Saturday, September 17, 2011

রান্না ঘরে সময় বাঁচান


মেয়েদের জীবন কাটে রান্না ঘরে। এই কথাটার কিন্তু যথেষ্ট যুক্তি আছে। কারণ রান্না খাওয়ার ঝামেলা নিয়ে সারাটা দিন তাদের হাড়ির পেছনে থাকতে হয়। তাই অন্যদিকে নজর দেয়ার সময় হয় না। তবে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে অনেকটা সময় বাঁচিয়ে নেয়া যায়। সেই বুদ্ধিটা জেনে নিন এবার-

* পুরো সপ্তাহের বাজার একবারে করে স্টক করুন। মাছ, মাংস প্রয়োজন মতো দুই/একদিন পর পর কিনুন।

* বাড়িতে টিনজাত খাদ্য রাখুন। প্রক্রিয়াজাত বা ফ্রোজেন খাদ্য রাখুন যা প্রয়োজনে চট করে রান্না করা যাবে।

* স্টক করুন আচার, চাটনি, মেয়নিজ ও নানা রকম সস। এগুলো খাবারের স্বাদ বাড়ায়।

* এক কাজের সাথে অন্য কাজ মিশিয়ে করলে অনেক সময় বাঁচে। যেমন- মাংস বা এমন কিছু সেদ্ধ হওয়ার সময় আপনি অন্য কিছু কাজ সেরে ফেলতে পারেন।

* আগের দিন কোন কাজ একটু বেশি করে রাখলে পরের দিন আর করতে হয় না। যেমন- সবজি কাটার সময় একটু বেশি করে কেটে ফ্রিজে রাখুন। বেশি পরিমাণে জল কিংবা আলু সেদ্ধ করে রাখুন।

* বিকেলের নাস্তার জন্য সকালের ময়দা, আটা মেখে রাখুন। তাহলে আর বাড়তি সময় লাগবে না।

* চা, চিনি, ডাল নানারকম মসলা-পাতি টান্সপারেন্ট জার অথবা লেবেল দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। তাহলে খুঁজতে সময় নষ্ট হবে না।

* তেল, ঘি কিংবা আচার, যেখানে রাখবেন সেখানে প্লাস্টিক বা গ্রিজপ্রুফ পেপার সিট বিছিয়ে নিন। তাহলে প্রত্যেকবার তেল ঘি মুছতে সময় নষ্ট হবে না।

* হাতের কাছে একটা কাঁচি রাখুন। প্যাকেট খোলার দরকার ছাড়াও ধনেপাতা, কারিপাতা চট করে কেটে নেয়া যাবে।

* যখন ডিম সিদ্ধ করবেন তখন তার সাথে কিছু আলু সিদ্ধ করে নিন। পরে তরকারিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

জেনে নিন

* ডিম সিদ্ধ করার সময় পানিতে একটু লবণ দিয়ে নিন। সেদ্ধ হলে গরম পানি থেকে তুলে সরাসরি ঠান্ডা পানিতে ফেলুন, খোসা ছাড়ানো সহজ হবে।

* রসুনের খোসা অল্প সময়ে ছাড়াতে চাইলে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।

* মিক্সারে মশলা একটু বেশি পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করুন।

* রাইস কুকার, প্রেসার কুকার প্রভৃতি ব্যবহারে অনেক সময় সাশ্রয় হয়।

* ছুড়ি, বটি ইত্যাদি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন।

* রসুনের খোসা ছাড়ানো সময়ের ব্যাপার এবং কষ্টকরও। ঈষদুষ্ণ পানিতে কিছুক্ষণ কোয়াগুলো ভিজিয়ে রাখুন। খোসা ছাড়ানো সহজ হয়ে যাবে।

* চায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম একটি ট্রেতে সাজিয়ে রাখুন। যেমন—চায়ের পট, ছাঁকনি, চিনি কিংবা গুঁড়া দুধের পট, চামচ ইত্যাদি সাজিয়ে রাখুন। তা হলে প্রত্যেকবার চা বানানোর জন্য একেকটা জিনিস খুঁজতে গিয়ে সময় চলে যাবে না।

* যেখানে তেল, ঘি কিংবা আচার, কাসুন্দি রাখবেন, সেখানে প্লাস্টিক বা গ্রিজগ্রুফ পেপারের শিট

* কিচেনের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটা কাঁচি রেখে দেবেন। এতে করে প্যাকেট খোলার দরকার ছাড়াও ধনেপাতা, কারিপাতা, পার্সেল অথবা কাঁচা মরিচের মতো টুকটাক কিছু কুঁচিয়ে নেওয়ার দরকারে কাজে লাগবে।

*দুধ আঁচে চাপাবার আগে যেকোনো মেটাল ফানেল উল্টো দিক করে প্যানে রেখে দিন। এতে করে দুধ উতলে পড়ে যাবে না। ঠায় নজর রাখার বদলে ওই সময়ে অন্য কাজ সেরে নিতে পারবেন।

* গরম পানিতে ডাল ছাড়ার আগে ডালে একটু তেল মাখিয়ে নিন, তা হলে আর উতলে পড়ে যাবে না। কাজেই তখন নজর রাখতে বসে থাকার বদলে অন্য কাজ সারার সময় পাবেন।

* বাড়িতে আচার, চাটনি, সস, মেয়নিজ বা কাসুন্দির মতো জিনিস স্টকে রাখুন। চটজলদি পরিবেশন করে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারেন।