Saturday, March 31, 2018

নতুন স্বাদে পাইনআপেল ফ্রাইড রাইস


ফ্রাইড রাইস আমাদের সবার একটি প্রিয় খাবার। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলেই অন্য সব কিছুর সাথে কোনো না কোনো ফ্রাইড রাইস থাকবেই তাই না? আর ফ্রাইড রাইসের কতো রকম আছে, চাইনিজ ফ্রাইড রাইস, থাই ফ্রাইড রাইস, আমেরিকান, কোরিয়ান আরও কতো নানা দেশের নানা স্বাদের ফ্রাইড রাইস। অনেক স্বাদের মাঝে আজ খেতে পারেন নতুন স্বাদে পাইনাআপেল ফ্রাইড রাইস। আসুন তাহলে দেখে নেই রেসিপিটি।

উপকরণ:

রান্না করা ভাত ২ কাপ (পোলাও বা বাসমতি চাল দিয়ে রান্না ভাত)

পাকা-আনারস কিউব করে কাটা আধা কাপ

রসুন কুচি ১ টেবিল-চামচ (কিমার মতো কুচি)

পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ

কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ বা স্বাদ মতো

তেল ৩/৪ টেবিল-চামচ

ফিশ সস ১/২ টেবিল-চামচ

সয়া সস ১/২ টেবিল-চামচ

চিংড়ি মাছ ৮/১০টি

গাজর কিউব করে কাটা ২ টেবিল-চামচ (সিদ্ধ করা)

মটরশুঁটি ২ টেবিল-চামচ (সিদ্ধ করা)

গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ

কিচমিস ১ টেবিল চামচ

কাজুবাদাম ৭/৮টি (ভাজা)

কারি পাউডার ১ চা চামচ (ইচ্ছা)

পেঁয়াজ পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ

ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ

ডিম ১টি

চিনি ১ চা চামচ

পদ্ধতি:

চিংড়ি মাছগুলোতে একটু সয়া সস, সামান্য রসুন বাটা ও একটু মরিচ কুচি দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।

অন্য একটা বাটিতে সয়া সস, ফিশ সস, চিনি, কারি পাউডার ও গোল মরিচ এক সঙ্গে মিশিয়ে রাখুন।

এবার একটি ননস্টিক প্যানে পরিমাণ মতো তেল গরম করে পেঁয়াজ, মরিচ ও রসুন কুচি একটু ভেজে, চিংড়ি মাছ দিয়ে আবারো একটু ভেজে নিন। চিংড়ি মাছ ও মসলাগুলো একপাশে সরিয়ে রাখুন।

একটু তেল দিয়ে ডিম ঝুরি ঝুরি করে ভেজে নিন। এবার একে একে গাজর, মটরশুঁটি, বাদাম, কিচমিস দিয়ে মিশিয়ে ভাত দিন।

একটু ভেজে সসের মিশ্রণ ও আনারস কিউব দিন। আরও একটু ভাজুন। সবশেষে ধনেপাতা-কুচি ওপর দিয়ে ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  মার্চ ৩১, ২০১৮

র‍্যাপড সিক্রেট ক্যাবেজ


বাজারে এখনো বাধাকপি পাওয়া যায়। সবসময় একই ধরনের রেসিপিতে অনেকেই বিরক্ত হন। তাই সবজি-মাছ দিয়ে নতুন মেন্যু খাবার টেবিলেও আনে বৈচিত্র্যতা। নতুন মেন্যু হিসেবে রান্না করতে পারেন ন‍্যাপড সিক্রেট ক্যাবেজ। রেসিপিটি তাহলে জেনে নেওয়া যাক-

উপকরণ:

বাধাকপি ১টি

ক্যানড টুনা মাছ ফ্লেক্স ১ টিন

টমেটো আধা কাপ

শশা আধা কাপ

ক্যাপসিকাম ৩ রঙের তিনটি

সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ

চাট মসলা আধা চা চামচ

লবণ স্বাদমতো

ভেজিটেবল অয়েল ১ টেবিল চামচ

প্রণালি:

বাধাকপি থেকে গোটা পাতা আলাদা করে নিতে হবে। এরপর পাতাগুলো ভাপে আধা সেদ্ধ করে নিন।

প্যানে তেল গরম করে ক্যানড টুনা মাছ ফ্লেক্স দিতে হবে। চাইলে নিজের পছন্দ মতো মাছ দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে মাছ টুকরো করে ফুটন্ত গরম পানিতে লবণ এবং হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর সেদ্ধ মাছের কাঁটা বেছে তেলে ভাজুন।

এবার মাছে ক্যাপসিকাম কুঁচি এবং বাধাকপি কুঁচি দিয়ে নেড়ে সাদা গোলমরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে চুলা বন্ধ করতে হবে। মিশ্রণে শশা এবং টমেটো কুঁচি দিয়ে চাট মসলা ছিটিয়ে ড্রেসিং করুন।

এবার আধা সেদ্ধ বাধাকপির পাতায় মাছ ও সবজির মিশ্রণটি দিয়ে র‍্যাপ করে টুথপিক দিয়ে গেঁথে দিতে হবে। ব্যস, হয়ে গেল মজাদার র‍্যাপড সিক্রেট ক্যাবেজ।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  মার্চ ২৬, ২০১৮

বাদামের সুস্বাদু ক্ষীর


অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টি জাতীয় খাবার তো থাকেই। চাইলে তৈরি করতে পারেন বাদামের ক্ষীর। সুস্বাদু এই খাবারটি তৈরিতে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হবে না। খুব কম সময়েই তৈরি করতে পারবেন বাদামের ক্ষীর। রইলো রেসিপি-

