Tuesday, August 31, 2010

শীতের সবজি দিয়ে থাই স্যুপ


উপকরণঃ
Maggi থাই স্যুপ - ১ প্যাকেট
গাজর কুচি - ১/৩ কাপ
ফুলকপি কুচি - ১/২ কাপ
সীম কুচি - ১/২ কাপ
বাধাকপি কুচি - ১/২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি - ১ টেবিল চামচ
টমেটো কুচি - ১/৩ কাপ
কাচা মরিচ কুচি - ৪ টি
সাদা গোলমরিচ গুড়া - ১/৩ চা চামচ
কচি পেঁয়াজ পাতা কুচি - ১/২ চা চামচ
রসুন কুচি - ১/২ চা চামচ
আদা কুচি - ১/২ চা চামচ
তেল - ২ টেবিল চামচ
লবন - স্বাদমতো
কর্ণফ্লাওয়ার - ১/২ চা চামচ

প্রণালীঃ

২ কাপ (৩৫০ মি.লি.) স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে Maggi স্যুপ পাঊডার গুলে নিন। এবার একটা পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন একটু ভেজে নিয়ে সব সবজি দিয়ে ৩ মিনিট ভাজুন। এখন ১/২ কাপ পানি দিন। সবজি সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে গুলানো স্যুপ ঢেলে দিন। এবার স্যুপের মিশ্রণটি ফুটে উঠলে ৪-৫ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন। পানিতে গুলানো কর্ণফ্লাওয়ার ঢেলে আরো ১ মিনিট নেড়ে নিন। এবার একটা ডিমের কুসুম ফেটিয়ে স্যুপে আস্তে আস্তে নাড়তে নাড়তে ঢেলে দিন। গোলমরিচ গুঁড়া দিন। এবার কুচি করা পেঁয়াজ পাতা ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ১ মিনিট রেখে নামিয়ে ফেলুন।

ধোঁয়া ওঠা গরম গরম থাই স্যুপ সাজিয়ে পুঁদিনা পাতা সহ পরিবেশন করুন।

শুকনো আলু (ভাজি)


উপকরণঃ

আলু ৩ টা (মাঝারী)
কাচা মরিচ ২ টা (ফালি করে কাটা)
আদা ১ ইঞ্চি কিউব পরিমাণ কুচানো (প্রায় ১ চা চামচ)
রসুন কুচি ১/২ চা চামচ
পেয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ
জিরা দানা ১/২ চা চামচ
ধনে গুড়া ১/২ চা চামচ
মরিচ গুড়া ১/৪ চা চামচ
লাল মরিচ ২ টা টুকরা করা
হলুদ গুড়া অল্প (পছন্দমতো, বেশী হলুদ হলে দেখতে ভাল লাগবে না)
তেল ১/২ কাপ (বা পরিমানমতো)
ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদমতো
পানি পরিমাণমতো (খুব সামান্য)


প্রণালীঃ

- আলু কেটে নিন- লম্বায় ১ ইঞ্চি, চওড়ায় ১/৪ ইঞ্চি করে (ছবিতে যেমন)। হালকা সিদ্ধ করুন লবণ দেয়া গরম পানিতে।

- পাত্রে তেল গরম করে এক এক করে প্রথমে জিরার দানা, তারপর- পেয়াজ কুচি, লাল মরিচ, আদা, রসুন দিন।

- সিদ্ধ কাটা আলু দিয়ে দিন, সেই সাথে হলুদ, মরিচ ও ধনে গুড়া দিন। ঢাকনা দিয়ে ৭-৮ মিনিট রান্না করুন অল্প আঁচে।

- রান্না হয়ে গেলে এবার ধনেপাতা কুচি দিন। নেড়ে আলুর সাথে ভাল করে মেশান, সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন যাতে আলুর টুকরা গুলো একটু ভেজা মনে হয়।

- লবণ দিয়ে আরো ৫-৬ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন।

- আলুতো আগেই সিদ্ধ করা ছিল, তাই খুব কম সময়ে রান্না হবে, এজন্যেই আচ কমিয়ে রাখা। খেয়াল রাখবেন যাতে আলু ভেঙ্গে না যায় আর হাড়ির তলায় লেগে না যায়। আলু হয়ে এলে নামিয়ে গরম গরম রুটি বা চাপাতির সাথে পরিবেশন করুন।

গরুর মাংসের ভূনা খিচুড়ি


উপকরণঃ

গরুর মাংস ১/২ কেজি
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
পোলাওর চাল ২ কাপ
রসুন বাটা ১ চা চামচ
মুগ ডাল ১/২ কাপ
মসুর ডাল ১/২ কাপ
পেয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ
ধনে বাটা ১ চা চামচ
এলাচ ২ টি
পানি ৬ কাপ
দারুচিনি ২-৩ টি
লং ২-৩ টি
লবণ পরিমাণমতো


প্রণালীঃ

চাল ও ডাল ধুয়ে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। মাংসে তেল ছাড়া বাকী সব উপকরণ মাখাতে হবে। হাড়িতে তেল গরম করে মশলা মাখানো মাংস দিয়ে দিন। ভালমতো কষানো হলে ১ কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ হতে দিন। মশলা থেকে মাংস তুলে অন্য পাত্রে রাখুন। মশলায় পানি ঝরানো চাল ও ডাল কষিয়ে ৬ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে আসলে কাচা মরিচ ও মাংস দিয়ে নেড়ে দমে রাখুন। হয়ে গেলে সালাদ ও আচার দিয়ে পরিবেশন করুন।

হাড়ি কাবাব


ঊপকরণঃ

হাড় ছাড়া গরুর মাংস – ১ কেজি
টক দই – দুই টেবিল চামচ
পেয়াজ বাটা – ১ কাপ
পেয়াজ কুচি – ২ টেবিল চামচ (ভেরেস্তা করার জন্য)
রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
কাচামরিচ বাটা – ১/২ চা চামচ
জয়ত্রী বাটা – ১/৪ চা চামচ
জায়ফল বাটা – ১/৪ চা চামচ
গোল মরিচের গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
জিরা বাটা – ১ চামচ
ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ
কাচামরিচ – ২ টা
চিনি – ১/২ চা চামচ
ভিনেগার – ১ টেবিল চামচ
তেল – দেড় কাপ
তেজপাতা – ২ টি
এলাচ – ৩ টি
দারুচিনি – ৪ টুকরা
লবংগ – ৪/৫ টি
স্বাদমতো লবন

প্রস্তুত প্রণালীঃ
হাড়ি কাবাব করতে হবে দুই ধাপে। ১ম ধাপে প্রস্তুতি পর্ব, মাংস মেরিনেট করে ২য় ধাপে রান্না করতে হবে।

১ম ধাপ -
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বাটিতে মাংসের টূকরাগুলোতে আস্ত কাচামরিচ আর ভিনেগার বাদে বাকী সমস্ত মশলা এবং অন্য উপকরণগুলো দিয়ে ভাল করে মেখে নিন মেরিনেট করার জন্য। মশলা মাখানো মাংস এ অবস্থায় ২ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন (ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না)। আরো বেশিক্ষন ধরে মেরিনেট করলে মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে।

২য় ধাপ –
রান্নার জন্য এবার হাড়িতে দেড় কাপ তেল দিয়ে গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে বাদামী করে ভেজে ভেরেস্তা করুন। ভেরেস্তা গুলো আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন পরে কাবাবের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে।

