Wednesday, January 31, 2018

ভ্রমণে বারবিকিউ


ভ্রমণের সঙ্গে বারবিকিউয়ের একটা বিশেষ যোগ আছে। পরিপাটি রিসোর্ট বা গহিন অরণ্য—খাবার ঝলসাতে পারবেন সবখানে। বেড়াতে গিয়ে বারবিকিউ করতে চাইলে আগেভাগে কিছু উপকরণ ব্যাগে ভরে নিতে পারেন। বাজারে নানা ধরনের সস বা প্যাকেটজাত মসলার গুঁড়া পাওয়া যায়, যা দিয়ে সহজেই মজাদার বারবিকিউ করা যায়। তেমনই কয়েকটি রেসিপি দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস





বারবিকিউ প্রন

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম, বারবিকিউ সস ১ টেবিল চামচ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, ভিনেগার ২ টেবিল চামচ, জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, পাপরিকা ১ চা-চামচ, রোজমেরি আধা চা-চামচ, ভাজা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।


প্রণালি: চিংড়ি পরিষ্কার করে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে মেরিনেট করে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। চিংড়ি কাঠিতে গেঁথে কয়লা বা কাঠের আগুনে ১০ মিনিট গ্রিল করতে হবে। মাঝে দুই বার উল্টে দিতে হবে এবং মসলা ব্রাশ করতে হবে।



বারবিকিউ সসেজ

উপকরণ: সসেজ ১০-১২টা, বারবিকিউ সস ১ টেবিল চামচ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, চিলিফ্লেক্স ১ চা-চামচ ও লবণ সামান্য।
প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে সসেজে মাখান। এবার কাঠিতে গেঁথে ৫ থেকে ৬ মিনিট গ্রিল করলেই হয়ে যাবে।



বারবিকিউ চিকেন

উপকরণ: মুরগি দেড় কেজি, বারবিকিউ সস ৩ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, টমেটোর সস ৪ টেবিল চামচ, ভাজা মরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ ও আদাগুঁড়া ২ চা-চামচ।
প্রণালি: চামড়াসহ মুরগি পছন্দমতো টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ছুরি দিয়ে মুরগির গায়ে দাগ কেটে নিন। বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে মুরগির গায়ে ভালো করে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এইবার মসলা থেকে মুরগি তুলে কয়লা বা গাছের ডাল দিয়ে লাল না হওয়া পর্যন্ত গ্রিল করতে হবে। মাঝে মাঝে উল্টে মুরগির গায়ে মসলা ব্রাশ করতে হবে। গ্রিল থেকে নামিয়ে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ টমেটোর সস একসঙ্গে মিলিয়ে মুরগির গায়ে লাগিয়ে পরিবেশন করতে হবে।


ভেজিটেবল বারবিকিউ

উপকরণ: ফুলকপি, ব্রকলি, গাজর, বেবি কর্ন (কচি ভুট্টা), নতুন আলু ইত্যাদি সবজি পছন্দমতো আকারের ২ কাপ (ভাপ দেওয়া), ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজের বড় টুকরা ১ কাপ, লেবুর রস ৪ টেবিল চামচ, জলপাই তেল ২ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচগুঁড়া ২ চা-চামচ, রোজমেরি ১ চা-চামচ, ফ্রেশ ক্রিম ৪ টেবিল চামচ, বারবিকিউ সস ২ টেবিল চামচ, চিলিফ্লেক্স ১ চা-চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: সব উপকরণ মিলিয়ে সবজির সঙ্গে কাঠিতে গেঁথে গ্রিল করতে হবে। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন।




বারবিকিউ তেলাপিয়া

উপকরণ: তেলাপিয়া মাছ বড় আকারের ২টি, বারবিকিউ সস ২ টেবিল চামচ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, ভাজা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ ১ চা-চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: মাছ পরিষ্কার করে পেট চিরে লেবুর রস ও লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। এবার বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে মাছের গায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টার মতো রেখে দিন। কয়লা বা কাঠে গ্রিল করে মাঝে মাঝে উল্টে দিন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮
প্রথম আলো


ঝটপট ফ্রুট কাস্টার্ড


কমবেশি সবার বাসায় থাকে বিভিন্ন রকমের ফল। প্রতিদিন ফল খেলে চলে আসতে পারে একঘেয়েমি ভাব। তাই এর জন্য চাই কিছু ভিন্নতা। দুধ এবং ফলের মিশ্রণে তৈরি ফ্রুট কাস্টার্ড যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যকর । বড় হোক কিংবা ছোট সবার পছন্দ এই কাস্টার্ড। বিশেষ করে বাচ্চারা যারা ফল পছন্দ করে না তারাও পাবে দুধ এবং ফলের পুষ্টিগুণ। এছাড়া মেহমানদের আপ্যায়নে ফ্রুট কাস্টার্ডের যেন তুলনা হয় না।    
চলুন দেখে নেই কীভাবে বানানো যাবে এটি,


