একটি ফলকে তখনই শক্তিশালী পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বলা হয় যখন এটি কাঁচা কিংবা পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। পৃথিবীর সব ফলেই এ ধরনের গুণ পাওয়া যায় না। অল্প কিছু ফলেই এটি বিদ্যমান। কলা এমন একটি ফল যেটা কাঁচা, পাকা সব ভাবেই খাওয়া যায়। পাকা কলার গুণ সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা আছে কিন্তু কাঁচা কলার পুষ্টি গুণ নিয়ে অনেকেরই কোনো ধারনা নেই। এটি রান্না, ভর্তা, ভাজা, তরকারি -সবভাবেই খাওয়া যায়।
কাঁচা কলা ফাইবারের দারুন উৎস। আর ফাইবার শরীরে হজমশক্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা কলাতে ২ দশমিক ৬ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমানও কমায়। এজন্য এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এছাড়া নিয়মিত এটি খেলে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
পাকা কলার মতো কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমান পটাশিয়াম রয়েছে। এক কাপ সিদ্ধ কাঁচা কলায় ৫৩১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এই উপাদানটি কিডনির কার্যক্ষমতা সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
কাঁচা কলায় বিদ্যমান ফাইবার যেহেতু হজমশক্তি বাড়ায় একারণে এটি খেলে শরীরে তৃপ্তি আসে, পেট ভরা লাগে। তখন অন্য চর্বিযক্ত খাবার খেতে ইচ্ছে হয় না। এভাবে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। এটি ভিটামিন সি এবং বি৬ এরও দারুন উৎস। আর এসব উপাদানই শরীরের জন্য দারুন উপকারী।
সূত্র : এনডিটিভি













Bangladeshi Taka Converter