Thursday, May 31, 2018

ইফতারে মজাদার ডালের কাটলেট


ইফতার মানেই হরেক রকমের মজাদার খাবারের সমাহার। আর এসব খাবারের মধ্যে একটু ভাজাভুজি না হলে যেন ইফতার জমে না। তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ডালের কাটলেট। তাহলে জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন ডালের কাটলেট।

উপকরণ

১। পাঁচমিশালি ডাল সিদ্ধ -দুই কাপ

২। পাউরুটির সাদা অংশ- এক কাপ

৩। আদা কুচি- এক টেবিল চামচ

৪। ধনেপাতা কুচি - এক টেবিল চামচ

৫। পেঁয়াজ কুচি - দুই টেবিল চামচ

৬। গরম মসলা গুঁড়া- এক চা চামচ

৭। জিরা গুঁড়া- এক চা চামচ

৮। ব্রেডক্রাম- পরিমাণমতো

৯। লবণ- পরিমাণমতো

১০। তেল- পরিমাণমতো

১১। ডিম- দুটি

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে ডিম, ব্রেডক্রাম ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে কাটলেটের আকারে গড়ে নিন। এরপর কাটলেটগুলো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম দিয়ে জড়িয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর পছন্দের সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ডালের কাটলেট।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ২৪ মে ২০১৮

ইফতারিতে পাকা আমের তিন পদ


গরমের সময়ে রোজা হওয়াতে ইফতারের আইটেমে এমন কিছু রাখা উচিৎ, যা সারাদিন রোজা রাখার পর আমাদের দেহ ও মনকে প্রশান্ত করতে পারবে। সুতরাং ঠান্ডা কিছু খাওয়া উচিত। তাই ইফতারে পাকা আম দিয়ে ঝটপট ঠান্ডা কিছু তৈরি করে নিতে পারেন। ইতোমধ্যে বাজারে পাকা আমের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। ঝটপট এই খাবার বানাতেও বেশ সহজ। খেতেও ভারি মজা। আসুন আজ আমরা জেনে নেই ইফতারে পাকা আম দিয়ে তৈরি আম দই, ম্যাঙ্গো পিনাট মিল্কশেক ও আমের লাচ্ছি তৈরির রেসিপি।

আম দই

আম দই

উপকরণ:

আমের ক্বাথ – ১ কাপ

পানি ঝরানো দই ১ কাপ বা-১৬০ গ্রাম

ঘন দুধ দেড়- কাপ

কনডেন্সড মিল্ক- ১টা টিন

প্রণালি: প্রথমে দুধ ও কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে নিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে আরো ঘন করে নিন। একটু ঠান্ডা করে আমের ক্বাথ মেশান। তারপর দই ফেটে মিশিয়ে নিন। এখন, যে পাত্রে দই বসাবেন, তাতে ঢেলে নিন। মাটির পাত্র বা সিরামিকের পাত্র হলে দই ভালো জমে।

এখন ২৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ওভেন ১০মিনিট প্রি-হিট করে নিন। তারপর ১৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ২-৩ ঘণ্টা বেক করুন বা জমে যাওয়া পর্যন্ত বেক করুন। বেক করা শেষ হলে ওভাবেই ওভেনে রেখে দিন আরো কয়েক ঘণ্টা। ফ্রিজে রাখুন ২-৩ ঘণ্টা। বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন মজাদার আমের দই। 

ম্যাঙ্গো পিনাট মিল্ক শেক

ম্যাঙ্গো পিনাট মিল্ক শেক

উপকরণ:

আম কিউব করে কাটা- পরিমাণ মতো

দুধ- ১/২ কেজি,

বাদাম কুঁচি- ৩ টেবিল চামচ, (ভেতরের পাতলা খোসা ছড়ানো)

চিনি- স্বাদমতো।

প্রণালি:

প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। (দুধ বেশি ঘন করার দরকার নেই।)

আম কেটে ফ্রিজে রেখে দিন ১-২ ঘণ্টা।

তারপর আম ফ্রিজ থেকে বের করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর সাথে বাদাম দিয়ে ব্লেন্ড করুন।

ব্লেন্ড করা আমের সাথে দুধ ও চিনি দিয়ে আবারো ব্লেন্ড করুন। লাচ্ছির চেয়ে সামান্য ঘন করে করতে হবে। তৈরি করার পর আবারো ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে উপরে বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মজাদার ম্যাঙ্গো পিনাট মিল্ক শেক।