উপকরণ: ২৫-৩০টি কাজুবাদাম, আধা কাপ পানি, জাফরান, আধা কাপ চিনি, এক লিটার দুধ, ১/৪ টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়া এবং সাজানোর জন্য পাঁচটি পেস্তা বাদাম।
প্রণালি: প্রথমে কাজুবাদাম ভালো করে বেটে নিয়ে এর সঙ্গে পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। ১৫ মিনিটের জন্য ১ টেবিল চামচ দুধের মধ্যে জাফরান ভিজিয়ে রাখুন।
একটি ননস্টিক প্যানে দুধ গরম করুন। এরপর এতে বাদামের মিশ্রণটি দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না দুধের মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসে। একটু ঘন হয়ে এলে এতে একে একে চিনি, জাফরান মিশানো দুধ এবং এলাচ গুঁড়া দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন। এরপর একটি পাত্রে নিয়ে এর ওপর পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু বাদাম ক্ষীর।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৭ মার্চ ২০১৮

মচমচে মুরালি তৈরি করবেন যেভাবে


বাইরে থেকে তো কিনে খাওয়া হয়ই, চাইলে তৈরি করতে পারেন। কারণ বাইরের খাবারের ওপর আস্থা রাখা মুশকিল। বলছি মুরালির কথা। মচমচে এই খাবারটি অনেকের কাছেই প্রিয়। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : ময়দা ২৫০ গ্রাম। মসুরের ডাল মিহি করে বাটা ১০০ গ্রাম। লবণ সামান্য, চিনি ও পানি পরিমাণমতো এবং ভাজার জন্য তেল।

প্রণালি : একটি পাত্রে ময়দা, লবণ এবং পরিমাণমতো তেল দিন। এতে বাটা মসুর ডাল দিয়ে আবার ভালো করে মাখিয়ে একটি শক্ত ডো তৈরি করুন। পরিমাণমতো পানি ও চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। এ থেকে পরিমাণমতো ডো নিয়ে রুটির মতো বেলে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। এরপর ডুবো তেলে মচমচে করে ভেজে তুলুন। গরম থাকতেই ভাজা মুরালিগুলো সিরায় দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

জিভে জল আনা কাজলি মাছের চচ্চোড়ি


বাঙালির ঐতিহ্য মাছের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু হলো ছোট মাছ। যা যেমন উপকারী, তেমনই মজাদার। ছোট মাছে মুখের রুচিও বাড়ে। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় ছোট মাছের তরকারী মন্দ হয় না।

আমরা বিভিন্ন ভাবে ভিন্ন স্বাদে এই ছোট মাছ রান্না করতে পারি, আজ প্রতিচ্ছবি’র পাঠকদের জন্য রইল টমেটো দিয়ে কাজলি মাছের চচ্চোড়ির রেসিপি।

যা যা লাগবে-

কাজলি মাছ ২৫০ গ্রাম, আলু মাঝারি মাপের ১টা, পেঁয়াজ মাঝারি মাপের ১টা, হলুদগুঁড়ো ১/২ টেবিল চামচ, গুঁড়া মরিচ ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি, টমেটো বাটা ১ টেবিল চামচ, সরষে বাটা ১ টেবিল চামচ, সরষের তেল পরিমাণ মতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী-

কাজলি মাছ কেটে-ধুয়ে লবণ-মরিচের গুড়া-হলুদ মাখিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেড করে রাখুন। আলু, পেঁয়াজ লম্বা করে কেটে নিন। তাতে ফালি করা কাঁচা মরিচ, টমেটো, সরষে বাটা, লবণ, হলুদ, সরষের তেল ধনেপাতা কুচি ও আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে গরম জলে টিফিন বক্সে ১৫ মিনিট ভাপিয়ে নিন।

কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মুখরোচক আলুর ফিঙ্গার চপ


প্রথমে আলু ধুয়ে সিদ্ধ দিন। সিদ্ধ হলে খোসা ছাড়িয়ে আলু মেস করে নিন।

উপকরণ
১. আলু------------------------>৩-৪টি
২. ডিম------------------------>১টি
৩. ব্রেড ক্রাম------------------>১ কাপ
৪. পেঁয়াজ কুচি---------------->১ টেবিল-চামচ
৫. টমেটো সস---------------->২ চা-চামচ
৬. কাঁচা মরিচ কুচি------------>২ চা-চামচ
৭. লবন----------------------->পরিমাণ মতো
৮. তেল----------------------->ভাজার জন্য পরিমাণ মতো 
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে আলু ধুয়ে সিদ্ধ দিন। সিদ্ধ হলে খোসা ছাড়িয়ে আলু মেস করে নিন। এর পর মেস করা আলুর সঙ্গে একে একে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, লবন, টমেটো সস মেশান। এবার মাখানো আলুগুলো ফিঙ্গার শেপ করে ডিমে চুবিয়ে ব্রেডক্রামে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। আর গরম গরম অবস্থায় সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।  
ঠিক এভাবেই সহজে বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন মুখরোচক আলুর ফিঙ্গার চপ।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৮ মার্চ ২০১৮

আইসক্রিম মেকার ছাড়াই তৈরি হবে আইসক্রিম


ঘরেই তৈরি করতে পারেন আইসক্রিম। আইসক্রিম মেকার নেই, তাতে কী? তাই বলে কি বাড়িতে দারুণ স্বাদের আইসক্রিম তৈরি বন্ধ থাকবে? না, আজ দেখে নিন আইসক্রিম মেকার ছাড়াই আইসক্রিম তৈরির পদ্ধতিটি। খাওয়ার পর কেউ বুঝতেই পারবে না তা কেনা নাকি বাড়িতে তৈরি। চারটি উপকরণ, কিছুটা সময় আর শ্রমই যথেষ্ট এর জন্য। দরকার নেই কোনো দামী উপকরণ বা বিশেষ গ্যাজেট। চলুন দেখে নিই প্রক্রিয়াটি।

