Monday, November 30, 2020

ফ্রায়েড চিকেনের সহজ রেসিপি, খেতে মজা বেশি

 

করোনার ভয়ে অনেকেই বাইরে যাচ্ছেন না। মন জুড়ানো সেই খাবার ছুঁতে আজকাল ভয় লাগে। তাই এবার পছন্দের খাবার বাড়িতে তৈরি করুন। এখন সহজ নিয়মে তৈরি করতে পারবেন ফ্রায়েড চিকেন। সুস্বাদু এই খাবার বাড়িতে তৈরি করা সম্ভব। 

জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন-


উপাদান

চিকেনের বড় পিস – ৫০০ গ্রাম, লবণ – ১/৪ চা চামচ, সোয়া সস – ১/২ টেবিল চামচ, টমেটো সস – ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ, গোল মরিচের গুঁড়ো – ১ চা চামচ, ম্যাগি মশলা – ১ প্যাকেট। 

কোটিংয়ের জন্য- ময়দা – দেড় কাপ, কর্ন ফ্লাওয়ার – ১/৪ কাপ, লবণ – ১/২ চা চামচ, আদা গুড়া – ১/২ চা চামচ, মরিচ গুড়া – ১/২ চা চামচ, হলুদ গুড়া – ১/৪ চা চামচ। 


প্রস্তুত প্রণালী

বাটিতে সোয়া সস, টমেটো সস, আদা বাটা, রসুন বাটা, গোল মরিচের গুড়া, লবণ, ম্যাগি মশলা, ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে চিকেনগুলো দিয়ে মাখিয়ে নিন এবং ২ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার ময়দার সঙ্গে কর্ন ফ্লাওয়ার, লবণ, আদার গুড়া, লঙ্কার গুড়া, হলুদের গুড়া, মিশিয়ে ভালো করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর চিকেনগুলোকে নিয়ে ওই মিশ্রণের সঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে পানির মধ্যে চুবিয়ে তারপর আবার ওই ময়দার মিশ্রণের মধ্যে রাখুন। ভালো করে চিকেনের গায়ে মিশ্রণটি মেখে গেলে হালকা তেলে ভেজে নিন। তেলে ছাড়ার পর দেখবেন যেন একেবারে তেলের মধ্যে ডুবে থাকে চিকেনের পিসগুলো। অল্প আঁচে কুড়ি থেকে পনেরো মিনিট ধরে ভাজতে থাকবেন। হয়ে গেলে প্লেটে করে মেয়োনিজ বা ক্যাচ আপ দিয়ে সার্ভ করুন গরম গরম ফ্রায়েড চিকেন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

RTV

Thursday, November 26, 2020

ইলিশের ফিরিঙ্গি ফ্রাই তৈরি করবেন যেভাবে


 

বাড়িতে মা-বোনেরা ইলিশের নানান পদ রান্না করেন। ইলিশ দিয়ে মুখরোচক অনেক তরকারি রান্না হয়। ইলিশের লেজের ভর্তাও বেশ স্বাদের। এসব হয়তো খাওয়া শেষ, অপেক্ষা করছেন ইলিশের নতুন কোনো রেসিপির জন্য। আপনার জন্য আজ রইলো ইলিশের ফিরিঙ্গি ফ্রাই তৈরির রেসিপি। 

যেভাবে তৈরি করবেন ইলিশের ফিরিঙ্গি ফ্রাই 


উপকরণ

৩ জনের জন্য বানাতে লাগবে ৬ টুকরো ইলিশ মাছ, পরিমাণমতো তেল, ৪ টেবিল পেঁয়াজবাটা, ২ টেবিল চামচ আদাবাটা, ২ টেবিল চামচ রসুনবাটা, স্বাদমতো লবণ, গোলমরিচগুঁড়া, ১ চা চামচ কাঁচামরিচ বাটা, ২ কাপ ব্রেডক্রাম, আধ টেবিল চামচ ভিনিগার, ২ টেবিল চামচ ময়দা।