এবার হাড়িতে বাকি তেলের উপর মেরিনেট করা মাংস ছেড়ে দিয়ে খানিকক্ষন নাড়ুন। কয়েক মিনিট পরে আস্ত কাচামরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে দিন। নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে দিয়ে পাতিলে ঢাকনা তুলে দিয়ে চুলার আচঁ কমিয়ে দিন। এ অবস্থায় রান্না হয়ে মাংস সিদ্ধ হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিবেন। মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে আরেকবার নেড়ে দিন, এ অবস্থায় কিছুক্ষন দমে রাখুন। কিছুক্ষন পর মাংসের উপর তেল উঠে এলে কাবাবের হাড়ি চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। হাড়ি কাবাব তৈরি।

বাটিতে গরম হাড়ি কাবাব নিয়ে উপরে ভেরেস্তা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

কুচো আদায় মুরগী


ঊপকরণঃ
কিউব করা হাড় ছাড়া মুরগী'র মাংস - মাঝারী ২ বাটি
আদা কুচি - ১ টেবিল চামচ
রসুন কুচি - ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি - ১/২ কাপ
কিউব করে কাটা পেয়াজ - ২ টি
মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
ধনে গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস - বড় লেবু অর্ধেকটা
চিনি - ১/৪ চা চামচ (ডায়াবেটিক রোগী'র ক্ষেত্রে চিনি দিবেন না)
গরম পানি - ১ কাপ
লবন পরিমান মতো
সয়াবিন তেল - ১/২ কাপ
কাচা মরিচ - ৪ টা ফালি করা
টমেটো কুচি - ১ কাপ
কিউব করে কাটা টমেটো - ১ টি

এই রেসিপিটিতে সবজি দিলে এর স্বাদে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে। সবজি দিতে চাইলে অন্য সব উপকরণ ঠিক রেখে শুধু ১ বাটি মুরগীর মাংস (হাড় ছাড়া কিউব করা) এবং ১ বাটি সবজি দিতে হবে, যাতে করে মুরগী'র মাংস আর সবজি'র মোট পরিমান একই থাকে। তখন রেসিপিটিকে বলা যায় - "কুচো আদায় সবজি-মুরগী", অথবা "Chicken vegetable with ginger flakes"।

কি কি সবজি দিতে পারেন?

গাজর, ক্যাপসিকাম, আলু, সীম/বরবটি, ফুলকপি, বেগুন ইত্যাদি কিউব করে কাটা। সবজি'র টুকরা গুলো যেন মুরগী'র মাংসের সমান (প্রায়) কিউব হয়, নইলে দেখতে ভাল লাগবে না।

প্রণালীঃ
১। পরিমানমতো তেল ফ্রাইপেনে দিয়ে একটু গরম হলে রসুন কুচি দিন। নাড়তে থাকুন, এ সময় চুলার আচ কমিয়ে দিন। সোনালী রঙ হলে লবন ও পেঁয়াজ কুচি দিন, নাড়তে থাকুন।

২। পেঁয়াজ বাদামী রঙ হলে কিউব করা মাংস দিন, কিছুক্ষণ নাড়ার পর সামান্য পানি দিন মাংস সিদ্ধ হওয়ার জন্য। সবজি দিলে এ সময় সবজি দিতে পারেন। আগে আলু, গাজরের মত শক্ত সবজি গুলো দিবেন।

৩। মাংস আধা সিদ্ধ হলে মরিচ, হলুদ ও ধনে গুঁড়া এবং সামান্য পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে যেন মাংসে মশলা মিশে যায়। এ সময় অন্য সবজি গুলো দিয়ে দিতে পারেন। ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন, ঢাকনা তুলে মাঝে মাঝে নেড়ে দিবেন।

৪। মাংস কষানো হলে এবং সবজি প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে আদা কুচি ও কাচা মরিচ দিন। একটু নেড়ে দিন, খেয়াল রাখতে হবে বেশি বা জোরে নেড়ে যেন উপকরণ গুলো ভেঙ্গে না যায়।

৫। এবার লেবুর রস ও চিনি দিয়ে একটু নেড়ে দিন। এর মধ্যে সবজি পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে যাবে। নামানোর আগে ধনে পাতা ছড়িয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

৬। অন্য একটি কড়াইতে দুই চা চামচ তেল দিন, তেল গরম হলে কিউব করা পেঁয়াজের টুকরো গুলো তেলে ছেড়ে দিয়ে নাড়ুন। পেঁয়াজ খানিকটা ভাজা হয়ে বাদামী রঙের হলে কিউব টমেটো এবং সামান্য লবন দিয়ে নাড়ুন। এবার নামিয়ে নিন।

এবার পরিবেশন পাত্রে রান্না করা চিকেন ঢেলে তার উপর পেঁয়াজ ও টমেটোর কিউব গুলো ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রসভরি পিঠা


উপকরণঃ

ডিম - ৩ টি
সুজি - আড়াই কাপ
দুধ - ৪ কাপ
লবণ - ২ আঙ্গুলের ১ চিমটি
চিনি - ৪ কাপ
তেল- ৪ কাপ
পানি - ৮ কাপ
দারুচিনি - ৩ টা

প্রস্তুতপ্রণালীঃ

১ম পর্যায় - প্রথমে সুজি হালকা আগুনে ভেজে নিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে ।

২য় পর্যায় - একটি পাত্রে ফুটন্ত পানি ৮ কাপ চিনি ৪ কাপ দারুচিনি ৩ টুকরা দিয়ে জ্বাল দিন। এবার ৫ কাপ অনুযায়ী সিরা করতে হবে। এবার ৪ কাপ তরল দুধ দিয়ে নেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন।

৩য় পর্যায় - লবণ ও ডিম একসাথে ফেটিয়ে নিন। এবার ভাজা সুজি দিয়ে মাখান, হাত দিয়ে রসগোল্লার মত করে গরম ডুবো তেলে হালকা বাদামী রং করে ভেজে চুলায় বসিয়ে রাখা গরম সিরায় ছেড়ে দিন। একটি চামচ দিয়ে সিরায় ডুবিয়ে দিন। এভাবে ৫ মিনিট অল্প আঁচে চুলায় রাখুন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

ছিটা রুটি (ছিটা পিঠা)


উপকরণঃ

চালের গুড়া - ২ কাপ (এতে ১২-১৫ টি রুটি হতে পারে)
পানি - ৩ কাপ
ডিম - ১ টা ডিমের অর্ধেকটা ফেটানো
লবণ পরিমানমতো
তেল পরিমানমতো


প্রণালীঃ

- বাটিতে পরিমানমতো লবণ ও ৩ কাপ পানি দিন, ভাল করে মেশান। লবণ-পানি মিশে গেলে ২ কাপ চালের গুড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন ভাল করে। পাতলা মিশ্রণ তৈরী হবে।

- মিশ্রণটির সাথে ১ টি ডিমের অর্ধেকটা ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই অবস্থায় মিশ্রণটি ১৫ মিনিট রেখে দিন।

- ১৫ মিনিট পর একটি কড়াইতে তেলের প্রলেপ দিয়ে মিশ্রণটির মধ্যে হাত চুবিয়ে কড়াইতে ছিটা দিন, অর্থাৎ আঙ্গুল গুলো প্রলেপ দেয়া তেলের উপর ঝেড়ে নিন। এভাবে প্রতি রুটির জন্য ৩/৪ বার মিশ্রণটিতে হাত চুবিয়ে পরপর কড়ায়তে ছিটা দিন। চুলার আঁচ কমানো থাকবে। রুটি যেন পুড়ে না যায় খেয়াল রাখবেন। রুটি হয়ে গেলে আলতো করে তুলে নিন যেন না ভাঙ্গে। এমনিতেই রুটি খুব পাতলা হবে তাই ভেঙ্গে গেলে ভাল দেখায় না।