উপকরণ:

দুধ ১ লিটার, কাস্টার্ড পাউডার তিন টেবিল চামচ, চিনি স্বাদ মত এবং ফল (কলা, আম, আপেল, লাল ও সবুজ আঙুর এবং ডালিম/আনার) কিউব করে কাটা ২ কাপ।
প্রস্তুতি:
  • একটি বাটিতে কাস্টার্ড পাউডার ৩ টেবিল চামচ ঠাণ্ডা দুধ দিয়ে গুলিয়ে নিন।
প্রণালী:
একটি গরম পাত্রে দুধ ঢালুন এবং নাড়তে থাকুন। দুধ ফুটে উঠলে তাতে গুলানো কাস্টার্ড পাউডার ঢেলে দিন। এবার স্বাদ অনুযায়ী চিনি দিন। দুধ ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
দুধ ঠাণ্ডা হলে ফলগুলো দিয়ে দিন। ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্রিজে রাখুন এবং ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭
RTV- Online

Tuesday, January 30, 2018

বিকেলের নাস্তায় ‘সুইডিশ মিটবল’


অনেকেই আছেন যারা বিকেলে একটু চটপটে নাস্তা না পেলে মন খারাপ করেন। তাছাড়া বড়রা ডায়েট করলেও বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে তো কথাই নেই। বাধ্য হয়েই তাদের জন্য মিছু না কিছু তৈরি করতেই হয়। আপনার অথবা সোনামণির জন্য আজকে জেনে নিন বিকেলের নাস্তায় একেবারে রেস্টুরেন্টের স্বাদ পাওয়ার খুব সহজ একটি রেসিপি। চলুন শিখে নেয়া যাক ‘সুইডিশ মিটবল’ তৈরির ঝটপট রেসিপিটি।

উপকরণ:
বাটার ১ টেবিল চামচ 
পেঁয়াজ ১ টি মাঝারী আকারে কুচি করে কাঁটা 
লবণ স্বাদ মতো
ব্রেডক্রাম্ব দেড় কাপ 
দুধ ১/৩ কাপ 
সরিষা বাটা আধা চা চামচ 
ডিম ৩ টি বড় 
মুরগীর কিমা আধা কেজি 
মধু ১ চা চামচ 
গরম মসলা গুঁড়ো আধা চা চামচ 
মরিচ গুঁড়ো স্বাদ বুঝে গোল 
শসা সাজানোর জন্য

প্রণালি:
একটি প্যানে বাটার দিয়ে গলিয়ে নিন এবং গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করে ভেজে সামান্য লবণ দিয়ে লালচে করে ভেজে রাখুন।
দুধ ও ১ কাপ ব্রেডক্রাম্ব একসাথে মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। ১ টি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে এতে সরিষা বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। এরপর ভেজে রাখা পেঁয়াজ কুচি, মুরগীর কিমা, মধু, গরম মসলা, স্বাদ বুঝে লবণ ও গোল মরিচ গুঁড়ো খুব ভালো করে হাতে মিশিয়ে নিন।
এরপর এই মিশ্রণ দিয়ে ছোট ছোট গোলা তৈরি করে নিন এবং খানিকক্ষণ ফ্রিজে রেখে সেট হতে দিন। সেট হয়ে যাওয়ার পর ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে বাকি কাজ করে ফেলুন।
একটি বাটিতে বাকি ডিম ফেটিয়ে নিন। প্রতিটি বল ডিমে ডুবিয়ে তুলে বাকি ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন এবং ডুবো তেলে লালচে করে ভেজে তুলে নিন।
তেল গরম হয়ে গেলে আঁচ খুবই কম রাখবেন, তা না হলে উপরে পুড়ে যাবে কিন্তু ভেতরে হবে না। এরপর কিচেন টিস্যুতে নামিয়ে বাড়তি তেল ঝড়িয়ে নিন।
এবার নিজের পছন্দ মতো সস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু এই সুইডিশ মিটবল।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
পরিবর্তন.কম

ডিমের ৫টি সুস্বাদু রেসিপি

যখন আপনি খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকেন এবং সকালের নাশতার সময় পান না, তখন চটজলদি একটা ডিম খেয়ে নিন। এই ডিম সারা দিন আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মেটাবে। সবচেয়ে সস্তা আর স্বাস্থ্যকর প্রোটিন হিসেবে ডিমের তুলনা হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, বি৬ ও বি১২ রয়েছে। আর মিনারেলস হিসেবে রয়েছে জিঙ্ক, আয়রন ও কপার।
ডিমকে আরো মুখরোচক করতে চাইলে আপনি নিজের মতো করে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে নিতে পারেন। এখানে ডিম দিয়ে ঝটপট তৈরি করার পাঁচটি রেসিপি দেওয়া হলো। একনজরে দেখে নিন :