পাকা আমের লাচ্ছি

পাকা আমের লাচ্ছি

উপকরণ:

পাঁকা আম-১টা

চিনি-১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)

মিষ্টি দই-১ কাপ

পেস্তা বাদাম- ২/৩টা (কুচি করা)

এলাচি গুঁড়ো-১চিমটি

প্রণালি:

আম ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে আঁটি বের করে নিন। ব্লেন্ডারে আম ব্লেন্ড করে নিয়ে কাঁচের বাটিতে ঢেলে ফেলুন। এবারে দই, চিনি আর বরফ কুচি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। দইয়ের মিশ্রণে আম ঢেলে আরো একবার পুরোটা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ফেলুন। সবশেষে গ্লাসে ঢেলে এলাচি গুঁড়ো ও পেস্তা বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।    

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, মে ২৪, ২০১৮

ইফতারে মজাদার নারকেল ঘুগনি


ইফতার মানে নানা খাবারের আয়োজন। ফল, শরবত, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, ডিম চপ আরো অনেক পদ। তাঁর মধ্যে আমাদের সবার খুব প্রিয় একটি খাবার হলো ঘুগনি। তবে অনেকে ঝামেলা ভেবে এগুলো বাইরে থেকে কিনে এনে খান, যা একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই তাদের জন্য আজকের আমাদের এই সহজ রেসিপি। মজাদার নারকেল ঘুগনি রেসিপি। দেখে নিন প্রস্তুত প্রণালি।

যা যা লাগবে

সিদ্ধ হলুদ মটর—দুই কাপ (সিদ্ধ জলসমেত)

টমেটো—দুটি ছোট

গুঁড়া হলুদ—এক চা চামচ

তেজপাতা—একটা

দারুচিনি—একটা ছোট

ছোট এলাচ—দুইটা

লবঙ্গ—দুইটা

শুকনো মরিচ—চারটা

আদা—আধ ইঞ্চি

লবণ—স্বাদমতো।

প্রণালি

প্রথমে মটর সিদ্ধ করে নিন। এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে তেজপাতা, গোটা জিরে, শুকনো মরিচ ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে এলে আদা, রসুন দিন।

এবার টমেটো কুচি, ভাজা মসলা, জিরে গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া দিন। টমেটো তেল ছাড়তে থাকা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার সিদ্ধ মটর দিয়ে দিন কড়াইতে। ভালো করে পুরোটা মিশে মটরের ভেতরে মসলা ঢোকা পর্যন্ত রান্না করুন।

এবার পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা কুচি ও কোরানো নারকেল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ৩১ মে ২০১৮

ভাজা-পোড়া ছাড়া ইফতার অসম্ভব? রইলো ১৫ পদ


আপনি যত যাই বলুন না কেনো ইফতারের সময় একটু ভাজাপোড়া না হলে আমাদের বাঙালিদের ইফতার আসলেই জমে না। একটু পাকড়া, ঝাল আইটেম, কাবাব ছাড়া ইফতার না করতে পারলে মনে হয়ে যেন অনেক কিছুই বাদ পরে গেলো। আর তাই কথা না বাড়িয়ে ইফতারে ভাজা-পোড়ার রইলো ১৫ পদ। আসুন দেখে নেই ভিন্ন স্বাদ ও ভিন্ন রকমের সব ইফতার আইটেমের রেসেপি।

প্রন বল প্যালেট

১. প্রন বল প্যালেট

উপকরণ :