- এভাবে প্রতিবারে তেলের হালকা প্রলেপ দিয়ে ৩/৪ বার ছিটা দিয়ে পাতলা করে রুটি তৈরী করুন। রুটি গুলো যেন গরম থাকে এমন কিছুতে তুলে রাখুন পরিবেশনের আগে।

- মিশ্রণটি জমে যাওয়ার মতো হলে আবার ভালভাবে মিশিয়ে নিন, প্রয়োজন হলে আরেকটু পানি (সামান্য) মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নিতে পারেন, তরল হয়ে উঠবে।

- ছিটা রুটির সাথে গরম গরম ভূনা মাংস বা ঝোল মাংসের সহ পরিবেশন করুন, পছন্দ অনুযায়ী সালাদ হতে পারে।

জলপাইয়ের মিষ্টি আচার (২)


উপকরণঃ

জলপাই কেজি (একই আকারের হলে ভাল হয়)
শুকনা মরিচ ১২ টা মাঝারী সাইজের
মৌরি টেবিল চামচ
রসুন বাটা টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া টেবিল চামচ
জিরা গুঁড়া চা চামচের একটু কম
মিষ্টি জিরা চা চামচ
সরিষার গুঁড়া/বাটা টেবিল চামচ
লবন চা চামচ
চিনি কাপ
সরিষার তেল কাপ
পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ


প্রণালীঃ

- একই আকারের বেছে নেয়া জলপাই গুলো ভাল করে ধুয়ে এবার লিটার পরিমান পানিতে সিদ্ধদিতে হবে। মিনিট পরে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কোন কিছুতে সিদ্ধ করা জলপাই গুলোছড়িয়ে দিন, এতে জলপাইয়ের গায়ে লেগে থাকা পানি শুকিয়ে যাবে।

- এরপর বটি দিয়ে ফালি করে কাটুন সেদ্ধ করা জলপাই গুলো।

- পাতিলে তেল গরম করে এতে রসুন, সরিষা দিয়ে মিনিট কষাতে হবে। এবার কাটা জলপাইদিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন।

- ১০ মিনিট পরে হলুদের গুঁড়া মরিচের গুঁড়া দিয়ে নাড়ুন। জিরা, পাঁচফোড়ন চিনি দিয়ে অল্পআঁচে নাড়ুন। তেল খানিকটা উপরে উঠলে নামিয়ে নিন এবং একটি গামলায় (মেলামাইনের হলেভাল হয়) ছড়িয়ে দিন।

এবার কড়া রোদে থেকে ঘন্টা শুকাতে দিন, রোদে পানি টেনে নিয়ে আচার চটচটে হলেবৈয়ামে ভরে রাখুন। মাঝে মাঝে আচারের বৈয়াম রোদে দিতে পারেন আচার ভাল থাকবে।

সূত্রঃ ভূলু রেচিপি

Monday, August 30, 2010

টমেটোর চাটনী


কি কি লাগবেঃ

টমেটো - ৫ টা (মাঝারী সাইজের)
পেয়াঁজ কুচি - ১ টেবিল চামচ (যত কুচি করা যায় ভাল লাগবে দেখতে-খেতে)
শুকনা মরিচ - ৩ টা (ভেঙ্গে বা চটকে নিতে হবে)
ধনেপাতা কুচি - ১ চা চামচ (চাইলে আরো বেশি দিতে পারেন, যেমন আপনার পছন্দ)
লবণ পরিমাণমতো
সরিষার তেল - আধা চা চামচ (স্বাদ বাড়িয়ে দিবে নিঃসন্দেহে)

কিভাবে করবেনঃ

ধোয়া টমেটোগুলো প্রথমে টেলে (ভেজে) নিন গরম-শুকনো তাওয়া’র উপর দিয়ে, খেয়াল রাখবেন তাওয়া যেন খুব গরম হয়ে না ওঠে। টালা টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে টমেটোগুলো চটকে নিন। একটি বাটিতে পেয়াঁজ কুচি , শুকনা মরিচ , ধনেপাতা কুচি ও লবণ ভাল করে মেখে রাখুন। এবার বাটিতে মাখানো উপকরণেগুলোর সাথে চটকানো টমেটো মেশান, সরিষার তেল দিয়ে আরেকটু মেখে নিন, ভাল করে মিশে যাবে।

হয়ে গেলো টমেটোর চাটনী। কেমন লাগলো জানাবেন।

সূত্রঃ ভূলু রেসিপি

পান্না কোটা (পেস্ট্রি)


উপকরণ : মাখন ১ কেজি, চিনি ২৫০ গ্রাম, জেলেটিন ১২টি, ভ্যানিলা এসেন্স আধা টেবিল চামচ।

প্রণালী : প্রথমে ১০০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাখন গরম করতে হবে। এবার জেলেটিন নরম করে চিনি ও মাখনের মিশ্রণের সঙ্গে মেশাতে হবে। এর ফ্লেভার দিয়ে যেকোনো ফল মিশিয়ে তিন ঘন্টা পর পরিবেশন করুন।

সাদা চকোলেট মুজ


উপকরণ : ১ কিলোগ্রাম সাদা চকোলেট, টাটকা দুধ ২ লিটার, ১০০ গ্রাম জেলোটিন।

প্রণালী : চকোলেট ও জেলোটিন গরম করতে হবে এবং টাটকা দুধ ফেটিয়ে ক্রিম তৈরি করতে হবে। এরপর চকোলেট, জেলেটিন ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে সাদা চকোলেট মুজ তৈরি করা যেতে পারে। ছোট ছোট পাত্রে পরিবেশন করুন।

চকোলেট কেক


উপকরণ : মাখন ৭০০ গ্রাম, চিনি দেড় কেজি, ডিম ১২টা, তাজা দুধ দেড় লিটার, ময়দা ১২০০ গ্রাম, কোকো পাউডার ৪৫০ গ্রাম, বেকিং সোডা ৩০ গ্রাম।
গেনেচ : ফ্রেশ ক্রিম , কোলা, নরম মাখন। মাখন ও চিনি মিশিয়ে ফেটতে হবে, অল্প ক্রিমিভাব আনতে হবে। এরপর ডিম মিশিয়ে ময়দা, কোকো পাউডার ও বেকিং সোডা আগের মিশ্রণের সঙ্গে মেশান এবং ধীরে ধীরে তরল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। তৈরি হলো কেক। যেকোনো আকারে তৈরি করে ওভেনে দিন। ১৮০০ সে. ৪৫-৫০ মিনিট পর দেখতে হবে হয়েছে কিনা। তারপর ঠান্ডা হলে তৈরি হলো কেক।
গেনেচ : ক্রিম, মাখন গরম করতে হবে এবং চকোলেট গলাতে হবে, তারপর ক্রিম, মাখন ও চকোলেট মিশিয়ে ফেটতে হবে। তারপর নরমাল তাপমাত্রায় এক দিন রাখতে হবে। শক্তভাব হলে কেকের ওপর দিয়ে দিতে হবে। পূর্ণাঙ্গ চকোলেট কেকে পরিণত হবে। এবার পরিবেশন করা।

অপেরা স্লাইস


উপকরণ : বাদাম সোয়া কেজি, চিনি ১১০০ গ্রাম, ডিম ৫৬টি, ময়দা ২০০ গ্রাম, কর্নফাওয়ার ১০০ গ্রাম, ভ্যানিলা ফেভার ১ টেবিল চামচ, মাখন ১ কেজি, নেসক্যাফে পাউডার ১৫০ গ্রাম।

প্রণালী : ডিমের সাদা অংশের (২৬টি) সঙ্গে ১০০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে ফেটতে হবে। এটাকে ক্রিমের মতো করে রেখে দিন। আবারও চিনি (১ কেজি), ডিম (৩০টি) একসঙ্গে ফেটতে হবে, এরপর ক্রিমের মতো হলে কাঠবাদাম, ময়দা, ভ্যানিলা, কর্নফাওয়ার মেশান এবং আগের মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে এতে যেকোনো পছন্দের আকৃতি দিয়ে ওভেনে ২০০০ সে. ৫/১০ মিনিট রাখতে হবে। ঠান্ডা করে কফি ক্রিম তৈরি করুন, প্রতি স্তরে স্তরে কফি ক্রিম দিয়ে, চকোলেটের আস্তর দিয়ে ইচ্ছামতো পরিবেশন করুন।

আপেল পাই


উপকরণ ১ : সবুজ আপেল ৩ কেজি, ময়দা ১৫০ গ্রাম, চিনি ৪৫০ গ্রাম, লবণ ১৫ গ্রাম, এলাচ ১৫ গ্রাম, জায়ফল ১৫ গ্রাম, মাখন ১৫০ গ্রাম, পাইয়ের জন্য ২টি।
উপকরণ ২ : পাইয়ের জন্য চিনি ২৫০ গ্রাম, মাখন ২৫০ গ্রাম, ডিম ২৫০ গ্রাম, দুধ ২৫০ মিলিমিটার, ময়দা ১২৫০ গ্রাম।

প্রণালী :
ফিলিং : আপেলগুলো ছিলে কেটে নিন। আপেল টুকরা করে মাখন ও চিনি দিয়ে রান্না করুন। এর সঙ্গে লবণ, এলাচ ও জায়ফল দিন। নরম হয়ে এলে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপক্ষা করতে হবে। তৈরি হয়ে গেল আপেলের ফিলিং।
ডোর : মাখন চিনি দিয়ে ফেটতে থাকুন। যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রিমে পরিণত না হয়, পরে এর সঙ্গে একটি একটি করে ডিম দিয়ে ফেটতে থাকুন, এতে ময়দা ও দুধ দিন। ভালোভাবে মিশিয়ে ডো তৈরি করে ছোট ছোট করে ভাগ করে নিন। পরে এতে স্বচ্ছ রেপিং পেপার দিয়ে ডোগুলো পেঁচিয়ে নিন। কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। পেঁচানো ডোগুলো ৪ সেন্টিমিটার পুরু করতে হবে। পরে পাই মোল্ডে ডো রাখুন। এতে ১ নম্বর উপকরণগুলো দিয়ে দিন। পরে আবার ডো দিয়ে ঢেকে দিন। এতে ফেটানো ডিমের প্রলেপ দিন। ১৮০০ ফারেনহাইটে তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বেক করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত সোনালি না হয়।

চকোলেট লগ


উপাদান :
চকোলেট স্পঞ্জ কেক, চকোলেট ট্রুফল, চকোলেট ফ্লেক্স।
স্পঞ্চ রোল : ডিম ৬টি, চিনি ১৫০ গ্রাম, ময়দা ১৫০ গ্রাম, বেকিং পাউডার ৫ গ্রাম।

পদ্ধতি :
ডিম এবং চিনি হুইস্ক দিয়ে ভালোভাবে বিট করে পরিমাণমতো ফোম করতে হবে। তারপর ময়দা, বেকিং পাউডার, কোকাপাউডার একসাথে মিশিয়ে চিনি এবং ডিমের ফোমের সাথে ভালো করে মেশাতে হবে। আস্তে আস্তে, যাতে করে ফোম বসে না যায়। ওয়েল ওয়াশ করা কাগজ লাগানো বেকিং ট্রেতে মিকশ্চার ঢেলে ২২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেক করতে হবে। সময় ৫ থেকে ৬ মিনিট।

বড়দিনের ঘণ্টা বিস্কুট


উপকরণ :
মাখন ১৮৫ গ্রাম, চিনি এক কাপ, ডিম হালকা ফেটানো একটা, ময়দা উঁচু উঁচু আড়াই কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স এক চা চামচ।

প্রণালী :
মাখন, চিনি ও এসেন্স খুব করে বিট করে হালকা ও ফাঁপানো হয়ে উঠলে ডিম দিয়ে বিট করতে হবে। ময়দা মিলিয়ে ডো বানিয়ে ৪৫ মিনিট নরমাল ফ্রিজে রেখে পরে বেলতে হবে। ডবল পলিথিন দিয়ে ডো বেলে বেল ও ট্রির আকৃতিতে কেটে গ্রিজড করা বেকিং ট্রেতে সেট করে বেক করতে হবে। মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট বেক করতে হবে। পরে ঠান্ডা হলে সাজিয়ে পরিবেশন।

ফল বাদামে কেক


উপকরণ :
বাটার বা বাটার অয়েল ১০০ গ্রাম, ময়দা এক কাপ, কোকো পাউডার দুই টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, বেকিং সোডা আধা চা চামচ, দারচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, ক্যারামেল সিরাপ আধা কাপ, ডিম দুটো হালকা ফেটানো, ঘন দুধ আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, বাদাম ও ফলের মিশ্রণ (মিক্সড ফ্রুটস অ্যান্ড নাট) ২০০ গ্রাম, ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ।

প্রণালী :
ময়দা, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা ও দারচিনি গুঁড়া একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। বাটার, চিনি, ডিম একসঙ্গে বিট করে নিতে হবে খুব ভালো করে। ক্যারামেল সিরাপ দিয়ে বিট করে ময়দার মিশ্রণ, দুধ ও এসেন্স দিয়ে বিট করে হালকা হাতে ড্রাই ফ্রুটস ও নাট মিলিয়ে গ্রিজড করা (সাত ইঞ্চি গোল প্যানে) ঢেলে বেক করতে হবে। প্রিহিটেড ওভেনে মাঝারি আঁচে এক ঘন্টা। প্রয়োজনে সময় কমবেশি লাগতে পারে।

বুড়ো কেক


উপকরণ :
ডিম পাঁচটা, আইসিং সুগার আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স এক চা চামচ, বাটার অয়েল গলানো দুই টেবিল চামচ, ময়দা আধা কাপ, গুঁড়া দুধ দুই টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ।

প্রণালী :
ময়দা, গুঁড়া দুধ ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। গামলায় ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম আলাদা করে নিন। সাদা অংশ ফেটে ফোম তৈরি করে আইসিং সুগার দিয়ে আবার ফেটে ডিমের কুসুম ও এসেন্স মিলিয়ে নিতে হবে। আলতো হাতে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে গ্রিজড প্যানে মিশ্রণ ঢেলে বেক করতে হবে মাঝারি আঁচে ৩০-৩৫ মিনিট। বেক করা কেক ঠান্ডা হওয়ার পর সান্তা ক্লজ ও ক্রিসমাস স্টকিংয়ের শেপে কেটে বিভিন্ন রঙের স্কট ক্রিম দিয়ে সাজাতে হবে।
স্টক ক্রিম:
মাখন ৪০০ গ্রাম, আইসিং সুগার ১০০ গ্রাম, ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ-সব একসঙ্গে বিট করে ক্রিম বানাতে হবে।

