Saturday, July 21, 2012

আহ্ শরবত



এই গরমে ইফতারে চাই ঠান্ডা ঠান্ডা শরবত। নানা রকম ফলের রস আর বরফ কুচি দিয়ে শরবত :)

দই-লেবুর লাচ্ছি
(চারজনের জন্য)
উপকরণ: পানি ঝরানো টক দই ৩ কাপ, লেবুর রস (ছেঁকে নেওয়া) ২ টেবিল-চামচ, ঠান্ডা পানি আধা কাপ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়ো আধা টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো সিকি চামচ ও বরফ কুচি প্রয়োজন অনুযায়ী।

প্রণালি: বরফ কুচি বাদে অন্য সব উপকরণ একত্রে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। একটি জগে ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ইফতারের আগে বের করে বরফ কুচি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। কেউ যদি একটু ঝাল খেতে পছন্দ করেন, তাহলে হাল্কা মিহি করে কাঁচা মরিচ কুচি মিশিয়ে নিতে পারেন। দই-লেবুর এই লাচ্ছি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

র‌্যাস্পবেরি শরবত
(তিনজনের জন্য)
উপকরণ: র‌্যাস্পবেরি ক্রাশ আধা কাপ (সুপার শপে কিনতে পাবেন), ঘন তরল দুধ আড়াই কাপ, চিনি সিকি কাপ, ভ্যানিলা সিকি চামচ ও বরফ কুচি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: কিছু বরফ কুচি আলাদা রেখে ব্লেন্ডারে সব উপকরণ একত্রে ব্লেন্ড করুন। জগ বা বোতলে ভরে মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে ফ্রিজে রাখুন। দুই-তিন ঘণ্টা পর বা ইফতারের সময় বের করে গ্লাসে ঢেলে কিছু বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ক্র্যানবেরি টুইস্টার
(চারজনের জন্য)
উপকরণ: ক্র্যানবেরি জুস (সুপার শপে পাবেন) ২ কাপ, লেবু ১টি, আইসিং সুগার (গ্লাসের মুখে ফ্রস্টিং করার জন্য) ৮ টেবিল-চামচ, কালো আঙ্গুরের রস ২ কাপ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ স্কুপ ও বরফ কুচি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: দুই ধরনের জুস ব্লেন্ডারে নিয়ে আইসক্রিম ও বরফ কুচি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। একটি জগে ঢেলে মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রাখুন কিছুক্ষণ।
লেবু চার টুকরা করে একেক টুকরা দিয়ে একেকটি গ্লাসের মুখে গোল করে ঘুরিয়ে মুছে নিন। একটি প্লেটে আইসিং সুগার ছড়িয়ে নিয়ে তার ওপর গ্লাসের মুখটা উপুড় করে সামান্য চেপে উঠিয়ে নিন, যেন গ্লাসের মুখের পুরোটায় আইসিং সুগার লাগে। কিছুক্ষণ রেখে দিলে গ্লাসের মুখের চারপাশে একটা ফ্রস্টেড ভাব আসবে। এবার ফ্রস্টেড গ্লাসে ঠান্ডা জুস ঢেলে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।

জিরা-তেঁতুলের ঠান্ডা
(দুজনের জন্য)
উপকরণ: ভাজা জিরার গুঁড়ো ১ চা-চামচ, আখের গুড় ৩ টেবিল-চামচ, চিনি ৩ টেবিল-চামচ, পানি দেড় কাপ, তেঁতুলের ক্বাথ ৪ চা-চামচ, লেবুর রস ৪ চা-চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া সিকি চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: গুড় ও চিনি পানিতে গুলে নিন। গুড়ের পানিতে তেঁতুলের ক্বাথ, লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো ও লবণ মেশান। তারপর ছেঁকে নিয়ে জিরার গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এবার পুদিনাপাতার কুচি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে ঘণ্টা খানেক ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশনের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে গ্লাসে ঢেলে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
জিরা-তেঁতুলের ঠান্ডা পানীয় রোজা ছাড়াও গরমের সময় অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করা যায়।

লেবুর টক-ঝাল মিষ্টি
(তিনজনের জন্য)
উপকরণ: লেবুর রস ১ কাপ, ঠান্ডা পানি ২ কাপ, চিনি দেড় কাপ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, লেমন রাইন্ড বা লেবুর খোসার কুচি প্রতিটি গ্লাসের জন্য ১ চিমটি, কাঁচা মরিচ কুচি ১টি, পুদিনাপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ ও বরফ কুচি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: ঠান্ডা পানিতে চিনি ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রাখুন। ব্লেন্ডারে চিনি মেশানো পানি নিয়ে লেমন রাইন্ড ও বরফ কুচি বাদে অন্যান্য উপকরণ একত্রে ব্লেন্ড করে ছেঁকে জগে বা বোতলে ঢেলে মুখবন্ধ করে ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশনের আগে গ্লাসে ঢেলে লেমন রাইন্ড ও বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

Friday, July 20, 2012

ঢাকাই ইফতারি







গরুর মাংসের চাপ
উপকরণ: হাড়ছাড়া মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজবাটা ১ কাপ, আদা ২ টেবিল-চামচ, রসুন ২ টেবিল-চামচ, হলুদ ১ টেবিল-চামচ, মরিচ ২ টেবিল-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, জিরা ১ টেবিল-চামচ, দারুচিনি, এলাচি, তেজপাতা পরিমাণমতো, টক দই ১ কাপ, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: মসলাসহ সব ধরনের উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার মাংস ভালো করে ধুয়ে সব মসলা মিশিয়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। হাঁড়িতে সেদ্ধ করে নিন। তারপর নামিয়ে একটা কড়াইয়ে গরম তেলে লাল করে ভাজলেই গরুর মাংসের চাপ হয়ে যাবে। মাংসের ওপর ভাজা পেঁয়াজ ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

হালিম
উপকরণ: মুগডাল আধা কেজি, মাষকালাইয়ের ডাল আধা কেজি, হাড়সহ মাংস দেড় কেজি, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, আদা কুচি পরিমাণমতো, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, হলুদ ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন, মরিচ, ধনেবাটা, লবণ, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো। তেজপাতা ২টা, দারুচিনি ৫-৬টা, এলাচি ৪-৫টা

প্রণালি: দুই কাপ পানিতে মসলা মিশিয়ে মাংস সেদ্ধ করুন। এরপর ভালো করে কষিয়ে নামিয়ে রাখুন। পেঁয়াজবাটা, পাঁচফোড়ন গুঁড়া, অন্যান্য মসলার গুঁড়াসহ কড়াইয়ে ভেজে নিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন। এবার দুই রকম ডাল ভালো করে ধুয়ে ছয় কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা সেদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজন হলে আরও পানি দিতে হবে। ডাল ভালোমতো সেদ্ধ হলে ডালঘুঁটনি দিয়ে ভালোমতো ঘুঁটে দিতে হবে। এবার ডালের সঙ্গে মাংস মিশিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে আরও আধা ঘণ্টা মৃদু জ্বাল দিন। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে। গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি লাল করে মরিচ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। তারপর বাটিতে হালিম ঢেলে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি ও আদা কুচি মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন।

দইবড়া
উপকরণ: মাষকালাইয়ের ডাল আধা কেজি, তেল (১ কাপ), ধনে গুঁড়া, লবণ, জিরা, গোলমরিচ, শুকনা মরিচ পরিমাণমতো, চিনি বা গুড় ২ টেবিল-চামচ, দই আধা কেজি।

