হবে। পাটি শাপটা পিঠা তৈরির সময় ব্যাটারের ঘনত্ব যেমন থাকে, তেমন হলেই হবে। চামচে নিলে গড়িয়ে পড়ে যাবে কিন্তু চামচটা ভাল মত কোটিং করবে, এমন।
-এবার লোহার পিঠা সাচ, পুরাতন কড়াই অথবা ননস্টিক ফ্রাই প্যান চুলায় বসিয়ে প্রথমে মাঝারি হাই হিটে পাত্রটি গরম করে নিন। ভালো মতন গরম না করলে পিঠার নিচটা ক্রিস্পি হবে না।
-ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি পরিমাণ মত দিয়ে ভালো ঢাকুন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
-৩০/৩৫ সেকেন্ড পর জ্বাল একটু কমিয়ে অপেক্ষা করুন সেদ্ধ হবার জন্য। পিঠা গায়ে ফুটি ফুটি দেখা গেলে বুঝবেন পিঠা তৈরি। পিঠা গুলো নামিয়ে নিন এবং পরর্বতি পিঠা দেবার সময় চুলার জ্বাল বাড়িয়ে দিন আবারও।

ব্যস, তৈরি আপনার গরম গরম চিতই পিঠা!


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২০ নভেম্বর ২০১৭

Friday, August 3, 2018

১৫ মিনিটেই ছোট শিশুদের জন্য সুস্বাদু সবজি খিচুড়ি


সব মায়েদেরই অভিযোগ এই যে বাচ্চা কিছুই খেতে চায় না, বিশেষ করে সবজি তো একেবারেই না! বাচ্চারা তখনই খাবে, যখন খাবারটি হবে সুস্বাদু। কীভাবে করবেন ছোট শিশুদের খাবারকে মুখরোচক? জেনে নিন আজ সায়মা সুলতানার রেসিপি থেকে। বাচ্চাদের খাবারে দিতে হয় বিশেষ মনযোগ, আস্তে আস্তে নতুন স্বাদের সাথেও পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। কেবল পুষ্টিকর হলে হবে না, বাচ্চাদের খাবার একই সাথে হতে হবে ভীষণ সুস্বাদুও। এই স্বাদগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বড় হবার পরেও সবজির প্রতি আসবে না অনীহা।

চলুন, জেনে নিই রেসিপিটি।

যা লাগবে

  • চাল ৪ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  • পেঁপে , মিষ্টিকুমড়া , ব্রকলি , গাজর ,লাউ টুকরা সব মিলে আধা কাপ
  • মুগ ডাল ১ টেবিল চামচ
  • লবণ ১ চিমটি
  • ঘি / তেল ১ চা চামচ (ঘি দিলে স্বাদ বাড়ে, ডাক্তার অনুমতি দিলে ঘি দেবেন।)
  • তেজপাতা / দারুচিনি ১ টুকরা


প্রনালি

  • প্যানে তেল দিয়ে এতে তেজপাতা, দারুচিনি দিন। তারপর দিন পেঁয়াজ কুচি।
  • অল্প ভেজে নিয়ে এতে হলুদ ,ডাল আর সব সবজি দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন ২-৩ মিনিট।
  • এখন ধুয়ে ভিজিয়ে রাখা চাল দিয়ে নেড়েচেড়ে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন ১০ থেকে ১২ মিনিট।
  • ১০ থেকে ১২ মিনিট পর সব সবজি সেদ্ধ হয়ে গেলে ঘুটনি দিয়ে ঘুটে নিন।


খিচুড়ি তৈরি! এই খিচুড়ি আপনি চামচে করে খাওয়াতে পারেন। একদম ব্লেন্ড করে স্যুপের মত করেও খাওয়াতে পারেন। বাচ্চাদের খাবার প্রতি বেলায় তাজা তৈরি করে দেয়াই ভালো। ফ্রিজে রাখা খাবার বাচ্চাদেরকে খাওয়াবেন না।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২২ জুলাই ২০১৮
প্রিয়.কম

Thursday, August 2, 2018

১০০% ভার্জিন নারিকেল তেল ঘরেই তৈরি করার সবচাইতে সহজ রেসিপি!