চিংড়ি কিমা আধা কাপ,

ডিম ১টার তিন ভাগের এক ভাগ,

সয়াসস ১ চা চামচ,

লবণ আধা চা চামচ,

পেঁয়াজ কিউব করে কাটা আধা কাপ,

মরিচ কুচি ৩ চা চামচ,

ময়দা ১ টেবিল চামচ,

কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ,

পাউরুটি স্লাইস ৫টি,

ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ,

ফিশ সস আধা টেবিল চামচ,

ম্যাগি সস আধা চা চামচ।

প্রণালি: রুটি ছাড়া সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে আধঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। রুটির চারপাশের লাল অংশ কেটে ফেলে দিন। তারপর ছোট ছোট কিউব করে কেটে নিন। এবার রুটির টুকরোগুলোতে সামান্য পানি দিয়ে মেখে গোল গোল বল তৈরি করুন। খেয়াল রাখুন যেন রুটির টুকরো গোলে একসাথে মিশে না যায়। এবার টুকরা করা রুটি দিয়ে বলের মতো করুন। বলের মধ্যে মেরিনেট করা কিমা পুরের মতো করে দিন। চারপাশ ভালোমতো আটকে দিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিন। সাবধানে গরম তেলের মাঝে বলগুলো ছেড়ে দিন। অল্প আঁচে বাদামি করে ভেজে নিন। নামিয়ে ডাইনিং টিস্যুর উপর রাখুন। তাহলে অতিরিক্ত তেল ঝরে যাবে। আবার আপনার পছন্দ মতো সস দিয়ে                                                   

গরম গরম পরিবেশন করুন। (আপনি চাইলে পাউরুটি ছাড়াও প্রনবল তৈরি করতে পারবেন।

চিলি পাকোড়া

২. চিলি পাকোড়া

উপকরণ

কাঁচামরিচ ২০টা (একটু মোটাসোটা, কম ঝাল মরিচ হলে ভালো হয়)

তিল ৪/৫ টেবিল চামচ

তেঁতুলের পেস্ট ৪/৫ টেবিল চামচ

বেসন দেড় কাপ

লবণ স্বাদ মতো

আধা চা চামচ বেকিং পাউডার

সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

ভাজার জন্য তেল

প্রণালি: ২ কাপ পানি ফুটিয়ে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে এতে ৩০ সেকেন্ডের জন্য রাখুন মরিচগুলো। এরপর উঠিয়ে নিয়ে পানি মুছে নিন।

একপাশ থেকে চিরে নিন মরিচগুলো। এর ভেতরে পুর দেওয়া হবে।

তেঁতুল এবং তিল একসাথে মিশিয়ে পুর তৈরি করে নিন। নিজের স্বাদমতো পরিমাণ কম-বেশি করতে পারেন।

প্রতিটি মরিচের ভেতর আধা চা চামচ করে পুর দিয়ে দিন।

এরপর বেসন, লবণ, বেকিং পাউডার এবং হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে নিন একটা বোলে। এতে পানি দিয়ে ব্যাটার গুলে নিন। খুব বেশি ঘন বা বেশি পাতলা করবেন না।

কড়াইতে তেল গরম করে নিন। পুরভরা মরিচ ব্যাটারে ডুবিয়ে গরম তেলে ছাড়ুন। মরিচ তেলে ছাড়ার পর আঁচ কমিয়ে দিন। সোনালি করে ভেজে তুলুন।

ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো শীতের বিকেলের জন্য দারুণ মুচমুচে মরিচের বড়া! পরিবেশন

চিংড়ি কাবাব

৩. চিংড়ি কাবাব

উপকরণ:

চিংড়ির কিমা এক কাপ,

কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ,

ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ,

পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ,

সেদ্ধ আলু পরিমাণ মতো,

কর্নফ্লাওয়ার পরিমাণ মতো,

ডিম ২টি,

ব্রেডক্রাম পরিমাণ মতো,

টমেটো সস পরিমাণ মতো,

লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালি: ডিম, ব্রেডক্রাম ও তেল বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার পছন্দ মতো আকারে গোল করে নিন। এবার তা ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম মেখে ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজতে হবে। তারপর পরিবেশন করুন পছন্দের সস আর সালাদের সঙ্গে। ইচ্ছা করলে পোলাও বা সাদা ভাতেও খেতে পারেন পছন্দের চিংড়ি কাবাব।

প্রণ বল

৪. প্রণ বল

উপকরণ :

খোসা ছাড়ানো চিংড়ি ১ কাপ

ছোট পেঁয়াজকুচি ৫,৬টি

কাঁচামরিচ ৩,৪টি

রসুন ২ কোয়া

গোলমরিচগুঁড়ো সামান্য

লবণ স্বাদ মতো

ধনেপাতার কুচি ১ টেবিল-চামচ

ময়দা বা কর্ন ফ্লাওয়ার ক্রাম্ব ২ টেবিল-চামচ

বিস্কুটের গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ

কোটিংয়ের জন্য ব্রেড ৭,৮ টুকরা

ডিম ১ টি এবং আরেকটির অর্ধেক

প্রনালি: খোসা ছাড়ানো চিংড়ি, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, রসুন একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন।