এগ সালাদ স্যান্ডউইচ
উপকরণ : পাউরুটি চার টুকরা, সেদ্ধ ডিম দুটি, মেয়োনেজ অথবা মাখন চার চা চামচ, টমেটো একটি, অল্প পেঁয়াজ রিং, ক্যাপসিকাম কুচি দুই টেবিল চামচ, লেটুস পাতা অর্ধেকটা, শুকনো মরিচ গুঁড়া সামান্য, গোলমরিচের গুঁড়া সামান্য, লবণ স্বাদমতো ও ঘি পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে একটি বাটিতে ডিম, মেয়োনেজ, শুকনো মরিচের গুঁড়া, লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিন। পাউরুটির ওপর এই মিশ্রণ ভালো করে ছড়িয়ে দিন। এর ওপর টমেটো কুচি, পেঁয়াজ রিং, ক্যাপসিকাম ও লেটুস পাতা দিন। এবার অন্য একটি পাউরুটি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে সামান্য ঘি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড পাউরুটির দুই পাশ সেঁকে নিন। ব্যস, খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল স্বাস্থ্যকর এগ সালাদ স্যান্ডউইচ।


পটেটো অ্যান্ড এগ সালাদ
উপকরণ : সেদ্ধ আলু ৫০০ গ্রাম, সেদ্ধ ডিম দুটি, মেয়োনেজ চার টেবিল চামচ, সরিষা বাটা এক চা চামচ, পেঁয়াজ কলি কুচি দুটি, ছোট টমেটো কুচি দু/তিনটি, সবুজ ক্যাপসিকাম কুচি দুই থেকে তিন টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া সামান্য, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে একটি বাটিতে সেদ্ধ আলু হালকা চটকে নিন। ভর্তার মতো করবেন না, যেন কিছুটা আস্ত থাকে আর কিছুটা মিশে যায়। এবার এতে ডিম, মেয়োনেজ, সরিষা বাটা, পেঁয়াজের কলি, টমেটো কুচি ও ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিন। সবশেষে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল পটেটো অ্যান্ড এগ সালাদ।


মাসালা স্ক্রাম্বলড এগ
উপকরণ : ফেটানো ডিম ৮ থেকে ১০টি, পেঁয়াজ কুচি একটি, কাঁচামরিচ কুচি দুটি, লাল মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, আদা বাটা দুই চা চামচ, হলুদের গুঁড়া এক চা চামচ, জিরা দুই চা চামচ, তেল দুই টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে একটি ননস্টিক প্যানে তেল দিয়ে তাতে জিরা ও হলুদের গুঁড়া দিন। ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড পর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দুই মিনিট ভেজে নিন। এবার এতে কাঁচামরিচ কুচি, লাল মরিচের গুঁড়া ও আদা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। দুই থেকে তিন মিনিট কষানোর পর এর মধ্যে ডিম দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রান্না করুন। এবার চুলা থেকে নামিয়ে প্লেটে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন মাসালা স্ক্রাম্বলড এগ।


এগ পানিয়ারাম
উপকরণ : ডিম চারটি, মাখন আধা কাপ, হলুদের গুঁড়া সামান্য, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, তেল পরিমাণমতো ও লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে একটা প্যানে আধা কাপ পানি নিন। এবার এতে লবণ, হলুদের গুঁড়া, গোলমরিচের গুঁড়া ও জিরা গুঁড়ো দিন। এতে ডিম দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। এখন এতে মাখন দিয়ে ভালো করে মেশান। এবার একটি চিতই পিঠার সাজে তেল লাগিয়ে অল্প অল্প করে এই মিশ্রণ দিন। মাঝারি আঁচে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার এগ পানিয়ারাম।


এগ চপ
উপকরণ : সেদ্ধ ডিম দুটি, বেসন আধা কাপ, জিরা গুঁড়া সামান্য, মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, চালের গুঁড়া চার চা চামচ, ময়দা চার চা চামচ, বেকিং সোডা সামান্য, তেল পরিমাণমতো ও লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে একটি বাটিতে বেসন, চালের গুঁড়া, ময়দা, বেকিং সোডা, মরিচের গুঁড়া, লবণ ও জিরা গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এখন প্যানে তেল গরম করুন। ডিম চিকন করে কেটে এই মিশ্রণে চুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। বাদামি হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে টিস্যু দিয়ে চেপে অতিরিক্ত তেল মুছে গরম গরম পরিবেশন করুন এগ চপ।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৫ আগস্ট ২০১৬
এনটিভি