প্রস্তুত প্রণালী 

সময় লাগবে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মতো। প্রথমে মাছে আদাবাটা, রসুনবাটা, পেঁয়াজবাটা, ভিনিগার, সামান্য লবণ আর গোলমরিচগুঁড়া মাখিয়ে ৪৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। ১ কাপ পানিতে ময়দা গুলে রাখুন। মাছ ম্যা০রিনেট হয়ে গেলে, ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এসে গেলে একটি করে মাছ ময়দার মিশ্রণে ডুবিয়ে, ব্রেডক্রামে গড়িয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে তুলুন! এরপর ইচ্ছে মতো পরিবেশন করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৭ অক্টোবর ২০২০

RTV

Friday, November 20, 2020

অতুলনীয় স্বাদের ইলিশ মাছের ডিম ঝোল


 

ইলিশ মাছ দিয়ে বাহারি পদের রান্না হয়। তবে সহজে আলাদাভাবে ইলিশের ডিম ঝোল করা হয় না। কিন্তু অতি স্বাদের একটি রেসিপি ইলিশের ডিম ঝোল। তবে যাদের বাড়িতে আগে থেকে ইলিশ কেনা নেই, হয়তো তারা এখন খেতে পারবেন না। কারণ ১৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ। তাই বাড়ির রেফ্রিজারেটরে ইলিশ থাকলে আর তার পেটে ডিম থাকলে ঝটপট তৈরি করুন ইলিশের ডিমের ঝোল। 


যা লাগবে

ইলিশ মাছের ডিম – ১টা মাছের (গোল করে টুকরো করা), ১ কাপ সমপরিমাণ ডিম, আলু – ৩ টা মাঝারি, আধা ইঞ্চি কিউব করে কাটা ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ১/২ কাপ আদা বাটা, ১/২ চা চামচ রসুন বাটা, ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া, ১/২ চা চামচ জিরা বাটা, ১/২ চা চামচ ধনে গুঁড়া, কাচা মরিচ ৩/৪ টা, লবণ– পরিমাণমতো, তেল – ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ, পানি – পরিমানমতো


প্রস্তুত প্রণালী

মাছের ডিম হালকাভাবে ধুয়ে ১ ইঞ্চি কিউব করে কেটে নিন। আলু খোসা ফেলে ১/২ ইঞ্চি কিউব করে কেটে নিন। হাঁড়িতে তেল দিয়ে একটু গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন, নাড়তে থাকুন, হালকা বাদামি করে ভাজা হলে এবার ওভেনের আঁচ কমিয়ে সব মশলা ও জল দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন। এবার মাছের টুকরো ও ডিম দিয়ে আরও ৫ মিনিট কষিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিন, ঝোল বেশি হলে আবার ভালো লাগবে না। আলুর কাটা টুকরোগুলো দিয়ে দিন। ঢেকে দিন কিছুক্ষণ রান্না হওয়ার জন্য। ঝোল ফুটতে শুরু করলে কাঁচা মরিচ ওপরে ছিটিয়ে দিন। এবার ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। পরিবেশনের জন্য তৈরি।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ১৩ অক্টোবর ২০২০

RTV

Thursday, November 19, 2020

এক মিনিটেই শিখুন গাজরের সন্দেশ তৈরির নিয়ম

 


যে কোনো উৎসবে-অনুষ্ঠানে মিষ্টি মুখ ছাড়া বাঙালির চলে না। তবে সব মিষ্টি তো সম্ভব না, আবার যত্রতত্র কিনতেও পাওয়া যায় না। তাই নিজ থেকে কিছু মিষ্টান্ন তৈরির নিয়ম শিখে রাখা ভালো। চলুন আজ শিখিয়ে দিই গাজরের সন্দেশ তৈরির নিয়ম।


উপকরণ

দুটি গাজর মিহি করে কুচানো, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, ছানা ২ কাপ, পরিমাণমতো চিনি, পরিমাণমতো ঘি, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, পরিমাণমতো গোলাপজল, গুঁড়া দুধ ১ কাপ।


রেসিপি তৈরির পদ্ধতি 

প্রথমে গ্যাসে কড়াই বসিয়ে তাতে গাজর, কনডেন্সড মিল্ক, ছানা, চিনি, এলাচ গুঁড়া ও গুঁড়া দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখবেন আঁচ যে কম হয়।