পাউরুটি ছোট ছোট কিউব করে কেটে রাখুন। এবার চিংড়ির মিশ্রণে লবণ, ধনেপাতার কুচি, গোলমরিচ দিয়ে মাখিয়ে নিন। আস্তে আস্তে ময়দা বা কর্ন ফ্লাওয়ার মেশান।

মিশ্রণ অল্প অল্প করে হাতে নিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। বেশি বড় করবেন না। করলে ভাজার পরও ভেতরে কাঁচা থেকে যেতে পারে।

এবার বলগুলো ময়দায় মাখিয়ে নিন। ডিম ফেটে ময়দায় মাখানো বলগুলো প্রথমে ডিমে চুবিয়ে তারপরে ব্রেড কিউবে দিয়ে বলগুলো মাখিয়ে নিন। এমনভাবে কিউবগুলো জড়াবেন কোথাও যেন ফাঁকা না থাকে। আর অবশ্যই ব্রেড কিউবগুলো একটি ছড়ানো প্লেটে নেবেন তাহলে লাগাতে সুবিধা হবে।

এবার ২০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখুন। তেল গরম করে ডুবোতেলে ভাজুন। মাঝারি আঁচে সময় নিয়ে ভাজুন। ভাজা বেশি হলে ব্রেড কিউব পুড়ে যাবে আর কম ভাজা হলে ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে। তাই সাবধানে সময় নিয়ে ভাজুন। সোনালি রং হলে নামিয়ে পছন্দের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

অনিয়ন রিং

৫. অনিয়ন রিং

উপকরণ :

পেঁয়াজ- ৫/৬টি (বড়)

ময়দা- ১ কাপ

চালের আটা- ২ টেবিল চামচ

কর্ন ফ্লাওয়ার- ১/২ কাপ

বেসন- ১/২ কাপ

কাঁচামরিচ- ২টি

আদা কুচি- ২ চা চামচ

রসুন- ২ কোয়া

লবণ ও তেল- প্রয়োজন মতো

প্রণালি: পেঁয়াজ গোল এবং মোটা করে কেটে লবণ দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর একটি পাত্রে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে পেঁয়াজ ডুবিয়ে রাখুন। পাত্রটি আধা ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। কাঁচামরিচ কুচি, আদা কুচি ও রসুন একসঙ্গে ব্লেন্ড করুন। ময়দা, চালের আটা, কর্ন ফ্লাওয়ার ও বেসন একসঙ্গে মেশান। পানি ও পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে কাই তৈরি করুন। ফ্রিজ থেকে পেঁয়াজ বের করে পানি ফেলে শুকিয়ে নিন। ফ্রাই প্যানে তেল গরম করুন। পেঁয়াজের স্লাইস ময়দার মিশ্রণে ডুবিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলুন।

হানি-চিলি পটেটো

৬. হানি-চিলি পটেটো

উপকরণ:

আলু- ৩০০ গ্রাম

লাল মরিচ- ১টি (কুচি)

তেল- ১ কাপ

রসুন- ১ কোয়া (কুচি)

কর্ন ফ্লাওয়ার- ২ টেবিল চামচ

লবণ- ৪ চিমটি

তিল- ১ টেবিল চামচ

টমেটো সস- ১ টেবিল চামচ

ভিনেগার- ২ চা চামচ

মধু- স্বাদ মতো (ইচ্ছা শুধু ঝাল খেতে চাইলে মধু লাগবে না)

চিলি ফ্ল্যাকস- আধা চা চামচ

প্রণালি: আলু ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা করে কেটে নিন। প্যানে ৫ কাপ পানি গরম করুন। ফুটে ওঠার আগে আলু দিয়ে জ্বাল কমিয়ে দিন। আলু সেদ্ধ হলে নামিয়ে ফেলুন। বেশি নরম যেন না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখবেন।

আরেকটি পাত্রে রসুন কুচি, মরিচ কুচি, লবণ ও কর্ন ফ্লাওয়ার একসঙ্গে মেশান। ৫ মিনিট ঢেকে রেখে মিশ্রণে আলু দিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন।

মাঝারি আঁচে ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে আলু ভাজুন। মচমচে হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