যা যা দরকার

-   ২ কাপ হেভি হুইপিং ক্রিম

-   ২ কাপ হাফ-অ্যান্ড-হাফ ফ্রিম

-   ১ কাপ চিনি

-   ২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

সময় লাগবে- সাড়ে ৩ ঘন্টা


প্রথম ধাপ

একটি বড় ফ্রিজার-সেফ প্যান নিন। ১৩ ইঞ্চি বাই ৯ ইনি স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র হলে ভালো হয়। একে ফ্রিজারে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ

অন্য একটি পাত্রে সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। চিনি পুরোপুরি মিশে যাওয়া পর্যন্ত নেড়ে নিন।


তৃতীয় ধাপ

এই মিশ্রণ ফ্রিজারে রাখা ঠাণ্ডা প্যানে ঢেলে নিন। এরপর তা আবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। এরপর ২০-৩০ মিনিট পর চেক করুন। মিশ্রণের পাশ দিয়ে জমে যাওয়া শুরু করলে বের করে হ্যান্ড মিক্সার দিয়ে বিট করে নিন।

চতুর্থ ধাপ

বিট করার পর আবার ফ্রিজে রেখে দিন প্যানটা। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর বের করে বিট করে নিন। ৪-৫ বার বিট করার পর আইসক্রিম তৈরি হয়ে যাবে।

এই আইসক্রিম সংরক্ষণ করতে পারেন সাধারণ আইসক্রিমের মতই। এর সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন আপনার প্রিয় ক্যান্ডি বার, চকলেট সস বা বিভিন্ন টপিং।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৯ জুন ২০১৭
প্রিয়.কম

Friday, March 30, 2018

জালি কাবাব তৈরির সহজ উপায়


অতিথি আপ্যায়নে জালি কাবাবের তুলনা হয় না। গৃহিণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জালি কাবাব। চলুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন সুস্বাদু জালি কাবাব।

উপকরণ: গরুর মাংস ১ কাপ (একদম ছোট ছোত টুকরো করবেন যাতে সেদ্ধ হতে বেশি সময় না নেয়), মসুরের ডাল ১ মুঠের কম, ছোলার ডাল ১ মুঠো, ইচ্ছে হলে ১টা ছোট আলুও দিতে পারেন, কাঁচামরিচ কুচি স্বাদমতো, লবণ স্বাদমত, ১/২ কাপ মিহি করে কাটা পেঁয়াজ কুচি, আদা রসুন বাটা ২ চা চামচ, টমেটো সস ১ চা চামচ, জিরা এবং ধনিয়া বাটা মিক্স ১ চা চামচ, সামান্য হলুদ, গরম মশলা এবং এলাচ বাটা ১ চা চামচ, ডিম ১ টি।

প্রণালি: লোহার কড়াই বা প্রেশার কুকারে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, অর্ধেক গরম মশলা বাদে বাকি সব সেদ্ধ করুন। সিদ্ধ হলে পানি শুকিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন পানি যেন না থাকে এবং ঝরঝরে হয় যেন। এবার পাটা কিংবা ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করুন। এবার পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ এবং বাকি মশলা দিয়ে ভালো করে নরম করে মেখে নিন। ১২-১৩টি কাবাব তৈরি করুন। এবার ডিমটি কসুম সহ ফাটিয়ে নিন সাথে ৪-৫ ফোঁটা পানি মিশিয়ে নিন। কাবাবগুলো ডিমে চুবিয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজুন। মনে রাখবেন কাবাব যত ভালো করে ডিমে ডোবাবেন তত ভালো জালি জালি ভাবটা আসবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার জালি কাবাব। পরিবেশন করুন বিরিয়ানী, তেহারি, কাচ্চি কিংবা শুধু সস দিয়ে।

তথ্যসূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম

আড্ডায় রাখুন প্লেট ভর্তি ইমোজি


আজকাল ফেসবুক ও যেকোনো মেসেঞ্জারে লিখা থেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে বিভিন্ন ইমেজ বা ইমোজি। অনেক কিছু লিখার থেকে একটা ইমোজি দিলেই যেন অনেক কিছু লিখে ফেলা হয়। তাই দিনে দিনে ইমোজির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েই চলছে। তাছাড়া আজকাল মগ, পোশাক, ডেকোরেশন পিস সব কিছুতেই ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ইমোজি। তাহলে আর বিকেলের আড্ডায় আপনার খাবার প্লেটটি কেনো বাদ যাবে? অতিথি আড্ডায় বা বিকেলের নাস্তায় প্লেট ভর্তি করে রাখতে পারেন নানা রকমের ইমোজি। আসুন দেখে নেই রেসিপিটি।  

উপকরণ:

আলু- ৪/৫ টা,

পাউরিটি- ৫ পিস, 

কর্ণফ্লাওয়ার- ২ টেবিল চামচ,

লবণ- পরিমাণ মতো,

পানি- পরিমাণ মতো (পাউরিটি ভিজানোর জন্য)

তেল- ভাজার জন্য,

জুসের পাইপ- চোখ বানানোর জন্য,

স্যুপের চামচ- স্মাইল বানানোর জন্য।

ইচ্ছে মতো অন্য মশলাও মিশানো যাবে।

ঝাল বা মিষ্টি যেটা খেতে চান সেই হিসেবে মসলা মিক্সড করে নিন।

প্রনালি:

প্রথমে ভালোভাবে আলু সেদ্ধ করে নিন। একটা বাটিতে সেদ্ধ আলু ভালোভাবে ভেঙে নিতে হবে যেন দানা না থাকে। তবে স্লাইজার দিয়ে স্লাইস করলে ভালো হয়। এতে টুকরা থাকে না। তারপর এতে কর্ণফ্লাওয়ার দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।

পাউরুটিগুলো একসাথে ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর দু হাত দিয়ে চেপে পানি ফেলে দিতে হবে যেন পাউরুটি থেকে সব পানি ঝড়ে যায়। তারপর পাউরুটিগুলো হাত দিয়ে ভেঙে ভেঙে মাখানো আলুর উপর দিতে হবে। তারপর লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। চাইলে মরিচ, চিনি (পছন্দ অনুযায়ী) এসবও দেওয়া যাবে যদি ঝাল বা মিষ্টি খেতে চান। রেডি হয়ে গেলে মিশ্রণটি ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে।

তারপর হাতে একটু তেল লাগিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণ থেকে একটু রেডি করা মাখনো আলু নিয়ে বলের মতো গোল করে আস্তে একটু চাপ দিতে হবে। তারপর জুসের পাইপ দিয়ে দুটো চোখ বানাতে হবে। তারপর স্যুপ চামচ দিয়ে স্মাইল বানাতে হবে। পাইপ, চামচ, ছুরি দিয়ে এভাবে সেড, স্মাইলি, লাফিং, থামস, এংরি ফানি ইমোজি বানানো যাবে। যদি ক্রিসপি চান তাহলে ইমোজিগুলো আধা ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে।

তেল গরম করে ইমোজিগুলো তেলে দিতে হবে। তেলে দেওয়ার পর চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। ইমোজিগুলো ৩ মিনিট এমনি ভাজতে দিতে হবে। তারপর ৩ মিনিট পর এগুলো ফুলে আপনা আপনি উপরে চলে আসবে। যখন উপরে চলে আসবে তখন চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। ইমোজিগুলো ৮ থেকে ১০ মিনিট ভাজতে হবে। শুরুতে তিন থেকে চার মিনিট কম আঁচে এবং বাকি চার থেকে পাঁচ মিনিট বেশি আঁচে ভাজতে হবে। গরম গরম ইমুজি পছন্দ মতো সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন।

কিছু টিপস:

. ফ্রিজে স্টোর করতে চাইলে ইমোজিগুলো হাফ ভেজে ঠাণ্ডা করে তারপর ফ্রিজে রাখুন।

. এভাবে ৬ থেকে ৭ দিন খাওয়া যাবে।

. বাড়িতে ছোট অতিথি আসলে এই খাবার দিয়ে খুব সহজেই তাকে খুশি করতে পারবেন।

. আপনার সোনামণির টিফিন বক্সেও ভরে তিতে পারবেন এই পটেটো ইমোজি


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  মার্চ ২৮, ২০১৮

গলদা চিংড়ির মালাইকারি


চিংড়ির মালাইকারি খুবই সাধারণ একটি খাবার। কিন্তু, এর স্বাদ অনেক রাজকীয় খাবারকেও হার মানিয়ে দেয়। অনেকের ধারণা, এই খাবারটি রান্না করা অনেক কঠিন। কিন্তু, মোটেও তা নয়। এটা রান্না করা খুবই সহজ। আর সময়ও লাগে অনেক কম। উপকরণ খুব বেশি নেই বললেই চলে। তাহলে আসুন আজ দেখে নেই কিভাবে তৈরি করবেন গলদা চিংড়ির মালাইকারি।

উপকরণ:

বড় গলদা চিংড়ি

পিঁয়াজ বাটা- আধা কাপ

মরিচ গুঁড়া- পরিমাণ মতো

আদা বাটা- দুই চা চামচ

নারিকেলের দুধ- এক কাপ

লবণ- স্বাদ মতো

পানি- পরিমাণ মতো। 

প্রণালী:

চিংড়ি পরিষ্কার করে ধুয়ে চিংড়ির শিরদাড়ার শিরা বের করে নিন।

পেঁয়াজ বেটে আলাদা করে রাখুন।

এবার একটা পাত্রে তেল গরম করে চিংড়িগুলো ভেজে তুলে রাখুন।

এবার ওই তেলে চিনি দিন এবং গলে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।

একটু মরিচ গুঁড়া পানিতে গুলে পাত্রে ঢেলে দিন। পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিন এবং লাল না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। আদা বাটা দিয়ে দিন এবং মিনিট খানেক ভাজুন।

এরপর নারকেলের দুধ, পানি দিয়ে ফোটান।

এবার ভাজা চিংড়ি দিয়ে দিন এবং সামান্য লবণ দিন। মিনিট ১৫ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে নামিয়ে রাখুন।

এবার সুন্দর করে সালাদ এবং লেটুস পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  মার্চ ৩০, ২০১৮

নতুন পটলের মুখরোচক দোপেঁয়াজা


এই রান্নায় উপকরণ লাগবে মাত্র ৩/৪ টি, সময় লাগবে ২০ মিনিট। অল্প তেলেই রান্না করা যাবে, পানি লাগবে না একটুও। গরম গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সাথে দারুণ লাগে খেতে, রুটি-লুচি বা পরোটার সাথেও মজার । ইতোমধ্যেই বাজারে আসছে নতুন পটল। সময়ের চাইতে একটু আগেই বাজারে এলেও এই পটল খেতে দারুণ মজা। ভাজি বা রান্না করে পটল তো অনেকেই খায়, আজ চলুন শিখে নিই পটলের দোপেঁয়াজা তৈরির প্রণালি। 

এই রান্নায় উপকরণ লাগবে মাত্র ৩/৪ টি, সময় লাগবে ২০ মিনিট। অল্প তেলেই রান্না করা যাবে, পানি লাগবে না একটুও। গরম গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সাথে দারুণ লাগে খেতে, রুটি-লুচি বা পরোটার সাথেও মজার ভীষণ।

যা লাগবে
পটল আধা কেজি
পেঁয়াজ ১ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদ অনুযায়ী
লবণ স্বাদ অনুযায়ী
হলুদ ১/৪ চা চামচ
মরিচের গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ (ইচ্ছা) 
তেল