এরপর গাজর সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার তাতে পরিমাণমতো ঘি দিয়ে ভালো করে মেশান। ঠাণ্ডা হলে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে তাতে গোলাপ জল দিয়ে দিন। তারপর একটি ওভেনপ্রুফ পাত্রে ঘি মাখিয়ে তাতে সন্দেশ বানানোর মিশ্রণটা ঢেলে হাত দিয়ে সমান করে দিন। এবার প্রিহিটেড ওভেনে ১৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটে ৪০ মিনিট বেক করুন। ঠাণ্ডা হলে গেলে নিজের পছন্দমতো আকারের কেটে নিন। এবার ইচ্ছেমতো পরিবেশন করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৩ নভেম্বর ২০২০

RTV

Sunday, September 20, 2020

গরুর মাংসের ‘গার্লিক বিফ’র রেসিপি

 

এবার যেহেতু ঈদটা বাসায় হবে, সুতরাং রান্না ও ঘরের কাজে মনযোগী হচ্ছেন। কারণ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ একটু ভিন স্বাদের খাওয়াদাওয়া। এবছর বাইরে বেরিয়ে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া বন্ধ, তাই বলে কি আনন্দে ভাঁটা পড়বে? মোটেই নয়। বাড়িতেই বানিয়ে নিন সুস্বাদু গরুর মাংসের মুখরোচক খাবার। আপনার জন্য আজ থাকছে গরুর মাংসের গার্লিফ বিফ। এটি খুবই মজাদার একটি খাবার। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এটি তৈরি করতে হয়।


উপকরণ:

গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ কাপ ও মরিচ গুঁড়া ১ কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ ও রসুন বাটা আধা চা চামচ, রসুনের কোয়া ৬/৭টি ও ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, মাংসের মসলা আধা চা চামচ, টমেটো সস আধা কাপ ও টক দই ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ ও লবণ স্বাদ মতো।


প্রস্তুত প্রণালী

গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে দিন পানি ঝরানোর জন্য। এবার একটি পাত্রে মাংস, তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ সহ সব মসলা নিয়ে আধা ঘণ্টা খানিক মেরিনেট করে রেখে দিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামী করে ভেজে মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। কষানো হলে সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে রাখতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে টমেটো সস, কাঁচামরিচ ফালি ও রসুনের কোয়া দিয়ে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ৩১ জুলাই ২০২০, ২১:২০

RTV

Saturday, April 4, 2020

পেশোয়ারি চাপলি কাবাব


ঘরোয়া অথবা বড় আয়োজনে নানা ধরনের মাংসের আর কাবাব রেসিপি থাকে। পেশোয়ারি চাপলি কাবাব, এটি মূলত পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী খাবার। রাঁধুনিরা ঘরে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। সহজলভ্য কিছু মসলার সংমিশ্রণে নিজেই তৈরি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে পারেন ভিনদেশি এই কাবাবটি।

পেশওয়ারি কাবাব তৈরিতে যা যা লাগবে

মাংসের কিমা-আধা কেজি, ডিম ২টি (বিট করা), বড় পেঁয়াজ কুঁচি ২টি, ধনিয়া পাতা কুঁচি- আধাকাপ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, টমেটো কুঁচি ২টি, কাঁচামরিচ কুঁচি ২/৩টি, লবণ স্বাদ মতো, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, গরম মসলা আধা চা চামচ, জিরা গুড়া ১ চা চামচ, বেসন আধা কাপ একটু টেলে নিতে হবে, গোটা জিরা ১ টেবিল চামচ, গোটা ধনিয়া ১ টেবিল চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১ টেবিল চামচ, তেল ডুবো তেলে ভাজার জন্য।

যেভাবে তৈরি করতে হবে

গোটা ধনিয়া, গোটা জিরা গুঁড়া করে নিন। এমনভাবে করবেন যেন আধা ভাঙা থাকে। এবার ডিম বাদে সব উপকরণ ভালোভাবে মাংসের কিমার সাথে মাখিয়ে ফেলুন।