প্রণালি: ডাল ছয়-সাত ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার জিরা, ধনে, গোলমরিচ ও শুকনা মরিচ একসঙ্গে তেলছাড়া ভেজে নিন। ডাল বেটে নিন। বাটা ডাল সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। একটা গামলায় ছয় কাপ পানি ও দুই চামচ লবণ মেশান। কড়াইয়ে তেল দিন, গরম হলে অল্প অল্প ডাল নিয়ে চ্যাপ্টা আকারের বড়া তৈরি করুন এবং গরম তেলে ভাজুন। বড়া যদি না ফুলে ওঠে, তবে সামান্য পানি দিয়ে ডাল ভালো করে আবার ফেটে নিন। একটি পাত্রে অল্প পানি দিন, তাতে তৈরি বড়া ছেড়ে দিন। এবার দই ব্লেন্ড করুন। বেশি ঘন হলে পানি দিয়ে পরিমাণ ঠিক করুন। ব্লেন্ড করা দইয়ের সঙ্গে গুড়, লবণ ও গুঁড়া মসলা মিশিয়ে নিন। এবার বড়া পানির পাত্র থেকে তুলে পানি ঝরিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। বড়ার ওপর দই ঢেলে ওপরে গুঁড়া মসলা ছিটিয়ে দিন। বড়া নরম খেতে চাইলে তিন-চার ঘণ্টা দইয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফ্রিজেও রাখতে পারেন। তাহলে স্বাদে ভিন্ন মাত্রা পাবেন।

ডিমচপ
উপকরণ: ডিম ৫টা, আলু আধা কেজি, পেঁয়াজ ২টা, গোলমরিচ গুঁড়া পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, বিস্কুটের গুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি: আলু ধুয়ে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ আলু পানি ঝরিয়ে খোসা ছাড়িয়ে চটকে নিতে হবে। এবার চটকানো আলুর সঙ্গে লবণ, গোলমরিচ ও চিনি মিশিয়ে নিন। চটকানো আলু আট ভাগ করুন। প্রতিটির ভেতর ডিম দিয়ে গোলাকার বা ইচ্ছামতো আকারের চপ তৈরি করুন। চপ তৈরি হলে একটি বাটিতে ডিম ফেটে নিন। ফেটানো ডিমের সঙ্গে তৈরি ডিমের চপগুলো বিস্কুটের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে ডুবোতেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন।

মাংসের কিমা ও পাউরুটির কাটলেট
উপকরণ: কিমা আধা কেজি, পাউরুটি ৪-৫ টুকরা, আলু সেদ্ধ ৪টা, কাঁচা মরিচ কুচি ৬-৭টা, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, পুদিনাপাতা কুচি পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, স্বাদলবণ পরিমাণমতো, চিনি ২ চা-চামচ, কাটলেট ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: আলু ও মাংসের কিমা আলাদা করে সেদ্ধ করে নিন। সব মসলা ধনেপাতাসহ চটকে নিন। পাউরুটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে চটকে নিন। এবার পাউরুটি কিমাসহ সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিন। পরে কাটলেট তৈরি করুন। ডিম ভালো করে ফেটে নিন। ফেটানো ডিমে কাটলেটগুলো বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে ভাজুন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।

ঝলসানো মোরগ
উপকরণ: মোরগ ১টা, পেঁপেবাটা ৪ চা-চামচ, আদা ২ চা-চামচ রসুন আধা চা-চামচ, মরিচ ১ চা-চামচ, হলুদ আধা চা-চামচ, দারুচিনি পরিমাণমতো, এলাচি ২টা, লবণ পরিমাণমতো, একটা লেবুর রস, সরিষার তেল ৪ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: মোরগ কেটে আট বা চার টুকরা করুন। টুকরা করা মোরগ পেঁপে, আদা, রসুন ও লবণ দিয়ে ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার প্রতি টুকরা মাংসের গায়ে চাকু দিয়ে চার থেকে পাঁচটি দাগ কাটতে হবে। সব মসলা ও তেল মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে আগুনে মাংসের দুই পিঠ ঝলসে নিয়ে সেদ্ধ বা খাবার উপযুক্ত হয়েছে কি না, দেখে প্লেটে নামিয়ে রাখুন এবং ঝলসানো মাংসের ওপর লেবুর রস ও সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মসুর ডালের ঘুগনি
উপকরণ: মসুর ডাল ১ কেজি, খাবার সোডা ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, শুকনা মরিচ ১০-১২টি, ধনেপাতা ও শসা পরিমাণমতো।

প্রণালি: ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে মসুর ডালে লবণ ও খাওয়ার সোডা দিয়ে সেদ্ধ করুন। ডাল সেদ্ধ হলে ধনেপাতা, শসা ও শুকনা মরিচ গুঁড়া দিয়ে গরম গরম পরিবেশন।

ছোলার ঘুগনি
উপকরণ: ছোলা আধা কেজি, লবণ পরিমাণমতো, খাওয়ার সোডা ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৮-১০টি, পেঁয়াজ ১ কাপ।

প্রণালি: ছোলা ভালো করে ধুয়ে খাওয়ার সোডা দিয়ে সেদ্ধ করুন। পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়া করে নিন। সেদ্ধ ছোলার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

ফুলুরি
উপকরণ: মসুর ডাল আধা কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, হলুদবাটা আধা চা-চামচ, মরিচবাটা আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ৬-৭টা, পুদিনাপাতা কুচি পরিমাণমতো, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, ফুলুরি ভাজার তেল পরিমাণমতো

প্রণালি: ডাল ধুয়ে ডুবোপানিতে দুই-তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভেজানো ডাল পানি ঝরিয়ে বেটে নিতে হবে। পেঁয়াজ কুচিসহ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করতে হবে। চ্যাপ্টা করে ছোট আকারের ফুলুরি তৈরি করে ডুবোতেলে ভেজে গরম গরম মুড়ির সঙ্গে পরিবেশন।

চটপটি
উপকরণ: মটর ডাল আধা কেজি, আলু আধা কেজি, ডিম ২টা, তেঁতুল ১০০ গ্রাম বিচি ছাড়া, শুকনা মরিচ ১০টা, জিরা ১ টেবিল-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, রাঁধুনি ১ টেবিল-চামচ, মেথি ১ চা-চামচ, গোলমরিচ ২০টা, পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কুচি, বিট লবণ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: মটর ডাল ধুয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সঙ্গে ১ চা-চামচ খাওয়ার সোডা দিলে ভালো হয়, তাহলে মটর তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে। এবার তেঁতুল ধুয়ে ৩ কাপ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুলের সঙ্গে চিনি, লবণ, ভাজা জিরার গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, ২ চামচ তেল ও ১ কাপ পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। ঘন হলে নামিয়ে ফেলুন। আলু সেদ্ধ করে ছোট ছোট টুকরায় কেটে নিন। ভেজানো মটর সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হলে তার সঙ্গে আলু ও লবণ মিশিয়ে এক ঘণ্টা চুলায় রাখতে হবে। এর মধ্যে একটু তেঁতুলের পানি দিতে হবে। সঙ্গে পরিমাণমতো গুঁড়া মসলা, চিনি, লবণ ও বিট লবণ মেশাতে হবে। চটপটি তৈরি হয়ে গেছে। এবার বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন।

আলুচপ
উপকরণ: আলু আধা কেজি, পেঁয়াজ ২টা, লবণ পরিমাণমতো, পুদিনাপাতা পরিমাণমতো, আলুচপ ভাজার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: আলু সেদ্ধ করে নিন। এবার আলুর খোসা ছড়িয়ে চটকে নিতে হবে। চটকানো আলুতে পেঁয়াজ কুচি, লবণ, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, পুদিনাপাতা কুচি একসঙ্গে মিশিয়ে গোলাকার চ্যাপ্টা করে গরম তেলে ভেজে নিলেই আলুচপ হয়ে যাবে।

মাঠা-মাখন
উপকরণ: দুধ পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, লেবু পরিমাণমতো।

প্রণালি: পরিমাণমতো দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে দইয়ের মতো পাততে হবে। দই বানানো হয়ে গেলে ওই দই বড় পাত্রে নিয়ে চরকা দিয়ে টানতে হবে। চরকায় টানার ফলে মাখন আলাদা হয়ে ওপরে জমাট হয়ে ভেসে থাকবে। আর নিচে থাকবে মাঠা। এবার মাঠা-মাখন আলাদা করে লবণ ও লেবু পরিমাণমতো মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

