Wednesday, November 23, 2011

হেমন্তের পিঠা-পুলি





ঘরে উঠেছে নতুন চাল। পিঠা-পুলি খাবার এই তো সময়। দেখুন শাহানা পারভীনের দেওয়া কয়েক রকম পিঠা তৈরির প্রণালি।

দই-মালপোয়া
উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, ময়দা ১ কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, তরল দুধ ২ কাপ, মিষ্টি দই ২ কাপ, গোলাপজল ৩-৪ ফোটা, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: কুসুম গরম দুধে চালের গুঁড়া, ময়দা, গুড় দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তবে মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা বা ঘন না হয়। কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে এক হাতা করে মিশ্রণ দিয়ে বাদামি করে পিঠা ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর গোলাপজল দিয়ে মিষ্টি দই ফেটে তার মধ্যে মালপোয়াগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করা যায় মজাদার দই-মালপোয়া।

চুসির পায়েস
উপকরণ: চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম, দুধ আধা লিটার, খেজুরের গুড় ১ কাপ, পানি পরিমাণমতো, লবণ সামান্য।
প্রণালি: কড়াইয়ে পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে একটু ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ২৫০ গ্রাম চালের গুঁড়া দিয়ে একটা মণ্ড তৈরি করতে হবে। রুটি বেলার পিঁড়িতে অল্প করে মণ্ড থেকে নিয়ে লম্বা করে লতার মতো বানিয়ে তা থেকে ছোট করে কেটে চুসি তৈরি করতে হবে। এবার সসপ্যানে দুধ ও গুড় জ্বাল দিয়ে তাতে চুসিগুলো দিয়ে ফুটাতে হবে। একটু ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায়।

চাপতি-পিঠা
উপকরণ: আতপ চাল ১ কাপ, পাঁচমিশালি ডাল (মুগ, মসুর, মটর, ছোলা, অড়হর) আধা কাপ, ডিম ১টি (ইচ্ছা), কাঁচা মরিচ কুচি ৪টি, পোড়া শুকনা মরিচ কুচি ১টি, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, তেল সামান্য।
প্রণালি: চাল ও ডাল একসঙ্গে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিতে হবে। তারপর বাকি সব উপকরণ দিয়ে মেখে একটি গোলা তৈরি করতে হবে। এবার ননস্টিক ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল দিয়ে তাতে দেড় হাতা করে গোলা দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে প্যান ঢেকে দিতে হবে। ৩-৪ মিনিট পর ঢাকনা তুলে নামান। চাপতি পিঠা ভুনা মাংস বা নরম খেজুর গুড়েরর সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

নারকেলের ভাপা পুলি
উপকরণ: সেদ্ধ করা চালের গুঁড়া ২৫০ গ্রাম, নারকেলের পুর ১ কাপ (নারকেল ও গুড় জ্বাল করা)।
প্রণালি: সেদ্ধ করা চালের গুঁড়া ভালো করে মাখিয়ে নিয়ে লুচির মতো ছোট ছোট লেচি বানিয়ে নিতে হবে। এবার লেচির মধ্যে নারকেলের পুর ভরে পুলির আকারে গড়ে প্রেশার কুকারে ১ কাপ পানি দিয়ে পিঠাগুলো ভাপে সেদ্ধ করতে হবে। ১টি হুইসেল দিলে নামিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে পরিবেশন করা যায় নারকেলের ভাপা পুলি।