হাতের তালুতে নিয়ে গোল চ্যাপ্টা করে নিয়ে সময় নিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন।

পরিবেশনের সময় সালাদ ও লেবুর রস ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। সঙ্গে চাটনিও দিতে পারেন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Friday, April 3, 2020

সুস্বাদু শাহী কাশ্মীরি মাটন পোলাও


দেখতে যতটা সুন্দর খেতে ততোটাই সুস্বাদু শাহী কাশ্মীরি মাটন পোলাও। খাবারটি দেখামাত্রই আপনার ক্ষুধা আরো বাড়িয়ে তুলবে। মুখরোচক এই খাবারটি রেসিপি জানা না থাকায় রেস্টুরেন্টগুলোতে গিয়ে অনেকেই ভিড় করেন। চাইলেই ঘরেই এই রেসিপি তৈরি করে নিতে পারেন খুব যে সহজে। 

ব্যস্ত এই শহরে কঠিন জীবনযাপনে রান্না একটু কষ্ট হলেও কষ্টের ফল যদি মিষ্টি হয় তাহলে করতে বাধা কোথায়...

প্রায় সময় বিরিয়ানি বা পোলাও এ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া হয়ে থাকে। আর তাই একটু ভিন্ন ধরনের খাবার খেতে এই রেসিপির জুরি নেই। তাই শিখে নিন কীভাবে সুস্বাদু কাশ্মীরি মাটন পোলাও তৈরি করতে হয়।

তৈরি করতে যা যা লাগবে:

খাসির মাংস ১ কেজি, বাসমতী চাল ১ কেজি, মাংস মেরিনেট করার জন্য, আধা চা চামচ হলুদ, লবণ ১ চা চামচ, গ্রেভির মসলার জন্য, ১ কাপ টক দই, আদা পেস্ট ১ টেবিল চামচ, রসুন পেস্ট ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ১ কাপ এর ৪ ভাগ এর ১ ভাগ, রান্নার জন্য, ঘি আধা কাপ, কাজু বাদাম ৭-৮টি, পেস্তা বাদাম ৫টি, কিসমিস ৮টি, তেজপাতা ৩টি, দারুচিনি ২টি, স্টার মসলা ২টি, বড় এলাচ ২টি, ছোট এলাচ ৪-৫টি, লবঙ্গ ৬-৭টি, কাবাব চিনি ৭-৮টি, দুধ ১ কাপ (মাংস রান্নায়), দুধ ১ টেবিল চামচ (জাফরান প্রস্তুতিতে), কাঁচা মরিচ ৭টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কিছু ফলের টুকরো (পরিবেশনের জন্য), পানি পরিমাণ মতো

যেভাবে তৈরি করবেন:

প্রথমে খাসির মাংস ১ কেজি নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার খাসির মাংসটাকে মেরিনেট করার জন্য একটি বাটিতে মাংস নিয়ে আধা চা চমচ হলুদ ও ১ চা চামচ লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। একটু ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে যেন মসলা ও লবণ খুব ভালোভাবে মাংসে লেগে থাকে। এখন মাংসের গ্রেভি তৈরির জন্য একটি বাটিতে ১ কাপ পরিমাণ টক দই নিয়ে একটি কাঁটা চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে নিতে হবে।

এরপর এতে ১ টেবিল চামচ আদা পেস্ট, ১ টেবিল চামচ রসুন পেস্ট, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ ও পেঁয়াজ ১ কাপ এর ৩ ভাগ এর ১ ভাগ দিয়ে আবারো চামচ দিয়ে সবগুলো মসলা মিশিয়ে নিতে হবে। একটু সময় নিয়ে মেশাতে হবে যেন সবগুলো উপাদান খুব ভালোভাবে মিশে যায়।

