Saturday, December 10, 2011

ঘরোয়া রান্না-বান্না



যুগ যুগ ধরে বাংলার গৃহিনীরা কম বেশি সবাই তাদের রন্ধন প্রক্রিয়া জারি রেখেছিলেন। আজ ও সেই দিন বদলায়নি। বরং রান্না এখন শুধু মাত্র চারদেয়ালের ধোঁয়া ওঠা রান্নাঘরের মদ্ধেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি সম্মানজনক পেশায় পরিনত হয়েছে। সারা বিশ্ব এখন সুরুচিকর আর পুষ্টিকর রান্নার বিষয়ে চলছে ব্যাপক গবেশনা। মসলাপাতি নিখুঁত পরিমানে ব্যাবহারের মাধ্যমে রান্না হয়ে ওঠে সুস্বাদু। সব রাধুঁনী চায় তার রান্নাকে সুস্বাদু করতে। আর আমাদের ঘরোয়া রান্না-বান্নার নিয়মিত পাঠক হয়ে আপনিও হতে পারেন সেই সুস্বাদু রান্নার রাধুঁনী। আমাদের আজকের রেসিপি শাহজাহানী মাছ।



উপকরন সমূহঃ

১। বড় রুই বা কাতলা মাছ ৫০০ গ্রাম (৬ টুকরা)

২। নারকেল বাটা ১ টাবিল চামচ

৩। সাদা সরষেবাটা- দেড় চা চামচ

৪। মেথি বাটা- ১চা চামচ

৫। পেঁয়াজ কুচি- ১টা বড়

৬। রসুন বাটা ১চা চামচ

৭। হলুদ- ১চা চামচ

৮। চিনি- ১চা চামচ

৯। টমেটো পিউরি- দেড় টেবিল চামচ

১০। লবন- স্বাদ মত

১১। কারিপাতা ও ধনেপাতা- আন্দাজ মত

১২। সরষের তেল-রান্নার জন্য; পানি প্রয়োজন মত



রান্নার পদ্ধতিঃ

প্রথমে মাছ ভালকরে ধুয়ে নিন। মাছের গা থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। টুকরো মাছগুলোতে অল্প লবন ও হলুদ মাখান। চুলায় ফ্রাইপ্যান চাপান। কিছুটা সরষের তেল ঢেলে দিন। তেল গরম হলে ডোবা তেলে বাদামি করে মাছের টুকরোগুল ভেজে তুলে রেখেদিন। মনে রাখবেন মাছ ভাজা খুব বেশি কড়া করবেন না। ঐ তেলে পেঁয়াজ ও রসুন বাটা দিন। সামান্য লালচে হলে হলুদ, মরিচ, মেথি, নারকেল বাটা, চিনি ও কারিপাতা দিন। আঁচ কমিয়ে ভাজুন। ভাজা হলে সরষেবাটা দিয়ে নাড়ুন। বড় কাপের পৌনে এক কাপ পানিতে টমেটো পিউরি গুলে নিন। এবার মসলার উপরে দিন এবং স্বাদ মত লবন দিন। ফুটে উঠলে মাছ দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। একটু পরে মাছ উলটে দিয়ে আবার ঢেকে দিন। খেয়াল রাখবেন আঁচ যেন অল্প থাকে। ৫ মিনিট পরে একটি পাত্রে মাছ সাজিয়ে তার উপর ধনেপাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।