ক্রিসমাস মক্কা ক্রিম


উপকরণ:
কেকের জন্য ৪০০ গ্রাম চালানো ময়দা, ১০০ গ্রাম গুঁড়ো বাদাম, ৫০০ গ্রাম চিনি, ৫০০ গ্রাম নরম মাখন, ১৬টি ডিম, ১ চা চামচ ভ্যানিলা নির্যাস।

প্রণালী :
ডিমের সঙ্গে চিনি এবং নরম মাখন ধীরে ধীরে মেশান, সাদা করুন। এরপর ময়দা ও গুঁড়ো বাদাম মেশান যতক্ষণ না পর্যন্ত সম্পূর্ণ মিশে যায়। এবার গ্রিজ করা সমান ট্রেতে ঢেলে (গ্রিজরোধক কাগজ পেতে নিলে ভালো) ২৫০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় ১০ মিনিট রাখুন যতক্ষণ না পর্যন্ত মিশ্রণটি বাদামি রঙ ধারন করে। এবার ঠাণ্ডা হতে দিন| সান্তা ক্লজের অনুযায়ী ক্রিসমাস গাছ কাটুন এবং গাছের আকৃতি করুন। মাখনের ক্রিমের জন্য ৫০০ গ্রাম মাখন, ২৫০ গ্রাম চিনি, ২ চা চামচ কফি পাউডার। সান্তা ক্লজের মতো করে গাছটি অর্ধেক করে কাটুন এবং মিশ্রণে শুকনো ফলের টুকরো ও আধা মক্কা ক্রিম মেশান গাছটি মিশ্রণ দিয়ে ঢাকুন এবং রঙিন মাখন মিশিয়ে তৎক্ষণাৎ পরিবেশন করুন।

ইফতারিতে মিষ্টি স্বাদ- ফালুদা


ইফতারিতে ঝাল আইটেমের পাশপাশি মিষ্টির কদরও কম নয়। স্বাদে ভ্ন্নিতা আনতে চাই মিষ্টি আইটেম। আজ জেনে নিন দুটি রেসিপি।

ফালুদা

যা যা লাগবে

নুডলস, জেলি, দুধ, আইসক্রিম, চিনি, বরফ, বাদাম, কাঠ বাদাম।

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে নুডলস তৈরি করে নিতে হবে। তারপর পরিমাণমতো দুধ, আইসক্রিম, চিনি, বরফ, বাদাম ও কাঠ বাদাম নিয়ে ব্লেন্ডারে মিশ্রণ করতে হবে। পরে সবগুলোর মিশ্রণ ও নুডলস দিয়ে আপনার পছন্দের রঙের জেলি দিয়ে পরিবেশন করুন।

কুলফি

যা যা লাগবে

দুধ : ১ কেজি, পেস্তা বাদাম : ২ টেবিল চামচ, চিনি : ১ কাপ, চকো পাউডার : আধা চা চামচ, লবণ : ১ চিমটি, স্ট্রবেরি জেল : ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

দুধ অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে ঘন করুন; চকো পাউডার ও চিনি মিশিয়ে ফুটান। নামিয়ে জাফরান, পেস্তা বাদামের কুচি মিশিয়ে ঠাণ্ডা করুন; কুলফির ছাঁচে ঢেলে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। জমে গেলে পরিবেশন করুন; নানা রং করতে চাইলে আলাদাভাবে রং মিশিয়ে ছাঁচে ঢালতে হবে।

Saturday, August 28, 2010

পালং মুরগি


যা যা লাগবে :
মুরগির বুকের মাংস ৩০০ গ্রাম, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, পালংশাক ৫০০ গ্রাম, লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালী
প্রথম পর্যায়
মুরগির মাংস ছোট ছোট টুকরো করে ভালোমতো ধুয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল দিয়ে মাংসগুলো হালকা করে ভেজে নিন।
দ্বিতীয় পর্যায়
বাকি তেলে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার পানি দিয়ে মাংসগুলো ঢেলে কষান।
তৃতীয পর্যায়
১০ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। পালংশাক ২ ইঞ্চি পরিমাণ টুকরো করে মাংসের উপর ছড়িয়ে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আমের রসে বেগুন ভাজা


উপকরণ : ৮/১০টা ছোট আকারের বেগুন বোটাসহ, আমের রস দুই টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য, হলুদ গুড়া এক চা চামচ, আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ বাটা এক চা চামচ।

প্রণালী : বেগুন লম্বা লম্বা করে এমনভাবে কাটুন যাতে বোটা থেকে ঝরে না পরে। তারপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তাতে লবণ, আমের রস ও মশলাগুলো দিয়ে মেখে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। গরম তেলে অল্প আঁচে ঢেকে ঢেকে ভাজুন এমনভাবে যেন বেগুন বোটা থেকে খুলে না আসে। এখন তা গরম ভাত বা পোলাউর সাথে পরিবেশন করুন।

ভুনা খিচুড়ি (২)


উপকরণ : পোলাওর চাল ২০০ গ্রাম, ভাজা মুগ ডাল ১০০ গ্রাম, রসুন ও আদা বাটা দুইচা চামচ, আদা, গরম মসলা (দারুচিনি, এলাচ), কয়েকটা তেজপাতা, ২টা পেঁয়াজ বেরেস্তা, ঘি দুই টেবিল চামচ, তেল এক কাপ, লবণ, চিনি, স্বাদ মতো, কাঁচামরিচ ৪-৫টি এবং পানি পরিমাণ মতো।

প্রণালী : হাঁড়িতে তেল দিন। এতে আস্ত গরম মসলা, তেজপাতা দিন। পোলাওয়ের চাল, ভাজা ও সেদ্ধ করে রাখা মুগডাল দিন। ভাজা ভাজা হলে অর্ধেক পেঁয়াজ বেরেস্তা ও আদা-রসুন বাটা দিন। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। যদি এক কাপ চাল ও ডালের মিশ্রণ হয় তবে দেড় কাপ পানি দিতে হবে। নামানোর আগে কাঁচামরিচ, লবণ ও পেঁয়াজের বেরেস্তা দিন। এই খিচুড়ি পোলাওয়ের মতো ঝরঝরে হবে। উপরে ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

রূপচাঁদা ভুনা


উপকরণ : মাছ ১টা বড়, পেঁয়াজ বাটা ৩টি, আদা (বাটা) ১৫ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৪-৫টা, শুকনা মরিচ (গুঁড়া) এক চা চামচ, পাতিলেবুর রস ২ চা চামচ, গরম মসলা আন্দাজমতো, ঘি আন্দাজ মতো, লবণ আন্দাজ মতো।

প্রণালী : মাছ ধুয়ে তাতে লবণ, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়া, লেবুর রস, আদা বাটা দিয়ে মেখে রাখুন, কড়াইতে দুই টেবিল চামচ তেল দিন। তেল গরম হলে দারুচিনি দুই টুকরা দিয়ে দিন, মাখা মাছ কড়াইয়ে দিন কিছুক্ষণ পর উল্টে দিন। কাঁচামরিচ ছড়িয়ে দিন। মাছের দুই দিক ভাজা হয়ে গেলে গরম মসলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। ৫ মিনিট পর ঘি দিয়ে নামান।