এবার চুলায় একটি প্যান গরম করে এতে আধা কাপ পরিমাণ ঘি দিয়ে ভালো করে গরম করে নিন। গরম হয়ে গেলে এতে কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ও কিসমিসগুলো ভালো করে ভেজে নিয়ে একটি বাটিতে তুলে রাখতে হবে। এটা পরবর্তীতে পরিবেশনের কাজে লাগবে। তারপর একই তেলে ৩টি তেজপাতা, দারুচিনি ২টি, স্টার মসলা ২টি, বড় এলাচ ২টি, ছোট এলাচ ৪-৫টি, লবঙ্গ ৬-৭টি ও কাবাব চিনি ৭-৮টি দিয়ে ভালো করে একটু ভেজে নিতে হবে।

ভাজার পর যখন মসলাগুলো থেকে সুন্দর ঘ্রাণ বের হবে ঠিক তখন এতে মেরিনেট করে রাখা মাংসটা দিয়ে দিতে হবে। এবার সম্পূর্ণ আঁচে মাংসগুলোকে একটু উল্টে-পাল্টে ভেজে নিতে হবে, যেন সব মাংসের রং দেখতে একই রকম হয়। ৩ মিনিটের মতো এভাবে নেড়ে নিয়ে পূর্বে তৈরি করে রাখা মসলার গ্রেভটা এবার এতে ঢেলে দিতে হবে। তারপর মসলাগুলোকে মসলার গ্রেভির সাথে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।

মেশানো হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে সম্পূর্ণ আঁচে ততক্ষণ রান্না করে নিতে হবে, যতক্ষণ না মাংস থেকে তেলটা উপরে চলে আসছে। কিন্তু এর মধ্যই একটু পরপর নেড়ে নিতে হবে না হয় প্যানের নিচে লেগে যেতে পারে। মাংসের পানি শুকিয়ে যখন তেলটা উপরে ভেসে উঠবে, তখন ঢাকনা খুলে এতে ১ কাপ পরিমাণ দুধ দিয়ে দিন। এবার এতে আরো ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ঢেকে দিন।

অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না মাংসের পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে আসে। এবার বাসমতী চাল ভিজিয়ে ১০ মিনিটের মতো রেখে দিয়ে এরপর চালটাকে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে একটি বাটিতে তুলে রাখুন। তার সাথে অন্য একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ দুধে অল্প জাফরান ভিজিয়ে ভালো করে নেড়ে রেখে দিতে হবে। জাফরানটা পরে মাংসের সাথে দিয়ে দিন।

যেহেতু মাংসতে দুধ দেয়া হয়েছে তাই দুধ কিন্তু ফেনা হয়ে বারবার উপরে উঠে যাবে সেক্ষেত্রে প্যানের ঢাকনা উঠিয়ে একটু পরপর নেড়ে দিতে হবে। এবার পানি শুকিয়ে মাংসের তেলটা যখন উপরে চলে আসবে তখন এতে ২ কাপ পরিমাণ বাসমতী চাল দিয়ে দিতে হবে ও ভালো করে নেড়ে নিতে হবে, যেন মাংসের সাথে চালটা খুব ভালো করে মিশে যেতে পারে। এপর্যায়ে আরো ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে।

পানিটা দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। যখন পানিটা চালের সাথে লেগে যাবে তখন এতে ৭টি কাঁচা মরিচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। কাঁচা মরিচ দেয়াতে এটা থেকে সুঘ্রাণ বের হবে। আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ও কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা খুলে আস্তে করে নেড়ে নিতে হবে। এমনভাবে নাড়তে হবে যেন চালটা ভেঙ্গে না যায়।

যখন বোঝা যাবে পানিটা শুকিয়ে এসেছে তখন ভেজে রাখা কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, কিসমিস, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ভিজিয়ে রাখা জাফরানটা দিয়ে দিতে হবে। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। চুলা বন্ধ করার ১৫ মিনিট পর কিছু ফলের টুকরো দিয়ে আপনার পছন্দ মতো পরিবেশন করুন সুস্বাদু শাহী কাশ্মীরি মাটন পোলাও।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ১৯ জানুয়ারি ২০২০