কোরাল মাছের বারবিকিউ


মাছপ্রেমীদের কাছে কোরাল একটি লোভনীয় নাম। স্বাদের কারণেই এ মাছটি আলাদা। কোরাল মাছ খাওয়া যেতে পারে বারবিকিউ করেও। রইলো রেসিপি-


উপকরণ: কোরাল মাছ ১ কেজি সাইজ আস্ত (পেট লম্বালম্বি কেটে পরিষ্কার করে গা তেরছা করে কেচে নেয়া), পেঁয়াজ বাটা ১-২ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ, তন্দুরী মসলা ১ টেবিল চামচ, টক দই ২ টেবিল চামচ, চিলি টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লেবুপাতা ২টি কুচানো, লেমন রাইন্ড ১-২ চা চামচ, ১টি লেবুর রস, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১-২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ।


প্রণালি: সব মসলা একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন। মাছের পানি ঝরিয়ে মসলা দুই পিঠে ভালো করে মাখিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট। প্রিহিটেড ওভেনে ট্রেতে মাছটা ঢেকে ৩০ মিনিট বেক করুন। এরপর উপরের র্যাকে গ্রিল করুন ১৫ মিনিট। আবার মাছটা উল্টে আরও ১৫ মিনিট গ্রিল করুন। পোড়া পোড়া হলে বের করে নিন। পেঁয়াজ মরিচ, ২-৩ রঙের ক্যাপসিকাম লবণ দিয়ে স’তে করে দু’পাশে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮
জাগোনিউজ২৪.কম


বারবিকিউ চিকেন লেগ তৈরির রেসিপি


শীতের এই সময়ে বারবিকিউ পার্টির ধুম পড়ে যায়। বাড়ির উঠোনে বা ছাদে জমে ওঠে আড্ডা। আর তারই ফাঁকে বারবিকিউর জিভে জল আনা গন্ধ। আজ রইলো বারবিকিউ চিকেন লেগ তৈরির রেসিপি-


উপকরণ : চিকেন লেগ আটটি, টকদই দুই টেবিল চামচ, বারবিকিউ, সস এক টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া এ চা চামচ, শুকনামরিচের গুঁড়া, এক/দুই চা চামচ, আদা বাটা এক চা চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, জায়ফল গুঁড়া এক/দুই চা চামচ, লবণ আন্দাজমতো, গলানো বাটার/তেল দুই টেবিল চামচ।



প্রণালি : দই ভালো করে ফেটে এর সঙ্গে বাটার ছাড়া সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। এবার লেগ পিসে দইয়ের মিশ্রণ ভালো করে মেখে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে দুই-তিন ঘণ্টা। মাঝারি আঁচে গ্রিল প্যান গরম করে নিতে হবে। এখন বাটার এই প্যানে দিয়ে লেগ পইসগুলো দিয়ে দুই-তিন মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। উল্টে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর প্রায় ১৫-২০ মিনিট এভাবে কুক করে নিতে হবে। মাংসগুলো সিদ্ধ হয়ে এলে বারবিকিউ সস ব্রাশ করে বা চামচ দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটু ভাজা ভাজা হবে এবং সস দিয়ে মাখানো হলে এরপর চিকেন লেগগুলো নামিয়ে নিতে হবে।



রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

জাগোনিউজ২৪.কম

এই শীতে হোক এক কাপ মসলা চা!


বাইরের হিম হিম ঠাণ্ডা বাতাস জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এই সময়ে এক কাপ চা আপনাকে রাখবে ক্লান্তিমুক্ত। শীতের সময়ে বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি চা যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনই পুষ্টিকর। গলা খুসখুস, ঠাণ্ডা কিংবা কাশির থেকে পরিত্রাণ দিবে এক কাপ গরম গরম মসলা চা। 
এর জন্য যা প্রয়োজন হবে

উপকরণ 

দারুচিনি ২টি, এলাচ ২টি, লবঙ্গ ৪টি, আদাকুচি আধা চা চামচ, গোলমরিচ ৪টি, পানি ৩ কাপ, দুধ আধা কাপ, চা পাতা ২ টেবিল চামচ, চিনি প্রয়োজনমত।
প্রণালী
একটি পাত্রে পানি দিয়ে সব মসলাগুলো জ্বাল দিয়ে নিন। মসলাগুলো ভালভাবে ফুটে উঠলে তাতে দুধ এবং স্বাদ অনুযায়ী চিনি দিন। অল্প আঁচে দুধ জ্বাল দিন। এবার চা পাতা দিন।
অপেক্ষা করুন, সুন্দর রঙ চলে এলে নামিয়ে ফেলুন। বিস্কুট কিংবা পাকোড়ার সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম মসলা চা। 