অন্য আরেকটি প্যানে সামান্য তেল গরম করে রসুন কুচি, তিল, ভিনেগার ও টমেটো সস দিয়ে নাড়ুন। ১ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে নিন। মিশ্রণে মধু মিশিয়ে আলুর উপর ছড়িয়ে নিন। ভালো করে ঝাঁকিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে মেশান। চিলি ফ্ল্যাকস ছিটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার হানি-চিলি পটেটো।

চিকেন বাইটস

৭. চিকেন বাইটস

উপরকরণ:

হাড় ছাড়া মুরগির মাংস সেদ্ধ- দেড় কাপ

চিলি সস- ১/৪ কাপ

লেবুর রস- ১ চা চামচ

মরিচ গুঁড়ো- আধা চা চামচ

আদা-রসুন বাটা- আধা চা চামচ

ক্রিম চীজ- ২ টেবিল চামচ

চীজ গ্রেট করা- আধা কাপ

কাঁচা মরিচ কুচি- ৭-৮ টি

কাপ ময়দা- আধা

ডিম ফেটিয়ে নেওয়া- ২ টি

কর্ণফ্লেক্স গুঁড়ো- ২ কাপ

লবণ স্বাদমতো

তেল ভাজার জন্য

প্রণালি: সেদ্ধ মুরগির মাংস কাঁটা চামচ দিয়ে আঁশ আঁশ ছাড়িয়ে নিন। এরপর এতে, চিলি সস, লেবুর রস, মরিচ গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা, ক্রিম চীজ, চীজ, কাঁচা মরিচ কুচি ও ডিম দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন।

এরপর এতে দিন ময়দা। প্রয়োজন মতো ময়দা দিয়ে গোল গোল করে ডুবো তেলে ভাজা যায় এমন করে ময়দার ডোয়ের মতো শক্ত নয় নরম নয় এমন করে তৈরি করুন।

এরপর এটি কর্ণফ্লেক্সের গুঁড়োতে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজুন। লালচে করে ভাজা হয়ে গেলে কিচেন টিস্যুতে তুলে রাখুন। বাড়তি তেল শুষে গেলে সসের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার ‘চিকেন বাইটস’।

ফিস ফিঙ্গার

৮. ফিস ফিঙ্গার

উপকরণ:

মাছের টুকরা - ৫০০ গ্রাম (কাঁটা ছাড়া অথবা কাঁটা বেশে নেওয়া মাছ হলেও চলবে)

হলুদ গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ

লাল মরিচ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ

জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ

ধনিয়া গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ

আদা- রসুন বাটা - ১ চা চামচ (বাটা এর পরিবর্তে পাউডার ব্যবহার করতে পারেন)

গরম মসলা পাউডার - ১/২ চা চামচ

লেবুর রস - ১/২ লেবুর রস

লবণ - ১ চা চামচ

বেসন- ৩ টেবিল চামচ

পাউরুটির গুঁড়ো / ব্রেড ক্রাম্বস - 3 টেবিল চামচ

তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য

পদ্ধতি: মাছের চামড়া তুলে ভালোকরে ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। তারপর টুকরাগুলো লম্বালম্বি করে কেটে নিন।

লেবুর রস ও বাকি সব উপকরণ (বেসন, পাউরুটির গুঁড়ো ও তেল ছাড়া) দিয়ে মাছের টুকরোগুলো ভালোকরে মাখিয়ে ১৫-৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন।

এবার একটি পাত্রে বেসন ও পাউড়ুটির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তারপর মাছে টুকরাগুলো বেসনের মিশ্রনে গড়িয়ে পাত্রে রাখুন (মিশ্রনে এমনভাবে গড়িয়ে নিন যেন মাছের সবদিকে বেসনের মিশ্রন ভালোভাবে লাগে)। এবার একটি প্যানে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে মাছের টুকরাগুলো সুন্দর বাদামি রঙ করে ভেজে তুলুন। সব মাছ ভাজা হয়ে গেলে সস দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম মজাদার ফিস ফিঙ্গার।