যা করবেন
-পটল ছিলে দুইভাগ করে নিন। পটলের খোসা বটিতে একটু ঘষে নিয়ে অনেকে এটা করতে চান, কিন্তু তাতে মজা হবে না এই রেসিপিতে রান্না করলে। সেটা অন্য খাবার। সেটা রান্নায় অনেক তেলও দিতে হয় যা স্বাস্থ্যকর নয়। পটল ছিলে নেয়াই এই রেসিপিতে জরুরি। মাঝের বীজ রেখে দিবেন, নাহলে পটলের শেপ নষ্ট হয়ে যাবে। 
-প্যানে তেল দিন আপনার রুচি অনুযায়ী। তেল গরম হলে এতে কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে দিন। কাঁচা মরিচ থেকে সুন্দর ঘ্রাণ ছড়ালে দিয়ে দিন পেঁয়াজ ও সামান্য লবণ।
-পেঁয়াজ একটু চকচকে হলে দিয়ে দিন পটল, হলুদ-মরিচ গুঁড়ো। এবার মাঝারি আঁচে ভাজতে থাকুন। 
-ঢাকনা দেবেন না, এতে পটলের রঙ নষ্ট হয়ে যাবে। কেবল মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিয়ে ভাজলেই হবে। নাড়তে হবে যেন পেঁয়াজ পুড়ে না যায়। 
-কিছুক্ষণ পর দেখবেন পটল সেদ্ধ হয়ে গেছে, পেঁয়াজও ভাজা ভাজা হয়ে গেছে কিন্তু পুড়ে যায়নি। এবার চাইলে একটু ধনে পাতা ছিটিয়ে দিতে পারেন।

পরিবেশন করুন গরম গরম। যদিও ঠাণ্ডা হলেও ভালো লাগে। ফ্রিজে রেখেও বেশ কয়েকদিন খাওয়া যায়।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৮ মার্চ ২০১৮

ব্রেড কাটলেট তৈরি করবেন যেভাবে


বিকেলের নাস্তায় কিংবা টিফিনের বাটিতে মজাদার কোনো স্ন্যাকস না হলেই নয়! খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় আবার খেতেও সুস্বাদু এরকম খাবারই সবাই চান। তেমনই একটি খাবার ব্রেড কাটলেট। রইলো রেসিপি-

উপকরণ: পাউরুটি ৬-৭ টুকরা, আলু সেদ্ধ ২ টা মাঝারি আকারের, পেঁয়াজ কুচি অল্প পরিমাণ, ক্যাপসিকাম কুচি অর্ধেক ক্যাপসিকাম, বেবি কর্ন ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টা, আদা বাটা ১ চামচ, হলুদ+মরিচ গুড়া পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, গরম মশলা আধা চামচ, কর্ন ফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, গোল মরিচ অল্প পরিমাণ, ধনিয়া পাতা কুচি পরিমাণমতো, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: প্রথমে পাউরুটির চারপাশ কেটে ফেলে দিয়ে নরম অংশ নিন। এরপর পাউরুটি ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। এবার পাউরুটির সাথে পছন্দমতো সবজি, কর্ন ফ্লাওয়ার, লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি একসাথে মিশিয়ে নিন। হাতের তালুতে নিয়ে প্রথমে গোল গোল পরে চেপ্টা করে নিন। এরপর বাকি মশলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার চেপ্টা করা রুটিগুলো মশলাতে ডুবিয়ে কড়াইয়ে গরম তেলে লালচে করে ভাজুন। চাইলে বিভিন্ন আকারে কাটলেট তৈরি করতে পারেন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২১ মার্চ ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

সহজেই তৈরি করুন কফি আইসক্রিম


গরমে প্রাণ জুড়াতে আইসক্রিমের বিকল্প নেই। যখন তখনই প্রাণ আইঢাঁই করতে পারে ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিমের জন্য। এই এক আইসক্রিমের আছে অনেক ধরন। কিনে তো খাবেনই, ঘরে বসেই পছন্দের কফি আইসক্রিম তৈরি করতে পারেন। রইলো রেসিপি-

উপকরণ: গুঁড়া দুধ- ১ কাপ, পানি- ১ কাপ, ডিম- ৫ টি, ক্রিম- ২ কাপ, চিনি- হাফ কাপ, কফি- দেড় টেবিল চামচ, কাস্টার্ড পাউডার- ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: গুঁড়া দুধ, পানি, ক্রিম, কফি ও কাস্টার্ড পাউডার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি প্যানে ঢেলে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। একটি বড় বোলে ডিমের কুসুম ৫টি, চিনি আধা কাপ নিয়ে খুব ভালো করে বিট করে নিতে হবে। ক্রিমের মতো হয়ে এলে জ্বাল করে রাখা গরম মিশ্রণ অল্প অল্প দিয়ে বিট করুন। সবটুকু মিশ্রণ মেলানো হয়ে গেলে আর একটু সময় নিয়ে খুব ভালোভাবে আরোও কিছুক্ষণ বিট করে নিন। এবার ছাচে ঢেলে ফ্রিজে রেখে জমাতে হবে সারা রাত। চকলেট কুচি, হুইপড ক্রিম ও চকলেট সিরাপ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৪ মার্চ ২০১৮

জাগোনিউজ২৪.কম

আচারী চিকেন


আজ শুক্রবার। উইকএন্ড। একটু স্পেশাল ডিস বানিয়ে খেতে ইচ্ছা করে। দাওয়াতও থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন অকেশনতো আছেই। আচারি চিকেনটা একটি রিচ ডিস। পোলাও, পরোটা, নানরুটি এমন কি ভাত দিয়েও খাওয়ার মত খুব টেস্টি এবং ভিন্ন একটি চিকেন আইটেম এটি। এর স্পেশালিটি এর আচারি ফ্লেভার। চলুন তাহলে দেখি রেসিপিটি কেমন!

