Friday, April 13, 2012

তেতোয় চৈত্রসংক্রান্তি





চৈত্রসংক্রান্তি অর্থাৎ বাংলা বছরের শেষ দিনে তেতো খাবারের চল আছে। ভাত, ডাল আর তেতো নানা পদে হয়ে যাক এদিনের রসনাবিলাস। এমন কয়েক পদ রান্না দিয়েছেন নাজমা হুদা।

নিমপাতার সুক্তো
উপকরণ: বেগুন আধা কাপ, আলু আধা কাপ, শজিনা আধা কাপ, মিষ্টি কুমড়া আধা কাপ, কুমড়ো বড়ি ৫-৬টি, নিমপাতা ৫-৬টি, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, হলুদ সামান্য, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: কড়াইতে তেল দিয়ে কুমড়ো বড়ি হালকা লাল করে ভেজে তুলতে হবে। এবার তেলে পেঁয়াজ দিয়ে মসলা কষাতে হবে। পরে সবজি দিয়ে কষাতে হবে। বড়ি দিয়ে পানি দিতে হবে। সেদ্ধ হলে নামিয়ে অন্য একটি পাত্রে তেলে নিমপাতা ফোড়ন দিয়ে তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিন। সবজি দিয়ে একটু চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

থানকুনিপাতার ভর্তা
উপকরণ: থানকুনিপাতা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ২টি, রসুনের কোয়া ২টি, লবণ স্বাদমতো, তিল ২ টেবিল-চামচ, কালিজিরা ১ চা-চামচ।

প্রণালি: সব একসঙ্গে বেটে ভর্তা তৈরি করতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন (সব পাতা ধুয়ে পানি মুছে নিতে হবে)।

পাটশাকের পিঠালি ভাজা
উপকরণ: পাটশাক ১ আঁটি, চালের গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজকুচি ৩টি, মরিচকুচি ২টি, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া সামান্য।

প্রণালি: পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, লবণ ও লেবুর রস একসঙ্গে মেখে পুর তৈরি করে নিতে হবে। চালের গুঁড়ার সঙ্গে লবণ ও মরিচগুঁড়া দিয়ে গোলা তৈরি করে নিতে হবে। এবার পাটশাক চারটি নিয়ে বিপরীত দিকে (ডাঁটাগুলো বের হয়ে থাকবে) ভেতরে পুর ভরে এক প্যাঁচ দিয়ে গিঁট দিতে হবে। সব করা হয়ে গেলে চালের গুঁড়ার গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

পুরভরা করলা
উপকরণ: করলা ২৫০ গ্রাম (বড়), টমেটোর কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, আমচুর গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল-চামচ, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো।

প্রণালি: করলার গা চেঁছে সমান করে নিতে হবে। এবার পেটের একদিক চিরে সব বিচি বের করে নিতে হবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে মেখে করলার পেটে ভরে সুতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে করলা ভেজে তুলতে হবে। সুতা খুলে ওপরে সস দিয়ে পরিবেশন।