Friday, March 27, 2020

খাসির বাদামি কোরমা


চর্বিযুক্ত হলেও অনেকে খাসির মাংস খেতে খুবই পছন্দ করেন। বিশেষ করে বিয়েশাদী ও নানান উৎসব অনুষ্ঠানের বিশেষ রান্নাগুলোতে বিশেষ স্থান দখল করে থাকে খাসির মাংসের কোরমা। সাধারণ কোরমা তো অনেকেই খেয়েছেন, এবারে খেয়ে দেখুন বিশেষ খাবার খাসির বাদামি কোরমা।

সহজেই রান্না করা গেলেও স্বাদটা হবে সত্যিই আহামরি। আর পরিবেশন করা যায় পোলাও, বিরিয়ানি, নান, পরোটা, লুচিসহ সাদা ভাতের সাথে।

যা যা লাগবে:

খাসির মাংস- ১ কেজি, টক দই- ২ কাপ, কাঁচা চিনাবাদাম- ১০০ গ্রাম, পোস্তদানা বাটা- ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা-১ কাপ, রসুন বাটা- ২ চা চামচ, আদা বাটা- ২ চা চামচ, জিরা বাটা- ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ১০-১২টা, চিনি- ১ টেবিল চামচ, ঘন দুধ- আধা কাপ, তেল প্রয়োজনমতো, ঘি- ২ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া- আধা চা চামচ, সাদা এলাচ- ৪টা, দারচিনি- ১ ইঞ্চি পরিমাণ, লবণ প্রয়োজনমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন:

কাঁচা বাদামের খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে বেটে নিন। খাসির মাংস বড় বড় টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে একটি পাত্রে নিন। এতে ১ কাপ দই, বাদাম বাটা অর্ধেকটা, পোস্ত বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, সামান্য লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন।

মাংস মাখিয়ে এভাবেই ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর একটি ফ্রাইপ্যানে তেল নিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে এতে মাংসের টুকরোগুলো রোস্টের মতো করে ভেজে নিন। সব মাংস ভাজা হয়ে গেলে অন্য একটি পাত্রে পরিমাণমতো তেল নিয়ে গরম করুন। এতে বাকি বাটা মশলা, দারচিনি, সাদা এলাচ ও সামান্য লবণ দিয়ে কষান। মশলা কষে এলে এতে বাকি দই ও কনডেন্স মিল্ক দিন। মাংস মাখানোর মিশ্রণটি বেঁচে থাকলে সেটাও ঢেলে দিয়ে কষাতে থাকুন। এরপর এতে বাদাম বাটা ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন।

ভাজা মাংসগুলো দিয়ে দিন। এরপর এতে চিনি ও মরিচগুলো দিয়ে দিন। ঝোল শুকিয়ে এলে এতে ঘি ঢেলে দিন এবং এর উপরে সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। এবার খাসির বাদামি কোরমা পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Tuesday, March 24, 2020

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এগ টমেটো স্যুপ


পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অনেকে অনেক কিছুই করে থাকেন। তবে এই অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খেতে পারেন স্পেশাল স্যুপ। কম ক্যালরির স্যুপ পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। শীতের সময় একবাটি গরম স্যুপ শরীর যেমন গরম করে, তেমনি মেটায় পুষ্টির চাহিদা। আর স্যুপ কম ক্যালরির হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

ওজন কমাতে ঘরেই ঝটপট তৈরি করে নিন এগ টমেটোর স্যুপ। টমেটো কম ক্যালরি ও চর্বিসমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, বিটা ক্যারোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে তৈরি করবেন এগ টমেটোর স্যুপ?


যা যা লাগবে
টমেটো বড় তিনটি, ভিনেগার ২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১টি, সাদা গোলমরিচগুঁড়া ১/৪ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, ডিমের সাদা অংশ ৩টি, চিকেন স্টক ৫ কাপ, চিনি আধা চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি।

যেভাবে তৈরি করবেন 
ফোটানো পানিতে টমেটো দিয়ে দিন। পাতলা খোসা ফেটে গেলে টমেটো তুলে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে টুকরো করুন। এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে থাকুন। একটু পরে এতে চিকেন স্টক, সয়াসস, ভিনেগার, গোলমরিচ, পরিমাণমতো লবণ ও চিনি দিন। ফুটে ওঠার পর মৃদু আঁচে ১০ মিনিট চুলায় রেখে দিন। 