মটরের ঘুগনি
উপকরণ: মটর ডাল ১ কেজি, লবণ পরিমাণমতো, খাওয়ার সোডা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা পরিমাণমতো, শুকনা মরিচ ১০-১২টি।

প্রণালি: মটর ভালো করে ধুয়ে ডুবোপানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খাওয়ার সোডা দিয়ে তিন-চার ঘণ্টা সেদ্ধ করুন। শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়া করুন। পেঁয়াজ কুচি করে ভেজে নিন। মটর ভালোমতো সেদ্ধ হলে তার ওপর পেঁয়াজ কুচি ভাজা, শুকনা মরিচের গুঁড়া দিয়ে পরিবেশন করুন।

ছানা
উপকরণ: দুধ পরিমাণমতো, চিনি পরিমাণমতো।

প্রণালি: ছানার পানি মিশিয়ে ছানা তৈরি করা সহজ। আগের দিনের ছানা চিপে পানি রেখে দিতে হয়। এবার দুধ জ্বাল দিন। সঙ্গে আগের দিনের ছানার পানি বা যেকোনো টক যেমন লেবুর রস কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দিন। একটু পর দেখবেন দুধ ছানায় রূপান্তরিত হয়েছে। এবার ওই ছানা প্লেটে ঢেলে দিলেই জমাট বেঁধে যাবে। জমাট বাঁধা ছানা কেটে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন।

Sunday, July 15, 2012

আম-মুরগির কাচ্চি বিরিয়ানি


উপকরণ: হাড় ছাড়া মুরগির বুকের মাংস ৫০০ গ্রাম, বাসমতি চাল ১ কাপ, পানি ৪ কাপ, ঘি সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি দেশি আধা কাপ, আলু ৩টি (বড়) আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম, পাকা আম ২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ অথবা আদা ও রসুন একত্রে বাটা দেড় চা-চামচ, টক দই সিকি কাপ, মিষ্টি দই ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ আধা টেবিল চামচ, অরেঞ্জ ফুড কালার বা জর্দার রং ১ চিমটি, গোলাপ জল আধা টেবিল চামচ, কেওড়া জল আধা টেবিল চামচ, ফ্রেশক্রিম ২ টেবিল চামচ, মাওয়া ২ টেবিল চামচ, বাদাম ও পেস্তা কুচি দেড় টেবিল চামচ, আটা আধা কেজি, লবণ ২ চা-চামচ, চাল রান্নার জন্য, আধা চা-চামচ মুরগির জন্য, সিকি চা-চামচ আলুর জন্য + সিকি চা-চামচ মুরগি মেরিনেটের জন্য।

বিরিয়ানি মসলা: জিরা (টেলে গুঁড়া করা) আধা চা-চামচ, জয়ত্রী গুঁড়া ১ চিমটি, জায়ফল গুঁড়া, দারচিনি ১ সেমি লম্বা ৩টি, এলাচ ২টি, লং ১টি, শুকনা মরিচ ২টি (টেলে একত্রে গুঁড়া করে নিন।), জাফরান ১ চিমটি, ফ্রেশক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে রাখুন), লেবুর রস ১ চা-চামচ।

প্রণালি: হাড়ছাড়া মুরগির বুকের মাংস টুকরো করে ধুয়ে আধা চামচ লবণ দিয়ে মেখে ১৫ মিনিট পর আরও একবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

* বাসমতি চাল ভালো করে ধুয়ে চালের ওপর পর্যন্ত পানিতে দুই ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।

* ঘিয়ে পেঁয়াজ সোনালি রং করে ভেজে ছেঁকে একটি বাটিতে উঠিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে গুঁড়া করে নিন। আলুতে হালকা জর্দার রং বা অরেঞ্জ ফুড কালার ও সিকি চামচ লবণ মেখে বাদামি রং করে ভেজে রাখুন। (একেকটি আলু ৪ থেকে ৬ টুকরো করে কাটুন)। (মাংস তরকারিতে যে ধরনের টুকরা হয়)।

* পাকা আম ধুয়ে ছিলে চৌকো করে কেটে ১ চা-চামচ লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। এতে করে আম কিছুক্ষণ রেখে দিলে কালো হবে না।

* বিরিয়ানি রান্নার হাঁড়িতে মাংস নিয়ে আদা-রসুনবাটা, সব গুঁড়া মসলা ও লবণ ১ টেবিল চামচ বেরেস্তার গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার টক ও মিষ্টি দই একত্রে ফেটে নিয়ে গোলাপ ও কেওড়া জলসহ মাংসের সঙ্গে মেশান। দুই ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। প্রথম এক ঘণ্টা ফ্যানের নিচে রেখে আবার মাংস ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে পরবর্তী এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।

* ভেজানো চাল দুই ঘণ্টা পর পানি ঝরিয়ে ৪ কাপ ফোটানো গরম পানিতে ২ চা-চামচ লবণ দিয়ে আধা শক্ত ভাত রান্না করতে হবে। অর্থাৎ ভাত দু-তিনবার ফুটে উঠলে মাড় ঝরাতে হবে। সেখান থেকে দেড় বা ২ কাপ আন্দাজ মাড় আলাদা করে সরিয়ে রাখুন।

* বিরিয়ানির হাঁড়িতে মেরিনেট করা মাংসের ওপর ভাজা আলু বিছিয়ে তার ওপর ২ টেবিল চামচ ঘি ও ফ্রেশক্রিম ছিটিয়ে চাল বিছিয়ে দিন। এবার চালের ওপর টুকরা করে রাখা আম, দেড় কাপের মতো উঠিয়ে রাখা মাড়, বাকি ঘি ও বেরেস্তা দিয়ে মাওয়া, বাদাম, পেস্তা কুচি ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। এরপর হাঁড়ির মুখ সমান সমান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আটা দিয়ে হাঁড়ির মুখের চারপাশ বন্ধ করে দিন, যেন ভেতরের কোনো বাষ্প বাইরে বের হতে না পারে।

* গ্যাসের চুলায় মাঝারি আঁচে বিরিয়ানির হাঁড়ি বসিয়ে তার ওপর ঢাকাসহ ফুটন্ত পানির একটি হাঁড়ি বা সসপ্যান বসিয়ে দিতে হবে। বিরিয়ানির গন্ধ বের হওয়া মাত্র অর্থাৎ ১০-১৫ মিনিট পর চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন।

* খুব ভালোভাবে বিরিয়ানির গন্ধ যখন হবে, তখন চুলার জ্বাল নিভিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামাবেন। নামিয়ে আরও ১০ মিনিট পর হাঁড়ির মুখ খুলে ডিশে বেড়ে আম-রায়তার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Wednesday, July 11, 2012

শুঁটকি আর সবজি


ভাপসা গরম কমেছে একটু। এ সময় ঝাল ঝাল শুঁটকি আর গরম ভাত হলে মন্দ হয় না। তাতে যোগ করতে পারেন এ সময়ের নানা সবজি। রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা বেগম।

লইট্টা শুঁটকি সবজি
উপকরণ: লইট্টা শুঁটকি এক কাপ, মিষ্টিকুমড়া এক কেজি, শুকনা সিমের বিচি আধা কাপ, পেঁয়াজবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া এক চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা চা-চামচ, টমেটো কুচি এক টেবিল চামচ, তেল দেড় টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, ধনেপাতা দুই টেবিল চামচ।

প্রণালি: লইট্টা শুঁটকি তাওয়ায় টেলে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। পাটায় ছেঁচে ভেতরের কাঁটা ফেলে দিন। তেলে সব মসলা কষিয়ে তাতে মিষ্টিকুমড়া, শুঁটকি দিয়ে আবার কষিয়ে আন্দাজমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। সিমের বিচি টেলে পাটায় ভেঙে খোসা ফেলে সামান্য সেদ্ধ করে নিন। শুঁটকির তরকারিতে সিমের বিচি ঢেলে দিন। টমেটো, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।

ছুরি শুঁটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি
উপকরণ: ছুরি শুঁটকি এক কাপ, কাঁঠালের বিচি আধা কেজি, পেঁয়াজবাটা এক টেবিল চামচ, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া এক চা-চামচ, তেল দুই টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ চার-পাঁচটি, লবণ স্বাদমতো, জিরাবাটা আধা চা-চামচ।

প্রণালি: শুঁটকি গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ভেতরের কাঁটা ফেলে দিন। কাঁঠালের বিচির লাল আবরণ পরিষ্কার করে অল্প লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেলে সব মসলা কষিয়ে শুঁটকি ও সেদ্ধ কাঁঠালের বিচি পানি দিয়ে ঢেকে দিন। সামান্য পানি থাকতে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

লতি আর চিংড়ি শুঁটকি
উপকরণ: কচুর লতি আধা কেজি, চিংড়ি শুঁটকি আধা কাপ, রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া এক চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ কুচি এক টেবিল চামচ, তেল এক টেবিল চামচ, টমেটো আধা কাপ, কাঁচামরিচ তিন-চারটি।

প্রণালি: চিংড়ি শুঁটকি টেলে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখুন। তেলে সব মসলা কষিয়ে লতি ও চিংড়ি শুঁটকি ঢেলে দিন। ভালোভাবে কষিয়ে সামান্য পানি ও টমেটো দিয়ে ঢেকে দিন। কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।

নোনা ইলিশে বেগুন
উপকরণ: নোনা ইলিশ একটি, বেগুন আধা কেজি, হলুদ আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা এক চা-চামচ, রসুনবাটা এক চা-চামচ, তেল এক টেবিল চামচ, টমেটো এক টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ চার-পাঁচটি।

প্রণালি: ইলিশ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। তেলে সব মসলা কষিয়ে বেগুন ও ইলিশ ঢেলে দিন। সামান্য পানি দিন। একটু পর কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। নোনা ইলিশে লবণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, (তারিখ: ১০-০৭-২০১২)

Tuesday, July 10, 2012

ইয়াকিতরি


উপকরণ: হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ৩০০ গ্রাম, ডিম ১টি, লবণ সামান্য, সাদা গোল মরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১টি, তেল সামান্য, ধনেপাতা, জাপানি সস (চাইলে অন্য সসও দিতে পারেন)।

প্রণালি: প্রথমে মাংসের বলের জন্য ২০০ গ্রাম মাংস সেদ্ধ করে নিন। এরপর মাংস মুঠোয় পুরে হালকা চাপ দিন। তার সঙ্গে গোল মরিচের গুঁড়া, পেঁয়াজ কুচি অল্প, ধনেপাতা অল্প ও ডিম অর্ধেকটা মিশিয়ে গোল বল তৈরি করুন। এরপর কাঠিতে ভরে গ্রিলের তাওয়ায় হালকা তেল মেখে গ্রিল করুন। ৩০ মিনিট পর নামিয়ে নিন।

বাকি ১০০ গ্রাম মাংস ছোট ছোট ৪-৫ টুকরা করে সেদ্ধ করে নিন। পরে ঠান্ডা করে সাদা গোল মরিচের গুঁড়া, সস মিশিয়ে কিমা করে নিন। এবারে কাঠিতে ভরে গ্রিল করুন। ৩০ মিনিট পর নামিয়ে নিয়ে আবার একটু সস মাখান।

এরপর রুটি বা ফ্রেঞ্চফ্রাই দিয়ে পরিবেশন করুন এই দুই রকম মাংস।

Monday, July 9, 2012

ক্ষীরসা কুনাফা


উপকরণ: লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, ঘি ৪০০ গ্রাম, দুধ ২০০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ৪০ গ্রাম, পেস্তা বাদাম গুঁড়া ১৫০ গ্রাম, গোলাপজল ২ মিলিলিটার ও চিনির সিরাপ ৪৫০ মিলিলিটার।

প্রণালি: একটি পাত্রে দুধ ও চিনি গরম করে নিন। তাতে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিন ঘন না হওয়া পর্যন্ত। পরে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন। হয়ে গেল ক্ষীরসা।
অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করে একটি ট্রেতে ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে অর্ধেক লাচ্ছা সেমাই বিছিয়ে নিন। এরপর খিরসার মিশ্রণ ঢেলে দিন এবং বাকি অর্ধেক লাচ্ছা সেমাই বিছিয়ে নিন। সবশেষে ১৯০ ডিগ্রি সেলিয়াস তাপে ৩০ মিনিট বেক করুন। হয়ে গেল চিনির সিরাপ দিয়ে ক্ষীরসা কুনাফা। পরিবেশন করুন গরম গরম।

Sunday, July 8, 2012

আলু-গাজরের সন্দেশ


উপকরণ
আলু সিদ্ধ এক কাপ, গাজর সিদ্ধ ২ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক এক কৌটা, ঘি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, এলাচ ও দারচিনি গুঁড়া এক চা চামচ, ছানা এক কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, খেজুর কুচি এক টেবিল চামচ, কাঠবাদাম এক টেবিল চামচ, পেস্তাবাদাম এক টেবিল চামচ, মাওয়া ২ টেবিল চামচ।


যেভাবে তৈরি করবেন
১. ফ্রাইপ্যানে অর্ধেক ঘি গরম করে আলু দিয়ে নাড়ুন।
২. পানি শুকিয়ে এলে অর্ধেক কনডেন্সড মিল্ক ও এক টেবিল চামচ চিনি দিয়ে ভেজে নামিয়ে নিন।
৩. এরপর গাজর ফ্রাইপ্যানে অর্ধেক ঘি গরম করে তার মধ্যে দিন।
৪. গাজরের পানি শুকিয়ে গেলে বাকি কনডেন্সড মিল্ক ও এক টেবিল চামচ চিনি দিয়ে ভেজে নামিয়ে নিন।
৫. একটি ওভেনপ্রুফ ছড়ানো ডিশে প্রথমে আলু ছড়িয়ে তার ওপর ছানা বিছিয়ে দিন।
৬. এর ওপর এলাচ গুঁড়া, কিশমিশ, খেজুর, বাদাম, একচিমটি ঘি, একটু কনডেন্সড মিল্ক ছিটিয়ে গাজর ছড়িয়ে দিন।
৭. আবারও কিশমিশ, খেজুর, বাদাম, কনডেন্সড মিল্ক, ঘি, মাওয়া দিয়ে প্রিহিট ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপে ১০ মিনিট বেক করুন।
৪. ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

Saturday, July 7, 2012

রুমালি রুটি


উপকরণ
ময়দা এক কাপ, লবণ এক চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো,
ঘি ২ টেবিল চামচ (ব্রাশ করার জন্য)।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা, লবণ, তেল একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে পানি দিয়ে ডো বানিয়ে এক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন।
২. রুটি ডাবল ও পাতলা করে বেলে নিন।
৩. কড়াইয়ের পেছনে বা বড় তাওয়ায় সেঁকে নিন।
৪. এরপর সেঁকা রুটি খুলে ঘি ব্রাশ করে রুমালের মতো ভাঁজ দিয়ে হটপটে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Thursday, July 5, 2012

আমক্ষীর


উপকরণ: গরুর দুধ ২ লিটার, পাকা আম ৪টি, চিড়া ১ কাপ, চিনি ২-৩ কাপ, ফ্রেশক্রিম ২ টেবিল চামচ, মাওয়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ১ চিমটে, কাজুবাদাম (টেলে আধাভাঙা করে নিন) ২ টেবিল চামচ, আখরোট (টেলে খোসা ছাড়িয়ে হালকা ভেঙে নিন) ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, এলাচ (টেলে গুঁড়া করে নিন) সিকি চামচ, বাদাম ও পেস্তা কুচি (পানিতে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিন) ১ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ সিকি কাপ, গোলাপ জল ১ চা-চামচ, জাফরান ১ চিমটি (গোলাপ জলে জাফরান ভিজিয়ে রাখবেন)।