নুডল্‌স পাকোড়া

৯. নুডল্‌স পাকোড়া

উপকরণ

এক কাপ ময়দা

দুই টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার

এক কাপ সেদ্ধ করা নুডল্‌স

অল্প মাশরুম কুচি

আধ কাপ বাঁধাকপি কুচি

কাঁচা মরিচ কুচি

এক ইঞ্চি মাপের আদা কুচি

অল্প ধনেপাতা কুচি

স্বাদ মতো লবণ

অল্প মরিচের গুঁড়ো

সয়াবিন তেল পরিমাণ মতো

প্রণালি: একটা পাত্রে ময়দা আর কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে বাটার তৈরি করে নিন।

এরপর লবণ, মরিচের গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ কুচি, আদাকুচি, মাশরুম কুচি, বাঁধাকপি কুচি, ধনেপাতা সব মিশিয়ে নিন।

সেদ্ধ করে রাখা নুডল্‌স দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।

ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করে বাটার থেকে বড়ার আকার গড়ে নিয়ে একে একে তেলে ছাড়ুন।

ডুবো তেলে ভেজে নিন। সোনালি রং হলে তুলে টিস্যু পেপারের উপর রাখুন, অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে। টমেটো সস বা পুদিনার চাটনির সঙ্গে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

চিলি চিজ বল

১০. চিলি চিজ বল

উপকরণ:

কোরানো চিজ— ১ কাপ

ময়দা— ১/২ কাপ

ডিম— ২টি

লবণ— স্বাদ মতো

আস্ত জিরা— ১/২ চা-চামচ

বেকিং পাউডার— ১/২ চা-চামচ

কাঁচামরিচ কুচি— ১ চা-চামচ

মরিচ গুঁড়ো— ১/২ চা-চামচ

পেঁয়াজকুচি— ২ টেবিলচামচ

ধনেপাতা কুচি— ৪ চা-চামচ

ভাজবার জন্য তেল

প্রণালি: একটা কড়াইতে তেল গরম করুন। উপকরণের সবকিছু একসঙ্গে ভাল করে মেখে নিন। দেখবেন মাখাটা যেন পাতলা না হয়। যদি প্রয়োজন মনে হয়, তবে আরও একটু ময়দা দিতেও পারেন। এইবার আঁচ কমিয়ে নিয়ে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিয়ে ছাঁকা তেলে সোনালি করে ভেজে তুলুন। সার্ভ করুন আপনার পছন্দমতো সস অথবা চাটনি দিয়ে। যাঁরা আমিষ পছন্দ করেন তাঁরা এই মিশ্রণের সঙ্গে চিংড়ি মিলিয়ে নিতে পারেন। (আপনি চাইলে চিজ একসাথে মিশিয়ে না নিয়ে বলের মাঝখানে ভরে দিতে পারেন তাহলে আলাদা স্বাদ ও লুক আসবে)।

জালি কাবাব

১১. জালি কাবাব

উপকরণ:

গরুর গোসতের কিমা- ১/২ কেজি (তবে সাইজ কেমন করবেন সেটার উপর কয়টা হবে তা নির্ধারিত হবে)

পাউরুটি- ২ পিস

পেঁপে বাটা- আধা কাপ

কাঁচা মরিচ কুচি বা বাটা- ১ চা চামচ

পেঁয়াজ বাটা- মাঝারি ২টা

রসুন বাটা- এক চা চামচ

আদা বাটা-  আধা চা চামচের কম

হলুদ গুড়া- এক চা চামচের কম

জিরা গুড়া- আধা চা চামচ

বাদাম বাটা- দুই চা চামচ

টমেটো সস- ১ টেবিল চামচ

গরম মসলা- আধা চা চামচ (এলাচি, দারুচিনি, লং, জয়ত্রী, গোল মরিচ গুড়া করেও দিতে পারেন)

ধনেপাতার কুচি বা বাটা-  দুই চা চামচ

পুদিনা পাতার কুচি বা বাটা- এক চা চামচ

লবণ- পরিমাণ মতো

ডিম- দুইটা

তেল- পরিমাণ মতো(ভাঁজার জন্য)

প্রণালি: গোসতের কিমা নিন। হাতে বানানো কিমা হলে ভালো হয়। তেল ও একটা ডিম বাদে কিমাতে উপরে উল্লিখিত মসলাগুলো দিয়ে দিন। ভালো করে মাখিয়ে নিন। লবণ দেখে নিন। এরপর ফ্রিজে ঘণ্টাখানেক রাখুন।

