Wednesday, November 30, 2011

পাহাড়ি দুই পদ



এই সময়ে অনেকেই বেড়াতে আসেন রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। এসে আদিবাসী খাবার তো চেখে দেখবেনই; বাড়ি ফিরেও যদি পাওয়া যেত এসব খাবারের স্বাদ! রাঙামাটির চাংপাং রেস্তোরাঁর সৌজন্যে দেওয়া হলো এখানকার দুই পদের রেসিপি।

মাছ হ্লা
[চাকমা আদিবাসীদের মাছের বিশেষ রান্না]
উপকরণ: ছয় টুকরা মাছ, সয়াবিন তেল তিন চামচ, আদা বাটা দেড় চামচ, কুচি কুচি করে কাটা তিনটি পেঁয়াজ, ফালি করা কাঁচা মরিচ পরিমাণমতো, রসুন বাটা এক চামচ, কর্নফ্লাওয়ার আধা চামচ, হলুদের গুঁড়া, বাহারপাতা, ধনিয়াপাতা ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: মাছের টুকরোগুলো ধনিয়াপাতা ও বাহারপাতা ছাড়া অন্য উপকরণ দিয়ে মেখে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। উপকরণমিশ্রিত মাছ গরম তেলে ছেড়ে দিন এবং পাঁচ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। পাঁচ মিনিট পর আধা কাপ পানি, বাহারপাতা ও ধনিয়াপাতা দিয়ে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর রান্না হওয়া মাছ সবুজ কলাপাতার প্লেট তৈরি করে এর ওপর দিয়ে খাবার টেবিলে পরিবেশন।

চুমোত কুড়ো এরা
[বাঁশের চোঙায় রান্না করা মুরগির মাংস]
উপকরণ: কাঁচা বাঁশের চোঙা ও কলাপাতা, ৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস, সয়াবিন তেল দুই চামচ, আদা বাটা দুই চামচ, দুটি পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ বাটা দুই চামচ, জিরা বাটা আধা চামচ, হলুদের গুঁড়া, ধনিয়াপাতা ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: ছোট ছোট টুকরো করা মুরগির মাংস সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে কাঁচা বাঁশের চোঙায় ঢুকিয়ে দিন। এবার সবুজ কলাপাতা দিয়ে বাঁশের মুখটি শক্ত করে ঢেকে দিন যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। এবার কাঁচা বাঁশের চোঙাটি জ্বলন্ত কয়লায় ছয় থেকে আট ইঞ্চি পরিমাণ ঢুকিয়ে ৪০ মিনিট রেখে দিন। ৪০ মিনিট পর প্লেটে বাঁশের চোঙাটি উল্টো করে ঝাঁকুনি দিয়ে মুরগির মাংস ঢেলে নিন এবং খাবার টেবিলে পরিবেশন করুন।