সঠিক ভাবে জ্বাল দিলে দারুণ সুগন্ধী নারিকেল তেল তৈরি হবে সহজেই। ভাবছেন, নারিকেল তেল তৈরি বুঝি অনেক কষ্ট? সত্যি বলতে কি, একদম নয়। বাড়িতে একটি ব্লেন্ডার আছে তো? ব্যস, তাতেই চলবে! খুব সামান্য চেষ্টাতেই নিজ হাতে তৈরি করে ফেলতে পারবেন একদম ১০০% ভাগ বিশুদ্ধ নারিকেল তেল। 

কোন রোদে শুকানোর ঝামেলা নেই, শিল-পাটায় ঘষাঘষির ঝামেলা নেই, লাগবে না কোন সাহায্যকারীও। সত্যি বলতে কি, এত সহজ এই প্রক্রিয়া যে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। ও হ্যাঁ,  এই তেল নিয়মিত রোদে দিয়ে বা ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারবেন অনেক দিন। ব্যবহার করতে পারবেন রান্নায়  এবং রূপচর্চায়। চুলের জন্য তো দারুণ হবে! 

তবে আর দেরি কেন, চলুন তবে জানিয়ে দিই আমি যেভাবে ভার্জিন নারিকেল তেল তৈরি করি সেই সহজ রেসিপিটি।



যা লাগবে

নারিকেল

নারিকেল কোরানি

পাতলা কাপড়

ব্লেন্ডার

ভারী তলা বিশিষ্ট একটি প্যান বা কড়াই 



 প্রণালি

-ভালো নারিকেল তেল পেতে নারিকেলটা সঠিক নির্বাচন করা খুবই জরুরী। যত আপনার নারিকেল পরিপক্ক বা ঝুনা হবে, তত বেশি ও ভালো মানের নারিকেল তেল পাবেন। তাই বলে অনেক দিনের পুরনো, পানি শুকিয়ে যাওয়া নারিকেল কিন্তু না আবার। কেবল একটু পরিপক্ক নারিকেল বেছে নিন, কচি নারকেলে ভালো তেল হবে না। 

-নারিকেল ভালো করে কুরিয়ে নিন। কুরিয়ে নিতে না পারলে মালার ভেতর থেকে ছুরি দিয়ে তুলেও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট পিস করে কেটে নিন। নারিকেলের পানিটা ফেলবেন না, রেখে দিন। 

-ব্লেন্ডারে কোরানো নারিকেল দিয়ে দিন। সাথে দিন নারিকেলের সম পরিমাণ গরম পানি। নারিকেলের পানিটাও সাথে যোগ করুন। ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। সব সময়ে ফ্রেশ কুরিয়েই দেবেন। কুড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরে তেল করতে চাইলে ভালো তেল হবে না।

-ব্লেন্ড করা মিক্সচারটি ভালো করে পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিন।  নারিকেলের দুধ তৈরি হবে। চাইলে ছিবড়ের মাঝে আরও একটু গরম পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে সেটাও একইভাবে ছেঁকে নিন। 

- এখন এই নারিকেলের দুধ একটি বাটিতে নিন এবং অন্তত ১২ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। 

- কিছু সময় পর দেখবেন যে নারিকেল দুধের পানি ও সলিড অংশটি আলাদা হয়ে গেছে। বাটির নিচে এক রকমের ঘোলা পানি জমেছে আর ওপরে মোমের মত একটা লেয়ার জমে গিয়েছে। এই লেয়ার আলাদা করে উঠিয়ে সরাসরি প্যানে বা কড়াইতে দিয়ে দিন।

-এবার মাঝারি আঁচে জ্বাল করতে থাকুন। মোমের মত সলিড উপাদান খুব দ্রুত গলে গিয়ে জ্বাল হতে শুরু করবে। আস্তে আস্তে জ্বাল হতে হতে দেখবেন যে দানা দানা এক রকমের জিনিস আলাদা হতে শুরু করেছে। প্রথমে এগুলো সাদা থাকবে, আস্তে আস্তে বাদামী বর্ণ ধারণ করবে। গাড় বাদামি বর্ণ ধারণ করলে বুঝবেন যে তেল তৈরি। 

- তেল একটু ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। ব্যস, তৈরি আপনার নারিকেল তেল। বাদামী সলিড অংশগুলো ফেলে দেবেন না। এগুলো মুড়ি দিয়ে খেতে খুব মজা। 



এই তেল ফ্রিজে রাখলে এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে। নিয়মিত রোদে দিলে ৬ মাস ভালো থাকবে।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১২ নভেম্বর ২০১৭

Wednesday, August 1, 2018

সর্দি-কাশি কিংবা ডায়েটে দারুণ উপকারী এই সুস্বাদু স্যুপ!