বের করার পর ডিমটা ভেঙে ফাটিয়ে নিন। এরপর ছোট ছোট সাইজ করে চপের মতো বানিয়ে নিন। ছোট সাইজের বেশি করলে ডিম আরো একটা লাগবে।

এবার মাঝারি আগুনে তেল গরম করে (খোলা ফ্রাই প্যানে) কাবাব ভাঁজুন। এক পিঠ হয়ে গেলে অন্য পিঠ উল্টে দিন।

এবার কাবাবগুলো তুলে রাখুন এবং ঠাণ্ডা করুন। ডিমের কাইতে কাবাবগুলো চুবিয়ে আবারো ভাঁজুন।আগুন মাঝারি রাখবেন। ভাঁজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন।

ওটস ফ্রায়েড চিকেন

১২. ওটস ফ্রায়েড চিকেন

উপকরণ:

ম্যারিনেটের জন্য :

দেড় কেজি চিকেন

২ কাপ বাটার মিল্ক

১ টেবিল চামচ মিক্সড মসলা

১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়া

২টি রসুনের কোয়া কুচি কুচি করে কাটা

লবণ ও গোলমরিচ পরিমাণ মতো

কোটিংয়ের জন্য :

৩ কাপ ওটস গুঁড়া

১ চা চামচ আদা গুঁড়া

১ চা চামচ পাপরিকা

১/২ চা চামচ লবঙ্গ

১/২ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া

লবণ ও গোলমরিচ পরিমাণ মতো

প্রণালি:

চিকেন ধুয়ে ৮ পিস করে কাটুন। শুকিয়ে নিন। ম্যারিনেট করার সব উপকরণ মিশিয়ে নিন এবং চিকেনের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিন। রেপার বা ফয়েল পেপার দিয়ে ভালোমতো কাভার করে ফ্রিজে অন্তত ২ ঘণ্টা রাখুন অথবা রাতভর রেখে দিন।

ওভেনকে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম করুন। কোটিংয়ের সব উপকরণ একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন। ম্যারিনেট থেকে চিকেন পিসগুলো নিয়ে ওটস কোটিং-এ গড়িয়ে নিন। তেলসহ প্যানে কোটেড চিকেন বিছিয়ে দিন। ওভেন ৩৫-৪৫ মিনিট বেক করুন। রান্না হয়ে যাওয়া চিকেন ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। এবার সেলেরি, গাজর ও কেচাপের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ক্রিসপি ব্যানানা ললিপপ

১৩. ক্রিসপি ব্যানানা ললিপপ

উপকরণ:

পাকা কলা ৫টি,

মধু ২ টে চামচ,

চিনি ৪ টে চামচ,

ডিম ১ টি,

ময়দা ১/২ কাপ,

ওটস ৩/৪ কাপ,

মাখন বা তেল ৬ টে চামচ,

লবণ সামান্য

প্রনালি: কলা অর্ধেক করে ভাগ করে নিন। তারপর কলার টুকরাগুলো মধু দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।

এবার একটি বাটিতে মাখন ও ওটস ছাড়া বাকি সব উপাদান ও পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিন।

এরপর কলাগুলো টুথপিকে গেঁথে ব্যাটারে চুবিয়ে ওটস এ গড়িয়ে কলার চারপাশে ভালো করে ওটস জড়িয়ে নিন ও ফ্রিজে রেখে দিন ৩০ মিনিট।

এখন প্যানে মাখন বা তেল গরম করে কম আঁচে কলার পিসগুলো হালকা বাদামী করে ভেজে নিন।

এরপর শুধু শুধু অথবা আইসক্রিমের সাথে সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন। ইয়াম্মি ক্রিসপি ব্যানানা ললিপপ।

মজাদার চিংড়ি ফ্রাই

১৪. মজাদার চিংড়ি ফ্রাই

উপকরণ:

চিংড়ি- ৫০০ গ্রাম (খোসা ছাড়ানো)

কর্নফ্লাওয়ার- ২ টেবিল চামচ,

ডিম- ১টি,

আদা ও রসুন বাটা- ১/২ চা-চামচ,

গোল মরিচ গুঁড়া- ১/২ চা-চামচ,

লবণ- স্বাদমত

ব্রেডক্রাম/ বিস্কুটের গুড়ো- ১ কাপ

তেল-পরিমাণমত।

প্রণালি: প্রথমে চিংড়ি ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

এবার একটি বাটিতে কর্নফ্লাওয়ার, আদা ও রসুন বাটা, ডিম, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে।