খোসাসহ আমের আচার


উপকরণ : দুই বাটি টুকরো কাঁচা আম। হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, সরিষা বাটা এক চা চামচ, চিনি আধা কাপ, লবণ দুই চা চামচ, পাঁচফোড়ন এক চা চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, সিরকা দুই টেবিল চামচ, সরিষার তেল এক কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী : একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন ভেজে তাতে একে একে রসুন বাটা, মরিচ, হলুদ, লবণ ও একটু সিরকা দিয়ে কষিয়ে নিন। কাঁচা আমগুলো ঢেলে ৫ মিনিট কষিয়ে চিনি দিয়ে অল্প আঁচে ৩০ মিনিট সিদ্ধ হতে দিন। আমগুলো সেদ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠে এলে তা নামিয়ে ঠাণ্ডা করে বয়ামে তুলে রাখুন।

চুসি পায়েস


উপকরণ : হাতে কাটা ময়দার চুসি আধা কাপ, দুধ ১ কেজি, চিনি ২৫০ গ্রাম, ঘি আন্দাজমতো, এলাচ ২টা।

প্রণালী : কড়াইতে সামান্য ঘি দিয়ে হালকা করে চুসি ভেজে নিতে হবে। দুধ চুলায় দিতে তার সঙ্গে চুসি দিয়ে মৃদু জ্বালে ফোটাতে হবে। চুসি সেদ্ধ হয়ে এলে এতে চিনি দিয়ে দিন। ঘন হয়ে এলে এলাচ দিয়ে সামান্য ফুটিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

নারিকেল চিংড়ি ঝুরঝুরি


উপকরণ : চিংড়ি ৬টা (মাঝারি), নারিকেল কোরা ১ ফালি, আস্ত গরম মসলা সামান্য, কাঁচামরিচ ৩-৪টা, আদা বাটা ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টা, শুকনা মরিচ ২টা, কালো জিরা সামান্য, চিনি আধা চা চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী : চিংড়ি ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। চিংড়ি, নারিকেল কোরা,আদা লবণ, কাঁচামরিচ একসঙ্গে ১ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এবার হালকা করে বেটে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে গরম মসলা, শুকনো মরিচ, তেজপাতা, কালো জিরা ফোড়ন দিন। বাটা নারিকেল চিংড়ি দিয়ে সামান্য কষিয়ে শুকিয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ত্রিকোণ বাঁধাকপি ভাজা


উপকরণ : বাঁধাকপি, বেসন, লবণ।

প্রণালী : মাঝারি আকারের বাঁধাকপি চার টুকরো করে কেটে কোনাগুলো বাদ দিতে হবে। এবার ১ আঙুল সমান চওড়া করে কেটে নিয়ে টুথপিক দিয়ে দুই দিক আটকে নিন। কাটা টুকরোগুলো লবণ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে বেসন গুলে তাতে ডুবিয়ে ডোবা তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।

চাটনি


উপকরণ : চালতা ১টা, টমেটো ৪টা, চিনি ২ কাপ, লবণ স্বাদমতো, আদাকুচি আধা চাচমচ, মৌরি সামান্য, কিসমিস সামান্য।

প্রণালী : চালতা কেটে সেদ্ধ করে পানি ফেলে থেঁতরে নিতে হবে। কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে আদাকুচি ছেড়ে হালকা ভেজে এতে চালতা, টমেটো, লবণ, সামান্য হলুদ দিয়ে ১ মিনিট কষাতে হবে। এবার ২ কাপ চিনি এবং ১ কাপ পানি দিয়ে ফোটাতে হবে। ঘন হয়ে এলে এতে কিসমিস দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

কাজু পোস্তে পাবদা


উপকরণ : মাছ ৬টা, কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ৩-৪টা, আদা বাটা ১ চা চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিলচামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।

প্রণালী : মাছ হলুদ লবণ মেখে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তেলে একে একে আদা, কাজু, পোস্ত, কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে কষাতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে তেল উঠে এলে তাতে সামান্য পানি দিয়ে ফুটিয়ে মাছ ছেড়ে দিতে হবে। ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে সামান্য চিনি ও আস্ত কাঁচামরিচ ছেড়ে দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

তিন পদের মিশেলে


মুলা বটি

উপকরণ : মুলা আধা কেজি, আরু বড় ২টা, আদা ১ চা চামচ, জিরা ১ চা চামচ, চিনি, কালোজিরা, মটর ডাল ২০ গ্রাম (বড়া বানাতে হবে), নারিকেল কোরা ২ টেবিলচামচ।

প্রণালী : মুলা কুরিয়ে নিন। আলু ছোট ছোট করে কেটে ভেজি নিন। ডাল ভিজিয়ে বেটে ছোট ছোট বড়া তৈরি করুন। কড়াইতে তেল দিয়ে এতে কালো জিরা, তেজপাতা, আস্ত গরম মসলা (সামান্য) ফোড়ন দিন। এবার আদা বাটা, নারিকেল কোরা, জিরা বাটা, লবণ, হলুদ দিয়ে সামান্য কষিয়ে মুলা দিতে হবে। মুলা সেদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠে এলে এতে বড়া এবং ভাজা আলু মেশাতে হবে। সামান্য ঘি ও চিনি দিয়ে নামাতে হবে।

শজনে বড়ি মুগ ডাল

উপকরণ : ২৫০ গ্রাম মুগ ডার, শজনে বাটা ২৫০ গ্রাম, বড়ি ৮-১০টা, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, হলুদ আধা চা চামচ, আস্ত জিরা সামান্য, তেজপাতা ১টি, লবণ চিনি।

প্রণালী : মুগ ডাল খালি কড়াইতে ভেজে ধুয়ে সেদ্ধ করতে হবে। আধাসেদ্ধ হলে নামাতে হবে। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে বড়ি ভেজে তেজপাতা আস্ত জিরা ফোড়ন দিন। আদা, জিরা বাটা, হলুদ, লবণ, শজনে দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন। বড়ি, ডাল দিয়ে ঢাকনা দিন। মাখা মাখা হলে কাঁচামরিচ, চিনি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

নারিকেল দুধে লাবড়া

উপকরণ : নানা রকম সবজি আধা কেজি, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা ১ চা চামচ, হলুদ আধা চা চামচ, নারিকেলের দুধ ১ কাপ, চিনি, লবণ, কাঁচামরিচ, ঘি সামান্য।

প্রণালী : কড়াইতে তেল দিয়ে তেজপাতা, কালো জিরা ফোড়ন দিয়ে সবজি দিতে হবে। এতে বাটা মসলা দিয়ে হালকা জ্বালে ঢাকনা দিয়ে ভালোমতো কষাতে হবে। সবজি-মসলা কষানো হলে নারিকেলের দুধ দিয়ে হালকা জ্বালে শুকিয়ে নিতে হবে। কাঁচামরিচ, চিনি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ঝাল টমেটো রুই


উপকরণ : রুই মাছ ৬ টুকরা, টমেটো বড় ২-৩টা, আস্ত মরিচ বাটা দেড় টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, মেথি সামান্য, তেজপাতা, ধনেপাতা।