প্রণালি: দুই লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ১ লিটার পরিমাণ করুন। ঠান্ডা হলে মোটা সর পড়বে। তিনটি পাকা আম ধুয়ে টুকরা করুন। আঁটি বাদ দিয়ে ব্লেন্ডারে কুচি করা আম ব্লেন্ড করে নিন। চিড়া ধুয়ে ঝাঁঝরিতে পানি ঝরাতে দিন। ভিজিয়ে রেখে দেবেন না, তাহলে চিড়া গলে যাবে। দুধে পুরু সর পড়ার পর পুনরায় চুলায় দিয়ে সরসহ এক চিমটি লবণ দিয়ে নাড়ুন। ফুটে উঠলে চিড়া দিয়ে সাবধানে অনবরত নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যেন নিচে পোড়া না লাগে। ১৫-২০ মিনিট পর চিনি দিয়ে আরও ১০-১৫ মিনিট নাড়ুন। তারপর মাওয়া, বাদাম, পেস্তা, কাজু, কিশমিশ ও আখরোট কুচি দিয়ে নাড়ুন। এবারে ওপর থেকে গুঁড়া দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাড়ুন! গোলাপ জলে ভেজানো জাফরান ও গোলাপ জল এবং ফ্রেশক্রিম ও এলাচ গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়ে নেড়ে দুই মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন এবং ব্লেন্ড করা আম দিয়ে মিশিয়ে নাড়ুন। আম, দুধ ও চিড়া ভালো করে মিশে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ডেজার্ট ডিশে ঠান্ডা হলে ঢেকে ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশনের আগে বাকি আরেকটি আম ধুয়ে গ্রেট করে নিন। এবারে ডেজার্ট ডিশে ক্ষীরের ওপরে কুচি করা আম দিয়ে পরিবেশন করুন।

Wednesday, July 4, 2012

মিষ্টির পরে ঝাল (শব-ই-বরাত)






হালুয়া-রুটি তো হবেই। শবে বরাতে অনেকে মাংস, খিচুড়ি—এসব খাবারও রান্না করতে পছন্দ করেন। দেখে নিন কল্পনা রহমানের দেওয়া রেসিপিগুলো।

কলিজা ভুনা
উপকরণ: গরু বা খাসির কলিজা ১ কেজি, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, দারচিনিবাটা ১ চা-চামচ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, এলাচবাটা ১ চা-চামচ, তেল (কলিজা সেদ্ধর জন্য) ২ টেবিল চামচ, নারকেলবাটা ২ টেবিল চামচ, তেল (রান্নার জন্য) এক কাপের একটু কম, বাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, মেথি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ।

প্রণালি: পেঁয়াজ কুচি, মেথি ও তেল বাদে সব উপকরণ দিয়ে কলিজা সেদ্ধ করে মসলা ও কলিজা আলাদা করে নিতে হবে। অন্য পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে কলিজা ভাজতে হবে।
একটু পর তাতে কলিজার ঝোল ও মেথি দিতে হবে। মাখামাখা হয়ে তেল ওপরে উঠলে ৪-৫টি কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে নামিয়ে নিতে হবে।

ঝুরা মাংস
উপকরণ: গরুর মাংস ২ কেজি, হলুদ গুঁড়া দেড় চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ গুঁড়া দেড় টেবিল-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ কাপ, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ, শুকনা মরিচ আস্ত ৮-১০টি।

প্রণালি: পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচ বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে চুলায় বসাতে হবে। সেদ্ধর জন্য পানি দিতে হবে। কম আঁচে মাংস সেদ্ধ করতে হবে। যেন পরে ঝুরা ঝুরা হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি করতে চাইলে মাংস সেদ্ধ হলে পাটায় একটু ছেঁচে দেওয়া যায়। অন্য পাত্রে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে মাংস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঝুরা মাংস। অল্প ঝোল থাকবে, যাতে রুটি দিয়ে খাওয়া যায়।

খাসির মাংসের তেহারি
উপকরণ: খাসির মাংস আধা কেজি, টক দই ১ কাপ, পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, কাঁচা মরিচ ১০টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, সয়াবিন তেল ১ কাপ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, টমেটো কুচি ১ কাপ, ফাকি মসলা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: মাংস ছোট টুকরা করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে টক দই, আদা, রসুন ও লবণ দিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখতে হবে। পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও টমেটো বাদামি করে ভেজে নিন। তাতে মাংস, কাঁচা মরিচ ও ৩ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখামাখা হলে গোলমারিচ গুঁড়া ও ফাকি মসলা গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। চাল ১০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। হাঁড়িতে চালের দেড় গুণ পানি ফুটিয়ে চাল, গুঁড়া দুধ, লবণ, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়তে হবে। পরে ঢেকে দিতে হবে। পানি সমান হলে নেড়ে রান্না মাংসগুলো ওপরে দিয়ে অল্প আঁচে দমে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর পোলাও ও মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে কেওড়াজল ও শাহি জিরা ওপরে ছিটিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে আরও ১০ মিনিট পরে পরিবেশন।

শাহি খিচুড়ি
উপকরণ: খিচুড়ি: চাল আধা কেজি, মুগডাল আধা কেজি, আদা ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ২-৩টি, দারচিনি ২-৩ টুকরা, তেল আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মেথি আধা চা-চামচ, শাহি মসলা ১ টেবিল চামচ।
মাংস: গরুর মাংস আধা কেজি, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, দারচিনি ও এলাচ ৩-৪টি করে, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, তেল সিকি কাপ, লবণ পরিমাণমতো।
সবজি: গাজর আধা কাপ, ছোট আলু আধা কাপ, বাঁধাকপি আধা কাপ, ফুলকপি আধা কাপ ও তেল সিকি কাপ।

প্রণালি: গরুর মাংস ছোট টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। মাংসের সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার প্রেসার কুকারে ২ কাপ পানি দিয়ে বসান। ৬টা সিটি দিলে নামিয়ে রাখতে হবে।

সব সবজি ছোট সমান টুকরা করে আলাদাভাবে সামান্য লবণ দিয়ে ভেজে রাখতে হবে।
খিচুড়ির চাল ও ডাল ১০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পাত্রে তেল ও মেথির ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। চাল ও ডাল মিশিয়ে যতটুকু হবে তার দেড় গুণ পানি দিয়ে গরম করে ভিজানো চাল দিয়ে লবণ চেখে ঢেকে দিতে হবে। পানি সমান হলে মাংস দিতে হবে। একটু পর সবজি ভাজা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে বেরেস্তা ওপরে ছিটিয়ে দমে বসাতে হবে তাওয়ার ওপর। এ সময় আঁচ একদম কম থাকবে। ২০ মিনিট পর নামিয়ে পরিবেশন।
শাহি মসলা তৈরি: এলাচ, দারচিনি, জায়ফল, জয়ত্রি, শাহি জিরা, গোলমরিচ, কাবাব চিনি, লবঙ্গ, বড় এলাচ—এই মসলাগুলো একটু একটু করে নিয়ে একসঙ্গে হালকা ভেজে গুঁড়া করে নিলেই তৈরি হবে শাহি মসলা।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা (তারিখ: ০৩-০৭-২০১২)

সঙ্গে চাই রুটি (শব-ই-বরাত)


হালুয়া বা মাংস। যা-ই খান, রুটি তো লাগবেই। তাতেও আছে নানা বৈচিত্র্য। দেখুন ফাতিমা আজিজের দেওয়া রুটি তৈরির প্রণালিগুলো।