কড়াইতে তেল গরম হলে চিংড়ি মাছগুলো মিশ্রণে ডুবিয়ে একে একে পাউরুটির গুড়ো অথবা বিস্কুটের গুড়োতে গড়িয়ে তেলে ছাড়ুন।

বাদামি বা সোনালি রং করে ভেজে তুলুন।

তৈরি হয়ে গেলে মচমচে চিংড়ি ফ্রাই। সাথে সস অথবা শশা, গাজর, বাধাকপি কুচির সাথে মেয়নিজ দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন।

আপনি যদি আরো স্পাইসি চান তাহলে চিংড়ি পানি ঝড়িয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে কেচে নিয়ে অল্প লবণ এবং মরিচ গুড়া অথবা গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। তারপর উপরের নিয়মে ভাজুন। মরিচ গুড়া থেকে কাঁচামরিচ বেটে দিলে বেশী স্বাদ হবে।

ব্লুমিন ওনিয়ন

১৫. ‘ব্লুমিন ওনিয়ন’ ফুলে অতিথি আপ্যায়ন

উপকরণ:

একটি বড় পেঁয়াজ (যত বড় হবে তত ভালো)

ডিম ১টি

দুধ ১ কাপ

ময়দা ১ কাপ

লবণ স্বাদ মতো

মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ

পাপরিকা এক চা চামচ

কালো গোলমরিচ আধা চা চামচ

শুকনো অরিগানো ৩/১ চা চামচ

জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ

সসের জন্য উপকরণ:

মেয়নিজ ২ টেবিল-চামচ

ফ্রেস ক্রিম ২ টেবিল চামচ

টমেটো কেচাপ দেড় চা চামচ

হর্সর্যা ডিস সস ১ টেবিল চামচ (সুপার সপে কিনতে পাওয়া যায়)

পেপারিকা ৪/১ চা চামচ

চিলি ফ্ল্যাক্স ১ চিমটি (স্বাদ অনুযায়ী কমবেশি করা যাবে) এটা মরিচ ভেঁজে গুঁড়া করেও নিতে পারেন।

গোল মরিচ স্বাদ অনুযায়ী

লবণ স্বাদ অনুযায়ী

তেল ভাজার জন্য (ডুবো তেলে ভাজতে যতটুকু তেল লাগবে)

সস তৈরির প্রণালি:

সসের যত উপকরণ আছে সব এক সাথে মিশালেই সস তৈরি হয়ে যাবে। সস তৈরি করে আলাদা রেখে দিন।

প্রণালি:

প্রথমে পেঁয়াজটি ভালোমতো ধুয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। তারপর পেঁয়াজের মাথার দিকটা একটু নিচু করে কাটুন। কিন্তু, খেয়াল রাখবেন গোড়ার দিকটা যেন কেটে না যায়।

এবার পেঁয়াজের ওপরের আবরণটা ফেলে দিন। তারপর পেঁয়াজটি উপুড় করে রেখে ধারালো ছুড়ির মাথা দিয়ে সেটি ছবির মতো করে কাটুন। যেন দেখতে ফুলের মতো লাগে।

তারপর সামান্য লবণ দিয়ে ডিম ভালোমতো ফেটে নিয়ে আলাদা করে রাখুন।

ময়দার মাঝে সব গুঁড়া মসলা ভালো মতো মিশিয়ে নিন। এবার কাটা পেঁয়াজটা হাত দিয়ে একটু ছড়িয়ে দিয়ে ময়দায় মেখে নিন। তারপর ডিমের মধ্যে ডুবিয়ে নিন। ভালোমতো ডিম মাখানো হলে আবার ময়দার গুড়োতে ডুবিয়ে নিন। ময়দার গুড়া পেঁয়াজের ভাঁজে ভাঁজে ঢুকিয়ে দিন।

ময়দা মাখানো হলে গরম তেলে দিয়ে গোল্ডেন ব্রাউন করে ভেজে নিন। টেবিল টিস্যুতে রেখে অতিরিক্ত তেল ঝড়িয়ে নিন।

তারপর গরম গরম সসে ডুবিয়ে নিয়ে চেখে দেখুন মজার স্বাদের ‘ব্লুমিন ওনিয়ন’।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, মে ৩০, ২০১৮