উপকরণঃ

চিকেন- ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ- ২ টি মাঝারি সাইজের, বাঁটা
টমেটো- ২ টি মাঝারি সাইজের, পেস্ট করা
আদা বাঁটা- ১ টে.চা.
রসুন বাঁটা- ১ টে.চা.
টক দই- ১০০ গ্রাম
কালোজিরা- ১/২ টে.চা.
লবণ- ১ টে.চা.
মরিচের গুঁড়ো- ১ টে.চা.
হলুদ গুঁড়ো- ১/২ টে.চা.
কাঁচা মরিচ- ৪ টি
তেল- ৫ টে.চা.
ধনেপাতা কুঁচি (গার্ণিশের জন্য)
আচারি মশলা জন্য-
সরিষা- ১/২ টে.চা.
মেথি- ১/৪ টে.চা.
মৌরি- ৩/৪ টে.চা.
জিরা- ১ টে.চা.
ধনিয়া- ১ টে.চা. (সাদা)

প্রণালীঃ

– মুরগী ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরান।

– সরিষা, মেথি, মৌরি, জিরা ও ধনিয়া একসাথে চূর্ণ করুন। এটিকে আমি বলি আচারি মশলা।

– একটি প্যানে তেল গরম করুন।তাতে পেঁয়াজ বাঁটা ছাড়ুন এবং হালকা ভাজুন।

– এবার এতে আদা-রসুন বাঁটা দিয়ে নাড়ুন। ধুয়ে রাখা মুরগীর টুকরোগুলো ছাড়ুন। পানি না শুকানো পর্যন্ত
ভাজুন।

– মরিচের গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, টমেটো পেস্ট ও লবণ দিয়ে নাড়ুন এবং পানি শুকিয়ে নিন।

– আচারি মশলা এবং টক দই মিশিয়ে আবার নেড়ে দিন এবং পানি শুকিয়ে নিন।

– কালোজিরা ও ১/২ কাপ পানি মিশিয়ে আঁচ বাড়িয়ে ফোটান।

– আঁচ একদম কমিয়ে ঢেকে দিয়ে ১০-১২ মিঃ রান্না হতে দিন।

– ঢাকনা খুলে কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ২ মিঃ রাঁধুন অল্প আঁচে।

– এরপর উপরে ধনেপাতা কুঁচি ছড়িয়ে গার্ণিশ করে পরিবেষণ করুন দারুণ স্বাদের আচারি চিকেন।



রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৩ মার্চ ২০১৮

নিজেই তৈরি করে নিন কারি পাউডার


বিভিন্ন ভারতীয় রান্নায় প্রায়ই দেখবেন কারি পাউডার নামের উপাদানটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কী এই কারি পাউডার? কোথায় পাওয়া যায়? কী করে তৈরি করতে হয়? এসব প্রশ্ন নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। কারি পাউডারের বদলে অন্য মশলা ব্যবহার করলে ঐ রেসিপির ফ্লেভারটাও পাওয়া যায় না। আর চিন্তা নয়! আজ দেখে নিন ভারতীয় কারি পাউডার তৈরির রেসিপিটাই। নিজের রান্নাঘরেই তৈরি করে নিতে পারবেন এক কৌটা কারি পাউডার, ভারতীয় রেসিপি দেখে এখন আর মন খারাপ করতে হবে না।

উপকরণ
- ২ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো
- ২ টেবিল চামচ জিরা গুঁড়ো
- দেড় টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ২ চা চামচ আদা গুঁড়ো
- ১ চা চামচ শুকনো সরিষা
- আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
- আধা চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো

সব উপাদান জোগাড় করা হলো তো? এবার এগুলো ছোট একটি কৌটায় নিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। সবকিছু একত্রে মিশে গেলে ব্যবহার করতে পারবেন। এই মিশ্রণ ফ্রেশ থাকবে ৩ মাস পর্যন্ত।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
প্রিয়.কম

Thursday, March 29, 2018

নানা রোগের প্রাকৃতিক ওষুধ জাম্বুরা


জাম্বুরা বা বাতাবী লেবু এক ধরনের লেবু জাতীয় টক-মিষ্টি ফল। সাইট্রাস জাতীয় এই ফলে প্রচুর পরিমান পুষ্টিকর উপাদান , ফাইবার আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। 

জাম্বুরায় ক্যালরি খুব কম থাকে কিন্তু এটি পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। 

জাম্বুরা খেলে ক্ষুধা কমে যায়। একারণে অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্য তালিকায় এটি রাখেন। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জাম্বুরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে এবং লিপিড মাত্রা ঠিক রাখে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, সাইট্রাস জাতীয় ফল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। এক্ষেত্রে জাম্বুরা বেশ উপকারী। 

পানি এবং ফাইবার থাকার কারণে জাম্বুরা কোষ্টকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায়। 

জাম্বুরায় ৯১ ভাগ পানি রয়েছে। তাই এটি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দিলে এটি তা পূরণ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। 

জ্বর , কাশি, সর্দি -ইত্যাদি সারাতে জাম্বুরা বেশ উপকারী। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

জাম্বুরা রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। 

যেহেতু জাম্বুরায় প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে এ কারণে এটি প্রসাবের সংক্রমন কমাতে সাহায্য করে। 

জাম্বুরা বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক ওষুধ। তাই নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত জাম্বুরা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

সূত্র : সমকাল

পুষ্টি ও স্বাদ দুটোই পাবেন রাশিয়ান সালাদে


টমেটো, গাজর আর শশা কেটে পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে মেখে মেখে আর কতো সালাদ খাবেন? আপনার রোজকার সালাদে একটু ভিন্নতা আনুন। যে সালাদ আপনার স্বাদ ও রুচির পরিবর্তন আনবে। সবচাইতে বড় কথা এই সালাদ আপনার ডায়েট চার্টে থাকলে আপনাকে আর অন্য খাবার নিয়ে চিন্তাই করতে হবে না। আর বাড়িতে অতিথি এলে এমন সালাদ দিয়ে তাদের চমকে দিতে পারেন। কী ভাবছে এই সালাদ তৈরি করতে নিশ্চয়ই অনেক সময়, খরচ ও ঝামেলা হবে? মোটেও না। আপনার রান্না ঘরের সাধারণ উপকরণ দিয়েই তৈরি করতে পারবেন এই সালাদ। আর সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। আসুন তাহলে দেখে নেই রাশিয়ান সালাদের রেসিপিটি।