বানরুটি
উপকরণ: ময়দা ১ কেজি, ইস্ট ১ টেবিল চামচ, ডিম ২টি, মাখন ১০০ গ্রাম, লবণ ১ টেবিল চামচ, চিনি ১০০ গ্রাম, সাদা তিল ও কিশমিশ পরিমাণমতো, হালকা গরম পানি ২ কাপ।

প্রণালি: বাটিতে হালকা গরম পানিতে ইস্ট ভেজান। নরম হয়ে ফুলে উঠলে তাতে ১টি ডিম, মাখন ও চিনি মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিন।

ময়দায় লবণ মিশিয়ে তাতে ইস্ট দেওয়া মিশ্রণ ঢেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ছেনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সেলোফেন কাগজে ঢেকে গরম স্থানে রাখুন। ভেতরে যেন কোনো প্রকার বাতাস না ঢোকে।
বেকিং ট্রেতে তেল মেখে নিন। খামির ফুলে দ্বিগুণ হলে তা ১৫ থেকে ১৮টি ভাগ করুন। একেকটি ভাগ হাতের তালুতে নিয়ে গোলা তৈরি করুন যেন ভেতরে ফাঁপা না থাকে। সামান্য চেপে বেকিং ট্রেতে চার থেকে পাঁচ সেমি দূরে দূরে রাখুন। পুনরায় সেলোফেন দিয়ে ঢেকে রাখুন ঘণ্টা দেড়েক। অবশিষ্ট একটি ডিম ছোট একটি বাটিতে ফেটে নিন। দেড় ঘণ্টা পর বেকিং ট্রেতে রাখা প্রতিটি বানের ওপর ব্রাশ দিয়ে ডিমের প্রলেপ দিন। তার ওপর সাদা তিল ছিটিয়ে দিয়ে তিন-চারটি করে কিশমিশ বসিয়ে প্রি-হিটেড ওভেনে ২২০ ডিগ্রিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বেক করুন। রুটির উপরিভাগ সুন্দর সোনালি রং হলে নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে বেকিং ট্রে থেকে উঠিয়ে অন্য পাত্রে রাখুন।

খেজুরকুচি-আটা রুটি
উপকরণ: আটা (চেলে নেওয়া) ১ কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, সামান্য গরুর দুধ দিয়ে বেটে নেওয়া কাজুবাদাম ১ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, গরম পানি দেড় কাপ, তেল আধা চা-চামচ, পাকা নরম কালো খেজুর কুচি ৪টি।

প্রণালি: বাটিতে ১ কাপ কোরানো নারকেল বেটে নিয়ে সোয়া কাপ গরম পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর তারের ঝাঁঝরিতে ভালো করে হাত দিয়ে মিশিয়ে ছেঁকে দুধ বের করে নিন। ১ কাপ নারকেলের দুধের সঙ্গে কাজুবাটা গুলে নিয়ে একটি হাঁড়িতে চুলায় দিন। এর সঙ্গে লবণ ও তেল দিন। ফুটে উঠলে আটা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাঠের চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। অন্য বাটিতে এই মিশ্রণ নিয়ে তাতে খেজুরকুচি দিয়ে হাতের তালুতে তেল মেখে ছেনে নিন। এ থেকে ১০-১২টি গোলা ভাগ করুন। পাতলা করে বেলে নিন। তাওয়া গরম করে রুটির দুই পাশ সেঁকে একটি পাত্রে ছড়িয়ে রাখুন। হালকা ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।

দই-পরোটা
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, টক দই ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ (ময়ানের জন্য), তেল বা ঘি প্রতিটি পরোটার জন্য ১ টেবিল চামচ করে।

প্রণালি: বাটিতে টক দই এবং পরোটা ভাজার তেল বা ঘি বাদে অন্য সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে নিন। বাটির চারপাশে ময়দা সরিয়ে মাঝখানে গর্ত করে তাতে টক দই ফেটে দিয়ে মসৃণ করে ময়ান দিয়ে পরোটার খামির তৈরি করুন। পাঁচ থেকে ছয়টি গোলা ভাগ করে আধা ঘণ্টার মতো একটি ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রুটি বেলার পিঁড়িতে ময়দা ছিটিয়ে একেকটি গোলা হাতের তালুতে নিয়ে গোল করে বেলুন দিয়ে বড় করে বেলুন। এবারে তা হাতে নিয়ে চারপাশ থেকে টেনে আরও বড় করে পিঁড়িতে রেখে তার ওপর সামান্য তেল মেখে ময়দা ছিটিয়ে চিকন রোল করে পরোটার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পেঁচিয়ে নিয়ে শেষ মাথা পেঁচানো রোলের ওপর ভালো করে চেপে দিন। আরও আধা ঘণ্টা ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। পিঁড়িতে হালকা ময়দা ছিটিয়ে নিয়ে পেঁচানো রোল দিয়ে রুটির মতো গোল করে পরোটা বেলুন।
চুলায় ননস্টিক ফ্রাইপ্যান গরম করে একেকটি পরোটার দুই পিঠ খুন্তি দিয়ে চেপে চেপে সেঁকে নিন। পরোটার চারপাশে ১ টেবিল চামচ করে ঘি বা তেল দিয়ে দুই পিঠ ভেজে তুলুন।

শিরমাল জাফরানি রুটি
উপকরণ: ময়দা ১ কেজি, তরল দুধ (গরুর) ৪০০ গ্রাম (খামিরের জন্য), গুঁড়ো দুধ ২০০ গ্রাম (রুটিতে ছিটনোর জন্য), চিনি ১০০ গ্রাম, লবণ ১ টেবিল চামচের সামান্য কম, ইস্ট ১ টেবিল চামচ, জাফরান ১ চা-চামচ, ডিম ২টি, ঘি ১২০ গ্রাম (খামিরের জন্য), ৫০ গ্রাম (রুটির জন্য), কিশমিশ পরিমাণমতো, বাদাম বা পেস্তা পরিমাণমতো।

প্রণালি: বাটিতে ইস্ট ছিটিয়ে নিয়ে হালকা গরম পানি (২ থেকে ৩ টেবিল চামচের মতো) দিয়ে নাড়ুন। ইস্ট নরম হয়ে মিশে গেলে তরল দুধ, ডিম, ঘি ও চিনি মিশিয়ে ফেটে নিন। অন্য একটি বাটিতে ময়দা, গুঁড়ো দুধ, লবণ ও জাফরান মিশিয়ে নিন। তার চারপাশে গোল করে সরিয়ে নিয়ে মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় ইস্ট, ফোটানো দুধ, ডিম, ঘি ও চিনির মিশ্রণ ঢেলে ময়দায় ভালো করে ময়ান দিন। খামির মসৃণ হয়ে এলে তার দুই পাশে ঘি মেখে গরম জায়গায় ঢাকনা দিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। তিন ঘণ্টা পর খামির ফুলে উঠলে তা ১০ ভাগ করুন। বেকিং ট্রেতে ঘি মাখিয়ে নিন। রুটি বেলার পিঁড়িতে সামান্য পুরু করে গোল রুটি বেলে বেকিং ট্রেতে চার-পাঁচ সেমি দূরে একেকটি রুটি রাখুন। রুটির ওপরে কিশমিশ, বাদাম, পেস্তা ছিটিয়ে দিন। এখন প্রি-হিটেড ওভেনে ২৫০ ডিগ্রিতে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট বেক করুন। ওভেন থেকে বের করে সঙ্গে সঙ্গে রুটির দুই পিঠে তরল দুধ ছিটিয়ে দিন। রুটির তাপ তরল দুধ শুষে নেবে। তারপর রুটির উপরিভাগে ঘি দিয়ে ব্রাশ করে দিন। তাওয়ায় মাঝারি আঁচে এই রুটি সেঁকে নিতে পারেন বেকের পরিবর্তে।