প্রণালী : মাছ হালকা করে ভেজে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে মেথি ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। এবার সব মসলা ও টমেটো দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে মাছ দিয়ে অল্প আঁচে আরও সামান্য কষাতে হবে। কষানো হলে আধা কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিন, মাছ সেদ্ধ হয়ে ঝোল শুকিয়ে এলে সামান্য চিনি দিয়ে কাঁচামরিচ ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

লুচি


উপকরণ : ময়দা ২ কাপ, তেল বা বাটার অয়েল ২ টেবিল চামচ। মাখার জন্য প্রয়োজনমতো দুধ, লবণ ১ চিমটি, খাওয়ার সোডা ১ চিমটি।

প্রণালী : ময়দার লবণ, খাওয়ার সোডা, বাটার অয়েল বা তেল দিয়ে ময়ান করে নিতে হবে। এবার দুধ দিয়ে ভালোভাবে ময়দা মেখে লেচি কেটে নিন। ছোট রুটির মতো গোল করে বেলে নিয়ে ডোবা তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।

টমেটোয় মিষ্টি আলু


উপাদান : টমেটো আধা কেজি, মিষ্টি আলু ২৫০ গ্রাম, কিসমিস ৫০ গ্রাম, আলুবোখারা ৫০ গ্রাম, চিনি স্বাদমতো, আদাকুচি ১ চা চামচ, মৌরি আধা চা চামচ, হলুদ ১ চিমটি, তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রস্তুতি : মিষ্টি আলু খোসা ছাড়িয়ে চাকা করে এবং টমেটো টুকরা করে কেটে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে মৌরি ফোড়ন দিতে হবে। এতে আদাকুচি দিয়ে সামান্য ভাজতে হবে। টমেটো, আলু, কিসমিস, আলুবোখারা সব দিয়ে হলুদ লবণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। টমেটো নরম হয়ে এলে চিনি দিতে হবে। ঘন হয়ে এলে নামাতে হবে।
টিপস : ঠাণ্ডা পরিবেশন করতে হবে। চিনি পরিমাণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে অতিরিক্ত মিষ্টি হয়ে না যায়

সজনে বড়ি মাছের ঝোল


উপাদান : রুই মাছ ৫ টুকরো, ডালের বড়ি ১০টি, সজনে ডাঁটা ২৫০ গ্রাম, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরেবাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, মরিচগুঁড়ো ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, আস্ত মেথি আধা চা চামচ, তেজপাতা ২/৩টি।

প্রস্তুতি : কড়াইতে তেল দিয়ে বড়ি ভেজে তুলে নিতে হবে। মাছ ভেজে নিতে হবে। সেই তেলেই তেজপাতা, মেথি ফোড়ন দিয়ে এতে সাজনা ডাঁটা দিয়ে ভাজতে হবে হালকা আঁচে। ভাজা হয়ে গেলে সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে ২ কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে একে একে মাছ, বড়ি দিতে হবে। লবণ স্বাদমতো দিতে হবে। নামানোর আগে কাঁচামরিচ, ধনেপাতা দিয়ে নামাতে হবে।
টিপস : মেথি ফোড়নের পরিবর্তে পেঁয়াজ দিয়েও রান্না করা যায়।

চিংড়ি মুগের ডাল


উপাদান : চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম (মাঝারি), মুগডাল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়ো আধা চা চামচ, মরিচগুঁড়ো আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, ধনেপাতা কুচি, তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রস্তুতি : শুকনো কড়াইতে মুগডাল ভেজে নিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। অন্যদিকে কড়াইতে তেল দিয়ে চিংড়ি হালকা ভেজে উঠিয়ে নিতে হবে। ওই তেলে পেঁয়াজ তেজপাতা দিয়ে হাল্কা ভেজে তাতে আদা বাটা, জিরা বাটা, হলুদ, মরিচ দিয়ে কষাতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে ডাল, চিংড়ি দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। নামানোর আগে কাঁচামরিচ, ধনেপাতা দিতে হবে।
টিপস : ডাল যেন অতিরিক্ত সিদ্ধ না হয়ে যায়। ডালটি ঘন পরিবেশন করাই ভাল।

নির্ভেজাল শুক্তো


উপাদান : উচ্ছে বা করলা ছোট দুটো, কাঁচা পেঁপে ১০০ গ্রাম, কুমড়া ১০০ গ্রাম, কাঁচাকলা ১টি, বেগুন ১টি, বরবটি ৮-১০টি, শিম ৮-১০টি, শিমের বীচি কাঁচা অথবা শুকনো ৫০ গ্রাম, সর্ষেবাটা ৫০ গ্রাম, সাদা সর্ষে ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়ো আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রস্তুতি : করলা বা উচ্ছে চাক করে কেটে আলাদাভাবে ভেজে নিতে হবে এবং বাকি সবজি ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে সাদা সর্ষে ফোড়ন দিতে হবে। সর্ষে ভাজা হলে এতে আদা বাটা দিয়ে, সবজি দিয়ে এতে একে একে হলুদ, লবণ দিয়ে ঢিমে আঁচে ভাজতে হবে। সবজি নরম হয়ে এলে আধাকাপ পানিতে সর্ষে বাটাগুলো সবজিতে দিতে হবে এবং ভেজে রাখা করলা দিয়ে দিতে হবে। সবজি রান্না হয়ে গেলে নামানোর আগে চিনি দিতে হবে।
টিপস : করলা বা উচ্ছের পরিবর্তে হেলনচা শাক বা গিমা শাক ব্যবহার করা যায় এবং সর্ষে ফোড়নের পরিবর্তে রসুনও ব্যবহার করা যায়।

লেটুস পোস্ত তপসে ভাজা


উপাদান : তপসে মাছ ৫টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, পোস্ত ২০০ গ্রাম, লবণ স্বাদমতো, টেস্টিংসল্ট আধা চা চামচ, বেসন ২ টেবিল চামচ।

প্রস্তুতি : মাছ ধুয়ে পোস্ত ও বেসন ছাড়া বাকি উপকরণগুলো মেখে ঘন্টা তিনেক ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। আলাদা পাত্রে লবণ দিয়ে বেসন গুলে রাখতে হবে। পরিবেশনের আগে মাছ বেসনে মাখিয়ে পোস্তের ওপর গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে হালকা আঁচে। তাজা লেটুস পাতা মুড়িয়ে পরিবেশন করুন।
টিপস : পোস্ত সব সময় ধুয়ে শুকনো করে রাখাই ভাল।

আনারস এর জুস


যা যা লাগবে :
আনারস ১টি (বড় সাইজের), ব্রাউন সুগার আধা কাপ, চিনি সস ২ টেবিল চামচ, বরফ কুচি পছন্দমতো।

প্রস্তুত প্রণালী
প্রথম পর্যায়
আনারস কুচিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে তার মধ্যে ব্রাউন সুগার ও পানি দিন।
দ্বিতীয় পর্যায়
কিছু আনারস টুকরো করে পাত্রে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

বেল দই লাচ্চি


যা যা লাগবে :
বেল আধা কাপ, মিষ্টি দই ১ কাপ, চিনি ৪ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, বরফ ১ কাপ, পানি ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী
প্রথম পর্যায়
সব উপাদান একসঙ্গে মিলিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

জাম্বুরার শরবত


যা যা লাগবে :
জাম্বুরা ১টা (বড়), চিনি ৪ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, পানি ৪ কাপ, বরফ কুচি ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী
প্রথম পর্যায়
জাম্বুরা ছিলে নিতে হবে। কোষ বের করে সবকিছু ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়
ছেঁকে পরিবেশন করতে হবে।