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭
RTV- Online

বিকেলের নাস্তায় ফুলকপি ফ্রাই


বাজারে চলে এসেছে বিভিন্ন রকমের শীতের সবজি। আর এই সবজিগুলোর মধ্যে অনেকের প্রিয় ফুলকপি। বিকেলের নাস্তায় ফুলকপি ফ্রাইয়ের কোনো তুলনা হয় না। মেহমান হোক কিংবা ঘরের মানুষ, যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনেই স্বাস্থ্যকর এই নাস্তা উপভোগ করবে সবাই। জেনে নিন তাহলে কীভাবে বানাবেন এই ফুলকপি ফ্রাই-

উপকরণ:
ফুলকপি পিস করে কাটা ১টি, বেসন ১ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, মরিচগুঁড়া ১ চা চামচ, গোলমরিচগুঁড়া আধা চা চামচ, বেকিং সোডা সামান্য, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, পানি ১ কাপ এবং তেল ভাজার জন্য।

প্রণালী:

প্রথমে ফুলকপিগুলো লবণ আর পানি দিয়ে আধাসিদ্ধ করে নিন। হালকা সিদ্ধ হয়ে এলে ফুলকপিগুলো চুলার থেকে নামিয়ে পানি ঝরাতে দিন। একটি বাটিতে বেসনের মধ্যে মরিচগুঁড়া, কাঁচামরিচ, গোলমরিচ, বেকিং সোডা, লবণ এবং পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এবার ফুলকপিগুলো মিশ্রণে ভালোভাবে মেখে ডুবো তেলে ভাজুন। বাদামি রঙ হয়ে এলে চুলার থেকে নামিয়ে ফেলুন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

RTV- Online

সুজির লাড্ডু


দোকানের বেসন কিংবা মাওয়ার লাড্ডু অনেকের পছন্দ। কিন্তু আমাদের রান্নাঘরে রয়েছে এমন একটি উপকরণ যা দিয়ে সহজেই লাড্ডু বানানো যাবে। সকালের নাস্তায় রুটি বা পরাটার সাথে সুজির হালুয়া আমরা অনেকেই খাই। কিন্তু নাস্তায় হোক কিংবা মেহমান আপ্যায়নে সুজির তৈরি লাড্ডু যেমন মজাদার ঠিক তেমনি লোভনীয়। তাই ঘরে বসেই সুজি দিয়ে আপনি বানিয়ে ফেলতে পারবেন সুস্বাদু সুজির লাড্ডু।
লাড্ডু বানানোর জন্য আপনার যা প্রয়োজন হবে,  

উপকরণ :

সুজি ১ কাপ, চিনি স্বাদ মতো, ঘি দুই টেবিল চামচ, এলাচি ও দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, কাজু বাদাম ও কিশমিশ আধা কাপ এবং দুধ প্রয়োজন অনুযায়ী।
পদ্ধতি :
•      একটি ফ্রাইপ্যানে সামান্য ঘি দিয়ে সুজি ভেজে নিন।
•      সুজি হালকা বাদামি হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন এবং ঠাণ্ডা হলে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন।
•      চিনি ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন। 
প্রণালি :
প্রথমে একটি গরম প্যানে ১ চা চামচ ঘি দিয়ে কাজু বাদাম এবং কিশমিশ ভেজে নিন। নামিয়ে ফেলুন। একই প্যানে সুজি, চিনি গুঁড়া, এলাচি ও দারচিনি গুঁড়া দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। এবার মিশ্রণটি চুলার থেকে নামিয়ে ১ চা চামচ ঘি দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম গরম থাকা অবস্থায় বাদাম ও কিশমিশ এবং সামান্য দুধ দিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। এরপর গোল গোল করে লাড্ডু বানিয়ে ফেলুন।
খুব সহজেই অল্প সময়ে তৈরি হয়ে গেলো ঘরের তৈরি মজাদার সুজির লাড্ডু। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করুন। 


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

RTV- Online

টক-মিষ্টি জলপাইয়ের আচার


বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে জলপাই। বছরে শুধুমাত্র একবার পাওয়া যায় এই ফলটি। আর জলপাইয়ের টক মিষ্টি আচার পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। দোকানে বিভিন্ন ধরনের আচার পাওয়া গেলেও, ঘরের তৈরি আচার যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনই স্বাস্থ্যকর। চলুন জেনে নেই কীভাবে বানানো যাবে এই মজাদার আচার-  

উপকরণ:

জলপাই ১ কেজি, সরিষার তেল দেড় কাপ, শুকনো মরিচ ৬-৭টি, লবণ প্রয়োজনমত, মরিচগুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ পরিমাণ মতো, চিনি স্বাদ অনুযায়ী, পাঁচফোড়ন গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, ভিনেগার আধা কাপ, তেজপাতা ২টি।
পদ্ধতি:
পাঁচফোড়ন মসলা চুলায় ভেজে গুঁড়া করে নিন।
প্রণালী:
প্রথমে জলপাইগুলো ভালোভাবে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। জলপাই নরম হয়ে এলে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এবার জলপাইগুলো আধাবাটা করে নিন এবং বিচিগুলো ফেলে দিন। 
একটি গরম পাত্রে সরিষার তেল, তেজপাতা, আদা-রসুন বাটা হালকা নেড়ে জলপাই ঢেলে দিন। এবার এর মধ্যে শুকনো মরিচ, চিনি, লবণ, মরিচগুঁড়া, হলুদ ও ভিনেগার মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে পাত্রে লেগে না যায়।
আচারের মধ্যে তেল ভেসে উঠলে চুলার থেকে নামিয়ে ফেলুন এবং পাঁচফোড়ন গুঁড়া মিশিয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে চিনির বদলে গুড়ও ব্যবহার করতে পারেন। আচার ঠাণ্ডা হলে কাঁচের বোতলে রাখুন এবং কিছুদিন পর পর রোদে শুকাতে দিন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
RTV- Online

স্বাদে অনন্য ভেজিটেবল স্যুপ


বাইরে ঠাণ্ডা বাতাস। আর এই ঠাণ্ডায় গরম গরম স্যুপের কোনো তুলনাই হয় না। বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি করা স্যুপ যেমন পুষ্টিতে ভরপুর, ঠিক তেমনই সুস্বাদু। শিশু, বয়স্ক কিংবা রোগী সবার স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরের মুখে স্বাদ ফিরিয়ে আনবে এই স্যুপ।
চলুন জেনে নেই তাহলে কীভাবে বানাবেন এই ভেজিটেবল স্যুপ-

উপকরণ:

পানি দেড় লিটার, ফুলকপি ১ কাপ, ব্রকলি ১ কাপ, গাজর আধা-কাপ, কাচা পেঁপে আধা-কাপ, আদাকুচি ১ চা চামচ, বেবি কর্ণ আধা-কাপ, পেঁয়াজেরকালি কুচি ১ আধা-কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ভিনেগার ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচের গুঁড়া এবং চিনি সামান্য।
পদ্ধতি:  
•      সবজিগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
•      ফুলকপি ও ব্রকলি ছোট ছোট টুকরা করে নিন।
•      গাজর ও কাঁচা পেঁপে কিউব করে কেটে ফেলুন।
•      একটি বাটিতে কর্ণফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিন।
প্রণালি:
একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে এলে একে একে সব সবজি, পেঁয়াজেরকালি, সয়া সস, ভিনেগার, লবণ, আদা এবং চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে মৃদু আঁচে ২০-২৫ মিনিট রান্না করুন। সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে আসলে কাঁচা মরিচ এবং কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মৃদু আঁচে আরো কিছুক্ষণ রাখুন। স্যুপ ঘন হলে নামিয়ে ফেলুন এবং ওপরে হালকা গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন। 
আপনি চাইলে স্যুপে চিংড়ি বা মুরগির মাংস ও মাশরুম ব্যবহার করতে পারেন। 


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭
RTV- Online

গরম গরম লুচি ও আলুর দম


সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় ভিন্নতা আনার জন্য চাই নিত্যনতুন কিছু রেসিপির। প্রতিদিন একই ধরনের নাস্তা খেতে খেতে যারা বিরক্ত তারা বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন লুচি ও আলুর দম। এই গরম গরম লুচি এবং আলুর দমের যেন কোনো তুলনা হয় না। চলুন জেনে নেই কীভাবে বানাবেন এটি —

উপকরণ


আলুর দমের জন্য: আলু ৬টি, মটরশুঁটি দানা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ২টি, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, পানি ১ কাপ এবং লবণ স্বাদ অনুযায়ী।  

লুচির জন্য: ময়দা ১ কাপ, পানি প্রয়োজন মতো, তেল ১ টেবিল চামচ, সুজি ১ চা চামচ এবং লবণ ১ চিমটি। 