বাটার নান
উপকরণ: ময়দা ১ কেজি, ডিম একটি, মাখন ১০০ গ্রাম, ইস্ট ১ টেবিল চামচ, গুঁড়ো দুধ ২০ গ্রাম, লবণ ১ টেবিল চামচ, চিনি ১০০ গ্রাম, হালকা গরম পানি ২ কাপ অথবা পরিমাণমতো।

প্রণালি: একটি পাত্রে ময়দা, ইস্ট, লবণ, গুঁড়ো দুধ ও চিনি একত্রে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি বাটিতে মাখন ও ডিম কুসুম গরম পানির সঙ্গে ফেটে নিয়ে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে ময়ান দিয়ে খামির তৈরি করুন। দেড় ঘণ্টা গরম জায়গায় ঢেকে রাখুন।

খামির ফুলে উঠলে তা থেকে ১৫-১৬টি গোলা তৈরি করুন। রুটি বেলার পিঁড়িতে সামান্য ময়দা ছিটিয়ে গোল করে একটু ভারী করে রুটি বেলুন। চুলায় ফ্রাইপ্যান বা তাওয়া গরম করে মাঝারি আঁচে দুই পিঠ সেঁকে সামান্য ফুলে উঠলে নামিয়ে রাখুন। যদি ওভেনে বেক করতে চান, তাহলে বেকিং ট্রেতে তেল মাখিয়ে ২২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৬ থেকে ১০ মিনিট বেক করুন। রুটি সাদা ও নরম হবে। রুটি বেক করে অন্য পাত্রে তুলে রেখে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা (তারিখ: ০৩-০৭-২০১২)

ভিন্ন স্বাদের হালুয়া (শব-ই-বরাত)




বাড়িতে নানা রকম হালুয়া তৈরি করে এসেছেন এত দিন। এবার একটু বৈচিত্র্য আনতে তারকা-হোটেলের শেফের রেসিপি পেলে মন্দ হয় না। ঢাকা রিজেন্সি হোটেল ও রিসোর্টের শেফ রাজীব হাসান দিয়েছেন কয়েক রকম হালুয়ার রেসিপি।

ক্ষীরসা কুনাফা
উপকরণ: লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, ঘি ৪০০ গ্রাম, দুধ ২০০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ৪০ গ্রাম, পেস্তা বাদাম গুঁড়া ১৫০ গ্রাম, গোলাপজল ২ মিলিলিটার ও চিনির সিরাপ ৪৫০ মিলিলিটার।

প্রণালি: একটি পাত্রে দুধ ও চিনি গরম করে নিন। তাতে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিন ঘন না হওয়া পর্যন্ত। পরে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন। হয়ে গেল ক্ষীরসা।
অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করে একটি ট্রেতে ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে অর্ধেক লাচ্ছা সেমাই বিছিয়ে নিন। এরপর খিরসার মিশ্রণ ঢেলে দিন এবং বাকি অর্ধেক লাচ্ছা সেমাই বিছিয়ে নিন। সবশেষে ১৯০ ডিগ্রি সেলিয়াস তাপে ৩০ মিনিট বেক করুন। হয়ে গেল চিনির সিরাপ দিয়ে ক্ষীরসা কুনাফা। পরিবেশন করুন গরম গরম।

কাজু বাদামের হালুয়া
উপকরণ: কাজু বাদাম গুঁড়া ২০০ গ্রাম, চিনি ৩৫০ মিলি গ্রাম, দুধ ৩০০ গ্রাম, ঘি ৮০ গ্রাম, দারচিনি ৩-৪টি, এলাচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেজপাতা ৪টি।

প্রণালি: একটি পাত্রে দুধ, চিনি, দারচিনি, তেজপাতা ও এলাচ দিয়ে জ্বাল দিন। কিছুক্ষণ পর গরম মসলাগুলো তুলে কাজু বাদামের গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন ঘন না হওয়া পর্যন্ত। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে অন্য একটি পাত্রে ভালোভাবে ঘি মিশিয়ে তাতে মিশ্রণ ঢেলে পছন্দমতো কেটে পরিবেশন করুন কাজু বাদামের মজাদার হালুয়া।

আমন্ড সফটি কেক
উপকরণ: আমন্ড বাদাম গুঁড়া ৫৫০ গ্রাম, আইসিং সুগার ৭০ গ্রাম, মাখন ২ চা-চামচ, ডিম ২টি, ময়দা ৩ কাপ, আমন্ড ফ্লেবার ৩-৪ ফোঁটা ও বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ।

প্রণালি: একটি পাত্রে মাখন ও আইসিং সুগার একসঙ্গে বিট করে নিতে হবে নরম না হওয়া পর্যন্ত। নরম হয়ে গেলে ডিম দিয়ে আরও ৫ মিনিট বিট করতে হবে। তারপর আমন্ড পাউডার, ময়দা ও বেকিং পাউডার একে একে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বিট করতে হবে। এরপর পুরো মিশ্রণ একটি পাত্রে ঢেলে ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলিয়াস তাপে ৩০ মিনিট বেক করে নামিয়ে পরিবেশন করুন আমন্ড সফটি কেক।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা (তারিখ: ০৩-০৭-২০১২)

চেনা স্বাদেই বৈচিত্র্য (শব-ই-বরাত)


শবে বরাতে বাড়িতে হালুয়া তো হবেই। চেনা স্বাদের সুজি, ডালের হালুয়াতে একটু বৈচিত্র্য পেলে মন্দ হয় না। দেখুন সিতারা ফিরদৌসের দেওয়া রেসিপিগুলো।

নেশেস্তার হালুয়া
উপকরণ: সুজি ২৫০ গ্রাম, ঘি বা বাটার অয়েল দেড় কাপ, চিনি তিন কাপ, দারচিনির গুঁড়া সিকি চা-চামচ, এলাচির গুঁড়া আধা চা-চামচ, ফুড কালার পছন্দমতো, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, পেস্তা কুচি ২ টেবিল চামচ, তবক ইচ্ছামতো।

প্রণালি: সুজি ৩ কাপ পানিতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সুজি হাত দিয়ে কচলে মাড় বের করে নিতে হবে। এভাবে কয়েকবার কচলে মাড় বের করে নিতে হবে। পাতলা কাপড়ে মাড় কয়েকবার ছেঁকে নিয়ে চুলায় দিয়ে নাড়তে হবে। এ সময় ফুডকালার ও চিনি দিতে হবে। ঘন হয়ে এলে দারচিনির গুঁড়া ও ঘি দিয়ে নাড়তে হবে। যখন হালুয়া কড়াইয়ের গা ছেড়ে আসবে, তখন ঘি-মাখা প্লেটে ঢেলে পেস্তা বাদাম ও তবক দিয়ে বরফি করে কেটে পরিবেশন করতে হবে।

ছোলার ডালের হালুয়া
উপকরণ: ছোলার ডাল আধা কাপ, চিনি আড়াই কাপ, ঘি এক কাপের একটু কম, তেল এক কাপের একটু কম, খাওয়ার সোডা আধা চা-চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, এলাচির গুঁড়া আধা চা-চামচ, কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: ডাল ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে মিহি করে বেটে এলাচির গুঁড়া চিনি দিয়ে মাখিয়ে দুই ঘণ্টা রাখতে হবে।
তেল ও ঘি একসঙ্গে গরম করে ডাল দিয়ে ভুনতে হবে। হালুয়া যখন ফাঁপা হয়ে আসবে, তখন খাওয়ার সোডা দিয়ে কিছুক্ষণ ঘি মাখানো ডিশে ঢেলে ওপরে পেস্তা বাদামের কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পছন্দমতো টুকরো করে পরিবেশন করতে হবে।