সর্দি-কাশি কিংবা একটু জ্বর হলেই প্রথম ঘরোয়া চিকিৎসা হচ্ছে গরম স্যুপ। এই ধরণের অসুখে তরল ও গরম খাবার রোগের সাথে লড়াই করার শক্তি যোগায়। অন্যদিকে যারা ডায়েট করছেন তারাও কিন্তু খোঁজেন অল্প ক্যালোরির খাবার যা খেলে ডায়েট করার পাশাপাশি পুষ্টিও পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। সায়মা সুলতানা জানাচ্ছেন ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলসের রেসিপি। জ্বর কিংবা যে কোন অসুখে কাহিল দেহে এই স্যুপটি খুব সহজেই পুষ্টির যোগান দেবে। ভিটামিন, প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এই স্যুপ দেহকে রোগের সাথে লড়াই করার শক্তি যোগানোর পাশাপাশি ডায়েটের জন্যেও চমৎকার। রাতের বেলা যারা না খেয়ে থেকে ডায়েট করেন, তাঁরা বরং এই স্যুপটি রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়।

চলুন, জেনে নিই রেসিপিটি।

যা লাগবে

  • মুরগির মাংসের কিমা হাফ কাপ
  • চিকেন / ভেজিটেবল স্টক ২ কাপ
  • সেদ্ধ সবজি পছন্দ মত (গাজর, মাশরুম, পেঁপে, সেলারি, আলু, টমেটো, কপি, ব্রকলি ইত্যাদি যা ইচ্ছা)
  • রসুন কুচি
  • লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
  • অল্প ধনিয়া পাতা কুচি
  • লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা
  • লবণ স্বাদ মত
  • অল্প অলিভ অয়েল


প্রনালি

  • এই স্যুপ এর প্রধাণ উপকরণ হল চিকেন / ভেজিটেবল স্টক।এর জন্য ৩ কাপ পানিতে ২ কাপ পরিমাণ মুরগির হাড় (মাংস সহ নিতে পারেন, হাড়গুলো একটু ছেঁচে দেবেন) পেঁয়াজ টুকরো, রসুন কয়েক কোয়া, আদা টুকরো, আস্ত গোলমরিচ, অল্প লবণ দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন।
  • পানিটা ১ কাপের আরেকটু বেশি থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন। শুধু পানিটা ছেঁকে নেবেন। বাকি রয়ে যাওয়া মাংস দিয়ে আপনি অন্য যে কোনো স্ন্যাক্স যেমন চিকেন সমুচা অথবা নুডুলসে দিতে পারেন। ভেজিটেবল স্টকও একই ভাবে তৈরি পারেন।
  • এবার আসি মূল রান্নায়। একটি হাঁড়িতে অল্প তেল দিয়ে তাতে চিকেন কিমা দিন। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। এবার ১ কাপ স্টক দিন।সাথে ভাপানো সবজি পছন্দ মত, রসুন কুচি, লেবুর রস, অল্প ধনিয়া পাতা কুচি, লেমন গ্রাস স্টিক (থাই পাতা), লবণ স্বাদ মত দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। স্যুপ তৈরি! চাইলে সাথে কিছু নুডুলসও দিতে পারেন।
  • নামিয়ে বাটিতে নিয়ে উপরে হালকা অলিভ অয়েল ছিটিয়ে দিন। উপরে ধনিয়া পাতা কুচি আর টালা গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই স্যুপ। অসুখ-বিসুখ একদম পালিয়ে যাবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৮ জুলাই ২০১৮
প্রিয়.কম