পদ্ধতি 

•   আলুগুলো ছিলে টুকরো করে নিন। এবার ভালো করে সিদ্ধ করে ফেলুন। আলু সিদ্ধ হয়ে আসলে মটরশুঁটির দানা দিয়ে আর কিছুক্ষণ সিদ্ধ করুন।
•   পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে নিন।
প্রণালি
আলুর দম তৈরির জন্য: একটি গরম প্যানে সরিষার তেল দিয়ে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন বাটা দিন। কিছুক্ষণ নেড়ে তাতে লবণ, আলু এবং মটরশুঁটি ঢেলে দিন। অল্প আঁচে এগুলো ভাজতে থাকুন। এবার ১ কাপ পানি দিন এবং পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পানি টেনে আসলে নামিয়ে ফেলুন।   
লুচির জন্য: একটি পাত্রে ময়দা, তেল, লবণ, সুজি এবং পানি দিয়ে নরম খামির তৈরি করে নিন। এবার একটি সুতির কাপড় ভিজিয়ে খামিরটি ঢেকে দিন এবং ৩০ মিনিটের জন্য গরম স্থানে রাখুন।
৩০ মিনিট পর ছোট ছোট বল বানিয়ে পাতলা করে বেলে ফেলুন এবং ডুবো তেলে ভাজুন। লুচিগুলো হালকা বাদামি রঙের হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন এবং আলুর দমের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে স্বাদের জন্য আলুর দমের ওপর লেবুর রসও দিতে পারেন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
RTV- Online

সুস্বাদু শাহী কুলফি



ঠাণ্ডা হোক কিংবা গরম যেকোনো আবহাওয়ায় অনেকেরই পছন্দ আইসক্রিম। আর এই আইসক্রিম প্রেমীদের পছন্দের তালিকা খুব ছোট কিন্তু নয়। খাবারের পর আইসক্রিম যেন চাই। তার মধ্যে একটি শাহী কুলফি। কিন্তু বাইরে তৈরি করা কুলফি স্বাস্থ্যসম্মত নাও হতে পারে। কিনে খাওয়ার চেয়ে সবচেয়ে ভাল হয় যদি ঘরেই তৈরি করা যায়। তাই ঘরে বসেই তৈরি করে নিতে পারেন সুস্বাদু শাহী কুলফি। চলুন জেনে নিই-

উপকরণ

গুঁড়ো দুধ ২ কাপ, পানি ৩ কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা-কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, ডিমের কুসুম ১টি, পেস্তা, কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম স্বাদমতো এবং এলাচগুঁড়া সামান্য।
প্রণালি
প্রথমে দুধ, পানি, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, কর্নফ্লাওয়ার ও ডিমের কুসুম সব একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিশ্রণটি প্যানে ঢেলে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে এলাচগুঁড়া মিশিয়ে নেড়ে নেড়ে ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর বাদামকুচি দিয়ে নেড়ে মিলিয়ে নিন।
ঠাণ্ডা মিশ্রণটি কুলফির ছাঁচে ঢেলে ডিপে জমাতে হবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। খাবারের পর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭
RTV- Online

চিকেন চিজ বল



চিকেন আর চিজের দিকে লোভাতুর দৃষ্টি দেয় না এ রকম লোকের সংখ্যা বড় অল্প। আর সেই চিকেন আর চিজের মেল বন্ধন ঘটলে তো কথাই নেই। স্ন্যাক্স হিসেবে সুস্বাদু আর বাড়িতে কেউ এলে চটজলদি কিছু বানিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তা বেশ উপাদেয়। শিখে নিন সেই রেসিপি।   
কী কী লাগবে
চিকেন কিমা: (১০০ গ্রাম)  
জিরে গুঁড়ো  
ধনে গুঁড়ো
আদা বাটা
পেঁয়াজ বাটা
রসুন বাটা
চিলি ফ্লেক্স
ব্রেড ক্রাম্ব
বাটার
ডিম
মোজিরেলা চিজ কিউব
কী ভাবে বানাবেন
চিকেন কিমা বাকি সব মশলা আর নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। ওই ম্যারিনেট করা চিকেন  কিমার সঙ্গে ১/২ চামচ সাদা তেল বা বাটার দিয়ে গ্রাইন্ডারে পেস্ট করে নিন। এ বার ওই পেস্টের সঙ্গে ব্রেড ক্রাম্ব যোগ করে টাইট করে মাখুন। ভাল ভাবে মাখা হয়ে গেলে লেচি কেটে বল আকারে গড়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন এই বল খুব পুরু হওয়া চলবে না। এ বার ভেতরে একটা করে চিজের কিউব দিয়ে ডিমের গোলায় চুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে অল্প আঁচে সোনালি করে ভেজে নিন। টোম্যাটো সস আর পেঁয়াজের রিং দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।   
এই বল ভাজার সময় কখনই খুব বেশি আঁচ রাখবেন না। আর চিকেন চিজ বল বানিয়ে ক্লিন শিট ফুড র‌্যাপারে( যাতে স্যান্ডউইচ মোড়া থাকে) মুড়ে এয়ার টাইট কন্টেনারে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা যায়। সে ক্ষেত্রেও মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে। নইলে ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে।   

