Monday, May 28, 2012

রসুনের গুণ


রান্নার পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভালো রাখার দাওয়াই হিসেবেও কাজ করে। এর নানা রকম ভেষজ গুণ রয়েছে। রসুনে আছে ১৭টি অ্যামাইনো এসিড ময়েশ্চার, প্রোটিন, আমিষ, ফ্যাট, মিনারেল ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, নিয়াসিন, আয়োডিন, সালফার ও ফ্লোরিন, আছে অল্প পরিমাণে ভিটামিন সি। এ ছাড়া আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমাণে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকর।

ভেষজ গুণ
শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। রক্ত সঞ্চালন সঠিক রেখে শরীরে টঙ্নি কমায়। ক্যান্সার প্রতিরোধক, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতেও রসুন উপকারী। রসুন ফুসফুস, ব্রঙ্কিয়াল টিউব, সাইনাসের গহ্বরে মিউকাস জমতে দেয় না। রসুন শরীরে প্রবিষ্ট তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিষ্ক্রিয় বা নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে। টিউবারকিউলোসিস, নিউমোনিয়া, হুপিংকাশির মতো অসুখে রসুন উপকারী। এটি ঠাণ্ডা, সর্দি, কফ সারাতেও সাহায্য করে। রসুন ঘা, আলসার সহজে সারায়। হজমে গোলমাল, যেমন_আমাশয় ও কৃমির সমস্যায়ও এটি উপকারী। অ্যাজমা, কানে কম শোনা, ব্রঙ্কাইট কনজেশন প্রভৃতি থেকে সুরক্ষা করে। রসুন ক্ষুধামান্দ্য দূর করে। এ ছাড়া প্রস্রাবের বেগ বাড়ায়, হাইপারটেনশন ও চুল পাকানো কমায়।

ব্যবহার
মসলা হিসেবে রসুন ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন আচার ও মুখরোচক খাবার তৈরিতে রসুনের ব্যবহার রয়েছে।

অপকারিতা
রসুন বেশি খেলে অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। রসুন থেকে অ্যালার্জিও হতে পারে।