এরপর স্যুপে ডিমের সাদা অংশ ঢেলে নেড়ে দিন। পরে টমেটো দিয়ে ৩ মিনিট মৃদু আঁচে ফুটিয়ে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার এগ টমেটো স্যুপ।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ৩১ জানুয়ারি ২০২০

Sunday, March 22, 2020

সুস্বাদু গুড়ের পানতোয়া


ঘরোয়া আড্ডায়, খাবার শেষে ও অতিথি আপ্যায়নে একটু মিষ্টি থাকা চাই-ই-চাই। অনেকে পছন্দ করেন বলে ঘরেই মিষ্টি তৈরি করে খান। আর ঘরে তৈরি করাও স্বাস্থ্যকর। তাই বাইরে থেকে না কিনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু সব মিষ্টি। ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করতে পারবেন অন্যরকম একটি রেসিপি গুড়ের পানতোয়া।

গুড়ের পানতোয়া তৈরির রেসিপিটি ঝটপট দেখ নিন রাধুনীরা। 

যা যা লাগবে
ছানা ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, মাওয়া দেড় কাপ, গুড় ১ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ঘি সোয়া ৩ টেবিল চামচ, খাবার সোডা আদা চা চামচ, ভাজার জন্য তেল (সয়াবিন)।

যেভাবে তৈরি করতে হবে
ছানা মিশিয়ে নিন। অন্য পাত্রে ঘি, ময়দা, সোডা, গুড়, এলাচ গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ছানার সঙ্গে মেখে গোল্লা বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। 
ভাজা হলে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সিরায় ডুবিয়ে দিন। এভাবে কয়েক ঘণ্টা রাখুন।

এবার পাত্রে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ২৫ জানুয়ারি ২০২০

Friday, March 20, 2020

বরইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার


চলতি মৌসুমে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচাপাকা বরই। মৌসুম চলে গেলে বরই পাওয়া যায় না। কিন্তু বরই পাকার পর তা শুকিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। পরের বছরের যে কোনও সময় এই শুকনো বরই দিয়ে মজাদার আচার বানিয়ে খেতে পারেন। 

বরই আচার বানানো খুব সহজ। যদিও প্রায় অনেকেই জানেন কিন্তু যারা বানাতে জানে না তাদের জন্য দেয়া হলো এই রেসিপি। দেখে নিন কিভাবে টক-ঝাল-মিষ্টি আচার বানাবেন বরই দিয়ে।

যা যা লাগবে:

শুকনো বরই আধা কেজি, সরিষার তেল আধাকাপ, দারচিনি ২ টুকরা, আস্ত পাঁচফোড়ন ১ টেবিল চামচ, আখেরগুড় আধাকাপ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ভিনেগার ১/৪ কাপ, মুড়ির গুঁড়া আধা টেবিল চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া আধা টেবিল চামচ, ভাজা ধনিয়ার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ। 

যেভাবে তৈরি করবেন:

শুকনো বরই কিনে আনতে পারেন অথবা নিজেই রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। বরই ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পানিতে সেদ্ধ করে নিন শুকনা বরই। ১০ মিনিট উচ্চতাপে সেদ্ধ করার পর ছেঁকে উঠিয়ে ফেলুন।
প্যানে সরিষার তেল, পাঁচফোড়ন ও দারচিনি দিয়ে এক মিনিট ভেজে নিন। 

এবার প্যানে সেদ্ধ করা বরই দিয়ে দিন। আখেরগুড় অথবা চিনি দিন। মরিচগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। গুড় গলে পানি পানি হয়ে গেলে ভিনেগার দিন। পানি খানিকটা শুকিয়ে আসার পর চামচের পেছনের অংশ দিয়ে বরই ভেঙে দিন। 

ভাজা মুড়ির গুঁড়া, ভাজা জিরার গুঁড়া ও ভাজা ধনিয়ার গুঁড়া দিয়ে নাড়তে থাকুন। ৫ থেকে ৭ মিনিট জ্বাল করার পর নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। খুব বেশি শুকনা করে নামাবেন না। কারণ ঠাণ্ডা হলে এটি আরও খানিকটা শুকিয়ে আসবে। পরিষ্কার ও মুখবন্ধ বয়ামে আচার সংরক্ষণ করুন। ২ বছর পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে খেতে পারবেন বরইয়ের আচার।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Tuesday, March 17, 2020