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮
আনন্দবাজার পত্রিকা

কীভাবে বানাবেন সুস্বাদু চিকেন পপকর্ন



হালকা স্ন্যাক্স কিংবা শিশুদের টিফিনে চিকেন পপকর্নের তুলনা হয় না। ফ্রাইড চিকেনের পরে চিকেন পপকর্ন অনেক জনপ্রিয়। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর এই খাবারটি অতিথি আপ্যায়নেও অনন্য। বাইরের চিকেন পপকর্ন ছাড়াও আপনি ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারবেন এটি। পাশাপাশি ফ্রিজে রেখেও বেশ কিছুদিন খেতে পারবেন এটি।
চলুন জেনে নিই কীভাবে বানাবেন এই মজাদার চিকেন পপকর্ন—

উপকরণ


হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ২০০ গ্রাম, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, গোল মরিচগুঁড়া আধা চা, চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, কর্ন ফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, তরল দুধ আধা কাপ, ডিম ১টি, ব্রেডক্রাম পরিমাণ মতো, লবণ স্বাদ মতো এবং তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি
মুরগির মাংসগুলো ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। প্রথমে মাংসের টুকরাগুলো আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচগুঁড়া, লবণ ও লেবুর রস দিয়ে মেখে ২-৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
এবার একটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, তরল দুধ, ডিম ও সামান্য লবণ দিয়ে পাতলা ব্যাটার তৈরি করে নিন। ব্যাটারে সামান্য সয়াবিন তেল গরম করে মেশাতে পারেন, এতে পপকর্ন আরও মচমচে হবে।
ফ্রিজ থেকে বের করে মাংসের টুকরাগুলো ব্যাটারে চুবিয়ে ব্রেডক্রামে জড়িয়ে নিন। ব্রেডক্রামে জড়ানোর পর কিছু সময় পপ কর্নগুলো ফ্রিজে রেখে সেট হতে দিন। আপনি চাইলে ডিপ ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন। ৩০ মিনিট পর গরম তেলে অল্প আঁচে পপকর্নগুলো ভেজে নিন। হালকা বাদামি রঙ হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন। টমেটো সস বা চাটনির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে এই একেই পদ্ধতিতে পপকর্নগুলো ফ্রিজে রেখে পড়ে ভেজে খেতে পারবেন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৩ জানুয়ারি ২০১৮
RTV- Online

ঘরে তৈরি করুন বেসনের লাড্ডু



মিষ্টিমুখ করা ছাড়া যেকোনো আনন্দের দিনে যেন পূর্ণ হয় না। বাড়িতে নতুন মেহমান এলে কিংবা পরীক্ষায় পাসের খবর জানাতে মিষ্টি যেন থাকা চাইই চাই। আর মিষ্টির মধ্যে লাড্ডু পছন্দ অনেকের। দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় বেসনের লাড্ডু পাওয়া যায় আমাদের দেশের সব জায়গায়। যা স্বাদে অনন্য।
দোকানের লাড্ডু সবসময় খাওয়া হয়। তবে আপনি চাইলে সহজেই বাসায় বেসনের লাড্ডু বানিয়ে নিতে পারেন। আসুন তাহলে দেখে নেই কীভাবে বানাবেন এই লাড্ডু।

উপকরণ:

বেসন ৪ কাপ, ঘি ১ কাপ, চিনি ২ কাপ, কাঠবাদাম আর কাজু বাদাম মিহি করে কাটা ১/৪ কাপ, কিসমিস ১ চা চামচ, দুধ সামান্য এবং এলাচ গুঁড়ো আধা চা চামচ।
পদ্ধতি:
বেসন চেলে নিন।
ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন
প্রণালী:
প্রথমে একটি প্যানে ১ চা চামচ ঘি দিয়ে কিসমিস এবং বাদামগুলো ভেজে নামিয়ে ফেলুন। 
আরেকটি পাত্রে ঘি গরম হয়ে আসলে বেসন ঢেলে দিন। অল্প আঁচে বেসন নাড়তে থাকুন যাতে পুড়ে না যায়। বেসনের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে অল্প দুধ ঢেলে আরো কিছুক্ষণ নাড়ুন। এবার বেসন চুলার থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে চিনি, এলাচ গুঁড়া এবং বাদাম-কিশমিশ দিয়ে নাড়ুন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে লাড্ডু আকারে বানিয়ে পরিবেশন করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৫ জানুয়ারি ২০১৮
RTV- Online