বিউটিফুল বিটলবণ


উপাদান :
(এক গ্লাসের জন্য) অল্পমিষ্টি দই, দুই টেবল চামচ বরফকুচি, এক মুঠো ক্রাশড আইচ; বিটলবণ গুড়ো এক চিমটি, পানি পরিমাণমতো।

প্রণালী :
একটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে দই, পানি এবং বিটলবণ একসাথে বেশ ভাল মতো ব্লেন্ড করে নিন। স্বচ্ছ লম্বা গ্লাসে বরফকুচি দিন। গ্লাসে ব্লেন্ডটা ঢেলে দিন। নিমিষেই বরফের ফাঁক দিয়ে একটু একটু করে গলে নেমে আসতে থাকে লস্যি। স্ট্র দিন। পরিবেশনের জন্য বিউটিফুল বিটলবণ প্রস্তুত।

শাহী লেমনেড


উপাদান :
(এক গ্লাসের জন্য) লেমন সিরাপ দুই টেবল চামচ, লেবু দুই ফালি, গোলাপজল দুই ফোঁটা, বরফকুচি একমুঠো, পানি আধা গ্লাস, চাক করে কাটা লেবুর ফালি অথবা লেমন গ্রীন্ড।

প্রাক প্রস্তুতি :
একলিটার পানিতে চারশ’ গ্রাম চিনি দিয়ে জাল দিতে হবে। মিশ্রণ অর্ধেক মতো হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে দুই টেবল চামচ লেমন স্কোয়াশ ও দুই চিমটি লেমন গ্রীন্ড মিশিয়ে আবারও মাঝারি আঁচে জাল দিতে হবে। পাঁচ মিনিট পরে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। হয়ে গেল লেমন সিরাপ।

প্রণালী :
লেমন সিরাপ, লেবুর রস এবং পানি একটি পাত্রে বেশ ভাল মতো মিলিয়ে নিয়ে গ্লাসে ঢালতে হবে। গ্লাসের তিন চতুর্থাংশ ভরে গেলে এর উপরে দিতে হবে লেবুর স্লাইস অথবা লেমন গ্রীন্ড। এক মুঠো বরফ শরবতটিতে দিয়ে ওপরে গোলাপ জলটুকু ঢেলে দিন। আপনার শাহী লেমনেড রেডি টু সার্ভ।

সায়েব বাজারের ‘ফেলুদা’


উপাদান :
(এক বাটির জন্য) সেদ্ধ নুডুল ১০ স্টিক, সাগুদানা সেদ্ধ তিন টেবল চামচ, দুধের ঘনমালাই আধা কাপ, ফলের কুচি আধা কাপ, (আপেল, কলা, আনার, খোরমা, আঙুর, চেরী ও কমলা) কিসমিস, পেস্তা, কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, বরফকুচি একমুঠো।

প্রণালী :
পরিবেশনের বাটিতে নুডুলস, সাগুদানা ও বরফকুচি দিয়ে এর উপরে মালাই ঢেলে দিতে হবে। ওপরে ছড়িয়ে দিন বাদাম ও ফলের কুচি। প্রস্তুত সায়েব বাজারের ‘ফেলুদা।’

জিরা পানি


উপকরণ:
জিরা টালা গুঁড়া ১ চা চামচ, আখের গুড় ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, পানি ১ কাপ, তেঁতুলের ক্বাথ ২ চা চামচ, লেবুর রস ২ চা চামচ।

প্রনালি:
১। আখের গুড় ও চিনি পানিতে গুলে নাও। গুড়ের পানিতে তেঁতুলের ক্বাথ ও লেবুর রস মিশিযে ছেঁকে নিন।
২। জিরার গুঁড়া মিশান। জিরা মিশাবার ১০ মিনিট পর ইচ্ছা হলে আবার ছেঁকে নিতে পারেন তবে জিরা দেওয়ার পর ছাঁকলে জিরার গন্ধ কমে যায়। ২ পরিবেশন।

বিয়ের সরবত


উপকরণ:
দুধ ১ লিটার, জাফরান ১/২ চা চামচ, বাদাম বাটা ১/৪ কাপ, চিনি ১ কাপ, দুধের সর ১/২ কাপ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, পেস্তাবাদাম কুচি ১/৪ কাপ।

প্রনালি:
১। দুধ জ্বাল দিয়ে ৩-৪ বার ফুটলে নামান। নেড়ে নেড়ে ৮-১০ মিনিট পরে জাফরান মিশান। ঠান্ডা করে রেফ্রিজারেটরে রাখুন।
২। দুধ ঠান্ডা হলে চিনি ও বাদাম মিশান।
৩। দুধের সর ফেটে সরবতে দিন। গোলাপজল ও পেস্তাবাদাম মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখুন। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন। ১০ পরিবেশন।

Friday, August 27, 2010

ঠান্ডা মিঠ


উপকরণ:
কনডেন্সড মিল্ক ১/২ টিন, পানি ১/২ কাপ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, বরফকুচি।

প্রনালি:
১। কনডেন্সড মিল্কের সাথে পানি মিশিয়ে চিনি দিয়ে মিশান। গোলাপজল দিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখুন।

গরমে আরাম


উপকরণ:
তরল দুধ ১ কাপ, পানি ১২ কাপ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

প্রনালি:
১। দুধের সাথে পানি মিশিয়ে ফুটান। ঠান্ডা করে চিনি মিশিয়ে ৪-৫ ঘন্টা রেফ্রিজারেটরে রাখুন।
২। পরিবেশনের আগে লেবুর রস ও বরফ কুচি মিশান। দুই পরিবেশন।

পেয়ারার পানীয়


উপকরণ:
পাকা পেয়ারা ৪টি, পানি ৮ কাপ, চিনি ১ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, অথবা সাইট্রিক এসিড ১/৪ চা চামচ।

প্রনালি:
১। পেয়ারা ধুয়ে টুকরা করুন। ৮ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করার সময় পেয়ারা নাড়বেন না। পেয়ারা খুব নরম হলে চুলা থেকে নামান। মিহি কাপড়ে পেয়ারা ছেঁকে খুব সাবধানে (হাত দিয়ে না চেপে) নিংড়ে রস নিন।
২। চিনি মিশিয়ে রস চুলায় দিন। ফুটে উঠলে সাইট্রিক এসিড বা লেবুর রস দিন। সিরাপ ঘন হলে নামান। পেয়ারার সিরাপে ৩ কাপ পানি মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখুন।
৩। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। ৬-৮ পরিবেশন।

টমেটো জুস


উপকরণ:
টমেটো বড় ১ কেজি, পানি ২ কাপ, তেজপাতা ২টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবঙ্গ ৬টি, চিনি ২ চা চামচ, লবণ ২ চা চামচ।

প্রনালি:
১। টমেটো ধুয়ে টুকরা করুন। টমেটোতে পানি, তেজপাতা, পেঁয়াজ ও লবঙ্গ দিয়ে ঢেকে চুলায় দিন। টমেটো ভালোভাবে সিদ্ধ হলে ছেনে নিন। খোসা ও বিচি ফেলে দেবেন।
২। টমেটোতে লবণ, চিনি এবং আরও ৪ কাপ পানি মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখুন।
৩। ঠান্ডা জুস গ্লাসে নিয়ে উপরে পুদিনা পাতা ও বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। ৬-৮ পরিবেশন।