উপকরণ :
গাজর সেদ্ধ কিউব করে কাটা ৫০ গ্রাম।

আলু সেদ্ধ কিউব করে কাটা ৫০ গ্রাম।

পেয়াঁজ কলি ছোট ছোট টুকরো করে কাটা ৫০ গ্রাম।

শিমের বিচি ১৩-১৫টা।

ম্যাকারনি সেদ্ধ এক কাপ।

আপেল কিউব কাট এক কাপ(সেদ্ধ)।

আনারস কিউব কাট এক কাপ (সেদ্ধ)

অলিভ পাঁচটি।

লবণ পরিমাণ মতো।

গোলমরিচ গুড়া সামান্য।

চিনি দুই চা চামচ বা টেস্ট অনুযায়ী।

লেবুর রস এক টেবিল চামচ।

মেয়োনিজ চার টেবিল চামচ।

মিল্ক ক্রিম এক টেবিল চামচ (না থাকলে গুড়ো দুধ এক চামচ বা কনডেন্সন্ড মিল্ক এক চা চামচ, এক্ষেত্রে চিনি একটু কম দিবেন)

আপনি চাইলে আপনার পছন্দমতো মৌসুমি ফল ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রণালি:
সব সবজিগুলো কিউব করে কেটে অল্প লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ম্যাকারনি নুডলস সেদ্ধ করে আলাদা করে রাখুন। এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে সব উপকরণগুলো এক সাথে মিশিয়ে নিন।

ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার রাশিয়ান সালাদ।

টিপস:
এই সালাদ ফ্রায়েড রাইস দিয়ে খেতে ভালো লাগবে।
চাওমিন এর সাথেও খেতে পারেন যারা ডায়েট করছেন তারা রাশিয়ান সালাদ এমনি খেতে পারেন উপকার পাবেন। সকাল, দুপুর বা রাতের খাবারের মাঝের বিরতিতে কিছু খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এই সালাদ খেতে পারেন।  এই সালাদের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ইচ্ছে মতো এই সালাদে সবজি বা ফ্রুটস এড করতে পারেন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  মার্চ ২৪, ২০১৮

মিষ্টি আলু দিয়ে ঝটপট মজাদার গোলাপজাম


মজাদার গোলাপজাম তৈরি হবে মিষ্টি আলু দিয়ে। জনপ্রিয় একটি মিষ্টি হলো গোলাপজাম। লাল রঙের গোল গোল এই মিষ্টিটি কম বেশি সবাই খেতে পছন্দ করেন। গোলাপজাম সাধারণত ছানা দিয়ে তৈরি করা হয়। ছানা ছাড়াও এই মিষ্টিটি আরো একটি উপাদান দিয়ে তৈরি করা সম্ভব। আর তা হলো “আলু”। আপনার প্রিয় সবজি আলু দিয়েও তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার গোলাপজাম। কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই, মিষ্টি আলু দিয়ে গোলাপজাম তৈরির রেসিপিটা জেনে নিন আজ।

উপকরণ:

৪টি মাঝারি আকৃতির মিষ্টি আলু সিদ্ধ

২ টেবিল চামচ ময়দা

২ কাপ চিনি

৩ কাপ পানি

৬-৭টি এলাচ

২ টেবিল চামচ মাওয়া বা ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল এবং গুঁড়ো দুধের মিশ্রণ

তেল

প্রণালী:

১। প্রথমে মিষ্টি আলু পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর পাতলা পাতলা করে কেটে সিদ্ধ করতে দিন। প্রেশার কুকারে সিদ্ধ করতে দিলে ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় রাখুন। একটি শিষ দিলে নামিয়ে ফেলুন।

২। সিদ্ধ আলু খুব ভালো করে ভর্তা করে নিন। এরসাথে ময়দা মিশিয়ে ডো তৈরি করুন।

৩। ডোটি দিয়ে লেবু আকৃতির বল তৈরি করুন।

৪। বলটির ভিতরে মাওয়া অথবা দুধের পেস্ট এবং এলাচ দানা দিয়ে দিন। মুখটি ভালো করে বন্ধ করুন।

৫। চুলায় তেল অনেক গরম হয়ে এলে এতে গোলাপজামগুলো ধীরে ধীরে দিয়ে দিন। বাদামী রং না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।

৬। এবার আরেকটি পাত্রে পানি এবং চিনি দিয়ে সিরা তৈর করে রাখুন।

৭। গোলাপজাম তেল থেকে সরাসরি চিনির সিরায় দিয়ে দিন। চিনির সিরায় গোলাপজামগুলো ১০-১৫ মিনিট রাখুন।

৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদ মিষ্টি আলুর গোলাপজাম।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১০ জুন ২০১৭
প্রিয়.কম

Wednesday, March 28, 2018

মুড়ির মোয়া


মুড়ি, মুড়কি আর নানা স্বাদের মোয়া দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন বাঙালির ঐতিহ্য। বাঙালির এই খাবার রীতি গ্রামের সঙ্গে শহুরে জীবনেও আছে। চলুন জেনে নেই মজাদার মুড়ির মোয়া বানানোর রেসিপি-

উপকরণ: মুড়ি ২৫০ গ্রাম, আখের বা খেজুরের গুড় ১০০ গ্রাম, পানি সামান্য, ঘি (মোয়া গোল করার জন্য)।