নবরত্ন হালুয়া
উপকরণ: ছোলার ডাল সেদ্ধ করে বাটা এক কাপ, নারকেলবাটা আধা কাপ, ছানা আধা কাপ, মাওয়া গুঁড়া এক কাপ, পেস্তা বাদামবাটা সিকি কাপ, কাজুবাটা সিকি কাপ, আমন্ড বাদামবাটা সিকি কাপ, খোরমা বাটা সিকি কাপ, চিনি তিন কাপ, ঘি আধা কাপ, এলাচির গুঁড়া আধা চা-চামচ, কেওড়া এক টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, মালাই আধা কাপ।

প্রণালি: মাওয়া ও ঘি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। কড়াইয়ে ঘি গরম করে মিশ্রিত উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে মাওয়া গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা হলে পছন্দমতো ছাঁচে গড়িয়ে রাখতে হবে।

গাজরের দরবারি হালুয়া
উপকরণ: গাজর কুচি এক কাপ, দুধ দুই কাপ, চিনি তিন কাপ, ডিম চারটি, ঘি আধা কাপ, পেস্তা বাদাম কুচি সিকি কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, মাওয়া ২ টেবিল চামচ, দারচিনি চার টুকরা, এলাচি চারটি, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, মালাই আধা কাপ।

প্রণালি: গোলাপজলে জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে। গাজর ও দুধ দিয়ে জ্বাল দিন, শুকিয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটিয়ে গাজর, চিনি, দারচিনি ও এলাচির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। প্যানে ঘি গরম করে মিশ্রিত গাজর দিয়ে মাঝারি আঁচে ভুনতে হবে। হালুয়া কড়াইয়ের গা ছেড়ে এলে গোলাপজলে মিশ্রিত জাফরান, কিশমিশ, কিছু পেস্তা বাদাম কুচি, মালাই দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে সার্ভিং ডিশে ঢেলে ওপরে বাকি পেস্তা বাদামের কুচি ছড়িয়ে দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা (তারিখ: ০৩-০৭-২০১২)

কাটা মসলা আর সঙ্গে গরুর মাংস


উপকরণ: গরুর মাংস টুকরা (হাড় ও চর্বি ছাড়া) ১ কেজি, আলু ৩০০ গ্রাম, পাকা আম ৩টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, রসুন মিহি কুচি ৫ কোয়া, শুকনা মরিচ গোটা বোঁটা ফেলে ৬টি, গোলমরিচ গোটা ৬টি, চাট মসলা ১ চা-চামচ, লেবুর রস ২ চা-চামচ, এলাচ ৪টি, দারচিনি (২ সেমি. টুকরো) ৩টি, তেজপাতা ১টি, তেল আধা কাপ, টক দই আধা কাপ, লবণ ১ টেবিল চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ২ টেবিল চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী।

প্রণালি: মাংস ১ ইঞ্চি পুরু ও দেড় ইঞ্চি লম্বা করে টুকরা করুন। ধুয়ে পানি ঝরাতে দিন। আলু ধুয়ে ছিলে লম্বা করে কেটে পানিতে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, আলু যেন খুব বেশি মোটা বা পাতলা কাটা না হয়। আম ধুয়ে ছিলে লম্বা করে কাটুন। একেকটি সাইড ৩ ফালি করুন। আঁটির দুই পাশ থেকে একটি করে টুকরো বের করুন। টুকরোগুলো লেবুর রস দিয়ে মেখে রাখুন। আম, আলু, চিনি ও চাট মসলা বাদে হাঁড়িতে মাংসের সঙ্গে অন্য সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে সিকি কাপ পরিমাণ হাত ধোয়া পানি দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে ২ ঘণ্টা রান্না করুন। অর্ধেক রান্না হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে আলুর টুকরোগুলো ধুয়ে দিয়ে দিন এবং নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। চুলার আঁচ এবারে মাঝারি রাখুন। এক ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে আমের টুকরো, চিনি ও চাট মসলা ছিটিয়ে দিয়ে হালকাভাবে নেড়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন। এক মিনিট পর চুলা বন্ধ করে পাঁচ মিনিট দমে রাখুন। তারপর পরিবেশন পাত্রে পোলাও বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Tuesday, July 3, 2012

গার্লিক ম্যাংগো চিকেন


উপরকণ: হাড় ছাড়া মুরগির বুকের মাংস ৪টি (আনুমানিক ৫০০ গ্রাম), কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, অরিগ্যানো, বেসিল, রোজমেরি ইত্যাদি সিকি চামচ, আমের রস (প্যাকেটের) ২ টেবিল চামচ+১ কাপ, রসুন কুচি ৪ কোয়া, পাকা আম (টুকরো করা) ২টি, চিনি ও লবণ ১ চা-চামচ, সিরকা আধা চা-চামচ অথবা লেবুর রস আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ+সিকি চামচ ও সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি: মুরগির বুকের টুকরোগুলো হাড় বাদ দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে একটি ট্রেতে নিয়ে ২-৩টি আঁক দিয়ে (ছুরি দিয়ে) নিন। আধা চা-চামচ লবণ, সিরকা অথবা লেবুর রস আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ২ টেবিল চামচ আমের রস দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার মাংসের দুই পিঠেই ভালো করে কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে মিশিয়ে নিয়ে আধা ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে মেরিনেট করা টুকরোগুলো ছেড়ে দুই পিঠই একটু লাল করে ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। একই তেলে রসুন কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন ও পাকা আমের টুকরোগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে অরিগ্যানো, বেসিল, রোজমেরি, আধা চা-চামচ লবণ ও চিনি দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন। তারপর আমের রস দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রাখবেন। ফুটে উঠলে ঢাকনা খুলে নেড়ে টুকরাগুলো দিয়ে গ্রেভিতে মাংসের গায়ে মাখা মাখা হলে নামানোর আগে সিকি চামচ গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। পরিবেশন পাত্রে ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এ খাবারে অরিগ্যানো, বেসিল ও রোজমেরি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে না দিলেও চলবে।

Monday, July 2, 2012

ম্যাংগো ট্রায়ফল


উপকরণ: পাকা আম টুকরা করে কেটে নেওয়া ১ কাপ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ স্কুপ, চেরি অথবা স্ট্রবেরি জেলাটিন (গলিয়ে নেওয়া) ২ টেবিল চামচ, জেমস চকলেট পরিমাণমতো।

প্রণালি: একটি ডেজার্ট গ্লাসে প্রথমে দুই স্কুপ আইসক্রিম ও তার ওপর এক টেবিল চামচ গলানো জেলাটিন দিয়ে আইসক্রিম ঢেকে দিন। তারপর সিকি কাপ আম কুচি দিয়ে একইভাবে পুনরায় ভ্যানিলা আইসক্রিম গলানো জেলাটিন ও বাকি আম কুচি দিয়ে ওপর থেকে কয়েকটি রঙের জেমস ছিটিয়ে পরিবেশন করুন ম্যাংগো ট্রায়ফল।

Sunday, July 1, 2012

ভ্যানিলা


উপকরণ
গুঁড়ো দুধ দুই কাপ, পানি এক কাপ, ডানো ক্রিম দুই টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার এক টেবিল চামচ, সিএমসি এক চা চামচ, চায়না গ্রাস এক চা চামচ, ডিম দুটি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. প্রথমে দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও ডিমের কুসুম ব্লেন্ড করে চুলায় ফোটান।
২. চায়না গ্রাস গরম পানিতে গুলে এর সঙ্গে সিএমসি দিন। ঠাণ্ডা হলে ডানো ক্রিম মেশান।
৩. এবার পাঁচ মিনিট বিট করে ফ্রিজে রাখুন। পাঁচ ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে আবার ১০ মিনিট বিট করুন।
৪. শেষে ডিমের সাদা অংশ দিয়ে বিটারে ফোম বানান। এর সঙ্গে অ্যাসেন্স দিয়ে আবার বিট করে ডিপ ফ্রিজে রাখুন।
৫. আইসক্রিম খাওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগে ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে নরমাল ফ্রিজে রাখুন।