স্বাস্থ্যকর গাজরের স্যুপ


স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা মনে এলেই স্যুপের কথা সবার আগে মনে আসে। আর স্বাস্থ্যকর সবজি বলতে যা মনে হয় সেটি হলো গাজর। গাজরের স্যুপ যে একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু খাবার শুধু স্বাস্থ্যকর হলেই তো হবে না, ছোট বড় সবার খাওয়ার জন্য হতে হবে সুস্বাদুও। 

স্বাস্থ্যকর ও মজাদার গাজরের স্যুপ কিভাবে তৈরি করে দেখুন

যা যা লাগবে 

গাজর কুচি - ২ কাপ 
নারিকেলের দুধ - ১ কাপ 
লেবুর রস - সামান্য পরিমান
বীজ ছাড়া কাঁচা মরিচ - ৩ টি 
মরিচের গুঁড়ো - সামান্য পরিমান
লবণ - স্বাদমতো

যেভাবে তৈরি করবেন

কুচি করা গাজর এবং বীজ ফেলে দেয়া কাঁচা মরিচগুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে প্রথমেই। এবার ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিন। এরমধ্যে নারিকেলের দুধ, মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে আবার ব্লেন্ড করতে হবে। 
এবার একটি প্যানে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। গরম হয়ে গেলে এতে সামান্য লেবুর রস যোগ করুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল নতুন স্বাদের খাবার গাজরের স্যুপ।

এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Sunday, March 15, 2020

ব্রোকলি ও ক্যাপসিকাম এর ঝাল ফ্রাই



ব্রোকলি ও ক্যাপসিকাম এর ঝাল ফ্রাই, অন্যরকম স্বাদের একটি রেসিপি। ঝাল প্রিয় মানুষের পছন্দের খাবার এটি। এর বিশেষ স্বাদ গতানুগতিক খাবারের একঘেয়েমি থেকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেবে। আর আপনি রুচি মতো ঝালের পরিমাণ কম বেশি করে নিতে পারেন।  

রাধুনীরা এই ঝাল ফ্রাই রেসিপিটি খুব দ্রুত রান্না করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে আসি চটপটা এই ঝাল এই রেসিপিটি কীভাবে তৈরি করে।

ব্রোকলি ও ক্যাপসিকাম এর ঝাল ফ্রাই তৈরিতে যা যা লাগবে:

ব্রোকলি ছোট করে টুকরো করা ছয় কাপ, ১টি ক্যাপসিকাম ফালি করে কাটা, ২টি পেঁয়াজ কুচি,  সস পরিমাণমতো, আদা বাটা ১ চা চামচ, ভেজেটেবল বা অলিভের তেল ১ চা চামচ, ১ চা চামচ খোসা ছাড়ানো তিলের বীজ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো।

যেভাবে তৈরি করবেন:

ব্রোকলি ও ক্যাপসিকাম এর ঝাল ফ্রাই তৈরির উপকরণগুলো তিনটি ধাপে রান্না করুন। প্রথমে একটি পাত্রে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে তাতে আদা বাটা দিন ও সুবাস ছড়ানো পর্যন্ত মিনিট খানেক ভাঁজুন। 

দ্বিতীয় ধাপে পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম ফালি ও ব্রোকলি দিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট নেড়ে চেড়ে সেদ্ধ করুন উপকরণগুলো কোমল হওয়া পর্যন্ত। 

তৃতীয় ধাপে সস ও আধা কাপ পানি দিয়ে আরো দুই থেকে তিন মিনিট রান্না করুন এবং চুলা থেকে নামানোর আগে তাতে খোসা ছাড়ানো তিলের বীজ ছড়িয়ে দিন। 
ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু ব্রোকলি ও ক্যাপসিকাম এর ঝাল ফ্রাই।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয়,   ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০