প্রণালি: মৃদু আঁচে কড়াই বসিয়ে অল্প পানিসহ গুড় জ্বালাতে হবে। গুড় গলতে শুরু করলে সামান্য পানির ছিটা দিন। এবার গুড় কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে আঠালো করতে হবে। গুড় আঠালো হয়ে গেলে মুড়ি দিয়ে দিন। গুড় ও মুড়ি ভালোভাবে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।এবার নামিয়ে হালকা ঠান্ডা হলে হাতের তালুতে সামান্য ঘি মেখে সহনীয় গরম থাকতেই ভালোভাবে চেপে হাতের তালুতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মোয়া বানাতে হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম

গরম গরম কলিজা সিঙ্গাড়া


বিকেলের নাস্তায় ঝাল কিছু না হলে যেন চলে না। কিন্তু বাইরের ভাজাপোড়া খাবার শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর। তাই সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে তৈরি করতে পারেন মজার স্বাদের কলিজা সিঙ্গাড়া। রইলো রেসিপি-

উপকরণ: ৩ কাপ ময়দা, পানি পরিমাণমতো, তেল (ডো তৈরি ও ভাজার জন্য), লবণ স্বাদ মতো, ১ চা চামচ কালোজিরা।

পুরের জন্য: ১ কাপ কলিজা (ছোট কিউব করে টুকরো করা), ১ কাপ গাজর (ছোট কিউব করে টুকরো করা), ১ কাপ আলু (ছোট কিউব করে টুকরো করা), ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ১ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি, ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা, আধা চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো, তেল পরিমাণ মতো।

প্রণালি: প্রথমে ময়দা, লবণ ও তেল পরিমাণ মতো দিয়ে ভালো করে মেখে ডো তৈরি করে নিন। ডো তৈরি করে ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করে ভেজে নিয়ে তাতে দিন আদা-রসুন বাটা, গরম মসলাগুঁড়ো এবং লবণ। খানিকক্ষণ নেড়ে নিয়ে এতে দিন কলিজার টুকরোগুলো। কলিজা একটু কষে এলে আলু, গাজর দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে সেদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি দিয়ে রান্না করতে থাকুন। রান্না শেষ হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ময়দার ডো থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে রুটি বেলে নিন। এরপর রুটি ৩ কোণা করে কেটে ঠোঙার মতো তৈরি করে নিন। এরপর ঠোঙার মধ্যে কলিজার পুর দিয়ে মুখ বন্ধ করে সিঙ্গারা তৈরি করে নিন। প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। এরপর সিঙ্গাড়া লালচে করে ভেজে তুলে নিন। সস, পেঁয়াজ অথবা সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
জাগোনিউজ২৪.কম

ফরিদপুরের দুই পদ


নারকেল দুধে কচুর কোর্মা

উপকরণ

মান কচু বা শোলা কচু ৮-১০ স্লাইস, পেঁয়াজ মিহি কুচি আধা কাপ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, নারকেলের দুধ দেড় কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ, তেল (রান্না ও ভাজার জন্য) ১ কাপ বা প্রয়োজন অনুযায়ী ও কাঁচা মরিচ চেরা ৩-৪টি।

 প্রণালি

কচুর গোড়ার অংশ ছিলে দেড় সেন্টিমিটার পুরু স্লাইস করে নিন। এবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পরিমাণমতো লবণ ও হলুদ দিয়ে মেখে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ফ্রাইপ্যানে অল্প তেল দিয়ে দুই পাশ হালকা বাদামি করে ভেজে তুলুন। এবার একটি কড়াইতে তেল ঢালুন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে আদা দিতে হবে। কিছুক্ষণ আদা ভেজে নিয়ে শুকনা মরিচের গুঁড়া দিন। লবণ ও অল্প নারকেলের দুধ দিয়ে কষিয়ে নিন। তেল উঠে এলে ভাজা কচুর স্লাইস ছেড়ে দিতে হবে। একটু কষিয়ে নিন। এবার বাকি নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ ও চিনি দিতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


ইলিশ পাতুরি

উপকরণ

ইলিশ ৬ টুকরা, লাউপাতা ৬টি, হলুদ সরষেবাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ লম্বা ফালি ২/৩টি, হলুদের গুঁড়া এক চা-চামচের চার ভাগের তিন ভাগ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, ধনে আধা চা-চামচ, জিরা আধা চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, লবণ স্বাদমতো ও সরিষার তেল আধা কাপ।


প্রণালি

মাছ ধুয়ে লবণ মেখে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, লবণ, হলুদ, গুঁড়া মরিচ, ধনে, জিরা, সরিষাবাটা, তেল ভালো করে চটকে মেখে নিন। মাছগুলো মাখানো মসলা দিয়ে মাখতে হবে। একটি লাউপাতার মাঝ বরাবর কিছু পেঁয়াজ মাখা মসলা রাখুন। এর ওপর মাছ রেখে দিন। পাতা চারদিক থেকে মাছসহ মুড়ে সুতা দিয়ে বেঁধে ফেলুন। একইভাবে অন্য পাতুরিগুলো তৈরি করুন। একটি টিফিন বাটির দেয়ালে অল্প তেল মেখে বাটিতে সব মাছের পাতুরি রাখুন। এবার ঢাকনা দিয়ে টিফিন বাটি আটকে দিন। প্রেশার কুকারে অল্প পানি দিন যেন বাটি ডুবে না যায়। বাটি প্রেসারকুকারে বসিয়ে পাঁচ-ছয়টি সিটি দিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ঐতিহ্যবাহী মাছের পাতুরি।

পরিবেশন: দুটি মাছের পাতুরি খুলে মাছ সরিয়ে রাখুন। এবার লাউপাতা ও ভেতরের সেদ্ধ সরিষার মসলা, পেঁয়াজকুচি, কাঁচা মরিচের কুচি, লবণ, সরিষার তেল ও অল্প টক-ঝাল আমের আচার চটকে ভর্তা করুন। এবার গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লাউপাতায় ইলিশ মাছের পাতুরি ও ভর্তা।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,  ১৪ নভেম্বর ২০১৭